
আচ্ছা, কোন প্রাণীর আক্রমণে কিংবা এর কারণে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যায়, বলুন তো? আপনি নিশ্চয় সিংহ, কুমির, বাঘ, হাতি, সাপ কিংবা বাঘের কথা ভেবে বসে আছেন। স্বাভাবিক; কারণ, এদের আক্রমণে কেউ মারা গেলে আমাদের চোখে পড়ে বেশি। যেমন শেরপুর-জামালপুর অঞ্চলে হাতির আক্রমণে মানুষ মারা যাওয়ার খবর আসছে (অবশ্য হাতিরও প্রাণ যাচ্ছে)। হলিউডের সিনেমাগুলোতেও আমরা বড় শত্রু হিসেবে দেখি হাঙর কিংবা অ্যানাকোন্ডার মতো প্রাণীগুলোকে।
কিন্তু শুনে অবাক হবেন, আপাতদৃষ্টে যাদের ভয়ংকর প্রাণী হিসেবে ভাবি আমরা, এদের অনেকগুলোর অবস্থান তালিকার নিচের দিকেই। আবার বাঘ কিংবা হাঙরের এই তালিকায় স্থানই হয়নি; কারণ, এদের আক্রমণে প্রাণ হারানো মানুষের সংখ্যা আদপে খুব একটি বেশি নয়। এ ক্ষেত্রে সবার ওপরে থাকা প্রাণীটি মোটেই এমন বিশাল কিছু নয়। সে হলো আমাদের অতি পরিচিত পুঁচকে মশা। এখন তাহলে কোন প্রাণীর কারণে কেমনসংখ্যক মানুষ মারা যায়, তা জেনে নেওয়া যাক। তবে আমরা তালিকাটি করেছি উল্টো দিক থেকে।
সিংহ
অনেকের হয়তো ধারণা ছিল, তালিকায় একেবারে ওপরের দিকে থাকবে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ ও ভারতের জঙ্গলে বিচরণ করা প্রাণীটি। বিশেষ করে এর গর্জন শুনলে যে কারও অন্তরাত্মা কেঁপে উঠতে বাধ্য। সাভোর মানুষখেকোসহ কুখ্যাত কিছু মানুষখেকো সিংহের কথা শোনা গেলেও সিংহের আক্রমণে মানুষ মারা যাওয়ার সংখ্যা খুব বেশি নয়। বিবিসি সায়েন্স ফোকাসের হিসেবে বছরে সংখ্যাটি ২০০-এর আশপাশে। কোনো কোনো সূত্রের দাবি, সংখ্যাটি আরও অনেক কম।
এদের নখ খুব ধারালো। কামড়ে হাড় চূর্ণবিচূর্ণ করে ফেলা থেকে শুরু করে খুলি গুঁড়িয়ে দেওয়া সম্ভব। সাধারণত ছোট দলে ভাগ হয়ে শিকার করে এরা। কোনো দলের কাছাকাছি চলে গেলে আক্রমণ করতে পারে। সঙ্গে বাচ্চা থাকলে এরা খুব বিপজ্জনক হয়ে ওঠে।
জলহস্তী
জলহস্তীর আক্রমণে প্রতিবছর মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যাটা একেবারে কম নয়, শ পাঁচেক মানুষকে প্রাণ হারাতে হয় এদের হাতে। একেকটি পুরুষ জলহস্তীর ওজন হতে পারে ১৫০০ কেজি। প্রায় আধা মিটার লম্বা ধারালো শ্বদন্তের একটি কামড়ে একজন মানুষের শরীর দুই টুকরো হয়ে যেতে পারে। বলা হয় একটি জলহস্তীর কামড়ের শক্তি সিংহের কামড়ের তিন গুণ।
জলহস্তীর এলাকায় কোনো মানুষ চলে এলে আক্রমণ করে বসা এদের জন্য খুব স্বাভাবিক। কখনো কখনো অন্য কোনো প্রাণী ভেবে নৌকা আক্রমণ ও উল্টে দেওয়ার অভ্যাস আছে এদের।
হাতি
হাতির আক্রমণে মৃত্যু হওয়া মানুষের সংখ্যা ৫০০ থেকে ৬০০। পা দিয়ে মাড়িয়ে, শুঁড় দিয়ে পেঁচিয়ে আছাড় মেরে কিংবা দাঁত দিয়ে খুঁচিয়ে মানুষ মারার রেকর্ড আছে হাতিদের। তেমনি মানুষের কারণে প্রাণ যায় হাতিদেরও। বুনো হাতির দেখা পাওয়া যায় আফ্রিকা ও এশিয়া মহাদেশের বিভিন্ন দেশে।
হাতি-মানুষ সংঘাতে দায় আছে মানুষেরও। হাতির বিচরণের জায়গাগুলোয় মানুষের বসতি ও চাষবাদের জন্য ব্যবহৃত হওয়ায় মানুষের সঙ্গে সংঘাত বাড়ছে এদের।
কুমির
প্রতিবছর কুমিরের আক্রমণে মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যা নেহাতই কম নয়, হাজারের মতো। এদের দাঁতগুলোই জানিয়ে দেয়, কতটা বিপজ্জনক হতে পারে সরীসৃপটি। নীল ক্রোকোডাইলের কামড়কে ধরা হয় পৃথিবীর তাবৎ প্রাণীর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী কামড় হিসেবে। তেমনি লোনাপানির কুমিরের কামড়ও প্রচণ্ড শক্তিশালী।
এসকারিস রাউন্ডওয়র্ম
এই গুবরে পোকারা সরাসরি মানুষ মারে না। তবে বহু মানুষের মৃত্যুর জন্য এরাই দায়ী। এটি অন্য প্রাণীর দেহে বাস করে তার ক্ষতি করে। কোনো মানুষ দুর্ঘটনাবশত তাদের ডিম খেয়ে ফেললে মানুষের শরীরের প্রবেশের সুযোগ পায়। এটি মানুষের শরীরের খাদ্যনালির নিচের অংশে অবস্থান করে খাবার খায় এবং নতুন প্রাণীর জন্ম দেয়। এতে যে রোগের সৃষ্টি হয়, তার নাম এসকারিয়াসিস। এই রোগে প্রতিবছর প্রায় আড়াই হাজার মানুষ মারা যান।
মাকড়সা
লেজ দিয়ে হুল ফুটিয়ে শিকারের শরীরে বিষ ঢুকিয়ে দেয় মাকড়সারা। অবশ্য এদের সবাই এমন ক্ষতিকর নয়। ২৬০০ প্রজাতির মাকড়সার মধ্যে কেবল ২৫ জাতের মাকড়সা মানুষকে মারার মতো বিষ থাকে। এদের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ংকর বলা চলে ডেথস্টকারকে। উত্তর আমেরিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের মরু এলাকায় মৃত্যুর বার্তাবাহী এই হলুদ প্রাণীর দেখা মেলে। এদের শরীরে যে পরিমাণ বিষ থাকে, তা শিশু, বৃদ্ধ কিংবা শারীরিক জটিলতায় ভোগা মানুষদের মারার জন্য যথেষ্ট। প্রাপ্তবয়স্ক একজন মানুষও এদের হুলে মারা যেতে পারেন, তবে আশঙ্কা কম। মাকড়ার কামড়ে প্রতিবছর মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যা ২৬০০ থেকে ৩৩০০।
গুপ্তঘাতক বাগ
অ্যাসাসিন বাগ বা গুপ্তঘাতক ছারপোকা ছাগাস রোগ ছড়ানোর জন্য দায়ী। রক্তচোষা এই কীট মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকায় বড় বিপদের কারণ। এ ধরনের পোকার কামড়ে কিংবা এদের দ্বারা সংক্রামিত কোনো খাবার খেলে এ রোগ হয়। প্যান আমেরিকান হেলথ অর্গানাইজেশনের দেওয়া তথ্যে জানা যায়, এ রোগে হার্ট, পরিপাকতন্ত্র ও স্নায়ুতন্ত্র আক্রান্ত হয়। ভয়ংকর ব্যাপার হলো, এ রোগ মাতৃগর্ভে মা থেকে শিশুর শরীরে সংক্রমিত হতে পারে। এ রোগে বছরে ১০ হাজারের মতো মানুষ মারা যান।
কুকুর
কুকুর মানুষের বড় বন্ধু হিসেবে পরিচিত। তবে এরা কখনো কখনো বড় শত্রুও হয়ে উঠতে পারে। সেটি র্যাবিস বা জলাতঙ্ক রোগ ছড়ানোর মাধ্যমে। এমনিতে সরাসরি কুকুরের আক্রমণে কারও মৃত্যুর খবর শোনা যায় না বললেই চলে, তবে কুকুরের কামড়ে হওয়া জলাতঙ্ক রোগে মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যা কম নয়। সাধারণত এশিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে জলাতঙ্কজনিত মৃত্যুর হার বেশি। প্রতিবছর জলাতঙ্কে মৃত্যুর সংখ্যা ৫৯ হাজারের মতো।
ওয়ার্ল্ড হেথ অর্গানাইজেশনের দেওয়া তথ্যে জানা যায়, জলাতঙ্কের কারণে যত মানুষ মারা যান, তার বেশির ভাগই কুকুরের কারণে। মোট জলাতঙ্ক রোগের ৯৯ শতাংশ হয় কুকুরের কামড়ে।
সাপ
এই বিষধর সরীসৃপদের প্রতি ইন্ডিয়ানা জোনসের যে ভীতি ছিল, তা একেবারে অমূলক নয়। বিপজ্জনক সব সাপ আছে পৃথিবীর নানা প্রান্তে। বিভিন্নভাবে সাপের আক্রমণে মারা যেতে পারে মানুষ। উদাহরণ হিসেবে ব্ল্যাক মামবা এক কামড়ে শরীরে দুই ফোঁটা বিষ ঢুকিয়ে মারতে পারে মানুষকে, আবার খুব বড় আকারের অজগরের পক্ষে এমনকি প্রাপ্তবয়স্ক মানুষকে পর্যন্ত গিলে ফেলা সম্ভব। বছরে সাপের আক্রমণে মৃত্যু হওয়া মানুষের সংখ্যা ১ লাখ ৩৮ হাজার। এদের বেশির ভাগ মারা যায় বিষধর সাপের কামড়ে।
স্বাদুপানির শামুক
সিসটোসোমায়োসিস সিসটোসোমা ধরনের পরজীবী কৃমি দ্বারা সৃষ্টি রোগ। এটি স্নেইল ফিভাব নামেও পরিচিত। এটি মূত্রনালি অথবা অন্ত্রগুলোকে আক্রান্ত করতে পারে। পেটে ব্যথা, ডায়রিয়া, রক্ত পায়খানা অথবা মূত্রে রক্ত চিহ্ন অথবা উপসর্গ হিসেবে দেখা দিতে পারে। দীর্ঘ সময় ধরে সংক্রমিতরা যকৃতের ক্ষতি, কিডনি অকার্যকর, বন্ধ্যত্ব, মূত্রাশয় ক্যানসারে আক্রান্ত হতে পারে। সংক্রমিত মিঠাপানির শামুক দ্বারা এই পরজীবীগুলো ছড়ায়। ওয়ার্ল্ড হেথ অর্গানাইজেশনের দেওয়া তথ্যে জানা যায়, প্রতিবছর দুই লাখ মানুষ এর আক্রমণে মারা যায়।
মশা
মশাকে কারও পছন্দ করার কারণ নেই। মশা নানা ধরনের রোগ ছড়ায়, এটাও সত্যি। তবে আমরা যেটা কল্পনাও করতে পারি না, কোনো প্রাণী যদি আমাদের জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকর হয়, সেটি মশা। খুদে এই উড়ুক্কু প্রাণী বছরজুড়ে সাড়ে সাত লাখ মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী। আর এই মৃত্যুগুলোর বড় একটি অংশ আসে ম্যালেরিয়ার কারণে। এটির প্রভাব সবচেয়ে বেশি আফ্রিকায়। পৃথিবীর মোট ম্যালেরিয়া সংক্রমণের ৯৫ শতাংশ ও মৃত্যুর ৯৬ শতাংশ আফ্রিকায়। আরও যেসব বড় রোগের বাহক ছোট্ট এই প্রাণী, এর মধ্যে আছে ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, জিকা, ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস ইত্যাদি। তবে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে বড় বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ডেঙ্গু। এ বছর ইতিমধ্যে এডিস মশার কারণে সৃষ্টি হওয়া ডেঙ্গু জ্বরে বাংলাদেশে মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যা ১০০-তে পৌঁছেছে।
সূত্র: বিবিসি সায়েন্স ফোকাস, বিবিসি ওয়াইল্ডলাইফ ম্যাগাজিন

আচ্ছা, কোন প্রাণীর আক্রমণে কিংবা এর কারণে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যায়, বলুন তো? আপনি নিশ্চয় সিংহ, কুমির, বাঘ, হাতি, সাপ কিংবা বাঘের কথা ভেবে বসে আছেন। স্বাভাবিক; কারণ, এদের আক্রমণে কেউ মারা গেলে আমাদের চোখে পড়ে বেশি। যেমন শেরপুর-জামালপুর অঞ্চলে হাতির আক্রমণে মানুষ মারা যাওয়ার খবর আসছে (অবশ্য হাতিরও প্রাণ যাচ্ছে)। হলিউডের সিনেমাগুলোতেও আমরা বড় শত্রু হিসেবে দেখি হাঙর কিংবা অ্যানাকোন্ডার মতো প্রাণীগুলোকে।
কিন্তু শুনে অবাক হবেন, আপাতদৃষ্টে যাদের ভয়ংকর প্রাণী হিসেবে ভাবি আমরা, এদের অনেকগুলোর অবস্থান তালিকার নিচের দিকেই। আবার বাঘ কিংবা হাঙরের এই তালিকায় স্থানই হয়নি; কারণ, এদের আক্রমণে প্রাণ হারানো মানুষের সংখ্যা আদপে খুব একটি বেশি নয়। এ ক্ষেত্রে সবার ওপরে থাকা প্রাণীটি মোটেই এমন বিশাল কিছু নয়। সে হলো আমাদের অতি পরিচিত পুঁচকে মশা। এখন তাহলে কোন প্রাণীর কারণে কেমনসংখ্যক মানুষ মারা যায়, তা জেনে নেওয়া যাক। তবে আমরা তালিকাটি করেছি উল্টো দিক থেকে।
সিংহ
অনেকের হয়তো ধারণা ছিল, তালিকায় একেবারে ওপরের দিকে থাকবে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ ও ভারতের জঙ্গলে বিচরণ করা প্রাণীটি। বিশেষ করে এর গর্জন শুনলে যে কারও অন্তরাত্মা কেঁপে উঠতে বাধ্য। সাভোর মানুষখেকোসহ কুখ্যাত কিছু মানুষখেকো সিংহের কথা শোনা গেলেও সিংহের আক্রমণে মানুষ মারা যাওয়ার সংখ্যা খুব বেশি নয়। বিবিসি সায়েন্স ফোকাসের হিসেবে বছরে সংখ্যাটি ২০০-এর আশপাশে। কোনো কোনো সূত্রের দাবি, সংখ্যাটি আরও অনেক কম।
এদের নখ খুব ধারালো। কামড়ে হাড় চূর্ণবিচূর্ণ করে ফেলা থেকে শুরু করে খুলি গুঁড়িয়ে দেওয়া সম্ভব। সাধারণত ছোট দলে ভাগ হয়ে শিকার করে এরা। কোনো দলের কাছাকাছি চলে গেলে আক্রমণ করতে পারে। সঙ্গে বাচ্চা থাকলে এরা খুব বিপজ্জনক হয়ে ওঠে।
জলহস্তী
জলহস্তীর আক্রমণে প্রতিবছর মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যাটা একেবারে কম নয়, শ পাঁচেক মানুষকে প্রাণ হারাতে হয় এদের হাতে। একেকটি পুরুষ জলহস্তীর ওজন হতে পারে ১৫০০ কেজি। প্রায় আধা মিটার লম্বা ধারালো শ্বদন্তের একটি কামড়ে একজন মানুষের শরীর দুই টুকরো হয়ে যেতে পারে। বলা হয় একটি জলহস্তীর কামড়ের শক্তি সিংহের কামড়ের তিন গুণ।
জলহস্তীর এলাকায় কোনো মানুষ চলে এলে আক্রমণ করে বসা এদের জন্য খুব স্বাভাবিক। কখনো কখনো অন্য কোনো প্রাণী ভেবে নৌকা আক্রমণ ও উল্টে দেওয়ার অভ্যাস আছে এদের।
হাতি
হাতির আক্রমণে মৃত্যু হওয়া মানুষের সংখ্যা ৫০০ থেকে ৬০০। পা দিয়ে মাড়িয়ে, শুঁড় দিয়ে পেঁচিয়ে আছাড় মেরে কিংবা দাঁত দিয়ে খুঁচিয়ে মানুষ মারার রেকর্ড আছে হাতিদের। তেমনি মানুষের কারণে প্রাণ যায় হাতিদেরও। বুনো হাতির দেখা পাওয়া যায় আফ্রিকা ও এশিয়া মহাদেশের বিভিন্ন দেশে।
হাতি-মানুষ সংঘাতে দায় আছে মানুষেরও। হাতির বিচরণের জায়গাগুলোয় মানুষের বসতি ও চাষবাদের জন্য ব্যবহৃত হওয়ায় মানুষের সঙ্গে সংঘাত বাড়ছে এদের।
কুমির
প্রতিবছর কুমিরের আক্রমণে মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যা নেহাতই কম নয়, হাজারের মতো। এদের দাঁতগুলোই জানিয়ে দেয়, কতটা বিপজ্জনক হতে পারে সরীসৃপটি। নীল ক্রোকোডাইলের কামড়কে ধরা হয় পৃথিবীর তাবৎ প্রাণীর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী কামড় হিসেবে। তেমনি লোনাপানির কুমিরের কামড়ও প্রচণ্ড শক্তিশালী।
এসকারিস রাউন্ডওয়র্ম
এই গুবরে পোকারা সরাসরি মানুষ মারে না। তবে বহু মানুষের মৃত্যুর জন্য এরাই দায়ী। এটি অন্য প্রাণীর দেহে বাস করে তার ক্ষতি করে। কোনো মানুষ দুর্ঘটনাবশত তাদের ডিম খেয়ে ফেললে মানুষের শরীরের প্রবেশের সুযোগ পায়। এটি মানুষের শরীরের খাদ্যনালির নিচের অংশে অবস্থান করে খাবার খায় এবং নতুন প্রাণীর জন্ম দেয়। এতে যে রোগের সৃষ্টি হয়, তার নাম এসকারিয়াসিস। এই রোগে প্রতিবছর প্রায় আড়াই হাজার মানুষ মারা যান।
মাকড়সা
লেজ দিয়ে হুল ফুটিয়ে শিকারের শরীরে বিষ ঢুকিয়ে দেয় মাকড়সারা। অবশ্য এদের সবাই এমন ক্ষতিকর নয়। ২৬০০ প্রজাতির মাকড়সার মধ্যে কেবল ২৫ জাতের মাকড়সা মানুষকে মারার মতো বিষ থাকে। এদের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ংকর বলা চলে ডেথস্টকারকে। উত্তর আমেরিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের মরু এলাকায় মৃত্যুর বার্তাবাহী এই হলুদ প্রাণীর দেখা মেলে। এদের শরীরে যে পরিমাণ বিষ থাকে, তা শিশু, বৃদ্ধ কিংবা শারীরিক জটিলতায় ভোগা মানুষদের মারার জন্য যথেষ্ট। প্রাপ্তবয়স্ক একজন মানুষও এদের হুলে মারা যেতে পারেন, তবে আশঙ্কা কম। মাকড়ার কামড়ে প্রতিবছর মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যা ২৬০০ থেকে ৩৩০০।
গুপ্তঘাতক বাগ
অ্যাসাসিন বাগ বা গুপ্তঘাতক ছারপোকা ছাগাস রোগ ছড়ানোর জন্য দায়ী। রক্তচোষা এই কীট মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকায় বড় বিপদের কারণ। এ ধরনের পোকার কামড়ে কিংবা এদের দ্বারা সংক্রামিত কোনো খাবার খেলে এ রোগ হয়। প্যান আমেরিকান হেলথ অর্গানাইজেশনের দেওয়া তথ্যে জানা যায়, এ রোগে হার্ট, পরিপাকতন্ত্র ও স্নায়ুতন্ত্র আক্রান্ত হয়। ভয়ংকর ব্যাপার হলো, এ রোগ মাতৃগর্ভে মা থেকে শিশুর শরীরে সংক্রমিত হতে পারে। এ রোগে বছরে ১০ হাজারের মতো মানুষ মারা যান।
কুকুর
কুকুর মানুষের বড় বন্ধু হিসেবে পরিচিত। তবে এরা কখনো কখনো বড় শত্রুও হয়ে উঠতে পারে। সেটি র্যাবিস বা জলাতঙ্ক রোগ ছড়ানোর মাধ্যমে। এমনিতে সরাসরি কুকুরের আক্রমণে কারও মৃত্যুর খবর শোনা যায় না বললেই চলে, তবে কুকুরের কামড়ে হওয়া জলাতঙ্ক রোগে মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যা কম নয়। সাধারণত এশিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে জলাতঙ্কজনিত মৃত্যুর হার বেশি। প্রতিবছর জলাতঙ্কে মৃত্যুর সংখ্যা ৫৯ হাজারের মতো।
ওয়ার্ল্ড হেথ অর্গানাইজেশনের দেওয়া তথ্যে জানা যায়, জলাতঙ্কের কারণে যত মানুষ মারা যান, তার বেশির ভাগই কুকুরের কারণে। মোট জলাতঙ্ক রোগের ৯৯ শতাংশ হয় কুকুরের কামড়ে।
সাপ
এই বিষধর সরীসৃপদের প্রতি ইন্ডিয়ানা জোনসের যে ভীতি ছিল, তা একেবারে অমূলক নয়। বিপজ্জনক সব সাপ আছে পৃথিবীর নানা প্রান্তে। বিভিন্নভাবে সাপের আক্রমণে মারা যেতে পারে মানুষ। উদাহরণ হিসেবে ব্ল্যাক মামবা এক কামড়ে শরীরে দুই ফোঁটা বিষ ঢুকিয়ে মারতে পারে মানুষকে, আবার খুব বড় আকারের অজগরের পক্ষে এমনকি প্রাপ্তবয়স্ক মানুষকে পর্যন্ত গিলে ফেলা সম্ভব। বছরে সাপের আক্রমণে মৃত্যু হওয়া মানুষের সংখ্যা ১ লাখ ৩৮ হাজার। এদের বেশির ভাগ মারা যায় বিষধর সাপের কামড়ে।
স্বাদুপানির শামুক
সিসটোসোমায়োসিস সিসটোসোমা ধরনের পরজীবী কৃমি দ্বারা সৃষ্টি রোগ। এটি স্নেইল ফিভাব নামেও পরিচিত। এটি মূত্রনালি অথবা অন্ত্রগুলোকে আক্রান্ত করতে পারে। পেটে ব্যথা, ডায়রিয়া, রক্ত পায়খানা অথবা মূত্রে রক্ত চিহ্ন অথবা উপসর্গ হিসেবে দেখা দিতে পারে। দীর্ঘ সময় ধরে সংক্রমিতরা যকৃতের ক্ষতি, কিডনি অকার্যকর, বন্ধ্যত্ব, মূত্রাশয় ক্যানসারে আক্রান্ত হতে পারে। সংক্রমিত মিঠাপানির শামুক দ্বারা এই পরজীবীগুলো ছড়ায়। ওয়ার্ল্ড হেথ অর্গানাইজেশনের দেওয়া তথ্যে জানা যায়, প্রতিবছর দুই লাখ মানুষ এর আক্রমণে মারা যায়।
মশা
মশাকে কারও পছন্দ করার কারণ নেই। মশা নানা ধরনের রোগ ছড়ায়, এটাও সত্যি। তবে আমরা যেটা কল্পনাও করতে পারি না, কোনো প্রাণী যদি আমাদের জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকর হয়, সেটি মশা। খুদে এই উড়ুক্কু প্রাণী বছরজুড়ে সাড়ে সাত লাখ মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী। আর এই মৃত্যুগুলোর বড় একটি অংশ আসে ম্যালেরিয়ার কারণে। এটির প্রভাব সবচেয়ে বেশি আফ্রিকায়। পৃথিবীর মোট ম্যালেরিয়া সংক্রমণের ৯৫ শতাংশ ও মৃত্যুর ৯৬ শতাংশ আফ্রিকায়। আরও যেসব বড় রোগের বাহক ছোট্ট এই প্রাণী, এর মধ্যে আছে ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, জিকা, ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস ইত্যাদি। তবে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে বড় বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ডেঙ্গু। এ বছর ইতিমধ্যে এডিস মশার কারণে সৃষ্টি হওয়া ডেঙ্গু জ্বরে বাংলাদেশে মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যা ১০০-তে পৌঁছেছে।
সূত্র: বিবিসি সায়েন্স ফোকাস, বিবিসি ওয়াইল্ডলাইফ ম্যাগাজিন

শিশুদের কয়েন মুখে দেওয়া বা গিলে ফেলা নতুন কিছু নয়। চোখের পলকে এই অঘটন অনেক শিশুই ঘটিয়ে ফেলে। পরে অনেককে দৌড়াতে হয় হাসপাতালে, আবার অনেকের স্বাভাবিক নিয়মে তা মলের সঙ্গে বের হয়ে আসে।
৩ দিন আগে
২০২০ সালের হ্যালোইন রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের গ্রিনভিলে এক অবিশ্বাস্য ঘটনার মুখোমুখি হন ক্রিস্টোফার লি টেইলর। সেই রাতে স্ত্রীর বোনের বাড়িতে হ্যালোইন পার্টিতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের।
৫ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের গ্রেট ব্যারিয়ার রিফকে বলা হয় পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রবাল রিফ। প্রশান্ত মহাসাগরের কোরাল সাগরের এই প্রবাল রিফের কাছাকাছি এক দ্বীপে ঘটেছে এক মর্মান্তিক ঘটনা। ৮০ বছর বয়সী এক নারী পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে সেখানে।
৭ দিন আগে
চিপস খেতে খেতে রাস্তায় হাঁটছে যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোরের স্কুলপড়ুয়া কিশোর টাকি অ্যালেন। হঠাৎ আটটি পুলিশের গাড়ি এসে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে তাকে। গাড়ি থামিয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তারা তার দিকে বন্দুক তাক করে হাঁটু গেড়ে বসতে বললেন।
১০ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শিশুদের কয়েন মুখে দেওয়া বা গিলে ফেলা নতুন কিছু নয়। চোখের পলকে এই অঘটন অনেক শিশুই ঘটিয়ে ফেলে। পরে অনেককে দৌড়াতে হয় হাসপাতালে, আবার অনেকের স্বাভাবিক নিয়মে তা মলের সঙ্গে বের হয়ে আসে। এদিকে চীনের ১১ বছর বয়সী এক শিশু গিলে ফেলেছে সোনার দানা (গোল্ড বিন)। যার বাজারমূল্য ১০ হাজার ইউয়ান (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ লাখ ৭২ হাজার ২৫ টাকা)।
দক্ষিণ-পূর্ব চীনের জিয়াংসু প্রদেশের কুনশানের বাসিন্দা জি গত ১৭ অক্টোবর ১০ গ্রামের একটি সোনার দানা কেনেন। কয়েক দিন পর ২২ অক্টোবর তাঁর ছেলে সোনার দানাটি হাতে পেয়ে খেলতে খেলতে হঠাৎ গিলে ফেলে।
এ সময় জি বারান্দায় কাপড় ধুচ্ছিলেন। তাঁর ছেলে আতঙ্কিত হয়ে ছুটে এসে জানায়, সে গোল্ড বিনটি গিলে ফেলেছে। তার ভয় হচ্ছে সে কি এখন মারা যাবে!
জিকে তাঁর ছেলে আরও জানায়, জিব দিয়ে স্বাদ পরীক্ষা করার সময় সে সোনার দানাটি গিলে ফেলেছে।
প্রথমে জি ভেবেছিলেন, ছেলে মজা করছে। পরে দেখেন সোনার দানাটি নেই। তখন তিনি চিন্তায় পড়ে যান।
জির তখন মনে পড়ে, তাঁর ভাগনিও একবার একটি কয়েন গিলে ফেলেছিল। তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার বলেছিলেন, এটি গুরুতর কিছু নয়। মলের সঙ্গে বের হয়ে যাবে।
জি মাথা ঠান্ডা করে ভাবতে থাকেন কী করা যায়। ইন্টারনেটে খোঁজাখুঁজি করে তিনি দেখেন, সোনার জিনিসও একইভাবে মলের সঙ্গে বেরিয়ে যেতে পারে।
এরপর জি ছেলেকে চোখে চোখে রাখতে থাকেন হারানো এই মূল্যবান সম্পদ উদ্ধারের আশায়। ছেলেকে সতর্ক করতে থাকেন বাইরে মলত্যাগ না করে ঘরে নির্ধারিত স্থানে করতে। কারণ, মলের সঙ্গে সোনার দানাটি বের হয়ে আসবে। তা সত্ত্বেও টানা পাঁচ দিন ধরে দিনে দুবার পরীক্ষা করেও সোনাটি পাওয়া যায়নি।
পরে গত ২৬ অক্টোবর ছেলেকে কুনশান ফিফথ পিপলস হাসপাতালে নিয়ে যান জি। পরীক্ষা করে চিকিৎসকেরা দেখেন, শিশুটির পেটে একটি বস্তু রয়েছে। তবে শিশুটির কোনো ব্যথা বা বমির লক্ষণ ছিল না।
পরে সেদিন সন্ধ্যায় সোনার দানাটি নিরাপদে বের হয়। তবে এটি কি স্বাভাবিকভাবে বের হয়েছে নাকি চিকিৎসার মাধ্যমে বের করা হয়েছে, তা সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে স্পষ্ট করে বলা হয়নি।

শিশুদের কয়েন মুখে দেওয়া বা গিলে ফেলা নতুন কিছু নয়। চোখের পলকে এই অঘটন অনেক শিশুই ঘটিয়ে ফেলে। পরে অনেককে দৌড়াতে হয় হাসপাতালে, আবার অনেকের স্বাভাবিক নিয়মে তা মলের সঙ্গে বের হয়ে আসে। এদিকে চীনের ১১ বছর বয়সী এক শিশু গিলে ফেলেছে সোনার দানা (গোল্ড বিন)। যার বাজারমূল্য ১০ হাজার ইউয়ান (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ লাখ ৭২ হাজার ২৫ টাকা)।
দক্ষিণ-পূর্ব চীনের জিয়াংসু প্রদেশের কুনশানের বাসিন্দা জি গত ১৭ অক্টোবর ১০ গ্রামের একটি সোনার দানা কেনেন। কয়েক দিন পর ২২ অক্টোবর তাঁর ছেলে সোনার দানাটি হাতে পেয়ে খেলতে খেলতে হঠাৎ গিলে ফেলে।
এ সময় জি বারান্দায় কাপড় ধুচ্ছিলেন। তাঁর ছেলে আতঙ্কিত হয়ে ছুটে এসে জানায়, সে গোল্ড বিনটি গিলে ফেলেছে। তার ভয় হচ্ছে সে কি এখন মারা যাবে!
জিকে তাঁর ছেলে আরও জানায়, জিব দিয়ে স্বাদ পরীক্ষা করার সময় সে সোনার দানাটি গিলে ফেলেছে।
প্রথমে জি ভেবেছিলেন, ছেলে মজা করছে। পরে দেখেন সোনার দানাটি নেই। তখন তিনি চিন্তায় পড়ে যান।
জির তখন মনে পড়ে, তাঁর ভাগনিও একবার একটি কয়েন গিলে ফেলেছিল। তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার বলেছিলেন, এটি গুরুতর কিছু নয়। মলের সঙ্গে বের হয়ে যাবে।
জি মাথা ঠান্ডা করে ভাবতে থাকেন কী করা যায়। ইন্টারনেটে খোঁজাখুঁজি করে তিনি দেখেন, সোনার জিনিসও একইভাবে মলের সঙ্গে বেরিয়ে যেতে পারে।
এরপর জি ছেলেকে চোখে চোখে রাখতে থাকেন হারানো এই মূল্যবান সম্পদ উদ্ধারের আশায়। ছেলেকে সতর্ক করতে থাকেন বাইরে মলত্যাগ না করে ঘরে নির্ধারিত স্থানে করতে। কারণ, মলের সঙ্গে সোনার দানাটি বের হয়ে আসবে। তা সত্ত্বেও টানা পাঁচ দিন ধরে দিনে দুবার পরীক্ষা করেও সোনাটি পাওয়া যায়নি।
পরে গত ২৬ অক্টোবর ছেলেকে কুনশান ফিফথ পিপলস হাসপাতালে নিয়ে যান জি। পরীক্ষা করে চিকিৎসকেরা দেখেন, শিশুটির পেটে একটি বস্তু রয়েছে। তবে শিশুটির কোনো ব্যথা বা বমির লক্ষণ ছিল না।
পরে সেদিন সন্ধ্যায় সোনার দানাটি নিরাপদে বের হয়। তবে এটি কি স্বাভাবিকভাবে বের হয়েছে নাকি চিকিৎসার মাধ্যমে বের করা হয়েছে, তা সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে স্পষ্ট করে বলা হয়নি।

আচ্ছা, কোন প্রাণীর আক্রমণে কিংবা এর কারণে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যায়, বলুন তো? আপনি নিশ্চয় সিংহ, কুমির, হাতি, হাঙর কিংবা বাঘের কথা ভেবে বসে আছেন। কিন্তু শুনে অবাক হবেন, তালিকায় সবার ওপরে থাকা প্রাণীটি মোটেই এমন বিশাল কিছু নয়। সে হলো আমাদের অতি পরিচিত পুঁচকে মশা।
১৬ জুলাই ২০২৩
২০২০ সালের হ্যালোইন রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের গ্রিনভিলে এক অবিশ্বাস্য ঘটনার মুখোমুখি হন ক্রিস্টোফার লি টেইলর। সেই রাতে স্ত্রীর বোনের বাড়িতে হ্যালোইন পার্টিতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের।
৫ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের গ্রেট ব্যারিয়ার রিফকে বলা হয় পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রবাল রিফ। প্রশান্ত মহাসাগরের কোরাল সাগরের এই প্রবাল রিফের কাছাকাছি এক দ্বীপে ঘটেছে এক মর্মান্তিক ঘটনা। ৮০ বছর বয়সী এক নারী পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে সেখানে।
৭ দিন আগে
চিপস খেতে খেতে রাস্তায় হাঁটছে যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোরের স্কুলপড়ুয়া কিশোর টাকি অ্যালেন। হঠাৎ আটটি পুলিশের গাড়ি এসে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে তাকে। গাড়ি থামিয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তারা তার দিকে বন্দুক তাক করে হাঁটু গেড়ে বসতে বললেন।
১০ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

২০২০ সালের হ্যালোইন রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের গ্রিনভিলে এক অবিশ্বাস্য ঘটনার মুখোমুখি হন ক্রিস্টোফার লি টেইলর। সেই রাতে স্ত্রীর বোনের বাড়িতে হ্যালোইন পার্টিতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। আর হ্যালোইনের বিশেষ পোশাক হিসেবে টেইলরের কাছে সেদিন বিকল্প ছিল মাত্র দুটো—তাঁকে হয় যিশুখ্রিষ্ট সাজতে হবে, নয়তো অ্যামাজন প্রাইম সিরিজ দ্য বয়েজ-এর কুখ্যাত সুপারহিরো ‘হোমল্যান্ডার’। কিছুটা অস্বস্তি নিয়ে শেষ পর্যন্ত সুপারহিরোর পোশাকটিই বেছে নিয়েছিলেন তিনি।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক দ্য গার্ডিয়ানে টেইলর লিখেছেন, সেদিন অন্য এক চরিত্র ‘স্টারলাইট’ সেজে গাড়ি চালাচ্ছিলেন তাঁর স্ত্রী চেলসি। তাঁদের দুই সন্তানও ছিল গাড়িতে—তাদের একজন সেজেছিল ‘আয়রন ম্যান’ আর অন্যজন ‘ড্রাগন’।
যাত্রাপথে হঠাৎ তাঁরা দেখতে পান একটি বাড়ি থেকে আগুনের শিখা বের হচ্ছে। টেইলর তখনই তাঁর স্ত্রী চেলসিকে বলেন, ‘গাড়ি থামাও, আর ৯১১-এ ফোন দাও।’ তিনি দৌড়ে চলে যান জ্বলন্ত বাড়ির দিকে।
বাড়িটির সামনে কয়েকজন মানুষ দাঁড়িয়ে ছিলেন, কিন্তু তাঁরা শুধু আগুনের ধ্বংসযজ্ঞ দেখেই যাচ্ছিলেন, যেন কারওরই কিছু করার নেই। টেইলর তাঁদের কাছে জানতে চান—ভেতরে কেউ আছে কি না। উত্তর আসে, ‘জানি না।’
টেইলর অবশ্য দৌড়ে বাড়িটির আরও কাছে এগিয়ে যান এবং দরজা খুলে ডাক দেন, ‘কেউ আছেন?’ ভেতর থেকে ক্ষীণ একটি আওয়াজও ভেসে আসে। দেরি না করে তখনই দৌড়ে আগুনের ভেতরে ঢুকে পড়েন তিনি।
ভেতরে প্রবল ধোঁয়া ও তাপ সহ্য করেই সিঁড়ি বেয়ে ওপরে গিয়ে টেইলর দেখতে পান এক ব্যক্তি অচেতন হয়ে পড়ে আছেন। সময় নষ্ট না করে তিনি প্রায় ছয় লম্বা ওই লোকটিকে বহন করে রাস্তায় নিয়ে আসেন।
লোকটির জ্ঞান ফিরে আসার পর অবশ্য পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসও আসে। কিন্তু টেইলর তখন নিজের অদ্ভুত বেশ নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে কোনো রকমে পালিয়ে আসেন।
তবে টেইলরের এই জীবন বাঁচানোর খবরটি আর চাপা থাকে না। এই ঘটনার পর সবাই তাঁকে ‘সুপারহিরো’ বলে সবাই ডাকতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, পরবর্তীতে ‘কার্নেগি মেডেল ফর হিরোইজম’ পান তিনি এবং ওহাইও ফায়ার সার্ভিস হল অব ফেমে তাঁর নাম ওঠে। পাঁচ বছর পরও তাঁর সন্তানেরা গর্ব করে বলে—‘আমার বাবা সত্যিকারের সুপারহিরো।’
এমনকি দ্য বয়েজ সিরিজে হোমল্যান্ডারের চরিত্রে অভিনয় করা অ্যান্টনি স্টার তাঁর গল্পটি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করে লিখেছিলেন, ‘এর চেয়ে গর্বিত মুহূর্ত আর হতে পারে না।’

২০২০ সালের হ্যালোইন রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের গ্রিনভিলে এক অবিশ্বাস্য ঘটনার মুখোমুখি হন ক্রিস্টোফার লি টেইলর। সেই রাতে স্ত্রীর বোনের বাড়িতে হ্যালোইন পার্টিতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। আর হ্যালোইনের বিশেষ পোশাক হিসেবে টেইলরের কাছে সেদিন বিকল্প ছিল মাত্র দুটো—তাঁকে হয় যিশুখ্রিষ্ট সাজতে হবে, নয়তো অ্যামাজন প্রাইম সিরিজ দ্য বয়েজ-এর কুখ্যাত সুপারহিরো ‘হোমল্যান্ডার’। কিছুটা অস্বস্তি নিয়ে শেষ পর্যন্ত সুপারহিরোর পোশাকটিই বেছে নিয়েছিলেন তিনি।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক দ্য গার্ডিয়ানে টেইলর লিখেছেন, সেদিন অন্য এক চরিত্র ‘স্টারলাইট’ সেজে গাড়ি চালাচ্ছিলেন তাঁর স্ত্রী চেলসি। তাঁদের দুই সন্তানও ছিল গাড়িতে—তাদের একজন সেজেছিল ‘আয়রন ম্যান’ আর অন্যজন ‘ড্রাগন’।
যাত্রাপথে হঠাৎ তাঁরা দেখতে পান একটি বাড়ি থেকে আগুনের শিখা বের হচ্ছে। টেইলর তখনই তাঁর স্ত্রী চেলসিকে বলেন, ‘গাড়ি থামাও, আর ৯১১-এ ফোন দাও।’ তিনি দৌড়ে চলে যান জ্বলন্ত বাড়ির দিকে।
বাড়িটির সামনে কয়েকজন মানুষ দাঁড়িয়ে ছিলেন, কিন্তু তাঁরা শুধু আগুনের ধ্বংসযজ্ঞ দেখেই যাচ্ছিলেন, যেন কারওরই কিছু করার নেই। টেইলর তাঁদের কাছে জানতে চান—ভেতরে কেউ আছে কি না। উত্তর আসে, ‘জানি না।’
টেইলর অবশ্য দৌড়ে বাড়িটির আরও কাছে এগিয়ে যান এবং দরজা খুলে ডাক দেন, ‘কেউ আছেন?’ ভেতর থেকে ক্ষীণ একটি আওয়াজও ভেসে আসে। দেরি না করে তখনই দৌড়ে আগুনের ভেতরে ঢুকে পড়েন তিনি।
ভেতরে প্রবল ধোঁয়া ও তাপ সহ্য করেই সিঁড়ি বেয়ে ওপরে গিয়ে টেইলর দেখতে পান এক ব্যক্তি অচেতন হয়ে পড়ে আছেন। সময় নষ্ট না করে তিনি প্রায় ছয় লম্বা ওই লোকটিকে বহন করে রাস্তায় নিয়ে আসেন।
লোকটির জ্ঞান ফিরে আসার পর অবশ্য পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসও আসে। কিন্তু টেইলর তখন নিজের অদ্ভুত বেশ নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে কোনো রকমে পালিয়ে আসেন।
তবে টেইলরের এই জীবন বাঁচানোর খবরটি আর চাপা থাকে না। এই ঘটনার পর সবাই তাঁকে ‘সুপারহিরো’ বলে সবাই ডাকতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, পরবর্তীতে ‘কার্নেগি মেডেল ফর হিরোইজম’ পান তিনি এবং ওহাইও ফায়ার সার্ভিস হল অব ফেমে তাঁর নাম ওঠে। পাঁচ বছর পরও তাঁর সন্তানেরা গর্ব করে বলে—‘আমার বাবা সত্যিকারের সুপারহিরো।’
এমনকি দ্য বয়েজ সিরিজে হোমল্যান্ডারের চরিত্রে অভিনয় করা অ্যান্টনি স্টার তাঁর গল্পটি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করে লিখেছিলেন, ‘এর চেয়ে গর্বিত মুহূর্ত আর হতে পারে না।’

আচ্ছা, কোন প্রাণীর আক্রমণে কিংবা এর কারণে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যায়, বলুন তো? আপনি নিশ্চয় সিংহ, কুমির, হাতি, হাঙর কিংবা বাঘের কথা ভেবে বসে আছেন। কিন্তু শুনে অবাক হবেন, তালিকায় সবার ওপরে থাকা প্রাণীটি মোটেই এমন বিশাল কিছু নয়। সে হলো আমাদের অতি পরিচিত পুঁচকে মশা।
১৬ জুলাই ২০২৩
শিশুদের কয়েন মুখে দেওয়া বা গিলে ফেলা নতুন কিছু নয়। চোখের পলকে এই অঘটন অনেক শিশুই ঘটিয়ে ফেলে। পরে অনেককে দৌড়াতে হয় হাসপাতালে, আবার অনেকের স্বাভাবিক নিয়মে তা মলের সঙ্গে বের হয়ে আসে।
৩ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের গ্রেট ব্যারিয়ার রিফকে বলা হয় পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রবাল রিফ। প্রশান্ত মহাসাগরের কোরাল সাগরের এই প্রবাল রিফের কাছাকাছি এক দ্বীপে ঘটেছে এক মর্মান্তিক ঘটনা। ৮০ বছর বয়সী এক নারী পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে সেখানে।
৭ দিন আগে
চিপস খেতে খেতে রাস্তায় হাঁটছে যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোরের স্কুলপড়ুয়া কিশোর টাকি অ্যালেন। হঠাৎ আটটি পুলিশের গাড়ি এসে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে তাকে। গাড়ি থামিয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তারা তার দিকে বন্দুক তাক করে হাঁটু গেড়ে বসতে বললেন।
১০ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের গ্রেট ব্যারিয়ার রিফকে বলা হয় পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রবাল রিফ। প্রশান্ত মহাসাগরের কোরাল সাগরের এই প্রবাল রিফের কাছাকাছি এক দ্বীপে ঘটেছে এক মর্মান্তিক ঘটনা। ৮০ বছর বয়সী এক নারী পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে সেখানে।
গত শনিবার কেয়ার্নস শহর থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার বা ১৫৫ মাইল উত্তরে অবস্থিত লিজার্ড আইল্যান্ডে হাইক করতে গিয়েছিলেন ওই নারী। কোরাল অ্যাডভেঞ্চারার নামের একটি ক্রুজ জাহাজে চড়ে আরও অনেকের সঙ্গে সেখানে গিয়েছিলেন তিনি। ওই নারী পর্যটক হাইক করার সময় কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিতে গিয়ে দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সূর্যাস্তের সময় জাহাজটি দ্বীপ ছেড়ে যায়। কয়েক ঘণ্টা পর ক্রুরা বুঝতে পারেন, ওই নারী জাহাজে নেই। পরে জাহাজটি দ্বীপে ফিরে যায়। ব্যাপক তল্লাশি চালানো হয়।
পরদিন রোববার সকালে অনুসন্ধানকারীরা দ্বীপ থেকে ওই নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করেন।
অস্ট্রেলিয়ান মেরিটাইম সেফটি অথরিটি (এএমএসএ) জানিয়েছে, তারা ঘটনাটি তদন্ত করছে এবং চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে জাহাজটি ডারউইনে পৌঁছালে ক্রু সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে।
এএমএসএর এক মুখপাত্র জানান, গত শনিবার স্থানীয় সময় রাত প্রায় ৯টার দিকে (জিএমটি অনুযায়ী শুক্রবার সকাল ৫ টা) জাহাজের ক্যাপ্টেন প্রথমবারের মতো ওই নারীর নিখোঁজ হওয়ার খবর দেন।
সংস্থাটি বলেছে, তারা অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যৌথভাবে ঘটনাটি তদন্ত করবে এবং তারা বাণিজ্যিক জাহাজে যাত্রী ও ক্রুদের নিরাপত্তাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখে।
কোরাল এক্সপেডিশনস-এর প্রধান নির্বাহী মার্ক ফাইফিল্ড জানিয়েছেন, সংস্থার কর্মীরা ওই নারীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। এই ‘দুঃখজনক মৃত্যু’-র ঘটনায় পরিবারকে সহায়তা দিচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় তদন্ত এখনো চলছে, তবে যা ঘটেছে তার জন্য আমরা গভীরভাবে দুঃখিত এবং ওই নারীর পরিবারকে সর্বোচ্চ সহায়তা দিচ্ছি।’
কুইন্সল্যান্ড পুলিশ জানিয়েছে, নারীর এই ‘হঠাৎ এবং সন্দেহাতীত’ মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত শেষে একটি প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
কুরিয়ার মেল পত্রিকার প্রতিবেদনে জানা যায়, ওই প্রবীণ নারী দ্বীপের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ কুকস লুক-এ ওঠার জন্য দলের সঙ্গে হাইকিংয়ে গিয়েছিলেন, কিন্তু পরে তিনি বিশ্রাম নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
৬০ দিনের ক্রুজে গিয়েছিলেন ওই নারী, যার টিকিটের দাম কয়েক হাজার অস্ট্রেলীয় ডলার। কোম্পানির ওয়েবসাইট অনুযায়ী, কোরাল অ্যাডভেঞ্চারার জাহাজে সর্বোচ্চ ১২০ জন যাত্রী ও ৪৬ জন ক্রু সদস্য থাকতে পারেন। অস্ট্রেলিয়ার উপকূলের দুর্গম এলাকাগুলোতে যাওয়ার জন্য এটি বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে। এই জাহাজে ছোট নৌকা বা ‘টেন্ডার’ রয়েছে যেগুলো দিয়ে দিনের বেলা যাত্রীদের ভ্রমণে ব্যবহার করা হয়।

অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের গ্রেট ব্যারিয়ার রিফকে বলা হয় পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রবাল রিফ। প্রশান্ত মহাসাগরের কোরাল সাগরের এই প্রবাল রিফের কাছাকাছি এক দ্বীপে ঘটেছে এক মর্মান্তিক ঘটনা। ৮০ বছর বয়সী এক নারী পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে সেখানে।
গত শনিবার কেয়ার্নস শহর থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার বা ১৫৫ মাইল উত্তরে অবস্থিত লিজার্ড আইল্যান্ডে হাইক করতে গিয়েছিলেন ওই নারী। কোরাল অ্যাডভেঞ্চারার নামের একটি ক্রুজ জাহাজে চড়ে আরও অনেকের সঙ্গে সেখানে গিয়েছিলেন তিনি। ওই নারী পর্যটক হাইক করার সময় কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিতে গিয়ে দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সূর্যাস্তের সময় জাহাজটি দ্বীপ ছেড়ে যায়। কয়েক ঘণ্টা পর ক্রুরা বুঝতে পারেন, ওই নারী জাহাজে নেই। পরে জাহাজটি দ্বীপে ফিরে যায়। ব্যাপক তল্লাশি চালানো হয়।
পরদিন রোববার সকালে অনুসন্ধানকারীরা দ্বীপ থেকে ওই নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করেন।
অস্ট্রেলিয়ান মেরিটাইম সেফটি অথরিটি (এএমএসএ) জানিয়েছে, তারা ঘটনাটি তদন্ত করছে এবং চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে জাহাজটি ডারউইনে পৌঁছালে ক্রু সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে।
এএমএসএর এক মুখপাত্র জানান, গত শনিবার স্থানীয় সময় রাত প্রায় ৯টার দিকে (জিএমটি অনুযায়ী শুক্রবার সকাল ৫ টা) জাহাজের ক্যাপ্টেন প্রথমবারের মতো ওই নারীর নিখোঁজ হওয়ার খবর দেন।
সংস্থাটি বলেছে, তারা অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যৌথভাবে ঘটনাটি তদন্ত করবে এবং তারা বাণিজ্যিক জাহাজে যাত্রী ও ক্রুদের নিরাপত্তাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখে।
কোরাল এক্সপেডিশনস-এর প্রধান নির্বাহী মার্ক ফাইফিল্ড জানিয়েছেন, সংস্থার কর্মীরা ওই নারীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। এই ‘দুঃখজনক মৃত্যু’-র ঘটনায় পরিবারকে সহায়তা দিচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় তদন্ত এখনো চলছে, তবে যা ঘটেছে তার জন্য আমরা গভীরভাবে দুঃখিত এবং ওই নারীর পরিবারকে সর্বোচ্চ সহায়তা দিচ্ছি।’
কুইন্সল্যান্ড পুলিশ জানিয়েছে, নারীর এই ‘হঠাৎ এবং সন্দেহাতীত’ মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত শেষে একটি প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
কুরিয়ার মেল পত্রিকার প্রতিবেদনে জানা যায়, ওই প্রবীণ নারী দ্বীপের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ কুকস লুক-এ ওঠার জন্য দলের সঙ্গে হাইকিংয়ে গিয়েছিলেন, কিন্তু পরে তিনি বিশ্রাম নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
৬০ দিনের ক্রুজে গিয়েছিলেন ওই নারী, যার টিকিটের দাম কয়েক হাজার অস্ট্রেলীয় ডলার। কোম্পানির ওয়েবসাইট অনুযায়ী, কোরাল অ্যাডভেঞ্চারার জাহাজে সর্বোচ্চ ১২০ জন যাত্রী ও ৪৬ জন ক্রু সদস্য থাকতে পারেন। অস্ট্রেলিয়ার উপকূলের দুর্গম এলাকাগুলোতে যাওয়ার জন্য এটি বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে। এই জাহাজে ছোট নৌকা বা ‘টেন্ডার’ রয়েছে যেগুলো দিয়ে দিনের বেলা যাত্রীদের ভ্রমণে ব্যবহার করা হয়।

আচ্ছা, কোন প্রাণীর আক্রমণে কিংবা এর কারণে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যায়, বলুন তো? আপনি নিশ্চয় সিংহ, কুমির, হাতি, হাঙর কিংবা বাঘের কথা ভেবে বসে আছেন। কিন্তু শুনে অবাক হবেন, তালিকায় সবার ওপরে থাকা প্রাণীটি মোটেই এমন বিশাল কিছু নয়। সে হলো আমাদের অতি পরিচিত পুঁচকে মশা।
১৬ জুলাই ২০২৩
শিশুদের কয়েন মুখে দেওয়া বা গিলে ফেলা নতুন কিছু নয়। চোখের পলকে এই অঘটন অনেক শিশুই ঘটিয়ে ফেলে। পরে অনেককে দৌড়াতে হয় হাসপাতালে, আবার অনেকের স্বাভাবিক নিয়মে তা মলের সঙ্গে বের হয়ে আসে।
৩ দিন আগে
২০২০ সালের হ্যালোইন রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের গ্রিনভিলে এক অবিশ্বাস্য ঘটনার মুখোমুখি হন ক্রিস্টোফার লি টেইলর। সেই রাতে স্ত্রীর বোনের বাড়িতে হ্যালোইন পার্টিতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের।
৫ দিন আগে
চিপস খেতে খেতে রাস্তায় হাঁটছে যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোরের স্কুলপড়ুয়া কিশোর টাকি অ্যালেন। হঠাৎ আটটি পুলিশের গাড়ি এসে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে তাকে। গাড়ি থামিয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তারা তার দিকে বন্দুক তাক করে হাঁটু গেড়ে বসতে বললেন।
১০ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

চিপস খেতে খেতে রাস্তায় হাঁটছে যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোরের স্কুলপড়ুয়া কিশোর টাকি অ্যালেন। হঠাৎ আটটি পুলিশের গাড়ি এসে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে তাকে। গাড়ি থামিয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তারা তার দিকে বন্দুক তাক করে হাঁটু গেড়ে বসতে বললেন। এমন আকস্মিক ঘটনায় হতভম্ব ১৬ বছর বয়সী এই কিশোর বুঝে উঠতে পারছে না, কী তার ভুল। পুলিশের নির্দেশ মানার পর হাতে পড়ল হাতকড়া।
টাকি অ্যালেনকে কিশোর বয়সে এই অদ্ভুত অভিজ্ঞতা দিল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)। অ্যালেনের হাতে থাকা চিপসকে বন্দুক হিসেবে শনাক্ত করেছে এক এআই সিস্টেম!
স্থানীয় গণমাধ্যম ডব্লিউএমএআর-২ নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে টাকি অ্যালেন বলে, ‘হঠাৎ দেখি প্রায় আটটা পুলিশ কার এসে গেল। তারপর সবাই বন্দুক তাক করে আমাকে মাটিতে শুতে বলছে।’
অ্যালেন বলতে থাকে, ‘ফুটবল অনুশীলনের পর এক প্যাকেট ডোরিটোস চিপস খেয়ে খালি প্যাকেটটি পকেটে রেখে দিই। এর ২০ মিনিট পরই এই ঘটনা। একজন অফিসার আমাকে হাঁটু গেড়ে বসতে বলেন, তারপর আমাকে আটক করে হাতকড়া পরান।
তবে বাল্টিমোর কাউন্টি পুলিশ বিভাগ বিবিসি নিউজের কাছে দাবি করে, অ্যালেনকে হাতকড়া পরানো হয়েছিল, গ্রেপ্তার করা হয়নি।
এক বিবৃতিতে তারা জানায়, কোনো হুমকি নেই নিশ্চিত হওয়ার পর বিষয়টি নিরাপদে সমাধান করা হয়।
এই ঘটনার পর থেকে ফুটবল অনুশীলন শেষে স্কুলের ভেতরে চলে যায় অ্যালেন। সে জানায়, বাইরে যাওয়া নিরাপদ নয়, বিশেষ করে চিপস খাওয়া বা কিছু পান করা।
বাল্টিমোর কাউন্টি পুলিশ বিভাগ জানায়, সেই মুহূর্তে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে যথোপযুক্ত ও আনুপাতিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তাদের কর্মকর্তারা।
বিভাগটি আরও জানায়, এআই সতর্কবার্তাটি মানব পর্যালোচকদের কাছে পাঠানো হয়েছিল। তাঁরা এতে কোনো হুমকি পাননি। এই বার্তা স্কুলের প্রিন্সিপালের কাছে পাঠানো হলেও তিনি এ তথ্যটি দেখেননি এবং স্কুলের নিরাপত্তা টিমকে জানান। তারা পুলিশকে ডাকে।
অভিভাবকদের উদ্দেশে এক চিঠিতে স্কুলের প্রিন্সিপাল কেট স্মিথ বলেন, স্কুলের নিরাপত্তা দল দ্রুত পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে এবং কোনো অস্ত্র না থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর প্রাথমিক সতর্কতা বাতিল করে।
তিনি আরও জানান, ‘আমাদের স্কুল রিসোর্স অফিসারকে (এসআরও) বিষয়টি জানানো হলে তিনি অতিরিক্ত সহায়তার জন্য স্থানীয় থানার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পুলিশ কর্মকর্তারা স্কুলে এসে ওই শিক্ষার্থীকে তল্লাশি করেন এবং দ্রুত নিশ্চিত হন যে তার কাছে কোনো অস্ত্র নেই।’
এআই টুল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ওমনিলার্ট এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে। তারা বিবিসি নিউজকে জানায়, ‘ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থী ও সম্প্রদায়ের প্রতি আমাদের উদ্বেগ জানাতে চাই।’
প্রতিষ্ঠানটি জানায়, তাদের সিস্টেম প্রথমে এমন কিছু শনাক্ত করে যা দেখতে আগ্নেয়াস্ত্রের মতো লাগছিল। ছবিটি পরে তাদের পর্যালোচনা দল যাচাই করে। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে সেই তথ্য ও ছবি বাল্টিমোর কাউন্টি পাবলিক স্কুলের নিরাপত্তা দলের কাছে মূল্যায়নের জন্য পাঠানো হয়।
নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানটি আরও জানায়, তাদের সিস্টেমে ‘সমাধান হয়েছে’ বলে চিহ্নিত হওয়ার পরই এ বিষয়ে তাদের সম্পৃক্ততা শেষ হয়। তাদের সিস্টেম ‘যেভাবে ডিজাইন করা হয়েছিল, সেভাবেই কাজ করেছে।’
অ্যালেন মন্তব্য করেছে, ‘আমার মনে হয় না কোনো চিপসের প্যাকেটকে কখনো বন্দুক হিসেবে ভুল ধরা উচিত।’
এই ঘটনায় স্কুলগুলোতে এমন প্রযুক্তির ব্যবহারের প্রক্রিয়া পুনর্বিবেচনার দাবি তুলেছে অনেকে। স্থানীয় রাজনীতিবিদেরা ঘটনাটি নিয়ে আরও তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। বাল্টিমোর কাউন্টির স্থানীয় কাউন্সিলর ইজি পাকোটা ফেসবুকে লেখেন, ‘আমি বাল্টিমোর কাউন্টি পাবলিক স্কুল কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করছি তাদের এআই-চালিত অস্ত্র শনাক্তকরণ ব্যবস্থার প্রক্রিয়া পুনর্বিবেচনা করতে।’

চিপস খেতে খেতে রাস্তায় হাঁটছে যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোরের স্কুলপড়ুয়া কিশোর টাকি অ্যালেন। হঠাৎ আটটি পুলিশের গাড়ি এসে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে তাকে। গাড়ি থামিয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তারা তার দিকে বন্দুক তাক করে হাঁটু গেড়ে বসতে বললেন। এমন আকস্মিক ঘটনায় হতভম্ব ১৬ বছর বয়সী এই কিশোর বুঝে উঠতে পারছে না, কী তার ভুল। পুলিশের নির্দেশ মানার পর হাতে পড়ল হাতকড়া।
টাকি অ্যালেনকে কিশোর বয়সে এই অদ্ভুত অভিজ্ঞতা দিল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)। অ্যালেনের হাতে থাকা চিপসকে বন্দুক হিসেবে শনাক্ত করেছে এক এআই সিস্টেম!
স্থানীয় গণমাধ্যম ডব্লিউএমএআর-২ নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে টাকি অ্যালেন বলে, ‘হঠাৎ দেখি প্রায় আটটা পুলিশ কার এসে গেল। তারপর সবাই বন্দুক তাক করে আমাকে মাটিতে শুতে বলছে।’
অ্যালেন বলতে থাকে, ‘ফুটবল অনুশীলনের পর এক প্যাকেট ডোরিটোস চিপস খেয়ে খালি প্যাকেটটি পকেটে রেখে দিই। এর ২০ মিনিট পরই এই ঘটনা। একজন অফিসার আমাকে হাঁটু গেড়ে বসতে বলেন, তারপর আমাকে আটক করে হাতকড়া পরান।
তবে বাল্টিমোর কাউন্টি পুলিশ বিভাগ বিবিসি নিউজের কাছে দাবি করে, অ্যালেনকে হাতকড়া পরানো হয়েছিল, গ্রেপ্তার করা হয়নি।
এক বিবৃতিতে তারা জানায়, কোনো হুমকি নেই নিশ্চিত হওয়ার পর বিষয়টি নিরাপদে সমাধান করা হয়।
এই ঘটনার পর থেকে ফুটবল অনুশীলন শেষে স্কুলের ভেতরে চলে যায় অ্যালেন। সে জানায়, বাইরে যাওয়া নিরাপদ নয়, বিশেষ করে চিপস খাওয়া বা কিছু পান করা।
বাল্টিমোর কাউন্টি পুলিশ বিভাগ জানায়, সেই মুহূর্তে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে যথোপযুক্ত ও আনুপাতিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তাদের কর্মকর্তারা।
বিভাগটি আরও জানায়, এআই সতর্কবার্তাটি মানব পর্যালোচকদের কাছে পাঠানো হয়েছিল। তাঁরা এতে কোনো হুমকি পাননি। এই বার্তা স্কুলের প্রিন্সিপালের কাছে পাঠানো হলেও তিনি এ তথ্যটি দেখেননি এবং স্কুলের নিরাপত্তা টিমকে জানান। তারা পুলিশকে ডাকে।
অভিভাবকদের উদ্দেশে এক চিঠিতে স্কুলের প্রিন্সিপাল কেট স্মিথ বলেন, স্কুলের নিরাপত্তা দল দ্রুত পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে এবং কোনো অস্ত্র না থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর প্রাথমিক সতর্কতা বাতিল করে।
তিনি আরও জানান, ‘আমাদের স্কুল রিসোর্স অফিসারকে (এসআরও) বিষয়টি জানানো হলে তিনি অতিরিক্ত সহায়তার জন্য স্থানীয় থানার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পুলিশ কর্মকর্তারা স্কুলে এসে ওই শিক্ষার্থীকে তল্লাশি করেন এবং দ্রুত নিশ্চিত হন যে তার কাছে কোনো অস্ত্র নেই।’
এআই টুল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ওমনিলার্ট এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে। তারা বিবিসি নিউজকে জানায়, ‘ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থী ও সম্প্রদায়ের প্রতি আমাদের উদ্বেগ জানাতে চাই।’
প্রতিষ্ঠানটি জানায়, তাদের সিস্টেম প্রথমে এমন কিছু শনাক্ত করে যা দেখতে আগ্নেয়াস্ত্রের মতো লাগছিল। ছবিটি পরে তাদের পর্যালোচনা দল যাচাই করে। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে সেই তথ্য ও ছবি বাল্টিমোর কাউন্টি পাবলিক স্কুলের নিরাপত্তা দলের কাছে মূল্যায়নের জন্য পাঠানো হয়।
নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানটি আরও জানায়, তাদের সিস্টেমে ‘সমাধান হয়েছে’ বলে চিহ্নিত হওয়ার পরই এ বিষয়ে তাদের সম্পৃক্ততা শেষ হয়। তাদের সিস্টেম ‘যেভাবে ডিজাইন করা হয়েছিল, সেভাবেই কাজ করেছে।’
অ্যালেন মন্তব্য করেছে, ‘আমার মনে হয় না কোনো চিপসের প্যাকেটকে কখনো বন্দুক হিসেবে ভুল ধরা উচিত।’
এই ঘটনায় স্কুলগুলোতে এমন প্রযুক্তির ব্যবহারের প্রক্রিয়া পুনর্বিবেচনার দাবি তুলেছে অনেকে। স্থানীয় রাজনীতিবিদেরা ঘটনাটি নিয়ে আরও তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। বাল্টিমোর কাউন্টির স্থানীয় কাউন্সিলর ইজি পাকোটা ফেসবুকে লেখেন, ‘আমি বাল্টিমোর কাউন্টি পাবলিক স্কুল কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করছি তাদের এআই-চালিত অস্ত্র শনাক্তকরণ ব্যবস্থার প্রক্রিয়া পুনর্বিবেচনা করতে।’

আচ্ছা, কোন প্রাণীর আক্রমণে কিংবা এর কারণে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যায়, বলুন তো? আপনি নিশ্চয় সিংহ, কুমির, হাতি, হাঙর কিংবা বাঘের কথা ভেবে বসে আছেন। কিন্তু শুনে অবাক হবেন, তালিকায় সবার ওপরে থাকা প্রাণীটি মোটেই এমন বিশাল কিছু নয়। সে হলো আমাদের অতি পরিচিত পুঁচকে মশা।
১৬ জুলাই ২০২৩
শিশুদের কয়েন মুখে দেওয়া বা গিলে ফেলা নতুন কিছু নয়। চোখের পলকে এই অঘটন অনেক শিশুই ঘটিয়ে ফেলে। পরে অনেককে দৌড়াতে হয় হাসপাতালে, আবার অনেকের স্বাভাবিক নিয়মে তা মলের সঙ্গে বের হয়ে আসে।
৩ দিন আগে
২০২০ সালের হ্যালোইন রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের গ্রিনভিলে এক অবিশ্বাস্য ঘটনার মুখোমুখি হন ক্রিস্টোফার লি টেইলর। সেই রাতে স্ত্রীর বোনের বাড়িতে হ্যালোইন পার্টিতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের।
৫ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের গ্রেট ব্যারিয়ার রিফকে বলা হয় পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রবাল রিফ। প্রশান্ত মহাসাগরের কোরাল সাগরের এই প্রবাল রিফের কাছাকাছি এক দ্বীপে ঘটেছে এক মর্মান্তিক ঘটনা। ৮০ বছর বয়সী এক নারী পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে সেখানে।
৭ দিন আগে