Ajker Patrika

পরাশক্তির সম্পৃক্ততায়ই প্রলম্বিত ইউক্রেন যুদ্ধ

পরাশক্তির সম্পৃক্ততায়ই প্রলম্বিত ইউক্রেন যুদ্ধ

ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধ স্থানীয় গণ্ডি ছাড়িয়ে বৈশ্বিক নিরাপত্তার জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠছে বলে মনে হচ্ছে। রাশিয়া আগের ভাষ্য বদলেছে এবং গত ৩০ সেপ্টেম্বর ইউক্রেনের চার অঞ্চলকে অন্তর্ভুক্তির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে। এর পর থেকে একদিকে ইউক্রেন নিজেদের ভূখণ্ড রক্ষায় প্রাণপণ লড়াই করছে, অন্যদিকে পরাশক্তিগুলোও রাখঢাক না করে এতে সম্পৃক্ত হচ্ছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এ কারণে ইউক্রেন সংকট শিগগির শেষ হচ্ছে না।

সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টে প্রকাশিত ডেনিল বচকভের এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের কাছ থেকে জয় করা ‘ভূমির অখণ্ডতা’ রক্ষায় মস্কো সব ধরনের হাতিয়ার ব্যবহারের ঘোষণা দিয়েছে। এটাকে কোনো কোনো বিশ্লেষক শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের হুঁশিয়ারি হিসেবে দেখছেন। সম্প্রতি জ্বালানিবাহী ট্রাক বিস্ফোরণে ক্রিমিয়ার সঙ্গে যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ কের্চ সেতু আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঘটনাটি ইউক্রেন ও কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ উদ্‌যাপন করে। তবে এতে ক্ষুব্ধ রাশিয়া গত রোববার ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ ছাড়াও কয়েকটি শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এ ধরনের হামলা এখনো চলছে। এর প্রতিক্রিয়ায় জাতিসংঘ, ন্যাটো, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলো রাশিয়ার নিন্দা জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও অন্য জি-৭ দেশগুলো জরুরি বৈঠক করে ইউক্রেনের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

ওই বিশ্লেষণে আরও বলা হয়েছে, বিশেষ করে অধিকৃত চারটি এলাকায় বিতর্কিত রুশ গণভোটের পর থেকে ইউক্রেনের পশ্চিমা মিত্ররা জোরালো প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। এ গণভোটের সমালোচনা করে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাব পেশ করে যুক্তরাষ্ট্র। চীন, ভারত ও ব্রাজিল এ প্রস্তাবে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকে। এর মধ্যে নয়াদিল্লি ও বেইজিং গণভোটের বিষয়ে সমালোচনাও করেনি, আবার মস্কোর পক্ষাবলম্বনেরও সংকেত দেয়নি।

বিশ্লেষণে উপস্থাপিত তথ্যানুযায়ী, ইউক্রেনে গত মাসে ৬০০ মিলিয়ন ডলারের নিরাপত্তা সহায়তা পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গত ফেব্রুয়ারিতে রুশ হামলা শুরুর পর থেকে ইউক্রেনে মার্কিন মোট সাহায্যের পরিমাণ ১৬ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। বলা হচ্ছে, ইউক্রেনে মার্কিন সহায়তার পেছনে কৌশলগত কারণও আছে। তিন পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চীন ভূরাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। তিন শক্তিই চায় বিশ্বব্যবস্থার চালক হতে।

নির্মোহ দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখলে ঐতিহাসিক ও ভূরাজনৈতিক কারণে ইউক্রেন যেন পরাশক্তিগুলোর রাজনৈতিক লড়াইয়ের ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে। মনে হচ্ছে, ইউক্রেনকে সব ধরনের সহায়তা দেওয়া অব্যাহত রাখবে যুক্তরাষ্ট্র। আর পশ্চিমা অবরোধ এড়িয়ে চীন ও অন্য সহযোগীরা রাশিয়ার প্রতি সমর্থন দেবে। এই প্রেক্ষাপটে ইউক্রেন সংকট আরও প্রলম্বিত হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তারা বড় হলে নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে লজ্জিত হবে: সেনাপ্রধান

যুগ্ম সদস্যসচিব মাহিন সরকারকে বহিষ্কারের কারণ জানাল এনসিপি

পাহাড়ের মাটিতে এখন মরুভূমির ফলের স্বাদ

আবাসন কোম্পানির অনিয়ম অনুসন্ধানে গড়িমসি, দুদকের উপপরিচালক বরখাস্ত

বিপুল বকেয়া সত্ত্বেও ব্যবসা হারানোর ভয়ে বাংলাদেশ-নেপালে সম্প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে ভারতীয় চ্যানেলগুলো

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত