Ajker Patrika

পটুয়াখালীর পায়রাকুঞ্জ খেয়াঘাটে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়

প্রতিনিধি, পটুয়াখালী
আপডেট : ১৪ জুলাই ২০২১, ১৬: ২১
পটুয়াখালীর পায়রাকুঞ্জ খেয়াঘাটে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়

সরকারনির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে চার থেকে পাঁচ গুণ ভাড়া বেশি নিচ্ছেন ইজারাদারেরা। ফলে পটুয়াখালী সদর ও মির্জাগঞ্জ উপজেলার সংযোগে থাকা পায়রাকুঞ্জ খেয়া ঘাটটি এখন জনভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে এ নিয়ে এক পক্ষ অপর পক্ষকে দায়ী করে অভিযোগ এড়িয়ে যাচ্ছে।

জানা যায়, লকডাউনের শুরু থেকে বাড়তি ভাড়া নেওয়া নিয়ে প্রতিবাদ কিংবা অভিযোগ করলেও কোনো প্রতিকার মেলেনি। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এই ঘাট ব্যবহারকারী সাধারণ মানুষ।

সরেজমিনে দেখা যায়, মির্জাগঞ্জ পাড়ে জেলা পরিষদ নির্ধারিত ভাড়ার যে তালিকা দেওয়া আছে তাতে উল্লেখ আছে মানুষ জনপ্রতি ১০ টাকা, চালকসহ বাইসাইকেল ১২ টাকা, চালকসহ মোটরসাইকেল ২৫ টাকা, রিকশা/ভ্যান/ঠেলাগাড়ি ১৩ টাকা। তবে এসব নির্দেশনা কাগজে–কলমের মধ্যেই সীমাবদ্ধ আছে। বর্তমানে খেয়ায় নদী পারাপার করতে জনপ্রতি ৫০ এবং মোটরসাইকেলপ্রতি ১০০ টাকা আদায় করা হচ্ছে। খেয়া পারাপার হওয়া যাত্রীরা বাড়তি এই ভাড়া আদায় নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন।

প্রতিদিন খেয়া পারাপার হওয়া একাধিক যাত্রী জানান, করোনার আগে পটুয়াখালী প্রান্তে যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া আদায় করা হলেও এখন ট্রলারে বসে বাড়তি এই ভাড়া আদায় করা হয়। বাড়তি ভাড়া দিতে না চাইলে অনেক সময় ইজারাদারের লোকজনের কাছে অপমান–অপদস্থ হতে হয় বলেও জানান তাঁরা।

অতিরিক্ত ভাড়া দিয়েই পারাপার হচ্ছে মানুষযাত্রী বেতাগী উপজেলার রহিম মিয়া বলেন, ‘করোনায় মানুষের আয় কমে গেলেও খেয়া ভাড়া কমে নাই। ভাড়া আরও পাঁচ গুণ বেড়ে গেছে। ১০ টাকার ভাড়া এখন ৫০ টাকা। স্ত্রীকে নিয়ে জরুরি কাজে পটুয়াখালী আসছিলাম। পায়রাকুঞ্জ খেয়াঘাটে একবার এপার থেকে ওপারে গেলেই জনপ্রতি দিতে হয় ৫০ টাকা।’

মোটরসাইকেল নিয়ে পারাপার হওয়া যাত্রী মো. খাইরুল ইসলাম বলেন, ‘কিনার থেকে যাত্রীবোঝাই ট্রলার নদীর মাঝে এলেই ইজারাদারের লোকজন যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা উত্তোলন শুরু করে। মোটরসাইকেলসহ আমার ভাড়া রাখা হয়েছে ১০০ টাকা। ভাড়া উত্তোলনের কোনো রসিদও দেওয়া হয় না।’ 

বাড়তি ভাড়া আদায়ের বিষয়টি স্বীকার করে ইজারাদারের সঙ্গে সম্পৃক্ত শাহিন মিয়া। তিনি জানান, করোনাভাইরাসের কারণে লোকজন কম থাকায় ভাড়া একটু বেশি নিচ্ছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পটুয়াখালী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান মোহন বলেন, ‘লকডাউনের কারণে অফিশিয়ালি জেলা পরিষদের আওতাধীন খেয়াঘাটে চলাচল বন্ধ রয়েছে। এখানে কেউ বেশি ভাড়া নিলে সেই দায় আমাদের নয়।’

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নিজের প্রস্রাব পান করে ‘আশিকি’ অভিনেত্রী অনু আগারওয়াল বললেন, ‘আহা অমৃত’

মে. জে. ফজলুরের সেভেন সিস্টার্স দখলের মন্তব্য সমর্থন করে না সরকার: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে স্টারলিংকের প্রস্তাবিত কার্যক্রমের বিস্তারিত চায় ভারত

নির্দেশনা মানেননি পাইলট, মদিনা-ঢাকা ফ্লাইটকে নামতে হলো সিলেটে

গায়ে কেরোসিন ঢেলে কলেজছাত্রীর আত্মহনন, পলাতক ইমাম গ্রেপ্তার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত