পটুয়াখালী প্রতিনিধি
পটুয়াখালী-১ (সদর, মির্জাগঞ্জ ও দুমকি) আসনে মহাজোটের প্রার্থী জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারকে ঠেকাতে মাঠে নেমেছেন বর্তমান সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আফজাল হোসেনের সমর্থকেরা।
নৌকা পেয়েও আফজাল হোসেনকে সরিয়ে রুহুল আমিনকে জায়গায় দেওয়ায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বাংলাদেশ কংগ্রেস মনোনীত ডাব প্রতীকের নাসির উদ্দিন তালুকদারকে বিজয়ী করতে প্রচার প্রচারণা শুরু করেছেন আফজাল সমর্থকেরা। আর এতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন রুহুল আমিন হাওলাদার। তবে জেলা আওয়ামী লীগ বলছে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে না মেনে অন্য প্রার্থীকে সমর্থন দেওয়া দলের জন্য ক্ষতিকর।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার ইটাবাড়িয়া ইউনিয়নে আফজাল হোসেনের ছোট ভাই জেলা জজকোর্টের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর এস এম কামাল হোসেন কংগ্রেস মনোনীত প্রার্থী ডাব প্রতীকের নাসির উদ্দিন তালুকদারের সমর্থনে মিছিল ও পথসভা করে প্রচার প্রচারণার সূচনা করেন।
পথসভায় কামাল হোসেন নেতা–কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপনাদের প্রিয় নেতা আফজাল হোসেনকে প্রধানমন্ত্রী নৌকা মার্কা উপহার দিয়েছিলেন কিন্তু বিশেষ কারণে তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।’
কামাল হোসেন বলেন, ‘তবে আপনারা জানেন, একজন ভূমি দস্যু, হেলিকপ্টার মন্ত্রী (রুহুল আমিন হাওলাদার) নির্বাচন আসলে আপনাদের মাথার ওপর গেড়ে বসে কিন্তু এই ভূমি দস্যুকে আমরা ৫ বছরেও একবার পাই না এবং জনগণেরও উপকার আসে না। তাই ভূমি দস্যুকে প্রতিহত করার জন্য আপনাদের সবাইকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে ডাব মার্কাকে কাকে বিজয়ী করার জন্য কাজ করে যেতে হবে।’
জানা গেছে, পটুয়াখালী-১ আসনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী অ্যাড. শাহজাহান মিয়া। তবে বার্ধক্য জনিত কারণে গত ২১ অক্টোবর শাহজাহান মিয়া মারা যাওয়ায় এ আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয় এবং শূন্য হওয়া আসনে উপনির্বাচনে নৌকা পেয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি নির্বাচিত হন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আফজাল হোসেন। তবে আফজাল হোসেন ১ মাসের জন্য এমপি নির্বাচিত হলেও তিনি সংসদে বসতে পারেননি। তাইতো দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তফসিল ঘোষণা করা হলে আফজাল হোসেন আবারও নৌকা পান। আর নৌকা পেয়ে মাঠ পর্যায়ে নেতা–কর্মীদের নিয়ে সভা সমাবেশ করলেও তার নেতা–কর্মীদের মাঝে চিন্তার ভাঁজ থেকে যায়। যার মূল কারণ, এ আসনে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে মাঠে নামেন মহাজোটের সাবেক এমপি ও জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার।
আর গত রোববার (১৭ ডিসেম্বর) প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে মহাজোটের আসন ভাগাভাগিতে ছিটকে যান আফজাল হোসেন। এতে আফজাল হোসেনের সমর্থকদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হয়েছে। তাইতো ভোটের মাঠে রুহুল আমিন হাওলাদারকে ঠেকাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সহ নানান ভাবে প্রচারণা করে উঠে পড়ে লেগেছে আফজাল হোসেনের সমর্থকেরা।
এ বিষয়ে সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাড. শাহজাহান মিয়ার পুত্র পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. তারিকুজ্জামান মনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত দিয়েছে আমরা সেই সিদ্ধান্তকে মেনে নিয়েছি। তবে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে অমান্য করে অন্য প্রার্থীকে সমর্থন করা দলের জন্য ক্ষতিকর। জেলা আওয়ামী লীগ সন্ধ্যায় সভা ডেকেছে এবং ওই সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের নির্বাচনে কাজ করতে বলবে।’
এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আলমগীর বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমি কথা বলেছি। তিনি বলেছেন, ‘আমার স্বাক্ষরে নৌকার পরিবর্তে আমি একজন প্রার্থীকে দিয়েছি, সে যদি তোমাদের কাছে সহযোগিতা চায় করবা’। এছাড়া পার্টির সেক্রেটারির সঙ্গেও কথা হয়েছে তিনিও একই কথা বলেছেন। এখন আফজাল সাহেব কেন বা কি কারণে ডাব নিয়া নামছেন আমি তা বলতে পারব না। আমার কাছে যেটা আছে লাঙ্গলকে সমর্থন দেওয়া তাই আমরা আজ সভা ডেকেছি সেখানে লাঙ্গলকে সমর্থন জানাবো।’
কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান সংসদ সদস্য অ্যাড. আফজাল হোসেন বলেন, ‘দল থেকে বলা হয়েছে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন করার জন্য যে কেউ প্রার্থী হতে পারবে সে ক্ষেত্রে কেউ যদি কোনো প্রার্থীকে সমর্থন করে সেটা তার অভিরুচি কিন্তু আমি কারও পক্ষে নামেনি।’
পটুয়াখালী-১ (সদর, মির্জাগঞ্জ ও দুমকি) আসনে মহাজোটের প্রার্থী জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারকে ঠেকাতে মাঠে নেমেছেন বর্তমান সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আফজাল হোসেনের সমর্থকেরা।
নৌকা পেয়েও আফজাল হোসেনকে সরিয়ে রুহুল আমিনকে জায়গায় দেওয়ায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বাংলাদেশ কংগ্রেস মনোনীত ডাব প্রতীকের নাসির উদ্দিন তালুকদারকে বিজয়ী করতে প্রচার প্রচারণা শুরু করেছেন আফজাল সমর্থকেরা। আর এতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন রুহুল আমিন হাওলাদার। তবে জেলা আওয়ামী লীগ বলছে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে না মেনে অন্য প্রার্থীকে সমর্থন দেওয়া দলের জন্য ক্ষতিকর।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার ইটাবাড়িয়া ইউনিয়নে আফজাল হোসেনের ছোট ভাই জেলা জজকোর্টের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর এস এম কামাল হোসেন কংগ্রেস মনোনীত প্রার্থী ডাব প্রতীকের নাসির উদ্দিন তালুকদারের সমর্থনে মিছিল ও পথসভা করে প্রচার প্রচারণার সূচনা করেন।
পথসভায় কামাল হোসেন নেতা–কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপনাদের প্রিয় নেতা আফজাল হোসেনকে প্রধানমন্ত্রী নৌকা মার্কা উপহার দিয়েছিলেন কিন্তু বিশেষ কারণে তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।’
কামাল হোসেন বলেন, ‘তবে আপনারা জানেন, একজন ভূমি দস্যু, হেলিকপ্টার মন্ত্রী (রুহুল আমিন হাওলাদার) নির্বাচন আসলে আপনাদের মাথার ওপর গেড়ে বসে কিন্তু এই ভূমি দস্যুকে আমরা ৫ বছরেও একবার পাই না এবং জনগণেরও উপকার আসে না। তাই ভূমি দস্যুকে প্রতিহত করার জন্য আপনাদের সবাইকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে ডাব মার্কাকে কাকে বিজয়ী করার জন্য কাজ করে যেতে হবে।’
জানা গেছে, পটুয়াখালী-১ আসনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী অ্যাড. শাহজাহান মিয়া। তবে বার্ধক্য জনিত কারণে গত ২১ অক্টোবর শাহজাহান মিয়া মারা যাওয়ায় এ আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয় এবং শূন্য হওয়া আসনে উপনির্বাচনে নৌকা পেয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি নির্বাচিত হন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আফজাল হোসেন। তবে আফজাল হোসেন ১ মাসের জন্য এমপি নির্বাচিত হলেও তিনি সংসদে বসতে পারেননি। তাইতো দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তফসিল ঘোষণা করা হলে আফজাল হোসেন আবারও নৌকা পান। আর নৌকা পেয়ে মাঠ পর্যায়ে নেতা–কর্মীদের নিয়ে সভা সমাবেশ করলেও তার নেতা–কর্মীদের মাঝে চিন্তার ভাঁজ থেকে যায়। যার মূল কারণ, এ আসনে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে মাঠে নামেন মহাজোটের সাবেক এমপি ও জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার।
আর গত রোববার (১৭ ডিসেম্বর) প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে মহাজোটের আসন ভাগাভাগিতে ছিটকে যান আফজাল হোসেন। এতে আফজাল হোসেনের সমর্থকদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হয়েছে। তাইতো ভোটের মাঠে রুহুল আমিন হাওলাদারকে ঠেকাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সহ নানান ভাবে প্রচারণা করে উঠে পড়ে লেগেছে আফজাল হোসেনের সমর্থকেরা।
এ বিষয়ে সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাড. শাহজাহান মিয়ার পুত্র পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. তারিকুজ্জামান মনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত দিয়েছে আমরা সেই সিদ্ধান্তকে মেনে নিয়েছি। তবে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে অমান্য করে অন্য প্রার্থীকে সমর্থন করা দলের জন্য ক্ষতিকর। জেলা আওয়ামী লীগ সন্ধ্যায় সভা ডেকেছে এবং ওই সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের নির্বাচনে কাজ করতে বলবে।’
এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আলমগীর বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমি কথা বলেছি। তিনি বলেছেন, ‘আমার স্বাক্ষরে নৌকার পরিবর্তে আমি একজন প্রার্থীকে দিয়েছি, সে যদি তোমাদের কাছে সহযোগিতা চায় করবা’। এছাড়া পার্টির সেক্রেটারির সঙ্গেও কথা হয়েছে তিনিও একই কথা বলেছেন। এখন আফজাল সাহেব কেন বা কি কারণে ডাব নিয়া নামছেন আমি তা বলতে পারব না। আমার কাছে যেটা আছে লাঙ্গলকে সমর্থন দেওয়া তাই আমরা আজ সভা ডেকেছি সেখানে লাঙ্গলকে সমর্থন জানাবো।’
কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান সংসদ সদস্য অ্যাড. আফজাল হোসেন বলেন, ‘দল থেকে বলা হয়েছে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন করার জন্য যে কেউ প্রার্থী হতে পারবে সে ক্ষেত্রে কেউ যদি কোনো প্রার্থীকে সমর্থন করে সেটা তার অভিরুচি কিন্তু আমি কারও পক্ষে নামেনি।’
চট্টগ্রামে বাঁশখালী উপজেলার মোজাহের আলী (৪৮) নামে এক মামলার বাদীকে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) রাতে গন্ডামারা ইউনিয়নের পূর্ব বড়ঘোনা ৭ নং ওয়ার্ডের গোলাপ জানিতে এ ঘটনা ঘটে।
১৪ মিনিট আগেঝালকাঠিতে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীকে ঘিরে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের ঝালকাঠি জেলা শাখা ফের সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) রাতে ঝালকাঠি জেলা ছাত্রলীগের পক্ষে শেখ মুজিবর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার লাগানো
২৪ মিনিট আগেশরীয়তপুরে অ্যাম্বুলেন্স ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের বাঁধার মুখে জেলার বাইরের একটি অ্যাম্বুলেন্স অসুস্থ নবজাতককে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যেতে না পারায় এক নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় শরীয়তপুর জেলা শহরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রোগীর স্বজন ও
১ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে জেলা বিএনপির আওতাধীন আট নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এসব আদেশের পেছনে রয়েছে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ, খুন ও চাঁদাবাজির অভিযোগ। কিন্তু এভাবে একের পর এক বহিষ্কার করেও বিএনপির নেতা-কর্মীদের লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছে না। উল্টো তাঁরা নতুন নতুন অভিযোগে প্রশ্নবিদ্ধ...
৭ ঘণ্টা আগে