Ajker Patrika

বরিশালে বিএনপির সমাবেশ: তাঁবুতে থাকা, মাঠেই রান্না

রাশেদ নিজাম, বরিশাল থেকে
আপডেট : ০৪ নভেম্বর ২০২২, ১৬: ২৪
বরিশালে বিএনপির সমাবেশ: তাঁবুতে থাকা, মাঠেই রান্না

কেউ খিচুড়ি খাচ্ছেন, কেউ ভাত। কেউ বা আসার ক্লান্তিতে একটু জিরিয়ে নিচ্ছেন। আজ শুক্রবার দুপুরে বরিশালের বঙ্গবন্ধু উদ্যানের চিত্রটা এমনই। বিএনপির নেতা-কর্মীরা এই উদ্যানের সাবেক নাম বেলস পার্ক হিসেবেই ডাকছেন। বিশাল উদ্যানটির চারদিকেই শুধু সমাবেশে আসা মানুষের ভিড়। এখানেই আগামীকাল (৫ নভেম্বর) ধারাবাহিক বিভাগীয় সমাবেশের পঞ্চম পর্ব ডেকেছে বিএনপি।

মূল মঞ্চের সামনেই তাঁবু গেড়েছে ঝালকাঠি জেলা কৃষক দল। গতকালই তারা নিজেদের ভ্যানে রান্নার ডেকচি, হাঁড়ি, গ্যাসের চুলাসহ চলে এসেছেন। জুমার নামাজের পরে দেখা গেল সবাই পাতলা খিচুড়ি খাচ্ছেন। নলছিটি উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি খোকন জানালেন, ২০০ জনের জন্য রান্না করেছেন তাঁরা। নিজেদের বাদে বাকি ১০০ সমাবেশের অন্যদের খাইয়েছেন।

তাঁবুর নিচে দোকান থেকে কিনে আনা খিচুড়ি খাচ্ছিলেন পিরোজপুর ছাত্রদলের নেতারা। একজন মন্তব্য করলেন, ‘ডিমডা আরেকটু বড় অইলে ভালো অইতে।’ 
মাঠের ডান পাশে বিশাল জায়গাজুড়ে রাতে তাঁবু করে থেকেছেন বরগুনা জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা। যেখানে থেকেছেন সেখানেই দুপুরে খাওয়ার জন্য সবাই সারিবদ্ধভাবে বসেছেন। রান্না হচ্ছে পাশে। আরও কিছুটা সময় লাগবে, তাই অনেকেই ‘অ্যা ব্যাডা, প্যাট চো চো করতে আছে।’ এমন করে পাশেরজনকে বলছেন।

মূল মঞ্চের সামনেই তাঁবু গেড়েছে ঝালকাঠি জেলা কৃষক দল।যুবদল ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের দু-তিনটা দল মাঠের একটি অংশে মিছিল করছে। বিশেষ করে নেতারা এলে তাদের স্লোগানের জোরও বেড়ে যাচ্ছে। মূল মঞ্চের কাজ প্রায় শেষ। চেয়ার এখনো আসেনি। বিএনপির নেতারা জানিয়েছেন, বরিশালে কোনো ডেকোরেটর থেকে তাঁদের মাইক ভাড়া দেওয়া হয়নি। তাই ঢাকা থেকে পিকআপে করে মাইক আনা হয়েছে। তা বিকেলের মধ্যে লাগানো হবে। মঞ্চের পেছনে মাইকগুলো সারিবদ্ধ করে রাখা।

পেছনেই একটি ছোট পুকুরের পরে জেলার ডিসি, পুলিশ সুপারদের বাসভবন। সামনের রাস্তায় অসংখ্য নেতা-কর্মী বসে আছেন। ঝালমুড়ি, ডাব, চায়ের দোকানগুলো চলে গেছে তাঁদের কাছে। তাই ব্যবসাও জমজমাট।

জুমার নামাজের পরে সবাই মাঠেই দুপুরের খাবার খেয়ে নেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী ও মিডিয়া কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমতউল্লাহ বললেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে এত মানুষের খাবার সরবরাহ করা সম্ভব হবে না। তাই নিজেরাই রান্না করে সবাই খাচ্ছেন। রাতে প্রচুর মানুষ ছিলেন। আজ রাতে পুরো মাঠই ভরে যাবে। প্রশাসন সবকিছু বন্ধ করে এক দিনের সমাবেশকে তিন দিনের করে দিয়েছে। এটা নেতা-কর্মীদের এবং দলকে উজ্জীবিত করতে আরও সহায়তা করেছে।

বিভাগীয় গণসমাবেশের প্রধান সমন্বয়কারী ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হোটেলে পয়সা দিয়ে সিট নেওয়ার পরেও বের করে দেওয়া হচ্ছে। একটি কমিউনিটি সেন্টার ভাড়া নিয়েছিলেন কর্মীরা। সেটাও তালা মেরে দেওয়া হয়েছে। আশা করছি আজ রাত ১১টার মধ্যেই সবাই চলে আসবেন। মাঠেই থাকবেন সবাই।’

মূল মঞ্চের সামনেই তাবু গেড়েছে নেতা-কর্মীরাসরকারি দল নানা সমিতির নামে প্রতিবন্ধকতা করেছে। সব বন্ধ করে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন জাহিদ। তাঁর মতে, মানুষের আবেগকে বন্ধ করা যায়নি। প্রত্যন্ত উপজেলা থেকে নেতা-কর্মীরা বাধা উপেক্ষা করে চলে এসেছেন। শান্তিপূর্ণভাবেই শনিবার মহাসমাবেশ হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পুরোনো রাউটার ফেলে না দিয়ে যে কাজে ব্যবহার করতে পারেন

পাকিস্তানের সামরিক ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতার সামনে অপ্রস্তুত হয়ে পড়ে ভারত: ব্রিটিশ বিশ্লেষক

কী লিখেছিলেন মাহফুজ আলম, ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ডিলিট করলেন কেন

প্রশাসনিক আদেশে জামায়াত নিষিদ্ধ ভুল, আ.লীগের কার্যক্রম বন্ধ সঠিক: বিএনপি

প্রথম ভাষণে গাজা প্রসঙ্গে যা বললেন পোপ লিও চতুর্দশ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত