ব্যারিস্টার ইফফাত গিয়াস আরেফিন
প্রশ্ন: আমার বয়স ২৮ বছর। ঢাকায় চাকরি করি। পরিবার গ্রামে থাকে। বছরখানেক আগে দূরসম্পর্কের এক চাচা সরকারি ব্যাংকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে আমার মায়ের কাছ থেকে দুই লাখ টাকা নেন। মা জমি বিক্রি করে টাকাটা তাঁকে দিয়েছেন। টাকা দেওয়ার সময় গ্রামের বাড়ির দুজন প্রতিবেশী ছিলেন। সেই চাচা যে প্রতারণা করেছেন, সেটা বুঝতে পেরে মা টাকা ফেরত চাইলে তিনি টাকা নেওয়ার ব্যাপারটি অস্বীকার করেন। তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে চাই। কীভাবে কী করতে হবে?
জেবুন্নেসা, ঢাকা
আপনার সেই চাচা প্রতারণা করেছেন। এই টাকা তিনি ফেরত দিতে বাধ্য। টাকা আপসে ফেরত নেওয়ার চেষ্টা করে দেখুন। তা না হলে আদালত ও পুলিশ প্রশাসনের সাহায্য নিতে হবে। টাকা দেওয়ার সময় যে দুজন প্রতিবেশী ছিলেন, তাঁদের সাক্ষী হিসেবে রাখতে পারেন। যেহেতু দুজন প্রতিবেশী সাক্ষীর সামনে ঘটনাটি ঘটেছে, তাই আপনার চাচা যতই অস্বীকার করুন, টাকা নেওয়ার বিষয়টি প্রমাণ করা সহজ হবে।
আপসে টাকা ফেরত না দিলে আপনার মা প্রথমে লিগ্যাল নোটিশ পাঠাতে পারেন। তাতেও কাজ না হলে দেওয়ানি আদালতে পাওনা টাকা ফেরত পেতে মানি স্যুট বা অর্থের মামলা করতে পারেন। অন্যদিকে ফৌজদারি আদালতে করতে পারেন প্রতারণা ও অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গের মামলা। মূলত টাকার পরিমাণের ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন আদালতে মামলা করা যেতে পারে। এ জন্য কোর্ট ফি, মামলা দাখিল, সমন জারিসহ আইনজীবীর খরচ আপনাকে বহন করতে হবে। তবে পাওনা টাকার পরিমাণ যত বেশিই হোক না কেন, কোর্ট
ফি কখনোই ৫০ হাজার টাকার বেশি হবে না। তবে যথাযথ সাক্ষ্যপ্রমাণ না থাকলে মামলা খারিজ হয়ে যাবে।
সাধারণত এভাবে টাকা দেওয়া বা নেওয়ার কোনো ডকুমেন্ট থাকে না। ফলে টাকা উদ্ধার করা কঠিন হয়ে যায়। সম্ভব হলে আপনার মাকে চুক্তিপত্র করে নিতে বলুন। সেটা না পারলে মোবাইল ফোনে সে বিষয়ে কল রেকর্ড করে বা ই-মেইল বা মেসেজে তাঁর টাকা ধার নেওয়ার বিষয়টির স্বীকারোক্তি নিতে পারলে তা আপনাদের জন্য কাজে আসবে। যে দুজন প্রতিবেশী সাক্ষী ছিলেন টাকা নেওয়ার সময়, তাঁরাও আপনাদের পক্ষে আদালতে সাক্ষ্য দিতে পারবেন।
থানা কিংবা আদালত—যেখানেই মামলা করা হোক না কেন, সব সাক্ষ্য ও প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত যদি সন্তুষ্ট হন, তবে পাওনাদারের বিরুদ্ধে ডিক্রি জারি করতে পারেন। মূল বকেয়া কিংবা সেই টাকার লভ্যাংশ অথবা সেই সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিপূরণসহ অর্থ ফেরত দেওয়ার ডিক্রি জারি করতে পারেন আদালত।
পরামর্শ দিয়েছেন, ব্যারিস্টার ইফফাত গিয়াস আরেফিন, অ্যাডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট
প্রশ্ন: আমার বয়স ২৮ বছর। ঢাকায় চাকরি করি। পরিবার গ্রামে থাকে। বছরখানেক আগে দূরসম্পর্কের এক চাচা সরকারি ব্যাংকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে আমার মায়ের কাছ থেকে দুই লাখ টাকা নেন। মা জমি বিক্রি করে টাকাটা তাঁকে দিয়েছেন। টাকা দেওয়ার সময় গ্রামের বাড়ির দুজন প্রতিবেশী ছিলেন। সেই চাচা যে প্রতারণা করেছেন, সেটা বুঝতে পেরে মা টাকা ফেরত চাইলে তিনি টাকা নেওয়ার ব্যাপারটি অস্বীকার করেন। তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে চাই। কীভাবে কী করতে হবে?
জেবুন্নেসা, ঢাকা
আপনার সেই চাচা প্রতারণা করেছেন। এই টাকা তিনি ফেরত দিতে বাধ্য। টাকা আপসে ফেরত নেওয়ার চেষ্টা করে দেখুন। তা না হলে আদালত ও পুলিশ প্রশাসনের সাহায্য নিতে হবে। টাকা দেওয়ার সময় যে দুজন প্রতিবেশী ছিলেন, তাঁদের সাক্ষী হিসেবে রাখতে পারেন। যেহেতু দুজন প্রতিবেশী সাক্ষীর সামনে ঘটনাটি ঘটেছে, তাই আপনার চাচা যতই অস্বীকার করুন, টাকা নেওয়ার বিষয়টি প্রমাণ করা সহজ হবে।
আপসে টাকা ফেরত না দিলে আপনার মা প্রথমে লিগ্যাল নোটিশ পাঠাতে পারেন। তাতেও কাজ না হলে দেওয়ানি আদালতে পাওনা টাকা ফেরত পেতে মানি স্যুট বা অর্থের মামলা করতে পারেন। অন্যদিকে ফৌজদারি আদালতে করতে পারেন প্রতারণা ও অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গের মামলা। মূলত টাকার পরিমাণের ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন আদালতে মামলা করা যেতে পারে। এ জন্য কোর্ট ফি, মামলা দাখিল, সমন জারিসহ আইনজীবীর খরচ আপনাকে বহন করতে হবে। তবে পাওনা টাকার পরিমাণ যত বেশিই হোক না কেন, কোর্ট
ফি কখনোই ৫০ হাজার টাকার বেশি হবে না। তবে যথাযথ সাক্ষ্যপ্রমাণ না থাকলে মামলা খারিজ হয়ে যাবে।
সাধারণত এভাবে টাকা দেওয়া বা নেওয়ার কোনো ডকুমেন্ট থাকে না। ফলে টাকা উদ্ধার করা কঠিন হয়ে যায়। সম্ভব হলে আপনার মাকে চুক্তিপত্র করে নিতে বলুন। সেটা না পারলে মোবাইল ফোনে সে বিষয়ে কল রেকর্ড করে বা ই-মেইল বা মেসেজে তাঁর টাকা ধার নেওয়ার বিষয়টির স্বীকারোক্তি নিতে পারলে তা আপনাদের জন্য কাজে আসবে। যে দুজন প্রতিবেশী সাক্ষী ছিলেন টাকা নেওয়ার সময়, তাঁরাও আপনাদের পক্ষে আদালতে সাক্ষ্য দিতে পারবেন।
থানা কিংবা আদালত—যেখানেই মামলা করা হোক না কেন, সব সাক্ষ্য ও প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত যদি সন্তুষ্ট হন, তবে পাওনাদারের বিরুদ্ধে ডিক্রি জারি করতে পারেন। মূল বকেয়া কিংবা সেই টাকার লভ্যাংশ অথবা সেই সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিপূরণসহ অর্থ ফেরত দেওয়ার ডিক্রি জারি করতে পারেন আদালত।
পরামর্শ দিয়েছেন, ব্যারিস্টার ইফফাত গিয়াস আরেফিন, অ্যাডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে গ্রাফিক ডিজাইনে পড়ার সময়ের কথা। অনেকটা শখের বশে শুরু করেন শরদিন্দু নামে একটি শপ। বিক্রি করেছেন হাতে আঁকা টি-শার্ট। ক্রেতা ছিলেন তাঁরই পরিচিত লোকজন। এরই মধ্যে চারুকলায় পড়াশোনা শেষ হলে লন্ডনের ইউনিভার্সিটি ফর দ্য ক্রিয়েটিভ আর্টসে স্নাতকোত্তর করতে পাড়ি জমান। তত দিনে
৪ দিন আগেকথাসাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ এবং একাত্তরের ঘাতক দালালবিরোধী আন্দোলনের নেত্রী জাহানারা ইমাম। ১৯৯২ সালের ১৯ জানুয়ারি ১০১ সদস্যবিশিষ্ট একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি গঠিত হয় তাঁর নেতৃত্বে। জাহানারা ইমামের জন্ম ১৯২৯ সালের ৩ মে।
৪ দিন আগেবিশ্বের বিভিন্ন দেশে ১২ মে পালন করা হয় আন্তর্জাতিক নার্স দিবস। তবে যুক্তরাষ্ট্র ৬ মে থেকে ১২ মে পর্যন্ত পালন করে জাতীয় নার্স সপ্তাহ। সপ্তাহ কিংবা দিবস—যা-ই হোক না কেন, এর মূল লক্ষ্য হলো নার্সদের কঠোর পরিশ্রম, মানবিকতা ও স্বাস্থ্যসেবায় অবদানের স্বীকৃতি দেওয়া। এই সময় দেশগুলো নার্সিং পেশাজীবীদের সম্মা
৪ দিন আগেফ্রান্সের একটি বিদ্যুৎ কোম্পানির একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মী ছিলেন ডমিনিক পেলিকট। তিনি ১৯৭৩ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন গিসেল নামের এক নারীর সঙ্গে। ৫০ বছরের সংসারজীবনে তাঁরা তিনটি সন্তানের জনক-জননী হন। সন্তান এবং নাতি-নাতনিদের নিয়ে যদিও ছবির মতো নিখুঁত একটি পারিবারিক জীবন ছিল তাঁদের।
৪ দিন আগে