Ajker Patrika

হিজলায় মা ইলিশ রক্ষার নামে চলছে 'নাটকীয়তা'

হিজলা প্রতিনিধি
আপডেট : ১৬ অক্টোবর ২০২১, ১৪: ২৮
হিজলায় মা ইলিশ রক্ষার নামে চলছে 'নাটকীয়তা'

বরিশালের হিজলা উপজেলার মেঘনা ও জয়ন্তিকা নদীতে মা ইলিশ রক্ষা অভিযান নামে নাটকীয়তা চলছে। হিজলা উপজেলা মৎস্য দপ্তর, নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ডের নদীতে অভিযান নিয়েও রয়েছে সচেতন মহলের নানা প্রশ্ন। 

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে মা ইলিশ রক্ষা অভিযান নিয়ে প্রতিদিন বিভিন্ন সমালোচনামূলক লেখালেখি হচ্ছে। এসব বিষয় দেখার পরেও হিজলা উপজেলা প্রশাসন কঠোর ভূমিকা পালন করছে না। মা ইলিশ রক্ষা অভিযান শুরু হলে মা ইলিশ নিধন সিন্ডিকেট চক্র বেপরোয়া হয়ে ওঠে। তারা মৎস্য দপ্তর, নৌ-পুলিশ, কোস্টগার্ড ম্যানেজ করে অবাধে মেঘনা নদীতে মা ইলিশ জেলেদের দিয়ে শিকার করায়। 

উপজেলার হরিনাথপুর ইউনিয়নে মা ইলিশ বিক্রির জন্য জন্য চর আবুপুর ও আশুলী আবুপুর রাস্তার ওপর ইলিশ কেনাবেচার জন্য বিশাল হাট বসে। সেখান থেকে শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট থানার বিভিন্ন অঞ্চলের লোকজন এসে অবাধে মা ইলিশ ক্রয় করে। 

আশুলী আবুপুরের মা ইলিশ বিক্রির সিন্ডিকেট গ্রুপের মোসলেম আকন বলেন, `আমি মাছ ধরি না, বিক্রিও করি না। সকাল হলে মাঝেমধ্যে এখানে আসি।' 

জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি জাকির সরদার জানান, 'অভিযান বলতে কিছুই নেই। বিগত কোনো বছর এমন অভিযান দেখিনি। জেলেদের কোনো দোষ নেই। কেননা, তারা টাকা দিয়ে মা ইলিশ ধরে। হিজলা উপজেলার মা ইলিশ রক্ষার দায়িত্বে থাকা অনেক প্রশাসন বুকিং হয়ে গেছে। তাই আমাদের আর কিছুর রলার নেই, আমরা নিরুপায়।' 

হিজলা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক সোহেল রানা বলেন, নদীতে কোনো জেলে নেই। যদি নদীর ওপরে কোনো মা ইলিশ বিক্রির হাট বসে থাকে, তবে সেটা থানার পুলিশ দেখবে। 

হিজলা উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা আবদুল হালিম বলেন, `আমি নদীতে আছি, আমার চোখে কোনো জেলের নৌকা পড়ে নাই। তবে চর আবুপুর ও আশুলী আবুপুরে মা ইলিশের যে হাট বসে, এই সংবাদ পেয়েছি। এটা বন্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।' 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত