
স্কটল্যান্ডে গ্লাসগো রিভারসাইড জাদুঘরে আয়োজন করা হয়েছে এক ব্যতিক্রমী প্রদর্শনী। ব্রিটিশ–ভারতে সাগরে কাজ করা দক্ষিণ এশীয় খালাসিদের ইতিহাস ও সংস্কৃতির প্রদর্শনী হচ্ছে সেখানে। এই খালাসিরাই ‘লস্কর’ নামে পরিচিত। এই আয়োজনের পেছনে রয়েছে স্থানীয় কমিউনিটি সংগঠন বাংলাদেশি অ্যাসোসিয়েশন গ্লাসগো।
মূলত লস্করদের সম্পর্কে গবেষণার অংশ হিসেবে আয়োজন করা হয়েছে এই প্রদর্শনীর। এই গোষ্ঠীটি নিয়ে যারা গবেষণা করছেন, তাঁরা বলেন, লস্কররা ছিলেন ব্রিটিশ জাহাজের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী। খুবই সাদাসিধা জীবনযাপন করতেন। তাঁদের জীবনযাত্রার ব্যয় ছিল খুব সামান্য। তাঁদের মজুরি দেওয়া হতো যৎসামান্য। অধিকাংশ লস্কর ছিলেন মুসলিম। তাঁরা মদ্যপান করতেন না। যেকারণে ঝগড়া–বিবাদে কম জড়াতেন। এসব কারণেই ব্রিটিশ জাহাজ কোম্পানিগুলো খালাসি নিয়োগের ক্ষেত্রে এই বাঙালিরাই ছিলেন প্রথম পছন্দ।
ব্রিটিশ আমলে গ্লাসগো শহরে লস্করদের জন্য বিশেষ কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। কুইন্স ডকে তাঁদের জন্য আলাদা টয়লেট, একটি হোস্টেল এবং একটি ক্লাব তৈরি করা হয়। প্রদর্শনীতে এই ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন হিসেবে একটি ঢালাই লোহার ফলক সংরক্ষিত আছে, যা গ্লাসগোর কুইন্স ডকের একটি শৌচাগারের অংশ ছিল। এতে ইংরেজি লেখা ‘LASCARS ONLY’ আর নিচেই বাংলায় লেখা ‘এই কমতালা খালি নসকরের জন্যে’।
এই প্রদর্শনীতে আরও রয়েছে সি–লাইনার (কার্গো জাহাজ) ভাইসরয় অব ইন্ডিয়া–এর ১: ৪৮ স্কেলের একটি মডেল, যেখানে লস্করদের ছোট ছোট প্রতিকৃতিও রাখা হয়েছে। এ ছাড়া, বেশ কয়েকজন লস্করের গল্পও তুলে ধরা হয়েছে প্রদর্শনীটিতে। যেমন—মুসা আলী, ১৯৫০ সালে গ্লাসগোতে অনিচ্ছাকৃতভাবে তাঁর কাছ থেকে গুটি বসন্ত ছড়িয়ে পড়ে। আছে বাংলাদেশি লস্কর আব্দুল ফাত্তাহর গল্পও। তিনি বাংলাদেশের সিলেটের বাসিন্দা। একবার ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের হাতে বন্দী হয়েছিলেন।
এ ছাড়াও প্রদর্শনীতে লস্করদের জীবনাচরণের ওপর নির্মিত ‘মাউন্টেন অব লাইট’ চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়। ইতিহাসের পাশাপাশি পৌরাণিক ও লোককাহিনির মিশেলে সাজানো হয়েছে এই চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য।

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন গ্লাসগো, গ্লাসগো লাইফ মিউজিয়াম এবং আওয়ার শেয়ারড কালচার হেরিটেজ প্রকল্পের তরুণ সদস্যরা একসঙ্গে কাজ করে এই প্রদর্শনী সম্ভব করেছেন। এর মধ্যে চলচ্চিত্র ছাড়াও ছিল ম্যাগাজিন, পডকাস্ট, ব্লগ এবং অন্যান্য শিল্পকর্ম।
এই প্রদর্শনী লস্করদের ইতিহাসকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার পাশাপাশি তাঁদের জীবনসংগ্রামের স্বীকৃতি দিচ্ছে বলে মনে করেন আয়োজকেরা।
প্রকল্প সম্পর্কে যা জানা যায়
১৯৯২ সালে গ্লাসগো মিউজিয়ামে ‘LASCARS ONLY’ লেখা একটি কাস্ট আয়রনের ফলক পাওয়া যায়, যা ১৮৯০–এর দশকে স্টোবক্রস কুই–এর শৌচাগারে ব্যবহৃত হয়েছিল। লস্কররা মূলত দক্ষিণ এশিয়া ও ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের নাবিক ছিলেন, যারা ইউরোপীয় শিপিং কোম্পানিগুলোর বৈষম্যমূলক শর্তে কাজ করতেন। এ আবিষ্কার গ্লাসগোর বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন, আওয়ার শেয়ারড কালচার হেরিটেজ (ওএসসিএইচ) ও গ্লাসগো লাইফ মিউজিয়ামস–কে এক মঞ্চে আনে। তারা যৌথভাবে লস্করদের ইতিহাস ও স্কটল্যান্ডের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে গবেষণা শুরু করে।
২০২২ সালে শুরু হওয়া প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ‘LASCARi’ বা লস্করি নামে একটি নাটক নির্মাণ করে। এটি মঞ্চস্থ হয়েছিল গ্লাসগোর ‘টল শিপ গ্লেনলি’ জাহাজে। এ ছাড়া, ওএসসিএইচ–এর সদস্যরা স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র, চিত্রকর্ম ও ইতিহাস সংরক্ষণমূলক কাজ করেন। গ্লাসগো লাইফ মিউজিয়াম দুটি সেমিনার ও পপ-আপ প্রদর্শনীর আয়োজন করে, যেখানে দক্ষিণ এশীয় নাবিক ও গবেষকেরা তাঁদের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন।

২০২৩ সালে দ্বিতীয় পর্যায়ে একটি তথ্যচিত্র, বই ও পডকাস্ট নির্মাণ করা হয়। ‘স্কটল্যান্ডস লস্কর হেরিটেজ’ বইটিতে লস্করদের অজানা ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে। প্রকল্পটি একটি আন্তঃপ্রজন্ম উদ্যাপনে পরিণত হয়, যেখানে ইতিহাস, সংস্কৃতি ও দক্ষিণ এশীয় অভিবাসী অভিজ্ঞতার সংযোগ গড়ে ওঠে।
প্রকল্পটি লস্করদের ইতিহাসকে গ্লাসগোর মূলধারায় তুলে এনেছে। গবেষণায় বাংলাদেশি ভাষাবিদ ও নাবিকেরা যুক্ত হন, যার ফলে ঐতিহ্য আরও গভীরভাবে অনুধাবন করা সম্ভব হয়। এই উদ্যোগ সাবেক নাবিক আবদুল ফাত্তাহ-এর মতো অনেকের জন্য জীবন পরিবর্তন করে দেয়। এখানে প্রাপ্ত পারিশ্রমিক দিয়ে তিনি বাংলাদেশে একটি ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলেন।
প্রকল্পটি ২০২৩ সালের ‘মিউজিয়ামস চেঞ্জ লাইভস’ পুরস্কার জিতেছে এবং ‘স্কটল্যান্ডস লস্কর হেরিটেজ’ বইটি ‘সলটায়ার সোসাইটি স্কটিশ রিসার্চ বুক অব দ্য ইয়ার’ মনোনীত হয়।
তথ্যসূত্র: গ্লাসগো লাইফ, দ্য বেস্ট ইন হেরিটেজ

স্কটল্যান্ডে গ্লাসগো রিভারসাইড জাদুঘরে আয়োজন করা হয়েছে এক ব্যতিক্রমী প্রদর্শনী। ব্রিটিশ–ভারতে সাগরে কাজ করা দক্ষিণ এশীয় খালাসিদের ইতিহাস ও সংস্কৃতির প্রদর্শনী হচ্ছে সেখানে। এই খালাসিরাই ‘লস্কর’ নামে পরিচিত। এই আয়োজনের পেছনে রয়েছে স্থানীয় কমিউনিটি সংগঠন বাংলাদেশি অ্যাসোসিয়েশন গ্লাসগো।
মূলত লস্করদের সম্পর্কে গবেষণার অংশ হিসেবে আয়োজন করা হয়েছে এই প্রদর্শনীর। এই গোষ্ঠীটি নিয়ে যারা গবেষণা করছেন, তাঁরা বলেন, লস্কররা ছিলেন ব্রিটিশ জাহাজের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী। খুবই সাদাসিধা জীবনযাপন করতেন। তাঁদের জীবনযাত্রার ব্যয় ছিল খুব সামান্য। তাঁদের মজুরি দেওয়া হতো যৎসামান্য। অধিকাংশ লস্কর ছিলেন মুসলিম। তাঁরা মদ্যপান করতেন না। যেকারণে ঝগড়া–বিবাদে কম জড়াতেন। এসব কারণেই ব্রিটিশ জাহাজ কোম্পানিগুলো খালাসি নিয়োগের ক্ষেত্রে এই বাঙালিরাই ছিলেন প্রথম পছন্দ।
ব্রিটিশ আমলে গ্লাসগো শহরে লস্করদের জন্য বিশেষ কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। কুইন্স ডকে তাঁদের জন্য আলাদা টয়লেট, একটি হোস্টেল এবং একটি ক্লাব তৈরি করা হয়। প্রদর্শনীতে এই ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন হিসেবে একটি ঢালাই লোহার ফলক সংরক্ষিত আছে, যা গ্লাসগোর কুইন্স ডকের একটি শৌচাগারের অংশ ছিল। এতে ইংরেজি লেখা ‘LASCARS ONLY’ আর নিচেই বাংলায় লেখা ‘এই কমতালা খালি নসকরের জন্যে’।
এই প্রদর্শনীতে আরও রয়েছে সি–লাইনার (কার্গো জাহাজ) ভাইসরয় অব ইন্ডিয়া–এর ১: ৪৮ স্কেলের একটি মডেল, যেখানে লস্করদের ছোট ছোট প্রতিকৃতিও রাখা হয়েছে। এ ছাড়া, বেশ কয়েকজন লস্করের গল্পও তুলে ধরা হয়েছে প্রদর্শনীটিতে। যেমন—মুসা আলী, ১৯৫০ সালে গ্লাসগোতে অনিচ্ছাকৃতভাবে তাঁর কাছ থেকে গুটি বসন্ত ছড়িয়ে পড়ে। আছে বাংলাদেশি লস্কর আব্দুল ফাত্তাহর গল্পও। তিনি বাংলাদেশের সিলেটের বাসিন্দা। একবার ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের হাতে বন্দী হয়েছিলেন।
এ ছাড়াও প্রদর্শনীতে লস্করদের জীবনাচরণের ওপর নির্মিত ‘মাউন্টেন অব লাইট’ চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়। ইতিহাসের পাশাপাশি পৌরাণিক ও লোককাহিনির মিশেলে সাজানো হয়েছে এই চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য।

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন গ্লাসগো, গ্লাসগো লাইফ মিউজিয়াম এবং আওয়ার শেয়ারড কালচার হেরিটেজ প্রকল্পের তরুণ সদস্যরা একসঙ্গে কাজ করে এই প্রদর্শনী সম্ভব করেছেন। এর মধ্যে চলচ্চিত্র ছাড়াও ছিল ম্যাগাজিন, পডকাস্ট, ব্লগ এবং অন্যান্য শিল্পকর্ম।
এই প্রদর্শনী লস্করদের ইতিহাসকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার পাশাপাশি তাঁদের জীবনসংগ্রামের স্বীকৃতি দিচ্ছে বলে মনে করেন আয়োজকেরা।
প্রকল্প সম্পর্কে যা জানা যায়
১৯৯২ সালে গ্লাসগো মিউজিয়ামে ‘LASCARS ONLY’ লেখা একটি কাস্ট আয়রনের ফলক পাওয়া যায়, যা ১৮৯০–এর দশকে স্টোবক্রস কুই–এর শৌচাগারে ব্যবহৃত হয়েছিল। লস্কররা মূলত দক্ষিণ এশিয়া ও ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের নাবিক ছিলেন, যারা ইউরোপীয় শিপিং কোম্পানিগুলোর বৈষম্যমূলক শর্তে কাজ করতেন। এ আবিষ্কার গ্লাসগোর বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন, আওয়ার শেয়ারড কালচার হেরিটেজ (ওএসসিএইচ) ও গ্লাসগো লাইফ মিউজিয়ামস–কে এক মঞ্চে আনে। তারা যৌথভাবে লস্করদের ইতিহাস ও স্কটল্যান্ডের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে গবেষণা শুরু করে।
২০২২ সালে শুরু হওয়া প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ‘LASCARi’ বা লস্করি নামে একটি নাটক নির্মাণ করে। এটি মঞ্চস্থ হয়েছিল গ্লাসগোর ‘টল শিপ গ্লেনলি’ জাহাজে। এ ছাড়া, ওএসসিএইচ–এর সদস্যরা স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র, চিত্রকর্ম ও ইতিহাস সংরক্ষণমূলক কাজ করেন। গ্লাসগো লাইফ মিউজিয়াম দুটি সেমিনার ও পপ-আপ প্রদর্শনীর আয়োজন করে, যেখানে দক্ষিণ এশীয় নাবিক ও গবেষকেরা তাঁদের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন।

২০২৩ সালে দ্বিতীয় পর্যায়ে একটি তথ্যচিত্র, বই ও পডকাস্ট নির্মাণ করা হয়। ‘স্কটল্যান্ডস লস্কর হেরিটেজ’ বইটিতে লস্করদের অজানা ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে। প্রকল্পটি একটি আন্তঃপ্রজন্ম উদ্যাপনে পরিণত হয়, যেখানে ইতিহাস, সংস্কৃতি ও দক্ষিণ এশীয় অভিবাসী অভিজ্ঞতার সংযোগ গড়ে ওঠে।
প্রকল্পটি লস্করদের ইতিহাসকে গ্লাসগোর মূলধারায় তুলে এনেছে। গবেষণায় বাংলাদেশি ভাষাবিদ ও নাবিকেরা যুক্ত হন, যার ফলে ঐতিহ্য আরও গভীরভাবে অনুধাবন করা সম্ভব হয়। এই উদ্যোগ সাবেক নাবিক আবদুল ফাত্তাহ-এর মতো অনেকের জন্য জীবন পরিবর্তন করে দেয়। এখানে প্রাপ্ত পারিশ্রমিক দিয়ে তিনি বাংলাদেশে একটি ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলেন।
প্রকল্পটি ২০২৩ সালের ‘মিউজিয়ামস চেঞ্জ লাইভস’ পুরস্কার জিতেছে এবং ‘স্কটল্যান্ডস লস্কর হেরিটেজ’ বইটি ‘সলটায়ার সোসাইটি স্কটিশ রিসার্চ বুক অব দ্য ইয়ার’ মনোনীত হয়।
তথ্যসূত্র: গ্লাসগো লাইফ, দ্য বেস্ট ইন হেরিটেজ

স্কটল্যান্ডে গ্লাসগো রিভারসাইড জাদুঘরে আয়োজন করা হয়েছে এক ব্যতিক্রমী প্রদর্শনী। ব্রিটিশ–ভারতে সাগরে কাজ করা দক্ষিণ এশীয় খালাসিদের ইতিহাস ও সংস্কৃতির প্রদর্শনী হচ্ছে সেখানে। এই খালাসিরাই ‘লস্কর’ নামে পরিচিত। এই আয়োজনের পেছনে রয়েছে স্থানীয় কমিউনিটি সংগঠন বাংলাদেশি অ্যাসোসিয়েশন গ্লাসগো।
মূলত লস্করদের সম্পর্কে গবেষণার অংশ হিসেবে আয়োজন করা হয়েছে এই প্রদর্শনীর। এই গোষ্ঠীটি নিয়ে যারা গবেষণা করছেন, তাঁরা বলেন, লস্কররা ছিলেন ব্রিটিশ জাহাজের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী। খুবই সাদাসিধা জীবনযাপন করতেন। তাঁদের জীবনযাত্রার ব্যয় ছিল খুব সামান্য। তাঁদের মজুরি দেওয়া হতো যৎসামান্য। অধিকাংশ লস্কর ছিলেন মুসলিম। তাঁরা মদ্যপান করতেন না। যেকারণে ঝগড়া–বিবাদে কম জড়াতেন। এসব কারণেই ব্রিটিশ জাহাজ কোম্পানিগুলো খালাসি নিয়োগের ক্ষেত্রে এই বাঙালিরাই ছিলেন প্রথম পছন্দ।
ব্রিটিশ আমলে গ্লাসগো শহরে লস্করদের জন্য বিশেষ কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। কুইন্স ডকে তাঁদের জন্য আলাদা টয়লেট, একটি হোস্টেল এবং একটি ক্লাব তৈরি করা হয়। প্রদর্শনীতে এই ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন হিসেবে একটি ঢালাই লোহার ফলক সংরক্ষিত আছে, যা গ্লাসগোর কুইন্স ডকের একটি শৌচাগারের অংশ ছিল। এতে ইংরেজি লেখা ‘LASCARS ONLY’ আর নিচেই বাংলায় লেখা ‘এই কমতালা খালি নসকরের জন্যে’।
এই প্রদর্শনীতে আরও রয়েছে সি–লাইনার (কার্গো জাহাজ) ভাইসরয় অব ইন্ডিয়া–এর ১: ৪৮ স্কেলের একটি মডেল, যেখানে লস্করদের ছোট ছোট প্রতিকৃতিও রাখা হয়েছে। এ ছাড়া, বেশ কয়েকজন লস্করের গল্পও তুলে ধরা হয়েছে প্রদর্শনীটিতে। যেমন—মুসা আলী, ১৯৫০ সালে গ্লাসগোতে অনিচ্ছাকৃতভাবে তাঁর কাছ থেকে গুটি বসন্ত ছড়িয়ে পড়ে। আছে বাংলাদেশি লস্কর আব্দুল ফাত্তাহর গল্পও। তিনি বাংলাদেশের সিলেটের বাসিন্দা। একবার ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের হাতে বন্দী হয়েছিলেন।
এ ছাড়াও প্রদর্শনীতে লস্করদের জীবনাচরণের ওপর নির্মিত ‘মাউন্টেন অব লাইট’ চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়। ইতিহাসের পাশাপাশি পৌরাণিক ও লোককাহিনির মিশেলে সাজানো হয়েছে এই চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য।

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন গ্লাসগো, গ্লাসগো লাইফ মিউজিয়াম এবং আওয়ার শেয়ারড কালচার হেরিটেজ প্রকল্পের তরুণ সদস্যরা একসঙ্গে কাজ করে এই প্রদর্শনী সম্ভব করেছেন। এর মধ্যে চলচ্চিত্র ছাড়াও ছিল ম্যাগাজিন, পডকাস্ট, ব্লগ এবং অন্যান্য শিল্পকর্ম।
এই প্রদর্শনী লস্করদের ইতিহাসকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার পাশাপাশি তাঁদের জীবনসংগ্রামের স্বীকৃতি দিচ্ছে বলে মনে করেন আয়োজকেরা।
প্রকল্প সম্পর্কে যা জানা যায়
১৯৯২ সালে গ্লাসগো মিউজিয়ামে ‘LASCARS ONLY’ লেখা একটি কাস্ট আয়রনের ফলক পাওয়া যায়, যা ১৮৯০–এর দশকে স্টোবক্রস কুই–এর শৌচাগারে ব্যবহৃত হয়েছিল। লস্কররা মূলত দক্ষিণ এশিয়া ও ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের নাবিক ছিলেন, যারা ইউরোপীয় শিপিং কোম্পানিগুলোর বৈষম্যমূলক শর্তে কাজ করতেন। এ আবিষ্কার গ্লাসগোর বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন, আওয়ার শেয়ারড কালচার হেরিটেজ (ওএসসিএইচ) ও গ্লাসগো লাইফ মিউজিয়ামস–কে এক মঞ্চে আনে। তারা যৌথভাবে লস্করদের ইতিহাস ও স্কটল্যান্ডের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে গবেষণা শুরু করে।
২০২২ সালে শুরু হওয়া প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ‘LASCARi’ বা লস্করি নামে একটি নাটক নির্মাণ করে। এটি মঞ্চস্থ হয়েছিল গ্লাসগোর ‘টল শিপ গ্লেনলি’ জাহাজে। এ ছাড়া, ওএসসিএইচ–এর সদস্যরা স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র, চিত্রকর্ম ও ইতিহাস সংরক্ষণমূলক কাজ করেন। গ্লাসগো লাইফ মিউজিয়াম দুটি সেমিনার ও পপ-আপ প্রদর্শনীর আয়োজন করে, যেখানে দক্ষিণ এশীয় নাবিক ও গবেষকেরা তাঁদের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন।

২০২৩ সালে দ্বিতীয় পর্যায়ে একটি তথ্যচিত্র, বই ও পডকাস্ট নির্মাণ করা হয়। ‘স্কটল্যান্ডস লস্কর হেরিটেজ’ বইটিতে লস্করদের অজানা ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে। প্রকল্পটি একটি আন্তঃপ্রজন্ম উদ্যাপনে পরিণত হয়, যেখানে ইতিহাস, সংস্কৃতি ও দক্ষিণ এশীয় অভিবাসী অভিজ্ঞতার সংযোগ গড়ে ওঠে।
প্রকল্পটি লস্করদের ইতিহাসকে গ্লাসগোর মূলধারায় তুলে এনেছে। গবেষণায় বাংলাদেশি ভাষাবিদ ও নাবিকেরা যুক্ত হন, যার ফলে ঐতিহ্য আরও গভীরভাবে অনুধাবন করা সম্ভব হয়। এই উদ্যোগ সাবেক নাবিক আবদুল ফাত্তাহ-এর মতো অনেকের জন্য জীবন পরিবর্তন করে দেয়। এখানে প্রাপ্ত পারিশ্রমিক দিয়ে তিনি বাংলাদেশে একটি ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলেন।
প্রকল্পটি ২০২৩ সালের ‘মিউজিয়ামস চেঞ্জ লাইভস’ পুরস্কার জিতেছে এবং ‘স্কটল্যান্ডস লস্কর হেরিটেজ’ বইটি ‘সলটায়ার সোসাইটি স্কটিশ রিসার্চ বুক অব দ্য ইয়ার’ মনোনীত হয়।
তথ্যসূত্র: গ্লাসগো লাইফ, দ্য বেস্ট ইন হেরিটেজ

স্কটল্যান্ডে গ্লাসগো রিভারসাইড জাদুঘরে আয়োজন করা হয়েছে এক ব্যতিক্রমী প্রদর্শনী। ব্রিটিশ–ভারতে সাগরে কাজ করা দক্ষিণ এশীয় খালাসিদের ইতিহাস ও সংস্কৃতির প্রদর্শনী হচ্ছে সেখানে। এই খালাসিরাই ‘লস্কর’ নামে পরিচিত। এই আয়োজনের পেছনে রয়েছে স্থানীয় কমিউনিটি সংগঠন বাংলাদেশি অ্যাসোসিয়েশন গ্লাসগো।
মূলত লস্করদের সম্পর্কে গবেষণার অংশ হিসেবে আয়োজন করা হয়েছে এই প্রদর্শনীর। এই গোষ্ঠীটি নিয়ে যারা গবেষণা করছেন, তাঁরা বলেন, লস্কররা ছিলেন ব্রিটিশ জাহাজের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী। খুবই সাদাসিধা জীবনযাপন করতেন। তাঁদের জীবনযাত্রার ব্যয় ছিল খুব সামান্য। তাঁদের মজুরি দেওয়া হতো যৎসামান্য। অধিকাংশ লস্কর ছিলেন মুসলিম। তাঁরা মদ্যপান করতেন না। যেকারণে ঝগড়া–বিবাদে কম জড়াতেন। এসব কারণেই ব্রিটিশ জাহাজ কোম্পানিগুলো খালাসি নিয়োগের ক্ষেত্রে এই বাঙালিরাই ছিলেন প্রথম পছন্দ।
ব্রিটিশ আমলে গ্লাসগো শহরে লস্করদের জন্য বিশেষ কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। কুইন্স ডকে তাঁদের জন্য আলাদা টয়লেট, একটি হোস্টেল এবং একটি ক্লাব তৈরি করা হয়। প্রদর্শনীতে এই ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন হিসেবে একটি ঢালাই লোহার ফলক সংরক্ষিত আছে, যা গ্লাসগোর কুইন্স ডকের একটি শৌচাগারের অংশ ছিল। এতে ইংরেজি লেখা ‘LASCARS ONLY’ আর নিচেই বাংলায় লেখা ‘এই কমতালা খালি নসকরের জন্যে’।
এই প্রদর্শনীতে আরও রয়েছে সি–লাইনার (কার্গো জাহাজ) ভাইসরয় অব ইন্ডিয়া–এর ১: ৪৮ স্কেলের একটি মডেল, যেখানে লস্করদের ছোট ছোট প্রতিকৃতিও রাখা হয়েছে। এ ছাড়া, বেশ কয়েকজন লস্করের গল্পও তুলে ধরা হয়েছে প্রদর্শনীটিতে। যেমন—মুসা আলী, ১৯৫০ সালে গ্লাসগোতে অনিচ্ছাকৃতভাবে তাঁর কাছ থেকে গুটি বসন্ত ছড়িয়ে পড়ে। আছে বাংলাদেশি লস্কর আব্দুল ফাত্তাহর গল্পও। তিনি বাংলাদেশের সিলেটের বাসিন্দা। একবার ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের হাতে বন্দী হয়েছিলেন।
এ ছাড়াও প্রদর্শনীতে লস্করদের জীবনাচরণের ওপর নির্মিত ‘মাউন্টেন অব লাইট’ চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়। ইতিহাসের পাশাপাশি পৌরাণিক ও লোককাহিনির মিশেলে সাজানো হয়েছে এই চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য।

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন গ্লাসগো, গ্লাসগো লাইফ মিউজিয়াম এবং আওয়ার শেয়ারড কালচার হেরিটেজ প্রকল্পের তরুণ সদস্যরা একসঙ্গে কাজ করে এই প্রদর্শনী সম্ভব করেছেন। এর মধ্যে চলচ্চিত্র ছাড়াও ছিল ম্যাগাজিন, পডকাস্ট, ব্লগ এবং অন্যান্য শিল্পকর্ম।
এই প্রদর্শনী লস্করদের ইতিহাসকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার পাশাপাশি তাঁদের জীবনসংগ্রামের স্বীকৃতি দিচ্ছে বলে মনে করেন আয়োজকেরা।
প্রকল্প সম্পর্কে যা জানা যায়
১৯৯২ সালে গ্লাসগো মিউজিয়ামে ‘LASCARS ONLY’ লেখা একটি কাস্ট আয়রনের ফলক পাওয়া যায়, যা ১৮৯০–এর দশকে স্টোবক্রস কুই–এর শৌচাগারে ব্যবহৃত হয়েছিল। লস্কররা মূলত দক্ষিণ এশিয়া ও ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের নাবিক ছিলেন, যারা ইউরোপীয় শিপিং কোম্পানিগুলোর বৈষম্যমূলক শর্তে কাজ করতেন। এ আবিষ্কার গ্লাসগোর বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন, আওয়ার শেয়ারড কালচার হেরিটেজ (ওএসসিএইচ) ও গ্লাসগো লাইফ মিউজিয়ামস–কে এক মঞ্চে আনে। তারা যৌথভাবে লস্করদের ইতিহাস ও স্কটল্যান্ডের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে গবেষণা শুরু করে।
২০২২ সালে শুরু হওয়া প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ‘LASCARi’ বা লস্করি নামে একটি নাটক নির্মাণ করে। এটি মঞ্চস্থ হয়েছিল গ্লাসগোর ‘টল শিপ গ্লেনলি’ জাহাজে। এ ছাড়া, ওএসসিএইচ–এর সদস্যরা স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র, চিত্রকর্ম ও ইতিহাস সংরক্ষণমূলক কাজ করেন। গ্লাসগো লাইফ মিউজিয়াম দুটি সেমিনার ও পপ-আপ প্রদর্শনীর আয়োজন করে, যেখানে দক্ষিণ এশীয় নাবিক ও গবেষকেরা তাঁদের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন।

২০২৩ সালে দ্বিতীয় পর্যায়ে একটি তথ্যচিত্র, বই ও পডকাস্ট নির্মাণ করা হয়। ‘স্কটল্যান্ডস লস্কর হেরিটেজ’ বইটিতে লস্করদের অজানা ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে। প্রকল্পটি একটি আন্তঃপ্রজন্ম উদ্যাপনে পরিণত হয়, যেখানে ইতিহাস, সংস্কৃতি ও দক্ষিণ এশীয় অভিবাসী অভিজ্ঞতার সংযোগ গড়ে ওঠে।
প্রকল্পটি লস্করদের ইতিহাসকে গ্লাসগোর মূলধারায় তুলে এনেছে। গবেষণায় বাংলাদেশি ভাষাবিদ ও নাবিকেরা যুক্ত হন, যার ফলে ঐতিহ্য আরও গভীরভাবে অনুধাবন করা সম্ভব হয়। এই উদ্যোগ সাবেক নাবিক আবদুল ফাত্তাহ-এর মতো অনেকের জন্য জীবন পরিবর্তন করে দেয়। এখানে প্রাপ্ত পারিশ্রমিক দিয়ে তিনি বাংলাদেশে একটি ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলেন।
প্রকল্পটি ২০২৩ সালের ‘মিউজিয়ামস চেঞ্জ লাইভস’ পুরস্কার জিতেছে এবং ‘স্কটল্যান্ডস লস্কর হেরিটেজ’ বইটি ‘সলটায়ার সোসাইটি স্কটিশ রিসার্চ বুক অব দ্য ইয়ার’ মনোনীত হয়।
তথ্যসূত্র: গ্লাসগো লাইফ, দ্য বেস্ট ইন হেরিটেজ

১৯৪৩ সালে তৈরি একটি হাতঘড়ি বিশ্বের সবচেয়ে দামি ঘড়ি হিসেবে রেকর্ড গড়ল। এর আগে ২০১৬ সালে নিলামে বিক্রি হওয়া সবচেয়ে দামি ঘড়ি হিসেবে রেকর্ড গড়ে এই ঘড়িটি। এবার আরও বেশি দামে ঘড়িটি বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছে নিলাম প্রতিষ্ঠান ফিলিপস।
৯ ঘণ্টা আগে
এত অর্থ-সম্পদ দিয়ে ইলন মাস্ক কী করেন, এ নিয়ে অনেক জল্পনা চলে বছরজুড়েই। তিনি নতুন করে আরও একটি ঘোষণা দেন এবং আবারও উঠে আসে এই আলোচনা। তবুও মাস্কের দাবি, তাঁর জীবনযাপন বেশ সাধারণ এবং অনাড়ম্বর। ২০২১ সালে একবার মাস্ক জানান, টেক্সাসে যে ছোট্ট বাড়িটিতে তিনি থাকেন, সেটির মূল্য মাত্র ৫০ হাজার ডলার।
২ দিন আগে
‘হাজী মাখন বিরানী’ বা ‘হাজী মাখন পোলাও’—যে নামেই ডাকা হোক না কেন, তাদের দোকান ওই দুইটাই; পুরান ঢাকার রায়সাহেব বাজারের নাসিরুদ্দিন লেনে। না, মাখন দিয়ে তাদের পোলাও বা বিরিয়ানি রান্না করা হয় না।
৩ দিন আগে
কমলকুমার মজুমদারের বই উচ্চারণ করে পড়লে, দাঁড়ি-কমা মেলে পড়া গেলে, বোঝা যায় যে, কী আশ্চর্য সুন্দর লেখা! কী বলব, আমার গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে তাঁর লেখা পড়ে। হাসান আজিজুল হকের লেখাও ভালোই লাগে, তাঁর লেখাতে একটা ত্রুটি আছে।
৪ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

১৯৪৩ সালে তৈরি একটি হাতঘড়ি বিশ্বের সবচেয়ে দামি ঘড়ি হিসেবে রেকর্ড গড়ল। এর আগে ২০১৬ সালে নিলামে বিক্রি হওয়া সবচেয়ে দামি ঘড়ি হিসেবে রেকর্ড গড়ে এই ঘড়িটি। এবার আরও বেশি দামে ঘড়িটি বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছে নিলাম প্রতিষ্ঠান ফিলিপস।
ঘড়িটির দাম উঠেছে ১ কোটি ৪১ লাখ ৯০ হাজার সুইস ফ্রাঁ, যা প্রায় ১ কোটি ৭৬ লাখ মার্কিন ডলারের সমান। ২০১৬ সালে একই ঘড়ি বিক্রি হয়েছিল ১ কোটি ১০ লাখ সুইস ফ্রাঁ দামে, অর্থাৎ প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ ডলারে।
ঘড়িটি হলো পাটেক ফিলিপ পারপেচুয়াল ক্যালেন্ডার ক্রোনোগ্রাফ রেফারেন্স ১৫১৮ মডেল। স্টেইনলেস স্টিলে তৈরি মাত্র চারটি ঘড়ির একটি এটি। স্বর্ণের ঘড়ির তুলনায় এমন স্টিলের ঘড়ি বিরল হওয়ায় এটি সংগ্রাহকদের কাছে আরও মূল্যবান।
২০১৬ সালে রিস্টওয়াচ হিসেবে ঘড়িটি বিশ্বে সর্বোচ্চ দামে বিক্রির রেকর্ড গড়েছিল। তবে ২০১৭ সালে হলিউড তারকা পল নিউম্যানের মালিকানাধীন রোলেক্স ডেটোনা ঘড়ি ১ কোটি ৭৮ লাখ ডলারে বিক্রি হয়ে সেই রেকর্ড ভেঙে দেয়।
২০১৯ সালে সেই রেকর্ড ভেঙে দেয় আরেকটি পাটেক ফিলিপ গ্র্যান্ডমাস্টার চাইম ঘড়ি, যা বিক্রি হয়েছিল ৩১ মিলিয়ন ডলারে।
নিলাম প্রতিষ্ঠান ফিলিপস বলেছে, স্টেইনলেস স্টিলের ১৫১৮ মডেল আবারও প্রমাণ করল, এটি ঐতিহাসিকভাবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হাতঘড়িগুলোর একটি।
প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ঘড়িটি বিক্রি হতে সময় লেগেছে মাত্র ৯ মিনিটের একটু বেশি। এতে পাঁচজন ক্রেতা দরপত্রে অংশ নেন। শেষ পর্যন্ত টেলিফোনে যুক্ত এক ক্রেতার কাছে ঘড়িটি বিক্রি হয়।
জেনেভার হোটেল প্রেসিডেন্টে অনুষ্ঠিত নিলাম অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বেশ কয়েকজন খ্যাতনামা সংগ্রাহক, ব্যবসায়ী ও ঘড়িনির্মাতা।
ফিলিপস জানায়, ১৫১৮ এমন একটি ঘড়ি, যা সংগ্রহ করতে পারলে একজন সংগ্রাহক মনে করতে পারেন, তিনি ঘড়ি সংগ্রহের জগতে সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছে গেছেন।
১৯৪১ সালে বাজারে আসা এই মডেল ছিল বিশ্বের প্রথম ধারাবাহিকভাবে উৎপাদিত পারপেচুয়াল ক্যালেন্ডার ক্রোনোগ্রাফ।
পাটেক ফিলিপ প্রায় ২৮০টি ১৫১৮ মডেলের ঘড়ি উৎপাদন করেছিল। এর মধ্যে বেশিরভাগ হলুদ স্বর্ণে এবং প্রায় এক পঞ্চম অংশ গোল্ডের রঙের (রোজ গোল্ড)।
স্টেইনলেস স্টিলে বানানো মাত্র চারটি ঘড়ির কথা জানা যায়। সম্প্রতি বিক্রি হওয়া ঘড়িটি সেই চারটির মধ্যে প্রথম উৎপাদিত। কেন পাটেক ফিলিপ এই ঘড়িগুলো তৈরি করেছিল, তা আজও রহস্য।
নিলাম প্রতিষ্ঠান ফিলিপস এটিকে আখ্যায়িত করেছে, ‘এটি প্রায় পৌরাণিক মর্যাদার একটি সময়যন্ত্র। এটি ইতিহাসের গুরুত্ব, নকশার শ্রেষ্ঠত্ব, যান্ত্রিক উদ্ভাবন এবং বিরলতার চূড়ান্ত সমন্বয় হিসেবে দাঁড়িয়েছে।’
দুই দিনের নিলামে মোট ২০৭টি লট বিক্রি হয়, যা ৬৬.৮ মিলিয়ন সুইস ফ্রাঁ অতিক্রম করে। ফিলিপস জানায়, এটি কোনো ঘড়ি নিলামের জন্য সর্বোচ্চ মোট বিক্রির রেকর্ড।
৭২টি দেশে নিবন্ধিত ১ হাজার ৮৮৬ জন ক্রেতা নিলামে অংশ নিয়েছিলেন।

১৯৪৩ সালে তৈরি একটি হাতঘড়ি বিশ্বের সবচেয়ে দামি ঘড়ি হিসেবে রেকর্ড গড়ল। এর আগে ২০১৬ সালে নিলামে বিক্রি হওয়া সবচেয়ে দামি ঘড়ি হিসেবে রেকর্ড গড়ে এই ঘড়িটি। এবার আরও বেশি দামে ঘড়িটি বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছে নিলাম প্রতিষ্ঠান ফিলিপস।
ঘড়িটির দাম উঠেছে ১ কোটি ৪১ লাখ ৯০ হাজার সুইস ফ্রাঁ, যা প্রায় ১ কোটি ৭৬ লাখ মার্কিন ডলারের সমান। ২০১৬ সালে একই ঘড়ি বিক্রি হয়েছিল ১ কোটি ১০ লাখ সুইস ফ্রাঁ দামে, অর্থাৎ প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ ডলারে।
ঘড়িটি হলো পাটেক ফিলিপ পারপেচুয়াল ক্যালেন্ডার ক্রোনোগ্রাফ রেফারেন্স ১৫১৮ মডেল। স্টেইনলেস স্টিলে তৈরি মাত্র চারটি ঘড়ির একটি এটি। স্বর্ণের ঘড়ির তুলনায় এমন স্টিলের ঘড়ি বিরল হওয়ায় এটি সংগ্রাহকদের কাছে আরও মূল্যবান।
২০১৬ সালে রিস্টওয়াচ হিসেবে ঘড়িটি বিশ্বে সর্বোচ্চ দামে বিক্রির রেকর্ড গড়েছিল। তবে ২০১৭ সালে হলিউড তারকা পল নিউম্যানের মালিকানাধীন রোলেক্স ডেটোনা ঘড়ি ১ কোটি ৭৮ লাখ ডলারে বিক্রি হয়ে সেই রেকর্ড ভেঙে দেয়।
২০১৯ সালে সেই রেকর্ড ভেঙে দেয় আরেকটি পাটেক ফিলিপ গ্র্যান্ডমাস্টার চাইম ঘড়ি, যা বিক্রি হয়েছিল ৩১ মিলিয়ন ডলারে।
নিলাম প্রতিষ্ঠান ফিলিপস বলেছে, স্টেইনলেস স্টিলের ১৫১৮ মডেল আবারও প্রমাণ করল, এটি ঐতিহাসিকভাবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হাতঘড়িগুলোর একটি।
প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ঘড়িটি বিক্রি হতে সময় লেগেছে মাত্র ৯ মিনিটের একটু বেশি। এতে পাঁচজন ক্রেতা দরপত্রে অংশ নেন। শেষ পর্যন্ত টেলিফোনে যুক্ত এক ক্রেতার কাছে ঘড়িটি বিক্রি হয়।
জেনেভার হোটেল প্রেসিডেন্টে অনুষ্ঠিত নিলাম অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বেশ কয়েকজন খ্যাতনামা সংগ্রাহক, ব্যবসায়ী ও ঘড়িনির্মাতা।
ফিলিপস জানায়, ১৫১৮ এমন একটি ঘড়ি, যা সংগ্রহ করতে পারলে একজন সংগ্রাহক মনে করতে পারেন, তিনি ঘড়ি সংগ্রহের জগতে সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছে গেছেন।
১৯৪১ সালে বাজারে আসা এই মডেল ছিল বিশ্বের প্রথম ধারাবাহিকভাবে উৎপাদিত পারপেচুয়াল ক্যালেন্ডার ক্রোনোগ্রাফ।
পাটেক ফিলিপ প্রায় ২৮০টি ১৫১৮ মডেলের ঘড়ি উৎপাদন করেছিল। এর মধ্যে বেশিরভাগ হলুদ স্বর্ণে এবং প্রায় এক পঞ্চম অংশ গোল্ডের রঙের (রোজ গোল্ড)।
স্টেইনলেস স্টিলে বানানো মাত্র চারটি ঘড়ির কথা জানা যায়। সম্প্রতি বিক্রি হওয়া ঘড়িটি সেই চারটির মধ্যে প্রথম উৎপাদিত। কেন পাটেক ফিলিপ এই ঘড়িগুলো তৈরি করেছিল, তা আজও রহস্য।
নিলাম প্রতিষ্ঠান ফিলিপস এটিকে আখ্যায়িত করেছে, ‘এটি প্রায় পৌরাণিক মর্যাদার একটি সময়যন্ত্র। এটি ইতিহাসের গুরুত্ব, নকশার শ্রেষ্ঠত্ব, যান্ত্রিক উদ্ভাবন এবং বিরলতার চূড়ান্ত সমন্বয় হিসেবে দাঁড়িয়েছে।’
দুই দিনের নিলামে মোট ২০৭টি লট বিক্রি হয়, যা ৬৬.৮ মিলিয়ন সুইস ফ্রাঁ অতিক্রম করে। ফিলিপস জানায়, এটি কোনো ঘড়ি নিলামের জন্য সর্বোচ্চ মোট বিক্রির রেকর্ড।
৭২টি দেশে নিবন্ধিত ১ হাজার ৮৮৬ জন ক্রেতা নিলামে অংশ নিয়েছিলেন।

বেশ কয়েকজন লস্করের গল্পও তুলে ধরা হয়েছে প্রদর্শনীটিতে। যেমন—মুসা আলী, ১৯৫০ সালে গ্লাসগোতে অনিচ্ছাকৃতভাবে তাঁর কাছ থেকে গুটি বসন্ত ছড়িয়ে পড়ে। আছে বাংলাদেশি লস্কর আব্দুল ফাত্তাহর গল্পও। তিনি বাংলাদেশের সিলেটের বাসিন্দা। একবার ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের হাতে বন্দী হয়েছিলেন।
১৭ মার্চ ২০২৫
এত অর্থ-সম্পদ দিয়ে ইলন মাস্ক কী করেন, এ নিয়ে অনেক জল্পনা চলে বছরজুড়েই। তিনি নতুন করে আরও একটি ঘোষণা দেন এবং আবারও উঠে আসে এই আলোচনা। তবুও মাস্কের দাবি, তাঁর জীবনযাপন বেশ সাধারণ এবং অনাড়ম্বর। ২০২১ সালে একবার মাস্ক জানান, টেক্সাসে যে ছোট্ট বাড়িটিতে তিনি থাকেন, সেটির মূল্য মাত্র ৫০ হাজার ডলার।
২ দিন আগে
‘হাজী মাখন বিরানী’ বা ‘হাজী মাখন পোলাও’—যে নামেই ডাকা হোক না কেন, তাদের দোকান ওই দুইটাই; পুরান ঢাকার রায়সাহেব বাজারের নাসিরুদ্দিন লেনে। না, মাখন দিয়ে তাদের পোলাও বা বিরিয়ানি রান্না করা হয় না।
৩ দিন আগে
কমলকুমার মজুমদারের বই উচ্চারণ করে পড়লে, দাঁড়ি-কমা মেলে পড়া গেলে, বোঝা যায় যে, কী আশ্চর্য সুন্দর লেখা! কী বলব, আমার গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে তাঁর লেখা পড়ে। হাসান আজিজুল হকের লেখাও ভালোই লাগে, তাঁর লেখাতে একটা ত্রুটি আছে।
৪ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইলন মাস্ক। প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো কারণে যার নাম আসে খবরের পাতায়। ২০২১ সালে প্রথমবারের মতো বিশ্বের ধনীদের তালিকায় শীর্ষ স্থান দখল করেন এই মার্কিন উদ্যোক্তা। আর ধনীদের তালিকায় তো এসেছেন বহুকাল আগে। সম্প্রতি ইতিহাসের পাতায় নাম লেখালেন প্রথম ৫০০ বিলিয়ন ডলারের (অর্ধ ট্রিলিয়ন) মালিক হিসেবে।
এত অর্থ-সম্পদ দিয়ে ইলন মাস্ক কী করেন, এ নিয়ে অনেক জল্পনা চলে বছরজুড়েই। তিনি নতুন করে আরও একটি ঘোষণা দেন এবং আবারও উঠে আসে এই আলোচনা। তবুও মাস্কের দাবি, তাঁর জীবনযাপন বেশ সাধারণ এবং অনাড়ম্বর। ২০২১ সালে একবার মাস্ক জানান, টেক্সাসে যে ছোট্ট বাড়িটিতে তিনি থাকেন, সেটির মূল্য মাত্র ৫০ হাজার ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬১ লাখ টাকা)।
ইলন মাস্কের সাদামাটা জীবন নিয়ে তাঁর সাবেক সঙ্গীদের আলাপেও উঠে এসেছে।
ইলন মাস্কের তিন সন্তানের জননী সাবেক সঙ্গী কানাডিয়ান সঙ্গীতশিল্পী গ্রাইমস ২০২২ সালে ‘ভ্যানিটি ফেয়ার’ সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানান, অনেকে যেমনটা মনে করেন আসলে তা নয়। মাস্ক বিলাসবহুল জীবনযাপন করেন না। তিনি তেমন বেশি বিলাসিতার মধ্যে থাকেন না।

গ্রাইমস আরও বলেন, ‘তিনি মোটেও বিলিয়নিয়ারদের মতো থাকেন না। কখনো কখনো দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকা মানুষের মতো জীবনযাপন করেন। একবার তো এমনও হয়েছিল, বিছানায় তাঁর (গ্রাইমসের) পাশটায় ম্যাট্রেসে গর্ত হয়ে যাওয়ার পরও মাস্ক নতুন একটা কিনতে রাজি হননি।’
জীবনযাপন সাধারণ হলেও কিছু ক্ষেত্রে মাস্কের খরচের খাতা বেশ ভারি।
মাস্কের গাড়ির প্রতি আকর্ষণ চোখে পড়ার মতো। তাঁর কাছে এমন গাড়িও আছে, যা সাবমেরিনে রূপ নিতে পারে। এছাড়া তাঁর ব্যক্তিগত জেটবিমানগুলোর মূল্যও কয়েক কোটি ডলার।
এরপর তো ২০২২ সালে পুরো প্রযুক্তি মাধ্যম কাঁপিয়ে দিয়ে সেই ‘ছোট্ট খরচা’ করলেন। ৪৪ বিলিয়ন ডলারে কিনে ফেললেন টুইটার। তারপর এর নাম দিলেন ‘এক্স’। এই কেনাকাটা ‘মন চাইল, কিনলাম’ টাইপই ছিল তাঁর কাছে।
১০ কোটি ডলারে ৭ বছরে ৭টি বাড়ি
ইলন মাস্কের এক বিশাল রিয়েল এস্টেট সাম্রাজ্য ছিল। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের ২০১৯ সালের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সাত বছরে প্রায় ১০ কোটি ডলার দিয়ে ক্যালিফোর্নিয়ার অভিজাত এলাকা বেল-এয়ারে সাতটি বাড়ি কিনেছিলেন মাস্ক।
এগুলোতে ছিল টেনিস কোর্ট, সুইমিং পুল, ওয়াইন সেলার, ব্যক্তিগত লাইব্রেরি। এমনকি বল রুমও ছিল। এর মধ্যে একটি ছিল ‘উইলি ওয়ঙ্কা’ চরিত্রে অভিনয়ের জন্য বিখ্যাত কিংবদন্তি অভিনেতা জিন ওয়াইল্ডারের র্যাঞ্চ হাউস।

তবে ২০২০ সালে এসে এই বিলাসবহুল বাড়ি কেনার ঝোঁক পাল্টে যায় মাস্কের। তিনি এক টুইটে জানান, প্রায় সব ভৌত সম্পদ বিক্রি করে দেবেন তিনি। আর কোনো বাড়ির মালিক থাকবেন না।
তিনি লেখেন, ‘আমার টাকার দরকার নেই। আমি নিজেকে মঙ্গল গ্রহ ও পৃথিবীর কাজে উৎসর্গ করছি। সম্পত্তি মানুষকে ভারী করে ফেলে।’
তবে তিনি একটি শর্তও দেন, অভিনেতা জিন ওয়াইল্ডারের বাড়িটি যেন ‘ধ্বংস না করা হয়’ এবং এর কোনো পরিবর্তন আনা যাবে না।
ওয়াইল্ডারের ভাতিজা জর্ডান ওয়াকার-পার্লম্যানের কাছে তিন বেডরুমের ওই বাড়িটি বিক্রি করে দেন মাস্ক। বাড়িটি কেনার জন্য মাস্ক নিজেই ওয়াইল্ডারের ভাতিজাকে কয়েক মিলিয়ন ডলার ঋণ দেন। কিন্তু ওয়াকার-পার্লম্যান সময়মতো ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হচ্ছিলেন বলে ২০২৫ সালের জুনে বাড়িটির মালিকানা ফেরত নেন তিনি।

২০২১ সালে মাস্ক টুইট করে জানান, এখন থেকে তাঁর ‘প্রধান বাসস্থান’ টেক্সাসের দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত এক সাধারণ প্রিফ্যাব্রিকেটেড বাড়ি, যার দাম প্রায় ৫০ হাজার ডলার। তাঁর মহাকাশ সংস্থা স্পেসএক্স ওখান থেকেই পরিচালিত হয়। এই অঞ্চলটি এখন আনুষ্ঠানিকভাবে ‘স্টারবেস’ নামে পরিচিত।
মাস্ক বলেন, ‘এটা আসলেই দারুণ।’
এর পরের বছর মাস্ক আবার জানান, তাঁর নিজের নামে কোনো বাড়িই নেই। একে নিজের কম ভোগবাদী জীবনযাপনের উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন তিনি। যদিও তাঁর সম্পদের পরিমাণ বিপুল।
তিনি মার্কিন-কানাডিয়ান অলাভজনক মিডিয়া সংস্থা টেড-এর প্রধান ক্রিস অ্যান্ডারসনকে বলেন, ‘আমি বন্ধুবান্ধবদের বাড়িতেই বেশি থাকি। যখন বে এরিয়ায় যাই, যেখানে টেসলার বেশিরভাগ ইঞ্জিনিয়ারিং কাজ হয়, তখন বন্ধুদের বাড়ির ফাঁকা ঘরগুলোতে পালা করে থাকি।’

এই কথা আসলেই সত্যি। ২০১৫ সালে গুগলের তৎকালীন প্রধান নির্বাহী ল্যারি পেজ লেখক অ্যাশলি ভ্যান্সকে বলেছিলেন, মাস্ককে ‘একরকম গৃহহীন’-ই বলা যায়।
ল্যারি পেজ আরও বলেন, “সে ই-মেইল করে বলে, ‘আজ রাতে কোথায় থাকব বুঝতে পারছি না। তোমার বাড়িতে আসতে পারি?’ ”
বছরের পর বছর ধরে জল্পনা চলছে, মাস্ক যুক্তরাষ্ট্রে নতুন সম্পত্তি কিনছেন কিনা। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে টেক্সাসের ওই বাড়িটিই এখনো তাঁর একমাত্র বাড়ি হিসেবে পরিচিত।
মাস্কের সংগ্রহ যেন ঐতিহাসিক গাড়ির মেলা
ইলন মাস্ক বাড়ির পেছনে খরচ না করলেও গাড়ির ক্ষেত্রে বেশ উদার। টেসলার মালিক হিসেবে তাঁর বিরল ও ব্যতিক্রমধর্মী গাড়ির সংগ্রহ থাকা আশ্চর্যের কিছু নয়! তবে তাঁর কিছু গাড়ি একেবারেই সবার থেকে আলাদা।
মাস্কের সংগ্রহে ছিল ২০শ শতাব্দীর প্রথম সাশ্রয়ী মূল্যের গাড়ি হিসেবে পরিচিত ফোর্ড মডেল ‘টি’। গাড়ি শিল্পে এক ঐতিহাসিক বিপ্লব ঘটায় এই গাড়ি।
আরও ছিল ১৯৬৭ সালের জাগুয়ার ই-টাইপ রোডস্টার। এই গাড়িটির প্রতি নাকি শৈশব থেকেই মাস্কের আকর্ষণ। ১৯৯৭ সালের ম্যাকলারেন এফ ১ গাড়িটিও তাঁর সংগ্রহে ছিল। একবার দুর্ঘটনায় ভেঙে যায় গাড়িটি। বিপুল অর্থ ব্যয়ে মেরামত করেন তিনি। পরে অবশ্য বিক্রি করে দেন।

তাঁর আরেকটি বিখ্যাত গাড়ি হলো টেসলার প্রথম বাজারজাত করা টেসলা রোডস্টার। ২০১৮ সালে মাস্ক এই গাড়িটি মহাকাশে পাঠিয়েছিলেন।
১৯৭৭ সালের জেমস বন্ডের সিনেমা দ্য স্পাই হু লাভড মি-তে ব্যবহৃত ১৯৭৬ সালে বাজারে আসা লোটাস এসপ্রিৎ গাড়িটিও তাঁর সংগ্রহে ছিল। সিনেমায় ‘ওয়েট নেলি’ নামের এই গাড়িটি সাবমেরিনে রূপ নিতে পারত। মাস্ক ২০১৩ সালে প্রায় ১০ লাখ ডলারে নিলামে গাড়িটি কিনেছিলেন। সেই সাবমেরিনে রূপান্তরের ক্ষমতাটিকে বাস্তবে ফিরিয়ে আনার ইচ্ছে ছিল তাঁর।
আকাশ পথেও পিছিয়ে নন মাস্ক
উড়ালপথেও খরচ করতে ভালোবাসেন ইলন মাস্ক। তবে তাঁর দাবি, ‘এটি বিলাসিতা নয়—বরং কাজের প্রতি তাঁর নিবেদন।’
২০২২ সালে টেডকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মাস্ক বলেন, ‘আমি যদি উড়োজাহাজ ব্যবহার করি, যাতে আমার কাজের জন্য হাতে বেশি সময় পাই।’
মাস্কের সংগ্রহে আছে একাধিক গালফস্ট্রিম মডেলের ব্যক্তিগত জেট, যার প্রতিটির দাম কয়েক কোটি ডলার।
মাস্ক যুক্তরাষ্ট্রে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা স্পেসএক্স ও টেসলার অফিসগুলো পরিদর্শনে এবং আন্তর্জাতিক সফরে এই উড়োজাহাজগুলো ব্যবহার করেন।
দাতব্য কাজ নিয়ে আলোচিত-সমালোচিত ইলন মাস্ক
মার্কিন নিয়ন্ত্রক সংস্থার নথি অনুযায়ী, মাস্ক বিভিন্ন দাতব্য সংস্থাকে বিলিয়ন ডলারের শেয়ার দান করেছেন। প্রায় সময়ই নানা উদ্যোগে বহু মিলিয়ন ডলার অনুদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তবে তাঁর দানশীলতা নিয়ে সমালোচনাও আছে।
নিউইয়র্ক টাইমস গত বছর লিখেছিল, তাঁর দানের ধরন ‘অগোছালো এবং মূলত ব্যক্তিগত স্বার্থসংশ্লিষ্ট’। এই দানের ধরন তাঁকে বিশাল কর-ছাড়ের সুযোগ দেয় এবং তাঁর ব্যবসাকেও সহায়তা করে।
তাঁর দাতব্য সংস্থা মাস্ক ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইটে বলা আছে, প্রতিষ্ঠানটি মানবজাতির অগ্রগতি ত্বরান্বিত করতে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের সীমা ছাড়িয়ে যাওয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে।
তবে নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, টানা তিন বছর ধরে ফাউন্ডেশনটি আইন অনুযায়ী যে পরিমাণ অর্থ দান করা প্রয়োজন, তা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। পত্রিকাটি যে কর সংক্রান্ত নথি পর্যালোচনা করেছে, তাতে দেখা গেছে, সংস্থাটির বেশিরভাগ অনুদানই গেছে মাস্কের প্রতিষ্ঠানগুলোতেই।
এ বিষয়ে মাস্ক ও তাঁর ফাউন্ডেশনের সঙ্গে যোগাযোগ করে কোনো সাড়া পায়নি নিউইয়র্ক টাইমস।
অতীতে দান ও সমাজসেবামূলক কাজ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মাস্ক প্রায়ই প্রচলিত দান পদ্ধতির বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
২০২২ সালে টেডের ক্রিস অ্যান্ডারসনকে তিনি বলেন, ‘আপনি যদি ভালো কাজের আসল প্রভাব নিয়ে ভাবেন, শুধু বাহ্যিক ভাবমূর্তি নয়, তাহলে দানশীলতা আসলে অত্যন্ত জটিল একটি বিষয়।’
মাস্ক বলেন, টেসলা টেকসই জ্বালানির প্রসার ঘটাচ্ছে, স্পেসএক্স মানবজাতির দীর্ঘমেয়াদে টিকে থাকা নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছে, আর নিউরালিংক মস্তিষ্কজনিত আঘাত এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা থেকে সৃষ্ট অস্তিত্বগত ঝুঁকি মোকাবিলায় কাজ করছে।
তাঁর ব্যবসাগুলোই মানবকল্যাণের এক ধরনের দান বলে মনে করেন ইলন মাস্ক। তিনি বলেন, ‘যদি দানশীলতার অর্থ হয় মানবতার প্রতি ভালোবাসা, তবে এগুলোই দানশীলতা।’

ইলন মাস্ক। প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো কারণে যার নাম আসে খবরের পাতায়। ২০২১ সালে প্রথমবারের মতো বিশ্বের ধনীদের তালিকায় শীর্ষ স্থান দখল করেন এই মার্কিন উদ্যোক্তা। আর ধনীদের তালিকায় তো এসেছেন বহুকাল আগে। সম্প্রতি ইতিহাসের পাতায় নাম লেখালেন প্রথম ৫০০ বিলিয়ন ডলারের (অর্ধ ট্রিলিয়ন) মালিক হিসেবে।
এত অর্থ-সম্পদ দিয়ে ইলন মাস্ক কী করেন, এ নিয়ে অনেক জল্পনা চলে বছরজুড়েই। তিনি নতুন করে আরও একটি ঘোষণা দেন এবং আবারও উঠে আসে এই আলোচনা। তবুও মাস্কের দাবি, তাঁর জীবনযাপন বেশ সাধারণ এবং অনাড়ম্বর। ২০২১ সালে একবার মাস্ক জানান, টেক্সাসে যে ছোট্ট বাড়িটিতে তিনি থাকেন, সেটির মূল্য মাত্র ৫০ হাজার ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬১ লাখ টাকা)।
ইলন মাস্কের সাদামাটা জীবন নিয়ে তাঁর সাবেক সঙ্গীদের আলাপেও উঠে এসেছে।
ইলন মাস্কের তিন সন্তানের জননী সাবেক সঙ্গী কানাডিয়ান সঙ্গীতশিল্পী গ্রাইমস ২০২২ সালে ‘ভ্যানিটি ফেয়ার’ সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানান, অনেকে যেমনটা মনে করেন আসলে তা নয়। মাস্ক বিলাসবহুল জীবনযাপন করেন না। তিনি তেমন বেশি বিলাসিতার মধ্যে থাকেন না।

গ্রাইমস আরও বলেন, ‘তিনি মোটেও বিলিয়নিয়ারদের মতো থাকেন না। কখনো কখনো দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকা মানুষের মতো জীবনযাপন করেন। একবার তো এমনও হয়েছিল, বিছানায় তাঁর (গ্রাইমসের) পাশটায় ম্যাট্রেসে গর্ত হয়ে যাওয়ার পরও মাস্ক নতুন একটা কিনতে রাজি হননি।’
জীবনযাপন সাধারণ হলেও কিছু ক্ষেত্রে মাস্কের খরচের খাতা বেশ ভারি।
মাস্কের গাড়ির প্রতি আকর্ষণ চোখে পড়ার মতো। তাঁর কাছে এমন গাড়িও আছে, যা সাবমেরিনে রূপ নিতে পারে। এছাড়া তাঁর ব্যক্তিগত জেটবিমানগুলোর মূল্যও কয়েক কোটি ডলার।
এরপর তো ২০২২ সালে পুরো প্রযুক্তি মাধ্যম কাঁপিয়ে দিয়ে সেই ‘ছোট্ট খরচা’ করলেন। ৪৪ বিলিয়ন ডলারে কিনে ফেললেন টুইটার। তারপর এর নাম দিলেন ‘এক্স’। এই কেনাকাটা ‘মন চাইল, কিনলাম’ টাইপই ছিল তাঁর কাছে।
১০ কোটি ডলারে ৭ বছরে ৭টি বাড়ি
ইলন মাস্কের এক বিশাল রিয়েল এস্টেট সাম্রাজ্য ছিল। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের ২০১৯ সালের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সাত বছরে প্রায় ১০ কোটি ডলার দিয়ে ক্যালিফোর্নিয়ার অভিজাত এলাকা বেল-এয়ারে সাতটি বাড়ি কিনেছিলেন মাস্ক।
এগুলোতে ছিল টেনিস কোর্ট, সুইমিং পুল, ওয়াইন সেলার, ব্যক্তিগত লাইব্রেরি। এমনকি বল রুমও ছিল। এর মধ্যে একটি ছিল ‘উইলি ওয়ঙ্কা’ চরিত্রে অভিনয়ের জন্য বিখ্যাত কিংবদন্তি অভিনেতা জিন ওয়াইল্ডারের র্যাঞ্চ হাউস।

তবে ২০২০ সালে এসে এই বিলাসবহুল বাড়ি কেনার ঝোঁক পাল্টে যায় মাস্কের। তিনি এক টুইটে জানান, প্রায় সব ভৌত সম্পদ বিক্রি করে দেবেন তিনি। আর কোনো বাড়ির মালিক থাকবেন না।
তিনি লেখেন, ‘আমার টাকার দরকার নেই। আমি নিজেকে মঙ্গল গ্রহ ও পৃথিবীর কাজে উৎসর্গ করছি। সম্পত্তি মানুষকে ভারী করে ফেলে।’
তবে তিনি একটি শর্তও দেন, অভিনেতা জিন ওয়াইল্ডারের বাড়িটি যেন ‘ধ্বংস না করা হয়’ এবং এর কোনো পরিবর্তন আনা যাবে না।
ওয়াইল্ডারের ভাতিজা জর্ডান ওয়াকার-পার্লম্যানের কাছে তিন বেডরুমের ওই বাড়িটি বিক্রি করে দেন মাস্ক। বাড়িটি কেনার জন্য মাস্ক নিজেই ওয়াইল্ডারের ভাতিজাকে কয়েক মিলিয়ন ডলার ঋণ দেন। কিন্তু ওয়াকার-পার্লম্যান সময়মতো ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হচ্ছিলেন বলে ২০২৫ সালের জুনে বাড়িটির মালিকানা ফেরত নেন তিনি।

২০২১ সালে মাস্ক টুইট করে জানান, এখন থেকে তাঁর ‘প্রধান বাসস্থান’ টেক্সাসের দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত এক সাধারণ প্রিফ্যাব্রিকেটেড বাড়ি, যার দাম প্রায় ৫০ হাজার ডলার। তাঁর মহাকাশ সংস্থা স্পেসএক্স ওখান থেকেই পরিচালিত হয়। এই অঞ্চলটি এখন আনুষ্ঠানিকভাবে ‘স্টারবেস’ নামে পরিচিত।
মাস্ক বলেন, ‘এটা আসলেই দারুণ।’
এর পরের বছর মাস্ক আবার জানান, তাঁর নিজের নামে কোনো বাড়িই নেই। একে নিজের কম ভোগবাদী জীবনযাপনের উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন তিনি। যদিও তাঁর সম্পদের পরিমাণ বিপুল।
তিনি মার্কিন-কানাডিয়ান অলাভজনক মিডিয়া সংস্থা টেড-এর প্রধান ক্রিস অ্যান্ডারসনকে বলেন, ‘আমি বন্ধুবান্ধবদের বাড়িতেই বেশি থাকি। যখন বে এরিয়ায় যাই, যেখানে টেসলার বেশিরভাগ ইঞ্জিনিয়ারিং কাজ হয়, তখন বন্ধুদের বাড়ির ফাঁকা ঘরগুলোতে পালা করে থাকি।’

এই কথা আসলেই সত্যি। ২০১৫ সালে গুগলের তৎকালীন প্রধান নির্বাহী ল্যারি পেজ লেখক অ্যাশলি ভ্যান্সকে বলেছিলেন, মাস্ককে ‘একরকম গৃহহীন’-ই বলা যায়।
ল্যারি পেজ আরও বলেন, “সে ই-মেইল করে বলে, ‘আজ রাতে কোথায় থাকব বুঝতে পারছি না। তোমার বাড়িতে আসতে পারি?’ ”
বছরের পর বছর ধরে জল্পনা চলছে, মাস্ক যুক্তরাষ্ট্রে নতুন সম্পত্তি কিনছেন কিনা। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে টেক্সাসের ওই বাড়িটিই এখনো তাঁর একমাত্র বাড়ি হিসেবে পরিচিত।
মাস্কের সংগ্রহ যেন ঐতিহাসিক গাড়ির মেলা
ইলন মাস্ক বাড়ির পেছনে খরচ না করলেও গাড়ির ক্ষেত্রে বেশ উদার। টেসলার মালিক হিসেবে তাঁর বিরল ও ব্যতিক্রমধর্মী গাড়ির সংগ্রহ থাকা আশ্চর্যের কিছু নয়! তবে তাঁর কিছু গাড়ি একেবারেই সবার থেকে আলাদা।
মাস্কের সংগ্রহে ছিল ২০শ শতাব্দীর প্রথম সাশ্রয়ী মূল্যের গাড়ি হিসেবে পরিচিত ফোর্ড মডেল ‘টি’। গাড়ি শিল্পে এক ঐতিহাসিক বিপ্লব ঘটায় এই গাড়ি।
আরও ছিল ১৯৬৭ সালের জাগুয়ার ই-টাইপ রোডস্টার। এই গাড়িটির প্রতি নাকি শৈশব থেকেই মাস্কের আকর্ষণ। ১৯৯৭ সালের ম্যাকলারেন এফ ১ গাড়িটিও তাঁর সংগ্রহে ছিল। একবার দুর্ঘটনায় ভেঙে যায় গাড়িটি। বিপুল অর্থ ব্যয়ে মেরামত করেন তিনি। পরে অবশ্য বিক্রি করে দেন।

তাঁর আরেকটি বিখ্যাত গাড়ি হলো টেসলার প্রথম বাজারজাত করা টেসলা রোডস্টার। ২০১৮ সালে মাস্ক এই গাড়িটি মহাকাশে পাঠিয়েছিলেন।
১৯৭৭ সালের জেমস বন্ডের সিনেমা দ্য স্পাই হু লাভড মি-তে ব্যবহৃত ১৯৭৬ সালে বাজারে আসা লোটাস এসপ্রিৎ গাড়িটিও তাঁর সংগ্রহে ছিল। সিনেমায় ‘ওয়েট নেলি’ নামের এই গাড়িটি সাবমেরিনে রূপ নিতে পারত। মাস্ক ২০১৩ সালে প্রায় ১০ লাখ ডলারে নিলামে গাড়িটি কিনেছিলেন। সেই সাবমেরিনে রূপান্তরের ক্ষমতাটিকে বাস্তবে ফিরিয়ে আনার ইচ্ছে ছিল তাঁর।
আকাশ পথেও পিছিয়ে নন মাস্ক
উড়ালপথেও খরচ করতে ভালোবাসেন ইলন মাস্ক। তবে তাঁর দাবি, ‘এটি বিলাসিতা নয়—বরং কাজের প্রতি তাঁর নিবেদন।’
২০২২ সালে টেডকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মাস্ক বলেন, ‘আমি যদি উড়োজাহাজ ব্যবহার করি, যাতে আমার কাজের জন্য হাতে বেশি সময় পাই।’
মাস্কের সংগ্রহে আছে একাধিক গালফস্ট্রিম মডেলের ব্যক্তিগত জেট, যার প্রতিটির দাম কয়েক কোটি ডলার।
মাস্ক যুক্তরাষ্ট্রে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা স্পেসএক্স ও টেসলার অফিসগুলো পরিদর্শনে এবং আন্তর্জাতিক সফরে এই উড়োজাহাজগুলো ব্যবহার করেন।
দাতব্য কাজ নিয়ে আলোচিত-সমালোচিত ইলন মাস্ক
মার্কিন নিয়ন্ত্রক সংস্থার নথি অনুযায়ী, মাস্ক বিভিন্ন দাতব্য সংস্থাকে বিলিয়ন ডলারের শেয়ার দান করেছেন। প্রায় সময়ই নানা উদ্যোগে বহু মিলিয়ন ডলার অনুদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তবে তাঁর দানশীলতা নিয়ে সমালোচনাও আছে।
নিউইয়র্ক টাইমস গত বছর লিখেছিল, তাঁর দানের ধরন ‘অগোছালো এবং মূলত ব্যক্তিগত স্বার্থসংশ্লিষ্ট’। এই দানের ধরন তাঁকে বিশাল কর-ছাড়ের সুযোগ দেয় এবং তাঁর ব্যবসাকেও সহায়তা করে।
তাঁর দাতব্য সংস্থা মাস্ক ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইটে বলা আছে, প্রতিষ্ঠানটি মানবজাতির অগ্রগতি ত্বরান্বিত করতে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের সীমা ছাড়িয়ে যাওয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে।
তবে নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, টানা তিন বছর ধরে ফাউন্ডেশনটি আইন অনুযায়ী যে পরিমাণ অর্থ দান করা প্রয়োজন, তা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। পত্রিকাটি যে কর সংক্রান্ত নথি পর্যালোচনা করেছে, তাতে দেখা গেছে, সংস্থাটির বেশিরভাগ অনুদানই গেছে মাস্কের প্রতিষ্ঠানগুলোতেই।
এ বিষয়ে মাস্ক ও তাঁর ফাউন্ডেশনের সঙ্গে যোগাযোগ করে কোনো সাড়া পায়নি নিউইয়র্ক টাইমস।
অতীতে দান ও সমাজসেবামূলক কাজ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মাস্ক প্রায়ই প্রচলিত দান পদ্ধতির বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
২০২২ সালে টেডের ক্রিস অ্যান্ডারসনকে তিনি বলেন, ‘আপনি যদি ভালো কাজের আসল প্রভাব নিয়ে ভাবেন, শুধু বাহ্যিক ভাবমূর্তি নয়, তাহলে দানশীলতা আসলে অত্যন্ত জটিল একটি বিষয়।’
মাস্ক বলেন, টেসলা টেকসই জ্বালানির প্রসার ঘটাচ্ছে, স্পেসএক্স মানবজাতির দীর্ঘমেয়াদে টিকে থাকা নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছে, আর নিউরালিংক মস্তিষ্কজনিত আঘাত এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা থেকে সৃষ্ট অস্তিত্বগত ঝুঁকি মোকাবিলায় কাজ করছে।
তাঁর ব্যবসাগুলোই মানবকল্যাণের এক ধরনের দান বলে মনে করেন ইলন মাস্ক। তিনি বলেন, ‘যদি দানশীলতার অর্থ হয় মানবতার প্রতি ভালোবাসা, তবে এগুলোই দানশীলতা।’

বেশ কয়েকজন লস্করের গল্পও তুলে ধরা হয়েছে প্রদর্শনীটিতে। যেমন—মুসা আলী, ১৯৫০ সালে গ্লাসগোতে অনিচ্ছাকৃতভাবে তাঁর কাছ থেকে গুটি বসন্ত ছড়িয়ে পড়ে। আছে বাংলাদেশি লস্কর আব্দুল ফাত্তাহর গল্পও। তিনি বাংলাদেশের সিলেটের বাসিন্দা। একবার ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের হাতে বন্দী হয়েছিলেন।
১৭ মার্চ ২০২৫
১৯৪৩ সালে তৈরি একটি হাতঘড়ি বিশ্বের সবচেয়ে দামি ঘড়ি হিসেবে রেকর্ড গড়ল। এর আগে ২০১৬ সালে নিলামে বিক্রি হওয়া সবচেয়ে দামি ঘড়ি হিসেবে রেকর্ড গড়ে এই ঘড়িটি। এবার আরও বেশি দামে ঘড়িটি বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছে নিলাম প্রতিষ্ঠান ফিলিপস।
৯ ঘণ্টা আগে
‘হাজী মাখন বিরানী’ বা ‘হাজী মাখন পোলাও’—যে নামেই ডাকা হোক না কেন, তাদের দোকান ওই দুইটাই; পুরান ঢাকার রায়সাহেব বাজারের নাসিরুদ্দিন লেনে। না, মাখন দিয়ে তাদের পোলাও বা বিরিয়ানি রান্না করা হয় না।
৩ দিন আগে
কমলকুমার মজুমদারের বই উচ্চারণ করে পড়লে, দাঁড়ি-কমা মেলে পড়া গেলে, বোঝা যায় যে, কী আশ্চর্য সুন্দর লেখা! কী বলব, আমার গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে তাঁর লেখা পড়ে। হাসান আজিজুল হকের লেখাও ভালোই লাগে, তাঁর লেখাতে একটা ত্রুটি আছে।
৪ দিন আগেসম্পাদকীয়

‘হাজী মাখন বিরানী’ বা ‘হাজী মাখন পোলাও’—যে নামেই ডাকা হোক না কেন, তাদের দোকান ওই দুইটাই; পুরান ঢাকার রায়সাহেব বাজারের নাসিরুদ্দিন লেনে। না, মাখন দিয়ে তাদের পোলাও বা বিরিয়ানি রান্না করা হয় না। প্রতিষ্ঠাতা আবদুল কাদেরের ছেলের নাম হাজী মাখন। তাঁর নামেই ব্যবসার সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। সত্তর বছরের বেশি আবদুল কাদেরের এই ব্যবসার বয়স। পঞ্চাশের দশক থেকে তিন প্রজন্ম ধরে চলছে পারিবারিক এই ব্যবসা। একসময় ১ পয়সা কি ২ পয়সায় এক প্লেট মাখন বিরিয়ানি খাওয়া যেত। এখন খেতে হলে শ দেড়েক টাকা তো লাগবেই। পোলাওয়ের চালের সঙ্গে গরুর মাংসের মাখো মাখো এই বিরিয়ানি খেতে কিন্তু একেবারেই মাখন!
ছবি: হাসান রাজা

‘হাজী মাখন বিরানী’ বা ‘হাজী মাখন পোলাও’—যে নামেই ডাকা হোক না কেন, তাদের দোকান ওই দুইটাই; পুরান ঢাকার রায়সাহেব বাজারের নাসিরুদ্দিন লেনে। না, মাখন দিয়ে তাদের পোলাও বা বিরিয়ানি রান্না করা হয় না। প্রতিষ্ঠাতা আবদুল কাদেরের ছেলের নাম হাজী মাখন। তাঁর নামেই ব্যবসার সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। সত্তর বছরের বেশি আবদুল কাদেরের এই ব্যবসার বয়স। পঞ্চাশের দশক থেকে তিন প্রজন্ম ধরে চলছে পারিবারিক এই ব্যবসা। একসময় ১ পয়সা কি ২ পয়সায় এক প্লেট মাখন বিরিয়ানি খাওয়া যেত। এখন খেতে হলে শ দেড়েক টাকা তো লাগবেই। পোলাওয়ের চালের সঙ্গে গরুর মাংসের মাখো মাখো এই বিরিয়ানি খেতে কিন্তু একেবারেই মাখন!
ছবি: হাসান রাজা

বেশ কয়েকজন লস্করের গল্পও তুলে ধরা হয়েছে প্রদর্শনীটিতে। যেমন—মুসা আলী, ১৯৫০ সালে গ্লাসগোতে অনিচ্ছাকৃতভাবে তাঁর কাছ থেকে গুটি বসন্ত ছড়িয়ে পড়ে। আছে বাংলাদেশি লস্কর আব্দুল ফাত্তাহর গল্পও। তিনি বাংলাদেশের সিলেটের বাসিন্দা। একবার ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের হাতে বন্দী হয়েছিলেন।
১৭ মার্চ ২০২৫
১৯৪৩ সালে তৈরি একটি হাতঘড়ি বিশ্বের সবচেয়ে দামি ঘড়ি হিসেবে রেকর্ড গড়ল। এর আগে ২০১৬ সালে নিলামে বিক্রি হওয়া সবচেয়ে দামি ঘড়ি হিসেবে রেকর্ড গড়ে এই ঘড়িটি। এবার আরও বেশি দামে ঘড়িটি বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছে নিলাম প্রতিষ্ঠান ফিলিপস।
৯ ঘণ্টা আগে
এত অর্থ-সম্পদ দিয়ে ইলন মাস্ক কী করেন, এ নিয়ে অনেক জল্পনা চলে বছরজুড়েই। তিনি নতুন করে আরও একটি ঘোষণা দেন এবং আবারও উঠে আসে এই আলোচনা। তবুও মাস্কের দাবি, তাঁর জীবনযাপন বেশ সাধারণ এবং অনাড়ম্বর। ২০২১ সালে একবার মাস্ক জানান, টেক্সাসে যে ছোট্ট বাড়িটিতে তিনি থাকেন, সেটির মূল্য মাত্র ৫০ হাজার ডলার।
২ দিন আগে
কমলকুমার মজুমদারের বই উচ্চারণ করে পড়লে, দাঁড়ি-কমা মেলে পড়া গেলে, বোঝা যায় যে, কী আশ্চর্য সুন্দর লেখা! কী বলব, আমার গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে তাঁর লেখা পড়ে। হাসান আজিজুল হকের লেখাও ভালোই লাগে, তাঁর লেখাতে একটা ত্রুটি আছে।
৪ দিন আগেসম্পাদকীয়

কমলকুমার মজুমদারের বই উচ্চারণ করে পড়লে, দাঁড়ি-কমা মেলে পড়া গেলে, বোঝা যায় যে, কী আশ্চর্য সুন্দর লেখা! কী বলব, আমার গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে তাঁর লেখা পড়ে। হাসান আজিজুল হকের লেখাও ভালোই লাগে, তাঁর লেখাতে একটা ত্রুটি আছে। লেখাতে কিন্তু একটা জিনিস থাকা উচিত বলে আমার মনে হয়—হিউমার। রসবোধ থাকা উচিত, প্রত্যেকের লেখাতেই। যে ভিক্ষা করছে তাকে যদি ফলো করি, দেখা যাবে একটা সময়ে একটা হাসির কথা বলছে, একটা সময়ে একটা ভঙ্গি করল যেটা হাসির ভঙ্গি। সব সময়ই তাকে যদি এভাবে কষ্টকরভাবে দেখি, ঠিক না। ওর লেখাতে হাসিটা নেই। কায়েস আহমেদের লেখা আমার ভালো লাগত।
মঞ্জু সরকারের লেখা ভালো। আমার ভালো লাগে। সুশান্ত মজুমদারের কিছু লেখা আছে, খুব সিরিয়াসলি লিখেছে, খুব সিরিয়াসলি। বোঝা যায় আরকি। সিরিয়াস লিখলেও এখনো পর্যন্ত বলা চলে না যে ছোটগল্প লেখক হয়েছে। মঈনুল আহসান সাবের সো সো। একটা কথা কি, এদের সময় থেকে লেখকেরা প্রচণ্ড লোভী হয়ে পড়ল, তাই যা হবার হয়েছে। লোভী লোকের দ্বারা গল্প হয় না।
সমরেশ বসু ভার্সেটাইল লেখক। ভার্সেটাইল বলছি এ জন্য যে, উনি যে-সমস্ত বিষয় নিয়ে লিখেছেন, তা ওই লোকই। যেমন, রাস্তায় পড়ে থাকাদের নিয়ে তিনটা বই আছে ওনার। তিনটা কি দুটি হবে। অথচ মনে হবে ওদেরই ভাষা। ওদেরই জীবন, অসাধারণ। অন্য বইও লিখেছেন, সুন্দর।
অমিয়ভূষণ মজুমদারের লেখা আমার প্রথমেই খুব ভালো লেগেছিল, ওনার ভাষার জন্য। এত মেদহীন ভাষা বোধ হয় কারও নেই, এটা আমার মনে হয়েছিল। আমার মনে আছে, প্রায় টেক্সটের মতো বইটা (গড় শ্রীখন্ড) পড়তাম। অনেক মোটা বই। খুব ভালো লেগেছিল বইটা পড়ে।
সূত্র: প্রশান্ত মৃধা ও হামিম কামরুল হকের গ্রহণ করা কথাসাহিত্যিক মাহমুদুল হকের সাক্ষাৎকার, ‘হিরণ্ময় কথকতা’, পৃষ্ঠা ৬০-৬১

কমলকুমার মজুমদারের বই উচ্চারণ করে পড়লে, দাঁড়ি-কমা মেলে পড়া গেলে, বোঝা যায় যে, কী আশ্চর্য সুন্দর লেখা! কী বলব, আমার গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে তাঁর লেখা পড়ে। হাসান আজিজুল হকের লেখাও ভালোই লাগে, তাঁর লেখাতে একটা ত্রুটি আছে। লেখাতে কিন্তু একটা জিনিস থাকা উচিত বলে আমার মনে হয়—হিউমার। রসবোধ থাকা উচিত, প্রত্যেকের লেখাতেই। যে ভিক্ষা করছে তাকে যদি ফলো করি, দেখা যাবে একটা সময়ে একটা হাসির কথা বলছে, একটা সময়ে একটা ভঙ্গি করল যেটা হাসির ভঙ্গি। সব সময়ই তাকে যদি এভাবে কষ্টকরভাবে দেখি, ঠিক না। ওর লেখাতে হাসিটা নেই। কায়েস আহমেদের লেখা আমার ভালো লাগত।
মঞ্জু সরকারের লেখা ভালো। আমার ভালো লাগে। সুশান্ত মজুমদারের কিছু লেখা আছে, খুব সিরিয়াসলি লিখেছে, খুব সিরিয়াসলি। বোঝা যায় আরকি। সিরিয়াস লিখলেও এখনো পর্যন্ত বলা চলে না যে ছোটগল্প লেখক হয়েছে। মঈনুল আহসান সাবের সো সো। একটা কথা কি, এদের সময় থেকে লেখকেরা প্রচণ্ড লোভী হয়ে পড়ল, তাই যা হবার হয়েছে। লোভী লোকের দ্বারা গল্প হয় না।
সমরেশ বসু ভার্সেটাইল লেখক। ভার্সেটাইল বলছি এ জন্য যে, উনি যে-সমস্ত বিষয় নিয়ে লিখেছেন, তা ওই লোকই। যেমন, রাস্তায় পড়ে থাকাদের নিয়ে তিনটা বই আছে ওনার। তিনটা কি দুটি হবে। অথচ মনে হবে ওদেরই ভাষা। ওদেরই জীবন, অসাধারণ। অন্য বইও লিখেছেন, সুন্দর।
অমিয়ভূষণ মজুমদারের লেখা আমার প্রথমেই খুব ভালো লেগেছিল, ওনার ভাষার জন্য। এত মেদহীন ভাষা বোধ হয় কারও নেই, এটা আমার মনে হয়েছিল। আমার মনে আছে, প্রায় টেক্সটের মতো বইটা (গড় শ্রীখন্ড) পড়তাম। অনেক মোটা বই। খুব ভালো লেগেছিল বইটা পড়ে।
সূত্র: প্রশান্ত মৃধা ও হামিম কামরুল হকের গ্রহণ করা কথাসাহিত্যিক মাহমুদুল হকের সাক্ষাৎকার, ‘হিরণ্ময় কথকতা’, পৃষ্ঠা ৬০-৬১

বেশ কয়েকজন লস্করের গল্পও তুলে ধরা হয়েছে প্রদর্শনীটিতে। যেমন—মুসা আলী, ১৯৫০ সালে গ্লাসগোতে অনিচ্ছাকৃতভাবে তাঁর কাছ থেকে গুটি বসন্ত ছড়িয়ে পড়ে। আছে বাংলাদেশি লস্কর আব্দুল ফাত্তাহর গল্পও। তিনি বাংলাদেশের সিলেটের বাসিন্দা। একবার ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের হাতে বন্দী হয়েছিলেন।
১৭ মার্চ ২০২৫
১৯৪৩ সালে তৈরি একটি হাতঘড়ি বিশ্বের সবচেয়ে দামি ঘড়ি হিসেবে রেকর্ড গড়ল। এর আগে ২০১৬ সালে নিলামে বিক্রি হওয়া সবচেয়ে দামি ঘড়ি হিসেবে রেকর্ড গড়ে এই ঘড়িটি। এবার আরও বেশি দামে ঘড়িটি বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছে নিলাম প্রতিষ্ঠান ফিলিপস।
৯ ঘণ্টা আগে
এত অর্থ-সম্পদ দিয়ে ইলন মাস্ক কী করেন, এ নিয়ে অনেক জল্পনা চলে বছরজুড়েই। তিনি নতুন করে আরও একটি ঘোষণা দেন এবং আবারও উঠে আসে এই আলোচনা। তবুও মাস্কের দাবি, তাঁর জীবনযাপন বেশ সাধারণ এবং অনাড়ম্বর। ২০২১ সালে একবার মাস্ক জানান, টেক্সাসে যে ছোট্ট বাড়িটিতে তিনি থাকেন, সেটির মূল্য মাত্র ৫০ হাজার ডলার।
২ দিন আগে
‘হাজী মাখন বিরানী’ বা ‘হাজী মাখন পোলাও’—যে নামেই ডাকা হোক না কেন, তাদের দোকান ওই দুইটাই; পুরান ঢাকার রায়সাহেব বাজারের নাসিরুদ্দিন লেনে। না, মাখন দিয়ে তাদের পোলাও বা বিরিয়ানি রান্না করা হয় না।
৩ দিন আগে