দাম

হুতি বিদ্রোহীদের লক্ষ্য করে ইয়েমেনের বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। এ ঘটনার পরপরই অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম বাড়তে শুরু করেছে বিশ্ববাজারে। রয়টার্স জানিয়েছে, আজ শুক্রবার বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম ২ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়েছে। 

আমনের ভরা মৌসুমে বাজারে চালের দাম বাড়াচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। আর আন্তর্জাতিক বাজারে গমের দাম কমলেও দেশে উল্টো বাড়ছে আটা-ময়দার দাম। দেশে উৎপাদন হলেও আলুর দামও বাড়তি। আমদানি করা মসুর ও ছোলার ডালের দামেও স্বস্তি নেই ক্রেতাদের।

বিশ্বের বৃহত্তম জ্বালানি তেল রপ্তানিকারক দেশ সৌদি আরব তার এশীয় ক্রেতাদের জন্য অপরিশোধিত তেলের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম প্রতি ব্যারেলে কমেছে ১ ডলারেরও বেশি।

দাম বাড়ার কারণে মার্কিন কোম্পানি পেপসিকোর কোনো পণ্য বিক্রি করা হবে না বলে জানিয়েছে ফ্রান্সের খুচরা ও পাইকারি চেইন শপ ক্যারেফোর। পেপসিকোর এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে পেপসি, লে ক্রিস্প ও সেভেন আপ। দ্য বিজনেস টাইমস এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। 

চাল, তেল, চিনিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় অনেক পণ্যের দাম বেড়েছে বাজারে। এবার সরবরাহের সংকটের অজুহাতে সব ধরনের ডালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে মুগ ডালের দাম। এক মাসের ব্যবধানে পণ্যটির দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ৪০ টাকা। আর মসুর ডালের দাম বেড়েছে ২০ টাকা পর্যন্ত।

আন্তর্জাতিক বাজার এবং স্থানীয় পাইকারি বাজারে চিনির দাম কমছে। তবে কমছে না ভোক্তা পর্যায়ে। আগে বেশি দামে কেনা থাকার অজুহাতে খুচরা বিক্রেতারা দাম কমাচ্ছেন না। রাজধানী ও আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় প্রতি কেজি খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৫০ টাকায়। 

৮০০ থেকে একলাফে ৫৯৫ টাকা কেজি। বাজার বুঝতে তিন দিনের জন্য গরুর মাংসের দাম কমানোর এই সিদ্ধান্তই রীতিমতো ঝড় তুলে দিল। তাঁর সিদ্ধান্ত এমন সাড়া ফেলবে ভাবেননি খলিলুর রহমানও। যাঁকে মানুষ চেনে ‘খলিল কসাই’ নামে। নিজেই অকপটে বলেন, ‘আন্দাজ ছিল, দাম কমিয়ে মাংস বেচলে বিক্রি বাড়বে, কিন্তু এত হিট করবে ভাবি নাই।’

বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ জ্বালানি তেল উত্তোলনকারী দেশ অ্যাঙ্গোলা ওপেক থেকে নিজেদের সদস্যপদ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত জানানোর পর আন্তর্জাতিক বাজারে ফের হ্রাস পেয়েছে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। 

সোনার দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ হাজার ১৬৭ টাকা বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে এ ক্যাটাগরির সোনার নতুন মূল্য হবে ১ লাখ ৯ হাজার ২৯২ টাকা (প্রতি ভরি)। আজ সোমবার পর্যন্ত দাম ছিল ১ লাখ ৮ হাজার ১২৫ টাকা। 

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ডলারের দামের কারণে চিনির দাম বেড়েছে। আমরা ভারত থেকেও চিনি আনতে পারি না, দূর থেকে আনতে হয়। যার জন্য চিনির ওপর দামের প্রভাব পড়েছে। বর্তমানে ডলারের দাম স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। চিনির সবটুকু আমাদের আমদানি করতে হয়। আমি মনে করি চিনির দাম আর বাড়বে না। 

এক সপ্তাহ টানা ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর বিদায়ী সপ্তাহে কিছুটা অস্থিরতার মধ্য দিয়ে পার করছে দেশের পুঁজিবাজার। এরপরও দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন বেড়েছে ছয় শ কোটি টাকার ওপরে। এর মাধ্যমে টানা দুই সপ্তাহ বাজার মূলধন বাড়ল।

ভারত থেকে পেঁয়াজের আমদানি বন্ধের ঘোষণার পর দেশের বাজারে অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়েছিল পেঁয়াজের দাম। সেই দাম এখন কিছুটা কমে দেশি পুরোনো পেঁয়াজ ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে নতুন করে দাম বেড়েছে আদা ও রসুনের। রসুন বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৮০ টাকায়। আর আদা ২০০ থেকে ৩০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

১৫ দিনের ব্যবধানে আরেক দফা কমল ডলারের দাম। তৃতীয় দফায় বৈদেশিক মুদ্রাটির বিনিময় মূল্য কমানো হয়েছে ২৫ পয়সা, যা গতকাল থেকে কার্যকর করা হয়েছে।  ফলে এখন থেকে ডলার কেনা যাবে ১০৯ টাকা ৫০ পয়সায়, আর বিক্রি হবে ১১০ টাকায়।  

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের চড়া দামে হিমশিম অবস্থা বেশির ভাগ মানুষের। ডলারের সংকটে ঋণপত্র (এলসি) খোলায় কড়াকড়িতে কমেছে আমদানি। বাংলাদেশে এমন পরিস্থিতির মধ্যেও ইউরোপে তৈরি বিলাসবহুল ও দামি গাড়ি বিক্রিতে তেমন প্রভাব পড়েনি। 

পেঁয়াজ চমকে দিয়েছে আমাদের। হু হু করে বেড়েছে দাম। এত দামে পেঁয়াজ কেনা মুশকিল, এদিকে বাঙালির রান্নায় স্বাদ-গন্ধ আনা ও রসনায় তৃপ্তির এক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান পেঁয়াজ। স্বাভাবিকভাবেই তুলনামূলক কম দামে পাওয়া যায় পেঁয়াজের এমন বিকল্প খুঁজছে মানুষ। আর এ কাজেই সহায়তা করার চেষ্টা করেছি আমরা।

পেঁয়াজের দাম বাড়ানোর প্রতিযোগিতায় ক্ষান্ত দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ফলে তিন দিন পর পাইকারিতে কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। গতকাল সোমবার এক দিনেই কমেছে কেজিতে ৮০ টাকা পর্যন্ত। তবে অতিমুনাফার সুযোগ হাতছাড়া করছেন না খুচরা ব্যবসায়ীরা।

পণ্যের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ার সবচেয়ে বড় কারণ হলো বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি তথা সিন্ডিকেট। বেশি লাভের আশায় পণ্য মজুত করে রাখা, বড় ব্যবসায়ীদের একজোট হয়ে পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করা, দাম বাড়াতে দালালি ও কালোবাজারি করা ইত্যাদি ইসলামের দৃষ্টিতে বড় গুনাহের কাজ। কারণ এসব কাজ মানুষকে ন্যায্যমূল্যে পণ্য কেনা