সম্পাদকীয়

দুর্নীতিই যদি কোনো প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার নীতি হয়ে দাঁড়ায়, তাহলে সেই প্রতিষ্ঠান বা সংস্থাকে কী ভাষায় তিরস্কার করলে যথাযথ হয়, তা বুঝে উঠতেও সমস্যা হচ্ছে।

যাদের হাতে অনেক টাকা, মন্দা বা মহামন্দা এলে তাদের খুব একটা ভাবনা নেই। প্রচলিত একটা গল্প আছে—দেশে দুর্ভিক্ষের কারণে বিক্ষোভ হচ্ছে রাজপ্রাসাদের সামনে। রানি জিজ্ঞেস করেছিলেন  তাঁর পেয়াদাকে...

২৫ সেপ্টেম্বর দুপুরে পঞ্চগড় জেলার করতোয়া নদীতে এক ভয়াবহ নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থল বোদা উপজেলার মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়নের আউলিয়া ঘাট। শারদীয় দুর্গোৎসবের মহালয়া উপলক্ষে করতোয়া নদী পেরিয়ে বদেশ্বরী মন্দিরে যাওয়ার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

মারপিট করে খবরের জন্ম দেওয়ার ঘটনা এটাই প্রথম নয়। যে কলেজটিতে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে, সেটি ক্ষমতার দাপট দেখানোর এক ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। যখন যে রাজনৈতিকদল রাষ্ট্রের ক্ষমতায় থাকে, তখন সেই দলের ছাত্রনেতারা কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে যে কাণ্ড-কীর্তি করতে থাকেন, তা নিয়ে এক মহাকাব্য  লেখা সম্ভব।

দেশে ঘুষ-দুর্নীতি-অনিয়ম সবই চলছে অবাধে। চাকরিজীবী ঘুষ খাবে, চাকরিপ্রত্যাশী ঘুষ দেবে, ব্যবসায়ী ভেজাল দিয়ে, ওজনে কারচুপি করে বা অন্য কোনো উপায়ে ক্রেতাদের ঠকাবে—এসবইএখন সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কতজন যে কতভাবে প্রতারণার ফাঁদ পেতে আছে আর কাকে ফাঁদে ফেলার ফন্দিফিকির করছে, তা আগে থেকে বোঝা মুশকিল। প্রতার

ছবিগুলো ভেজাল নিয়ে। সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার লালাবাজারের একটি মসলার মিল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ভেজাল মসলা। নওগাঁয় ধ্বংস করা হয়েছে ভেজাল গুড় ও মিষ্টি। আজকের পত্রিকায় ছাপা হওয়া ভেজালের এ সংবাদটি আমাদের জানাচ্ছে, নিত্যব্যবহার্য খাদ্যপণ্যের ক্ষেত্রেও অসৎ ব্যবসায়ীরা কাউকে ছাড় দিচ্ছে না

এক বছর আগে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ‘ইভ্যালি’র সমস্যার কথা জানা যায়। কত মানুষ বহু কষ্টে সঞ্চিত অর্থ বাড়তি লাভের আশায় ইভ্যালিতে বিনিয়োগ করে সর্বস্বান্ত হয়েছেন! ইভ্যালির শত

কথাগুলো বলা দরকার। নেপালে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জয় করে আমাদের মেয়েরা যখন ফিরলেন, তখন যেন মনে হতে লাগল এ অর্জন তাঁদের নয়। একের পর এক এই অর্জনের অংশীদারিরা দাঁড়িয়ে গেলেন।

দেশের শিক্ষক সমাজ ও শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়লেও মানসম্পন্ন শিক্ষার ঘাটতি রয়েছে প্রবলভাবেই। শিক্ষকদের কেউ কেউ যে নীতিহীন  কাজে জড়িয়ে পড়ছেন...

আমাদের মেয়েরা সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ী হয়েছেন। এ শুধু একটি টুর্নামেন্টে বিজয় নয়, নারীর প্রতি অবমাননা, নারীকে হেয় করার প্রবণতা, পুরুষতান্ত্রিক নৃশংসতা—এর সবকিছুরই জবাব বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের এই বিজয়। কত বড় বড় বাধার প্রাচীর দুমড়েমুচড়ে নারী খেলোয়াড়দের এগিয়ে যেতে হয়, সেটা সবাই জানে।

নারী যে কখনোই কোথাও নিরাপদ নন, সে উদাহরণ তো প্রায় প্রতিদিন পত্রিকার পাতায় চোখ বোলালেই পাওয়া যাচ্ছে। নারী, সে হোক ধনী কিংবা হতদরিদ্র, শিশু থেকে শুরু করে প্রৌঢ়া, গৃহিণী বা কর্মজীবী—কেউই আর নিরাপদ নন। কেউই বাদ পড়েন না।

মেরামতের কাজ শেষ না হওয়ায় সাধারণ মানুষকে অনেক ভোগান্তি সহ্য করতে হয়। এসব খবর পত্রিকায় ছাপা হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যদি ঘুম ভাঙে, তাহলে বিষয়টি স্বস্তির কারণ হয়। কোনো খবর পড়ে পাঠকের মন দুঃখভারাক্রান্ত হয়। আবার কোনো খবর হয়তো মানুষের মনে উৎসাহ জাগায়, অনুপ্রেরণা পায় নতুন উদ্যমে সামনে এগিয়ে যাওয়ার।

আমাদের সমস্যা হলো, আমরা আদর্শ একটা সমাজের কথা ভাবতে থাকি। আইনে কী লেখা আছে, সেটা নিয়েই আমাদের মাথাব্যথা। আমরা বুঝতেই চাই না, কাজির গরু কেতাবে থাকে,গোয়ালে থাকে না। গরু-ছাগলের কথা বলে আমরা অবশ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বোঝাতে চাইছি না। এটা একটা প্রবাদবাক্য, তাই সেটার উল্লেখ করা হলো।

একদল দুর্বৃত্ত; হ্যাঁ, দুর্বৃত্ত বলাই সংগত। ভেঙে ফেলছিল বড় কাটরা। ঐতিহাসিক সম্পত্তিকে বাপের সম্পত্তি ভেবে ঘটিয়ে যাচ্ছিল এই নিধনযজ্ঞ। শেষে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র এসে এ যাত্রা

পৃথিবী কি বড় ধরনের কোনো সংকটের মুখোমুখি হতে চলেছে? রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যে যুদ্ধ শুরু হয়েছে, তা বন্ধ হওয়ার কি আশু কোনো সম্ভাবনা আছে? আমরা জানি যে কোভিড-১৯ বা করোনাভাইরাস পৃথিবীকে যেভাবে ধাক্কা দিয়েছে, তার তাল এখনো পুরোপুরি সামলে উঠতে পারা যায়নি।

বড় ভালো হতো, যদি বৃষ্টি নিয়ে খানিক কাব্য করা যেত। সত্যিই তো, আশীর্বাদ হয়ে আসতে পারে বৃষ্টি। গুমোট গরমের পর হঠাৎ করে ঝরঝর বারিধারা মনে নিয়ে আসতে পারে আনন্দের হিল্লোল। বাঙালির সঙ্গে বৃষ্টির এক অপূর্ব সম্পর্ক

১৯৭১ সালে আমরা একটি মুক্তিযুদ্ধ করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে বিজয় অর্জন করেছিলাম। স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যুদয় নিশ্চিত করা হয়েছিল ওই যুদ্ধের মাধ্যমে। মুক্তিযুদ্ধে অনেকেই অংশ নিয়েছিলেন।