Ajker Patrika

সরকারি ছুটির দিনেও কলেজে পরীক্ষা, শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ

আগৈলঝাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২০: ৪৫
সরকারি ছুটির দিনেও কলেজে পরীক্ষা, শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবীর রাষ্ট্রীয় ছুটির দিনে বরিশালের আগৈলঝাড়ায় একটি কলেজে একাধিক পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। এতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। 

ঘটনাটি ঘটেছে বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলা সদরের সরকারি শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত ডিগ্রি কলেজে। 

পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ওই কলেজের একাধিক শিক্ষার্থীরা জানায়, আজ বৃহস্পতিবার সকালে তাঁদের প্রথম বর্ষের বার্ষিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। একই দিন দুপুরে এইচএসসি পরীক্ষার প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ এই দিনে যেখানে রাষ্ট্রীয় ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে, সেখানে কলেজ কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তে তারা পরীক্ষায় বসতে বাধ্য হয়েছে। 

এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক শওকত হোসেন বলেন, ‘আজকে (বৃহস্পতিবার) রাষ্ট্রীয় ছুটির দিনেও কলেজে আসতে হলো। এভাবে ছুটির দিনে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেওয়া ঠিক হয়নি।’ 

বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী ৪ অক্টোবরের মধ্যে এইচএসসির প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা গ্রহণের নির্দেশনা আছে। তবে কলেজের অভ্যন্তরীণ বার্ষিক পরীক্ষার বিষয়ে কোনো বাধ্যতামূলক তারিখের নির্দেশনা নেই। তা সত্ত্বেও এমন দিনে কেন পরীক্ষা নেওয়া হলো, তার কোনো সদুত্তর মেলেনি কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে। 

এ বিষয়ে সরকারি শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. মহিউদ্দিন আলী আযম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঈদে মিলাদুন্নবী ও সরকারি ছুটির দিনে পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে পূর্বে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। যদিও এটা বোর্ড বা সরকারের কোনো সিদ্ধান্ত নয়। তবে ভবিষ্যতে তারিখ নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময়ে সরকারি ছুটির বিষয়ে তাঁরা আরও সতর্ক হবেন বলেও জানান। 

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে রাষ্ট্রীয় ছুটির দিনে এবং সরকারি ছুটির মধ্যে পরীক্ষা নেওয়া ঠিক হয়নি। কেন পরীক্ষা নেওয়া হলো সে বিষয়ে অধ্যক্ষের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রীয় ছুটির দিনে পরীক্ষা গ্রহণের বিষয়টি জেলা প্রশাসককে অবহিত করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিএনপির সঙ্গে আসন বণ্টন চূড়ান্ত হয়নি: মান্না

বগুড়া প্রতিনিধি
শিবগঞ্জের কিচক বন্দরে নাগরিক ঐক্যের পথসভা। ছবি: আজকের পত্রিকা
শিবগঞ্জের কিচক বন্দরে নাগরিক ঐক্যের পথসভা। ছবি: আজকের পত্রিকা

বিএনপির সঙ্গে আসন বণ্টন নিয়ে এখনো চূড়ান্ত আলোচনা হয়নি বলে জানিয়েছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, ‘আসনসংক্রান্ত আলোচনা ঠিকমতো হয়নি, তবে আগে থেকেই সমঝোতা ছিল। আমরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করেছি। কোথায় কার অবস্থা কেমন, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ সপ্তাহের মধ্যেই আসন নিয়ে চূড়ান্ত আলোচনা হবে।’

আজ বুধবার বিকেলে বগুড়ার শিবগঞ্জের কিচক বন্দরে পথসভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

এক প্রশ্নের জবাবে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘জোটের প্রতীকে ভোটের বিষয়ে আরপিও যা বলবে, তার বাইরে যাওয়া যাবে না। আমরা চাইলে সংশোধনের দাবি তুলতে পারি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ১৪২টি আসন জোটগতভাবে চেয়েছি। নাগরিক ঐক্যের পক্ষ থেকে ৫০-৬০টি আসনের দাবি থাকবে, তবে ২৫-৩০টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারব।’

এর আগে পথসভায় মান্না বলেন, সরকার ভালো হলে জনগণের ভালো হয়, সরকার ভালো না হলে দেশও ভালো হয় না। নতুন বাংলাদেশ গড়তে হলে ভালো সরকার হতে হবে। পার্টি ভালো হলে সরকারও ভালো হবে।

মান্না আরও বলেন, ‘আমরা যৌথভাবে নির্বাচন করার চেষ্টা করছি, এখনো চূড়ান্ত হয়নি। আমার কারও সঙ্গে শত্রুতা নেই, যে ভালো কাজ করবে, আমি তার সঙ্গে আছি।’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রসঙ্গে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি বলেন, ‘তারেক রহমান আমাকে বলেছেন, আমরা আপনাদের চাই, আপনারা ভালো মানুষ। আপনারা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছেন। আমি বলেছি, আমার কোনো ব্যক্তিগত দাবি নেই, আমার দাবি জনগণের পক্ষে।’  

সভায় আরও বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাকিব আনোয়ার, গাজীপুর নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক ডা. রানা, ছাত্র ঐক্য নেতা তৌফিক হাসান প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

চট্টগ্রামে দুদকের মামলায় বন কর্মকর্তা কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে দুদকের মামলায় বন কর্মকর্তা কারাগারে

চট্টগ্রামে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় সুলতানুল আলম চৌধুরী নামের এক বন কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বুধবার (১২ নভেম্বর) চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্পেশাল জজ মিজানুর রহমানের আদালত এই আদেশ দেন। এর আগে আদালতে ওই বন কর্মকর্তা দুদকের মামলায় আত্মসমর্পণপূর্বক জামিনের আবেদন করেন।

সুলতানুল আলম চৌধুরী (৫৭) বোয়ালখালী উপজেলার পূর্ব গোমদণ্ডীর মধ্যম কড়লডেঙ্গা এলাকার আজহারুল হক চৌধুরীর ছেলে। তিনি বর্তমানে ফেনী জেলার দাগনভূঞায় রেঞ্জ কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন।

দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম রনি জানান, জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ সম্পদ অবৈধভাবে অর্জন করে ভোগদখলের অভিযোগে দুদকের মামলায় বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা সুলতানুল আলম চৌধুরী আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত উভয় পক্ষের শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

দুদক জানায়, এর আগে অভিযুক্ত বন কর্মকর্তা চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালত থেকে জামিন নিয়েছিলেন। জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় আজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে পুনরায় জামিনের আবেদন করেন।

দুদকের মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, সুলতানুল আলম চৌধুরী অসৎ উদ্দেশ্যে দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ১ লাখ ৬১ হাজার ৬৪৮ টাকার অস্থাবর সম্পদের তথ্য গোপন করেন। এ ছাড়া তিনি ৫১ লাখ ৩৩ হাজার ৮৩৪ টাকার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ সম্পদ অবৈধভাবে অর্জন করে ভোগদখলে রেখেছেন।

২০২৩ সালের ১৬ এপ্রিল দুদকের চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ আইন অনুযায়ী তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। মামলার তদন্ত শেষে ২০২৫ সালের ১২ মার্চ আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শাহ আমানত বিমানবন্দরে পাঁচ যাত্রী থেকে ৭০০ গ্রাম সোনা জব্দ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
জব্দ করা সোনা। ছবি: সংগৃহীত
জব্দ করা সোনা। ছবি: সংগৃহীত

জেদ্দা থেকে আসা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিজি ১৩৬ ফ্লাইটের পাঁচ যাত্রীকে তল্লাশি চালিয়ে ১ কেজি ২০০ গ্রাম সোনা উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে ৭০০ গ্রাম সোনা জব্দ করা হয়েছে, যার বাজারমূল্য ৩৫ লাখ টাকা।

বুধবার (১২ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ফ্লাইটটি বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল জানান, জেসমিন আক্তার নামের এক যাত্রীর কাছে ২০০ গ্রাম সোনা পাওয়া যায়। ব্যাগেজ বিধিমালা অনুযায়ী যাত্রীকে ১০০ গ্রাম সোনা দেওয়া হয়। অন্য ১০০ গ্রাম ডিএম করা হয়।

মো. নাসিরের কাছে ২৫০ গ্রাম সোনা পাওয়া যায়। ব্যাগেজ বিধিমালা মোতাবেক যাত্রীকে ১০০ গ্রাম সোনা দেওয়া হয় এবং অন্য ১৫০ গ্রাম ডিএম করা হয়।

মোহাম্মদ মাসুম করিম চৌধুরীর কাছে ৩০০ গ্রাম সোনা পাওয়া যায়। এর মধ্যে ১০০ গ্রাম সোনা দিয়ে ২০০ গ্রাম ডিএম করা হয়।

কাজী মনোয়ারা বেগমের ২৫০ গ্রাম সোনার মধ্যে ১০০ গ্রাম দিয়ে ১৫০ গ্রাম ডিএম করা হয়।

ইয়াসমিন আক্তারের ২০০ গ্রাম সোনার মধ্যে ১০০ গ্রাম দিয়ে অন্য ১০০ গ্রাম ডিএম করা হয়।

পাঁচ যাত্রীর কাছে ১ হাজার ২০০ গ্রাম সোনা ছিল, যার মধ্যে ৫০০ গ্রাম যাত্রীদের দেওয়া হয় এবং অন্য ৭০০ গ্রাম ডিএম করা হয়। যাত্রীদের মৌখিকভাবে সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান জনসংযোগ কর্মকর্তা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ইতালি যাওয়ার পথে তীব্র শীতে সাগরেই মৃত্যু দুই যুবকের, পরিবারে শোকের মাতম

মাদারীপুর, প্রতিনিধি
জাফর ব্যাপারী ও  সিরাজুল হাওলাদার  ছবি: সংগৃহীত
জাফর ব্যাপারী ও সিরাজুল হাওলাদার ছবি: সংগৃহীত

নৌকায় চড়ে অবৈধভাবে লিবিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার পথে তীব্র শীতে কাবু হয়ে সাগরেই মারা গেছেন মাদারীপুরের দুই যুবক। গতকাল মঙ্গলবার রাতে তাঁদের মৃত্যুর খবর জানতে পেরেছে পরিবার। এর পর থেকে তাঁদের পরিবারে চলছে শোকের মাতম।

জাফর বেপারীর মৃত্যুর খবর শুনে পরিবারের আহাজারি। ছবি : আজকের পত্রিকা
জাফর বেপারীর মৃত্যুর খবর শুনে পরিবারের আহাজারি। ছবি : আজকের পত্রিকা

মৃত যুবকেরা হলেন মাদারীপুর সদর উপজেলার ধুরাইল ইউনিয়নের চর বাজিতপুর গ্রামের লাল মিয়া ব্যাপারীর ছেলে জাফর ব্যাপারী (৪৫) এবং একই গ্রামের হামেদ আলী হাওলাদারের ছেলে সিরাজুল হাওলাদার (২৫)।

স্থানীয় ও মৃত যুবকদের পরিবার সূত্রে গেছে, গত ১ সেপ্টেম্বর ইতালি যাওয়ার জন্য মাদারীপুর ছাড়েন জাফর ব্যাপারী ও সিরাজুল হাওলাদার। কয়েকটি দেশ ঘুরে লিবিয়ায় পৌঁছান তাঁরা। লিবিয়ার দালালদের মাধ্যমে গত ১৪ অক্টোবর ইঞ্জিনচালিত নৌকায় ওঠেন জাফর, সিরাজুলসহ অর্ধশত যুবক। একপর্যায়ে সাগরে নৌকার তেল ফুরিয়ে যায়। পরে নৌকাটি ভাসতে থাকে সাগরে। সপ্তাহখানেক নৌকায় ভাসতে থাকার পর তীব্র শীতে সাগরেই মৃত্যু হয় জাফর, সিরাজুলসহ কয়েকজন যুবকের। প্রথমে তাঁদের মৃত্যুর খবর দালালেরা গোপন রাখেন। গতকাল রাতে লিবিয়ার দালালদের মাধ্যমে দুই যুবকের মৃত্যুর খবর জানতে পারে তাঁদের পরিবার।

মৃত যুবকদের পরিবার বলছে, মানব পাচারকারী চক্রের সদস্য চর বাজিতপুর গ্রামের চান্দু সরদারের ছেলে লোকমান সরদার। কয়েক মাস আগে লোকমানের দুই ছেলে সুজন ও সুমন অবৈধভাবে ইতালি যান। এর পর থেকে তিনি এলাকার মানুষকে খুব সহজে ইতালি নেওয়ার প্রলোভন দেখাতে থাকেন। তাঁর কথায় বিশ্বাস করে জাফর ও সিরাজুলের পরিবার তাঁকে ৩০ লাখ টাকা দেয়। কথা ছিল, কোনো ধরনের ঝুঁকি ছাড়াই জাফর ও সিরাজুলকে সরাসরি ইতালি পাঠাবেন লোকমান। সাগরপথে ইতালি পাঠানোর জন্য জাফর, সিরাজুলসহ অন্যদের ছোট নৌকায় তুলে দেন দালালেরা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাগর পাড়ি দিয়ে ইতালিতে যাওয়ার পথে জাফর, সিরাজুল প্রাণ হারিয়েছেন।

মৃত জাফরের বাবা লাল মিয়া ব্যাপারী বলেন, ‘জাফরের এই মৃত্যু কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না। দালাল লোকমান একসঙ্গে আমাদের কাছ থেকে ১৫ লাখ টাকা নিয়েছে। টাকা নেওয়ার সময় দালাল বলেছিল, কোনো ঝুঁকি ছাড়াই জাফরকে ইতালি পৌঁছে দিবেন। কিন্তু সাগরেই মৃত্যু হলো আমার ছেলে জাফর আর ওর সঙ্গে থাকা সিরাজুলের। এই ঘটনায় জড়িত লোকমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।’

এদিকে দুজনের মৃত্যুর খবর জানাজানি হওয়ার পর একই গ্রামের অভিযুক্ত দালাল লোকমান সরদার গা ঢাকা দিয়েছেন। তবে লোকমানের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী ঝর্ণা আক্তার বলেন, ‘আমার ভাশুর কোনো দালাল নন, তাঁর দুই ছেলে ইতালি যাওয়ার পর এলাকার অনেকেই তাঁর কাছে আসেন। এতে তাঁর কোনো দোষ নেই। অন্য এক বড় দালাল আছেন, তিনিই সব জানেন। তাঁর পরিচয় আমরা জানি না। তবে লোকমান ভাই জানেন।’

মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে ইতালি যাওয়ার পথে লিবিয়ায় দুই যুবকের মৃত্যুর খবর জানতে পেরেছি। তবে এখনো তাঁদের পরিবার থেকে কেউ কিছু জানায়নি। এ ঘটনায় মৃত যুবকদের পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত