বরগুনা জেনারেল হাসপাতাল
মনোতোষ হাওলাদার, বরগুনা
বঙ্গোপসাগরের তীরঘেঁষা উপকূলীয় জেলা বরগুনার ছয়টি উপজেলায় ১২ লাখ মানুষের বসবাস। তাঁদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতের জন্য জেলার ১০০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালটি আধুনিকায়নের মাধ্যমে ২৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয় ২০১৩ সালে। কিন্তু এক যুগেও হাসপাতালটির শূন্য পদে প্রয়োজনীয় চিকিৎসক ও নার্স নিয়োগ দেওয়া হয়নি। চিকিৎসকের ৫৫ পদের বিপরীতে আছেন মাত্র ১৬ জন।
সদরসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা রোগীরা হাসপাতালটিতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক ও জনবল না থাকায় যথাযথ চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। আছে অবকাঠামোগত সংকট। এমনকি হাসপাতালটির বিভিন্ন সেবার ক্ষেত্রে অনিয়ম ও দুর্নীতিরও অভিযোগ রয়েছে। কাঙ্ক্ষিত চিকিৎসা না পেয়ে রোগী ও তাঁদের স্বজনেরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালে ২৫০ শয্যায় উন্নীত হওয়ার পর হাসপাতালটিতে চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য সেবার জন্য ২৩৩টি পদ মঞ্জুর করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। অথচ বর্তমানে কর্মরত ১২৩ জন। বাকি ১১০টি পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য। এর মধ্যে চিকিৎসকের ৫৫ পদের বিপরীতে আছেন মাত্র ১৬ জন। ১০টি জ্যেষ্ঠ কনসালট্যান্ট পদের মধ্যে ৯টিই খালি। অ্যানেসথেসিয়ার জ্যেষ্ঠ কনসালট্যান্টই শুধু আছেন। কার্ডিওলজি, অর্থো সার্জারি, প্রসূতি, মেডিসিন, পেডিয়াট্রিক, প্যাথলজি, সার্জারি, ইএনটি ও চক্ষু বিভাগের জ্যেষ্ঠ কনসালট্যান্টের পদ শূন্য। জুনিয়র কনসালট্যান্টের ১২টি পদের বিপরীতে খালি আছে সার্জারি, চক্ষু, কার্ডিওলজি, অর্থো সার্জারি, প্যাথলজি, রেডিওলজিসহ সাতটি পদ। আবাসিক সার্জন তিনজনের জায়গায় আছেন দুজন। চিকিৎসা কর্মকর্তা ও সমমানের ২৯ পদের বিপরীতে আছেন সাতজন।
নার্সিং সার্ভিসের ১০১ পদের মধ্যে কর্মরত ৭৯ জন। অন্য ৭৩টি পদের বিপরীতে কর্মরত ২৭ জন। গুরুত্বপূর্ণ পদের মধ্যে প্রধান সহকারী, প্রধান সহকারী কাম-হিসাবরক্ষক, স্টোরকিপার, অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর, ডোমের পদ পর্যন্ত খালি। এসব কারণে চিকিৎসায় বেগ পেতে হয় রোগীদের।
গত রোববার হাসপাতালের ভর্তি রোগী সদর উপজেলার হাজারবিঘা গ্রামের নাসিরের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, ‘ছয় দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি আছি। কিন্তু ডাক্তারের লগে দ্যাহা হইছে একবার। হাসপাতালের সেবার কথা বইল্লা লাভ নাই, এ কথা বলতে বলতে অ্যাহোন দুর্বল হইয়া গেছি। নাই ডাক্তার, নাই ওষুধ। গ্যালে একটা ট্যাবলেট ধরাইয়া দেয়, আর বেশি অসুস্থ দ্যাখলে বরিশাল, নাইলে ঢাকা রেফার করে দেয়। বরগুনা হাসপাতালে থাহা আর বাড়ি থাহার মধ্যে পার্থক্য নাই।’
আরেক রোগী সদর উপজেলার ৭ নম্বর ঢলুয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা রুবী আক্তার বলেন, ‘দিনে তিনবেলা খাবার পাই। সকালে রুটি, কলা, ডিম ও দুপুর-রাতে ভাত দেয়। দুপুর ও রাতের খাবারে যা দেওয়া হয়, সেই রান্না খুব খারাপ। খেয়ে উল্টো গ্যাস্ট্রিকসহ নানা সমস্যা হয়।’
জানা গেছে, ২৫০ শয্যার এই হাসপাতালে দিনে ভর্তি থাকে ৪০০-৫০০ রোগী। অথচ বরাদ্দ আসে সেই ১০০ শয্যার। বছরে ১০০ রোগীর জন্য সরকারি বরাদ্দ আসে প্রায় ১১ কোটি টাকা। এ টাকা থেকেই নানা খাতের খরচ দিতে হয়। সব মিলিয়ে খাবার বাবদ বছরে বরাদ্দ থাকে ৬৫ লাখ টাকা। ১০০ রোগীর জন্য দিনপ্রতি বরাদ্দ মেলে মাত্র ১৭৫ টাকা। অথচ ২৫০ শয্যার হিসাবে বছরে রোগীর খাবারে খরচ হয় ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা। বাড়তি ৯৫ লাখ টাকা হাসপাতালের অন্যান্য খাত থেকে খরচ করতে হয় বলে জানান কয়েকজন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা। যে কারণে ওষুধ, চিকিৎসাসামগ্রীসহ অন্য খাতে প্রয়োজনের তুলনায় টাকা মেলে না।
শুধু চিকিৎসক, নার্স কিংবা চিকিৎসাসামগ্রীর সংকটই নয়, বরগুনা জেলারেল হাসপাতালে রয়েছে ব্যাপক অনিয়ম ও স্টাফদের মধ্যে দলাদলির অভিযোগ।
গত ২৮ মার্চ এই হাসপাতালে শুরু হয়েছিল ঈদুল ফিতরের ছুটি। এর আগের দিন পুরাতন ভবনের ফটক দিয়ে একটি ট্রলিতে করে তিনটি কার্টন বাইরে নিয়ে ভ্যানগাড়িতে ওঠায় একটি চক্র। রোগীদের বাধায় কিছুক্ষণের মধ্যেই সেগুলো ফিরিয়ে নেওয়া হয় ওই ভবনের স্টোররুমে।
অভিযোগ ওঠে, তিনটি কার্টনে ভরে সরকারি সিরিঞ্জ বাইরে পাচার করছিলেন স্টোরকিপার মো. বদরুল আমিন। স্থানীয় লোকজন ও রোগীর স্বজনের তোপে মুখে তা করতে পারেননি। ঘটনা তদন্তে ৯ এপ্রিল হাসপাতালের জুনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. মো. মাহবুব হোসেনকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।
সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) জেলা শাখার সভাপতি ও বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের রোগীকল্যাণ সমিতির আজীবন সদস্য মনির হোসেন কামাল বলেন, ‘আগে থেকেই চিকিৎসক-জনবলসহ নানা সংকটে আছে বরগুনার স্বাস্থ্যসেবা। কয়েকবার আন্দোলন-সংগ্রাম করেও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়নি। এর ওপরে নানা কারণে গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো শূন্য হচ্ছে।’
বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক এ কে এম নাজমুল আহসান বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো শূন্য থাকায় দৈনন্দিন কাজ সম্পন্ন করতে সমস্যা হচ্ছে। আগে থেকেই নানা সংকট ছিল। এর মধ্যে নতুন কিছু বদলি হওয়ায় সংকট বেড়েছে। এখন তো হাসপাতাল পরিচালনা করাই কষ্ট হয়ে যাচ্ছে।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক (স্বাস্থ্য) শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার কাছে ওই হাসপাতালের নানা সমস্যা ও জনবল সংকটের তথ্য আছে। সেগুলো দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।’
বঙ্গোপসাগরের তীরঘেঁষা উপকূলীয় জেলা বরগুনার ছয়টি উপজেলায় ১২ লাখ মানুষের বসবাস। তাঁদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতের জন্য জেলার ১০০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালটি আধুনিকায়নের মাধ্যমে ২৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয় ২০১৩ সালে। কিন্তু এক যুগেও হাসপাতালটির শূন্য পদে প্রয়োজনীয় চিকিৎসক ও নার্স নিয়োগ দেওয়া হয়নি। চিকিৎসকের ৫৫ পদের বিপরীতে আছেন মাত্র ১৬ জন।
সদরসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা রোগীরা হাসপাতালটিতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক ও জনবল না থাকায় যথাযথ চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। আছে অবকাঠামোগত সংকট। এমনকি হাসপাতালটির বিভিন্ন সেবার ক্ষেত্রে অনিয়ম ও দুর্নীতিরও অভিযোগ রয়েছে। কাঙ্ক্ষিত চিকিৎসা না পেয়ে রোগী ও তাঁদের স্বজনেরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালে ২৫০ শয্যায় উন্নীত হওয়ার পর হাসপাতালটিতে চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য সেবার জন্য ২৩৩টি পদ মঞ্জুর করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। অথচ বর্তমানে কর্মরত ১২৩ জন। বাকি ১১০টি পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য। এর মধ্যে চিকিৎসকের ৫৫ পদের বিপরীতে আছেন মাত্র ১৬ জন। ১০টি জ্যেষ্ঠ কনসালট্যান্ট পদের মধ্যে ৯টিই খালি। অ্যানেসথেসিয়ার জ্যেষ্ঠ কনসালট্যান্টই শুধু আছেন। কার্ডিওলজি, অর্থো সার্জারি, প্রসূতি, মেডিসিন, পেডিয়াট্রিক, প্যাথলজি, সার্জারি, ইএনটি ও চক্ষু বিভাগের জ্যেষ্ঠ কনসালট্যান্টের পদ শূন্য। জুনিয়র কনসালট্যান্টের ১২টি পদের বিপরীতে খালি আছে সার্জারি, চক্ষু, কার্ডিওলজি, অর্থো সার্জারি, প্যাথলজি, রেডিওলজিসহ সাতটি পদ। আবাসিক সার্জন তিনজনের জায়গায় আছেন দুজন। চিকিৎসা কর্মকর্তা ও সমমানের ২৯ পদের বিপরীতে আছেন সাতজন।
নার্সিং সার্ভিসের ১০১ পদের মধ্যে কর্মরত ৭৯ জন। অন্য ৭৩টি পদের বিপরীতে কর্মরত ২৭ জন। গুরুত্বপূর্ণ পদের মধ্যে প্রধান সহকারী, প্রধান সহকারী কাম-হিসাবরক্ষক, স্টোরকিপার, অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর, ডোমের পদ পর্যন্ত খালি। এসব কারণে চিকিৎসায় বেগ পেতে হয় রোগীদের।
গত রোববার হাসপাতালের ভর্তি রোগী সদর উপজেলার হাজারবিঘা গ্রামের নাসিরের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, ‘ছয় দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি আছি। কিন্তু ডাক্তারের লগে দ্যাহা হইছে একবার। হাসপাতালের সেবার কথা বইল্লা লাভ নাই, এ কথা বলতে বলতে অ্যাহোন দুর্বল হইয়া গেছি। নাই ডাক্তার, নাই ওষুধ। গ্যালে একটা ট্যাবলেট ধরাইয়া দেয়, আর বেশি অসুস্থ দ্যাখলে বরিশাল, নাইলে ঢাকা রেফার করে দেয়। বরগুনা হাসপাতালে থাহা আর বাড়ি থাহার মধ্যে পার্থক্য নাই।’
আরেক রোগী সদর উপজেলার ৭ নম্বর ঢলুয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা রুবী আক্তার বলেন, ‘দিনে তিনবেলা খাবার পাই। সকালে রুটি, কলা, ডিম ও দুপুর-রাতে ভাত দেয়। দুপুর ও রাতের খাবারে যা দেওয়া হয়, সেই রান্না খুব খারাপ। খেয়ে উল্টো গ্যাস্ট্রিকসহ নানা সমস্যা হয়।’
জানা গেছে, ২৫০ শয্যার এই হাসপাতালে দিনে ভর্তি থাকে ৪০০-৫০০ রোগী। অথচ বরাদ্দ আসে সেই ১০০ শয্যার। বছরে ১০০ রোগীর জন্য সরকারি বরাদ্দ আসে প্রায় ১১ কোটি টাকা। এ টাকা থেকেই নানা খাতের খরচ দিতে হয়। সব মিলিয়ে খাবার বাবদ বছরে বরাদ্দ থাকে ৬৫ লাখ টাকা। ১০০ রোগীর জন্য দিনপ্রতি বরাদ্দ মেলে মাত্র ১৭৫ টাকা। অথচ ২৫০ শয্যার হিসাবে বছরে রোগীর খাবারে খরচ হয় ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা। বাড়তি ৯৫ লাখ টাকা হাসপাতালের অন্যান্য খাত থেকে খরচ করতে হয় বলে জানান কয়েকজন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা। যে কারণে ওষুধ, চিকিৎসাসামগ্রীসহ অন্য খাতে প্রয়োজনের তুলনায় টাকা মেলে না।
শুধু চিকিৎসক, নার্স কিংবা চিকিৎসাসামগ্রীর সংকটই নয়, বরগুনা জেলারেল হাসপাতালে রয়েছে ব্যাপক অনিয়ম ও স্টাফদের মধ্যে দলাদলির অভিযোগ।
গত ২৮ মার্চ এই হাসপাতালে শুরু হয়েছিল ঈদুল ফিতরের ছুটি। এর আগের দিন পুরাতন ভবনের ফটক দিয়ে একটি ট্রলিতে করে তিনটি কার্টন বাইরে নিয়ে ভ্যানগাড়িতে ওঠায় একটি চক্র। রোগীদের বাধায় কিছুক্ষণের মধ্যেই সেগুলো ফিরিয়ে নেওয়া হয় ওই ভবনের স্টোররুমে।
অভিযোগ ওঠে, তিনটি কার্টনে ভরে সরকারি সিরিঞ্জ বাইরে পাচার করছিলেন স্টোরকিপার মো. বদরুল আমিন। স্থানীয় লোকজন ও রোগীর স্বজনের তোপে মুখে তা করতে পারেননি। ঘটনা তদন্তে ৯ এপ্রিল হাসপাতালের জুনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. মো. মাহবুব হোসেনকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।
সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) জেলা শাখার সভাপতি ও বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের রোগীকল্যাণ সমিতির আজীবন সদস্য মনির হোসেন কামাল বলেন, ‘আগে থেকেই চিকিৎসক-জনবলসহ নানা সংকটে আছে বরগুনার স্বাস্থ্যসেবা। কয়েকবার আন্দোলন-সংগ্রাম করেও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়নি। এর ওপরে নানা কারণে গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো শূন্য হচ্ছে।’
বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক এ কে এম নাজমুল আহসান বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো শূন্য থাকায় দৈনন্দিন কাজ সম্পন্ন করতে সমস্যা হচ্ছে। আগে থেকেই নানা সংকট ছিল। এর মধ্যে নতুন কিছু বদলি হওয়ায় সংকট বেড়েছে। এখন তো হাসপাতাল পরিচালনা করাই কষ্ট হয়ে যাচ্ছে।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক (স্বাস্থ্য) শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার কাছে ওই হাসপাতালের নানা সমস্যা ও জনবল সংকটের তথ্য আছে। সেগুলো দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।’
চট্টগ্রাম ওয়াসার পানি উৎপাদন ও চাহিদার মধ্যে প্রতিদিন ৫ কোটি লিটারের ফারাক। অনেক জায়গায় সুপেয় পানির জন্য হাহাকার করছে নগরবাসী। কিন্তু মানুষের ভোগান্তিকে দূরে ঠেলে নতুন মোবাইল কেনা এবং ভ্রমণ বিলাসে মেতেছেন ওয়াসার কর্মকর্তারা। সংস্থার ৯১ কর্মকর্তার জন্য মোবাইল ফোন কেনা এবং ২২
৪ ঘণ্টা আগেব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পৌরসভায় ৮ কোটি ২৬ লাখ টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িত একটি পানি সরবরাহ প্রকল্পে চরম অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। প্রকল্পটি তিন বছর আগে উদ্বোধন করা হলেও আজ পর্যন্ত পৌরবাসীর ঘরে পৌঁছায়নি একফোঁটা পানি। প্রকল্পের কাজ কাগজ-কলমে সম্পন্ন দেখানো হলেও বাস্তবে এর অগ্রগতি ‘শূন্য’। ঠিকাদারি প্রত
৫ ঘণ্টা আগেসুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওর, শহীদ সিরাজ লেক, শিমুলবাগানসহ পর্যটন এলাকায় গতি আনতে ২০১৮ সালে তাহিরপুরের ডাম্পের বাজার এলাকায় পাটলাই নদের ওপর সেতু নির্মাণ শুরু হয়। তিন বছরের মধ্যে সেতুর কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। উল্টো গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর সেতু চালু নিয়েই দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।
৫ ঘণ্টা আগেশাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) কম যোগ্য প্রার্থীকে অনিয়মের মাধ্যমে প্রভাষক পদে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টি তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং (পিএমই) বিভাগের ওই প্রভাষকের বেতনসহ আর্থিক সুবিধা বন্ধ করে তাঁকে কেন চাকরিচ্যুত করা হবে
৫ ঘণ্টা আগে