তারিকুল ইসলাম কাজী রাকিব পাথরঘাটা (বরগুনা)
বরগুনার বিষখালী, বলেশ্বর ও পায়রা নদীতে নির্বিচারে মারা পড়ছে ইলিশের পোনা বা জাটকা। নিষিদ্ধ বাঁধা, গোপ, বেহেন্দি ও কারেন্ট জালে এগুলো শিকার করা হচ্ছে। দেড়-দুই ইঞ্চি লম্বা এসব মাছকে এলাকার হাট-বাজারে ‘চাপিলা’ বলে বিক্রি করছেন জেলেরা। সেই সঙ্গে শুঁটকি বানানো হচ্ছে।
মাছের পোনা সংরক্ষণে মৎস্য আইন অনুযায়ী, সোয়া চার ইঞ্চির কম পরিধির ফাঁসের জাল ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অথচ নদীগুলোতে জেলেরা আধা ইঞ্চির কম থেকে পৌনে এক ইঞ্চি পরিধির ফাঁসের জাল ব্যবহার করে জাটকাসহ নানা ছোট মাছ নিধন করছেন। যা শহরসহ বিভিন্ন গ্রামগঞ্জের হাট-বাজারে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে।
পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের জেলেদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ ইউনিয়নে তিন শতাধিক নৌকায় করে জাল দিয়ে মাছ ধরা হয়। এসব জালে এখন বিভিন্ন প্রজাতির মাছের সঙ্গে ধরা পড়ছে ইলিশের পোনা। যা হাট-বাজার এবং শুঁটকিপল্লিতে সরবরাহ করা হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বাঁধা জালে নদীতে প্রচুর পরিমাণে ইলিশের পোনা মারা পড়ছে। জেলেরা খুব ছোট পোনাগুলো নদীতে ফেলে দিয়ে আসে। দেড়-দুই ইঞ্চি আকারের পোনাগুলো প্রকাশ্যে খোলা ডাকে বিক্রি করছে। প্রতিদিন কী পরিমাণ পোনা নিধন হচ্ছে, তা নিজের চোখে না দেখলে কল্পনা করাও কঠিন। প্রশাসন যদি কঠোর নজরদারি না করে তাহলে ইলিশসম্পদ রক্ষা করা সম্ভব হবে না। আগামী মৌসুমে ইলিশ মাছ আহরণে চরম সংকট দেখা দেবে।
সদর ইউনিয়নের রুহিতা গ্রামের জাকির হোসেন অভিযোগ করেন, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের হাত করে প্রতিদিন প্রকাশ্যে অবৈধ জাল দিয়ে মাছের পোনা ধ্বংস করা হচ্ছে। কাকচিড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা আল আমিন পাথরঘাটা প্রেসক্লাবে এসে অভিযোগ করেন, এভাবে ছোট মাছ নিধনে বাধা দিলে জেলেরা হুমকিধমকি দেন।
এ নিয়ে কথা হলে বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জানান, এভাবে অবৈধ জাল দিয়ে পোনা শিকার করলে ইলিশের বংশ ধ্বংস হয়ে যাবে। নদ-নদীতে পানি থাকবে কিন্তু মাছ থাকবে না।
পোনা শিকার রোধে বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মহসীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা গত মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৫০টির বেশি অভিযান পরিচালনা করেছি। যেহেতু জেলায় তিনটি নদী আর আমাদের জনবল কম, ফলে সব জায়গায় পৌঁছানো আমাদের পক্ষে অনেক সময় সম্ভব নয়। এই সুযোগে অসাধু জেলেরা ইলিশের পোনা ধরে চাপিলা বলে গোপনে বিক্রি করছে। আমরা নদীতে টহল জোরদার করেছি।’
পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রোকনুজ্জামান খান বলেন, ‘বিভিন্ন এলাকার অসাধু জেলেরা অবৈধ জাল দিয়ে ইলিশসহ নানা জাতের পোনা নিধন করছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।’
বরগুনার বিষখালী, বলেশ্বর ও পায়রা নদীতে নির্বিচারে মারা পড়ছে ইলিশের পোনা বা জাটকা। নিষিদ্ধ বাঁধা, গোপ, বেহেন্দি ও কারেন্ট জালে এগুলো শিকার করা হচ্ছে। দেড়-দুই ইঞ্চি লম্বা এসব মাছকে এলাকার হাট-বাজারে ‘চাপিলা’ বলে বিক্রি করছেন জেলেরা। সেই সঙ্গে শুঁটকি বানানো হচ্ছে।
মাছের পোনা সংরক্ষণে মৎস্য আইন অনুযায়ী, সোয়া চার ইঞ্চির কম পরিধির ফাঁসের জাল ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অথচ নদীগুলোতে জেলেরা আধা ইঞ্চির কম থেকে পৌনে এক ইঞ্চি পরিধির ফাঁসের জাল ব্যবহার করে জাটকাসহ নানা ছোট মাছ নিধন করছেন। যা শহরসহ বিভিন্ন গ্রামগঞ্জের হাট-বাজারে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে।
পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের জেলেদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ ইউনিয়নে তিন শতাধিক নৌকায় করে জাল দিয়ে মাছ ধরা হয়। এসব জালে এখন বিভিন্ন প্রজাতির মাছের সঙ্গে ধরা পড়ছে ইলিশের পোনা। যা হাট-বাজার এবং শুঁটকিপল্লিতে সরবরাহ করা হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বাঁধা জালে নদীতে প্রচুর পরিমাণে ইলিশের পোনা মারা পড়ছে। জেলেরা খুব ছোট পোনাগুলো নদীতে ফেলে দিয়ে আসে। দেড়-দুই ইঞ্চি আকারের পোনাগুলো প্রকাশ্যে খোলা ডাকে বিক্রি করছে। প্রতিদিন কী পরিমাণ পোনা নিধন হচ্ছে, তা নিজের চোখে না দেখলে কল্পনা করাও কঠিন। প্রশাসন যদি কঠোর নজরদারি না করে তাহলে ইলিশসম্পদ রক্ষা করা সম্ভব হবে না। আগামী মৌসুমে ইলিশ মাছ আহরণে চরম সংকট দেখা দেবে।
সদর ইউনিয়নের রুহিতা গ্রামের জাকির হোসেন অভিযোগ করেন, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের হাত করে প্রতিদিন প্রকাশ্যে অবৈধ জাল দিয়ে মাছের পোনা ধ্বংস করা হচ্ছে। কাকচিড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা আল আমিন পাথরঘাটা প্রেসক্লাবে এসে অভিযোগ করেন, এভাবে ছোট মাছ নিধনে বাধা দিলে জেলেরা হুমকিধমকি দেন।
এ নিয়ে কথা হলে বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জানান, এভাবে অবৈধ জাল দিয়ে পোনা শিকার করলে ইলিশের বংশ ধ্বংস হয়ে যাবে। নদ-নদীতে পানি থাকবে কিন্তু মাছ থাকবে না।
পোনা শিকার রোধে বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মহসীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা গত মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৫০টির বেশি অভিযান পরিচালনা করেছি। যেহেতু জেলায় তিনটি নদী আর আমাদের জনবল কম, ফলে সব জায়গায় পৌঁছানো আমাদের পক্ষে অনেক সময় সম্ভব নয়। এই সুযোগে অসাধু জেলেরা ইলিশের পোনা ধরে চাপিলা বলে গোপনে বিক্রি করছে। আমরা নদীতে টহল জোরদার করেছি।’
পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রোকনুজ্জামান খান বলেন, ‘বিভিন্ন এলাকার অসাধু জেলেরা অবৈধ জাল দিয়ে ইলিশসহ নানা জাতের পোনা নিধন করছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।’
নগদ টাকার সঙ্গে ঘুষ হিসেবে ঘুমানোর জন্য খাট নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুল হুদা তালুকদারের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া ঘুষ আদায় করতে উপজেলার বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষকদের নিয়ে তৈরি করেছেন সিন্ডিকেট।
৪ মিনিট আগেস্থানীয়রা জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) সাবেক কাউন্সিলর হান্নান সরকারের অনুসারীরা ২০ জুন বিকেলে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিল। তারই জের ধরে ২১ জুন রাতে আবার সংঘর্ষ শুরু হয়। একপর্যায়ে আব্দুল কুদ্দুসকে (৬০) কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়।
৩ ঘণ্টা আগেগণঅধিকার পরিষদের কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার আংশিক নতুন কমিটির অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটি। শনিবার (২১ জুন) গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর ও সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান ৫৩ সদস্যের এই আংশিক কমিটির অনুমোদন দিয়েছেন।
৩ ঘণ্টা আগেঢাকার সাভারে আব্দুল মালেক (৩৬) নামের এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাঁকে হত্যার পর লাশ গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয় বলে ধারণা করছে পুলিশ। আব্দুল মালেক সাভারের কান্দি ভাকুর্তা গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে। তিনি স্থানীয় একটি দোকানে রুপার অলংকার তৈরির কাজ করতেন।
৪ ঘণ্টা আগে