বরগুনা প্রতিনিধি
ভারতের তামিলনাড়ু থেকে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে আসা সেই প্রেমাকান্ত অবশেষে বরগুনা ছেড়েছেন। আজ শনিবার বেলা দুইটায় বরগুনার খাজুরতলা বাস টার্মিনাল থেকে একটি বাসে বরিশালের উদ্দেশ্যে রওনা হন তিনি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরগুনা সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহম্মদ।
বরগুনা বাস টার্মিনালে ভারতের দক্ষিণের রাজ্য তামিলনাড়ুর যুবক প্রেমাকান্তকে দেখতে স্থানীয় উৎসুক জনতা ভিড় জমালে প্রেমাকান্ত তাদের উদ্দেশ্যে বাংলায় বলেন, ‘ভালো থেকো বরগুনা, ভালো থেকো বাংলাদেশ।’
এদিকে প্রেমাকান্তের বিরুদ্ধে বরগুনার তালতলী থানায় কলেজছাত্রীর বাবা লিখিত অভিযোগ করেছেন। তালতলী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু অভিযোগ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তালতলী থানার ওসি জানান, শুক্রবার রাত আটটার দিকে তরুণীর বাবা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে তিনি দাবি করেছেন, ভারত থেকে আসা যুবক তালতলীতে এসে তাঁর মেয়ের সঙ্গে মিথ্যে প্রেমের সম্পর্ক দাবি করে সামাজিক মর্যাদা ক্ষুণ্ন করেছে।
এরে আগে ‘প্রেমের টানে’ ভারতের তামিলনাড়ু থেকে বাংলাদেশে আসা প্রেমাকান্ত ‘প্রেমিকার’ জেলা বরগুনায় পৌঁছান গতকাল শুক্রবার। গত ২৪ জুলাই তিনি বাংলাদেশে এসে বরিশাল শহরে অবস্থান করেন। শুক্রবার সকালে তিনি বরগুনা জেলা সদরে পৌঁছান। সেখান থেকে বেলা ১টার দিকে জেলার তালতলী উপজেলার জেলা পরিষদের ডাক বাংলোতে অবস্থান করে কলেজছাত্রীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে তালতলী উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান রেজবী উল কবির জোমাদ্দার বলে, ‘ওই তরুণ স্থানীয় কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মীর মাধ্যমে আমার সঙ্গে কথা বলে কলেজছাত্রীর মা বাবার সঙ্গে দেখা করার প্রস্তাব দেয়। আমি বিষয়টি ওই কলেজছাত্রীর মা বাবাকে জানালে তারা ওই তরুণের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে থানা-পুলিশের শরণাপন্ন হয়। পরে বিকেল ৫টার দিকে প্রেমাকান্ত তালতলী থেকে চলে যায়।
তালতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু জানান, তামিলনাড়ুর ওই তরুণ দুপুরের দিকে তালতলী আসেন। খবর পেয় আমি সেখানে পুলিশ পাঠিয়ে তাঁকে নিরাপত্তার জন্য নজরদারিতে রাখি। পরে রাত আটটার দিকে প্রেমাকান্তের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন কলেজছাত্রীর বাবা। তালতলীতে এসে তাদের বিরুদ্ধে নানা মিথ্যে অপবাদ ছড়িয়ে সামাজিক মান ক্ষুণ্ন করা হচ্ছে বলে ওই অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। ওসি বলেন, ‘আমরা খোঁজ নিয়েছি, বিকেলের দিকে ওই তরুণ তালতলী থেকে চলে গিয়েছে।’
এ বিষয়ে বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলী আহম্মেদ জানান, শুক্রবার সন্ধ্যার পর বরগুনা সদরে আসেন ভারতীয় ওই যুবক। পরে তাঁকে পুলিশ হেফাজতে শহরের আলম বোর্ডিং নামের একটি হোটেলে রাখা হয়। সেখানে রাত যাপনের পর দুপুর দুইটার বাসে তিনি বরিশালের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে যান।
ভারতীয় যুবক প্রেমাকান্ত জানান, তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। মূলত ওই কিশোরী তাঁর প্রেমিকা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পরিচয়ের সূত্র ধরে তিন বছর ধরে কিশোরীর সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক। তিনি ওই কিশোরীর আমন্ত্রণে কিশোরী ও পরিবারের সঙ্গে দেখা করতেই বাংলাদেশে এসেছিলেন।
প্রেমাকান্ত দাবি করে বলেন, ‘২৪ জুলাই বাংলাদেশে আসি কেবল প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করার জন্য। এরপর তিনবার আমাদের দেখা হয়। কিন্তু তারপর থেকেই সে আমাকে এড়িয়ে যেতে শুরু করে। কিন্তু কি কারণে তা আমি জানি না। বিষয়টি বিস্ময়কর! তিন বছরের সম্পর্ক কোনো ছেলেখেলা না। কেবল তাঁর কথা ভেবেই আমি এ দেশে এসেছি। আমার একমাত্র লক্ষ্যই হলো তাঁর সঙ্গে দেখা করা। আমি তাকে বিয়ের জন্য জোর করছি না। আমাকে নির্মমভাবে মারা হয়েছে। আমি তারপর চেষ্টা করেছি আমার প্রেমিকার বাবা মায়ের সঙ্গে দেখা করতে। কিন্তু এতেও ব্যর্থ হয়েছি। বরগুনায় আসার পর এখানের মানুষ আমাকে সহযোগিতা করেছে। আমার বিষয়টি নিয়ে তারাও খুব কষ্ট পেয়েছে এবং মানসিক সাপোর্ট দিয়েছে।’
প্রেমাকান্ত দাবি করেন, ২০১৯ সালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বরগুনার কলেজপড়ুয়া তরুণীর সঙ্গে তাঁর পরিচয়। প্রথমে প্রেমাকান্তের ভিডিওতে নিয়মিত লাইক ও কমেন্ট করতেন। এরপর দুজনের মধ্যে অনলাইনে যোগাযোগ হয়। সেখান থেকে প্রেম হয়। তরুণীর পরিবারের সঙ্গেও সুসম্পর্ক তৈরি হয়েছে। প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে অনেক আগেই তিনি বাংলাদেশে আসতে চেয়েছিলেন। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে আর আসা হয়নি। গত ২৪ জুলাই তিনি বরিশালে আসেন। এরপর তিনি শহরের একটি হোটেলে ওঠেন। পরদিন দুপুর ১২টায় বরিশালের একটি কলেজের সামনে দুজন দেখা করেন। দুপুরে শহরের একটি রেস্তোরাঁয় একসঙ্গে খাবার খান। ওই দিন বিকেলে বঙ্গবন্ধু উদ্যানে পুনরায় তারা দেখা করেন, কথা বলেন। এ সময় তরুণীর সঙ্গে তাঁর কয়েকজন বান্ধবীও ছিল।
তিনি আরও দাবি করেন, ২৭ জুলাই তারা দুজন পুনরায় শহরে ঘুরতে বের হন। কাশিপুর এলাকায় গেলে এক যুবক দাবি করেন ওই যুবকের সঙ্গে ওই তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক আছে। এরপর ওই যুবক প্রেমাকান্তকে মারধর করেন। এ সময় তাঁর কাছ থেকে টাকাও ছিনিয়ে নেন। মারধরের শিকার হয়ে তাঁকে তিন রাত থানায় থাকতে হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তাঁর বিশ্বাস ছিল প্রেমিকার বাবা মায়ের সঙ্গে দেখা করতে পারলে হয়তো তাঁরা বুঝতে পারবেন এবং মেনে নেবেন। কিন্তু সে সুযোগও তাঁকে দেওয়া হয়নি।
তামিলনাড়ুর যুবক প্রেমাকান্তের ‘প্রেমিকা’ দাবি করা সেই তরুণীর সঙ্গে কথা হয় আজকের পত্রিকার। তরুণীর দাবি করে বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রেমাকান্তর সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব হয়। একপর্যায়ে প্রেমাকান্ত আমাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু আমি প্রত্যাখ্যান করি। সবশেষ সে বাংলাদেশে এসে আমার পরিবারের কাছে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়ার কথা জানায়। আমি বিষয়টি গুরুত্ব দিইনি। সবশেষ এ মাসের শুরুতে সে আমাকে জানায়, আমার সঙ্গে দেখা করতে বাংলাদেশ আসবে। আমি তাঁকে আসতে নিষেধ করি। কিন্তু কোনোভাবেই তা মানতে নারাজ। ২৪ জুলাই সে বরিশালে এসে আমি যে কলেজে পড়ি ওই কলেজের সামনে ঘোরাঘুরি করে খুঁজতে থাকে।’
লোক দিয়ে মারধর করানো ও তাঁর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি মিথ্যে দাবি করে তরুণী বলেন, ‘এসব কথা ডাহা মিথ্যে। আমার সাথে তাঁর এখনো দেখাই হয়নি।’
ওই তরুণী আরও দাবি করেন, ‘সে (প্রেমাকান্ত) যখন খুব ঝামেলা শুরু করে, আমি অনিরাপদ বোধ করতে শুরু করি এবং এয়ারপোর্ট থানা-পুলিশ তাঁকে ডেকে নেন। সেখানে সে ও আমার বাবা-মাও ছিলেন। পুলিশ প্রেমাকান্তকে জিজ্ঞাসা করেছে, তার কোনো অভিযোগ আছে কিনা। সে বলেছে—না, কোনো অভিযোগ নেই। এরপর পুলিশ তাঁকে ঢাকায় পাঠিয়ে দেয়।
তরুণী বলেন, ‘পুলিশ আমাকে জানায়—প্রেমাকান্তকে ভারতে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে এ নিয়ে আর কোনো সমস্যা হবে না। কিন্তু সে ঢাকায় না গিয়ে বরিশালে ঘোরাফেরা করে মিথ্যা কথা রটাচ্ছে।’
থানায় অভিযোগ প্রসঙ্গে তরুণীর বাবা বলেন, ‘আমরা জানতাম সে ঢাকা থেকে শনিবার ভারতে চলে যাবে। কিন্তু হঠাৎ গতকাল শুক্রবার জানতে পারি ভারতীয় ওই যুবক তালতলীতে এসেছে। সে তালতলী এসে আমার মেয়েকে আবারও প্রেমিকা দাবি করে এবং নানা ধরনের কথাবার্তা ছড়াচ্ছে। আমি স্থানীয় থানা-পুলিশের শরণাপন্ন হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
তরুণীর বাবার দাবি করেন, ‘আমার মেয়ের সাথে ভারতীয় ওই যুবকের কোনো সম্পর্ক নেই। বরং সে এখানে এসেও আমাদের সামাজিক মর্যাদা ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করেছে। আমি এ বিষয়ে তালতলী থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।’
এ বিষয়ে বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মেহেদী হাসান বলেন, ‘তিনি যেহেতু অন্য দেশের নাগরিক, আমরা তাঁকে নিরাপত্তা দেওয়ার চেষ্টা করেছি এবং তাঁকে বুঝিয়ে ভারতে ফিরে যেতে অনুরোধ করেছি। তিনি আমাদের কথা শুনেছেন এবং ভারতে ফিরে যাওয়ার জন্য শনিবার দুপুরে বরগুনা থেকে চলে গিয়েছেন।’
ভারতের তামিলনাড়ু থেকে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে আসা সেই প্রেমাকান্ত অবশেষে বরগুনা ছেড়েছেন। আজ শনিবার বেলা দুইটায় বরগুনার খাজুরতলা বাস টার্মিনাল থেকে একটি বাসে বরিশালের উদ্দেশ্যে রওনা হন তিনি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরগুনা সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহম্মদ।
বরগুনা বাস টার্মিনালে ভারতের দক্ষিণের রাজ্য তামিলনাড়ুর যুবক প্রেমাকান্তকে দেখতে স্থানীয় উৎসুক জনতা ভিড় জমালে প্রেমাকান্ত তাদের উদ্দেশ্যে বাংলায় বলেন, ‘ভালো থেকো বরগুনা, ভালো থেকো বাংলাদেশ।’
এদিকে প্রেমাকান্তের বিরুদ্ধে বরগুনার তালতলী থানায় কলেজছাত্রীর বাবা লিখিত অভিযোগ করেছেন। তালতলী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু অভিযোগ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তালতলী থানার ওসি জানান, শুক্রবার রাত আটটার দিকে তরুণীর বাবা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে তিনি দাবি করেছেন, ভারত থেকে আসা যুবক তালতলীতে এসে তাঁর মেয়ের সঙ্গে মিথ্যে প্রেমের সম্পর্ক দাবি করে সামাজিক মর্যাদা ক্ষুণ্ন করেছে।
এরে আগে ‘প্রেমের টানে’ ভারতের তামিলনাড়ু থেকে বাংলাদেশে আসা প্রেমাকান্ত ‘প্রেমিকার’ জেলা বরগুনায় পৌঁছান গতকাল শুক্রবার। গত ২৪ জুলাই তিনি বাংলাদেশে এসে বরিশাল শহরে অবস্থান করেন। শুক্রবার সকালে তিনি বরগুনা জেলা সদরে পৌঁছান। সেখান থেকে বেলা ১টার দিকে জেলার তালতলী উপজেলার জেলা পরিষদের ডাক বাংলোতে অবস্থান করে কলেজছাত্রীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে তালতলী উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান রেজবী উল কবির জোমাদ্দার বলে, ‘ওই তরুণ স্থানীয় কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মীর মাধ্যমে আমার সঙ্গে কথা বলে কলেজছাত্রীর মা বাবার সঙ্গে দেখা করার প্রস্তাব দেয়। আমি বিষয়টি ওই কলেজছাত্রীর মা বাবাকে জানালে তারা ওই তরুণের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে থানা-পুলিশের শরণাপন্ন হয়। পরে বিকেল ৫টার দিকে প্রেমাকান্ত তালতলী থেকে চলে যায়।
তালতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু জানান, তামিলনাড়ুর ওই তরুণ দুপুরের দিকে তালতলী আসেন। খবর পেয় আমি সেখানে পুলিশ পাঠিয়ে তাঁকে নিরাপত্তার জন্য নজরদারিতে রাখি। পরে রাত আটটার দিকে প্রেমাকান্তের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন কলেজছাত্রীর বাবা। তালতলীতে এসে তাদের বিরুদ্ধে নানা মিথ্যে অপবাদ ছড়িয়ে সামাজিক মান ক্ষুণ্ন করা হচ্ছে বলে ওই অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। ওসি বলেন, ‘আমরা খোঁজ নিয়েছি, বিকেলের দিকে ওই তরুণ তালতলী থেকে চলে গিয়েছে।’
এ বিষয়ে বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলী আহম্মেদ জানান, শুক্রবার সন্ধ্যার পর বরগুনা সদরে আসেন ভারতীয় ওই যুবক। পরে তাঁকে পুলিশ হেফাজতে শহরের আলম বোর্ডিং নামের একটি হোটেলে রাখা হয়। সেখানে রাত যাপনের পর দুপুর দুইটার বাসে তিনি বরিশালের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে যান।
ভারতীয় যুবক প্রেমাকান্ত জানান, তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। মূলত ওই কিশোরী তাঁর প্রেমিকা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পরিচয়ের সূত্র ধরে তিন বছর ধরে কিশোরীর সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক। তিনি ওই কিশোরীর আমন্ত্রণে কিশোরী ও পরিবারের সঙ্গে দেখা করতেই বাংলাদেশে এসেছিলেন।
প্রেমাকান্ত দাবি করে বলেন, ‘২৪ জুলাই বাংলাদেশে আসি কেবল প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করার জন্য। এরপর তিনবার আমাদের দেখা হয়। কিন্তু তারপর থেকেই সে আমাকে এড়িয়ে যেতে শুরু করে। কিন্তু কি কারণে তা আমি জানি না। বিষয়টি বিস্ময়কর! তিন বছরের সম্পর্ক কোনো ছেলেখেলা না। কেবল তাঁর কথা ভেবেই আমি এ দেশে এসেছি। আমার একমাত্র লক্ষ্যই হলো তাঁর সঙ্গে দেখা করা। আমি তাকে বিয়ের জন্য জোর করছি না। আমাকে নির্মমভাবে মারা হয়েছে। আমি তারপর চেষ্টা করেছি আমার প্রেমিকার বাবা মায়ের সঙ্গে দেখা করতে। কিন্তু এতেও ব্যর্থ হয়েছি। বরগুনায় আসার পর এখানের মানুষ আমাকে সহযোগিতা করেছে। আমার বিষয়টি নিয়ে তারাও খুব কষ্ট পেয়েছে এবং মানসিক সাপোর্ট দিয়েছে।’
প্রেমাকান্ত দাবি করেন, ২০১৯ সালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বরগুনার কলেজপড়ুয়া তরুণীর সঙ্গে তাঁর পরিচয়। প্রথমে প্রেমাকান্তের ভিডিওতে নিয়মিত লাইক ও কমেন্ট করতেন। এরপর দুজনের মধ্যে অনলাইনে যোগাযোগ হয়। সেখান থেকে প্রেম হয়। তরুণীর পরিবারের সঙ্গেও সুসম্পর্ক তৈরি হয়েছে। প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে অনেক আগেই তিনি বাংলাদেশে আসতে চেয়েছিলেন। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে আর আসা হয়নি। গত ২৪ জুলাই তিনি বরিশালে আসেন। এরপর তিনি শহরের একটি হোটেলে ওঠেন। পরদিন দুপুর ১২টায় বরিশালের একটি কলেজের সামনে দুজন দেখা করেন। দুপুরে শহরের একটি রেস্তোরাঁয় একসঙ্গে খাবার খান। ওই দিন বিকেলে বঙ্গবন্ধু উদ্যানে পুনরায় তারা দেখা করেন, কথা বলেন। এ সময় তরুণীর সঙ্গে তাঁর কয়েকজন বান্ধবীও ছিল।
তিনি আরও দাবি করেন, ২৭ জুলাই তারা দুজন পুনরায় শহরে ঘুরতে বের হন। কাশিপুর এলাকায় গেলে এক যুবক দাবি করেন ওই যুবকের সঙ্গে ওই তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক আছে। এরপর ওই যুবক প্রেমাকান্তকে মারধর করেন। এ সময় তাঁর কাছ থেকে টাকাও ছিনিয়ে নেন। মারধরের শিকার হয়ে তাঁকে তিন রাত থানায় থাকতে হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তাঁর বিশ্বাস ছিল প্রেমিকার বাবা মায়ের সঙ্গে দেখা করতে পারলে হয়তো তাঁরা বুঝতে পারবেন এবং মেনে নেবেন। কিন্তু সে সুযোগও তাঁকে দেওয়া হয়নি।
তামিলনাড়ুর যুবক প্রেমাকান্তের ‘প্রেমিকা’ দাবি করা সেই তরুণীর সঙ্গে কথা হয় আজকের পত্রিকার। তরুণীর দাবি করে বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রেমাকান্তর সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব হয়। একপর্যায়ে প্রেমাকান্ত আমাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু আমি প্রত্যাখ্যান করি। সবশেষ সে বাংলাদেশে এসে আমার পরিবারের কাছে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়ার কথা জানায়। আমি বিষয়টি গুরুত্ব দিইনি। সবশেষ এ মাসের শুরুতে সে আমাকে জানায়, আমার সঙ্গে দেখা করতে বাংলাদেশ আসবে। আমি তাঁকে আসতে নিষেধ করি। কিন্তু কোনোভাবেই তা মানতে নারাজ। ২৪ জুলাই সে বরিশালে এসে আমি যে কলেজে পড়ি ওই কলেজের সামনে ঘোরাঘুরি করে খুঁজতে থাকে।’
লোক দিয়ে মারধর করানো ও তাঁর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি মিথ্যে দাবি করে তরুণী বলেন, ‘এসব কথা ডাহা মিথ্যে। আমার সাথে তাঁর এখনো দেখাই হয়নি।’
ওই তরুণী আরও দাবি করেন, ‘সে (প্রেমাকান্ত) যখন খুব ঝামেলা শুরু করে, আমি অনিরাপদ বোধ করতে শুরু করি এবং এয়ারপোর্ট থানা-পুলিশ তাঁকে ডেকে নেন। সেখানে সে ও আমার বাবা-মাও ছিলেন। পুলিশ প্রেমাকান্তকে জিজ্ঞাসা করেছে, তার কোনো অভিযোগ আছে কিনা। সে বলেছে—না, কোনো অভিযোগ নেই। এরপর পুলিশ তাঁকে ঢাকায় পাঠিয়ে দেয়।
তরুণী বলেন, ‘পুলিশ আমাকে জানায়—প্রেমাকান্তকে ভারতে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে এ নিয়ে আর কোনো সমস্যা হবে না। কিন্তু সে ঢাকায় না গিয়ে বরিশালে ঘোরাফেরা করে মিথ্যা কথা রটাচ্ছে।’
থানায় অভিযোগ প্রসঙ্গে তরুণীর বাবা বলেন, ‘আমরা জানতাম সে ঢাকা থেকে শনিবার ভারতে চলে যাবে। কিন্তু হঠাৎ গতকাল শুক্রবার জানতে পারি ভারতীয় ওই যুবক তালতলীতে এসেছে। সে তালতলী এসে আমার মেয়েকে আবারও প্রেমিকা দাবি করে এবং নানা ধরনের কথাবার্তা ছড়াচ্ছে। আমি স্থানীয় থানা-পুলিশের শরণাপন্ন হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
তরুণীর বাবার দাবি করেন, ‘আমার মেয়ের সাথে ভারতীয় ওই যুবকের কোনো সম্পর্ক নেই। বরং সে এখানে এসেও আমাদের সামাজিক মর্যাদা ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করেছে। আমি এ বিষয়ে তালতলী থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।’
এ বিষয়ে বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মেহেদী হাসান বলেন, ‘তিনি যেহেতু অন্য দেশের নাগরিক, আমরা তাঁকে নিরাপত্তা দেওয়ার চেষ্টা করেছি এবং তাঁকে বুঝিয়ে ভারতে ফিরে যেতে অনুরোধ করেছি। তিনি আমাদের কথা শুনেছেন এবং ভারতে ফিরে যাওয়ার জন্য শনিবার দুপুরে বরগুনা থেকে চলে গিয়েছেন।’
ভ্রমণপিপাসু ও দক্ষিণাঞ্চলের কয়েক লাখ মানুষের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক। এ সড়কে ফুটপাত থাকলেও তা ঢেকে গেছে আগাছায়। এতে পথচারীদের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। দ্রুত জঙ্গল ও আগাছা দূর করে মানুষের চলাচলের পথ সুগম করে দেওয়ার দাবি স্থানীয়দের।
১ ঘণ্টা আগেবরিশালের উজিরপুরে দাঁড়িয়ে থাকা টাইলসবোঝাই ট্রাকের সঙ্গে আমবোঝাই একটি ট্রাকের সংঘর্ষে পথচারীসহ দুজন নিহত হয়েছেন। আজ সোমবার ভোরে উপজেলার পূর্ব ধামসর গ্রামের সোনার বাংলা স্কুলসংলগ্ন এলাকার বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে...
১ ঘণ্টা আগেগাজীপুরে পোশাক কারখানায় এক ইলেকট্রিশিয়ানকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। মহানগরীর কোনাবাড়ী থানাধীন কাশিমপুর রোডের একটি পোশাক কারখানায় গত শুক্রবার (২৭ জুন) রাত আনুমানিক ৮টা থেকে শনিবার (২৮ জুন) বিকেল সাড়ে ৪টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারখানায় অনির্দিষ্টকালের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেদুই দিন পর কমপ্লিট শাটডাউন প্রত্যাহার করছে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ। ফলে আজ সোমবার সকাল থেকে বেনাপোল কাস্টমসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাজে যোগ দিয়েছেন। এতে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি, রপ্তানি পণ্য পরিবহন ও বন্দর থেকে পণ্য খালাস শুরু হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে