আজকের পত্রিকা ডেস্ক
কবিতাই তাঁর প্রকাশের জায়গা, কিন্তু গদ্যও লেখেন অনবদ্য। নির্মলেন্দু গুণ কখনো কখনো গদ্যে যা লিখে রেখেছেন, তা পড়ে ফেলা যায় সহজেই। কোথাও হোঁচট খেতে হয় না। মনে হয়, তিনি যেন সামনে দাঁড়িয়ে আড্ডার ছলে বলছেন কথাগুলো।
এই যুগে ছবি তোলার জন্য ক্যামেরার প্রয়োজন হয় না। হাতে একটা স্মার্টফোন থাকলেই হয়। যেকোনো সচল বা স্থিরচিত্র ধারণ করা যায় অনায়াসে। কিন্তু যে সময়ের কথা বলা হচ্ছে, সেটা ১৯৮২ সাল। স্মার্টফোন তখন ছিল না। ইয়াশিকা, নাইকন, ক্যাননসহ নানা ধরনের ক্যামেরার রমরমা সে সময়। সোভিয়েত ইউনিয়নে পাওয়া যেত জেনিত নামে একটি ক্যামেরা। সেটাও ছিল খুব ভালো।
সে সময় কবি নির্মলেন্দু গুণের কোনো ক্যামেরা ছিল না। ক্যামেরাকে তখনো খুব দামি একটি সম্পত্তি হিসেবেই ভাবা হতো। ক্যামেরাহীন কবি সোভিয়েত ইউনিয়ন ঘুরে গেছেন ভিয়েতনামে। সে সময় সেখানে হচ্ছিল দ্বাদশ আফ্রো-এশীয় লেখক সম্মেলন। অংশগ্রহণকারীদের পকেট মানি হিসেবে দেওয়া হয়েছিল ২০০ ডং করে। কিছু জরুরি জিনিসপত্র, এই যেমন তিনটি চিঠি, একটি টেলিগ্রাম পাঠাতে মাত্র ১০ ডং খরচ হলো কবির। ভিয়েতনামের মুদ্রার মান এত উচ্চে ভেবে খুশি হলেন তিনি। কিন্তু বিড়ম্বনায় পড়লেন ছবি তুলতে গিয়ে। নিজের ক্যামেরা না থাকলে যে এতটা ভুগতে হবে, সেটা তিনি বুঝতেই পারেননি।
সেদিন বিকেলে তিনি নিজের ছবি তোলাতে চাইলেন। পেশাদার ফটোগ্রাফারকে দিয়েই তো তোলাতে হবে। ছবি তোলার পর দুটো ছবি কিনতে চাইলে দেখা গেল তার দাম ১০০ ডং! এটা ছিল কবির ভাবনারও অতীত! বেশ কিছুক্ষণ দ্বিধাদ্বন্দ্বে কাটল কবির সময়। নেবেন কি নেবেন না! অবশেষে ছবির কাছে পরাজিত হলো অর্থ। তিনি কিনে নিলেন। ভাবলেন, টাকা অস্থির, ছবি অচল ও স্থির। ছবি কথা বলবে।
ভুল ভাবেননি কবি। এখনো সে ছবি দেখে আনন্দে তাঁর মন ভরে যায়।
সূত্র: নির্মলেন্দু গুণ, এবং প্যারিস, পৃষ্ঠা ৮১
কবিতাই তাঁর প্রকাশের জায়গা, কিন্তু গদ্যও লেখেন অনবদ্য। নির্মলেন্দু গুণ কখনো কখনো গদ্যে যা লিখে রেখেছেন, তা পড়ে ফেলা যায় সহজেই। কোথাও হোঁচট খেতে হয় না। মনে হয়, তিনি যেন সামনে দাঁড়িয়ে আড্ডার ছলে বলছেন কথাগুলো।
এই যুগে ছবি তোলার জন্য ক্যামেরার প্রয়োজন হয় না। হাতে একটা স্মার্টফোন থাকলেই হয়। যেকোনো সচল বা স্থিরচিত্র ধারণ করা যায় অনায়াসে। কিন্তু যে সময়ের কথা বলা হচ্ছে, সেটা ১৯৮২ সাল। স্মার্টফোন তখন ছিল না। ইয়াশিকা, নাইকন, ক্যাননসহ নানা ধরনের ক্যামেরার রমরমা সে সময়। সোভিয়েত ইউনিয়নে পাওয়া যেত জেনিত নামে একটি ক্যামেরা। সেটাও ছিল খুব ভালো।
সে সময় কবি নির্মলেন্দু গুণের কোনো ক্যামেরা ছিল না। ক্যামেরাকে তখনো খুব দামি একটি সম্পত্তি হিসেবেই ভাবা হতো। ক্যামেরাহীন কবি সোভিয়েত ইউনিয়ন ঘুরে গেছেন ভিয়েতনামে। সে সময় সেখানে হচ্ছিল দ্বাদশ আফ্রো-এশীয় লেখক সম্মেলন। অংশগ্রহণকারীদের পকেট মানি হিসেবে দেওয়া হয়েছিল ২০০ ডং করে। কিছু জরুরি জিনিসপত্র, এই যেমন তিনটি চিঠি, একটি টেলিগ্রাম পাঠাতে মাত্র ১০ ডং খরচ হলো কবির। ভিয়েতনামের মুদ্রার মান এত উচ্চে ভেবে খুশি হলেন তিনি। কিন্তু বিড়ম্বনায় পড়লেন ছবি তুলতে গিয়ে। নিজের ক্যামেরা না থাকলে যে এতটা ভুগতে হবে, সেটা তিনি বুঝতেই পারেননি।
সেদিন বিকেলে তিনি নিজের ছবি তোলাতে চাইলেন। পেশাদার ফটোগ্রাফারকে দিয়েই তো তোলাতে হবে। ছবি তোলার পর দুটো ছবি কিনতে চাইলে দেখা গেল তার দাম ১০০ ডং! এটা ছিল কবির ভাবনারও অতীত! বেশ কিছুক্ষণ দ্বিধাদ্বন্দ্বে কাটল কবির সময়। নেবেন কি নেবেন না! অবশেষে ছবির কাছে পরাজিত হলো অর্থ। তিনি কিনে নিলেন। ভাবলেন, টাকা অস্থির, ছবি অচল ও স্থির। ছবি কথা বলবে।
ভুল ভাবেননি কবি। এখনো সে ছবি দেখে আনন্দে তাঁর মন ভরে যায়।
সূত্র: নির্মলেন্দু গুণ, এবং প্যারিস, পৃষ্ঠা ৮১
বাংলাদেশের অ্যাংলিংকান সম্প্রদায় উপাসনার জন্য নির্মাণ করেছিল সেন্ট থমাস ক্যাথেড্রাল চার্চ। ১৮১৯ সালে শেষ হয় এর নির্মাণকাজ। ঢাকা কারাগারের কয়েদিরা নাকি এটির নির্মাণে শ্রম দিয়েছিল। কলকাতার বিশপ রেজিনাল্ড হেবার ১৮২৪ সালের ১০ জুলাই ঢাকায় এসে উদ্বোধন করেন লক্ষ্মীবাজারে অবস্থিত এই গির্জাটির।
১ দিন আগেআজ বিশ্ব নৃত্য দিবস। জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেসকোর সহযোগী সংস্থা আন্তর্জাতিক থিয়েটার ইনস্টিটিউট-আইটিআই ১৯৮২ সালে ২৯ এপ্রিলকে বিশ্ব নৃত্য দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন। মূলত নৃত্যশিল্পের বিকাশ ও বিশ্বব্যাপী নৃত্যপ্রেমীদের একত্রিত করাই এই দিবসের মূল উদ্দেশ্য। ২৯ এপ্রিল আধুনিক
২ দিন আগেদুপুরের খাবারের বিরতির পর তাঁরা আবার কাজ শুরু করেন। সন্ধ্যা ৭টায় কাজ শেষ হলে সিপির চীনা ও আইরিশ শ্রমিকেরা এক দিনে ১০ মাইল ৫৬ ফুট (১৬.১১১ কিলোমিটার) রেলপথ বসানোর অনন্য রেকর্ড গড়েন।
৩ দিন আগেআলীর এই সিদ্ধান্তে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে যুক্তরাষ্ট্র। কেউ কেউ আলীর অবস্থানের প্রশংসা করেন, আবার কেউ কেউ তাঁকে আখ্যায়িত করেন বিশ্বাসঘাতক। তাঁকে বক্সিং রিংয়ে নিষিদ্ধ করা হয়, কেড়ে নেওয়া হয় অর্জিত শিরোপা। এমনকি তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনে ফেডারেল সরকারের বিচার বিভাগ।
৩ দিন আগে