নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন আন্তর্জাতিক মহলে ভারতের জন্য নিঃসন্দেহে বড় একটি অর্জন। এই প্ল্যাটফর্মটি ভারতকে বৈশ্বিক ইস্যু নিয়ে কাজ করার সুযোগ দিয়েছে। পাশাপাশি মোদিকে বিশ্ব নেতা হয়ে ওঠারও সুযোগ দিয়েছে। তবে বিশ্লেষকদের মত, এই সম্মেলনকে ঘিরে মোদির যে ইমেজ নির্মিত হয়েছে সেটিকে পুঁজি করে তাঁর দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ২০২৪ সালের মে মাসে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জাতীয় এবং এর আগে-পরের বেশ কয়েকটি বিধানসভা নির্বাচনের বৈতরণি পার হতে চাইছে।
সম্মেলনের আগে সারা দেশেই মোদির বিভিন্ন ছবি, পোস্টার ছড়ানো হয়েছে ব্যাপকভাবে। দেশীয় গণমাধ্যমগুলো মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ বিশ্বনেতাদের সঙ্গে মোদির সাক্ষাৎ ফলাও করে প্রচার করেছে। সম্মেলন সফল হয়েছে উল্লেখ করে তাঁর ভূয়সী প্রশংসা করেছে তারা। বিজেপির নেতারাও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মোদির ব্যাপারে বিশ্ব নেতাদের প্রশংসা ব্যাপকভাবে প্রচার করছে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, সম্মেলনের ফলাফল মোদি ও তাঁর দলের জন্য খুব বেশি সুবিধা বয়ে আনবে না। কারণ এখানে ভারতের জাতীয় ইস্যু সামান্যই। সম্মেলনের সাফল্য মূলত বৈশ্বিক ঋণ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলোর ওপর। এসব কূটনৈতিক অর্জন অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে খুব সামান্যই প্রভাব ফেলবে। তবে বিশ্লেষকেরা ভারতের চন্দ্র জয়কে মোদির ইমেজ বাড়ানোর অন্যতম বড় বিষয় বলে উল্লেখ করছেন।
বিজেপি সরকারের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস জি-২০ সম্মেলনকে নির্বাচনী প্রচারণার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছে। দলটির অভিযোগ, মোদি আন্তর্জাতিক মহলে সংলাপ এবং শান্তির বার্তা ছড়াচ্ছেন। কিন্তু তাঁর হিন্দু জাতীয়তাবাদী সরকার ভিন্নমত দমন করছে, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করছে। তবে সরকার এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
এত কিছুর বাইরে বিশ্লেষকদের মত হলো, মোদির ব্যক্তিগত রাজনৈতিক অবস্থান এতটাই শক্ত যে—জি-২০ সম্মেলনকে কেন্দ্র করে যে কৌশল গ্রহণ করেছে বিজেপি তা বুমেরাং হওয়ার আশঙ্কা কম। এ বিষয়ে দিল্লির সেন্টর ফর দ্য স্টাডি অব ডেভেলপিং সোসাইটির মনস্তত্ত্ববিদ সঞ্জয় কুমার বলেন, ‘এর মাধ্যমে (জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন) যে বার্তাটি দেওয়া সম্ভব হয়েছে তা হলো, বিশ্বে ভারত একটি শক্তিশালী দেশ হিসেবে এগিয়ে যাচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘এবং অধিকাংশ সাধারণ ভারতীয়ই মনে করেন, এমনটা কেবল মোদির কারণেই সম্ভব হয়েছে।’
দেশে ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি, বেকারত্ব এবং কোভিডের ধাক্কা থেকে অর্থনীতির ধীর প্রবৃদ্ধিসহ নানা কারণ থাকলেও বিভিন্ন জরিপ বলছে, মোদি এখনো যথেষ্ট জনপ্রিয়। ফলে আগামী জাতীয় নির্বাচনে জয়ী হয়ে তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হওয়া তাঁর জন্য খুব একটা কষ্টকর হবে না। এমনকি মণিপুরের জাতিগত দাঙ্গার বিষয়টি তাঁর ইমেজ ক্ষতিগ্রস্ত করলেও খুব বেশি প্রভাব ফেলতে পারবে না আগামী জাতীয় নির্বাচনে।
আগামী রোববার ৭৩ বছরে পা দিতে যাচ্ছেন মোদি। তাঁর ইমেজকে বড় পরিসরে ছড়িয়ে দিতে আগামী রোববার থেকে শুরু হচ্ছে তাঁর জন্মদিন উপলক্ষে দুই সপ্তাহব্যাপী উৎসব। সেখানে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে মোদির সামগ্রিক অর্জন তুলে ধরা হবে বলে জানিয়েছে বিজেপি। এ ছাড়া, ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া লোকসভার বিশেষ অধিবেশনের মূল থিম হবে—বিশ্ব দরবারে ভারতের অবস্থান অর্জনে মোদির অবদান তুলে ধরা।
বিজেপির ভাইস প্রেসিডেন্ট বৈজয়ন্ত জয় পাণ্ডা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বে ভারতের ইমেজ সত্যিকার অর্থেই বদলে গেছে এবং এটি অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ একটি ফ্যাক্ট।’
মোদি ২০১৪ সালে ভারতে ক্ষমতায় আসেন। এর আগে তিনি নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি হিসেবে বিদায়ী শাসক দল কংগ্রেসের দুর্নীতি এবং অপশাসনের অভিযোগ তুলে বলেন, তিনি দেশে স্থিতিশীলতা এবং পরিবর্তন আনবেন। প্রথম দফায় নির্বাচনে জয়ের পর ২০১৯ সালের নির্বাচনে মোদি কল্যাণ অর্থনীতি, অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং হিন্দু জাতীয়তাবাদের ধোঁয়া তুলে আবারও বিজয়ী হন।
মোদি প্রায়ই জাতীয় গর্বের উদাহরণ হিসেবে তাঁর সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কথা বলেন। তাঁর এ কথা বলার সংগত কারণও রয়েছে। কারণ, একটা সময় দেশের মানুষ তো বটেই পশ্চিমা গণমাধ্যমও ভারতকে দরিদ্র দেশ বলে চিত্রিত করত। কিন্তু এখন সেই অবস্থার অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছে। এ বিষয়ে নির্বাচন নিয়ে গবেষণা করা প্রতিষ্ঠান সি-ভোটারের প্রতিষ্ঠাতা যশোবন্ত দেশমুখ বলেন, ‘যখন জাতীয় গর্বের ন্যারেটিভের কথা বলা হয়, তখন প্রতিটি ছোট ছোট বিষয়ই আমলে নেওয়া হয়।’
সি-ভোটার পরিচালিত ‘মুড অব দ্য নেশন’—শীর্ষক জরিপের ফলাফল বলছে, ৪৭ শতাংশ ভারতীয় মনে করেন ভারত জি-২০ এর সম্মেলনের প্রেসিডেন্ট হওয়া বিশ্ব দরবারে দেশের অবস্থান দৃঢ় ও উন্নত হয়েছে। পাশাপাশি ৭৩ শতাংশ ভারতীয় মনে করেন, বিজেপি ২০২৪ সালের নির্বাচনী বৈতরণি পার হতে সেতু হিসেবে এটিকে ব্যবহার করবে।
বিরোধী দল কংগ্রেসও মোদির জি-২০ সম্মেলনের ইমেজ নিয়ে সমালোচনাত্মক। দলের প্রধান মুখপাত্র জয়রাম রমেশ বলেন, বিশ্ব মঞ্চে মোদির মুখ থেকে সহিষ্ণুতার কথা শোনাটা ‘স্পষ্ট ভণ্ডামি’। রমেশ এক টুইটে বলেন, ‘নিজের দেশে...তিনি বিদ্বেষমূলক বক্তব্য, নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর ব্যক্তি হত্যা, সংঘবদ্ধ হয়ে হত্যা ও নির্যাতন এবং পবিত্র ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা বিষয়ে নিশ্চুপ। তাঁর দল এবং তিনি যে গোষ্ঠীর সঙ্গে আছেন তারা এমন একটি ব্যবস্থাগত মেরুকরণ ক্যাম্পেইন শুরু করেছে যা দেশের সামাজিক সম্পর্ককে ছিন্নবিচ্ছিন্ন করে ফেলছে।’ তবে বিজেপি সরকার এই অভিযোগও অস্বীকার করেছে।
কংগ্রেস থেকে নির্বাচিত ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বলেন, ‘ভারত যখন বিশ্বের সামনে মাথা উঁচু করে দাঁড়ায় তখন সেটা নিঃসন্দেহে অভ্যন্তরীণ রাজনীতির একটি ইস্যুতে পরিণত হয়। তবে একটি বিষয় সব সময় মনে রাখা প্রয়োজন যে, কখনোই পররাষ্ট্র নীতি এবং কূটনীতিকে দল কিংবা ব্যক্তিগত ফায়দা হাসিলের টুল হিসেবে ব্যবহার করা উচিত নয়।’
রয়টার্স থেকে অনুবাদ করেছেন আব্দুর রহমান
নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন আন্তর্জাতিক মহলে ভারতের জন্য নিঃসন্দেহে বড় একটি অর্জন। এই প্ল্যাটফর্মটি ভারতকে বৈশ্বিক ইস্যু নিয়ে কাজ করার সুযোগ দিয়েছে। পাশাপাশি মোদিকে বিশ্ব নেতা হয়ে ওঠারও সুযোগ দিয়েছে। তবে বিশ্লেষকদের মত, এই সম্মেলনকে ঘিরে মোদির যে ইমেজ নির্মিত হয়েছে সেটিকে পুঁজি করে তাঁর দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ২০২৪ সালের মে মাসে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জাতীয় এবং এর আগে-পরের বেশ কয়েকটি বিধানসভা নির্বাচনের বৈতরণি পার হতে চাইছে।
সম্মেলনের আগে সারা দেশেই মোদির বিভিন্ন ছবি, পোস্টার ছড়ানো হয়েছে ব্যাপকভাবে। দেশীয় গণমাধ্যমগুলো মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ বিশ্বনেতাদের সঙ্গে মোদির সাক্ষাৎ ফলাও করে প্রচার করেছে। সম্মেলন সফল হয়েছে উল্লেখ করে তাঁর ভূয়সী প্রশংসা করেছে তারা। বিজেপির নেতারাও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মোদির ব্যাপারে বিশ্ব নেতাদের প্রশংসা ব্যাপকভাবে প্রচার করছে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, সম্মেলনের ফলাফল মোদি ও তাঁর দলের জন্য খুব বেশি সুবিধা বয়ে আনবে না। কারণ এখানে ভারতের জাতীয় ইস্যু সামান্যই। সম্মেলনের সাফল্য মূলত বৈশ্বিক ঋণ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলোর ওপর। এসব কূটনৈতিক অর্জন অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে খুব সামান্যই প্রভাব ফেলবে। তবে বিশ্লেষকেরা ভারতের চন্দ্র জয়কে মোদির ইমেজ বাড়ানোর অন্যতম বড় বিষয় বলে উল্লেখ করছেন।
বিজেপি সরকারের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস জি-২০ সম্মেলনকে নির্বাচনী প্রচারণার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছে। দলটির অভিযোগ, মোদি আন্তর্জাতিক মহলে সংলাপ এবং শান্তির বার্তা ছড়াচ্ছেন। কিন্তু তাঁর হিন্দু জাতীয়তাবাদী সরকার ভিন্নমত দমন করছে, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করছে। তবে সরকার এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
এত কিছুর বাইরে বিশ্লেষকদের মত হলো, মোদির ব্যক্তিগত রাজনৈতিক অবস্থান এতটাই শক্ত যে—জি-২০ সম্মেলনকে কেন্দ্র করে যে কৌশল গ্রহণ করেছে বিজেপি তা বুমেরাং হওয়ার আশঙ্কা কম। এ বিষয়ে দিল্লির সেন্টর ফর দ্য স্টাডি অব ডেভেলপিং সোসাইটির মনস্তত্ত্ববিদ সঞ্জয় কুমার বলেন, ‘এর মাধ্যমে (জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন) যে বার্তাটি দেওয়া সম্ভব হয়েছে তা হলো, বিশ্বে ভারত একটি শক্তিশালী দেশ হিসেবে এগিয়ে যাচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘এবং অধিকাংশ সাধারণ ভারতীয়ই মনে করেন, এমনটা কেবল মোদির কারণেই সম্ভব হয়েছে।’
দেশে ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি, বেকারত্ব এবং কোভিডের ধাক্কা থেকে অর্থনীতির ধীর প্রবৃদ্ধিসহ নানা কারণ থাকলেও বিভিন্ন জরিপ বলছে, মোদি এখনো যথেষ্ট জনপ্রিয়। ফলে আগামী জাতীয় নির্বাচনে জয়ী হয়ে তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হওয়া তাঁর জন্য খুব একটা কষ্টকর হবে না। এমনকি মণিপুরের জাতিগত দাঙ্গার বিষয়টি তাঁর ইমেজ ক্ষতিগ্রস্ত করলেও খুব বেশি প্রভাব ফেলতে পারবে না আগামী জাতীয় নির্বাচনে।
আগামী রোববার ৭৩ বছরে পা দিতে যাচ্ছেন মোদি। তাঁর ইমেজকে বড় পরিসরে ছড়িয়ে দিতে আগামী রোববার থেকে শুরু হচ্ছে তাঁর জন্মদিন উপলক্ষে দুই সপ্তাহব্যাপী উৎসব। সেখানে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে মোদির সামগ্রিক অর্জন তুলে ধরা হবে বলে জানিয়েছে বিজেপি। এ ছাড়া, ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া লোকসভার বিশেষ অধিবেশনের মূল থিম হবে—বিশ্ব দরবারে ভারতের অবস্থান অর্জনে মোদির অবদান তুলে ধরা।
বিজেপির ভাইস প্রেসিডেন্ট বৈজয়ন্ত জয় পাণ্ডা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বে ভারতের ইমেজ সত্যিকার অর্থেই বদলে গেছে এবং এটি অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ একটি ফ্যাক্ট।’
মোদি ২০১৪ সালে ভারতে ক্ষমতায় আসেন। এর আগে তিনি নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি হিসেবে বিদায়ী শাসক দল কংগ্রেসের দুর্নীতি এবং অপশাসনের অভিযোগ তুলে বলেন, তিনি দেশে স্থিতিশীলতা এবং পরিবর্তন আনবেন। প্রথম দফায় নির্বাচনে জয়ের পর ২০১৯ সালের নির্বাচনে মোদি কল্যাণ অর্থনীতি, অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং হিন্দু জাতীয়তাবাদের ধোঁয়া তুলে আবারও বিজয়ী হন।
মোদি প্রায়ই জাতীয় গর্বের উদাহরণ হিসেবে তাঁর সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কথা বলেন। তাঁর এ কথা বলার সংগত কারণও রয়েছে। কারণ, একটা সময় দেশের মানুষ তো বটেই পশ্চিমা গণমাধ্যমও ভারতকে দরিদ্র দেশ বলে চিত্রিত করত। কিন্তু এখন সেই অবস্থার অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছে। এ বিষয়ে নির্বাচন নিয়ে গবেষণা করা প্রতিষ্ঠান সি-ভোটারের প্রতিষ্ঠাতা যশোবন্ত দেশমুখ বলেন, ‘যখন জাতীয় গর্বের ন্যারেটিভের কথা বলা হয়, তখন প্রতিটি ছোট ছোট বিষয়ই আমলে নেওয়া হয়।’
সি-ভোটার পরিচালিত ‘মুড অব দ্য নেশন’—শীর্ষক জরিপের ফলাফল বলছে, ৪৭ শতাংশ ভারতীয় মনে করেন ভারত জি-২০ এর সম্মেলনের প্রেসিডেন্ট হওয়া বিশ্ব দরবারে দেশের অবস্থান দৃঢ় ও উন্নত হয়েছে। পাশাপাশি ৭৩ শতাংশ ভারতীয় মনে করেন, বিজেপি ২০২৪ সালের নির্বাচনী বৈতরণি পার হতে সেতু হিসেবে এটিকে ব্যবহার করবে।
বিরোধী দল কংগ্রেসও মোদির জি-২০ সম্মেলনের ইমেজ নিয়ে সমালোচনাত্মক। দলের প্রধান মুখপাত্র জয়রাম রমেশ বলেন, বিশ্ব মঞ্চে মোদির মুখ থেকে সহিষ্ণুতার কথা শোনাটা ‘স্পষ্ট ভণ্ডামি’। রমেশ এক টুইটে বলেন, ‘নিজের দেশে...তিনি বিদ্বেষমূলক বক্তব্য, নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর ব্যক্তি হত্যা, সংঘবদ্ধ হয়ে হত্যা ও নির্যাতন এবং পবিত্র ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা বিষয়ে নিশ্চুপ। তাঁর দল এবং তিনি যে গোষ্ঠীর সঙ্গে আছেন তারা এমন একটি ব্যবস্থাগত মেরুকরণ ক্যাম্পেইন শুরু করেছে যা দেশের সামাজিক সম্পর্ককে ছিন্নবিচ্ছিন্ন করে ফেলছে।’ তবে বিজেপি সরকার এই অভিযোগও অস্বীকার করেছে।
কংগ্রেস থেকে নির্বাচিত ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বলেন, ‘ভারত যখন বিশ্বের সামনে মাথা উঁচু করে দাঁড়ায় তখন সেটা নিঃসন্দেহে অভ্যন্তরীণ রাজনীতির একটি ইস্যুতে পরিণত হয়। তবে একটি বিষয় সব সময় মনে রাখা প্রয়োজন যে, কখনোই পররাষ্ট্র নীতি এবং কূটনীতিকে দল কিংবা ব্যক্তিগত ফায়দা হাসিলের টুল হিসেবে ব্যবহার করা উচিত নয়।’
রয়টার্স থেকে অনুবাদ করেছেন আব্দুর রহমান
গত এক সপ্তাহে মোদির কাশ্মীর নীতির বড় দুর্বলতা প্রকাশ পেয়েছে। এই নীতি এখন অচলাবস্থার মুখে। রাষ্ট্রবিজ্ঞানী সুমান্ত্র বোস বলেছেন, পেহেলগাম হামলা মোদির ‘নয়া কাশ্মীর’ বয়ানের (ন্যারেটিভ) বেলুন ফুটো করে দিয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেডোনাল্ড ট্রাম্প মনে করেন, তিনিই বিশ্ব চালাচ্ছেন। তাঁর উচ্চাকাঙ্ক্ষা সীমাহীন। কিন্তু এটি বিপজ্জনক ঔদ্ধত্যেরও ইঙ্গিত দেয় এবং একটি গুরুতর প্রশ্ন তোলে—এই বিশৃঙ্খল ও প্রতিহিংসাপরায়ণ প্রেসিডেন্টের নেতৃত্বে পৃথিবী কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে? দ্য আটলান্টিককে দেওয়া নতুন এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বিশ্বব্যাপী আধিপত্য...
১৯ ঘণ্টা আগেবড় প্রশ্ন হলো, ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কোনো সামরিক পদক্ষেপ নেবে কি না? ২০১৯ সালে কাশ্মীরের পুলওয়ামায় এক আত্মঘাতী বোমা হামলায় ৪০ ভারতীয় পুলিশ নিহত হয়। এরপর পেহেলগামের হামলাই ছিল কাশ্মীরে সবচেয়ে প্রাণঘাতী। এমনকি এটি ১৯৮৯ সালে কাশ্মীরে ভারতীয় নিয়ন্ত্রণের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু হওয়ার পর থেকে সেখানকার
১ দিন আগেবিশ্লেষকদের মতে, ভারত হয়তো কিছুটা সংযত আচরণই করবে। কারণ, দেশটির সামরিক বাহিনী এখনো পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ফলে, তাদের প্রকাশ্যে এনে যুদ্ধের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেওয়ার মধ্যে ঝুঁকি আছে। ২০১৮ সালে ভারতীয় পার্লামেন্টের এক প্রতিবেদনে দেশের ৬৮ শতাংশ সামরিক সরঞ্জামকে ‘পুরোনো মডেলের’, ২৪ শতাংশকে...
২ দিন আগে