নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাদামি রঙা জামা-জুতার সঙ্গে সাদা প্যান্ট,মাথায় টুপি, গ্রীষ্মে বাদামি হাতমোজা আর শীতে সাদা। তার সঙ্গে বুকের ডান পাশে গোলাকৃতির ঘড়ি দেখলেই চেনা যায় একজন নরল্যান্ড ন্যানিকে। সাধারণ ন্যানি থেকে সম্পূর্ণ আলাদা নরল্যান্ড ন্যানিরা। কারণ, তাঁরা পেশাজীবী ন্যানির দায়িত্ব পালন করার জন্য পড়াশোনা করেন স্নাতক পর্যায়ে।
ব্রিটিশ রাজপরিবার থেকে শুরু করে যুক্তরাজ্যের উচ্চবিত্ত পরিবারগুলোতে ব্যাপক চাহিদা একজন নরল্যান্ড কলেজ থেকে গ্র্যাজুয়েশন করা ন্যানির। যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন প্রদেশে নরল্যান্ড ন্যানিকে অর্থবিত্তের প্রতীকও বলা চলে। কারও ঘরে নরল্যান্ড ন্যানি থাকলে এটা বাকিরা বুঝে নেন যে পরিবারটি সমাজের উঁচু শ্রেণিতে অবস্থান করে। নরল্যান্ড কলেজ থেকে প্রতিবছর মাত্র ১০০ জন গ্র্যাজুয়েট বের হন। কাজেই রীতিমতো কাড়াকাড়ি পড়ে যায় তাঁদের নিয়ে। প্রত্যেকের জন্য অন্তত ১৪টি কাজের সুযোগ থাকে!
নরল্যান্ড কলেজ
ন্যানিদের প্রশিক্ষণ দিতে ১৮৯২ সালে এমিলি ওয়ার্ড যুক্তরাজ্যের সামারসেটের বাথে প্রতিষ্ঠা করেন নরল্যান্ড কলেজ। ভিক্টোরিয়ান যুগে শিশু বিকাশ নিয়ে কাজ করা এই নারী লক্ষ করেন, মূলত উচ্চবিত্ত সমাজে প্রচলিত শিশু লালনপালনের পদ্ধতিতে ত্রুটি আছে। এসব পরিবারের গৃহপরিচারিকারা শিশুর দেখাশোনা করেন।
তবে ঘরবাড়ির অন্যান্য কাজের ভিড়ে এ বিষয়টি তাঁদের কাছে যথেষ্ট গুরুত্ব পায় না। তার ওপর শিশুর সঠিক বিকাশের জন্য ঠিক কীভাবে তাদের বড় করা উচিত, সে সম্পর্কে ন্যূনতম জ্ঞানেরও অভাব রয়েছে তাঁদের। তাই এমিলি চিন্তা করেন, কেবল শিশু লালনপালনের জন্যই একদল দক্ষ পেশাজীবী তৈরি করবেন। তাঁর ভাবনা থেকেই পরবর্তী সময়ে প্রতিষ্ঠিত হয় নরল্যান্ড কলেজ।
ভর্তিপ্রক্রিয়া ও শিক্ষা কার্যক্রম
নরল্যান্ড কলেজে ভর্তির আবেদন থেকে প্রতিবছর পরীক্ষার আগেই বাদ পড়ে যান প্রায় ৩০ শতাংশ আবেদনকারী। কারণ, পড়াশোনার নির্দিষ্ট কিছু মানদণ্ড মিললেই কেবল ভর্তির আবেদন করা যায় এ কলেজে। যাঁরা টেকেন, তাঁদের আমন্ত্রণ জানানো হয় ইন্টারভিউর
জন্য। প্রত্যেক ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীকে এককভাবে একটি বোর্ডে ভাইভা দিতে হয়। এরপর দলগতভাবে আরেকটি প্রেজেন্টেশন থাকে। বর্তমানে সাধারণত ১০০ আসনের বিপরীতে প্রার্থী ভর্তি করা হয়।
নরল্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রাথমিক শিশু বিকাশের ওপর তিন বছরের ব্যাচেলর ডিগ্রি পান। হালকা কোনো ডিগ্রি নয় এটি। নরল্যান্ড ন্যানিদের ডিগ্রি দেওয়া হয় ইউনিভার্সিটি অব গ্লস্টারশায়ার থেকে। এখানকার শিক্ষার্থীদের শিশু সাইকোলজি, শিশুশিক্ষা ইত্যাদি নিয়ে বিশদভাবে পড়ানো হয়। চতুর্থ বছরে তাঁদের দেওয়া হয় ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ। এর সমাপ্তিতে আলাদা করে একটি ডিপ্লোমাও পেয়ে থাকেন তাঁরা।
যান্ত্রিক পুতুল
নরল্যান্ড ন্যানিদের হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দিতে ব্যবহার করা হয় যান্ত্রিক পুতুল। এ পুতুলগুলো মানবশিশুর মতোই আচরণ করে। এমনকি রাতে পুতুল সঙ্গে করেই ঘুমোতে যান তাঁরা, যাতে রাতে শিশু কাঁদলে কীভাবে তাকে শান্ত করতে হয়—এ বিষয়েও বাস্তব অভিজ্ঞতা পেয়ে যান শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা যখন পুতুলগুলোর পরিচর্যা করেন, তখন তা পর্যবেক্ষণ করেন শিক্ষকেরা।
নরল্যান্ড ন্যানিদের আয়
যুক্তরাজ্যের একজন চিকিৎসক বা ইঞ্জিনিয়ার গড়ে যা আয় করেন, নরল্যান্ড ন্যানিরাও তার প্রায় সমপরিমাণ অর্থ আয় করেন। লন্ডনে বছরে ৩৫ হাজার থেকে শুরু করে ৬০ হাজার পাউন্ড আয় করেন এসব ন্যানি।
ব্রিটিশ রাজপরিবারে নিয়োগ
বলা হয়, শিশুদের এমন কিছু নেই যা নরল্যান্ড ন্যানিদের ব্যবস্থাপনার বাইরে। তাঁদের প্রশিক্ষণ সর্বোচ্চ পর্যায়ের এবং কাজকর্মেও তার প্রমাণ পাওয়া যায়। তাই ব্রিটিশ রাজপরিবার নরল্যান্ডের ন্যানিদের সাধারণত নিয়োগ দিয়ে আসছে। রাজপরিবারের সন্তানদের সবাই বড় হন নরল্যান্ড ন্যানিদের হাতে। প্রিন্স উইলিয়ামের তিন ছেলেমেয়ে জর্জ, শার্লট আর লুইয়ের ন্যানি মারিয়া বোরাল্লো নরল্যান্ড কলেজের একজন গর্বিত গ্র্যাজুয়েট।
বাদামি রঙা জামা-জুতার সঙ্গে সাদা প্যান্ট,মাথায় টুপি, গ্রীষ্মে বাদামি হাতমোজা আর শীতে সাদা। তার সঙ্গে বুকের ডান পাশে গোলাকৃতির ঘড়ি দেখলেই চেনা যায় একজন নরল্যান্ড ন্যানিকে। সাধারণ ন্যানি থেকে সম্পূর্ণ আলাদা নরল্যান্ড ন্যানিরা। কারণ, তাঁরা পেশাজীবী ন্যানির দায়িত্ব পালন করার জন্য পড়াশোনা করেন স্নাতক পর্যায়ে।
ব্রিটিশ রাজপরিবার থেকে শুরু করে যুক্তরাজ্যের উচ্চবিত্ত পরিবারগুলোতে ব্যাপক চাহিদা একজন নরল্যান্ড কলেজ থেকে গ্র্যাজুয়েশন করা ন্যানির। যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন প্রদেশে নরল্যান্ড ন্যানিকে অর্থবিত্তের প্রতীকও বলা চলে। কারও ঘরে নরল্যান্ড ন্যানি থাকলে এটা বাকিরা বুঝে নেন যে পরিবারটি সমাজের উঁচু শ্রেণিতে অবস্থান করে। নরল্যান্ড কলেজ থেকে প্রতিবছর মাত্র ১০০ জন গ্র্যাজুয়েট বের হন। কাজেই রীতিমতো কাড়াকাড়ি পড়ে যায় তাঁদের নিয়ে। প্রত্যেকের জন্য অন্তত ১৪টি কাজের সুযোগ থাকে!
নরল্যান্ড কলেজ
ন্যানিদের প্রশিক্ষণ দিতে ১৮৯২ সালে এমিলি ওয়ার্ড যুক্তরাজ্যের সামারসেটের বাথে প্রতিষ্ঠা করেন নরল্যান্ড কলেজ। ভিক্টোরিয়ান যুগে শিশু বিকাশ নিয়ে কাজ করা এই নারী লক্ষ করেন, মূলত উচ্চবিত্ত সমাজে প্রচলিত শিশু লালনপালনের পদ্ধতিতে ত্রুটি আছে। এসব পরিবারের গৃহপরিচারিকারা শিশুর দেখাশোনা করেন।
তবে ঘরবাড়ির অন্যান্য কাজের ভিড়ে এ বিষয়টি তাঁদের কাছে যথেষ্ট গুরুত্ব পায় না। তার ওপর শিশুর সঠিক বিকাশের জন্য ঠিক কীভাবে তাদের বড় করা উচিত, সে সম্পর্কে ন্যূনতম জ্ঞানেরও অভাব রয়েছে তাঁদের। তাই এমিলি চিন্তা করেন, কেবল শিশু লালনপালনের জন্যই একদল দক্ষ পেশাজীবী তৈরি করবেন। তাঁর ভাবনা থেকেই পরবর্তী সময়ে প্রতিষ্ঠিত হয় নরল্যান্ড কলেজ।
ভর্তিপ্রক্রিয়া ও শিক্ষা কার্যক্রম
নরল্যান্ড কলেজে ভর্তির আবেদন থেকে প্রতিবছর পরীক্ষার আগেই বাদ পড়ে যান প্রায় ৩০ শতাংশ আবেদনকারী। কারণ, পড়াশোনার নির্দিষ্ট কিছু মানদণ্ড মিললেই কেবল ভর্তির আবেদন করা যায় এ কলেজে। যাঁরা টেকেন, তাঁদের আমন্ত্রণ জানানো হয় ইন্টারভিউর
জন্য। প্রত্যেক ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীকে এককভাবে একটি বোর্ডে ভাইভা দিতে হয়। এরপর দলগতভাবে আরেকটি প্রেজেন্টেশন থাকে। বর্তমানে সাধারণত ১০০ আসনের বিপরীতে প্রার্থী ভর্তি করা হয়।
নরল্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রাথমিক শিশু বিকাশের ওপর তিন বছরের ব্যাচেলর ডিগ্রি পান। হালকা কোনো ডিগ্রি নয় এটি। নরল্যান্ড ন্যানিদের ডিগ্রি দেওয়া হয় ইউনিভার্সিটি অব গ্লস্টারশায়ার থেকে। এখানকার শিক্ষার্থীদের শিশু সাইকোলজি, শিশুশিক্ষা ইত্যাদি নিয়ে বিশদভাবে পড়ানো হয়। চতুর্থ বছরে তাঁদের দেওয়া হয় ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ। এর সমাপ্তিতে আলাদা করে একটি ডিপ্লোমাও পেয়ে থাকেন তাঁরা।
যান্ত্রিক পুতুল
নরল্যান্ড ন্যানিদের হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দিতে ব্যবহার করা হয় যান্ত্রিক পুতুল। এ পুতুলগুলো মানবশিশুর মতোই আচরণ করে। এমনকি রাতে পুতুল সঙ্গে করেই ঘুমোতে যান তাঁরা, যাতে রাতে শিশু কাঁদলে কীভাবে তাকে শান্ত করতে হয়—এ বিষয়েও বাস্তব অভিজ্ঞতা পেয়ে যান শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা যখন পুতুলগুলোর পরিচর্যা করেন, তখন তা পর্যবেক্ষণ করেন শিক্ষকেরা।
নরল্যান্ড ন্যানিদের আয়
যুক্তরাজ্যের একজন চিকিৎসক বা ইঞ্জিনিয়ার গড়ে যা আয় করেন, নরল্যান্ড ন্যানিরাও তার প্রায় সমপরিমাণ অর্থ আয় করেন। লন্ডনে বছরে ৩৫ হাজার থেকে শুরু করে ৬০ হাজার পাউন্ড আয় করেন এসব ন্যানি।
ব্রিটিশ রাজপরিবারে নিয়োগ
বলা হয়, শিশুদের এমন কিছু নেই যা নরল্যান্ড ন্যানিদের ব্যবস্থাপনার বাইরে। তাঁদের প্রশিক্ষণ সর্বোচ্চ পর্যায়ের এবং কাজকর্মেও তার প্রমাণ পাওয়া যায়। তাই ব্রিটিশ রাজপরিবার নরল্যান্ডের ন্যানিদের সাধারণত নিয়োগ দিয়ে আসছে। রাজপরিবারের সন্তানদের সবাই বড় হন নরল্যান্ড ন্যানিদের হাতে। প্রিন্স উইলিয়ামের তিন ছেলেমেয়ে জর্জ, শার্লট আর লুইয়ের ন্যানি মারিয়া বোরাল্লো নরল্যান্ড কলেজের একজন গর্বিত গ্র্যাজুয়েট।
চীনের পূর্বাঞ্চলীয় ঝেজিয়াং প্রদেশের একটি গ্রামীণ কটেজ। নাম ‘কেকের কাল্পনিক দুনিয়া।’ ভেতরে কফির মগ নিয়ে হাসতে হাসতে একধরনের ইনডোর গেম খেলছেন কয়েকজন নারী। এটি এমন এক বাড়ি, যেখানে কেবল নারীরাই আসেন। কিছুদিন থাকেন। নিজের মতো করে সময় কাটান। চীনজুড়ে এমন আবাসিক ক্লাব ধরনের কটেজের চাহিদা বেশ বাড়ছে।
৭ ঘণ্টা আগেসিলেটের মেট্রোপলিটন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রান্স নারী শিক্ষার্থী সাহারা চৌধুরীকে আজীবন বহিষ্কারাদেশের ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন শিক্ষক, আইনজীবী, মানবাধিকার কর্মী, রাজনৈতিক কর্মীসহ ১৬২ জন নাগরিক। আজ শনিবার সংবাদমাধ্যমে এই বিবৃতিতে অবিলম্বে অন্যায্য বহিষ্কারাদেশ বাতিল করে ওই শিক্ষার্থীর নিরাপত্তা
২ দিন আগেদেশে সবকিছু নিয়ে একটি পরিবর্তনের কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু নারীদের নিরাপত্তা, তাঁদের অধিকার, তাঁদের সামাজিক ও রাজনৈতিক বিষয়ে অংশগ্রহণের বিষয়গুলো নিয়ে কতটুকু কথা হচ্ছে? নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় নিয়ে কথা হচ্ছে। এর মধ্যে নারীদের অংশগ্রহণের বিষয়টি কতটা গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে? রাজনৈতিক দলগুলোতে নারী নেতৃত্বের...
৬ দিন আগে১২ আগস্ট মঙ্গলবার, সকালেই এক গভীর শূন্যতা নেমে এল চারপাশে। অধ্যাপক মাহফুজা খানম আর নেই! বুকের ভেতর যেন এক অপার শূন্যতার ঢেউ আছড়ে পড়ল। মানুষ চলে গেলে পৃথিবী তো থেমে যায় না, আকাশের রংও বদলায় না, রাস্তাঘাটে মানুষের ভিড় থাকে। কিন্তু আমাদের ভেতরের পৃথিবী থেমে যায়। আমার কাছে তিনি শুধু একজন খ্যাতিমান..
৬ দিন আগে