সম্পাদকীয়
আদিম ও প্রাগৈতিহাসিক বনানীর মাঝে অনেক কিছুই কিন্তু অপেক্ষারত ছিল আমাদের জন্য। বিস্ময়ের সঙ্গে হঠাৎই লক্ষ করলাম, একটি সুন্দর পাহাড়ঘেরা মাঠ, স্বচ্ছ জলাধার, সবুজ বুনোফুল, আকাশ থেকে পাতার ফাঁক দিয়ে ঝরে পড়ছে উদার আলোর স্রোত। আমরা মন্ত্রমুগ্ধের মতো সেখানে থামলাম।
চারদিকের বাতাসে ম ম করছে কোনো নাম না-জানা পবিত্র ফুলের গন্ধ। মাঠের মাঝখানে একটি ষাঁড়ের মুণ্ডু নজরে এল, বোধ হয় এখানকার কোনো রীতি-রেওয়াজ। সুনসান নীরবতার মাঝেই দেখি মানুষেরা সারি দিয়ে আসছে এবং ওই ষাঁড় মুণ্ডের চক্ষুকোটরে একটি করে মুদ্রা ও কিছু খাবার রেখে যাচ্ছে।
এই অভূতপূর্ব উৎসবটি কিন্তু এখানেই শেষ হলো না। আমার নিজের সঙ্গীদেরও দেখি, মাথার টুপি খুলে ওই খুলিকে ঘিরে এক পায়ে এক কিম্ভূত নাচ শুরু করেছে। ওই দুর্বোধ্য দৃশ্য দেখতে দেখতে স্পষ্ট বুঝতে পারলাম, এই প্রান্তিক অজানা মানুষদের সঙ্গে আমাদেরও এক বন্ধন তৈরি হয়ে গেছে। আবেগের টান যেন ধরে রাখছে একে অপরকে।
যাত্রা এর পরও চালু রইল। রাতে আমরা পাহাড়ের শেষ প্রান্তে উপস্থিত হলাম। চোখে পড়ল আগুনের আভা। অর্থাৎ, খুব সম্ভবত এখানে মানুষের বসবাস রয়েছে। কাছে গিয়ে দেখি ভগ্ন ঘরবাড়ি উচ্ছন্নে যাওয়া বস্তিতে প্রায় নির্বাপিত একটি লোকালয়। ভেঙে যাওয়া একটি বাড়িতে ঢুকতেই নজরে এল ঘরের মধ্যেই একটি বিশাল বৃক্ষের কাণ্ডে আগুন জ্বলছে, দিনরাত জ্বলার ফলে গাছের কঙ্কালটি যেন শুধু চোখে পড়ে।
সেই বৃক্ষ কঙ্কাল ঘরের মেঝেতে জন্ম নিয়ে ছাদ ফুঁড়ে ওপরে উঠে গিয়েছে ধ্বনির ঘনান্ধকারে।...যে গানটি গাওয়া হচ্ছে তা যেন দূর কোনো ঝরনার জন্য হা-হুতাশে ভরা। ভালোবাসা আর অপেক্ষা মেশানো কান্নার ধ্বনির মতো।...এই মানুষগুলো আমাদের সম্পর্কে কিছু জানে না। কোন পথে যাত্রা করছি, তা-ও তারা জানে না। আমার নাম বা কবিতাও কখনো শোনেনি। অথবা কে বলতে পারে ওরা হয়তো কোনোভাবে টের পেয়ে গেছে আমাদের বৃত্তান্ত!
চিলির কবি পাবলো নেরুদা ১৯৭১ সালে নোবেল পুরস্কার পান।
আদিম ও প্রাগৈতিহাসিক বনানীর মাঝে অনেক কিছুই কিন্তু অপেক্ষারত ছিল আমাদের জন্য। বিস্ময়ের সঙ্গে হঠাৎই লক্ষ করলাম, একটি সুন্দর পাহাড়ঘেরা মাঠ, স্বচ্ছ জলাধার, সবুজ বুনোফুল, আকাশ থেকে পাতার ফাঁক দিয়ে ঝরে পড়ছে উদার আলোর স্রোত। আমরা মন্ত্রমুগ্ধের মতো সেখানে থামলাম।
চারদিকের বাতাসে ম ম করছে কোনো নাম না-জানা পবিত্র ফুলের গন্ধ। মাঠের মাঝখানে একটি ষাঁড়ের মুণ্ডু নজরে এল, বোধ হয় এখানকার কোনো রীতি-রেওয়াজ। সুনসান নীরবতার মাঝেই দেখি মানুষেরা সারি দিয়ে আসছে এবং ওই ষাঁড় মুণ্ডের চক্ষুকোটরে একটি করে মুদ্রা ও কিছু খাবার রেখে যাচ্ছে।
এই অভূতপূর্ব উৎসবটি কিন্তু এখানেই শেষ হলো না। আমার নিজের সঙ্গীদেরও দেখি, মাথার টুপি খুলে ওই খুলিকে ঘিরে এক পায়ে এক কিম্ভূত নাচ শুরু করেছে। ওই দুর্বোধ্য দৃশ্য দেখতে দেখতে স্পষ্ট বুঝতে পারলাম, এই প্রান্তিক অজানা মানুষদের সঙ্গে আমাদেরও এক বন্ধন তৈরি হয়ে গেছে। আবেগের টান যেন ধরে রাখছে একে অপরকে।
যাত্রা এর পরও চালু রইল। রাতে আমরা পাহাড়ের শেষ প্রান্তে উপস্থিত হলাম। চোখে পড়ল আগুনের আভা। অর্থাৎ, খুব সম্ভবত এখানে মানুষের বসবাস রয়েছে। কাছে গিয়ে দেখি ভগ্ন ঘরবাড়ি উচ্ছন্নে যাওয়া বস্তিতে প্রায় নির্বাপিত একটি লোকালয়। ভেঙে যাওয়া একটি বাড়িতে ঢুকতেই নজরে এল ঘরের মধ্যেই একটি বিশাল বৃক্ষের কাণ্ডে আগুন জ্বলছে, দিনরাত জ্বলার ফলে গাছের কঙ্কালটি যেন শুধু চোখে পড়ে।
সেই বৃক্ষ কঙ্কাল ঘরের মেঝেতে জন্ম নিয়ে ছাদ ফুঁড়ে ওপরে উঠে গিয়েছে ধ্বনির ঘনান্ধকারে।...যে গানটি গাওয়া হচ্ছে তা যেন দূর কোনো ঝরনার জন্য হা-হুতাশে ভরা। ভালোবাসা আর অপেক্ষা মেশানো কান্নার ধ্বনির মতো।...এই মানুষগুলো আমাদের সম্পর্কে কিছু জানে না। কোন পথে যাত্রা করছি, তা-ও তারা জানে না। আমার নাম বা কবিতাও কখনো শোনেনি। অথবা কে বলতে পারে ওরা হয়তো কোনোভাবে টের পেয়ে গেছে আমাদের বৃত্তান্ত!
চিলির কবি পাবলো নেরুদা ১৯৭১ সালে নোবেল পুরস্কার পান।
একটি ছোট পার্টি, একটি সাধারণ কমিউনিটি রুম এবং এক যুবক—১৫২০ সেডগউইক অ্যাভিনিউ, নিউইয়র্ক সিটির ব্রঙ্কস এলাকা তখন জানত না, যে এক রাতের অনুষ্ঠানই বিশ্বসংগীতের ইতিহাস বদলে দেবে। ১৯৭৩ সালের আজকের এই দিনে (১১ আগস্ট), যখন স্কুলফেরত কিছু কিশোর-তরুণীরা জমে উঠেছিল...
১৮ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের ম্যানহাটানে অবস্থিত মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অব আর্টকে বলা হয় দেশটির বৃহত্তম শিল্প জাদুঘর। আর বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম। সংক্ষেপে জাদুঘরটি ‘দ্য মেট’ নামেও পরিচিত। ১৫৫ বছর পুরোনো এই জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৭০ সালে।
৫ দিন আগেবাংলা বর্ষার দ্বিতীয় মাস শ্রাবণ। বাতাসে আর্দ্রতা, আকাশে ঘনঘোর মেঘ, আর রিমঝিম শব্দে প্রকৃতির নীরব সংগীত। এই শ্রাবণেই, ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের ২২ তারিখ, আমাদের ছেড়ে গিয়েছিলেন বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কবি, বিশ্বকবি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সেই থেকে ২২ শ্রাবণ বাঙালির জন্য শুধু এক প্রাকৃতিক ঋতুর উপলব্ধি নয়—এ এক স্মরণ,
৬ দিন আগেযুক্তরাজ্যের লন্ডনে অবস্থিত ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামটি বিশ্বের অন্যতম প্রাকৃতিক ইতিহাসভিত্তিক জাদুঘর। এটি উদ্বোধন করা হয় ১৮৮১ সালে। ১৭৫৩ সালের দিকে বিজ্ঞানী স্যার হ্যান্স স্লোয়েনের সংগ্রহ দিয়ে যাত্রা শুরু হয় ব্রিটিশ মিউজিয়ামের। ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম ছিল ব্রিটিশ মিউজিয়ামেরই অংশ।
৬ দিন আগে