Ajker Patrika

এক মাস পর শেবাচিমে সাধারণ রোগীদের ভর্তি কার্যক্রম শুরু

প্রতিনিধি, বরিশাল
এক মাস পর শেবাচিমে সাধারণ রোগীদের ভর্তি কার্যক্রম শুরু

বরিশাল জেনারেল হাসপাতালে সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা সেবা কার্যক্রমে অবশেষে ফিরেছে। এরই মধ্যে হাসপাতালটিতে সাধারণ রোগী ভর্তি হতে শুরু করেছে। পুরো হাসপাতালকে করোনা ডেডিকেটেড করায় প্রায় ১ মাস এখানে সাধারণ রোগী ভর্তি বন্ধ ছিল। এতে নগরীর উত্তরাংশসহ আশপাশের দরিদ্র ও সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হয়। 

জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী ২২ শয্যার করোনা ওয়ার্ড রেখে আন্তবিভাগীয় চিকিৎসা সেবা দেওয়া শুরু হয়েছে। চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। 
 
আজ বৃহস্পতিবার সরেজমিনে নগরীর জেনারেল হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, হাসপাতালটির স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে এসেছে। বহির্বিভাগে যেমন রোগীর ভিড় রয়েছে তেমনি আন্তবিভাগীয় রোগী ভর্তি করানো শুরু হয়েছে। যদিও গত এক মাস ধরে জেনারেল হাসপাতাল নিষ্প্রাণ ছিল। হাতে গোনা কয়েকজন করোনা রোগীর সেবা দেওয়া হতো। 

জানা যায়, গত মাসে বরিশালে করোনা সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বমুখী হলে শেবাচিম হাসপাতালের ৩০০ শয্যার করোনা ওয়ার্ডে রোগী সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয়। বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে গত ১১ জুলাই থেকে জেনারেল হাসপাতালে চালু করা হয় ২২ শয্যার করোনা ওয়ার্ড। পরিস্থিতির আরও অবনতি হলে স্বাস্থ্য বিভাগের অনুমোদন সাপেক্ষে ৫ আগস্ট থেকে জেনারেল হাসপাতালকে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়। ফলে বন্ধ করে দেওয়া হয় সেখানকার অন্তবিভাগে সাধারণ রোগী ভর্তি। 

বরিশাল সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সদস্যসচিব কাজী এনায়েত হোসেন শিবলু বলেন, নগরী এবং আশপাশে লাখ লাখ মানুষের চিকিৎসা সেবার ভরসাস্থল জেলা সদর হাসপাতাল। দরিদ্র শ্রেণির মানুষ এ হাসপাতালে সেবা নেয় বেশি। 

স্থানীয় বাসিন্দা এবং হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসাইন বলেন, জেনারেল হাসপাতাল খুলে দেওয়ায় এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সেবা বাড়বে। কারণ শেবাচিম হাসপাতালের পর এটির ওপরেই মানুষ বেশি নির্ভর করেন। 
 
আনোয়ার হোসাইন আরও বলেন, হাসপাতালের চিকিৎসক, কর্মকর্তা, নার্সসহ সকল স্টাফের বিপরীতে সরকারের ব্যয় হয় প্রায় ৩ কোটি টাকা। কয়েকজন রোগীর জন্য এত বড় হাসপাতাল অচল থাকতে পারে না। 

বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস বলেন, করোনা রোগী কমে এসেছে। যে কারণে অন্য যেকোনো রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে নির্দেশনা এসেছে। বর্তমানে সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে জেনারেল হাসপাতালের অন্তবিভাগে ভর্তি শুরু করা হয়েছে। 
 
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিসংখ্যানবিদ গোলাম কবির বলেন, প্রায় দুই মাস পর গত সোম ও মঙ্গলবার বরিশাল বিভাগে করোনায় একজন রোগীও মারা যাননি। গত ২০ আগস্ট থেকে ১০ দিন ধরে এ বিভাগে করোনা শনাক্তের হার ২০ শতাংশের নিচে। বর্তমানে অবস্থার আরও উন্নতি হচ্ছে। 
 
এ বিষয়ে বরিশাল জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মলয় কৃষ্ণ বড়াল বলেন, জেনারেল হাসপাতালে স্বাভাবিক চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করায় আজ পর্যন্ত ৯ জন রোগী অন্তবিভাগে ভর্তি হয়েছেন। করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন মাত্র ১ জন রোগী। বহি: বিভাগে আগের তুলনায় সেবা নিতে আসা রোগীর সংখ্যাও বেড়েছে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: বিমানবাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে বললেন প্রধান উপদেষ্টা

সারজিসের সামনেই বগুড়ায় এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধীদের মধ্যে হাতাহাতি-সংঘর্ষ

পিটুনিতে নিহত সেই শামীম মোল্লাকে বহিষ্কার করল জাবি প্রশাসন, সমালোচনার ঝড়

জনবল-সরঞ্জাম বেশি হলেও সমরশক্তিতে ভারত কি পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে

মধুপুরে বিদ্যালয়ে ঢুকে শিক্ষককে জুতাপেটা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত