নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
রেফ্রিজারেটরের বদলে কেনা বরফ দিয়ে লাশ রাখা হচ্ছে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (শেবাচিম) মর্গে। সেই বরফও কেনা হচ্ছে মৃতের স্বজনদের টাকায়। শুধু তা-ই নয়, এতে পচন ধরছে হত্যাকাণ্ডে নিহত বা দুর্ঘটনায় নিহত মরদেহে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, দুই মাস ধরে হাসপাতালের মর্গের দুটো রেফ্রিজারেটরই (ফ্রিজ) বিকল। সংশ্লিষ্ট উচ্চপর্যায়ে আবেদন জানিয়েও কোনো সমাধান পাননি তাঁরা।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, লাশ সংরক্ষণের জন্য ২০০৮ সালে শেবাচিম হাসপাতালের মর্গে দুটি ফ্রিজ সরবরাহ করা হয়। স্টার লিংক নামের একটি কোম্পানি ফ্রিজ দুটি সরবরাহ করে। কয়েক বছরের মধ্যে ফ্রিজ দুটির যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। দীর্ঘদিন জোড়াতালি দিতে দিতে ২০১৮ সালে একটি ফ্রিজ সম্পূর্ণ বিকল হয়ে যায়। অন্যটি দিয়ে কোনোরকম লাশ সংরক্ষণ কাজ চালিয়ে নেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু সেটিও গত সেপ্টেম্বরে অচল হয়ে পড়ে।
নাম না প্রকাশের শর্তে হাসপাতালের এক কর্মচারী জানান, গত ১১ সেপ্টেম্বর রাতে সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার চেষ্টা করে অজ্ঞাতনামা ৪৬ বয়সী মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারী। পরে বিনা চিকিৎসায় হাসপাতালের বারান্দাতেই তাঁর মৃত্যু হয়। রেফ্রিজারেটর বিকল থাকায় প্রায় দুই দিন লাশঘরে এমনিই পড়ে ছিল ওই নারীর মরদেহ।
হাসপাতালের মর্গের দায়িত্বে থাকা ডোম বিজয় ভক্ত জানান, দুই মাস ধরে ফ্রিজ নষ্ট। যে কারণে এখন আর ফ্রিজে লাশ রাখা যাচ্ছে না। লাশ আনলে বরফ দিয়ে রাখতে হচ্ছে। তাঁরা ৪ জন মর্গের দায়িত্বে রয়েছেন।
তিনি আরও জানান, একটি রেফ্রিজারেটরে ৮টি লাশ রাখা যায়। সেগুলো বিকল হয়ে যাওয়ায় লাশ রাখতে স্বজনদেরই বরফ কিনে ব্যবস্থা করতে হয়। আর যাঁর পরিবারের লোকজন নেই, তাঁদের লাশ বরফ বা ফ্রিজ ছাড়াই পড়ে থাকে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শেবাচিম হাসপাতালের মর্গ হাউসটি নিয়ন্ত্রণ করে বরিশাল মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ। তবে এখানকার রেফ্রিজারেটর দুটির নিয়ন্ত্রণ রয়েছে শেবাচিম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে।
এ বিষয়ে শেবাচিম হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার আবুল কালাম আজাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হাসপাতালের দ্বিতীয় ফ্রিজটি নষ্ট হয়েছে ২ মাস ধরে। মেরামতের জন্য প্রকৌশলী আসার কথা ছিল, কিন্তু এখনো আসেনি। আগামী সপ্তাহে আসতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দুই মাস আগে একটি লাশ দ্বিতীয় ফ্রিজে রাখা হয়। দুই দিন পরে গিয়ে দেখি, লাশে পচন ধরেছে। তখন বুঝতে পারি, ফ্রিজটি বিকল হয়েছে। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে জানানো হয়েছে।’
ফ্রিজ দুটি সচল করতে দফায় দফায় চিঠি দেওয়ার পরও সরবরাহকারী কোম্পানি এগিয়ে আসেনি বলেও জানান ওয়ার্ড মাস্টার আবুল কালাম আজাদ।
এ বিষয়ে শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক এইচ এম সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘মর্গ হাউসের ফ্রিজ দুটি অনেক পুরোনো। এই দুটি এখন বাতিল হয়ে গেছে। কারণ, এই দুটি দিয়ে এখন আর কাজ চালানো যাচ্ছে না। গত জুনে নতুন ফ্রিজ চেয়ে ঢাকায় চিঠি দিয়েছি। এখন পর্যন্ত কোনো জবাব পাইনি। নতুন ফ্রিজ না দিলে এখানে লাশ সংরক্ষণ অসম্ভব হয়ে পড়ছে।’
রেফ্রিজারেটরের বদলে কেনা বরফ দিয়ে লাশ রাখা হচ্ছে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (শেবাচিম) মর্গে। সেই বরফও কেনা হচ্ছে মৃতের স্বজনদের টাকায়। শুধু তা-ই নয়, এতে পচন ধরছে হত্যাকাণ্ডে নিহত বা দুর্ঘটনায় নিহত মরদেহে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, দুই মাস ধরে হাসপাতালের মর্গের দুটো রেফ্রিজারেটরই (ফ্রিজ) বিকল। সংশ্লিষ্ট উচ্চপর্যায়ে আবেদন জানিয়েও কোনো সমাধান পাননি তাঁরা।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, লাশ সংরক্ষণের জন্য ২০০৮ সালে শেবাচিম হাসপাতালের মর্গে দুটি ফ্রিজ সরবরাহ করা হয়। স্টার লিংক নামের একটি কোম্পানি ফ্রিজ দুটি সরবরাহ করে। কয়েক বছরের মধ্যে ফ্রিজ দুটির যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। দীর্ঘদিন জোড়াতালি দিতে দিতে ২০১৮ সালে একটি ফ্রিজ সম্পূর্ণ বিকল হয়ে যায়। অন্যটি দিয়ে কোনোরকম লাশ সংরক্ষণ কাজ চালিয়ে নেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু সেটিও গত সেপ্টেম্বরে অচল হয়ে পড়ে।
নাম না প্রকাশের শর্তে হাসপাতালের এক কর্মচারী জানান, গত ১১ সেপ্টেম্বর রাতে সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার চেষ্টা করে অজ্ঞাতনামা ৪৬ বয়সী মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারী। পরে বিনা চিকিৎসায় হাসপাতালের বারান্দাতেই তাঁর মৃত্যু হয়। রেফ্রিজারেটর বিকল থাকায় প্রায় দুই দিন লাশঘরে এমনিই পড়ে ছিল ওই নারীর মরদেহ।
হাসপাতালের মর্গের দায়িত্বে থাকা ডোম বিজয় ভক্ত জানান, দুই মাস ধরে ফ্রিজ নষ্ট। যে কারণে এখন আর ফ্রিজে লাশ রাখা যাচ্ছে না। লাশ আনলে বরফ দিয়ে রাখতে হচ্ছে। তাঁরা ৪ জন মর্গের দায়িত্বে রয়েছেন।
তিনি আরও জানান, একটি রেফ্রিজারেটরে ৮টি লাশ রাখা যায়। সেগুলো বিকল হয়ে যাওয়ায় লাশ রাখতে স্বজনদেরই বরফ কিনে ব্যবস্থা করতে হয়। আর যাঁর পরিবারের লোকজন নেই, তাঁদের লাশ বরফ বা ফ্রিজ ছাড়াই পড়ে থাকে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শেবাচিম হাসপাতালের মর্গ হাউসটি নিয়ন্ত্রণ করে বরিশাল মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ। তবে এখানকার রেফ্রিজারেটর দুটির নিয়ন্ত্রণ রয়েছে শেবাচিম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে।
এ বিষয়ে শেবাচিম হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার আবুল কালাম আজাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হাসপাতালের দ্বিতীয় ফ্রিজটি নষ্ট হয়েছে ২ মাস ধরে। মেরামতের জন্য প্রকৌশলী আসার কথা ছিল, কিন্তু এখনো আসেনি। আগামী সপ্তাহে আসতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দুই মাস আগে একটি লাশ দ্বিতীয় ফ্রিজে রাখা হয়। দুই দিন পরে গিয়ে দেখি, লাশে পচন ধরেছে। তখন বুঝতে পারি, ফ্রিজটি বিকল হয়েছে। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে জানানো হয়েছে।’
ফ্রিজ দুটি সচল করতে দফায় দফায় চিঠি দেওয়ার পরও সরবরাহকারী কোম্পানি এগিয়ে আসেনি বলেও জানান ওয়ার্ড মাস্টার আবুল কালাম আজাদ।
এ বিষয়ে শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক এইচ এম সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘মর্গ হাউসের ফ্রিজ দুটি অনেক পুরোনো। এই দুটি এখন বাতিল হয়ে গেছে। কারণ, এই দুটি দিয়ে এখন আর কাজ চালানো যাচ্ছে না। গত জুনে নতুন ফ্রিজ চেয়ে ঢাকায় চিঠি দিয়েছি। এখন পর্যন্ত কোনো জবাব পাইনি। নতুন ফ্রিজ না দিলে এখানে লাশ সংরক্ষণ অসম্ভব হয়ে পড়ছে।’
রেজাউল হাসান কয়েস লোদী বলেন, ‘এ দেশের মানুষ ১৭ বছর ধরে ভোট দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে। দেশ একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মধ্যে আছে। অন্তর্বর্তী সরকার যদি জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ব্যবস্থা করে, তাহলে দেশ আরও অস্থিতিশীল হয়ে উঠবে। যত দ্রুত সম্ভব জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করুন। আমর
২ মিনিট আগেবগুড়ায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলমের উপস্থিতিতে দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাংশের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। আজ বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে শহরের শহীদ টিটু মিলনায়তনের বাইরে এ ঘটনা ঘটে। এতে দুজন ছুরিকাহতসহ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
৯ মিনিট আগেজাটকা রক্ষায় দুই মাসের (মার্চ-এপ্রিল) অভয়াশ্রম শেষে ইলিশ ধরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বরিশাল, চাঁদপুর ও লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদী পাড়ের জেলেরা। ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে জেলেদের জাল ও নৌকার মেরামতকাজ। আজ বুধবার (৩০ এপ্রিল) মধ্যরাতে পদ্মা–মেঘনা নদীতে ইলিশসহ অন্যান্য মাছ ধরতে নামবেন জেলেরা। ইলিশ পাওয়ার সম্ভাবনার কথাও
১২ মিনিট আগেচট্টগ্রামে অপরিচিত ব্যক্তিদের ধাওয়া খেয়ে একটি মার্কেটের নিচে আশ্রয় নিয়েছিলেন নুরুল ইসলাম চৌধুরী (৬৩)। পাশেই টহল দিচ্ছিল কোতোয়ালি থানা-পুলিশের একটি দল। খবর পেয়ে পুলিশ নুরুল ইসলামকে হেফাজতে নেয়। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আশ্রয়ে যাওয়া ব্যক্তির কাছে মিলল বিদেশ থেকে অবৈধভাবে
৩৮ মিনিট আগে