কাউখালী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি
পিরোজপুরের কাউখালীতে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানে বিরুদ্ধে দুস্থদের জন্য বরাদ্দকৃত ঘর নির্মাণের জন্য টাকা নেওয়ার পর আরও টাকা দাবি করার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক ভুক্তভোগী নারী। আজ বুধবার সকালে স্থানীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পাঠ করেন তিনি।
ভুক্তভোগী ওই নারীর নাম সাহিদা বেগম। তিনি উপজেলার চিরাপাড়া গ্রামের শারীরিক প্রতিবন্ধী সামসুল হকের স্ত্রী।
জানা গেছে, মুজিব বর্ষ উপলক্ষে ওই নারী পিরোজপুর জেলা পরিষদ থেকে একটি পাকা ঘর বরাদ্দ পান। ওই ঘরের নির্মাণকাজের দায়িত্বে রয়েছেন কাউখালী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মৃদুল আহম্মেদ সুমন।
সংবাদ সম্মেলনে ওই নারী অভিযোগ করে জানান, দুস্থ হিসেবে পাওয়া ঘর নির্মাণের জন্য কাউখালীর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মৃদুল আহম্মেদ সুমন নির্মাণ সামগ্রী কাজের স্থলে আনার জন্য ৭ হাজার টাকা দাবি করেন। ওই টাকা না দিলে কাজ করবেন না বলে হুমকি দেন। পরে তিনি তাঁকে (ভাইস চেয়ারম্যান) ৭ হাজার টাকা দিয়ে নির্মাণসামগ্রী ইট বাড়িতে আনেন। এর কয়েক দিন পর ইট কেনার কথা বলে আরও ৬ হাজার টাকা দাবি করেন ওই ভাইস চেয়ারম্যান। ওই নারী টাকা না দিলে কাজ বন্ধ রাখেন তিনি। পরে নিরুপায় হয়ে ৬ হাজার টাকার ইট কিনে দেন। ২-৩ দিন কাজ করে কাজ করার পর রাজমিস্ত্রি পুনরায় কাজ বন্ধ করে দেন। ভাইস চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগাযোগ করলেন কাজ করতে আবারও ৩০ হাজার টাকা দাবি করেন, না হলে এই কাজে লস হবে বলে জানান তিনি।
ওই নারী অভিযোগ করে আরও জানান, এর পর ফোন দিলে ভাইস চেয়ারম্যান রেগে গিয়ে তাঁকে বারবার ফোন না দিতে বলেন। এ ছাড়া টাকা না দিলে কাজ কোনো দিনও হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন চেয়ারম্যান। পরে তিনি নিরুপায় হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবং প্রধান নির্বাহী, জেলা পরিষদ পিরোজপুর বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন।
এ বিষয়ে জানতে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মৃদুল আহম্মেদ সুমনের মোবাইলে ফোন দিলে তিনি বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ সঠিক নয়। কাজের মেয়াদের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করা হবে।’
টাকা নেওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘সাইটে রাজ মিস্ত্রি মজনুকে কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কোনো টাকা পয়সা নিয়ে থাকলে আমি ব্যবস্থা নিব।’
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অসুস্থতার কারণে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
চিরাপাড়া পারসাতুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. লায়েকুজ্জামান তালুকদার মিন্টু বলেন, ‘উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এই বিষয় একটি অভিযোগ তদন্তের জন্য আমার কাছে পাঠিয়েছেন। যথাসময়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।’
জেলা পরিষদের সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী সেলিম চৌধুরী বলেন ১ লাখ ৯১ হাজার টাকা চুক্তিমূল্য নির্ধারণ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেওয়া হয়েছে। কোনো ধরনের মালামাল বহনের খরচ, মালামাল গ্রহণ এবং টাকা চাওয়ার সুযোগ নাই।
পিরোজপুর জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেবেকা খান বলেন, ঘর নির্মাণে অনিয়মের বিষয় একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যথাসময়ে ঘর নির্মাণকাজ সম্পন্ন করা হবে।
পিরোজপুরের কাউখালীতে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানে বিরুদ্ধে দুস্থদের জন্য বরাদ্দকৃত ঘর নির্মাণের জন্য টাকা নেওয়ার পর আরও টাকা দাবি করার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক ভুক্তভোগী নারী। আজ বুধবার সকালে স্থানীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পাঠ করেন তিনি।
ভুক্তভোগী ওই নারীর নাম সাহিদা বেগম। তিনি উপজেলার চিরাপাড়া গ্রামের শারীরিক প্রতিবন্ধী সামসুল হকের স্ত্রী।
জানা গেছে, মুজিব বর্ষ উপলক্ষে ওই নারী পিরোজপুর জেলা পরিষদ থেকে একটি পাকা ঘর বরাদ্দ পান। ওই ঘরের নির্মাণকাজের দায়িত্বে রয়েছেন কাউখালী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মৃদুল আহম্মেদ সুমন।
সংবাদ সম্মেলনে ওই নারী অভিযোগ করে জানান, দুস্থ হিসেবে পাওয়া ঘর নির্মাণের জন্য কাউখালীর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মৃদুল আহম্মেদ সুমন নির্মাণ সামগ্রী কাজের স্থলে আনার জন্য ৭ হাজার টাকা দাবি করেন। ওই টাকা না দিলে কাজ করবেন না বলে হুমকি দেন। পরে তিনি তাঁকে (ভাইস চেয়ারম্যান) ৭ হাজার টাকা দিয়ে নির্মাণসামগ্রী ইট বাড়িতে আনেন। এর কয়েক দিন পর ইট কেনার কথা বলে আরও ৬ হাজার টাকা দাবি করেন ওই ভাইস চেয়ারম্যান। ওই নারী টাকা না দিলে কাজ বন্ধ রাখেন তিনি। পরে নিরুপায় হয়ে ৬ হাজার টাকার ইট কিনে দেন। ২-৩ দিন কাজ করে কাজ করার পর রাজমিস্ত্রি পুনরায় কাজ বন্ধ করে দেন। ভাইস চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগাযোগ করলেন কাজ করতে আবারও ৩০ হাজার টাকা দাবি করেন, না হলে এই কাজে লস হবে বলে জানান তিনি।
ওই নারী অভিযোগ করে আরও জানান, এর পর ফোন দিলে ভাইস চেয়ারম্যান রেগে গিয়ে তাঁকে বারবার ফোন না দিতে বলেন। এ ছাড়া টাকা না দিলে কাজ কোনো দিনও হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন চেয়ারম্যান। পরে তিনি নিরুপায় হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবং প্রধান নির্বাহী, জেলা পরিষদ পিরোজপুর বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন।
এ বিষয়ে জানতে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মৃদুল আহম্মেদ সুমনের মোবাইলে ফোন দিলে তিনি বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ সঠিক নয়। কাজের মেয়াদের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করা হবে।’
টাকা নেওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘সাইটে রাজ মিস্ত্রি মজনুকে কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কোনো টাকা পয়সা নিয়ে থাকলে আমি ব্যবস্থা নিব।’
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অসুস্থতার কারণে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
চিরাপাড়া পারসাতুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. লায়েকুজ্জামান তালুকদার মিন্টু বলেন, ‘উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এই বিষয় একটি অভিযোগ তদন্তের জন্য আমার কাছে পাঠিয়েছেন। যথাসময়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।’
জেলা পরিষদের সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী সেলিম চৌধুরী বলেন ১ লাখ ৯১ হাজার টাকা চুক্তিমূল্য নির্ধারণ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেওয়া হয়েছে। কোনো ধরনের মালামাল বহনের খরচ, মালামাল গ্রহণ এবং টাকা চাওয়ার সুযোগ নাই।
পিরোজপুর জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেবেকা খান বলেন, ঘর নির্মাণে অনিয়মের বিষয় একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যথাসময়ে ঘর নির্মাণকাজ সম্পন্ন করা হবে।
ঢাকার আশুলিয়ায় উল্টো পথে চলা একটি অটোরিকশা লরির নিচে চাপা পড়ে নারী ও শিশুসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও একজন। নিহতরা হলেন আলতাফ (৫০), নূরজাহান (২৪) ও শিশু আব্দুল্লাহ (৪)। দুর্ঘটনাটি ঘটে রোববার (৩ আগস্ট) রাত সাড়ে ৯টার দিকে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের বাইপাইল কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে।
১ ঘণ্টা আগেপৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যকুল সরদারপাড়ায় সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, বাড়িঘরে পানি ঢুকে পড়েছে, তলিয়ে গেছে চলাচলের একমাত্র পথ। ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাহাপাড়া খ্রিষ্টান মিশনের পাশের সড়কেও পানি উঠে এসেছে।
১ ঘণ্টা আগেপার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট কূটনীতিক সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, ‘আজকের এই কৃষি যন্ত্রপাতি হস্তান্তর শুধু যন্ত্র সরবরাহ নয়, এটি রাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি ও দায়বদ্ধতার প্রতিফলন। আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গড়তে চাই, যেখানে সমতল হোক কিংবা পাহাড়—কোথাও খাদ্যঘাটতির জায়গা থাকবে না।’
১ ঘণ্টা আগেগত বছর ঢাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার মহিষখোঁচা ইউনিয়নের বারঘড়িয়া গ্রামের মিরাজ। তিনি ছিলেন মৃত আব্দুস ছালামের বড় ছেলে। মাত্র ৫ শতাংশ জমি কিনে বাড়ি করার ইচ্ছে ছিল তাঁদের। কিন্তু প্রতিবেশী দুলাল মণ্ডল দলিল থাকা সত্ত্বেও জমিটি দখলে নিতে দেননি।
২ ঘণ্টা আগে