জান্তা

বিদ্রোহীদের সঙ্গে কয়েক দিনের তুমুল সংঘর্ষের পর মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলীয় শান রাজ্যের আরও একটি শহরের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে দেশটির সামরিক বাহিনী। জাতিগত বিদ্রোহীগোষ্ঠীগুলোর সমন্বয়ে গঠিত স্থানীয় প্রতিরোধ জোটের কাছে ওই রাজ্যের নমশান শহরের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে জান্তা সৈন্যরা। 

আলোচনার ফলাফল নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মাও নিং বলেন, ‘উত্তর মিয়ানমারে সংঘর্ষে জড়িত পক্ষগুলো শান্তি আলোচনায় বসেছে বলে চীন আনন্দিত। এই আলোচনা থেকে ইতিবাচক ফলাফল এসেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বেইজিং এ শান্তি আলোচনা পরিণতিতে পৌঁছানোর আগ পর্যন্ত প্রয়োজনীয় সমর্থন দিয়ে যাবে

যুদ্ধ বন্ধ করে জান্তা বাহিনীর সঙ্গে আলোচনায় বসতে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোকে চাপ দিতে চীনকে অনুরোধ করেছে মিয়ানমার। গত বুধবার দেশটির জান্তা সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী থান শোয়ে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এই অনুরোধ জানান। মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতীর 

আত্মসমর্পণ করতে অস্বীকৃতি এবং পালাতে গিয়ে গত সপ্তাহের শেষ দিকে উত্তরাঞ্চলীয় শান রাজ্যের কনকিয়ান এলাকায় মিয়ানমারের জান্তা সরকারের প্রায় ১০০ সেনা নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে একটি বিদ্রোহী বাহিনী। আজ সোমবার ‘মিয়ানমার নাও’ পত্রিকার বরাতে এই খবর জানা গেছে। 

মিয়ানমারে জান্তাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণ থেকে কায়াহ রাজ্যের রাজধানী লোইকাওয়ের দখল নিতে এগিয়ে যাচ্ছে গণতন্ত্রপন্থী বিদ্রোহীরা। তারা লোইকাও দখল করতে পারলে এটি হবে প্রথম কোনো রাজ্যের রাজধানী যা বিদ্রোহীদের দখলে যাবে। তবে জান্তা বাহিনীর প্রধান জানিয়েছেন, রাজধানী এখনো তাঁদের নিয়ন্ত্রণে

সাম্প্রতিক সময়ে অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে মিয়ানমার। বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো সেনাচৌকিতে হামলা চালিয়ে আসছে। জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে ‘অপারেশন ১০২৭’ নামে ২৭ অক্টোবর থেকে চালানো বিদ্রোহীদের সমন্বিত অভিযান ক্রমান্বয়ে জোরদার হচ্ছে দেশজুড়েই। গত এক মাসে উত্তরাঞ্চলীয় শান প্রদেশে জান্তার সৈনিকদের প্রায় ২০০ সামরিক স্থাপন

মিয়ানমারে ক্ষমতাসীন জান্তা বাহিনীর সঙ্গে দেশটির জাতিগত বিদ্রোহের চলমান সংঘাতের ঘটনায় সম্প্রতি ২ লাখ ৮৬ হাজারের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। গত বুধবার এ তথ্য দিয়েছে জাতিসংঘ। বলা হচ্ছে, ২০২১ সালের পর দেশটিতে এটিই সবচেয়ে বড় বাস্তুচ্যুত হওয়ার ঘটনা।

আরাকান আর্মিসহ (এএ) মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে জান্তা সরকারের সংঘর্ষ তীব্র আকার ধারণ করেছে। দেশটির পশ্চিমে ছড়িয়ে পড়েছে এই সংঘর্ষ। বিদ্রোহীদের দমনে জান্তা বাহিনীর ব্যাপক গোলাবর্ষণের মধ্যে বেসামরিক মানুষের হতাহতের আশঙ্কা বেড়েছে বলে সংবাদমাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে বলেছে। 

মিয়ানমারে জান্তা ও বিদ্রোহীদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সংঘাত নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। জাতিসংঘের হিসাবে, নতুন করে দেখা দেওয়া সংঘাতের ফলে দেশটিতে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা ২০ লাখে পৌঁছেছে। এ অবস্থায় বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার 

মিয়ানমারের তিনটি রাজ্যে ফুঁসে উঠছে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো। তীব্র প্রতিরোধের মুখে রয়েছে জান্তা সরকার। জরুরি অবস্থা ঘোষণার জন্য সরকারি কর্মকর্তাদের প্রস্তুত হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার মিয়ানমারের একজন সরকারি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে সংঘর্ষে সেনাবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর এবারই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন সামরিক জান্তার জন্য ঘটনাকে আরেকটি ধাক্কা বলে বর্ণনা করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

মিয়ানমারের সামরিক শাসকের বৈদেশিক রাজস্বের প্রধান উৎসে প্রথম সরাসরি আঘাত করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। জান্তানিয়ন্ত্রিত তেল-গ্যাস কোম্পানি মিয়ানমার অয়েল অ্যান্ড গ্যাস এন্টারপ্রাইজের (এমওজিই) ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দেশটি।

চীনা সীমান্তের কাছে মিয়ানমারের ছোট্ট শহর ল্যাইজা। এই শহরের উপকণ্ঠেই একটি শরণার্থীশিবিরে অবস্থান করছিল বেশ কিছু বাস্তুচ্যুত মানুষ। সোমবার মাঝরাতে সেখানে হঠাৎ বিস্ফোরণে ১১ শিশু সহ অন্তত ২৯ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। 

মিয়ানমারে জান্তাবিরোধী গেরিলা সেনাদের ওপর হামলা চালিয়েছেন সরকারি সেনারা। গত শুক্রবার রাতে সাগাইং অঞ্চলের মাইনমু শহরে চালানো অতর্কিত দুটি হামলায় ২৫ জান্তাবিরোধী যোদ্ধা নিহত হয়েছেন।

রাশিয়াকে ‘স্বৈরাচারী’ দেশ বলে আখ্যা দিয়েছে লন্ডনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (আইইইউ)। এবার সেই রাশিয়ার কাছ থেকেই গণতান্ত্রিক নির্বাচনের পরামর্শ নিতে যাচ্ছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। এই লক্ষ্যে গত বুধবার দেশটির জান্তা সরকার নিযুক্ত নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান

রাষ্ট্রক্ষমতায় অভ্যুত্থান ঘটানো গ্যাবনের সামরিক নেতারা জানিয়েছেন, তাঁরা দেশটির ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট আলী বঙ্গোকে আটকাবস্থা থেকে ছেড়ে দিয়েছেন। গত সপ্তাহে অভ্যুত্থানের পর থেকেই সেনাদের হেফাজতে ছিলেন আলী বঙ্গো।

মিয়ানমারের নোবেলজয়ী নেত্রী অং সান সু চি মারাত্মক দাঁতের ব্যথায় খাওয়াদাওয়া করতে পারছেন না, ভুগছেন নিম্ন রক্তচাপেও; কিন্তু ক্ষমতাসীন জান্তা তাঁকে চিকিৎসাসেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে চরম উদাসীনতা প্রদর্শন করছে বলে অভিযোগ করেছেন তাঁর ছেলে কিম অ্যারিস।