Ajker Patrika

ওপেনএআই নিয়ন্ত্রণ করবে অলাভজনক অংশই, জানালেন অল্টম্যান

অনলাইন ডেস্ক
প্রতিষ্ঠানটির নিয়ন্ত্রণ অলাভজনক শাখার হাতেই থাকছে। ছবি: এএফপি
প্রতিষ্ঠানটির নিয়ন্ত্রণ অলাভজনক শাখার হাতেই থাকছে। ছবি: এএফপি

বিশ্বখ্যাত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআই তাদের কাঠামোগত রূপান্তর পরিকল্পনায় বড় ধরনের পরিবর্তনের ঘোষণা দিয়েছে। গত সোমবার এক বিবৃতিতে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ওপেনএআইয়ের অলাভজনক শাখাই মূল নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখবে। এই অংশই চ্যাটজিপিটি ও অন্যান্য এআই পণ্যের উৎপাদনে নেতৃত্ব দেয়।

এর আগে প্রতিষ্ঠানটি তাদের লাভজনক শাখাকে আরও স্বাধীন করার উদ্যোগ নিয়েছিল। তবে সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, অলাভজনক বোর্ডই পুরো সংস্থার মূল নিয়ন্ত্রক হিসেবে থাকবে।

প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী স্যাম অল্টম্যান কর্মীদের উদ্দেশে এক চিঠিতে লেখেন, ‘ক্যালিফোর্নিয়া ও ডেলওয়্যারের অ্যাটর্নি জেনারেলদের দপ্তরের সঙ্গে আলোচনা এবং বিভিন্ন নাগরিক নেতার মতামতের ভিত্তিতে আমরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

অল্টম্যান ও বোর্ড চেয়ারম্যান ব্রেট টেলর জানান, বোর্ডের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, অলাভজনক শাখাকে নিয়ন্ত্রণ রাখা হচ্ছে।

অল্টম্যান বলেছেন, তিনি বিশ্বাস করেন এআইয়ের প্রবৃদ্ধি বাড়ানো এবং এর ব্যবহার সহজ করা কোম্পানির উদ্দেশ্যের মধ্যেই পড়ে। কারণ এতে মানুষ একে অপরের জন্য বড় কিছু তৈরি করতে পারবে এবং সমাজের উন্নতি হবে।

তিনি আরও বলেন, এটি অবশ্যই সব সময় ভালো কাজে ব্যবহৃত হবে না। তবে আমরা মানবজাতির প্রতি বিশ্বাস রাখি এবং আমাদের ধারণা খারাপের চেয়ে ভালো কাজে এআইয়ের ব্যবহার বেশি হবে।’

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, লাভজনক শাখাটি ভবিষ্যতে একটি ‘পাবলিক বেনিফিট করপোরেশন’ হিসেবে পরিচালিত হবে। এ ধরনের করপোরেশন মুনাফা অর্জনের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য ও শেয়ারহোল্ডার উভয়ের স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। অলাভজনক শাখাটি পাবলিক বেনিফিট করপোরেশনের বড় অংশীদার হিসেবে থেকে নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখবে।

২০১৫ সালে টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক ও স্যাম অল্টম্যানসহ কয়েকজন সহপ্রতিষ্ঠাতা ওপেনএআই প্রতিষ্ঠা করেন। তখন এটি ছিল একটি অলাভজনক গবেষণাগার, যার উদ্দেশ্য ছিল মানবতার কল্যাণে নিরাপদ ও দায়িত্বশীল এজি-আই (আর্টিফিশিয়াল জেনারেল ইন্টেলিজেন্স) তৈরি করা। বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান অ্যান্ড্রিসেন হরোউইৎসের প্রতিবেদন অনুসারে, ওপেনএআই প্রতিষ্ঠার প্রায় এক দশক পর প্রতিষ্ঠানটির বাজারমূল্য দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩০০ বিলিয়ন ডলার এবং চ্যাটজিপিটির সাপ্তাহিক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৪০০ মিলিয়নের বেশি।

এদিকে, ওপেনএআইয়ের কাঠামোগত পরিবর্তনের পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে ইলন মাস্কের দায়ের করা মামলা। মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, অল্টম্যান ও প্রতিষ্ঠানটি মূল উদ্দেশ্য থেকে সরে এসেছে, যা মাস্ককে ওপেনএআইতে বিনিয়োগ করতে অনুপ্রাণিত করেছিল। বর্তমানে মাস্ক নিজেই এক্সএআই নামে একটি প্রতিদ্বন্দ্বী এআই প্রতিষ্ঠান গড়েছেন। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সকে (সাবেক টুইটার) অধিগ্রহণ করেছে এই কোম্পানি। মাস্ককে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পরাজিত একজন ‘ক্ষুব্ধ প্রতিযোগী’ হিসেবে বর্ণনা করেছে ওপেনএআই।

গত মাসে ক্যালিফোর্নিয়া ও ডেলাওয়্যারের নিয়ন্ত্রকদের কাছে চিঠি লিখেছেন ওপেনএআইয়ের কিছু সাবেক কর্মী ও কোম্পানিটির বাইরের বিশেষজ্ঞদের একটি দল, যার মধ্যে জিওফ্রে হিন্টনও রয়েছেন। চিঠিতে তারা অনুরোধ করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র সরকার যেন ওপেনএআইকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর হতে না দেয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

অপারেশন সিন্দুর ঘিরে আলোচিত কে এই কর্নেল সোফিয়া কুরেশি

পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে ‘প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপের’ নির্দেশ

কাশ্মীরে বিধ্বস্ত বিমানের অংশবিশেষ ফরাসি কোম্পানির তৈরি, হতে পারে রাফাল

সীমান্তে সাদা পতাকা উড়িয়ে আত্মসমর্পণের ইঙ্গিত দিয়েছে ভারত: পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী

পাকিস্তানে হামলায় ‘লোইটারিং মিউনিশনস’ ব্যবহারের দাবি ভারতের, এটি কীভাবে কাজ করে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত