কয়লা

দেশের একমাত্র উৎপাদনশীল দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ভূগর্ভের ১১১৩ কোল ফেসের (কয়লা উত্তোলন বা নির্গমন মুখ) মজুত শেষ হয়ে যাওয়ায় আগামীকাল বুধবার থেকে কয়লা উত্তোলন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে

কয়লা সংকটের কারণে বন্ধ হওয়া রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন ফের চালু হতে যাচ্ছে। এ জন্য ইন্দোনেশিয়া থেকে আনা হয়েছে কয়লা। আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলের হাড়বাড়ীয়া ১২ নম্বর বয়ায় নোঙর করা ‘বসুন্ধরা ইমপ্রেস’ জাহাজে করে এই কয়লা আনা হয়। 

বৈশ্বিক উষ্ণতা ও জলবায়ু পরিবর্তন বিবেচনায় নিয়ে বিশ্ব যখন গ্রিন এনার্জি বা পরিবেশবান্ধব জ্বালানির দিকে ঝুঁকছে, তখনো বিশ্বে কয়লার ব্যবহার বেড়েই চলেছে। জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার নিষিদ্ধ করার পক্ষে বিজ্ঞানী-পরিবেশবাদীদের দাবির বিপরীতে ২০২২ সালে কয়লার ব্যবহার ইতিহাসে নতুন রেকর্ড করেছে। আন্তর্জাতিক জ্বালা

কক্সবাজারের মাতারবাড়ীতে কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটে ৬০০ মেগাওয়াটের পরীক্ষামূলক উৎপাদন আজ শনিবার শুরু হয়েছে। পরীক্ষামূলক উৎপাদনে সফলতা পাওয়া গেলে আগামী ডিসেম্বর মাসে বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাবে কেন্দ্রটি। এটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অগ্রাধিকার প্রকল্পের একটি। ডিসেম্বর মাসের শেষ নাগাদ প্

চলতি বছরের ৩০ জুনের মধ্যে উৎপাদনে যেতে পারলে করছাড়ের সুবিধা পেত দেশি-বিদেশি মালিকানাধীন ছয়টি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। কিন্তু তারা এই শর্ত পূরণ করতে পারেনি। তবে করছাড়ের সুবিধা বহাল রাখতে ২০২৭ সালের জুন পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে সময় দিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্

একসময় দ্বীপটি ছিল খুব ঘনবসতিপূর্ণ এক জায়গা। এখন পরিণত হয়েছে এক ভূতুড়ে দ্বীপে। চারপাশে দেয়ালঘেরা এলাকাটিতে একটির সঙ্গে আরেকটির গা ঘেঁষাঘেঁষি করে দাঁড়িয়ে আছে অনেক দালানকোঠা। কিন্তু এগুলো এখন পুরোপুরি পরিত্যক্ত। প্রায় অর্ধশতাব্দী ধরে কোনো মানুষের বসতি নেই দ্বীপটিতে। 

ভারতের গোড্ডায় আদানির ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ পাচ্ছে বাংলাদেশ। তথ্য গোপন করে কয়লার অতিরিক্ত দাম নির্ধারণ নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে টানাপোড়েনের মধ্যেই অনেকটা নীরবে গত ৬ এপ্রিল থেকে তারা বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করেছে।

ইন্দোনেশিয়া থেকে রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ৩১ হাজার টন কয়লা নিয়ে মোংলা সমুদ্রবন্দরে আসা লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী জাহাজ এমভি পানাগিয়া কানালার বিরুদ্ধে আটকাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। 

ইন্দোনেশিয়া থেকে রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ৩১ হাজার টন কয়লা নিয়ে মোংলা বন্দরে ভিড়েছে এমভি পানাগিয়া কানালা। কয়লাবাহী এ জাহাজটি আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় বন্দরের পশুর চ্যানেলের হাড়বাড়িয়ার-১১ নম্বর অ্যাংকারেজে ভিড়ে। 

পটুয়াখালীর পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের (বিসিপিসিএল) কয়লা নিয়ে বন্দরে এসেছে ‘এমভি সাগরকান্তা’ নামের একটি মাদার ভ্যাসেল। গতকাল সোমবার বিকেলে জাহাজটি ৩৭ হাজার ১৩৩ মেট্রিকটন কয়লা নিয়ে পায়রা বন্দরের আউটারেজে এসে পৌঁছায়

পটুয়াখালীর পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৩৬ হাজার ৬০০ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে বন্দরে নোঙর করেছে এমভি জাদোর নামের একটি মাদার ভ্যাসেল। গতকাল বুধবার জাহাজটি পায়রা বন্দরের আউটারেজে এসে পৌঁছায়।

১০ দিনের মধ্যে পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ৩৬ হাজার ৫৭০ টন কয়লা নিয়ে এসেছে দ্বিতীয় জাহাজ। পানামার পতাকাবাহী এমভি পাভো ব্রেভ ইন্দোনেশিয়ার বালিক পানান বন্দর থেকে গতকাল শনিবার মধ্যরাতে পায়রা বন্দরে ভিড়ে। 

কয়লারের সংকট কাটতে না কাটতে এবার রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেছে কারিগরি ত্রুটির কারণে। বাণিজ্যিক উৎপাদনে আশা এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটে ইলেকট্রিক্যাল জেনারেটর ইউনিট প্রোটেকশনে ত্রুটি দেখা দেওয়ায় গত ৩০ জুন রাত ৮টা ৪৬ মিনিট থেকে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন গত চার দিন ধরে বন্ধ আছে।

ভারতের ঝাড়খণ্ডে অবস্থিত ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াটের আদানির এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের কয়লার দাম নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে টানাপোড়েনের মধ্যে ৬ এপ্রিল প্রথম ইউনিটের বাণিজ্যিক উৎপাদনে আসাকে সরকারের পক্ষ থেকে প্রথমে অস্বীকার করা হয়েছিল। তবে আজ সোমবার বিদ্যুৎ সচিব মো. হাবিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন,

ইন্দোনেশিয়া থেকে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কয়লা নিয়ে আজ রোববার বিকেলে মোংলা বন্দরে ভিড়েছে এম ভি বসুন্ধরা ইমপ্রেস। ৩২ হাজার ১২১ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে গত ৩১ মে ইন্দোনেশিয়া থেকে মোংলা বন্দরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে জাহাজটি। 

দীর্ঘ ২০ দিন বন্ধ থাকার পর আজ রোববার পুনরায় বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করেছে দেশের সবচেয়ে বড় ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের কয়লাভিত্তিক পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র। ডলার সংকটে কয়লা আমদানি করতে না পারায় পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র এত দিন বন্ধ ছিল। 

দীর্ঘ ২০ দিন বন্ধ থাকার পর অবশেষে আগামীকাল রোববার পুনরায় বিদ্যুৎ উৎপাদনে ফিরছে দেশের সবচেয়ে বড় ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের কয়লাভিত্তিক পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র। ডলার সংকটে কয়লা আমদানি করতে না পারায় পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র এত দিন বন্ধ ছিল।