কাশফিয়া আলম ঝিলিক, ঢাকা
ডেস্কে বসে কপের খবর নেওয়া আর আকাশের চাঁদ ছোঁয়ার মধ্যে যেন তেমন কোনো পার্থক্য নেই। কিন্তু হঠাৎ মনে পড়ল আনিকা তাবাসসুমের কথা। এই মুহূর্তে তিনি আছেন আজারবাইজানের বাকুতে। এত এত অ্যাপের দুনিয়ায় তাঁকে ধরা কি খুব কঠিন? চেষ্টা করতেই তাঁর কাছ থেকে পাওয়া গেল উত্তর। আমরাও চটপট কথা বলে ফেললাম আনিকার সঙ্গে।
আনিকা কাজ করেন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে। তবে জলবায়ু ও পরিবেশ নিয়ে কাজ করছেন স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে। সেই সুবাদে ওয়ার্ক ফর বেটার সোসাইটি নামক প্রতিষ্ঠানটি থেকে এবারের কপ সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন আনিকা। তাঁর কাছে জানতে চেয়েছিলাম কপে তাঁর অভিজ্ঞতার কথা। বিশেষভাবে এবারের কপে নারীদের নিয়ে আলোচনা হচ্ছে কি না, সে বিষয়ে।
জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈশ্বিক তাপমাত্রা নিয়ে আলোচনার সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক সম্মেলন কপ। এ বছর আজারবাইজানের বাকুতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই সম্মেলন।
কেমন দেখছেন
বিশ্বের উন্নত দেশগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি কতটা গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে এবং এর প্রভাব ও ক্ষতি নিয়ে তাঁরা কতটা উদ্বিগ্ন, সে বিষয়ে প্রতিদিনই বিভিন্ন আলোচনা হচ্ছে বাকুতে। আলোচনার পাশাপাশি এর প্রতিকারের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে এবং নিতে পারে, সেসব বিষয়েও আলোচনা হচ্ছে সম্মেলনে, জানালেন আনিকা। উদাহরণ টেনে বললেন, ‘আফ্রিকার মানুষ অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে ভুক্তভোগী। আবার আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বন্যায় প্লাবিত হয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার। আমাদের নদীতীরের মানুষ ভিটেমাটি হারাচ্ছে, সম্পদ হারাচ্ছে। এ রকম অবস্থার বিপরীতে উন্নত দেশগুলো কীভাবে তাদের দেশগুলোর জলবায়ুর উন্নয়নে কাজ করছে, কীভাবে নিজেদের দেশগুলোর জলবায়ু পরিবর্তনের সম্ভাব্য ক্ষতি থেকে রক্ষা করছে, সেসব ব্যাপারে জানা যাচ্ছে এই সম্মেলনে।’
এ ক্ষেত্রে উন্নত টেকনোলজির ব্যবহার নিয়ে হওয়া বিভিন্ন সেমিনারে বিশেষ ধারণা পেয়েছেন বলে জানান আনিকা। তিনি জানালেন, যেহেতু বাংলাদেশ থেকে গেছেন, তাই দেশের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সমস্যাগুলো বিবেচনায় রেখে বিভিন্ন সেমিনারে অংশগ্রহণের চেষ্টা করেছেন। যাতে সমাধানের উপায়গুলো সম্পর্কে অভিজ্ঞতা নিয়ে দেশে ফিরে কাজ করতে পারেন।
জলবায়ু ও নারী
আনিকা জানান, জলবায়ুর কারণে নারীদের জীবন যে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়, এ বিষয়টি অনেক গুরুত্ব পাচ্ছে এবারের আলোচনায়। আয়োজনে নারীদের নিয়ে অনেক সেমিনার রাখা হচ্ছে, যেখানে নেতৃত্বে থাকছেন নারীরাই। সেমিনারগুলোর আলোচনায় গুরুত্ব পাচ্ছে নারীর অধিকার এবং জলবায়ুর প্রভাব। আনিকা বলেন, ‘এবারের আয়োজনে আমি দেখছি নারীরা নেতৃত্ব এবং টেকনোলজির ব্যবহারের দিক দিয়ে অনেক এগিয়ে রয়েছেন। আরও কার্যকর বৈশ্বিক জলবায়ু কর্মের জন্য নারীদের কণ্ঠস্বর এবং উদ্যোগকে প্রসার করার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে।’
আলোচনার বিষয়
বিশাল পরিসরের বৈশ্বিক এ সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তনের বহুমুখী দিকসহ নারীদের অগ্রযাত্রা ও ক্ষমতায়ন নিয়ে বেশ আলোচনা চলছে। এ ছাড়া সবুজ বিশ্ব, জলবায়ু পরিবর্তন, অভিযোজন, মানবশক্তি, দক্ষতা বৃদ্ধিতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতি, বৈশ্বিক সমস্যা ও সমাধান, জলবায়ু পরিবর্তনে নারীর ভূমিকা, সবুজ বা নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও জাতীয় গ্রিডে অন্তর্ভুক্তকরণ এবং জলবায়ু অর্থায়নের পরিকল্পনা ও অগ্রগতি ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনার কথা জানান আনিকা। বিভিন্ন ফোরামের আলোচনায় নেট জিরো লক্ষ্যমাত্রা অগ্রগতির চ্যালেঞ্জ এবং উচ্চ কার্বন নির্গমন সেক্টরের ট্রানজিশনের জন্য অর্থনৈতিক সহায়তার কথাও এসেছে বলে জানান তিনি। বিশেষ করে, নেট জিরো কার্বন নিঃসরণের লক্ষ্যমাত্রা ২০৫০-এর পরিবর্তে ২০৩০ নির্ধারণের দিকে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে।
আনিকার স্বপ্ন
বিশাল এই সম্মেলনে অংশ নিয়ে বিভিন্ন দেশের সমস্যাগুলো জানার সুযোগ পেয়েছেন আনিকা।
এ তথ্যগুলো পরবর্তী সময়ে গবেষণামূলক কাজে সহায়তা করবে বলে মনে করছেন তিনি। জানালেন, সেখানে বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়েছে, যাঁদের তিনি পরবর্তী সময়ে দেশের সমস্যা নিয়ে কাজ করার আহ্বান জানাতে পারেন। দেশের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার এবং কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট নিয়ে কাজ করতে চান আনিকা। বললেন, ‘আমার প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ক ফর বেটার সোসাইটি এই সম্মেলনের স্পিরিট সঙ্গে নিয়ে সামনের দিনগুলোতে কাজ করে যাবে।’
তারুণ্যের হাত ধরেই এগিয়ে যাবে দেশ। সেই যাত্রায় আনিকারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন—এটাই আমাদের বিশ্বাস।
ডেস্কে বসে কপের খবর নেওয়া আর আকাশের চাঁদ ছোঁয়ার মধ্যে যেন তেমন কোনো পার্থক্য নেই। কিন্তু হঠাৎ মনে পড়ল আনিকা তাবাসসুমের কথা। এই মুহূর্তে তিনি আছেন আজারবাইজানের বাকুতে। এত এত অ্যাপের দুনিয়ায় তাঁকে ধরা কি খুব কঠিন? চেষ্টা করতেই তাঁর কাছ থেকে পাওয়া গেল উত্তর। আমরাও চটপট কথা বলে ফেললাম আনিকার সঙ্গে।
আনিকা কাজ করেন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে। তবে জলবায়ু ও পরিবেশ নিয়ে কাজ করছেন স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে। সেই সুবাদে ওয়ার্ক ফর বেটার সোসাইটি নামক প্রতিষ্ঠানটি থেকে এবারের কপ সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন আনিকা। তাঁর কাছে জানতে চেয়েছিলাম কপে তাঁর অভিজ্ঞতার কথা। বিশেষভাবে এবারের কপে নারীদের নিয়ে আলোচনা হচ্ছে কি না, সে বিষয়ে।
জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈশ্বিক তাপমাত্রা নিয়ে আলোচনার সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক সম্মেলন কপ। এ বছর আজারবাইজানের বাকুতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই সম্মেলন।
কেমন দেখছেন
বিশ্বের উন্নত দেশগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি কতটা গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে এবং এর প্রভাব ও ক্ষতি নিয়ে তাঁরা কতটা উদ্বিগ্ন, সে বিষয়ে প্রতিদিনই বিভিন্ন আলোচনা হচ্ছে বাকুতে। আলোচনার পাশাপাশি এর প্রতিকারের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে এবং নিতে পারে, সেসব বিষয়েও আলোচনা হচ্ছে সম্মেলনে, জানালেন আনিকা। উদাহরণ টেনে বললেন, ‘আফ্রিকার মানুষ অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে ভুক্তভোগী। আবার আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বন্যায় প্লাবিত হয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার। আমাদের নদীতীরের মানুষ ভিটেমাটি হারাচ্ছে, সম্পদ হারাচ্ছে। এ রকম অবস্থার বিপরীতে উন্নত দেশগুলো কীভাবে তাদের দেশগুলোর জলবায়ুর উন্নয়নে কাজ করছে, কীভাবে নিজেদের দেশগুলোর জলবায়ু পরিবর্তনের সম্ভাব্য ক্ষতি থেকে রক্ষা করছে, সেসব ব্যাপারে জানা যাচ্ছে এই সম্মেলনে।’
এ ক্ষেত্রে উন্নত টেকনোলজির ব্যবহার নিয়ে হওয়া বিভিন্ন সেমিনারে বিশেষ ধারণা পেয়েছেন বলে জানান আনিকা। তিনি জানালেন, যেহেতু বাংলাদেশ থেকে গেছেন, তাই দেশের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সমস্যাগুলো বিবেচনায় রেখে বিভিন্ন সেমিনারে অংশগ্রহণের চেষ্টা করেছেন। যাতে সমাধানের উপায়গুলো সম্পর্কে অভিজ্ঞতা নিয়ে দেশে ফিরে কাজ করতে পারেন।
জলবায়ু ও নারী
আনিকা জানান, জলবায়ুর কারণে নারীদের জীবন যে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়, এ বিষয়টি অনেক গুরুত্ব পাচ্ছে এবারের আলোচনায়। আয়োজনে নারীদের নিয়ে অনেক সেমিনার রাখা হচ্ছে, যেখানে নেতৃত্বে থাকছেন নারীরাই। সেমিনারগুলোর আলোচনায় গুরুত্ব পাচ্ছে নারীর অধিকার এবং জলবায়ুর প্রভাব। আনিকা বলেন, ‘এবারের আয়োজনে আমি দেখছি নারীরা নেতৃত্ব এবং টেকনোলজির ব্যবহারের দিক দিয়ে অনেক এগিয়ে রয়েছেন। আরও কার্যকর বৈশ্বিক জলবায়ু কর্মের জন্য নারীদের কণ্ঠস্বর এবং উদ্যোগকে প্রসার করার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে।’
আলোচনার বিষয়
বিশাল পরিসরের বৈশ্বিক এ সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তনের বহুমুখী দিকসহ নারীদের অগ্রযাত্রা ও ক্ষমতায়ন নিয়ে বেশ আলোচনা চলছে। এ ছাড়া সবুজ বিশ্ব, জলবায়ু পরিবর্তন, অভিযোজন, মানবশক্তি, দক্ষতা বৃদ্ধিতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতি, বৈশ্বিক সমস্যা ও সমাধান, জলবায়ু পরিবর্তনে নারীর ভূমিকা, সবুজ বা নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও জাতীয় গ্রিডে অন্তর্ভুক্তকরণ এবং জলবায়ু অর্থায়নের পরিকল্পনা ও অগ্রগতি ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনার কথা জানান আনিকা। বিভিন্ন ফোরামের আলোচনায় নেট জিরো লক্ষ্যমাত্রা অগ্রগতির চ্যালেঞ্জ এবং উচ্চ কার্বন নির্গমন সেক্টরের ট্রানজিশনের জন্য অর্থনৈতিক সহায়তার কথাও এসেছে বলে জানান তিনি। বিশেষ করে, নেট জিরো কার্বন নিঃসরণের লক্ষ্যমাত্রা ২০৫০-এর পরিবর্তে ২০৩০ নির্ধারণের দিকে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে।
আনিকার স্বপ্ন
বিশাল এই সম্মেলনে অংশ নিয়ে বিভিন্ন দেশের সমস্যাগুলো জানার সুযোগ পেয়েছেন আনিকা।
এ তথ্যগুলো পরবর্তী সময়ে গবেষণামূলক কাজে সহায়তা করবে বলে মনে করছেন তিনি। জানালেন, সেখানে বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়েছে, যাঁদের তিনি পরবর্তী সময়ে দেশের সমস্যা নিয়ে কাজ করার আহ্বান জানাতে পারেন। দেশের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার এবং কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট নিয়ে কাজ করতে চান আনিকা। বললেন, ‘আমার প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ক ফর বেটার সোসাইটি এই সম্মেলনের স্পিরিট সঙ্গে নিয়ে সামনের দিনগুলোতে কাজ করে যাবে।’
তারুণ্যের হাত ধরেই এগিয়ে যাবে দেশ। সেই যাত্রায় আনিকারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন—এটাই আমাদের বিশ্বাস।
ঢাকা শহরে কিশোরীদের খেলাধুলায় অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে অন্যতম প্রতিবন্ধকতা হলো পরিবারের সহযোগিতা না পাওয়া। ঘরের কাজ, যাতায়াতের অসুবিধা, নিরাপত্তাহীনতা ও পর্যাপ্ত অবকাঠামোর অভাবেও মেয়েরা খেলাধুলার সুযোগ পায় না। স্পোর্টস ফর প্রটেকশন রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন (স্পিরিট) প্রকল্পের প্রাথমিক মূল্যায়ন...
১৬ ঘণ্টা আগেআগামীকাল ২৬ জুন। জাতিসংঘ তারিখটিকে আন্তর্জাতিক নির্যাতনবিরোধী দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে। কিন্তু আমরা আশ্চর্য হয়ে দেখছি, শুধু নারী বা শিশু নয়, পৃথিবীময় বিভিন্ন ধরনের নির্যাতনের সংখ্যা বেড়ে চলেছে এবং এর বৈশিষ্ট্য হয়ে উঠছে জটিল।
২ দিন আগেআমার বয়স প্রায় ১৯ বছর। আমার প্যানিক অ্যাটাক ডিসঅর্ডার ছিল। প্রতি রাতে বা দিনে ঘুমালে দুঃস্বপ্ন দেখি। আমার ওজন কমে যাচ্ছে। এ জন্য চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলাম। দুই দিন ওষুধ খাওয়ার পর রাতে আরও ভয়ংকর স্বপ্ন দেখি! এরপর থেকে ভয় পাই, মৃত্যুভীতি। মনে হয়, আমার বড় কোনো রোগ হবে।
২ দিন আগেউগান্ডার পূর্ব দিকের শহর জিনজার। এর প্রান্তে নামহীন এক সড়ক। সেই সড়ক ধরে এগিয়ে গেলে পাওয়া যাবে সবুজ পাহাড় আর আখখেতে ঘেরা একটি কম্পাউন্ড। বাইরে থেকে শোনা যাবে শিশুদের হাসি ও খেলার আওয়াজ। দারুণ এই পরিবেশ প্রথমে সবার ভালো লাগবে। কিন্তু এ এতিমখানার ৯৮টি শিশুর গল্প...
২ দিন আগে