মাগুরা

মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটির জীবন সংকটাপন্ন। বুধবার (১২ মার্চ) বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এক ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছে। একই সঙ্গে তার জীবন রক্ষার্থে দেশবাসীর কাছে দোয়া প্রার্থনা করা হয়েছে।

সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) ঢাকায় চিকিৎসাধীন ধর্ষণের শিকার মাগুরার শিশুটির শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে। আজ বুধবার সন্ধ্যায় শিশুটির মা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মেয়ের কাছেই আছি। আমার মেয়ের শারীরিক অবস্থা ভালো না। ডাক্তার বলছে—“আল্লাহকে ডাকেন। ”’

মাগুরায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া আট বছরের শিশুকে ধর্ষণের মামলার তদন্তের স্বার্থে তিন আসামির ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে তাঁদের মাগুরা কারাগার থেকে ঢাকায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ডিএনএ প্রোফাইলিং ল্যাবে পাঠিয়ে নমুনা নেওয়া হয়। বিকেলে আসামিদের পুনরায়...

ডা. শাহাদাত বলেন, ধর্ষণের ঘটনা বিগত সরকারের অনৈতিক শাসনেরই ধারাবাহিকতা। তাই এখন এই প্রথা ভেঙে রাষ্ট্রকে একটা নৈতিক জায়গায় আনতে হবে। একটা বৈধ সংসদে ধর্ষণের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য শাস্তির আইন পাস করতে হবে। মাগুরায় ৮ বছরের শিশুকে ধর্ষণের প্রতিবাদে ও ধর্ষকদের ফাঁসির দাবিতে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

মাগুরায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ‘ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার’ শিশুটির শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে কিছুটা উন্নতি হয়েছে। চিকিৎসকেরা আশা করছেন, দু-এক দিনের মধ্যে তার অবস্থার আরও কিছুটা উন্নতি হবে। তবে এখনো শঙ্কামুক্ত নয় সে। চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে শিশুটির মা ও সরকারের পক্ষ থেকে গতকাল সোমবার এসব কথা জানানো হয়েছ

মাগুরায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার শিশুটির শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে এখনো শঙ্কামুক্ত নয়। আজ সোমবার (১০ মার্চ) দুপুরে আজকের পত্রিকাকে এই তথ্য জানান শিশুটির মা।

মাগুরায় শিশু ধর্ষণের অভিযোগে হওয়া মামলার আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী আইনি সহায়তা দেবেন না বলে জেলা আইনজীবী সমিতি ঘোষণা করেছে। আজ সোমবার সমিতির আয়োজনে এক মানববন্ধনে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শাহেদ হাসান টগর এ তথ্য জানান। সকালে জেলা জজ আদালতের সামনে মানববন্ধনে সমিতির শতাধিক সদস্য অংশ নেন।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে দুপুরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে সেখান থেকে পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

মাগুরায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে এক শিশু ধর্ষণের শিকার হওয়ার অভিযোগে করা মামলায় গ্রেপ্তার চার আসামির রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আদালত সূত্রে জানা গেছে, নিরাপত্তার স্বার্থে গতকাল রোববার গভীর রাতে আসামিদের আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদনের শুনানি করা হয়...

মাগুরায় বোনের বাড়িতে গিয়ে গত বৃহস্পতিবার ৮ বছরের এক শিশুর ধর্ষণের শিকার হওয়ার ঘটনায় ফুঁসে উঠেছে সারা দেশ। প্রতিবাদে পথে নেমেছেন নারীসমাজ ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ। এর মধ্যেই গাজীপুরে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৮ বছরের আরেক শিশুশিক্ষার্থী।

মাগুরায় ধর্ষণের শিকার আট বছরের শিশুর জীবন রক্ষার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। চার দিন পেরিয়ে গেলেও আজ রোববার পর্যন্ত তাঁর চেতনা ফেরেনি। রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) শিশু বিভাগের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (পিআইসিইউ) কৃত্রিম উপায়ে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে তাকে।

মাগুরায় আট বছরের শিশু ধর্ষণ মামলার বিচার বিরতি ছাড়া ১৮০ দিনের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালকে এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এই আদেশ দেন।

মাগুরায় শিশু ধর্ষণের অভিযোগে আসামিদের ফাঁসির দাবিতে আদালত চত্বরে বিক্ষোভের পর এবার মাগুরা-ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন আন্দোলনরত ছাত্র-জনতা। আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে মাগুরার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চত্বরে বিক্ষোভ শুরু করেন ছাত্র-জনতা।

মাগুরায় আট বছরের শিশুসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করেছেন কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা। আজ রোববার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন খুলনা-কুষ্টিয়া মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। এর আগে দুপুর ১২টার দিকে শিক্ষার্থীরা..

মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুর ছবি–ভিডিও এবং নাম–ঠিকানা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সব প্ল্যাটফর্ম থেকে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিটিআরসি, পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ সংশ্লিষ্টদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

শিশুটির হতদরিদ্র এই বাবা বলেন, ‘বড় মেয়ে প্রায়ই কানত ওর মায়ের কাছে। কী ভুল করেছি আমি বুঝতে পারিনি। চারটি বাচ্চা নিয়ে ভিক্ষা করে হলিও তো চলতি পারতাম। কেনে যে অভাবের তাড়নায় ওরে বিয়ে দিয়ে একটা মেয়েরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিলাম!’

বিক্ষোভকারীরা ধর্ষণে জড়িত ব্যক্তিদের অবিলম্বে ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন। তাঁরা বলেন, এ রকম পৈশাচিক ঘটনা থামাতে তাঁদের যেন দ্রুত ফাঁসি দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী যেন আদালতে না দাঁড়ান, সেই দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা।