অর্ণব সান্যাল

মন্ত্রীর আত্মীয়ের আঁতে ঘা লাগায় তুলকালাম হয়ে যাওয়ার ঘটনা আমরা গত কয়েক দিন ধরেই শুনছি। সেই শোনাশুনির মধ্যেই চলুন কিছু ‘শিক্ষা’ নিয়ে নেওয়া যাক। এ দেশে জীবন কাটাতে গিয়ে চলার পথে নির্ঝঞ্ঝাটে পা ফেলতে এসব আমাদের শিখে রাখা অতীব জরুরি। কে জানে, কখন কাজে লেগে যায়!
বর্তমানে যেসব ইস্যু আমাদের সামনে আছে, সেসবের মধ্যে মন্ত্রীর আত্মীয়ের সঙ্গে ‘বেয়াদবি’ করার বিষয়টি প্রণিধানযোগ্য। তাই এ বিষয়েই আমরা এবার একটু জানাবোঝার চেষ্টা করব। বুঝে বের করার চেষ্টা করব যে কী করিলে মন্ত্রীর আত্মীয়ের সঙ্গে বেয়াদবি হবে না। আমাদের মনে রাখতে হবে লোকবাংলার সেই প্রবচনের কথা—‘মন ভাঙা আর...’। আর মন্ত্রীর আত্মীয়ের ক্ষেত্রে সেটি প্রকট সত্য। বিশ্বাস না হলে একবার ভেঙেই দেখুন না! হাতে হারিকেন ধরিয়ে দিলে বুঝবেন ঠেলা!
আজকের এই লেখায় আমরা মূলত মূল থেকে শুরু করব। বেয়াদবি কী—তা বোঝার চেষ্টা থাকবে। সেটা কার সঙ্গে কীভাবে করতে হবে, কেন বা কার সঙ্গে করতে হবে না, কী করিলে কী হয় ইত্যাদির পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করা হবে। সেই সঙ্গে আমরা আদবকায়দা প্রদর্শনের সঠিক পদ্ধতি বা প্রক্রিয়া সম্পর্কেও জানার চেষ্টা করব।
এরই মধ্যে আমরা দেখেছি যে মন্ত্রীর আত্মীয়দের আদবকেতা না দেখানোর অভিযোগে একজনের বারোটা বেজেছে। যদিও সেই ঘায়ে মলম লাগানোর ব্যবস্থাও বিরাজমান। মন্ত্রীমশাই মলম নিজেও লাগানোর চেষ্টা করে চলেছেন। তিনি বলেছেন যে এখানে একটা ভুল-বোঝাবুঝি হয়েছে। সেটি অন্দরমহলেও হয়েছে, হয়েছে বাহির মহলেও। অবস্থা এমন যে মনে হচ্ছে সবাই সেই বিখ্যাত ‘বোঝে না সে বোঝে না’ গান শুনে তাল হারিয়ে ফেলেছে!
তবে এ দেশে মন্ত্রীমশাইরা না-ই বুঝতে পারেন। এটি তাঁদের এক প্রকার জন্মগত অধিকার। আপনারা দাবি করতেই পারেন যে জন্মের পরপরই তো কেউ মন্ত্রী হয় না! হ্যাঁ, বায়োলজিক্যালি আপনাদের দাবি সঠিক, কিন্তু পলিটিক্যালি ইনকারেক্ট। এমন দাবি করা বাস্তবানুগও নয়। সুতরাং এসব ‘অহেতুক’ দাবি থেকে সরে এসে আমাদের উচিত অভিযোজন প্রক্রিয়ার সঙ্গে নিজেদের খাপ খাইয়ে নেওয়া। আর এ জন্যই জানা প্রয়োজন যে মন্ত্রীর আত্মীয়দের কীভাবে সম্মান দেখাতে হবে!
এক কথায়, আদবকায়দার অভাবটাই আসলে বেয়াদবি। এখন ব্যক্তিবিশেষে এই কায়দাটি নানা ধরনের হতে পারে। কেমন হবে সেটি নির্ভর করে আপনার সামনে দাঁড়িয়ে বা বসে থাকা ব্যক্তি বা ব্যক্তিদের পরিচয়ের ওপর। বয়সে মুরব্বিদের বা মুরব্বি আত্মীয়দের ক্ষেত্রে পরিবার প্রদত্ত শিক্ষার আলোকে আপনারা আদবকায়দা দেখাতে পারেন। ওতেই কাজ চলে যাবে। তবে সামনে মন্ত্রীর আত্মীয় থাকলে বিষয়টি হবে অন্যরকম। সে ক্ষেত্রে মনে যতটা শ্রদ্ধাই থাকুক, সেটিকে বলকানো দুধের মতো সফেদ ও ফেনানো করে ফেলতে হবে নিমেষে। মনে রাখবেন, এ ক্ষেত্রে বাড়াবাড়িটা কোনোভাবেই খারাপ কিছু নয়।
মনে রাখবেন, এই শ্রদ্ধাটা হতে হবে ভয়মিশ্রিত। ভয়টা মনের গহিনে থাকবে, শ্রদ্ধাটা ‘শো’ হবে। ‘শো’ মানে ‘শো’, যতটা শক্তিতে কুলোয়। এর জন্য নিজেকে প্রয়োজনে রক্ত-মাংসের মানুষ থেকে তরল পদার্থে পরিণত করুন। এরপর প্রয়োজনমাফিক পাত্রে নিজেকে ঢেলে দিয়ে, সেই পাত্রের আকার ধারণ করুন। অর্থাৎ যে কথা বললে যেভাবে মন্ত্রীর আত্মীয় তুষ্ট হবেন, সেই পথেই এগিয়ে যেতে হবে দ্ব্যর্থহীন চিত্তে। ওই সময়টায় ভেতরে-ভেতরে নিজেকে বোঝাতে হবে যে পুরো বিষয়টা ভয় থেকেই হচ্ছে। সুতরাং কোনো কমতি রাখা যাবে না। মনে রাখবেন, কমতি হলেই হয় পেটে, না হয় অন্য কোথাও লাথি পড়তে পারে। আশা করি, এ বিষয়টি মাথায় রাখলেই কাজ সহজ হয়ে যাবে!
অতি অবশ্যই কোনো নিয়মকানুনের প্রসঙ্গ মন্ত্রীর আত্মীয়দের সামনে তোলা যাবে না। আহা, নিয়মকানুন তো প্রজাদের জন্য, রাজাদের জন্য নয়! সেটি হিসাবে রেখে আদবকায়দা ঠিক করতে হবে। আর হ্যাঁ, কখনোই তাদের এসি থেকে নন-এসিতে নামিয়ে দেওয়া যাবে না। প্রয়োজনে সাধারণদের ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিতে হবে। কিন্তু কোনোভাবেই মন্ত্রীর আত্মীয়দের পদাবনতি কাম্য নয়। ওটি করলে নিজের দুর্ভাগ্য নিজেকেই গাঁদা ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নিতে হবে।
অতএব, কেউ যদি নিজেকে মন্ত্রীর আত্মীয় দাবি করেই বসেন, তবে নির্দ্বিধায় তা মেনে নিতে হবে এবং সেই অনুযায়ী নিজেকে বিনয়ের অবতারে বদলে ফেলতে হবে। ওই সময় ঘটনার আগে ও পরে কোনো ধরনের তর্ক করা থেকে বিরত থাকতে হবে। কিংবদন্তি সুকুমার রায়ের একটি ছড়া সে সময় অবশ্যই বারবার জপতে হবে। সেটি হলো—
‘চুপ করে থাক্, তর্ক করার বদভ্যাসটি ভাল না,
এক্কেবারেই হয় না ওতে বুদ্ধিশক্তির চালনা।…’

মন্ত্রীর আত্মীয়ের আঁতে ঘা লাগায় তুলকালাম হয়ে যাওয়ার ঘটনা আমরা গত কয়েক দিন ধরেই শুনছি। সেই শোনাশুনির মধ্যেই চলুন কিছু ‘শিক্ষা’ নিয়ে নেওয়া যাক। এ দেশে জীবন কাটাতে গিয়ে চলার পথে নির্ঝঞ্ঝাটে পা ফেলতে এসব আমাদের শিখে রাখা অতীব জরুরি। কে জানে, কখন কাজে লেগে যায়!
বর্তমানে যেসব ইস্যু আমাদের সামনে আছে, সেসবের মধ্যে মন্ত্রীর আত্মীয়ের সঙ্গে ‘বেয়াদবি’ করার বিষয়টি প্রণিধানযোগ্য। তাই এ বিষয়েই আমরা এবার একটু জানাবোঝার চেষ্টা করব। বুঝে বের করার চেষ্টা করব যে কী করিলে মন্ত্রীর আত্মীয়ের সঙ্গে বেয়াদবি হবে না। আমাদের মনে রাখতে হবে লোকবাংলার সেই প্রবচনের কথা—‘মন ভাঙা আর...’। আর মন্ত্রীর আত্মীয়ের ক্ষেত্রে সেটি প্রকট সত্য। বিশ্বাস না হলে একবার ভেঙেই দেখুন না! হাতে হারিকেন ধরিয়ে দিলে বুঝবেন ঠেলা!
আজকের এই লেখায় আমরা মূলত মূল থেকে শুরু করব। বেয়াদবি কী—তা বোঝার চেষ্টা থাকবে। সেটা কার সঙ্গে কীভাবে করতে হবে, কেন বা কার সঙ্গে করতে হবে না, কী করিলে কী হয় ইত্যাদির পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করা হবে। সেই সঙ্গে আমরা আদবকায়দা প্রদর্শনের সঠিক পদ্ধতি বা প্রক্রিয়া সম্পর্কেও জানার চেষ্টা করব।
এরই মধ্যে আমরা দেখেছি যে মন্ত্রীর আত্মীয়দের আদবকেতা না দেখানোর অভিযোগে একজনের বারোটা বেজেছে। যদিও সেই ঘায়ে মলম লাগানোর ব্যবস্থাও বিরাজমান। মন্ত্রীমশাই মলম নিজেও লাগানোর চেষ্টা করে চলেছেন। তিনি বলেছেন যে এখানে একটা ভুল-বোঝাবুঝি হয়েছে। সেটি অন্দরমহলেও হয়েছে, হয়েছে বাহির মহলেও। অবস্থা এমন যে মনে হচ্ছে সবাই সেই বিখ্যাত ‘বোঝে না সে বোঝে না’ গান শুনে তাল হারিয়ে ফেলেছে!
তবে এ দেশে মন্ত্রীমশাইরা না-ই বুঝতে পারেন। এটি তাঁদের এক প্রকার জন্মগত অধিকার। আপনারা দাবি করতেই পারেন যে জন্মের পরপরই তো কেউ মন্ত্রী হয় না! হ্যাঁ, বায়োলজিক্যালি আপনাদের দাবি সঠিক, কিন্তু পলিটিক্যালি ইনকারেক্ট। এমন দাবি করা বাস্তবানুগও নয়। সুতরাং এসব ‘অহেতুক’ দাবি থেকে সরে এসে আমাদের উচিত অভিযোজন প্রক্রিয়ার সঙ্গে নিজেদের খাপ খাইয়ে নেওয়া। আর এ জন্যই জানা প্রয়োজন যে মন্ত্রীর আত্মীয়দের কীভাবে সম্মান দেখাতে হবে!
এক কথায়, আদবকায়দার অভাবটাই আসলে বেয়াদবি। এখন ব্যক্তিবিশেষে এই কায়দাটি নানা ধরনের হতে পারে। কেমন হবে সেটি নির্ভর করে আপনার সামনে দাঁড়িয়ে বা বসে থাকা ব্যক্তি বা ব্যক্তিদের পরিচয়ের ওপর। বয়সে মুরব্বিদের বা মুরব্বি আত্মীয়দের ক্ষেত্রে পরিবার প্রদত্ত শিক্ষার আলোকে আপনারা আদবকায়দা দেখাতে পারেন। ওতেই কাজ চলে যাবে। তবে সামনে মন্ত্রীর আত্মীয় থাকলে বিষয়টি হবে অন্যরকম। সে ক্ষেত্রে মনে যতটা শ্রদ্ধাই থাকুক, সেটিকে বলকানো দুধের মতো সফেদ ও ফেনানো করে ফেলতে হবে নিমেষে। মনে রাখবেন, এ ক্ষেত্রে বাড়াবাড়িটা কোনোভাবেই খারাপ কিছু নয়।
মনে রাখবেন, এই শ্রদ্ধাটা হতে হবে ভয়মিশ্রিত। ভয়টা মনের গহিনে থাকবে, শ্রদ্ধাটা ‘শো’ হবে। ‘শো’ মানে ‘শো’, যতটা শক্তিতে কুলোয়। এর জন্য নিজেকে প্রয়োজনে রক্ত-মাংসের মানুষ থেকে তরল পদার্থে পরিণত করুন। এরপর প্রয়োজনমাফিক পাত্রে নিজেকে ঢেলে দিয়ে, সেই পাত্রের আকার ধারণ করুন। অর্থাৎ যে কথা বললে যেভাবে মন্ত্রীর আত্মীয় তুষ্ট হবেন, সেই পথেই এগিয়ে যেতে হবে দ্ব্যর্থহীন চিত্তে। ওই সময়টায় ভেতরে-ভেতরে নিজেকে বোঝাতে হবে যে পুরো বিষয়টা ভয় থেকেই হচ্ছে। সুতরাং কোনো কমতি রাখা যাবে না। মনে রাখবেন, কমতি হলেই হয় পেটে, না হয় অন্য কোথাও লাথি পড়তে পারে। আশা করি, এ বিষয়টি মাথায় রাখলেই কাজ সহজ হয়ে যাবে!
অতি অবশ্যই কোনো নিয়মকানুনের প্রসঙ্গ মন্ত্রীর আত্মীয়দের সামনে তোলা যাবে না। আহা, নিয়মকানুন তো প্রজাদের জন্য, রাজাদের জন্য নয়! সেটি হিসাবে রেখে আদবকায়দা ঠিক করতে হবে। আর হ্যাঁ, কখনোই তাদের এসি থেকে নন-এসিতে নামিয়ে দেওয়া যাবে না। প্রয়োজনে সাধারণদের ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিতে হবে। কিন্তু কোনোভাবেই মন্ত্রীর আত্মীয়দের পদাবনতি কাম্য নয়। ওটি করলে নিজের দুর্ভাগ্য নিজেকেই গাঁদা ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নিতে হবে।
অতএব, কেউ যদি নিজেকে মন্ত্রীর আত্মীয় দাবি করেই বসেন, তবে নির্দ্বিধায় তা মেনে নিতে হবে এবং সেই অনুযায়ী নিজেকে বিনয়ের অবতারে বদলে ফেলতে হবে। ওই সময় ঘটনার আগে ও পরে কোনো ধরনের তর্ক করা থেকে বিরত থাকতে হবে। কিংবদন্তি সুকুমার রায়ের একটি ছড়া সে সময় অবশ্যই বারবার জপতে হবে। সেটি হলো—
‘চুপ করে থাক্, তর্ক করার বদভ্যাসটি ভাল না,
এক্কেবারেই হয় না ওতে বুদ্ধিশক্তির চালনা।…’
অর্ণব সান্যাল

মন্ত্রীর আত্মীয়ের আঁতে ঘা লাগায় তুলকালাম হয়ে যাওয়ার ঘটনা আমরা গত কয়েক দিন ধরেই শুনছি। সেই শোনাশুনির মধ্যেই চলুন কিছু ‘শিক্ষা’ নিয়ে নেওয়া যাক। এ দেশে জীবন কাটাতে গিয়ে চলার পথে নির্ঝঞ্ঝাটে পা ফেলতে এসব আমাদের শিখে রাখা অতীব জরুরি। কে জানে, কখন কাজে লেগে যায়!
বর্তমানে যেসব ইস্যু আমাদের সামনে আছে, সেসবের মধ্যে মন্ত্রীর আত্মীয়ের সঙ্গে ‘বেয়াদবি’ করার বিষয়টি প্রণিধানযোগ্য। তাই এ বিষয়েই আমরা এবার একটু জানাবোঝার চেষ্টা করব। বুঝে বের করার চেষ্টা করব যে কী করিলে মন্ত্রীর আত্মীয়ের সঙ্গে বেয়াদবি হবে না। আমাদের মনে রাখতে হবে লোকবাংলার সেই প্রবচনের কথা—‘মন ভাঙা আর...’। আর মন্ত্রীর আত্মীয়ের ক্ষেত্রে সেটি প্রকট সত্য। বিশ্বাস না হলে একবার ভেঙেই দেখুন না! হাতে হারিকেন ধরিয়ে দিলে বুঝবেন ঠেলা!
আজকের এই লেখায় আমরা মূলত মূল থেকে শুরু করব। বেয়াদবি কী—তা বোঝার চেষ্টা থাকবে। সেটা কার সঙ্গে কীভাবে করতে হবে, কেন বা কার সঙ্গে করতে হবে না, কী করিলে কী হয় ইত্যাদির পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করা হবে। সেই সঙ্গে আমরা আদবকায়দা প্রদর্শনের সঠিক পদ্ধতি বা প্রক্রিয়া সম্পর্কেও জানার চেষ্টা করব।
এরই মধ্যে আমরা দেখেছি যে মন্ত্রীর আত্মীয়দের আদবকেতা না দেখানোর অভিযোগে একজনের বারোটা বেজেছে। যদিও সেই ঘায়ে মলম লাগানোর ব্যবস্থাও বিরাজমান। মন্ত্রীমশাই মলম নিজেও লাগানোর চেষ্টা করে চলেছেন। তিনি বলেছেন যে এখানে একটা ভুল-বোঝাবুঝি হয়েছে। সেটি অন্দরমহলেও হয়েছে, হয়েছে বাহির মহলেও। অবস্থা এমন যে মনে হচ্ছে সবাই সেই বিখ্যাত ‘বোঝে না সে বোঝে না’ গান শুনে তাল হারিয়ে ফেলেছে!
তবে এ দেশে মন্ত্রীমশাইরা না-ই বুঝতে পারেন। এটি তাঁদের এক প্রকার জন্মগত অধিকার। আপনারা দাবি করতেই পারেন যে জন্মের পরপরই তো কেউ মন্ত্রী হয় না! হ্যাঁ, বায়োলজিক্যালি আপনাদের দাবি সঠিক, কিন্তু পলিটিক্যালি ইনকারেক্ট। এমন দাবি করা বাস্তবানুগও নয়। সুতরাং এসব ‘অহেতুক’ দাবি থেকে সরে এসে আমাদের উচিত অভিযোজন প্রক্রিয়ার সঙ্গে নিজেদের খাপ খাইয়ে নেওয়া। আর এ জন্যই জানা প্রয়োজন যে মন্ত্রীর আত্মীয়দের কীভাবে সম্মান দেখাতে হবে!
এক কথায়, আদবকায়দার অভাবটাই আসলে বেয়াদবি। এখন ব্যক্তিবিশেষে এই কায়দাটি নানা ধরনের হতে পারে। কেমন হবে সেটি নির্ভর করে আপনার সামনে দাঁড়িয়ে বা বসে থাকা ব্যক্তি বা ব্যক্তিদের পরিচয়ের ওপর। বয়সে মুরব্বিদের বা মুরব্বি আত্মীয়দের ক্ষেত্রে পরিবার প্রদত্ত শিক্ষার আলোকে আপনারা আদবকায়দা দেখাতে পারেন। ওতেই কাজ চলে যাবে। তবে সামনে মন্ত্রীর আত্মীয় থাকলে বিষয়টি হবে অন্যরকম। সে ক্ষেত্রে মনে যতটা শ্রদ্ধাই থাকুক, সেটিকে বলকানো দুধের মতো সফেদ ও ফেনানো করে ফেলতে হবে নিমেষে। মনে রাখবেন, এ ক্ষেত্রে বাড়াবাড়িটা কোনোভাবেই খারাপ কিছু নয়।
মনে রাখবেন, এই শ্রদ্ধাটা হতে হবে ভয়মিশ্রিত। ভয়টা মনের গহিনে থাকবে, শ্রদ্ধাটা ‘শো’ হবে। ‘শো’ মানে ‘শো’, যতটা শক্তিতে কুলোয়। এর জন্য নিজেকে প্রয়োজনে রক্ত-মাংসের মানুষ থেকে তরল পদার্থে পরিণত করুন। এরপর প্রয়োজনমাফিক পাত্রে নিজেকে ঢেলে দিয়ে, সেই পাত্রের আকার ধারণ করুন। অর্থাৎ যে কথা বললে যেভাবে মন্ত্রীর আত্মীয় তুষ্ট হবেন, সেই পথেই এগিয়ে যেতে হবে দ্ব্যর্থহীন চিত্তে। ওই সময়টায় ভেতরে-ভেতরে নিজেকে বোঝাতে হবে যে পুরো বিষয়টা ভয় থেকেই হচ্ছে। সুতরাং কোনো কমতি রাখা যাবে না। মনে রাখবেন, কমতি হলেই হয় পেটে, না হয় অন্য কোথাও লাথি পড়তে পারে। আশা করি, এ বিষয়টি মাথায় রাখলেই কাজ সহজ হয়ে যাবে!
অতি অবশ্যই কোনো নিয়মকানুনের প্রসঙ্গ মন্ত্রীর আত্মীয়দের সামনে তোলা যাবে না। আহা, নিয়মকানুন তো প্রজাদের জন্য, রাজাদের জন্য নয়! সেটি হিসাবে রেখে আদবকায়দা ঠিক করতে হবে। আর হ্যাঁ, কখনোই তাদের এসি থেকে নন-এসিতে নামিয়ে দেওয়া যাবে না। প্রয়োজনে সাধারণদের ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিতে হবে। কিন্তু কোনোভাবেই মন্ত্রীর আত্মীয়দের পদাবনতি কাম্য নয়। ওটি করলে নিজের দুর্ভাগ্য নিজেকেই গাঁদা ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নিতে হবে।
অতএব, কেউ যদি নিজেকে মন্ত্রীর আত্মীয় দাবি করেই বসেন, তবে নির্দ্বিধায় তা মেনে নিতে হবে এবং সেই অনুযায়ী নিজেকে বিনয়ের অবতারে বদলে ফেলতে হবে। ওই সময় ঘটনার আগে ও পরে কোনো ধরনের তর্ক করা থেকে বিরত থাকতে হবে। কিংবদন্তি সুকুমার রায়ের একটি ছড়া সে সময় অবশ্যই বারবার জপতে হবে। সেটি হলো—
‘চুপ করে থাক্, তর্ক করার বদভ্যাসটি ভাল না,
এক্কেবারেই হয় না ওতে বুদ্ধিশক্তির চালনা।…’

মন্ত্রীর আত্মীয়ের আঁতে ঘা লাগায় তুলকালাম হয়ে যাওয়ার ঘটনা আমরা গত কয়েক দিন ধরেই শুনছি। সেই শোনাশুনির মধ্যেই চলুন কিছু ‘শিক্ষা’ নিয়ে নেওয়া যাক। এ দেশে জীবন কাটাতে গিয়ে চলার পথে নির্ঝঞ্ঝাটে পা ফেলতে এসব আমাদের শিখে রাখা অতীব জরুরি। কে জানে, কখন কাজে লেগে যায়!
বর্তমানে যেসব ইস্যু আমাদের সামনে আছে, সেসবের মধ্যে মন্ত্রীর আত্মীয়ের সঙ্গে ‘বেয়াদবি’ করার বিষয়টি প্রণিধানযোগ্য। তাই এ বিষয়েই আমরা এবার একটু জানাবোঝার চেষ্টা করব। বুঝে বের করার চেষ্টা করব যে কী করিলে মন্ত্রীর আত্মীয়ের সঙ্গে বেয়াদবি হবে না। আমাদের মনে রাখতে হবে লোকবাংলার সেই প্রবচনের কথা—‘মন ভাঙা আর...’। আর মন্ত্রীর আত্মীয়ের ক্ষেত্রে সেটি প্রকট সত্য। বিশ্বাস না হলে একবার ভেঙেই দেখুন না! হাতে হারিকেন ধরিয়ে দিলে বুঝবেন ঠেলা!
আজকের এই লেখায় আমরা মূলত মূল থেকে শুরু করব। বেয়াদবি কী—তা বোঝার চেষ্টা থাকবে। সেটা কার সঙ্গে কীভাবে করতে হবে, কেন বা কার সঙ্গে করতে হবে না, কী করিলে কী হয় ইত্যাদির পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করা হবে। সেই সঙ্গে আমরা আদবকায়দা প্রদর্শনের সঠিক পদ্ধতি বা প্রক্রিয়া সম্পর্কেও জানার চেষ্টা করব।
এরই মধ্যে আমরা দেখেছি যে মন্ত্রীর আত্মীয়দের আদবকেতা না দেখানোর অভিযোগে একজনের বারোটা বেজেছে। যদিও সেই ঘায়ে মলম লাগানোর ব্যবস্থাও বিরাজমান। মন্ত্রীমশাই মলম নিজেও লাগানোর চেষ্টা করে চলেছেন। তিনি বলেছেন যে এখানে একটা ভুল-বোঝাবুঝি হয়েছে। সেটি অন্দরমহলেও হয়েছে, হয়েছে বাহির মহলেও। অবস্থা এমন যে মনে হচ্ছে সবাই সেই বিখ্যাত ‘বোঝে না সে বোঝে না’ গান শুনে তাল হারিয়ে ফেলেছে!
তবে এ দেশে মন্ত্রীমশাইরা না-ই বুঝতে পারেন। এটি তাঁদের এক প্রকার জন্মগত অধিকার। আপনারা দাবি করতেই পারেন যে জন্মের পরপরই তো কেউ মন্ত্রী হয় না! হ্যাঁ, বায়োলজিক্যালি আপনাদের দাবি সঠিক, কিন্তু পলিটিক্যালি ইনকারেক্ট। এমন দাবি করা বাস্তবানুগও নয়। সুতরাং এসব ‘অহেতুক’ দাবি থেকে সরে এসে আমাদের উচিত অভিযোজন প্রক্রিয়ার সঙ্গে নিজেদের খাপ খাইয়ে নেওয়া। আর এ জন্যই জানা প্রয়োজন যে মন্ত্রীর আত্মীয়দের কীভাবে সম্মান দেখাতে হবে!
এক কথায়, আদবকায়দার অভাবটাই আসলে বেয়াদবি। এখন ব্যক্তিবিশেষে এই কায়দাটি নানা ধরনের হতে পারে। কেমন হবে সেটি নির্ভর করে আপনার সামনে দাঁড়িয়ে বা বসে থাকা ব্যক্তি বা ব্যক্তিদের পরিচয়ের ওপর। বয়সে মুরব্বিদের বা মুরব্বি আত্মীয়দের ক্ষেত্রে পরিবার প্রদত্ত শিক্ষার আলোকে আপনারা আদবকায়দা দেখাতে পারেন। ওতেই কাজ চলে যাবে। তবে সামনে মন্ত্রীর আত্মীয় থাকলে বিষয়টি হবে অন্যরকম। সে ক্ষেত্রে মনে যতটা শ্রদ্ধাই থাকুক, সেটিকে বলকানো দুধের মতো সফেদ ও ফেনানো করে ফেলতে হবে নিমেষে। মনে রাখবেন, এ ক্ষেত্রে বাড়াবাড়িটা কোনোভাবেই খারাপ কিছু নয়।
মনে রাখবেন, এই শ্রদ্ধাটা হতে হবে ভয়মিশ্রিত। ভয়টা মনের গহিনে থাকবে, শ্রদ্ধাটা ‘শো’ হবে। ‘শো’ মানে ‘শো’, যতটা শক্তিতে কুলোয়। এর জন্য নিজেকে প্রয়োজনে রক্ত-মাংসের মানুষ থেকে তরল পদার্থে পরিণত করুন। এরপর প্রয়োজনমাফিক পাত্রে নিজেকে ঢেলে দিয়ে, সেই পাত্রের আকার ধারণ করুন। অর্থাৎ যে কথা বললে যেভাবে মন্ত্রীর আত্মীয় তুষ্ট হবেন, সেই পথেই এগিয়ে যেতে হবে দ্ব্যর্থহীন চিত্তে। ওই সময়টায় ভেতরে-ভেতরে নিজেকে বোঝাতে হবে যে পুরো বিষয়টা ভয় থেকেই হচ্ছে। সুতরাং কোনো কমতি রাখা যাবে না। মনে রাখবেন, কমতি হলেই হয় পেটে, না হয় অন্য কোথাও লাথি পড়তে পারে। আশা করি, এ বিষয়টি মাথায় রাখলেই কাজ সহজ হয়ে যাবে!
অতি অবশ্যই কোনো নিয়মকানুনের প্রসঙ্গ মন্ত্রীর আত্মীয়দের সামনে তোলা যাবে না। আহা, নিয়মকানুন তো প্রজাদের জন্য, রাজাদের জন্য নয়! সেটি হিসাবে রেখে আদবকায়দা ঠিক করতে হবে। আর হ্যাঁ, কখনোই তাদের এসি থেকে নন-এসিতে নামিয়ে দেওয়া যাবে না। প্রয়োজনে সাধারণদের ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিতে হবে। কিন্তু কোনোভাবেই মন্ত্রীর আত্মীয়দের পদাবনতি কাম্য নয়। ওটি করলে নিজের দুর্ভাগ্য নিজেকেই গাঁদা ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নিতে হবে।
অতএব, কেউ যদি নিজেকে মন্ত্রীর আত্মীয় দাবি করেই বসেন, তবে নির্দ্বিধায় তা মেনে নিতে হবে এবং সেই অনুযায়ী নিজেকে বিনয়ের অবতারে বদলে ফেলতে হবে। ওই সময় ঘটনার আগে ও পরে কোনো ধরনের তর্ক করা থেকে বিরত থাকতে হবে। কিংবদন্তি সুকুমার রায়ের একটি ছড়া সে সময় অবশ্যই বারবার জপতে হবে। সেটি হলো—
‘চুপ করে থাক্, তর্ক করার বদভ্যাসটি ভাল না,
এক্কেবারেই হয় না ওতে বুদ্ধিশক্তির চালনা।…’

১৯৪২ সালে বিয়ে। একসঙ্গে ৮৩ বছর পার করলেন যুক্তরাষ্ট্রে শতবর্ষী দম্পতি এলিনর ও লাইল গিটেনস। এই দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের মধ্য দিয়ে গড়লেন বিশ্বরেকর্ডও। বিশ্বের দীর্ঘতম বিবাহিত জুটি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন ১০৭ বছর বয়সী এলিনর ও ১০৮ বছর বয়সী লাইল গিটেনস।
১ দিন আগে
শিশুদের কয়েন মুখে দেওয়া বা গিলে ফেলা নতুন কিছু নয়। চোখের পলকে এই অঘটন অনেক শিশুই ঘটিয়ে ফেলে। পরে অনেককে দৌড়াতে হয় হাসপাতালে, আবার অনেকের স্বাভাবিক নিয়মে তা মলের সঙ্গে বের হয়ে আসে।
৮ দিন আগে
২০২০ সালের হ্যালোইন রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের গ্রিনভিলে এক অবিশ্বাস্য ঘটনার মুখোমুখি হন ক্রিস্টোফার লি টেইলর। সেই রাতে স্ত্রীর বোনের বাড়িতে হ্যালোইন পার্টিতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের।
১০ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের গ্রেট ব্যারিয়ার রিফকে বলা হয় পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রবাল রিফ। প্রশান্ত মহাসাগরের কোরাল সাগরের এই প্রবাল রিফের কাছাকাছি এক দ্বীপে ঘটেছে এক মর্মান্তিক ঘটনা। ৮০ বছর বয়সী এক নারী পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে সেখানে।
১২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

১৯৪২ সালে বিয়ে। একসঙ্গে ৮৩ বছর পার করলেন যুক্তরাষ্ট্রে শতবর্ষী দম্পতি এলিনর ও লাইল গিটেনস। এই দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের মধ্য দিয়ে গড়লেন বিশ্বরেকর্ডও। বিশ্বের দীর্ঘতম বিবাহিত জুটি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন ১০৭ বছর বয়সী এলিনর ও ১০৮ বছর বয়সী লাইল গিটেনস।
যেখানে বিশ্বজুড়ে বিপজ্জনকভাবে বাড়ছে বিবাহ বিচ্ছেদের হার সেখানে দীর্ঘ এই দাম্পত্য জীবনের পথচলা বিস্ময়েরই। তবে এই দম্পতি বলেন, তাঁদের এই দীর্ঘ পথচলায় রয়েছে শুধু একে অপরের প্রতি ভালোবাসা।
১০০ বছরের বেশি বয়সের মানুষের তথ্য সংরক্ষণ করে এমন একটি সংস্থা লংজেভিকোয়েস্ট ওয়েবসাইট এলিনর-লাইল দম্পতির বিয়ের শংসাপত্র, মার্কিন আদমশুমারি নথি ও অন্যান্য কাগজপত্র যাচাই করেছে।
এর আগে এই রেকর্ড ছিল ৮৫ বছরের দাম্পত্য জীবনের অধিকারী ব্রাজিলের ম্যানোয়েল অ্যাঞ্জেলিম দিনো (১০৬) এবং তাঁর স্ত্রী মারিয়া দে সোসা দিনো (১০২)-এর দখলে। তাঁদের মৃত্যুর পর গিটেনস দম্পতি এই খেতাব পান।
এলিনর ও লাইলের প্রথম দেখা ১৯৪১ সালে একটি কলেজ বাস্কেটবল ম্যাচে। লাইল ক্লার্ক আটলান্টা ইউনিভার্সিটির পক্ষে খেলছিলেন। আর এলিনর ছিলেন দর্শকের সারিতে।
এই পরিচয় ১৯৪২ সালের ৪ জুন পরিণয়ে গড়াল। জর্জিয়ার সেনা প্রশিক্ষণ থেকে মাত্র তিন দিন ছুটি পেয়ে লাইল বিয়ে করেন এলিনরকে। লাইল যখন ইউএস আর্মির ৯২ তম ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশনে ইতালিতে দায়িত্বরত, এলিনর ভাবছিলেন আর কি হবে দেখা!
প্রথম সন্তানকে গর্ভে। এ সময় এলিনর চলে যান নিউইয়র্ক সিটিতে। সেখানে লাইলের পরিবারের সঙ্গে পরিচিত হন। কাজের পাশাপাশি চিঠির মাধ্যমে লাইলের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখছিলেন এলিনর। স্মৃতিচারণ করে এলিনর জানান, প্রত্যেকটা চিঠি সেনাবাহিনী পরীক্ষা করত। তাই সব কথা বলাও যেত না।
যুদ্ধের পর নিউইয়র্কের স্থায়ী বাসিন্দা হন গিটেনস দম্পতি। একসঙ্গে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সরকারি চাকরিতে প্রবেশ করেন।
৬৯ বছর বয়সে ফোর্ডহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরবান এডুকেশনে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন এলিনর। এরপর তারা ক্লার্ক আটলান্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সক্রিয় সদস্য হিসেবে কয়েক দশক কাটান। পরে তিন সন্তানের একজন অ্যাঞ্জেলার কাছাকাছি থাকতে মিয়ামিতে চলে যান।
লাইল জানান, তিনি এলিনরের সঙ্গে সময় কাটানো ভালোবাসেন। তাঁর সঙ্গে থাকতে পেরে খুশি। তাঁদের দুজনই একসঙ্গে সময় কাটাতে ভালোবাসেন এবং জীবনে একসঙ্গে অনেক কিছু করেছেন।
লংজেভিকোয়েস্ট সংস্থা জানায়, গিটেনস দম্পতির সম্মিলিত বয়স ২১৮ বছরেরও বেশি। তাঁরা বিশ্বের সর্বকালের সবচেয়ে বয়স্ক বিবাহিত দম্পতিও।

১৯৪২ সালে বিয়ে। একসঙ্গে ৮৩ বছর পার করলেন যুক্তরাষ্ট্রে শতবর্ষী দম্পতি এলিনর ও লাইল গিটেনস। এই দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের মধ্য দিয়ে গড়লেন বিশ্বরেকর্ডও। বিশ্বের দীর্ঘতম বিবাহিত জুটি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন ১০৭ বছর বয়সী এলিনর ও ১০৮ বছর বয়সী লাইল গিটেনস।
যেখানে বিশ্বজুড়ে বিপজ্জনকভাবে বাড়ছে বিবাহ বিচ্ছেদের হার সেখানে দীর্ঘ এই দাম্পত্য জীবনের পথচলা বিস্ময়েরই। তবে এই দম্পতি বলেন, তাঁদের এই দীর্ঘ পথচলায় রয়েছে শুধু একে অপরের প্রতি ভালোবাসা।
১০০ বছরের বেশি বয়সের মানুষের তথ্য সংরক্ষণ করে এমন একটি সংস্থা লংজেভিকোয়েস্ট ওয়েবসাইট এলিনর-লাইল দম্পতির বিয়ের শংসাপত্র, মার্কিন আদমশুমারি নথি ও অন্যান্য কাগজপত্র যাচাই করেছে।
এর আগে এই রেকর্ড ছিল ৮৫ বছরের দাম্পত্য জীবনের অধিকারী ব্রাজিলের ম্যানোয়েল অ্যাঞ্জেলিম দিনো (১০৬) এবং তাঁর স্ত্রী মারিয়া দে সোসা দিনো (১০২)-এর দখলে। তাঁদের মৃত্যুর পর গিটেনস দম্পতি এই খেতাব পান।
এলিনর ও লাইলের প্রথম দেখা ১৯৪১ সালে একটি কলেজ বাস্কেটবল ম্যাচে। লাইল ক্লার্ক আটলান্টা ইউনিভার্সিটির পক্ষে খেলছিলেন। আর এলিনর ছিলেন দর্শকের সারিতে।
এই পরিচয় ১৯৪২ সালের ৪ জুন পরিণয়ে গড়াল। জর্জিয়ার সেনা প্রশিক্ষণ থেকে মাত্র তিন দিন ছুটি পেয়ে লাইল বিয়ে করেন এলিনরকে। লাইল যখন ইউএস আর্মির ৯২ তম ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশনে ইতালিতে দায়িত্বরত, এলিনর ভাবছিলেন আর কি হবে দেখা!
প্রথম সন্তানকে গর্ভে। এ সময় এলিনর চলে যান নিউইয়র্ক সিটিতে। সেখানে লাইলের পরিবারের সঙ্গে পরিচিত হন। কাজের পাশাপাশি চিঠির মাধ্যমে লাইলের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখছিলেন এলিনর। স্মৃতিচারণ করে এলিনর জানান, প্রত্যেকটা চিঠি সেনাবাহিনী পরীক্ষা করত। তাই সব কথা বলাও যেত না।
যুদ্ধের পর নিউইয়র্কের স্থায়ী বাসিন্দা হন গিটেনস দম্পতি। একসঙ্গে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সরকারি চাকরিতে প্রবেশ করেন।
৬৯ বছর বয়সে ফোর্ডহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরবান এডুকেশনে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন এলিনর। এরপর তারা ক্লার্ক আটলান্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সক্রিয় সদস্য হিসেবে কয়েক দশক কাটান। পরে তিন সন্তানের একজন অ্যাঞ্জেলার কাছাকাছি থাকতে মিয়ামিতে চলে যান।
লাইল জানান, তিনি এলিনরের সঙ্গে সময় কাটানো ভালোবাসেন। তাঁর সঙ্গে থাকতে পেরে খুশি। তাঁদের দুজনই একসঙ্গে সময় কাটাতে ভালোবাসেন এবং জীবনে একসঙ্গে অনেক কিছু করেছেন।
লংজেভিকোয়েস্ট সংস্থা জানায়, গিটেনস দম্পতির সম্মিলিত বয়স ২১৮ বছরেরও বেশি। তাঁরা বিশ্বের সর্বকালের সবচেয়ে বয়স্ক বিবাহিত দম্পতিও।

মন্ত্রীর আত্মীয়ের আঁতে ঘা লাগায় তুলকালাম হয়ে যাওয়ার ঘটনা আমরা গত কয়েক দিন ধরেই শুনছি। সেই শোনাশুনির মধ্যেই চলুন কিছু ‘শিক্ষা’ নিয়ে নেওয়া যাক। এ দেশে জীবন কাটাতে গিয়ে চলার পথে নির্ঝঞ্ঝাটে পা ফেলতে এসব আমাদের শিখে রাখা অতীব জরুরি। কে জানে, কখন কাজে লেগে যায়!
০৮ মে ২০২২
শিশুদের কয়েন মুখে দেওয়া বা গিলে ফেলা নতুন কিছু নয়। চোখের পলকে এই অঘটন অনেক শিশুই ঘটিয়ে ফেলে। পরে অনেককে দৌড়াতে হয় হাসপাতালে, আবার অনেকের স্বাভাবিক নিয়মে তা মলের সঙ্গে বের হয়ে আসে।
৮ দিন আগে
২০২০ সালের হ্যালোইন রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের গ্রিনভিলে এক অবিশ্বাস্য ঘটনার মুখোমুখি হন ক্রিস্টোফার লি টেইলর। সেই রাতে স্ত্রীর বোনের বাড়িতে হ্যালোইন পার্টিতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের।
১০ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের গ্রেট ব্যারিয়ার রিফকে বলা হয় পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রবাল রিফ। প্রশান্ত মহাসাগরের কোরাল সাগরের এই প্রবাল রিফের কাছাকাছি এক দ্বীপে ঘটেছে এক মর্মান্তিক ঘটনা। ৮০ বছর বয়সী এক নারী পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে সেখানে।
১২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শিশুদের কয়েন মুখে দেওয়া বা গিলে ফেলা নতুন কিছু নয়। চোখের পলকে এই অঘটন অনেক শিশুই ঘটিয়ে ফেলে। পরে অনেককে দৌড়াতে হয় হাসপাতালে, আবার অনেকের স্বাভাবিক নিয়মে তা মলের সঙ্গে বের হয়ে আসে। এদিকে চীনের ১১ বছর বয়সী এক শিশু গিলে ফেলেছে সোনার দানা (গোল্ড বিন)। যার বাজারমূল্য ১০ হাজার ইউয়ান (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ লাখ ৭২ হাজার ২৫ টাকা)।
দক্ষিণ-পূর্ব চীনের জিয়াংসু প্রদেশের কুনশানের বাসিন্দা জি গত ১৭ অক্টোবর ১০ গ্রামের একটি সোনার দানা কেনেন। কয়েক দিন পর ২২ অক্টোবর তাঁর ছেলে সোনার দানাটি হাতে পেয়ে খেলতে খেলতে হঠাৎ গিলে ফেলে।
এ সময় জি বারান্দায় কাপড় ধুচ্ছিলেন। তাঁর ছেলে আতঙ্কিত হয়ে ছুটে এসে জানায়, সে গোল্ড বিনটি গিলে ফেলেছে। তার ভয় হচ্ছে সে কি এখন মারা যাবে!
জিকে তাঁর ছেলে আরও জানায়, জিব দিয়ে স্বাদ পরীক্ষা করার সময় সে সোনার দানাটি গিলে ফেলেছে।
প্রথমে জি ভেবেছিলেন, ছেলে মজা করছে। পরে দেখেন সোনার দানাটি নেই। তখন তিনি চিন্তায় পড়ে যান।
জির তখন মনে পড়ে, তাঁর ভাগনিও একবার একটি কয়েন গিলে ফেলেছিল। তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার বলেছিলেন, এটি গুরুতর কিছু নয়। মলের সঙ্গে বের হয়ে যাবে।
জি মাথা ঠান্ডা করে ভাবতে থাকেন কী করা যায়। ইন্টারনেটে খোঁজাখুঁজি করে তিনি দেখেন, সোনার জিনিসও একইভাবে মলের সঙ্গে বেরিয়ে যেতে পারে।
এরপর জি ছেলেকে চোখে চোখে রাখতে থাকেন হারানো এই মূল্যবান সম্পদ উদ্ধারের আশায়। ছেলেকে সতর্ক করতে থাকেন বাইরে মলত্যাগ না করে ঘরে নির্ধারিত স্থানে করতে। কারণ, মলের সঙ্গে সোনার দানাটি বের হয়ে আসবে। তা সত্ত্বেও টানা পাঁচ দিন ধরে দিনে দুবার পরীক্ষা করেও সোনাটি পাওয়া যায়নি।
পরে গত ২৬ অক্টোবর ছেলেকে কুনশান ফিফথ পিপলস হাসপাতালে নিয়ে যান জি। পরীক্ষা করে চিকিৎসকেরা দেখেন, শিশুটির পেটে একটি বস্তু রয়েছে। তবে শিশুটির কোনো ব্যথা বা বমির লক্ষণ ছিল না।
পরে সেদিন সন্ধ্যায় সোনার দানাটি নিরাপদে বের হয়। তবে এটি কি স্বাভাবিকভাবে বের হয়েছে নাকি চিকিৎসার মাধ্যমে বের করা হয়েছে, তা সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে স্পষ্ট করে বলা হয়নি।

শিশুদের কয়েন মুখে দেওয়া বা গিলে ফেলা নতুন কিছু নয়। চোখের পলকে এই অঘটন অনেক শিশুই ঘটিয়ে ফেলে। পরে অনেককে দৌড়াতে হয় হাসপাতালে, আবার অনেকের স্বাভাবিক নিয়মে তা মলের সঙ্গে বের হয়ে আসে। এদিকে চীনের ১১ বছর বয়সী এক শিশু গিলে ফেলেছে সোনার দানা (গোল্ড বিন)। যার বাজারমূল্য ১০ হাজার ইউয়ান (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ লাখ ৭২ হাজার ২৫ টাকা)।
দক্ষিণ-পূর্ব চীনের জিয়াংসু প্রদেশের কুনশানের বাসিন্দা জি গত ১৭ অক্টোবর ১০ গ্রামের একটি সোনার দানা কেনেন। কয়েক দিন পর ২২ অক্টোবর তাঁর ছেলে সোনার দানাটি হাতে পেয়ে খেলতে খেলতে হঠাৎ গিলে ফেলে।
এ সময় জি বারান্দায় কাপড় ধুচ্ছিলেন। তাঁর ছেলে আতঙ্কিত হয়ে ছুটে এসে জানায়, সে গোল্ড বিনটি গিলে ফেলেছে। তার ভয় হচ্ছে সে কি এখন মারা যাবে!
জিকে তাঁর ছেলে আরও জানায়, জিব দিয়ে স্বাদ পরীক্ষা করার সময় সে সোনার দানাটি গিলে ফেলেছে।
প্রথমে জি ভেবেছিলেন, ছেলে মজা করছে। পরে দেখেন সোনার দানাটি নেই। তখন তিনি চিন্তায় পড়ে যান।
জির তখন মনে পড়ে, তাঁর ভাগনিও একবার একটি কয়েন গিলে ফেলেছিল। তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার বলেছিলেন, এটি গুরুতর কিছু নয়। মলের সঙ্গে বের হয়ে যাবে।
জি মাথা ঠান্ডা করে ভাবতে থাকেন কী করা যায়। ইন্টারনেটে খোঁজাখুঁজি করে তিনি দেখেন, সোনার জিনিসও একইভাবে মলের সঙ্গে বেরিয়ে যেতে পারে।
এরপর জি ছেলেকে চোখে চোখে রাখতে থাকেন হারানো এই মূল্যবান সম্পদ উদ্ধারের আশায়। ছেলেকে সতর্ক করতে থাকেন বাইরে মলত্যাগ না করে ঘরে নির্ধারিত স্থানে করতে। কারণ, মলের সঙ্গে সোনার দানাটি বের হয়ে আসবে। তা সত্ত্বেও টানা পাঁচ দিন ধরে দিনে দুবার পরীক্ষা করেও সোনাটি পাওয়া যায়নি।
পরে গত ২৬ অক্টোবর ছেলেকে কুনশান ফিফথ পিপলস হাসপাতালে নিয়ে যান জি। পরীক্ষা করে চিকিৎসকেরা দেখেন, শিশুটির পেটে একটি বস্তু রয়েছে। তবে শিশুটির কোনো ব্যথা বা বমির লক্ষণ ছিল না।
পরে সেদিন সন্ধ্যায় সোনার দানাটি নিরাপদে বের হয়। তবে এটি কি স্বাভাবিকভাবে বের হয়েছে নাকি চিকিৎসার মাধ্যমে বের করা হয়েছে, তা সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে স্পষ্ট করে বলা হয়নি।

মন্ত্রীর আত্মীয়ের আঁতে ঘা লাগায় তুলকালাম হয়ে যাওয়ার ঘটনা আমরা গত কয়েক দিন ধরেই শুনছি। সেই শোনাশুনির মধ্যেই চলুন কিছু ‘শিক্ষা’ নিয়ে নেওয়া যাক। এ দেশে জীবন কাটাতে গিয়ে চলার পথে নির্ঝঞ্ঝাটে পা ফেলতে এসব আমাদের শিখে রাখা অতীব জরুরি। কে জানে, কখন কাজে লেগে যায়!
০৮ মে ২০২২
১৯৪২ সালে বিয়ে। একসঙ্গে ৮৩ বছর পার করলেন যুক্তরাষ্ট্রে শতবর্ষী দম্পতি এলিনর ও লাইল গিটেনস। এই দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের মধ্য দিয়ে গড়লেন বিশ্বরেকর্ডও। বিশ্বের দীর্ঘতম বিবাহিত জুটি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন ১০৭ বছর বয়সী এলিনর ও ১০৮ বছর বয়সী লাইল গিটেনস।
১ দিন আগে
২০২০ সালের হ্যালোইন রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের গ্রিনভিলে এক অবিশ্বাস্য ঘটনার মুখোমুখি হন ক্রিস্টোফার লি টেইলর। সেই রাতে স্ত্রীর বোনের বাড়িতে হ্যালোইন পার্টিতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের।
১০ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের গ্রেট ব্যারিয়ার রিফকে বলা হয় পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রবাল রিফ। প্রশান্ত মহাসাগরের কোরাল সাগরের এই প্রবাল রিফের কাছাকাছি এক দ্বীপে ঘটেছে এক মর্মান্তিক ঘটনা। ৮০ বছর বয়সী এক নারী পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে সেখানে।
১২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

২০২০ সালের হ্যালোইন রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের গ্রিনভিলে এক অবিশ্বাস্য ঘটনার মুখোমুখি হন ক্রিস্টোফার লি টেইলর। সেই রাতে স্ত্রীর বোনের বাড়িতে হ্যালোইন পার্টিতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। আর হ্যালোইনের বিশেষ পোশাক হিসেবে টেইলরের কাছে সেদিন বিকল্প ছিল মাত্র দুটো—তাঁকে হয় যিশুখ্রিষ্ট সাজতে হবে, নয়তো অ্যামাজন প্রাইম সিরিজ দ্য বয়েজ-এর কুখ্যাত সুপারহিরো ‘হোমল্যান্ডার’। কিছুটা অস্বস্তি নিয়ে শেষ পর্যন্ত সুপারহিরোর পোশাকটিই বেছে নিয়েছিলেন তিনি।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক দ্য গার্ডিয়ানে টেইলর লিখেছেন, সেদিন অন্য এক চরিত্র ‘স্টারলাইট’ সেজে গাড়ি চালাচ্ছিলেন তাঁর স্ত্রী চেলসি। তাঁদের দুই সন্তানও ছিল গাড়িতে—তাদের একজন সেজেছিল ‘আয়রন ম্যান’ আর অন্যজন ‘ড্রাগন’।
যাত্রাপথে হঠাৎ তাঁরা দেখতে পান একটি বাড়ি থেকে আগুনের শিখা বের হচ্ছে। টেইলর তখনই তাঁর স্ত্রী চেলসিকে বলেন, ‘গাড়ি থামাও, আর ৯১১-এ ফোন দাও।’ তিনি দৌড়ে চলে যান জ্বলন্ত বাড়ির দিকে।
বাড়িটির সামনে কয়েকজন মানুষ দাঁড়িয়ে ছিলেন, কিন্তু তাঁরা শুধু আগুনের ধ্বংসযজ্ঞ দেখেই যাচ্ছিলেন, যেন কারওরই কিছু করার নেই। টেইলর তাঁদের কাছে জানতে চান—ভেতরে কেউ আছে কি না। উত্তর আসে, ‘জানি না।’
টেইলর অবশ্য দৌড়ে বাড়িটির আরও কাছে এগিয়ে যান এবং দরজা খুলে ডাক দেন, ‘কেউ আছেন?’ ভেতর থেকে ক্ষীণ একটি আওয়াজও ভেসে আসে। দেরি না করে তখনই দৌড়ে আগুনের ভেতরে ঢুকে পড়েন তিনি।
ভেতরে প্রবল ধোঁয়া ও তাপ সহ্য করেই সিঁড়ি বেয়ে ওপরে গিয়ে টেইলর দেখতে পান এক ব্যক্তি অচেতন হয়ে পড়ে আছেন। সময় নষ্ট না করে তিনি প্রায় ছয় লম্বা ওই লোকটিকে বহন করে রাস্তায় নিয়ে আসেন।
লোকটির জ্ঞান ফিরে আসার পর অবশ্য পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসও আসে। কিন্তু টেইলর তখন নিজের অদ্ভুত বেশ নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে কোনো রকমে পালিয়ে আসেন।
তবে টেইলরের এই জীবন বাঁচানোর খবরটি আর চাপা থাকে না। এই ঘটনার পর সবাই তাঁকে ‘সুপারহিরো’ বলে সবাই ডাকতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, পরবর্তীতে ‘কার্নেগি মেডেল ফর হিরোইজম’ পান তিনি এবং ওহাইও ফায়ার সার্ভিস হল অব ফেমে তাঁর নাম ওঠে। পাঁচ বছর পরও তাঁর সন্তানেরা গর্ব করে বলে—‘আমার বাবা সত্যিকারের সুপারহিরো।’
এমনকি দ্য বয়েজ সিরিজে হোমল্যান্ডারের চরিত্রে অভিনয় করা অ্যান্টনি স্টার তাঁর গল্পটি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করে লিখেছিলেন, ‘এর চেয়ে গর্বিত মুহূর্ত আর হতে পারে না।’

২০২০ সালের হ্যালোইন রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের গ্রিনভিলে এক অবিশ্বাস্য ঘটনার মুখোমুখি হন ক্রিস্টোফার লি টেইলর। সেই রাতে স্ত্রীর বোনের বাড়িতে হ্যালোইন পার্টিতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। আর হ্যালোইনের বিশেষ পোশাক হিসেবে টেইলরের কাছে সেদিন বিকল্প ছিল মাত্র দুটো—তাঁকে হয় যিশুখ্রিষ্ট সাজতে হবে, নয়তো অ্যামাজন প্রাইম সিরিজ দ্য বয়েজ-এর কুখ্যাত সুপারহিরো ‘হোমল্যান্ডার’। কিছুটা অস্বস্তি নিয়ে শেষ পর্যন্ত সুপারহিরোর পোশাকটিই বেছে নিয়েছিলেন তিনি।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক দ্য গার্ডিয়ানে টেইলর লিখেছেন, সেদিন অন্য এক চরিত্র ‘স্টারলাইট’ সেজে গাড়ি চালাচ্ছিলেন তাঁর স্ত্রী চেলসি। তাঁদের দুই সন্তানও ছিল গাড়িতে—তাদের একজন সেজেছিল ‘আয়রন ম্যান’ আর অন্যজন ‘ড্রাগন’।
যাত্রাপথে হঠাৎ তাঁরা দেখতে পান একটি বাড়ি থেকে আগুনের শিখা বের হচ্ছে। টেইলর তখনই তাঁর স্ত্রী চেলসিকে বলেন, ‘গাড়ি থামাও, আর ৯১১-এ ফোন দাও।’ তিনি দৌড়ে চলে যান জ্বলন্ত বাড়ির দিকে।
বাড়িটির সামনে কয়েকজন মানুষ দাঁড়িয়ে ছিলেন, কিন্তু তাঁরা শুধু আগুনের ধ্বংসযজ্ঞ দেখেই যাচ্ছিলেন, যেন কারওরই কিছু করার নেই। টেইলর তাঁদের কাছে জানতে চান—ভেতরে কেউ আছে কি না। উত্তর আসে, ‘জানি না।’
টেইলর অবশ্য দৌড়ে বাড়িটির আরও কাছে এগিয়ে যান এবং দরজা খুলে ডাক দেন, ‘কেউ আছেন?’ ভেতর থেকে ক্ষীণ একটি আওয়াজও ভেসে আসে। দেরি না করে তখনই দৌড়ে আগুনের ভেতরে ঢুকে পড়েন তিনি।
ভেতরে প্রবল ধোঁয়া ও তাপ সহ্য করেই সিঁড়ি বেয়ে ওপরে গিয়ে টেইলর দেখতে পান এক ব্যক্তি অচেতন হয়ে পড়ে আছেন। সময় নষ্ট না করে তিনি প্রায় ছয় লম্বা ওই লোকটিকে বহন করে রাস্তায় নিয়ে আসেন।
লোকটির জ্ঞান ফিরে আসার পর অবশ্য পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসও আসে। কিন্তু টেইলর তখন নিজের অদ্ভুত বেশ নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে কোনো রকমে পালিয়ে আসেন।
তবে টেইলরের এই জীবন বাঁচানোর খবরটি আর চাপা থাকে না। এই ঘটনার পর সবাই তাঁকে ‘সুপারহিরো’ বলে সবাই ডাকতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, পরবর্তীতে ‘কার্নেগি মেডেল ফর হিরোইজম’ পান তিনি এবং ওহাইও ফায়ার সার্ভিস হল অব ফেমে তাঁর নাম ওঠে। পাঁচ বছর পরও তাঁর সন্তানেরা গর্ব করে বলে—‘আমার বাবা সত্যিকারের সুপারহিরো।’
এমনকি দ্য বয়েজ সিরিজে হোমল্যান্ডারের চরিত্রে অভিনয় করা অ্যান্টনি স্টার তাঁর গল্পটি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করে লিখেছিলেন, ‘এর চেয়ে গর্বিত মুহূর্ত আর হতে পারে না।’

মন্ত্রীর আত্মীয়ের আঁতে ঘা লাগায় তুলকালাম হয়ে যাওয়ার ঘটনা আমরা গত কয়েক দিন ধরেই শুনছি। সেই শোনাশুনির মধ্যেই চলুন কিছু ‘শিক্ষা’ নিয়ে নেওয়া যাক। এ দেশে জীবন কাটাতে গিয়ে চলার পথে নির্ঝঞ্ঝাটে পা ফেলতে এসব আমাদের শিখে রাখা অতীব জরুরি। কে জানে, কখন কাজে লেগে যায়!
০৮ মে ২০২২
১৯৪২ সালে বিয়ে। একসঙ্গে ৮৩ বছর পার করলেন যুক্তরাষ্ট্রে শতবর্ষী দম্পতি এলিনর ও লাইল গিটেনস। এই দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের মধ্য দিয়ে গড়লেন বিশ্বরেকর্ডও। বিশ্বের দীর্ঘতম বিবাহিত জুটি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন ১০৭ বছর বয়সী এলিনর ও ১০৮ বছর বয়সী লাইল গিটেনস।
১ দিন আগে
শিশুদের কয়েন মুখে দেওয়া বা গিলে ফেলা নতুন কিছু নয়। চোখের পলকে এই অঘটন অনেক শিশুই ঘটিয়ে ফেলে। পরে অনেককে দৌড়াতে হয় হাসপাতালে, আবার অনেকের স্বাভাবিক নিয়মে তা মলের সঙ্গে বের হয়ে আসে।
৮ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের গ্রেট ব্যারিয়ার রিফকে বলা হয় পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রবাল রিফ। প্রশান্ত মহাসাগরের কোরাল সাগরের এই প্রবাল রিফের কাছাকাছি এক দ্বীপে ঘটেছে এক মর্মান্তিক ঘটনা। ৮০ বছর বয়সী এক নারী পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে সেখানে।
১২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের গ্রেট ব্যারিয়ার রিফকে বলা হয় পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রবাল রিফ। প্রশান্ত মহাসাগরের কোরাল সাগরের এই প্রবাল রিফের কাছাকাছি এক দ্বীপে ঘটেছে এক মর্মান্তিক ঘটনা। ৮০ বছর বয়সী এক নারী পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে সেখানে।
গত শনিবার কেয়ার্নস শহর থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার বা ১৫৫ মাইল উত্তরে অবস্থিত লিজার্ড আইল্যান্ডে হাইক করতে গিয়েছিলেন ওই নারী। কোরাল অ্যাডভেঞ্চারার নামের একটি ক্রুজ জাহাজে চড়ে আরও অনেকের সঙ্গে সেখানে গিয়েছিলেন তিনি। ওই নারী পর্যটক হাইক করার সময় কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিতে গিয়ে দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সূর্যাস্তের সময় জাহাজটি দ্বীপ ছেড়ে যায়। কয়েক ঘণ্টা পর ক্রুরা বুঝতে পারেন, ওই নারী জাহাজে নেই। পরে জাহাজটি দ্বীপে ফিরে যায়। ব্যাপক তল্লাশি চালানো হয়।
পরদিন রোববার সকালে অনুসন্ধানকারীরা দ্বীপ থেকে ওই নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করেন।
অস্ট্রেলিয়ান মেরিটাইম সেফটি অথরিটি (এএমএসএ) জানিয়েছে, তারা ঘটনাটি তদন্ত করছে এবং চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে জাহাজটি ডারউইনে পৌঁছালে ক্রু সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে।
এএমএসএর এক মুখপাত্র জানান, গত শনিবার স্থানীয় সময় রাত প্রায় ৯টার দিকে (জিএমটি অনুযায়ী শুক্রবার সকাল ৫ টা) জাহাজের ক্যাপ্টেন প্রথমবারের মতো ওই নারীর নিখোঁজ হওয়ার খবর দেন।
সংস্থাটি বলেছে, তারা অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যৌথভাবে ঘটনাটি তদন্ত করবে এবং তারা বাণিজ্যিক জাহাজে যাত্রী ও ক্রুদের নিরাপত্তাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখে।
কোরাল এক্সপেডিশনস-এর প্রধান নির্বাহী মার্ক ফাইফিল্ড জানিয়েছেন, সংস্থার কর্মীরা ওই নারীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। এই ‘দুঃখজনক মৃত্যু’-র ঘটনায় পরিবারকে সহায়তা দিচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় তদন্ত এখনো চলছে, তবে যা ঘটেছে তার জন্য আমরা গভীরভাবে দুঃখিত এবং ওই নারীর পরিবারকে সর্বোচ্চ সহায়তা দিচ্ছি।’
কুইন্সল্যান্ড পুলিশ জানিয়েছে, নারীর এই ‘হঠাৎ এবং সন্দেহাতীত’ মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত শেষে একটি প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
কুরিয়ার মেল পত্রিকার প্রতিবেদনে জানা যায়, ওই প্রবীণ নারী দ্বীপের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ কুকস লুক-এ ওঠার জন্য দলের সঙ্গে হাইকিংয়ে গিয়েছিলেন, কিন্তু পরে তিনি বিশ্রাম নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
৬০ দিনের ক্রুজে গিয়েছিলেন ওই নারী, যার টিকিটের দাম কয়েক হাজার অস্ট্রেলীয় ডলার। কোম্পানির ওয়েবসাইট অনুযায়ী, কোরাল অ্যাডভেঞ্চারার জাহাজে সর্বোচ্চ ১২০ জন যাত্রী ও ৪৬ জন ক্রু সদস্য থাকতে পারেন। অস্ট্রেলিয়ার উপকূলের দুর্গম এলাকাগুলোতে যাওয়ার জন্য এটি বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে। এই জাহাজে ছোট নৌকা বা ‘টেন্ডার’ রয়েছে যেগুলো দিয়ে দিনের বেলা যাত্রীদের ভ্রমণে ব্যবহার করা হয়।

অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের গ্রেট ব্যারিয়ার রিফকে বলা হয় পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রবাল রিফ। প্রশান্ত মহাসাগরের কোরাল সাগরের এই প্রবাল রিফের কাছাকাছি এক দ্বীপে ঘটেছে এক মর্মান্তিক ঘটনা। ৮০ বছর বয়সী এক নারী পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে সেখানে।
গত শনিবার কেয়ার্নস শহর থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার বা ১৫৫ মাইল উত্তরে অবস্থিত লিজার্ড আইল্যান্ডে হাইক করতে গিয়েছিলেন ওই নারী। কোরাল অ্যাডভেঞ্চারার নামের একটি ক্রুজ জাহাজে চড়ে আরও অনেকের সঙ্গে সেখানে গিয়েছিলেন তিনি। ওই নারী পর্যটক হাইক করার সময় কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিতে গিয়ে দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সূর্যাস্তের সময় জাহাজটি দ্বীপ ছেড়ে যায়। কয়েক ঘণ্টা পর ক্রুরা বুঝতে পারেন, ওই নারী জাহাজে নেই। পরে জাহাজটি দ্বীপে ফিরে যায়। ব্যাপক তল্লাশি চালানো হয়।
পরদিন রোববার সকালে অনুসন্ধানকারীরা দ্বীপ থেকে ওই নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করেন।
অস্ট্রেলিয়ান মেরিটাইম সেফটি অথরিটি (এএমএসএ) জানিয়েছে, তারা ঘটনাটি তদন্ত করছে এবং চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে জাহাজটি ডারউইনে পৌঁছালে ক্রু সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে।
এএমএসএর এক মুখপাত্র জানান, গত শনিবার স্থানীয় সময় রাত প্রায় ৯টার দিকে (জিএমটি অনুযায়ী শুক্রবার সকাল ৫ টা) জাহাজের ক্যাপ্টেন প্রথমবারের মতো ওই নারীর নিখোঁজ হওয়ার খবর দেন।
সংস্থাটি বলেছে, তারা অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যৌথভাবে ঘটনাটি তদন্ত করবে এবং তারা বাণিজ্যিক জাহাজে যাত্রী ও ক্রুদের নিরাপত্তাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখে।
কোরাল এক্সপেডিশনস-এর প্রধান নির্বাহী মার্ক ফাইফিল্ড জানিয়েছেন, সংস্থার কর্মীরা ওই নারীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। এই ‘দুঃখজনক মৃত্যু’-র ঘটনায় পরিবারকে সহায়তা দিচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় তদন্ত এখনো চলছে, তবে যা ঘটেছে তার জন্য আমরা গভীরভাবে দুঃখিত এবং ওই নারীর পরিবারকে সর্বোচ্চ সহায়তা দিচ্ছি।’
কুইন্সল্যান্ড পুলিশ জানিয়েছে, নারীর এই ‘হঠাৎ এবং সন্দেহাতীত’ মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত শেষে একটি প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
কুরিয়ার মেল পত্রিকার প্রতিবেদনে জানা যায়, ওই প্রবীণ নারী দ্বীপের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ কুকস লুক-এ ওঠার জন্য দলের সঙ্গে হাইকিংয়ে গিয়েছিলেন, কিন্তু পরে তিনি বিশ্রাম নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
৬০ দিনের ক্রুজে গিয়েছিলেন ওই নারী, যার টিকিটের দাম কয়েক হাজার অস্ট্রেলীয় ডলার। কোম্পানির ওয়েবসাইট অনুযায়ী, কোরাল অ্যাডভেঞ্চারার জাহাজে সর্বোচ্চ ১২০ জন যাত্রী ও ৪৬ জন ক্রু সদস্য থাকতে পারেন। অস্ট্রেলিয়ার উপকূলের দুর্গম এলাকাগুলোতে যাওয়ার জন্য এটি বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে। এই জাহাজে ছোট নৌকা বা ‘টেন্ডার’ রয়েছে যেগুলো দিয়ে দিনের বেলা যাত্রীদের ভ্রমণে ব্যবহার করা হয়।

মন্ত্রীর আত্মীয়ের আঁতে ঘা লাগায় তুলকালাম হয়ে যাওয়ার ঘটনা আমরা গত কয়েক দিন ধরেই শুনছি। সেই শোনাশুনির মধ্যেই চলুন কিছু ‘শিক্ষা’ নিয়ে নেওয়া যাক। এ দেশে জীবন কাটাতে গিয়ে চলার পথে নির্ঝঞ্ঝাটে পা ফেলতে এসব আমাদের শিখে রাখা অতীব জরুরি। কে জানে, কখন কাজে লেগে যায়!
০৮ মে ২০২২
১৯৪২ সালে বিয়ে। একসঙ্গে ৮৩ বছর পার করলেন যুক্তরাষ্ট্রে শতবর্ষী দম্পতি এলিনর ও লাইল গিটেনস। এই দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের মধ্য দিয়ে গড়লেন বিশ্বরেকর্ডও। বিশ্বের দীর্ঘতম বিবাহিত জুটি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন ১০৭ বছর বয়সী এলিনর ও ১০৮ বছর বয়সী লাইল গিটেনস।
১ দিন আগে
শিশুদের কয়েন মুখে দেওয়া বা গিলে ফেলা নতুন কিছু নয়। চোখের পলকে এই অঘটন অনেক শিশুই ঘটিয়ে ফেলে। পরে অনেককে দৌড়াতে হয় হাসপাতালে, আবার অনেকের স্বাভাবিক নিয়মে তা মলের সঙ্গে বের হয়ে আসে।
৮ দিন আগে
২০২০ সালের হ্যালোইন রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের গ্রিনভিলে এক অবিশ্বাস্য ঘটনার মুখোমুখি হন ক্রিস্টোফার লি টেইলর। সেই রাতে স্ত্রীর বোনের বাড়িতে হ্যালোইন পার্টিতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের।
১০ দিন আগে