Ajker Patrika

ভোলায় ৬৪৮ কোটি টাকায় খনন করা হবে তিনটি গ্যাসকূপ

নিজস্ব প্রতিবেদক
ভোলায় ৬৪৮ কোটি টাকায় খনন করা হবে তিনটি গ্যাসকূপ

ঢাকা: ভোলা জেলায় গ্যাস উত্তোলনের জন্য ৬৪৮ কোটি টাকা ব্যয়ে টার্ন-কি পদ্ধতিতে তিনটি কূপ খনন কাজের অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এ ছাড়া বৈঠকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমসহ রাডার স্থাপন কাজের আরেকটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ দুটিসহ বৈঠকে মোট ২ হাজার ৯৮৮ কোটি ৪৯ লাখ ৯৬ হাজার ৩৯৩ টাকা ব্যয়সম্বলিত মোট ছয়টি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।

আজ বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল বৈঠকে এসব ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে অনুমোদিত ক্রয় প্রস্তাবের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. শাহিদা আক্তার।

বৈঠকের পর অর্থমন্ত্রী বলেন, আজকে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ১৯ তম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ক্রয় কমিটির অনুমোদনের জন্য নয়টি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। প্রস্তাবগুলোর মধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের দুটি, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের টেবিলে একটিসহ মোট তিনটি, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের একটি, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের একটি, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের একটি, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের একটি এবং বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের একটি প্রস্তাব ছিল। এর মধ্যে ছয়টি প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

অনুমোদিত প্রস্তাবগুলোর বিস্তারিত তুলে ধরে অতিরিক্ত সচিব ড. শাহিদা আক্তার বলেন, বৈঠকে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের আওতায় বাপেক্স কর্তৃক রাশিয়া ফেডারেশনের রাষ্ট্রীয় কোম্পানি গ্যাজপ্রমের কাছ থেকে ভোলা জেলায় টার্ন-কি পদ্ধতিতে তিনটি কূপ খনন কাজের অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। এতে ব্যয় হবে ৬৪৮ কোটি ৩৯ লাখ ১১ হাজার ৮৫০ টাকা।

ভোলা গ্যাসক্ষেত্র ১৯৯৫ সালে আবিষ্কার করে বাপেক্স। সেখান থেকে সংস্থাটি ২০০৯ সাল থেকে গ্যাস উত্তোলন করছে, যা শুধু ভোলা জেলায় ব্যবহৃত হয়। ভোলায় এ পর্যন্ত ছয়টি কূপ খনন করা হয়েছে।

সরকার রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা পিজেএসসি গ্যাজপ্রমকে ২০১২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ১৭টি কূপ খননের কাজ দিয়েছে। এ জন্য ব্যয় হয়েছে প্রায় ২ হাজার ৬০০ কোটি টাকা।

বৈঠকে অনুমোদিত অন্য প্রস্তাবগুলো হলো–পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্তৃক ‘মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলায় আড়িয়াল খাঁ নদীতীর সংরক্ষণ ও ড্রেজিং’ প্রকল্পের আওতায় ৬ দশমিক ৩ কিলোমিটার নদীর তীর সংরক্ষণ কাজ এবং ১৪ দশমিক ৭৫০ কিলোমিটার ড্রেজিং কাজের একটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেড প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এ জন্য ব্যয় হবে ৩৬৭ কোটি ২৮ লাখ ৪৮ হাজার ৯৫০ টাকা।

এ ছাড়া সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অধীন সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর কর্তৃক ‘গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কে পণ্য পরিবহনের উৎসমুখে এক্সেল লোড নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র স্থাপন’ প্রকল্পে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে যৌথভাবে এসএমইসি ইন্টারন্যাশনাল প্রাইভেট লিমিটেড, অস্ট্রেলিয়া, সুইডিশ ন্যাশনাল রোড কনসালটিং এবি, সুইডেন, এসিই কনসালট্যান্টস লিমিটেড, বাংলাদেশ এবং বিসিএল অ্যাসোসিয়েটস লিমিটেড, বাংলাদেশকে নিয়োগ দেওয়ার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। এ জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৬ কোটি ৯২ লাখ ৩ হাজার ৫৯৩ টাকা।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জি-টু-জি ভিত্তিতে এয়ার ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমসহ রাডার স্থাপন কাজের একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফ্রান্সের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান থালেসের কাছ থেকে সরঞ্জামাদি কিনে ৬৫৮ কোটি ৪০ লাখ ৩২ হাজার টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত