মতামত

শবে বরাত থেকেই রমজানের আমেজ শুরু হয়ে যায় দেশে এবং এর অর্থনীতি চাঙা হতে থাকে। মিডিয়ায় খবর—মধ্যপ্রাচ্যের কোনো দেশে রমজান সামনে রেখে কয়েকটি পণ্যের দামে বড় ছাড় দেওয়া হয়েছে। এর সিংহভাগই নিত্যপণ্য। আর দেশে খবর হলো, শুল্ক ছাড় দেওয়ার পরও বাড়ার প্রবণতা চিনির দামে! এর আগেও চিনির দাম কমাতে এই ধারার পদক্ষেপ নেয়

রাজধানীর বেইলি রোডে বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শুক্রবার ভোর পর্যন্ত ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে বেশির ভাগ নারী ও শিশু। একটি পরিবারের চার সদস্যদের সবাই পুড়ে মারা গেছে। ভিকারুননিসা নূন স্কুলের এক শিক্ষক ও তাঁর মেয়ে এবং বুয়েটের এক

উদাসীন, মুনাফালোভী ব্যবসায়ীদের আকস্মিক অসুবিধায় ক্রেতা ও ভোক্তাসাধারণেরা হয়তো তখন প্রতিশোধ স্পৃহা মিটিয়ে নেওয়ার আনন্দ পেয়েছেন। গণমাধ্যমে সচিত্র ও ভিডিওসহ প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে। কর্মকর্তারা বাহবা পেয়েছেন। ব্যস, ওইটুকুই! 

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসে মার্চ মাস অসংখ্য অগ্নিঝরা ঘটনাপ্রবাহে স্মরণীয় হয়ে আছে। ১৯৭১ সালের মার্চ মাসের ১ তারিখে পাকিস্তানের সামরিক শাসক প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান আকস্মিকভাবে এক বেতার ভাষণে তাঁরই পূর্বঘোষিত ৩ মার্চের গণপরিষদ অধিবেশন স্থগিত করেন। অধিবেশন স্থগিত করার কারণ হিসেবে ভাষণে ইয়াহিয়া উল্লেখ

এখনো কেউ কেউ প্রশ্ন তোলেন—স্বাধীনতা মানে কী, আর মানুষইবা কতটা স্বাধীন? উত্তরে কেউ বলেন, স্বাধীনতা মানে ইচ্ছেমতো কাজ করা। অথচ মানুষ ইচ্ছেমতো কাজ করতে পারে না। মানুষকে বাধা দেওয়া হয়, আটক করা হয়। ফলে তাদের দৃষ্টিতে অনেকেই স্বাধীন নয়, কেউ কেউ স্বাধীন। কেউবা গম্ভীর হয়ে বলেন, স্বাধীনতা হলো রাষ্ট্রের সাংবি

সরকারের চেয়ে সিন্ডিকেট কেন শক্তিশালী, তা সংসদে জানতে চেয়েছেন বিরোধী দলের উপনেতা আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। এই প্রশ্নটার উত্তর তো সেই কবে দিয়ে রেখেছেন কবীর সুমন, ‘প্রশ্নগুলো সহজ, আর উত্তরও তো জানা’। হ্যাঁ, বব ডিলানের কণ্ঠে এ গান জনপ্রিয় হয়েছে ইংরেজি ভাষাভাষীদের মাঝে। আর আমরা সুমনের কণ্ঠে গানটি শুনে সে রসবঞ

আজ লিপ ইয়ার, অর্থাৎ অধিবর্ষ। চার বছর পর পর ফেব্রুয়ারি মাসটি একটা দিন বেশি নিয়ে আসে। এই দিনেই আমার জন্ম। ১৯৫২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসটাও লিপ ইয়ারে ছিল। সেই মাসে কক্ষপথে ঘুরতে ঘুরতে পৃথিবীরও এক দিন বয়স বেড়ে গিয়েছিল। হিসাব করে দেখেছি, তখন আমার চার বছর বয়স। ‘বাপের বাড়িতে’ আমার মায়ের ছিল অবাধ যাতায়াত। মামাব

‘রাষ্ট্র ভাষা বাংলা চাই’—এই দাবি নিয়ে ১৯৫২ সালে যাঁরা শহীদ হলেন, যাঁদের বুকের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে ১৯৬২-র শিক্ষা আন্দোলন, ’৬৬-র ৬ দফা আন্দোলন, ’৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থান এবং ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ হলো, সেই ’৫২-র দাবি, বাংলা ‘রাষ্ট্র ভাষা’ হলেও কার্যত তা অকার্যকরই রয়ে গেল। যদি বলা যায়, অফিস-আদালতের সর্বত্র কি বা

ভাষাশহীদদের আত্মত্যাগের মহিমায় দীপ্ত ফেব্রুয়ারি মাস এলেই আমরা আবেগে ভারাক্রান্ত হই। নানা আনুষ্ঠানিকতায় পালন করি ‘শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’। পুষ্পের ডালি সাজিয়ে শ্রদ্ধা-ভালোবাসার অর্ঘ্য নিবেদন করতে হাজির হই শহীদ মিনারে। শুধু তাই নয়, আলোচনা সভার আয়োজনসহ নানা আনুষ্ঠানিকতায় দিনটি অতিবাহিত ক

ঘটনাটি যেকোনো বিবেকবান মানুষকে আহত করবে। নিজ দুই সন্তান ও জামাতা মিলে ৭২ বছর বয়সী বৃদ্ধ মাকে মারধর করেছেন। মা উপায় না দেখে আদালতে সন্তানদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। সেই মামলায় তিন আসামিকে  আদালত জামিন দেননি। কারণ তারা জেল থেকে বের হয়ে মাকে মেরে ফেলতে পারেন—মায়ের এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত এ

স্বাধীন বাংলাদেশ হিসেবে একটা নতুন রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠার পরেও একুশে ফেব্রুয়ারি, অর্থাৎ ভাষা আন্দোলন বিষয়টি আমাদের কাছে তাৎপর্যপূর্ণ, আজকেও আমাদের কাছে এর আবেদন বহমান, আজকেও আমাদের ডাকে, আমাদের মনে এক অনুভূতি সৃষ্টি করে। কেন করে? সে কি শুধু এ কারণেই করে যে, বাংলা ভাষা শিক্ষার সর্বস্তরে প্রযুক্ত হয়নি? স

ইতিহাস চর্চার ঐতিহ্য হাজার বছরের পুরোনো হলেও বাংলা ভাষায় ইতিহাস চর্চার সূত্রপাত খুব বেশি দিনের নয়। ঔপনিবেশিক শাসনামলেই বাংলা ভাষায় ইতিহাস চর্চার ধারা শুরু হয়েছিল। অষ্টাদশ শতকে কলকাতায় এশিয়াটিক সোসাইটি প্রতিষ্ঠার পর গবেষকদের হাতে যখন ভারতবিদ্যার জ্ঞান বিস্ফোরিত হচ্ছিল, তখন থেকেই ইতিহাস চর্চার ধারা শু

‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’ বা ‘ফিলিস্তিনকে মুক্ত করো’—এই শব্দবন্ধ সারা বিশ্বের রাজধানীতে প্রতিধ্বনিত হয়েছে, যেখানে লাখ লাখ ক্ষুব্ধ নাগরিক গাজায় ইসরায়েলের নির্মম সামরিক হামলার বিরুদ্ধে পথে নেমেছে। গত রোবিবার বিকেলে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে ইসরায়েলি দূতাবাসের সামনে নিজের শরীরে আগুন ধরিয়ে দিয়ে ম

ছুটিছাঁটা পেয়ে মানুষ কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে ভিড় জমিয়েছে কদিন। মানুষ ছাড়াও সাগরতীরে ভিড়েছে ডলফিন আর কচ্ছপও। কিন্তু তারা ছিল মৃত। সমুদ্রের সম্পদ এসব প্রাণী কেন মারা যাচ্ছে, বাস্তুসংস্থানে এর প্রভাব কী হবে—এখন এমন প্রশ্ন বিজ্ঞানীদের কপালে ভাঁজ ফেলছে। এই ভাঁজটা আসলে সব মানুষের কপালেই পড়া উচিত। কেননা, মান

একুশে ফেব্রুয়ারির রক্তাক্ত সিঁড়ি বেয়ে চলে আসা বাংলা ভাষা—বাঙালি জাতির অনন্য স্বীকৃতি। মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষার জন্য একটি জাতি রক্ত দিয়ে ইতিহাস গড়েছে, এই অনন্যসাধারণ উদাহরণ বিশ্ববাসীর কাছে উজ্জ্বল হয়ে আছে। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি পূর্ব বাংলা ব্যবস্থাপক পরিষদের অধিবেশন নির্ধারিত ছিল।

পৃথিবী পরিবর্তনশীল, সবকিছুরই কিছুটা বিবর্তন ঘটবে, এটা স্বাভাবিক। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিবর্তন ঘটবে, সেই সঙ্গে উৎপাদনব্যবস্থা, বিপণনব্যবস্থা সবকিছুরই পরিবর্তন হবে।

ছোট ছোট সাদা দানার মিষ্টি এক জিনিস হচ্ছে চিনি। চিনির ইংরেজি নাম ‘সুগার’। তবে বাংলায় চিনি শব্দটি একাধিক অর্থে ব্যবহার হয়। বিশেষ্য হিসেবে ‘চিনি’ বলতে বোঝায় ‘সুগার’; আবার ক্রিয়া হিসেবে ‘চিনি’ বলতে কাউকে চেনা (know) বোঝায়। শিশুশিক্ষার্থীদের চিনি