পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি
বরগুনার পাথরঘাটায় মহান একুশের রাতে অস্থায়ী একটি শহীদ মিনার ভেঙে ফেলা হয়েছে। একুশের প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর রাতের কোনো এক সময় কলাগাছের ওই শহীদ মিনার কুপিয়ে খণ্ড বিখন্ড করেছে দুর্বৃত্তরা। তবে কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে কেউ না দেখলেও অভিযোগ উঠেছে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
গতকাল রোববার দিবাগত রাতে উপজেলার ১ নম্বর রায়হানপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের জামিরতলা ঈদগাহ মাঠের সামনে ফোরকান মাস্টারের মক্তব (বর্তমানে ইউনিয়ন ছাত্রলীগ অফিস) এর মাঠে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ সব মহলে ক্ষোভ, অসন্তোষ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।
পরবর্তীতে পাথরঘাটা থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তোফায়েল আহমেদ সরকার।
পাথরঘাটা থানা-পুলিশ সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় ছাত্রলীগের শাহরিয়ার মুবিন, সালমান, বায়জিদ, শাকিলসহ অন্যান্য নেতা-কর্মীদের উদ্যোগে ভাষা শহীদদের ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য কলাগাছ দিয়ে অস্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ করে প্রথম প্রহরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বাড়িতে চলে যান। পরে রাতের অন্ধকারে বা কারা অস্থায়ী শহীদ মিনারটি কেটে রেখে চলে যায়। পরবর্তীতে সকালে শহীদ মিনারটি স্থানীয় লোকজন ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা কাটা অবস্থায় দেখতে পান। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
রায়হানপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এইএম ওয়াহিদ মুরাদ বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ইউনিয়নের ওয়ার্ড ভিত্তিক অস্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ করে ভাষা শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়। গতকাল রোববার সন্ধ্যার পর জামিরতলা গ্রামের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুলের বাড়ি থেকে ফুল আনা নিয়ে ৪ নম্বর ওয়ার্ড শহীদ মিনার আয়োজকদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। আমাদের ধারণা যাদের সঙ্গে ফুল নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়েছে তারাই এ ঘটনা ঘটাতে পারে।
তিনি আরও বলেন, এটি দুঃখজনক মাতৃভাষা দিবসে ভাষার জন্য যারা শহীদ হয়েছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধায় তৈরি শহীদ মিনার ভেঙে ফেলা হয়েছে। আমরা এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
শহীদ মিনার ভাঙার প্রতিবাদে সকাল ১০টায় লেমুয়া বাজার সংলগ্ন শহীদ মিনারের সামনে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের উদ্যোগে একটি মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় দোষীদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দাবি করেন তাঁরা। এ সময় নেতা-কর্মীরা আগামীকালকেও মানববন্ধনের ঘোষণা দেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ মিথ্যা এবং বানোয়াট। কীভাবে আওয়ামী লীগের সদস্য ও বাংলাদেশের একজন নাগরিক হয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি এমন অশ্রদ্ধা করি? আমার সঙ্গে মুবিন, রিফাত, সালমানের পূর্ব বিরোধ ও আমাদের সঙ্গে জমিজমা বিরোধের ঘটনায় আমাকে এ ঘটনায় ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হোসাইন মুহাম্মদ আল মুজাহিদ বলেন, এ বিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পাথরঘাটা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আবুল বাশার জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি। তবে তদন্ত চলছে। এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হবে।
বরগুনার পাথরঘাটায় মহান একুশের রাতে অস্থায়ী একটি শহীদ মিনার ভেঙে ফেলা হয়েছে। একুশের প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর রাতের কোনো এক সময় কলাগাছের ওই শহীদ মিনার কুপিয়ে খণ্ড বিখন্ড করেছে দুর্বৃত্তরা। তবে কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে কেউ না দেখলেও অভিযোগ উঠেছে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
গতকাল রোববার দিবাগত রাতে উপজেলার ১ নম্বর রায়হানপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের জামিরতলা ঈদগাহ মাঠের সামনে ফোরকান মাস্টারের মক্তব (বর্তমানে ইউনিয়ন ছাত্রলীগ অফিস) এর মাঠে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ সব মহলে ক্ষোভ, অসন্তোষ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।
পরবর্তীতে পাথরঘাটা থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তোফায়েল আহমেদ সরকার।
পাথরঘাটা থানা-পুলিশ সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় ছাত্রলীগের শাহরিয়ার মুবিন, সালমান, বায়জিদ, শাকিলসহ অন্যান্য নেতা-কর্মীদের উদ্যোগে ভাষা শহীদদের ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য কলাগাছ দিয়ে অস্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ করে প্রথম প্রহরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বাড়িতে চলে যান। পরে রাতের অন্ধকারে বা কারা অস্থায়ী শহীদ মিনারটি কেটে রেখে চলে যায়। পরবর্তীতে সকালে শহীদ মিনারটি স্থানীয় লোকজন ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা কাটা অবস্থায় দেখতে পান। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
রায়হানপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এইএম ওয়াহিদ মুরাদ বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ইউনিয়নের ওয়ার্ড ভিত্তিক অস্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ করে ভাষা শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়। গতকাল রোববার সন্ধ্যার পর জামিরতলা গ্রামের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুলের বাড়ি থেকে ফুল আনা নিয়ে ৪ নম্বর ওয়ার্ড শহীদ মিনার আয়োজকদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। আমাদের ধারণা যাদের সঙ্গে ফুল নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়েছে তারাই এ ঘটনা ঘটাতে পারে।
তিনি আরও বলেন, এটি দুঃখজনক মাতৃভাষা দিবসে ভাষার জন্য যারা শহীদ হয়েছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধায় তৈরি শহীদ মিনার ভেঙে ফেলা হয়েছে। আমরা এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
শহীদ মিনার ভাঙার প্রতিবাদে সকাল ১০টায় লেমুয়া বাজার সংলগ্ন শহীদ মিনারের সামনে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের উদ্যোগে একটি মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় দোষীদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দাবি করেন তাঁরা। এ সময় নেতা-কর্মীরা আগামীকালকেও মানববন্ধনের ঘোষণা দেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ মিথ্যা এবং বানোয়াট। কীভাবে আওয়ামী লীগের সদস্য ও বাংলাদেশের একজন নাগরিক হয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি এমন অশ্রদ্ধা করি? আমার সঙ্গে মুবিন, রিফাত, সালমানের পূর্ব বিরোধ ও আমাদের সঙ্গে জমিজমা বিরোধের ঘটনায় আমাকে এ ঘটনায় ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হোসাইন মুহাম্মদ আল মুজাহিদ বলেন, এ বিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পাথরঘাটা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আবুল বাশার জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি। তবে তদন্ত চলছে। এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হবে।
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে সমন্বিত মৎস্য খামার। মাছ চাষের পাশাপাশি একই স্থানে হাঁস-মুরগি ও গবাদিপশু পালন করে বেশ ভালো লাভ করছেন খামারিরা। তবে অর্থনৈতিক সুবিধার আড়ালে স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য এক অদৃশ্য হুমকি হয়ে উঠেছে সমন্বিত এ খামারপদ্ধতি।
২ ঘণ্টা আগেবিশাল সেতু। তারই দুই পাশে পাড় দখল করে স্থাপনা নির্মাণের হিড়িক পড়েছে। কেউ নির্মাণ করছে বাড়ি। কেউ কেউ নির্মাণ করছে দোকানপাট। এ ছাড়া মাটি কেটে নিজেদের ইচ্ছামাফিক সীমানা তৈরি করে সেতুর জমি ভোগদখল করছে। স্থাপনা নির্মাণের জন্য কেউ কেউ সেতুর সিসি ব্লকও কেটে ফেলেছে।
২ ঘণ্টা আগেচাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ছিলেন জান মোহাম্মদ। এই প্রতিষ্ঠানের খাদ্য পরিদর্শক ও সদর খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাকিলা নাসরিন। এই দুজনের নেতৃত্বে গড়ে উঠেছে দুর্নীতির সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেট ভাঙতে জান মোহাম্মদকে বদলি করা হয়েছে। তবে তিনি নতুন কর্মস্থলে যোগ না দিয়ে...
২ ঘণ্টা আগেফুটে আছে জারুল, কৃষ্ণচূড়া, হিজল, সোনালু, বন বেলি। দিনে ক্যাম্পাসজুড়ে এমন ফুল চোখে পড়ছে। আর রাতে আলোর রোশনাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক হয়ে ভেতরে ঢুকলেই চোখে পড়বে আলোর ঝলকানি। প্রতিটি ভবনে করা হয়েছে লাল-নীল রঙের আলোকসজ্জা। এই চিত্র চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি)।
২ ঘণ্টা আগে