নিজস্ব প্রতিবেদক,বরিশাল থেকে

গতকাল রাত থেকেই কাছের নেতা-কর্মী, সমর্থক, স্বজন আর শুভাকাঙ্ক্ষীদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন বার্তা পাচ্ছিলেন। সকালে সেটা আরও বড় আকার ধারণ করে। বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসের সঙ্গে ফুল হাতে শুভেচ্ছা জানাতে আসেন সর্বস্তরের মানুষ। তীব্র রোদ আর গরম উপেক্ষা করে নগরীর কালু শাহ সড়কে খোকন সেরনিয়াবাতের বাড়ির সামনে এসব মানুষের অপেক্ষা বাড়তে থাকে। সবার মনে প্রশ্ন কখন বাড়ির সামনে আসবেন বরিশালের নতুন নগরপিতা? এর মাঝে ক্ষণে ক্ষণেই স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠছিল বাড়ির সামনের অংশ। অপেক্ষার অবসান হলো, সস্ত্রীক বাসার সামনে এলেন আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ(খোকন সেরনিয়াবাত)। সমবেত জনতার উদ্দেশ্যে হাত নাড়ালে আরও একবার স্লোগানে প্রকম্পিত হলো পুরো এলাকা।
সকাল থেকেই নতুন মেয়রের বাড়ির সামনে অপেক্ষায় ছিলেন নগর ভবনের চতুর্থ শ্রেণির একজন কর্মচারী ফয়সাল হোসেন৷ নতুন মেয়রকে নিয়ে তাঁর ভেতরে উৎসাহ-উদ্দীপনার কমতি নেই। তিনি বলেন, নানা ঝামেলার পরে নগরভবন একজন অভিভাবক পেল। আমরা যারা ছোট চাকরি করি তাদের কাছে মেয়রই সবকিছু। কে হবে না হবে (মেয়র) এটা নিয়ে একটা চিন্তা ছিল মনে৷ গতকাল যখন ঘোষণা হলো মেয়রের নাম। তখনই চিন্তা করেছিলাম সকালে এসে তাকে দেখে যাব দেখলাম, মনে হচ্ছে ভালো হবে।’
কথা বলে জানা গেল ফয়সাল শুধু একা নয় তাঁর মতো নগর ভবনে কাজ করা আরও অনেকেই এসেছেন নতুন মেয়রকে এক নজর দেখতে। আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী, নৌকার সমর্থকদের সঙ্গে নানা সাংস্কৃতিক সংগঠন সংশ্লিষ্ট লোকজনও এসেছেন শুভেচ্ছা জানাতে। এসব মানুষের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান নতুন মেয়রের কাছে নতুন প্রত্যাশার কথা। নিজেকে সাধারণ নাগরিক পরিচয় দিয়ে নিউ সার্কুলার রোডের এক বাসিন্দা বলেন, ‘নতুন মেয়রের কাছে আমাদের খুব সাধারণ প্রত্যাশা। তিনি যেন জনবান্ধব হন। প্রত্যেকটি কাজে ও সিদ্ধান্তে যেন তাঁর কাছে নাগরিক অধিকার অগ্রাধিকার পায়৷ এর বেশি কিছু আমরা প্রত্যাশা করি না।’
সংস্কৃতি কর্মী ফারজানা নূরী বলেন, ‘নগরের অভিভাবকের কাছে থেকে আমরা দায়িত্বশীল আচরণ আশা করি। এই বরিশালের মাটি, মানুষ, পরিবেশ ও সংস্কৃতিকে প্রাধান্য দিয়ে তিনি কাজ করবেন এটাই একজন সংস্কৃতি কর্মী হিসেবে আমরা আশা করি।’
দীর্ঘ দিন ক্যানসারের মতো ব্যাধি শরীরে বয়ে বেড়ানো নতুন এই নগর পিতা নির্বাচনী ধকল সামলে উঠতে পারেনি। চকচকে সকালেও তার চোখে-মুখে ক্লান্তির ছাপ। শুভেচ্ছা বিনিময়ের একপর্যায়ে তিনি উপস্থিত সাংবাদিক ও জনমানুষের উদ্দেশ্যে অল্প কিছুক্ষণ কথা বলেন। কৃতজ্ঞতার সুরে তিনি বলেন, ‘নগরবাসীকে ধন্যবাদ। তারা আমাকে বিপুল ভোট দিয়েছেন। বিভিন্ন বাঁধা বিপত্তির মধ্যেও তারা যে আমাকে গ্রহণ করেছে, তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি। সর্বস্তরের মানুষ যে ভালোবাসা দিয়েছে সেই ভালোবাসার মর্যাদা যেন আমি রক্ষা করতে পারি।’
তার দেওয়া নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি নিয়ে বলেন, ‘বরিশালবাসীর জন্য এই ইশতেহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি সবই অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করব। আমি বলব কোনটাই যেন বাদ না যায়। আমাকে মানুষ অত্যন্ত ভালোভাবে গ্রহণ করেছে। তারা আমাকে বিশ্বাস করেছে। এই বিশ্বাসের প্রতিফলন ঘটবে।’
কথা বলার অল্প কিছুক্ষণ পরেই তিনি বাসায় ঢুকে যান। বেলা ১২ টার পর আবার নৌকার অস্থায়ী নির্বাচনী কার্যালয়ে যান সস্ত্রীক। সেখানে নির্বাচনী পরিচালনা পর্ষদ ও নানা শ্রেণি-পেশা আর প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। তবে সার্কিট হাউস এলাকার এই কার্যালয়ে তিনি কোনো কথা বলেননি।

গতকাল রাত থেকেই কাছের নেতা-কর্মী, সমর্থক, স্বজন আর শুভাকাঙ্ক্ষীদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন বার্তা পাচ্ছিলেন। সকালে সেটা আরও বড় আকার ধারণ করে। বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসের সঙ্গে ফুল হাতে শুভেচ্ছা জানাতে আসেন সর্বস্তরের মানুষ। তীব্র রোদ আর গরম উপেক্ষা করে নগরীর কালু শাহ সড়কে খোকন সেরনিয়াবাতের বাড়ির সামনে এসব মানুষের অপেক্ষা বাড়তে থাকে। সবার মনে প্রশ্ন কখন বাড়ির সামনে আসবেন বরিশালের নতুন নগরপিতা? এর মাঝে ক্ষণে ক্ষণেই স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠছিল বাড়ির সামনের অংশ। অপেক্ষার অবসান হলো, সস্ত্রীক বাসার সামনে এলেন আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ(খোকন সেরনিয়াবাত)। সমবেত জনতার উদ্দেশ্যে হাত নাড়ালে আরও একবার স্লোগানে প্রকম্পিত হলো পুরো এলাকা।
সকাল থেকেই নতুন মেয়রের বাড়ির সামনে অপেক্ষায় ছিলেন নগর ভবনের চতুর্থ শ্রেণির একজন কর্মচারী ফয়সাল হোসেন৷ নতুন মেয়রকে নিয়ে তাঁর ভেতরে উৎসাহ-উদ্দীপনার কমতি নেই। তিনি বলেন, নানা ঝামেলার পরে নগরভবন একজন অভিভাবক পেল। আমরা যারা ছোট চাকরি করি তাদের কাছে মেয়রই সবকিছু। কে হবে না হবে (মেয়র) এটা নিয়ে একটা চিন্তা ছিল মনে৷ গতকাল যখন ঘোষণা হলো মেয়রের নাম। তখনই চিন্তা করেছিলাম সকালে এসে তাকে দেখে যাব দেখলাম, মনে হচ্ছে ভালো হবে।’
কথা বলে জানা গেল ফয়সাল শুধু একা নয় তাঁর মতো নগর ভবনে কাজ করা আরও অনেকেই এসেছেন নতুন মেয়রকে এক নজর দেখতে। আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী, নৌকার সমর্থকদের সঙ্গে নানা সাংস্কৃতিক সংগঠন সংশ্লিষ্ট লোকজনও এসেছেন শুভেচ্ছা জানাতে। এসব মানুষের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান নতুন মেয়রের কাছে নতুন প্রত্যাশার কথা। নিজেকে সাধারণ নাগরিক পরিচয় দিয়ে নিউ সার্কুলার রোডের এক বাসিন্দা বলেন, ‘নতুন মেয়রের কাছে আমাদের খুব সাধারণ প্রত্যাশা। তিনি যেন জনবান্ধব হন। প্রত্যেকটি কাজে ও সিদ্ধান্তে যেন তাঁর কাছে নাগরিক অধিকার অগ্রাধিকার পায়৷ এর বেশি কিছু আমরা প্রত্যাশা করি না।’
সংস্কৃতি কর্মী ফারজানা নূরী বলেন, ‘নগরের অভিভাবকের কাছে থেকে আমরা দায়িত্বশীল আচরণ আশা করি। এই বরিশালের মাটি, মানুষ, পরিবেশ ও সংস্কৃতিকে প্রাধান্য দিয়ে তিনি কাজ করবেন এটাই একজন সংস্কৃতি কর্মী হিসেবে আমরা আশা করি।’
দীর্ঘ দিন ক্যানসারের মতো ব্যাধি শরীরে বয়ে বেড়ানো নতুন এই নগর পিতা নির্বাচনী ধকল সামলে উঠতে পারেনি। চকচকে সকালেও তার চোখে-মুখে ক্লান্তির ছাপ। শুভেচ্ছা বিনিময়ের একপর্যায়ে তিনি উপস্থিত সাংবাদিক ও জনমানুষের উদ্দেশ্যে অল্প কিছুক্ষণ কথা বলেন। কৃতজ্ঞতার সুরে তিনি বলেন, ‘নগরবাসীকে ধন্যবাদ। তারা আমাকে বিপুল ভোট দিয়েছেন। বিভিন্ন বাঁধা বিপত্তির মধ্যেও তারা যে আমাকে গ্রহণ করেছে, তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি। সর্বস্তরের মানুষ যে ভালোবাসা দিয়েছে সেই ভালোবাসার মর্যাদা যেন আমি রক্ষা করতে পারি।’
তার দেওয়া নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি নিয়ে বলেন, ‘বরিশালবাসীর জন্য এই ইশতেহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি সবই অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করব। আমি বলব কোনটাই যেন বাদ না যায়। আমাকে মানুষ অত্যন্ত ভালোভাবে গ্রহণ করেছে। তারা আমাকে বিশ্বাস করেছে। এই বিশ্বাসের প্রতিফলন ঘটবে।’
কথা বলার অল্প কিছুক্ষণ পরেই তিনি বাসায় ঢুকে যান। বেলা ১২ টার পর আবার নৌকার অস্থায়ী নির্বাচনী কার্যালয়ে যান সস্ত্রীক। সেখানে নির্বাচনী পরিচালনা পর্ষদ ও নানা শ্রেণি-পেশা আর প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। তবে সার্কিট হাউস এলাকার এই কার্যালয়ে তিনি কোনো কথা বলেননি।

মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় থেমে থাকা একটি মালবাহী ট্রাকে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে ট্রাকে থাকা মালপত্রের একটি বড় অংশ পুড়ে গেছে। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। আজ বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) ভোর পৌনে ৪টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের আনারপুরা এলাকায় এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
৫ মিনিট আগে
কার্যক্রম নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামী লীগের ঢাকা লকডাউন কর্মসূচির অংশ হিসেবে ফরিদপুরে দেশীয় অস্ত্র হাতে মহাসড়ক অবরোধ করেছেন দলটির নেতা-কর্মীরা। এ সময় মহাসড়কে গাছের গুঁড়ি ও টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়। অবরোধ চলাকালে শিশুদেরও দেশীয় অস্ত্র রামদাসহ লাঠিসোঁটা হাতে সড়কে অবস্থান করতে দেখা যায়।
৮ মিনিট আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে রায়ের তারিখ ঘোষণাকে কেন্দ্র করে রাজধানীজুড়ে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে আছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা, সরকারি স্থাপনা ও প্রবেশপথে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা ব্য
১৬ মিনিট আগে
রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে দেখা গেছে—বাস স্টপেজে অপেক্ষমাণ যাত্রীদের। নির্ধারিত গন্তব্যের পর্যাপ্ত গাড়ি পাচ্ছেন না, ফলে অনেকেই বাধ্য হয়ে বিকল্প পরিবহন হিসেবে ব্যাটারিচালিত রিকশা, মোটরসাইকেল বা সিএনজিচালিত অটোরিকশা ব্যবহার করেন। এতে অতিরিক্ত ভাড়ার চাপও গুনতে হচ্ছে তাদের।
১ ঘণ্টা আগেগজারিয়া (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি

মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় থেমে থাকা একটি মালবাহী ট্রাকে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে ট্রাকের ভেতরে থাকা মালপত্রের একটি বড় অংশ পুড়ে গেছে। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। আজ বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) ভোর পৌনে ৪টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের আনারপুরা এলাকায় এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
গজারিয়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার মো. ফিরোজ মিয়া জানান, ভোর পৌনে ৪টার দিকে ট্রাকটিতে আগুন লাগে। ট্রাকটি পেপার তৈরির সরঞ্জাম বহন করছিল। এতে ট্রাকের কিছু অংশ ও তাতে থাকা মালপত্র পুড়ে যায়।
ফায়ার সার্ভিসের তথ্য অনুযায়ী, আগুনে প্রায় ২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। তবে তাদের তৎপরতায় প্রায় ১৪ লাখ টাকার মালপত্র উদ্ধার করা সম্ভব হয়।
অগ্নিকাণ্ডের সম্ভাব্য কারণ সম্পর্কে ফায়ার সার্ভিস প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, এটি উচ্ছৃঙ্খল জনতার আগুন লাগানোর ঘটনা হতে পারে।
ঘটনার পরপরই গজারিয়া ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।

মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় থেমে থাকা একটি মালবাহী ট্রাকে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে ট্রাকের ভেতরে থাকা মালপত্রের একটি বড় অংশ পুড়ে গেছে। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। আজ বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) ভোর পৌনে ৪টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের আনারপুরা এলাকায় এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
গজারিয়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার মো. ফিরোজ মিয়া জানান, ভোর পৌনে ৪টার দিকে ট্রাকটিতে আগুন লাগে। ট্রাকটি পেপার তৈরির সরঞ্জাম বহন করছিল। এতে ট্রাকের কিছু অংশ ও তাতে থাকা মালপত্র পুড়ে যায়।
ফায়ার সার্ভিসের তথ্য অনুযায়ী, আগুনে প্রায় ২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। তবে তাদের তৎপরতায় প্রায় ১৪ লাখ টাকার মালপত্র উদ্ধার করা সম্ভব হয়।
অগ্নিকাণ্ডের সম্ভাব্য কারণ সম্পর্কে ফায়ার সার্ভিস প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, এটি উচ্ছৃঙ্খল জনতার আগুন লাগানোর ঘটনা হতে পারে।
ঘটনার পরপরই গজারিয়া ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।

গতকাল রাত থেকেই কাছের নেতা-কর্মী, সমর্থক, স্বজন আর শুভাকাঙ্ক্ষীদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন বার্তা পাচ্ছিলেন। সকালে সেটা আরও বড় আকার ধারণ করে। বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসের সঙ্গে ফুল হাতে শুভেচ্ছা জানাতে আসেন সর্বস্তরের মানুষ
১৩ জুন ২০২৩
কার্যক্রম নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামী লীগের ঢাকা লকডাউন কর্মসূচির অংশ হিসেবে ফরিদপুরে দেশীয় অস্ত্র হাতে মহাসড়ক অবরোধ করেছেন দলটির নেতা-কর্মীরা। এ সময় মহাসড়কে গাছের গুঁড়ি ও টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়। অবরোধ চলাকালে শিশুদেরও দেশীয় অস্ত্র রামদাসহ লাঠিসোঁটা হাতে সড়কে অবস্থান করতে দেখা যায়।
৮ মিনিট আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে রায়ের তারিখ ঘোষণাকে কেন্দ্র করে রাজধানীজুড়ে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে আছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা, সরকারি স্থাপনা ও প্রবেশপথে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা ব্য
১৬ মিনিট আগে
রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে দেখা গেছে—বাস স্টপেজে অপেক্ষমাণ যাত্রীদের। নির্ধারিত গন্তব্যের পর্যাপ্ত গাড়ি পাচ্ছেন না, ফলে অনেকেই বাধ্য হয়ে বিকল্প পরিবহন হিসেবে ব্যাটারিচালিত রিকশা, মোটরসাইকেল বা সিএনজিচালিত অটোরিকশা ব্যবহার করেন। এতে অতিরিক্ত ভাড়ার চাপও গুনতে হচ্ছে তাদের।
১ ঘণ্টা আগেফরিদপুর প্রতিনিধি

কার্যক্রম নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামী লীগের ঢাকা লকডাউন কর্মসূচির অংশ হিসেবে ফরিদপুরে দেশীয় অস্ত্র হাতে মহাসড়ক অবরোধ করেছেন দলটির নেতা-কর্মীরা। এ সময় মহাসড়কে গাছের গুঁড়ি ও টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়। অবরোধ চলাকালে শিশুদেরও দেশীয় অস্ত্র রামদাসহ লাঠিসোঁটা হাতে সড়কে অবস্থান করতে দেখা যায়।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নের শুয়াদী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এই অবরোধ করা হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকাল ৯টা পর্যন্ত এই কর্মসূচি অব্যাহত ছিল।
জেলা যুবলীগ নেতা দেবাশীষ নয়নকে তাঁর ফেসবুকে লাইভ করতে দেখা যায়। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ওই লাইভ ভিডিওতে দেখা যায়, মহাসড়কটির ওপর গাছের গুঁড়ি ফেলে রেখে ও টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করছেন। এতে শতাধিক স্থানীয় নেতা-কর্মী দেশীয় অস্ত্র রামদা, ঢাল-সরকি হাতে মহাসড়কে অবস্থান করছেন। এ সময় নারীদের পাশাপাশি অন্ততপক্ষে ১০ জন শিশু হেলমেট মাথায় ও লাঠিসোঁটা হাতে সড়কে অবস্থান করে, তাঁদের মধ্যে একটি শিশুর হাতে রামদা নিয়ে স্লোগান দিতে দেখা যায়।
এ সময়ে ঢাকামুখী যানবাহনসহ সড়কের দুই পাশে বেশ কিছু গাড়ি আটকা পড়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ভাঙ্গা থেকে গোপালগঞ্জমুখী ওই এলাকা আওয়ামী লীগ অধ্যুষিত। লকডাউন কর্মসূচি ঘোষণার আগে থেকে ফরিদপুরের বিভিন্ন এলাকার নেতা-কর্মীরা ওই এলাকায় অবস্থান করেন। ভোর থেকে কয়েকজন নেতা-কর্মী লকডাউনের সমর্থনে সড়কে অবস্থান নেন এবং পরে অন্যরা যোগ দিয়ে পুরো রাস্তা অবরোধ করেন। এতে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সকাল সোয়া ৯টার দিকে ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আশরাফ হোসেনের মোবাইলে একাধিকবার কল দিলে তিনি কেটে দেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মোবাইলে কল দিয়েও সাড়া পাওয়া যায়নি।
ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রোকিবুজ্জামান বলেন, ‘ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের মাধবপুরে অবরোধকারীরা অবরোধ করতে পারেনি। তবে ভাঙ্গার পুলিয়া এলাকায় অবরোধ করা হলেও সেটি এক ঘণ্টার মধ্যেই অপসারণ করা হয়েছে। পুলিশ অবরোধ সরিয়ে নিতে নিরবচ্ছিন্ন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’
এদিকে ফরিদপুর বাসমালিক কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত তারা সকল পথে বাস চলাচল বন্ধ রেখেছেন।
গোল্ডেন লাইন বাস কাউন্টারের ম্যানেজার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, সকাল ৬টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। পরিস্থিতি বুঝে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে ফরিদপুর বাসমালিক গ্রুপের নেতা কামরুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন, ‘আমরা বাস চালাতে চাই, তবে যাত্রী না পেলে তো বাস চালানো সম্ভব নয়। খালি বাস নিয়ে তো আর পথে নামা যায় না।’

কার্যক্রম নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামী লীগের ঢাকা লকডাউন কর্মসূচির অংশ হিসেবে ফরিদপুরে দেশীয় অস্ত্র হাতে মহাসড়ক অবরোধ করেছেন দলটির নেতা-কর্মীরা। এ সময় মহাসড়কে গাছের গুঁড়ি ও টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়। অবরোধ চলাকালে শিশুদেরও দেশীয় অস্ত্র রামদাসহ লাঠিসোঁটা হাতে সড়কে অবস্থান করতে দেখা যায়।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নের শুয়াদী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এই অবরোধ করা হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকাল ৯টা পর্যন্ত এই কর্মসূচি অব্যাহত ছিল।
জেলা যুবলীগ নেতা দেবাশীষ নয়নকে তাঁর ফেসবুকে লাইভ করতে দেখা যায়। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ওই লাইভ ভিডিওতে দেখা যায়, মহাসড়কটির ওপর গাছের গুঁড়ি ফেলে রেখে ও টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করছেন। এতে শতাধিক স্থানীয় নেতা-কর্মী দেশীয় অস্ত্র রামদা, ঢাল-সরকি হাতে মহাসড়কে অবস্থান করছেন। এ সময় নারীদের পাশাপাশি অন্ততপক্ষে ১০ জন শিশু হেলমেট মাথায় ও লাঠিসোঁটা হাতে সড়কে অবস্থান করে, তাঁদের মধ্যে একটি শিশুর হাতে রামদা নিয়ে স্লোগান দিতে দেখা যায়।
এ সময়ে ঢাকামুখী যানবাহনসহ সড়কের দুই পাশে বেশ কিছু গাড়ি আটকা পড়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ভাঙ্গা থেকে গোপালগঞ্জমুখী ওই এলাকা আওয়ামী লীগ অধ্যুষিত। লকডাউন কর্মসূচি ঘোষণার আগে থেকে ফরিদপুরের বিভিন্ন এলাকার নেতা-কর্মীরা ওই এলাকায় অবস্থান করেন। ভোর থেকে কয়েকজন নেতা-কর্মী লকডাউনের সমর্থনে সড়কে অবস্থান নেন এবং পরে অন্যরা যোগ দিয়ে পুরো রাস্তা অবরোধ করেন। এতে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সকাল সোয়া ৯টার দিকে ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আশরাফ হোসেনের মোবাইলে একাধিকবার কল দিলে তিনি কেটে দেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মোবাইলে কল দিয়েও সাড়া পাওয়া যায়নি।
ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রোকিবুজ্জামান বলেন, ‘ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের মাধবপুরে অবরোধকারীরা অবরোধ করতে পারেনি। তবে ভাঙ্গার পুলিয়া এলাকায় অবরোধ করা হলেও সেটি এক ঘণ্টার মধ্যেই অপসারণ করা হয়েছে। পুলিশ অবরোধ সরিয়ে নিতে নিরবচ্ছিন্ন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’
এদিকে ফরিদপুর বাসমালিক কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত তারা সকল পথে বাস চলাচল বন্ধ রেখেছেন।
গোল্ডেন লাইন বাস কাউন্টারের ম্যানেজার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, সকাল ৬টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। পরিস্থিতি বুঝে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে ফরিদপুর বাসমালিক গ্রুপের নেতা কামরুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন, ‘আমরা বাস চালাতে চাই, তবে যাত্রী না পেলে তো বাস চালানো সম্ভব নয়। খালি বাস নিয়ে তো আর পথে নামা যায় না।’

গতকাল রাত থেকেই কাছের নেতা-কর্মী, সমর্থক, স্বজন আর শুভাকাঙ্ক্ষীদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন বার্তা পাচ্ছিলেন। সকালে সেটা আরও বড় আকার ধারণ করে। বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসের সঙ্গে ফুল হাতে শুভেচ্ছা জানাতে আসেন সর্বস্তরের মানুষ
১৩ জুন ২০২৩
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় থেমে থাকা একটি মালবাহী ট্রাকে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে ট্রাকে থাকা মালপত্রের একটি বড় অংশ পুড়ে গেছে। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। আজ বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) ভোর পৌনে ৪টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের আনারপুরা এলাকায় এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
৫ মিনিট আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে রায়ের তারিখ ঘোষণাকে কেন্দ্র করে রাজধানীজুড়ে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে আছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা, সরকারি স্থাপনা ও প্রবেশপথে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা ব্য
১৬ মিনিট আগে
রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে দেখা গেছে—বাস স্টপেজে অপেক্ষমাণ যাত্রীদের। নির্ধারিত গন্তব্যের পর্যাপ্ত গাড়ি পাচ্ছেন না, ফলে অনেকেই বাধ্য হয়ে বিকল্প পরিবহন হিসেবে ব্যাটারিচালিত রিকশা, মোটরসাইকেল বা সিএনজিচালিত অটোরিকশা ব্যবহার করেন। এতে অতিরিক্ত ভাড়ার চাপও গুনতে হচ্ছে তাদের।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে রায়ের তারিখ ঘোষণাকে কেন্দ্র করে রাজধানীজুড়ে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে আছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা, সরকারি স্থাপনা ও প্রবেশপথে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তাব্যবস্থা। মাঠে নেমেছে সেনাবাহিনী, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এবং আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্যরা।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে যৌথ বাহিনীর সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে। কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে বিজিবির সাঁজোয়া যান অবস্থান নিয়েছে। শাহবাগ, ফার্মগেট, বাংলামোটর, কারওয়ান বাজার, মহাখালী, গাবতলী, মিরপুরসহ শহরের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ ও সেনাসদস্যদের সতর্ক টহল অব্যাহত রয়েছে।
ডিএমপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রায়ের তারিখ ঘোষণা ও কার্যক্রম নিষিদ্ধ দল আওয়ামী লীগের পাল্টা কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে যেকোনো ধরনের নাশকতা বা সহিংসতা প্রতিরোধে বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ জন্য রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ১৭ হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। তাঁদের সহায়তায় সেনাবাহিনী, বিজিবি এবং পুলিশের বিশেষ ইউনিটের সদস্যরাও মাঠে রয়েছেন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক সূত্র জানায়, গতকাল বুধবার রাত থেকেই রাজধানীতে নিরাপত্তা জোরদারের অংশ হিসেবে ঢাকায় প্রবেশপথগুলোয় তল্লাশি কার্যক্রম শুরু হয়। গাবতলী, যাত্রাবাড়ী, মহাখালী, সাইনবোর্ড ও আব্দুল্লাহপুরে স্থাপন করা হয় বিশেষ চেকপোস্ট। সেখানে গণপরিবহন ও সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের তল্লাশি করা হয়। পাশাপাশি রাজধানীর বিভিন্ন আবাসিক হোটেল, গেস্ট হাউস ও মেসে অভিযান চালিয়ে রাতভর তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার সকালেও সেই কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। সকাল ৭টার পর থেকে হাইকোর্ট এলাকায় আসার পথে বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশকে সতর্ক অবস্থানে থাকতে দেখা গেছে। বিমানবন্দরে প্রবেশ করা গাড়িগুলোতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। শুধু বিমানযাত্রীদেরই প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। তবে অন্যদের গাড়ি থেকে নামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
সকালে ঢাকার সড়কে যান চলাচল ছিল স্বাভাবিকের তুলনায় কিছুটা কম। তবু প্রয়োজনীয় যানবাহন ও কর্মস্থলগামী মানুষ চলাফেরা করছিলেন। বাংলামোটর মোড়, শাহবাগ, ফার্মগেট ও কারওয়ান বাজারে পুলিশ ও বিজিবি সদস্যদের যৌথ টহল চোখে পড়ে। হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ে পুলিশ চেকপোস্ট স্থাপন করেছে।
প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন ‘যমুনা’ অভিমুখে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে; সেই পথে যেতে চাওয়া গাড়িগুলোকে শাহবাগের দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। রামপুরায় বিটিভি ভবন ও সবুজবাগ এলাকায়ও চেকপোস্ট কার্যক্রম চলছে।
অন্যদিকে রাজধানীর সায়েদাবাদ থেকে সীমিত আকারে দূরপাল্লার বাস চলাচল করছে। অনেক পরিবহন মালিক নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে বাস না চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। সায়েদাবাদ ও গাবতলী টার্মিনালে গিয়ে দেখা গেছে, যাত্রীরা গন্তব্যে যাওয়ার বাসের অপেক্ষায় দীর্ঘ সময় ধরে অবস্থান করছেন।
পরিবহন মালিক ও শ্রমিকেরা জানান, সম্প্রতি বিভিন্ন এলাকায় বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর তাঁরা আতঙ্কিত। এক পরিবহনের মালিক বলেন, ‘এত টাকার গাড়ি রাস্তায় নামিয়ে যদি পুড়িয়ে দেয়, আমরা নিঃস্ব হয়ে যাব। তা ছাড়া গাড়িতে যাত্রী থাকলে ক্ষয়ক্ষতি আরও ভয়াবহ হতে পারে। তাই সকাল থেকে অনেকেই গাড়ি চালাচ্ছেন না; পরিস্থিতি বুঝে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) মুখপাত্র তালেবুর রহমান বলেন, ‘রাজধানীতে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। নগরবাসীর আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। প্রতিটি এলাকা, প্রবেশপথ ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আমাদের সদস্যরা প্রস্তুত রয়েছেন।’ তিনি আরও জানান, যেকোনো গুজব বা উসকানিমূলক কার্যক্রম কঠোরভাবে দমন করা হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং জনগণকে সহযোগিতামূলক ভূমিকা রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে রায়ের তারিখ ঘোষণাকে কেন্দ্র করে রাজধানীজুড়ে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে আছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা, সরকারি স্থাপনা ও প্রবেশপথে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তাব্যবস্থা। মাঠে নেমেছে সেনাবাহিনী, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এবং আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্যরা।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে যৌথ বাহিনীর সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে। কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে বিজিবির সাঁজোয়া যান অবস্থান নিয়েছে। শাহবাগ, ফার্মগেট, বাংলামোটর, কারওয়ান বাজার, মহাখালী, গাবতলী, মিরপুরসহ শহরের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ ও সেনাসদস্যদের সতর্ক টহল অব্যাহত রয়েছে।
ডিএমপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রায়ের তারিখ ঘোষণা ও কার্যক্রম নিষিদ্ধ দল আওয়ামী লীগের পাল্টা কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে যেকোনো ধরনের নাশকতা বা সহিংসতা প্রতিরোধে বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ জন্য রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ১৭ হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। তাঁদের সহায়তায় সেনাবাহিনী, বিজিবি এবং পুলিশের বিশেষ ইউনিটের সদস্যরাও মাঠে রয়েছেন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক সূত্র জানায়, গতকাল বুধবার রাত থেকেই রাজধানীতে নিরাপত্তা জোরদারের অংশ হিসেবে ঢাকায় প্রবেশপথগুলোয় তল্লাশি কার্যক্রম শুরু হয়। গাবতলী, যাত্রাবাড়ী, মহাখালী, সাইনবোর্ড ও আব্দুল্লাহপুরে স্থাপন করা হয় বিশেষ চেকপোস্ট। সেখানে গণপরিবহন ও সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের তল্লাশি করা হয়। পাশাপাশি রাজধানীর বিভিন্ন আবাসিক হোটেল, গেস্ট হাউস ও মেসে অভিযান চালিয়ে রাতভর তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার সকালেও সেই কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। সকাল ৭টার পর থেকে হাইকোর্ট এলাকায় আসার পথে বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশকে সতর্ক অবস্থানে থাকতে দেখা গেছে। বিমানবন্দরে প্রবেশ করা গাড়িগুলোতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। শুধু বিমানযাত্রীদেরই প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। তবে অন্যদের গাড়ি থেকে নামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
সকালে ঢাকার সড়কে যান চলাচল ছিল স্বাভাবিকের তুলনায় কিছুটা কম। তবু প্রয়োজনীয় যানবাহন ও কর্মস্থলগামী মানুষ চলাফেরা করছিলেন। বাংলামোটর মোড়, শাহবাগ, ফার্মগেট ও কারওয়ান বাজারে পুলিশ ও বিজিবি সদস্যদের যৌথ টহল চোখে পড়ে। হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ে পুলিশ চেকপোস্ট স্থাপন করেছে।
প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন ‘যমুনা’ অভিমুখে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে; সেই পথে যেতে চাওয়া গাড়িগুলোকে শাহবাগের দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। রামপুরায় বিটিভি ভবন ও সবুজবাগ এলাকায়ও চেকপোস্ট কার্যক্রম চলছে।
অন্যদিকে রাজধানীর সায়েদাবাদ থেকে সীমিত আকারে দূরপাল্লার বাস চলাচল করছে। অনেক পরিবহন মালিক নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে বাস না চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। সায়েদাবাদ ও গাবতলী টার্মিনালে গিয়ে দেখা গেছে, যাত্রীরা গন্তব্যে যাওয়ার বাসের অপেক্ষায় দীর্ঘ সময় ধরে অবস্থান করছেন।
পরিবহন মালিক ও শ্রমিকেরা জানান, সম্প্রতি বিভিন্ন এলাকায় বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর তাঁরা আতঙ্কিত। এক পরিবহনের মালিক বলেন, ‘এত টাকার গাড়ি রাস্তায় নামিয়ে যদি পুড়িয়ে দেয়, আমরা নিঃস্ব হয়ে যাব। তা ছাড়া গাড়িতে যাত্রী থাকলে ক্ষয়ক্ষতি আরও ভয়াবহ হতে পারে। তাই সকাল থেকে অনেকেই গাড়ি চালাচ্ছেন না; পরিস্থিতি বুঝে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) মুখপাত্র তালেবুর রহমান বলেন, ‘রাজধানীতে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। নগরবাসীর আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। প্রতিটি এলাকা, প্রবেশপথ ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আমাদের সদস্যরা প্রস্তুত রয়েছেন।’ তিনি আরও জানান, যেকোনো গুজব বা উসকানিমূলক কার্যক্রম কঠোরভাবে দমন করা হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং জনগণকে সহযোগিতামূলক ভূমিকা রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে।

গতকাল রাত থেকেই কাছের নেতা-কর্মী, সমর্থক, স্বজন আর শুভাকাঙ্ক্ষীদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন বার্তা পাচ্ছিলেন। সকালে সেটা আরও বড় আকার ধারণ করে। বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসের সঙ্গে ফুল হাতে শুভেচ্ছা জানাতে আসেন সর্বস্তরের মানুষ
১৩ জুন ২০২৩
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় থেমে থাকা একটি মালবাহী ট্রাকে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে ট্রাকে থাকা মালপত্রের একটি বড় অংশ পুড়ে গেছে। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। আজ বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) ভোর পৌনে ৪টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের আনারপুরা এলাকায় এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
৫ মিনিট আগে
কার্যক্রম নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামী লীগের ঢাকা লকডাউন কর্মসূচির অংশ হিসেবে ফরিদপুরে দেশীয় অস্ত্র হাতে মহাসড়ক অবরোধ করেছেন দলটির নেতা-কর্মীরা। এ সময় মহাসড়কে গাছের গুঁড়ি ও টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়। অবরোধ চলাকালে শিশুদেরও দেশীয় অস্ত্র রামদাসহ লাঠিসোঁটা হাতে সড়কে অবস্থান করতে দেখা যায়।
৮ মিনিট আগে
রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে দেখা গেছে—বাস স্টপেজে অপেক্ষমাণ যাত্রীদের। নির্ধারিত গন্তব্যের পর্যাপ্ত গাড়ি পাচ্ছেন না, ফলে অনেকেই বাধ্য হয়ে বিকল্প পরিবহন হিসেবে ব্যাটারিচালিত রিকশা, মোটরসাইকেল বা সিএনজিচালিত অটোরিকশা ব্যবহার করেন। এতে অতিরিক্ত ভাড়ার চাপও গুনতে হচ্ছে তাদের।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কার্যক্রম নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের ঘোষিত ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচির প্রভাবে আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রাজধানী ঢাকায় গণপরিবহনের সংখ্যা কম দেখা গেছে। সকাল থেকে ১০টা পর্যন্ত বিভিন্ন সড়কে বাসের সংখ্যা ছিল স্বাভাবিক সময়ের অর্ধেকেরও কম। এতে অফিসগামী সাধারণ যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েন।

রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে দেখা গেছে—বাস স্টপেজে অপেক্ষমাণ যাত্রীদের। নির্ধারিত গন্তব্যের পর্যাপ্ত গাড়ি পাচ্ছেন না, ফলে অনেকেই বাধ্য হয়ে বিকল্প পরিবহন হিসেবে ব্যাটারিচালিত রিকশা, মোটরসাইকেল বা সিএনজিচালিত অটোরিকশা ব্যবহার করেন। এতে অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে তাঁদের।

কর্মজীবী নারী সাদিয়া রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সকাল ৯টায় অফিসের উদ্দেশে বের হয়েছি, কিন্তু বাস পাচ্ছিলাম না। প্রায় ২০ মিনিট দাঁড়িয়ে থেকে শেষে রিকশায় উঠতে হয়েছে। সাধারণত ৫০ টাকা ভাড়ায় যাই, আজ দিতে হলো ১০০ টাকা।’

মতিঝিলগামী যাত্রী শাহিনুর ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজকে বাস খুব কম। যে দু-একটা আসে, তাতেও জায়গা পাওয়া যায় না। সবাই ঠেলাঠেলি করছে, কেউ কেউ রাস্তায় ঝুলে যাচ্ছে। তা ছাড়া হঠাৎ বাসে আগুন দেওয়া হচ্ছে। এতে বাসে চড়াও বেশ ঝুঁকি। যত ভোগান্তি আমাদের মতো সাধারণ নাগরিকদের।’

যাত্রাবাড়ী-টঙ্গী রুটে চলা তুরাগ পরিবহনের চালক মো. বিল্লাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পেটের দায়ে ঝুঁকি নিয়ে বাস নিয়ে বের হয়েছি। বাস না চালানোর কোনো নির্দেশনা আমাদের নেই। অনেক বাস পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে, সেই আতঙ্কে অনেক মালিক গাড়ি বের করছেন না। যার ফলে সড়কে গণপরিবহন কিছুটা কম।’

ঢাকা থেকে দূরপাল্লার পরিবহন চলাচল করছে। তবে বাস তুলনামূলক কম চলছে। এর সঙ্গে দূরপাল্লার রুটে রয়েছে কিছুটা যাত্রী সংকট। মালিকেরা অবস্থা বুঝে দু-একটি করে গাড়ি বিভিন্ন রুটে ছাড়ছেন।
এদিকে সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস হিসেবে আজ রাজধানীতে মানুষের চলাফেরা তুলনামূলকভাবে অনেক কম দেখা গেছে। এর কারণ হিসেবে সাধারণ মানুষ বলছেন—রাজনৈতিক কর্মসূচি, বাসে আগুন দেওয়া, যেখানে সেখানে পেট্রল বোমা ছোড়া। এতে মানুষের মধ্যে কিছুটা ভীতি তৈরি হয়েছে। ফলে প্রয়োজন ছাড়া বের হতে চাচ্ছেন না।

কার্যক্রম নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের ঘোষিত ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচির প্রভাবে আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রাজধানী ঢাকায় গণপরিবহনের সংখ্যা কম দেখা গেছে। সকাল থেকে ১০টা পর্যন্ত বিভিন্ন সড়কে বাসের সংখ্যা ছিল স্বাভাবিক সময়ের অর্ধেকেরও কম। এতে অফিসগামী সাধারণ যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েন।

রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে দেখা গেছে—বাস স্টপেজে অপেক্ষমাণ যাত্রীদের। নির্ধারিত গন্তব্যের পর্যাপ্ত গাড়ি পাচ্ছেন না, ফলে অনেকেই বাধ্য হয়ে বিকল্প পরিবহন হিসেবে ব্যাটারিচালিত রিকশা, মোটরসাইকেল বা সিএনজিচালিত অটোরিকশা ব্যবহার করেন। এতে অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে তাঁদের।

কর্মজীবী নারী সাদিয়া রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সকাল ৯টায় অফিসের উদ্দেশে বের হয়েছি, কিন্তু বাস পাচ্ছিলাম না। প্রায় ২০ মিনিট দাঁড়িয়ে থেকে শেষে রিকশায় উঠতে হয়েছে। সাধারণত ৫০ টাকা ভাড়ায় যাই, আজ দিতে হলো ১০০ টাকা।’

মতিঝিলগামী যাত্রী শাহিনুর ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজকে বাস খুব কম। যে দু-একটা আসে, তাতেও জায়গা পাওয়া যায় না। সবাই ঠেলাঠেলি করছে, কেউ কেউ রাস্তায় ঝুলে যাচ্ছে। তা ছাড়া হঠাৎ বাসে আগুন দেওয়া হচ্ছে। এতে বাসে চড়াও বেশ ঝুঁকি। যত ভোগান্তি আমাদের মতো সাধারণ নাগরিকদের।’

যাত্রাবাড়ী-টঙ্গী রুটে চলা তুরাগ পরিবহনের চালক মো. বিল্লাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পেটের দায়ে ঝুঁকি নিয়ে বাস নিয়ে বের হয়েছি। বাস না চালানোর কোনো নির্দেশনা আমাদের নেই। অনেক বাস পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে, সেই আতঙ্কে অনেক মালিক গাড়ি বের করছেন না। যার ফলে সড়কে গণপরিবহন কিছুটা কম।’

ঢাকা থেকে দূরপাল্লার পরিবহন চলাচল করছে। তবে বাস তুলনামূলক কম চলছে। এর সঙ্গে দূরপাল্লার রুটে রয়েছে কিছুটা যাত্রী সংকট। মালিকেরা অবস্থা বুঝে দু-একটি করে গাড়ি বিভিন্ন রুটে ছাড়ছেন।
এদিকে সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস হিসেবে আজ রাজধানীতে মানুষের চলাফেরা তুলনামূলকভাবে অনেক কম দেখা গেছে। এর কারণ হিসেবে সাধারণ মানুষ বলছেন—রাজনৈতিক কর্মসূচি, বাসে আগুন দেওয়া, যেখানে সেখানে পেট্রল বোমা ছোড়া। এতে মানুষের মধ্যে কিছুটা ভীতি তৈরি হয়েছে। ফলে প্রয়োজন ছাড়া বের হতে চাচ্ছেন না।

গতকাল রাত থেকেই কাছের নেতা-কর্মী, সমর্থক, স্বজন আর শুভাকাঙ্ক্ষীদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন বার্তা পাচ্ছিলেন। সকালে সেটা আরও বড় আকার ধারণ করে। বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসের সঙ্গে ফুল হাতে শুভেচ্ছা জানাতে আসেন সর্বস্তরের মানুষ
১৩ জুন ২০২৩
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় থেমে থাকা একটি মালবাহী ট্রাকে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে ট্রাকে থাকা মালপত্রের একটি বড় অংশ পুড়ে গেছে। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। আজ বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) ভোর পৌনে ৪টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের আনারপুরা এলাকায় এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
৫ মিনিট আগে
কার্যক্রম নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামী লীগের ঢাকা লকডাউন কর্মসূচির অংশ হিসেবে ফরিদপুরে দেশীয় অস্ত্র হাতে মহাসড়ক অবরোধ করেছেন দলটির নেতা-কর্মীরা। এ সময় মহাসড়কে গাছের গুঁড়ি ও টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়। অবরোধ চলাকালে শিশুদেরও দেশীয় অস্ত্র রামদাসহ লাঠিসোঁটা হাতে সড়কে অবস্থান করতে দেখা যায়।
৮ মিনিট আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে রায়ের তারিখ ঘোষণাকে কেন্দ্র করে রাজধানীজুড়ে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে আছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা, সরকারি স্থাপনা ও প্রবেশপথে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা ব্য
১৬ মিনিট আগে