মধ্যযুগে ফ্রান্সে একবার গরু চুরি নিয়ে দীর্ঘস্থায়ী রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ফ্রান্সের রাজার হস্তক্ষেপে সেটির মীমাংসা হয়। এটি এমন এক মহাকাব্যিক ঘটনা ছিল যে, এ নিয়ে পরবর্তীকালে কবিতাও লেখা হয়েছে।
ফ্রান্সের সেই যুদ্ধ ইতিহাসে ‘দ্য ওয়ার অব দ্য কাউ’ নামে পরিচিত। ফরাসি ভাষায় যেটিকে বলে ‘গেরে দু লা ভাশে।’ যুদ্ধটি চলে ১২৭২ থেকে ১২৭৮ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত। রোমান সাম্রাজ্যের বিশপ জন অব এনগিয়েনের অধীন এলাকা প্রিন্স-বিশপ্রিক অব লিয়েজ এবং মার্কুইস গাই অব দাম্পিয়েরের অধীন মারকুইসেট অব নামুরের মধ্যে এই সংঘাত বাধে।
গরু চুরি যাওয়া নিয়ে এক এলাকার একজন কৃষক এবং আরেক এলাকার পৌর কর্মকর্তার মধ্যে বিরোধের সূচনা। এই সংঘাত ক্রমেই একটি বৃহৎ আঞ্চলিক সংঘর্ষে রূপ নেয়। শেষ পর্যন্ত ফ্রান্সের রাজা তৃতীয় ফিলিপ সেটিতে হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হন। ১২৭৮ সালে রাজা ওই অঞ্চলে শান্তি পুনঃস্থানের নির্দেশ জারি করেন।
যুদ্ধের কারণ ছিল কনদ্রোজের আঞ্চলিক রাজধানী সিনি শহরে একটি জাস্টিং টুর্নামেন্ট (শক্তি পরীক্ষার জন্য যুদ্ধ-যুদ্ধ খেলা) চলাকালীন একজন কৃষক একটি গরু চুরি করেন। এনগোরান্ত দে জলহে নামে ওই কৃষক ধরা পড়েন এবং তাঁকে মৃত্যুদণ্ডের বদলে জরিমানা করা হয়। সেই সঙ্গে তাঁকে গরু ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু পৌর কর্মকর্তারা কোনো কারণে ভুলক্রমে কৃষকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে ফেলেন। এরপর ওই কৃষকের মনিব ক্ষতিপূরণ দাবি করেন।
এরপর ব্রাবান্তের ডিউক প্রথম জন এবং দারবুয়ের লর্ড জেরার্ডের সহায়তায় হেসবায়ে আক্রমণ করেন মারকুইস অব নামুর। তাঁর মিত্র লুক্সেমবার্গের কাউন্ট পঞ্চম হেনরি পুরো কনদ্রোজে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালান।
হেনরি যখন রাজধানী সিনিতে পৌঁছান, সেটি ছিল ১২৭৬ সালের ১৭ এপ্রিল। তখন তিনি স্থানীয়ভাবে সংগঠিত ২ হাজার ৪০০ জনের এক বাহিনীর প্রতিরোধের মুখে পড়েন। এর অর্ধেকই ছিল অশ্বারোহী, বাকি অর্ধেক পদাতিক।
ইতিহাসবিদদের মতে, এই বাহিনীর নেতৃত্ব দেন শহরের মেয়র জ্যঁ দু হ্যালোয়। তিনি আবার কনদ্রোজের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাও ছিলেন। তিনিই এনগোরান্ত দে জালহে নামে ওই কৃষককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন।
সেদিন ভোর থেকে বিকেল পর্যন্ত যুদ্ধ হয়। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি স্বীকার করে কনদ্রোজের বাহিনী পরাজিত হয়। জ্যঁ দু হ্যালয়সহ ৫০০ মানুষ প্রাণ হারায়।
আর লুক্সেমবার্গে নিহত হয় ১ হাজার ৪০০ মানুষ। এই দৃশ্য দেখে কাউন্ট মন্তব্য করেছিলেন, ‘একজন শয়তানের বিপরীতে তিনজন ভদ্রলোক!’
বিশপের মার্শাল রবার্ট ডি ফোরভি পরবর্তীকালে শক্তি বৃদ্ধি করে এসে দেখেন সিনি শহরকে কাউন্ট অবরুদ্ধ করে রেখেছেন। তিনি আরও শক্তিবৃদ্ধির আশায় নামুর প্রদেশের (বর্তমানে বেলজিয়াম) দিনান্ত শহরে ফিরে যান।
পরদিন ১৮ এপ্রিল শহরটিতে ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়। শহরের বাসিন্দারা প্রাণ বাঁচাতে নটর ডেম গির্জায় আশ্রয় নিয়েছিল। সেখানেই তাদের পুড়িয়ে মারা হয়। পরদিন ১৯ এপ্রিল ডিউক অব ব্রাবান্ত মেফে শহরে লুণ্ঠন ও ধ্বংসযজ্ঞ চালান।
পরের বছর ১২৭৭ সালে লা ওয়ার্দে দে স্তেপসের যুদ্ধে লিজোয়াঁ মিলিশিয়াদের একটি জোট নামুর জয় করে।
যুদ্ধের পুরো কাহিনি বিশদভাবে বর্ণনা করেছেন লিজোয়াঁ বিশ্লেষক জ্যঁ দু আঅতরেমিউস এবং জ্যঁ দু হোকসেম। অন্যরা বলেছেন, ওই যুদ্ধে শুধু সিনি (চেনি) শহর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।
এ ঘটনা নিয়ে ১৮৫২ সালে ওয়ালুনের কবি চার্লস দু ভিভিয়ের দু স্ত্রিলের লেখা একটি কমিক কবিতা প্রকাশিত হয়।
এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের আইওয়া অঙ্গরাজ্যে ১৯৩১ সালে গরুকেন্দ্রিক একটি সংঘাত দেখা দিয়েছিল। মূলত গৃহপালিত পশুর যক্ষ্মা রোগের জন্য গরুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিয়ে হিংসাত্মক বিরোধ সৃষ্টি হয়।
কৃষকেরা কর্তৃপক্ষকে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। গরুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার কর্মসূচি বাতিল করার দাবি জানান তাঁরা। নানাভাবে নিবৃত্ত করার চেষ্টার করেন। শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়ে তাঁরা সংঘবদ্ধ হতে শুরু করেন।
খামারিদের বিশ্বাস ছিল, এ ধরনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা উল্টো গরুকে যক্ষ্মার জীবাণুতে সংক্রামিত করতে পারে। এতে গাভিন গরুর গর্ভপাত হতে পারে। পরীক্ষাটি বেআইনি বলেও মনে করছিলেন তাঁরা।
এর মধ্যে আইওয়ার মাস্কাটাইন শহরের রেডিও স্টেশন কেটিএনটির মালিক নর্মান জি বেকার ভুল তথ্য ছড়িয়ে দেন। যার ফলে কৃষকেরা আরও বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। কোথাও কোথাও সহিংসতাও হয়েছে। সহিংস বিক্ষোভ থামাতে আইওয়া ন্যাশনাল গার্ডের ৩১টি ইউনিট মোতায়েন করতে হয়েছিল। দুজন কৃষক গ্রেপ্তারও হয়েছিলেন।
মধ্যযুগে ফ্রান্সে একবার গরু চুরি নিয়ে দীর্ঘস্থায়ী রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ফ্রান্সের রাজার হস্তক্ষেপে সেটির মীমাংসা হয়। এটি এমন এক মহাকাব্যিক ঘটনা ছিল যে, এ নিয়ে পরবর্তীকালে কবিতাও লেখা হয়েছে।
ফ্রান্সের সেই যুদ্ধ ইতিহাসে ‘দ্য ওয়ার অব দ্য কাউ’ নামে পরিচিত। ফরাসি ভাষায় যেটিকে বলে ‘গেরে দু লা ভাশে।’ যুদ্ধটি চলে ১২৭২ থেকে ১২৭৮ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত। রোমান সাম্রাজ্যের বিশপ জন অব এনগিয়েনের অধীন এলাকা প্রিন্স-বিশপ্রিক অব লিয়েজ এবং মার্কুইস গাই অব দাম্পিয়েরের অধীন মারকুইসেট অব নামুরের মধ্যে এই সংঘাত বাধে।
গরু চুরি যাওয়া নিয়ে এক এলাকার একজন কৃষক এবং আরেক এলাকার পৌর কর্মকর্তার মধ্যে বিরোধের সূচনা। এই সংঘাত ক্রমেই একটি বৃহৎ আঞ্চলিক সংঘর্ষে রূপ নেয়। শেষ পর্যন্ত ফ্রান্সের রাজা তৃতীয় ফিলিপ সেটিতে হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হন। ১২৭৮ সালে রাজা ওই অঞ্চলে শান্তি পুনঃস্থানের নির্দেশ জারি করেন।
যুদ্ধের কারণ ছিল কনদ্রোজের আঞ্চলিক রাজধানী সিনি শহরে একটি জাস্টিং টুর্নামেন্ট (শক্তি পরীক্ষার জন্য যুদ্ধ-যুদ্ধ খেলা) চলাকালীন একজন কৃষক একটি গরু চুরি করেন। এনগোরান্ত দে জলহে নামে ওই কৃষক ধরা পড়েন এবং তাঁকে মৃত্যুদণ্ডের বদলে জরিমানা করা হয়। সেই সঙ্গে তাঁকে গরু ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু পৌর কর্মকর্তারা কোনো কারণে ভুলক্রমে কৃষকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে ফেলেন। এরপর ওই কৃষকের মনিব ক্ষতিপূরণ দাবি করেন।
এরপর ব্রাবান্তের ডিউক প্রথম জন এবং দারবুয়ের লর্ড জেরার্ডের সহায়তায় হেসবায়ে আক্রমণ করেন মারকুইস অব নামুর। তাঁর মিত্র লুক্সেমবার্গের কাউন্ট পঞ্চম হেনরি পুরো কনদ্রোজে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালান।
হেনরি যখন রাজধানী সিনিতে পৌঁছান, সেটি ছিল ১২৭৬ সালের ১৭ এপ্রিল। তখন তিনি স্থানীয়ভাবে সংগঠিত ২ হাজার ৪০০ জনের এক বাহিনীর প্রতিরোধের মুখে পড়েন। এর অর্ধেকই ছিল অশ্বারোহী, বাকি অর্ধেক পদাতিক।
ইতিহাসবিদদের মতে, এই বাহিনীর নেতৃত্ব দেন শহরের মেয়র জ্যঁ দু হ্যালোয়। তিনি আবার কনদ্রোজের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাও ছিলেন। তিনিই এনগোরান্ত দে জালহে নামে ওই কৃষককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন।
সেদিন ভোর থেকে বিকেল পর্যন্ত যুদ্ধ হয়। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি স্বীকার করে কনদ্রোজের বাহিনী পরাজিত হয়। জ্যঁ দু হ্যালয়সহ ৫০০ মানুষ প্রাণ হারায়।
আর লুক্সেমবার্গে নিহত হয় ১ হাজার ৪০০ মানুষ। এই দৃশ্য দেখে কাউন্ট মন্তব্য করেছিলেন, ‘একজন শয়তানের বিপরীতে তিনজন ভদ্রলোক!’
বিশপের মার্শাল রবার্ট ডি ফোরভি পরবর্তীকালে শক্তি বৃদ্ধি করে এসে দেখেন সিনি শহরকে কাউন্ট অবরুদ্ধ করে রেখেছেন। তিনি আরও শক্তিবৃদ্ধির আশায় নামুর প্রদেশের (বর্তমানে বেলজিয়াম) দিনান্ত শহরে ফিরে যান।
পরদিন ১৮ এপ্রিল শহরটিতে ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়। শহরের বাসিন্দারা প্রাণ বাঁচাতে নটর ডেম গির্জায় আশ্রয় নিয়েছিল। সেখানেই তাদের পুড়িয়ে মারা হয়। পরদিন ১৯ এপ্রিল ডিউক অব ব্রাবান্ত মেফে শহরে লুণ্ঠন ও ধ্বংসযজ্ঞ চালান।
পরের বছর ১২৭৭ সালে লা ওয়ার্দে দে স্তেপসের যুদ্ধে লিজোয়াঁ মিলিশিয়াদের একটি জোট নামুর জয় করে।
যুদ্ধের পুরো কাহিনি বিশদভাবে বর্ণনা করেছেন লিজোয়াঁ বিশ্লেষক জ্যঁ দু আঅতরেমিউস এবং জ্যঁ দু হোকসেম। অন্যরা বলেছেন, ওই যুদ্ধে শুধু সিনি (চেনি) শহর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।
এ ঘটনা নিয়ে ১৮৫২ সালে ওয়ালুনের কবি চার্লস দু ভিভিয়ের দু স্ত্রিলের লেখা একটি কমিক কবিতা প্রকাশিত হয়।
এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের আইওয়া অঙ্গরাজ্যে ১৯৩১ সালে গরুকেন্দ্রিক একটি সংঘাত দেখা দিয়েছিল। মূলত গৃহপালিত পশুর যক্ষ্মা রোগের জন্য গরুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিয়ে হিংসাত্মক বিরোধ সৃষ্টি হয়।
কৃষকেরা কর্তৃপক্ষকে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। গরুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার কর্মসূচি বাতিল করার দাবি জানান তাঁরা। নানাভাবে নিবৃত্ত করার চেষ্টার করেন। শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়ে তাঁরা সংঘবদ্ধ হতে শুরু করেন।
খামারিদের বিশ্বাস ছিল, এ ধরনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা উল্টো গরুকে যক্ষ্মার জীবাণুতে সংক্রামিত করতে পারে। এতে গাভিন গরুর গর্ভপাত হতে পারে। পরীক্ষাটি বেআইনি বলেও মনে করছিলেন তাঁরা।
এর মধ্যে আইওয়ার মাস্কাটাইন শহরের রেডিও স্টেশন কেটিএনটির মালিক নর্মান জি বেকার ভুল তথ্য ছড়িয়ে দেন। যার ফলে কৃষকেরা আরও বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। কোথাও কোথাও সহিংসতাও হয়েছে। সহিংস বিক্ষোভ থামাতে আইওয়া ন্যাশনাল গার্ডের ৩১টি ইউনিট মোতায়েন করতে হয়েছিল। দুজন কৃষক গ্রেপ্তারও হয়েছিলেন।
বাংলাদেশের অ্যাংলিংকান সম্প্রদায় উপাসনার জন্য নির্মাণ করেছিল সেন্ট থমাস ক্যাথেড্রাল চার্চ। ১৮১৯ সালে শেষ হয় এর নির্মাণকাজ। ঢাকা কারাগারের কয়েদিরা নাকি এটির নির্মাণে শ্রম দিয়েছিল। কলকাতার বিশপ রেজিনাল্ড হেবার ১৮২৪ সালের ১০ জুলাই ঢাকায় এসে উদ্বোধন করেন লক্ষ্মীবাজারে অবস্থিত এই গির্জাটির।
৫ ঘণ্টা আগেআজ বিশ্ব নৃত্য দিবস। জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেসকোর সহযোগী সংস্থা আন্তর্জাতিক থিয়েটার ইনস্টিটিউট-আইটিআই ১৯৮২ সালে ২৯ এপ্রিলকে বিশ্ব নৃত্য দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন। মূলত নৃত্যশিল্পের বিকাশ ও বিশ্বব্যাপী নৃত্যপ্রেমীদের একত্রিত করাই এই দিবসের মূল উদ্দেশ্য। ২৯ এপ্রিল আধুনিক
২০ ঘণ্টা আগেদুপুরের খাবারের বিরতির পর তাঁরা আবার কাজ শুরু করেন। সন্ধ্যা ৭টায় কাজ শেষ হলে সিপির চীনা ও আইরিশ শ্রমিকেরা এক দিনে ১০ মাইল ৫৬ ফুট (১৬.১১১ কিলোমিটার) রেলপথ বসানোর অনন্য রেকর্ড গড়েন।
২ দিন আগেআলীর এই সিদ্ধান্তে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে যুক্তরাষ্ট্র। কেউ কেউ আলীর অবস্থানের প্রশংসা করেন, আবার কেউ কেউ তাঁকে আখ্যায়িত করেন বিশ্বাসঘাতক। তাঁকে বক্সিং রিংয়ে নিষিদ্ধ করা হয়, কেড়ে নেওয়া হয় অর্জিত শিরোপা। এমনকি তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনে ফেডারেল সরকারের বিচার বিভাগ।
২ দিন আগে