শিমুল চৌধুরী, ভোলা
সকালের আলো ফোটার আগেই ভোলার নবীপুর এলাকায় একটি টিনের ছাউনির নিচে, রাস্তার ধারে নিজের ছোট্ট জগৎ সাজিয়ে বসেন রমেশ চন্দ্র দাস। কাঠের এক চৌকি, পাশে রাখা নেহাই, পুরোনো রঙের বোতল আর চামড়া কাটার যন্ত্র—এই নিয়েই তাঁর কারখানা। কিন্তু পা-জোড়া কিংবা হাত-জোড়া নয়, রমেশের পুরো জীবনেরই যেন প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘ছেঁড়া জুতা’। যে জুতা তিনি সেলাই করেন, তা যেন আসলে আমাদের সমাজেরই চিত্র—ছেঁড়া, অবহেলিত আর অনাদরে ভরা।
আজকাল বাজারে মাত্র ৫০ টাকা খরচ করলেই এক জোড়া প্লাস্টিকের জুতা পাওয়া যায়। কেউ আর পুরোনো জুতা সেলাই করাতে চায় না। মুচির কাজ হারিয়েছে কদর। কিন্তু রমেশ থেমে যাননি। থেমে যাওয়ার উপায়ও নেই। ছয়জনের সংসার, বয়সের ভার আর অভাবের কশাঘাতে জর্জরিত তিনি, তবু প্রতিদিন হাজির হন ফুটপাতে।
রমেশ বলেন, ‘কোনো দিন আয় হয় ৫০ টাকা, কোনো দিন ১৮০। আবার কোনো দিন এক টাকাও আসে না। শীতকালে একটু বেশি আয় হয়—২০০ থেকে ৩০০ টাকা। তাতেও কি চলে ছয়জনের পেট?’
তিন মেয়ের বিয়েতে ঋণের পাহাড় উঠেছে। অসুখ হলেও চিকিৎসা করাতে পারেন না। সরকার থেকে শুধু তিন মাস অন্তর ১৬৫০ টাকা করে বয়স্ক ভাতা পান। এটাই তাঁর সামাজিক নিরাপত্তা।
তিনি বলেন, ‘আমার বয়স যখন ৯ বছর, তখন থেকেই ছেঁড়া জুতা সেলাই করছি। এখন বয়স ৭৬। জীবনটা গেল সুই-সুতা আর কালি-চামড়ার সঙ্গে যুদ্ধ করেই।
রমেশ যে জায়গায় বসে কাজ করেন, সেটা ‘জৈনপুরী পীর সাহেব’-এর দান করা একটি জমি। পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের যুগীরঘোল এলাকায় সেই ফুটপাতটুকুই এখন তাঁর জীবনের কেন্দ্র। ৭৬ বছর ধরে সেখানেই ছেঁড়া জুতায় সুতা বুনেছেন, অথচ ভাগ্যের কোনো ছেঁড়া দাগই রং-কালিতে ঢাকতে পারেননি।
ভোলা সদর উপজেলার সমাজসেবা কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘রমেশ চন্দ্র দাস বয়স্ক ভাতা পান বটে, তবে তাঁর মতো অসংখ্য বঞ্চিত পেশাজীবীর জন্য সরকারের আরও সহায়তা প্রয়োজন।’
রমেশ চন্দ্র দাস আমাদের চোখে হয়তো এক সাধারণ ‘মুচি’। কিন্তু তাঁর জীবন আসলে আমাদের রাষ্ট্র আর সমাজের একটা অনুরণন, যেখানে কাজের কোনো মান নেই, নেই পেশার সম্মান, নেই নিরাপত্তার ছায়া। একজীবনের পুঞ্জীভূত কষ্ট, নীরব আত্মত্যাগ আর নিঃসঙ্গ বেঁচে থাকার সংগ্রাম যেন জুতার প্রতিটি সেলাইরেখায় ফুটে ওঠে।
কখনো কি আমরা ভাবি—রমেশরা হারিয়ে গেলে আমাদের সমাজের ছেঁড়া জুতাগুলো আর কে সেলাই করবে?
সকালের আলো ফোটার আগেই ভোলার নবীপুর এলাকায় একটি টিনের ছাউনির নিচে, রাস্তার ধারে নিজের ছোট্ট জগৎ সাজিয়ে বসেন রমেশ চন্দ্র দাস। কাঠের এক চৌকি, পাশে রাখা নেহাই, পুরোনো রঙের বোতল আর চামড়া কাটার যন্ত্র—এই নিয়েই তাঁর কারখানা। কিন্তু পা-জোড়া কিংবা হাত-জোড়া নয়, রমেশের পুরো জীবনেরই যেন প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘ছেঁড়া জুতা’। যে জুতা তিনি সেলাই করেন, তা যেন আসলে আমাদের সমাজেরই চিত্র—ছেঁড়া, অবহেলিত আর অনাদরে ভরা।
আজকাল বাজারে মাত্র ৫০ টাকা খরচ করলেই এক জোড়া প্লাস্টিকের জুতা পাওয়া যায়। কেউ আর পুরোনো জুতা সেলাই করাতে চায় না। মুচির কাজ হারিয়েছে কদর। কিন্তু রমেশ থেমে যাননি। থেমে যাওয়ার উপায়ও নেই। ছয়জনের সংসার, বয়সের ভার আর অভাবের কশাঘাতে জর্জরিত তিনি, তবু প্রতিদিন হাজির হন ফুটপাতে।
রমেশ বলেন, ‘কোনো দিন আয় হয় ৫০ টাকা, কোনো দিন ১৮০। আবার কোনো দিন এক টাকাও আসে না। শীতকালে একটু বেশি আয় হয়—২০০ থেকে ৩০০ টাকা। তাতেও কি চলে ছয়জনের পেট?’
তিন মেয়ের বিয়েতে ঋণের পাহাড় উঠেছে। অসুখ হলেও চিকিৎসা করাতে পারেন না। সরকার থেকে শুধু তিন মাস অন্তর ১৬৫০ টাকা করে বয়স্ক ভাতা পান। এটাই তাঁর সামাজিক নিরাপত্তা।
তিনি বলেন, ‘আমার বয়স যখন ৯ বছর, তখন থেকেই ছেঁড়া জুতা সেলাই করছি। এখন বয়স ৭৬। জীবনটা গেল সুই-সুতা আর কালি-চামড়ার সঙ্গে যুদ্ধ করেই।
রমেশ যে জায়গায় বসে কাজ করেন, সেটা ‘জৈনপুরী পীর সাহেব’-এর দান করা একটি জমি। পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের যুগীরঘোল এলাকায় সেই ফুটপাতটুকুই এখন তাঁর জীবনের কেন্দ্র। ৭৬ বছর ধরে সেখানেই ছেঁড়া জুতায় সুতা বুনেছেন, অথচ ভাগ্যের কোনো ছেঁড়া দাগই রং-কালিতে ঢাকতে পারেননি।
ভোলা সদর উপজেলার সমাজসেবা কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘রমেশ চন্দ্র দাস বয়স্ক ভাতা পান বটে, তবে তাঁর মতো অসংখ্য বঞ্চিত পেশাজীবীর জন্য সরকারের আরও সহায়তা প্রয়োজন।’
রমেশ চন্দ্র দাস আমাদের চোখে হয়তো এক সাধারণ ‘মুচি’। কিন্তু তাঁর জীবন আসলে আমাদের রাষ্ট্র আর সমাজের একটা অনুরণন, যেখানে কাজের কোনো মান নেই, নেই পেশার সম্মান, নেই নিরাপত্তার ছায়া। একজীবনের পুঞ্জীভূত কষ্ট, নীরব আত্মত্যাগ আর নিঃসঙ্গ বেঁচে থাকার সংগ্রাম যেন জুতার প্রতিটি সেলাইরেখায় ফুটে ওঠে।
কখনো কি আমরা ভাবি—রমেশরা হারিয়ে গেলে আমাদের সমাজের ছেঁড়া জুতাগুলো আর কে সেলাই করবে?
গাজীপুরের শ্রীপুরে স্ত্রীকে পুড়িয়ে মেরেছে এক স্বামী। স্ত্রীকে ঘরের ভেতর রেখে বাইরে তালাবদ্ধ করে পেট্রল ঢেলে আগুন দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায় ঘাতক স্বামী। স্থানীয়রা বসতবাড়িতে আগুন দেখতে পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে। ততক্ষণে পুড়ে অঙ্গার গার্মেন্টস কর্মী গৃহবধূর শরীর। গতকাল শনিবার দিবাগ
২২ মিনিট আগেপিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলায় মোসা. আইমিন (২৮) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার বিকেলে উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ বিন্না গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত আইমিন একই গ্রামের ফাইজুল হক ও আখতারুননাহারের মেয়ে। তিনি মো. রাজু মাঝির স্ত্রী।
১ ঘণ্টা আগেপ্রতিষ্ঠার পরের বছর থেকে (২০২২ সাল) একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করে কিশোরগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়। তবে তা নিজস্ব ক্যাম্পাসে নয়, কিশোরগঞ্জ গুরুদয়াল সরকারি কলেজের ১০ তলা ভবনের তৃতীয় ও চতুর্থ তলায়। কথা ছিল নির্দিষ্ট সময় পর নিজস্ব ক্যাম্পাসে চলে যাবে, কিন্তু তা হয়নি।
৭ ঘণ্টা আগেসিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার চরাঞ্চল তেকানীতে সাড়ে তিন কিলোমিটার মাটির বাঁধ নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০২৪ সালের মার্চে। স্থানীয়দের দাবির পর আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য তানভীর শাকিল জয়ের মৌখিক নির্দেশে এ কাজ শুরু হয়।
৭ ঘণ্টা আগে