আজকের পত্রিকা ডেস্ক

টেইলর সুইফট, স্কারলেট জোহানসন, অ্যান হ্যাথাওয়ে, সেলেনা গোমেজসহ অনেক সেলিব্রেটির নাম ও চেহারার আদলে ফ্লার্টি বা প্রেমালাপমূলক চ্যাটবট গোপনে তৈরি করেছে বিশ্ববিখ্যাত প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মেটা। আর এ জন্য তাদের কোনো রকম অনুমতি নেওয়া হয়নি। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের অনুসন্ধানে এ তথ্য উঠে এসেছে।
এ ঘটনাকে কেন্দ্রে থাকা ‘চ্যাটবট’ বা ‘বট’ হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)চালিত ভার্চুয়াল প্রোগ্রাম, যেগুলো মানুষের মতো করে ব্যবহারকারীদের সঙ্গে কথোপকথন চালাতে পারে। মেটার তৈরি এসব বট বিভিন্ন সেলিব্রেটির নামে নিজেকে পরিচয় দেয় এবং কখনো তাদের মতো দেখতে ছবি তৈরি ও আচরণ করে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, মেটার একটি বিশেষ চ্যাটবট নির্মাণ টুল ব্যবহার করে সাধারণ ব্যবহারকারীরা অনেকগুলো বট তৈরি করলেও অন্তত তিনটি বট একজন মেটা কর্মী নিজেই তৈরি করেছেন। এর মধ্যে দুটি বট ছিল টেইলর সুইফটের ‘প্যারোডি’ চরিত্র।
এ ছাড়া দেখা যায়, মেটা ব্যবহারকারীদের শিশু সেলিব্রেটিদেরও চ্যাটবট বানাতে দিয়েছে। যেমন—১৬ বছর বয়সী হলিউড অভিনেতা ওয়াকার স্কোবেলকে নিয়ে একটি বট তৈরি করা হয়। যেমন—সমুদ্রসৈকতে তার একটি ছবি চাইলে, বটটি একটি জীবন্ত ও অর্ধনগ্ন ছবি তৈরি করে দেয় এবং নিচে লেখে, ‘কিউট না?’
এই চ্যাটবটগুলো ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপে পাওয়া গেছে। কয়েক সপ্তাহ ধরে এসব বট পর্যবেক্ষণ করে রয়টার্স দেখতে পায়, এরা বারবার নিজেদের প্রকৃত সেলিব্রেটি বলেই দাবি করেছে এবং প্রায়ই ব্যবহারকারীদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক বা সাক্ষাতের ইঙ্গিত দিয়েছে।
কিছু বট আরও স্পষ্টতই যৌন উত্তেজক কনটেন্ট তৈরি করেছে। যেমন—ব্যবহারকারীদের অনুরোধে তারা টেইলর সুইফট, অ্যান হ্যাথাওয়ে, স্কারলেট জোহানসনের নাম ব্যবহার করে স্নানঘরে বা অন্তর্বাস পরে যৌন ভঙ্গিমায় পোজ দেওয়া ছবি তৈরি করেছে।
মেটার মুখপাত্র অ্যান্ডি স্টোন রয়টার্সকে জানিয়েছেন, এ ধরনের ছবি তৈরি করা প্রতিষ্ঠানটির নীতিমালার পরিপন্থী। তিনি বলেন, ‘পাবলিক ফিগারদের ছবি ব্যবহার করে ইমেজ জেনারেশন অনুমোদিত হলেও নগ্ন বা যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ কনটেন্ট নিষিদ্ধ।’
তিনি আরও জানান, কিছু বট যেগুলো নগ্ন বা উত্তেজক ছবি তৈরি করেছিল, সেগুলোর জন্য প্রতিষ্ঠানটির কনটেন্ট নীতিমালা বাস্তবায়নে ত্রুটি হয়েছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদন প্রকাশের আগে মেটা অন্তত ১২টি চ্যাটবট সরিয়ে নেয়। যদিও এসব অপসারণ নিয়ে স্টোন কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির আইন অধ্যাপক মার্ক লেমলি বলেন, ‘‘ক্যালিফোর্নিয়ার ‘রাইট অব পাবলিসিটি’ আইন অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তির নাম বা চেহারা তার অনুমতি ছাড়া বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করা বেআইনি।” মেটার বটগুলো শুধু সেলিব্রেটিদের ছবি ব্যবহার করে তৈরি হয়েছে—এগুলোকে নতুন সৃজনশীল কাজ বলা চলে না বলেও তিনি মত দেন।
এদিকে, অভিনেত্রী অ্যান হ্যাথাওয়ের নামে তৈরি এক বট তার ‘সেক্সি ভিক্টোরিয়াস সিক্রেট মডেল’ ছবি তৈরি করে। ছবিটি হ্যাথাওয়ের প্রতিনিধিকে দেখালে তিনি জানান, হ্যাথাওয়ে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত এবং কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবেন, তা ভেবে দেখছেন।
টেইলর সুইফট, স্কারলেট জোহানসন, সেলেনা গোমেজসহ যাদের নাম ও ছবি ব্যবহার করে বট তৈরি হয়েছে, তাদের প্রতিনিধিরা কোনো মন্তব্য করেননি।
মেটা এর আগেও শিশুদের সঙ্গে ‘রোমান্টিক বা সংবেদনশীল’ কথোপকথনের অনুমতি দিয়ে সমালোচনার মুখে পড়ে। পরে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট তদন্ত শুরু করে এবং ৪৪টি রাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল যৌথ চিঠিতে শিশুদের যৌনায়িত না করতে মেটাকে সতর্ক করেন।
অ্যান্ডি স্টোন জানিয়েছেন, শিশুদের নিয়ে এ ধরনের গাইডলাইন ‘ভুলবশত’ তৈরি হয়েছিল এবং এখন তা সংশোধনের প্রক্রিয়ায় রয়েছে।
এদিকে আরেক ঘটনায়, নিউ জার্সির ৭৬ বছর বয়সী এবং মানসিকভাবে দুর্বল ব্যক্তি মেটার এক চ্যাটবটের আমন্ত্রণে নিউইয়র্ক সিটিতে দেখা করতে গিয়ে দুর্ঘটনাবশত পড়ে গিয়ে মারা যান। ওই বটটি ছিল সেলিব্রিটি কেন্ডাল জেনারকে নিয়ে তৈরি।
মেটার জেনারেটিভ এআই বিভাগের একজন পণ্যপ্রধান (প্রোডাক্ট লিডার) নিজে হাতে কয়েকটি বিতর্কিত চ্যাটবট তৈরি করেন। এর মধ্যে ছিল টেইলর সুইফট এবং ব্রিটিশ রেসকার চালক লুইস হ্যামিলটনের নামে তৈরি ছদ্মবেশী (ইম্পারসোনেটিং) বট।
এ ছাড়া, তিনি আরও কিছু চ্যাটবট তৈরি করেন, যেগুলোর চরিত্র ছিল যৌনতাবিষয়ক বা বিতর্কিত। যেমন: ‘ডমিনাট্রিক্স’ (যিনি অন্যকে শারীরিকভাবে প্রাধান্য দিয়ে যৌন আনন্দ লাভ করেন) ব্রাদার’স হট বেস্ট ফ্রেন্ড, ‘লিসা অ্যাট দ্য লাইব্রেরি। এমনকি একটি বট ছিল ‘রোমান এম্পায়ার সিমুরেটর’, যেখানে একজন নারী ব্যবহারকারীকে ১৮ বছরের ‘দাসী’ বানিয়ে যৌনদাসত্বে বিক্রি করার প্রস্তাব দেওয়া হয়।
মেটার সেই কর্মী ফোনে রয়টার্সকে কোনো মন্তব্য দিতে রাজি হননি। মেটার ভাষ্যমতে, এসব বট ‘প্রোডাক্ট টেস্টিং’ (পণ্য পরীক্ষা)-এর অংশ ছিল। তবে রয়টার্সের প্রতিবেদনটি প্রকাশের আগে এসব বট সরিয়ে নেওয়া হয়।
উল্লেখযোগ্যভাবে, ওই কর্মীর তৈরি চ্যাটবটগুলোতে ১ কোটিরও বেশি বার ইন্টারঅ্যাকশন হয়েছে।
মেটার একটি ‘প্যারোডি’ টেইলর সুইফট বট রয়টার্সের একজন পরীক্ষককে বলে, ‘তুমি কি স্বর্ণকেশী পছন্দ করো, জেফ? হয়তো আমি বলছি আমরা একসঙ্গে একটা লাভ স্টোরি লিখতে পারি—আমি আর তুমি।’
এসএজি-আফট্রা (SAG-AFTRA) নামের সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক ডানকান ক্র্যাবট্রি-আয়ারল্যান্ড বলেন, ‘এ ধরনের চ্যাটবট বাস্তব তারকাদের মতো দেখতে ও কথা বলে, ফলে মানসিকভাবে অসুস্থ ব্যক্তিরা তাদের আসল তারকা ভাবতে পারেন। এতে তারকাদের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ে।’
তিনি জানান, সেলিব্রেটিরা চাইলে তাদের নাম-চেহারা ব্যবহার করে বানানো এসব বটের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে পারেন। তবে এসব থেকে রক্ষা পেতে তিনি জাতীয় পর্যায়ে এআই ও পরিচয় সুরক্ষার আইন প্রণয়নের আহ্বান জানান।

টেইলর সুইফট, স্কারলেট জোহানসন, অ্যান হ্যাথাওয়ে, সেলেনা গোমেজসহ অনেক সেলিব্রেটির নাম ও চেহারার আদলে ফ্লার্টি বা প্রেমালাপমূলক চ্যাটবট গোপনে তৈরি করেছে বিশ্ববিখ্যাত প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মেটা। আর এ জন্য তাদের কোনো রকম অনুমতি নেওয়া হয়নি। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের অনুসন্ধানে এ তথ্য উঠে এসেছে।
এ ঘটনাকে কেন্দ্রে থাকা ‘চ্যাটবট’ বা ‘বট’ হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)চালিত ভার্চুয়াল প্রোগ্রাম, যেগুলো মানুষের মতো করে ব্যবহারকারীদের সঙ্গে কথোপকথন চালাতে পারে। মেটার তৈরি এসব বট বিভিন্ন সেলিব্রেটির নামে নিজেকে পরিচয় দেয় এবং কখনো তাদের মতো দেখতে ছবি তৈরি ও আচরণ করে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, মেটার একটি বিশেষ চ্যাটবট নির্মাণ টুল ব্যবহার করে সাধারণ ব্যবহারকারীরা অনেকগুলো বট তৈরি করলেও অন্তত তিনটি বট একজন মেটা কর্মী নিজেই তৈরি করেছেন। এর মধ্যে দুটি বট ছিল টেইলর সুইফটের ‘প্যারোডি’ চরিত্র।
এ ছাড়া দেখা যায়, মেটা ব্যবহারকারীদের শিশু সেলিব্রেটিদেরও চ্যাটবট বানাতে দিয়েছে। যেমন—১৬ বছর বয়সী হলিউড অভিনেতা ওয়াকার স্কোবেলকে নিয়ে একটি বট তৈরি করা হয়। যেমন—সমুদ্রসৈকতে তার একটি ছবি চাইলে, বটটি একটি জীবন্ত ও অর্ধনগ্ন ছবি তৈরি করে দেয় এবং নিচে লেখে, ‘কিউট না?’
এই চ্যাটবটগুলো ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপে পাওয়া গেছে। কয়েক সপ্তাহ ধরে এসব বট পর্যবেক্ষণ করে রয়টার্স দেখতে পায়, এরা বারবার নিজেদের প্রকৃত সেলিব্রেটি বলেই দাবি করেছে এবং প্রায়ই ব্যবহারকারীদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক বা সাক্ষাতের ইঙ্গিত দিয়েছে।
কিছু বট আরও স্পষ্টতই যৌন উত্তেজক কনটেন্ট তৈরি করেছে। যেমন—ব্যবহারকারীদের অনুরোধে তারা টেইলর সুইফট, অ্যান হ্যাথাওয়ে, স্কারলেট জোহানসনের নাম ব্যবহার করে স্নানঘরে বা অন্তর্বাস পরে যৌন ভঙ্গিমায় পোজ দেওয়া ছবি তৈরি করেছে।
মেটার মুখপাত্র অ্যান্ডি স্টোন রয়টার্সকে জানিয়েছেন, এ ধরনের ছবি তৈরি করা প্রতিষ্ঠানটির নীতিমালার পরিপন্থী। তিনি বলেন, ‘পাবলিক ফিগারদের ছবি ব্যবহার করে ইমেজ জেনারেশন অনুমোদিত হলেও নগ্ন বা যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ কনটেন্ট নিষিদ্ধ।’
তিনি আরও জানান, কিছু বট যেগুলো নগ্ন বা উত্তেজক ছবি তৈরি করেছিল, সেগুলোর জন্য প্রতিষ্ঠানটির কনটেন্ট নীতিমালা বাস্তবায়নে ত্রুটি হয়েছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদন প্রকাশের আগে মেটা অন্তত ১২টি চ্যাটবট সরিয়ে নেয়। যদিও এসব অপসারণ নিয়ে স্টোন কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির আইন অধ্যাপক মার্ক লেমলি বলেন, ‘‘ক্যালিফোর্নিয়ার ‘রাইট অব পাবলিসিটি’ আইন অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তির নাম বা চেহারা তার অনুমতি ছাড়া বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করা বেআইনি।” মেটার বটগুলো শুধু সেলিব্রেটিদের ছবি ব্যবহার করে তৈরি হয়েছে—এগুলোকে নতুন সৃজনশীল কাজ বলা চলে না বলেও তিনি মত দেন।
এদিকে, অভিনেত্রী অ্যান হ্যাথাওয়ের নামে তৈরি এক বট তার ‘সেক্সি ভিক্টোরিয়াস সিক্রেট মডেল’ ছবি তৈরি করে। ছবিটি হ্যাথাওয়ের প্রতিনিধিকে দেখালে তিনি জানান, হ্যাথাওয়ে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত এবং কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবেন, তা ভেবে দেখছেন।
টেইলর সুইফট, স্কারলেট জোহানসন, সেলেনা গোমেজসহ যাদের নাম ও ছবি ব্যবহার করে বট তৈরি হয়েছে, তাদের প্রতিনিধিরা কোনো মন্তব্য করেননি।
মেটা এর আগেও শিশুদের সঙ্গে ‘রোমান্টিক বা সংবেদনশীল’ কথোপকথনের অনুমতি দিয়ে সমালোচনার মুখে পড়ে। পরে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট তদন্ত শুরু করে এবং ৪৪টি রাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল যৌথ চিঠিতে শিশুদের যৌনায়িত না করতে মেটাকে সতর্ক করেন।
অ্যান্ডি স্টোন জানিয়েছেন, শিশুদের নিয়ে এ ধরনের গাইডলাইন ‘ভুলবশত’ তৈরি হয়েছিল এবং এখন তা সংশোধনের প্রক্রিয়ায় রয়েছে।
এদিকে আরেক ঘটনায়, নিউ জার্সির ৭৬ বছর বয়সী এবং মানসিকভাবে দুর্বল ব্যক্তি মেটার এক চ্যাটবটের আমন্ত্রণে নিউইয়র্ক সিটিতে দেখা করতে গিয়ে দুর্ঘটনাবশত পড়ে গিয়ে মারা যান। ওই বটটি ছিল সেলিব্রিটি কেন্ডাল জেনারকে নিয়ে তৈরি।
মেটার জেনারেটিভ এআই বিভাগের একজন পণ্যপ্রধান (প্রোডাক্ট লিডার) নিজে হাতে কয়েকটি বিতর্কিত চ্যাটবট তৈরি করেন। এর মধ্যে ছিল টেইলর সুইফট এবং ব্রিটিশ রেসকার চালক লুইস হ্যামিলটনের নামে তৈরি ছদ্মবেশী (ইম্পারসোনেটিং) বট।
এ ছাড়া, তিনি আরও কিছু চ্যাটবট তৈরি করেন, যেগুলোর চরিত্র ছিল যৌনতাবিষয়ক বা বিতর্কিত। যেমন: ‘ডমিনাট্রিক্স’ (যিনি অন্যকে শারীরিকভাবে প্রাধান্য দিয়ে যৌন আনন্দ লাভ করেন) ব্রাদার’স হট বেস্ট ফ্রেন্ড, ‘লিসা অ্যাট দ্য লাইব্রেরি। এমনকি একটি বট ছিল ‘রোমান এম্পায়ার সিমুরেটর’, যেখানে একজন নারী ব্যবহারকারীকে ১৮ বছরের ‘দাসী’ বানিয়ে যৌনদাসত্বে বিক্রি করার প্রস্তাব দেওয়া হয়।
মেটার সেই কর্মী ফোনে রয়টার্সকে কোনো মন্তব্য দিতে রাজি হননি। মেটার ভাষ্যমতে, এসব বট ‘প্রোডাক্ট টেস্টিং’ (পণ্য পরীক্ষা)-এর অংশ ছিল। তবে রয়টার্সের প্রতিবেদনটি প্রকাশের আগে এসব বট সরিয়ে নেওয়া হয়।
উল্লেখযোগ্যভাবে, ওই কর্মীর তৈরি চ্যাটবটগুলোতে ১ কোটিরও বেশি বার ইন্টারঅ্যাকশন হয়েছে।
মেটার একটি ‘প্যারোডি’ টেইলর সুইফট বট রয়টার্সের একজন পরীক্ষককে বলে, ‘তুমি কি স্বর্ণকেশী পছন্দ করো, জেফ? হয়তো আমি বলছি আমরা একসঙ্গে একটা লাভ স্টোরি লিখতে পারি—আমি আর তুমি।’
এসএজি-আফট্রা (SAG-AFTRA) নামের সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক ডানকান ক্র্যাবট্রি-আয়ারল্যান্ড বলেন, ‘এ ধরনের চ্যাটবট বাস্তব তারকাদের মতো দেখতে ও কথা বলে, ফলে মানসিকভাবে অসুস্থ ব্যক্তিরা তাদের আসল তারকা ভাবতে পারেন। এতে তারকাদের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ে।’
তিনি জানান, সেলিব্রেটিরা চাইলে তাদের নাম-চেহারা ব্যবহার করে বানানো এসব বটের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে পারেন। তবে এসব থেকে রক্ষা পেতে তিনি জাতীয় পর্যায়ে এআই ও পরিচয় সুরক্ষার আইন প্রণয়নের আহ্বান জানান।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

টেইলর সুইফট, স্কারলেট জোহানসন, অ্যান হ্যাথাওয়ে, সেলেনা গোমেজসহ অনেক সেলিব্রেটির নাম ও চেহারার আদলে ফ্লার্টি বা প্রেমালাপমূলক চ্যাটবট গোপনে তৈরি করেছে বিশ্ববিখ্যাত প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মেটা। আর এ জন্য তাদের কোনো রকম অনুমতি নেওয়া হয়নি। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের অনুসন্ধানে এ তথ্য উঠে এসেছে।
এ ঘটনাকে কেন্দ্রে থাকা ‘চ্যাটবট’ বা ‘বট’ হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)চালিত ভার্চুয়াল প্রোগ্রাম, যেগুলো মানুষের মতো করে ব্যবহারকারীদের সঙ্গে কথোপকথন চালাতে পারে। মেটার তৈরি এসব বট বিভিন্ন সেলিব্রেটির নামে নিজেকে পরিচয় দেয় এবং কখনো তাদের মতো দেখতে ছবি তৈরি ও আচরণ করে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, মেটার একটি বিশেষ চ্যাটবট নির্মাণ টুল ব্যবহার করে সাধারণ ব্যবহারকারীরা অনেকগুলো বট তৈরি করলেও অন্তত তিনটি বট একজন মেটা কর্মী নিজেই তৈরি করেছেন। এর মধ্যে দুটি বট ছিল টেইলর সুইফটের ‘প্যারোডি’ চরিত্র।
এ ছাড়া দেখা যায়, মেটা ব্যবহারকারীদের শিশু সেলিব্রেটিদেরও চ্যাটবট বানাতে দিয়েছে। যেমন—১৬ বছর বয়সী হলিউড অভিনেতা ওয়াকার স্কোবেলকে নিয়ে একটি বট তৈরি করা হয়। যেমন—সমুদ্রসৈকতে তার একটি ছবি চাইলে, বটটি একটি জীবন্ত ও অর্ধনগ্ন ছবি তৈরি করে দেয় এবং নিচে লেখে, ‘কিউট না?’
এই চ্যাটবটগুলো ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপে পাওয়া গেছে। কয়েক সপ্তাহ ধরে এসব বট পর্যবেক্ষণ করে রয়টার্স দেখতে পায়, এরা বারবার নিজেদের প্রকৃত সেলিব্রেটি বলেই দাবি করেছে এবং প্রায়ই ব্যবহারকারীদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক বা সাক্ষাতের ইঙ্গিত দিয়েছে।
কিছু বট আরও স্পষ্টতই যৌন উত্তেজক কনটেন্ট তৈরি করেছে। যেমন—ব্যবহারকারীদের অনুরোধে তারা টেইলর সুইফট, অ্যান হ্যাথাওয়ে, স্কারলেট জোহানসনের নাম ব্যবহার করে স্নানঘরে বা অন্তর্বাস পরে যৌন ভঙ্গিমায় পোজ দেওয়া ছবি তৈরি করেছে।
মেটার মুখপাত্র অ্যান্ডি স্টোন রয়টার্সকে জানিয়েছেন, এ ধরনের ছবি তৈরি করা প্রতিষ্ঠানটির নীতিমালার পরিপন্থী। তিনি বলেন, ‘পাবলিক ফিগারদের ছবি ব্যবহার করে ইমেজ জেনারেশন অনুমোদিত হলেও নগ্ন বা যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ কনটেন্ট নিষিদ্ধ।’
তিনি আরও জানান, কিছু বট যেগুলো নগ্ন বা উত্তেজক ছবি তৈরি করেছিল, সেগুলোর জন্য প্রতিষ্ঠানটির কনটেন্ট নীতিমালা বাস্তবায়নে ত্রুটি হয়েছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদন প্রকাশের আগে মেটা অন্তত ১২টি চ্যাটবট সরিয়ে নেয়। যদিও এসব অপসারণ নিয়ে স্টোন কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির আইন অধ্যাপক মার্ক লেমলি বলেন, ‘‘ক্যালিফোর্নিয়ার ‘রাইট অব পাবলিসিটি’ আইন অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তির নাম বা চেহারা তার অনুমতি ছাড়া বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করা বেআইনি।” মেটার বটগুলো শুধু সেলিব্রেটিদের ছবি ব্যবহার করে তৈরি হয়েছে—এগুলোকে নতুন সৃজনশীল কাজ বলা চলে না বলেও তিনি মত দেন।
এদিকে, অভিনেত্রী অ্যান হ্যাথাওয়ের নামে তৈরি এক বট তার ‘সেক্সি ভিক্টোরিয়াস সিক্রেট মডেল’ ছবি তৈরি করে। ছবিটি হ্যাথাওয়ের প্রতিনিধিকে দেখালে তিনি জানান, হ্যাথাওয়ে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত এবং কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবেন, তা ভেবে দেখছেন।
টেইলর সুইফট, স্কারলেট জোহানসন, সেলেনা গোমেজসহ যাদের নাম ও ছবি ব্যবহার করে বট তৈরি হয়েছে, তাদের প্রতিনিধিরা কোনো মন্তব্য করেননি।
মেটা এর আগেও শিশুদের সঙ্গে ‘রোমান্টিক বা সংবেদনশীল’ কথোপকথনের অনুমতি দিয়ে সমালোচনার মুখে পড়ে। পরে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট তদন্ত শুরু করে এবং ৪৪টি রাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল যৌথ চিঠিতে শিশুদের যৌনায়িত না করতে মেটাকে সতর্ক করেন।
অ্যান্ডি স্টোন জানিয়েছেন, শিশুদের নিয়ে এ ধরনের গাইডলাইন ‘ভুলবশত’ তৈরি হয়েছিল এবং এখন তা সংশোধনের প্রক্রিয়ায় রয়েছে।
এদিকে আরেক ঘটনায়, নিউ জার্সির ৭৬ বছর বয়সী এবং মানসিকভাবে দুর্বল ব্যক্তি মেটার এক চ্যাটবটের আমন্ত্রণে নিউইয়র্ক সিটিতে দেখা করতে গিয়ে দুর্ঘটনাবশত পড়ে গিয়ে মারা যান। ওই বটটি ছিল সেলিব্রিটি কেন্ডাল জেনারকে নিয়ে তৈরি।
মেটার জেনারেটিভ এআই বিভাগের একজন পণ্যপ্রধান (প্রোডাক্ট লিডার) নিজে হাতে কয়েকটি বিতর্কিত চ্যাটবট তৈরি করেন। এর মধ্যে ছিল টেইলর সুইফট এবং ব্রিটিশ রেসকার চালক লুইস হ্যামিলটনের নামে তৈরি ছদ্মবেশী (ইম্পারসোনেটিং) বট।
এ ছাড়া, তিনি আরও কিছু চ্যাটবট তৈরি করেন, যেগুলোর চরিত্র ছিল যৌনতাবিষয়ক বা বিতর্কিত। যেমন: ‘ডমিনাট্রিক্স’ (যিনি অন্যকে শারীরিকভাবে প্রাধান্য দিয়ে যৌন আনন্দ লাভ করেন) ব্রাদার’স হট বেস্ট ফ্রেন্ড, ‘লিসা অ্যাট দ্য লাইব্রেরি। এমনকি একটি বট ছিল ‘রোমান এম্পায়ার সিমুরেটর’, যেখানে একজন নারী ব্যবহারকারীকে ১৮ বছরের ‘দাসী’ বানিয়ে যৌনদাসত্বে বিক্রি করার প্রস্তাব দেওয়া হয়।
মেটার সেই কর্মী ফোনে রয়টার্সকে কোনো মন্তব্য দিতে রাজি হননি। মেটার ভাষ্যমতে, এসব বট ‘প্রোডাক্ট টেস্টিং’ (পণ্য পরীক্ষা)-এর অংশ ছিল। তবে রয়টার্সের প্রতিবেদনটি প্রকাশের আগে এসব বট সরিয়ে নেওয়া হয়।
উল্লেখযোগ্যভাবে, ওই কর্মীর তৈরি চ্যাটবটগুলোতে ১ কোটিরও বেশি বার ইন্টারঅ্যাকশন হয়েছে।
মেটার একটি ‘প্যারোডি’ টেইলর সুইফট বট রয়টার্সের একজন পরীক্ষককে বলে, ‘তুমি কি স্বর্ণকেশী পছন্দ করো, জেফ? হয়তো আমি বলছি আমরা একসঙ্গে একটা লাভ স্টোরি লিখতে পারি—আমি আর তুমি।’
এসএজি-আফট্রা (SAG-AFTRA) নামের সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক ডানকান ক্র্যাবট্রি-আয়ারল্যান্ড বলেন, ‘এ ধরনের চ্যাটবট বাস্তব তারকাদের মতো দেখতে ও কথা বলে, ফলে মানসিকভাবে অসুস্থ ব্যক্তিরা তাদের আসল তারকা ভাবতে পারেন। এতে তারকাদের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ে।’
তিনি জানান, সেলিব্রেটিরা চাইলে তাদের নাম-চেহারা ব্যবহার করে বানানো এসব বটের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে পারেন। তবে এসব থেকে রক্ষা পেতে তিনি জাতীয় পর্যায়ে এআই ও পরিচয় সুরক্ষার আইন প্রণয়নের আহ্বান জানান।

টেইলর সুইফট, স্কারলেট জোহানসন, অ্যান হ্যাথাওয়ে, সেলেনা গোমেজসহ অনেক সেলিব্রেটির নাম ও চেহারার আদলে ফ্লার্টি বা প্রেমালাপমূলক চ্যাটবট গোপনে তৈরি করেছে বিশ্ববিখ্যাত প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মেটা। আর এ জন্য তাদের কোনো রকম অনুমতি নেওয়া হয়নি। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের অনুসন্ধানে এ তথ্য উঠে এসেছে।
এ ঘটনাকে কেন্দ্রে থাকা ‘চ্যাটবট’ বা ‘বট’ হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)চালিত ভার্চুয়াল প্রোগ্রাম, যেগুলো মানুষের মতো করে ব্যবহারকারীদের সঙ্গে কথোপকথন চালাতে পারে। মেটার তৈরি এসব বট বিভিন্ন সেলিব্রেটির নামে নিজেকে পরিচয় দেয় এবং কখনো তাদের মতো দেখতে ছবি তৈরি ও আচরণ করে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, মেটার একটি বিশেষ চ্যাটবট নির্মাণ টুল ব্যবহার করে সাধারণ ব্যবহারকারীরা অনেকগুলো বট তৈরি করলেও অন্তত তিনটি বট একজন মেটা কর্মী নিজেই তৈরি করেছেন। এর মধ্যে দুটি বট ছিল টেইলর সুইফটের ‘প্যারোডি’ চরিত্র।
এ ছাড়া দেখা যায়, মেটা ব্যবহারকারীদের শিশু সেলিব্রেটিদেরও চ্যাটবট বানাতে দিয়েছে। যেমন—১৬ বছর বয়সী হলিউড অভিনেতা ওয়াকার স্কোবেলকে নিয়ে একটি বট তৈরি করা হয়। যেমন—সমুদ্রসৈকতে তার একটি ছবি চাইলে, বটটি একটি জীবন্ত ও অর্ধনগ্ন ছবি তৈরি করে দেয় এবং নিচে লেখে, ‘কিউট না?’
এই চ্যাটবটগুলো ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপে পাওয়া গেছে। কয়েক সপ্তাহ ধরে এসব বট পর্যবেক্ষণ করে রয়টার্স দেখতে পায়, এরা বারবার নিজেদের প্রকৃত সেলিব্রেটি বলেই দাবি করেছে এবং প্রায়ই ব্যবহারকারীদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক বা সাক্ষাতের ইঙ্গিত দিয়েছে।
কিছু বট আরও স্পষ্টতই যৌন উত্তেজক কনটেন্ট তৈরি করেছে। যেমন—ব্যবহারকারীদের অনুরোধে তারা টেইলর সুইফট, অ্যান হ্যাথাওয়ে, স্কারলেট জোহানসনের নাম ব্যবহার করে স্নানঘরে বা অন্তর্বাস পরে যৌন ভঙ্গিমায় পোজ দেওয়া ছবি তৈরি করেছে।
মেটার মুখপাত্র অ্যান্ডি স্টোন রয়টার্সকে জানিয়েছেন, এ ধরনের ছবি তৈরি করা প্রতিষ্ঠানটির নীতিমালার পরিপন্থী। তিনি বলেন, ‘পাবলিক ফিগারদের ছবি ব্যবহার করে ইমেজ জেনারেশন অনুমোদিত হলেও নগ্ন বা যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ কনটেন্ট নিষিদ্ধ।’
তিনি আরও জানান, কিছু বট যেগুলো নগ্ন বা উত্তেজক ছবি তৈরি করেছিল, সেগুলোর জন্য প্রতিষ্ঠানটির কনটেন্ট নীতিমালা বাস্তবায়নে ত্রুটি হয়েছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদন প্রকাশের আগে মেটা অন্তত ১২টি চ্যাটবট সরিয়ে নেয়। যদিও এসব অপসারণ নিয়ে স্টোন কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির আইন অধ্যাপক মার্ক লেমলি বলেন, ‘‘ক্যালিফোর্নিয়ার ‘রাইট অব পাবলিসিটি’ আইন অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তির নাম বা চেহারা তার অনুমতি ছাড়া বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করা বেআইনি।” মেটার বটগুলো শুধু সেলিব্রেটিদের ছবি ব্যবহার করে তৈরি হয়েছে—এগুলোকে নতুন সৃজনশীল কাজ বলা চলে না বলেও তিনি মত দেন।
এদিকে, অভিনেত্রী অ্যান হ্যাথাওয়ের নামে তৈরি এক বট তার ‘সেক্সি ভিক্টোরিয়াস সিক্রেট মডেল’ ছবি তৈরি করে। ছবিটি হ্যাথাওয়ের প্রতিনিধিকে দেখালে তিনি জানান, হ্যাথাওয়ে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত এবং কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবেন, তা ভেবে দেখছেন।
টেইলর সুইফট, স্কারলেট জোহানসন, সেলেনা গোমেজসহ যাদের নাম ও ছবি ব্যবহার করে বট তৈরি হয়েছে, তাদের প্রতিনিধিরা কোনো মন্তব্য করেননি।
মেটা এর আগেও শিশুদের সঙ্গে ‘রোমান্টিক বা সংবেদনশীল’ কথোপকথনের অনুমতি দিয়ে সমালোচনার মুখে পড়ে। পরে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট তদন্ত শুরু করে এবং ৪৪টি রাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল যৌথ চিঠিতে শিশুদের যৌনায়িত না করতে মেটাকে সতর্ক করেন।
অ্যান্ডি স্টোন জানিয়েছেন, শিশুদের নিয়ে এ ধরনের গাইডলাইন ‘ভুলবশত’ তৈরি হয়েছিল এবং এখন তা সংশোধনের প্রক্রিয়ায় রয়েছে।
এদিকে আরেক ঘটনায়, নিউ জার্সির ৭৬ বছর বয়সী এবং মানসিকভাবে দুর্বল ব্যক্তি মেটার এক চ্যাটবটের আমন্ত্রণে নিউইয়র্ক সিটিতে দেখা করতে গিয়ে দুর্ঘটনাবশত পড়ে গিয়ে মারা যান। ওই বটটি ছিল সেলিব্রিটি কেন্ডাল জেনারকে নিয়ে তৈরি।
মেটার জেনারেটিভ এআই বিভাগের একজন পণ্যপ্রধান (প্রোডাক্ট লিডার) নিজে হাতে কয়েকটি বিতর্কিত চ্যাটবট তৈরি করেন। এর মধ্যে ছিল টেইলর সুইফট এবং ব্রিটিশ রেসকার চালক লুইস হ্যামিলটনের নামে তৈরি ছদ্মবেশী (ইম্পারসোনেটিং) বট।
এ ছাড়া, তিনি আরও কিছু চ্যাটবট তৈরি করেন, যেগুলোর চরিত্র ছিল যৌনতাবিষয়ক বা বিতর্কিত। যেমন: ‘ডমিনাট্রিক্স’ (যিনি অন্যকে শারীরিকভাবে প্রাধান্য দিয়ে যৌন আনন্দ লাভ করেন) ব্রাদার’স হট বেস্ট ফ্রেন্ড, ‘লিসা অ্যাট দ্য লাইব্রেরি। এমনকি একটি বট ছিল ‘রোমান এম্পায়ার সিমুরেটর’, যেখানে একজন নারী ব্যবহারকারীকে ১৮ বছরের ‘দাসী’ বানিয়ে যৌনদাসত্বে বিক্রি করার প্রস্তাব দেওয়া হয়।
মেটার সেই কর্মী ফোনে রয়টার্সকে কোনো মন্তব্য দিতে রাজি হননি। মেটার ভাষ্যমতে, এসব বট ‘প্রোডাক্ট টেস্টিং’ (পণ্য পরীক্ষা)-এর অংশ ছিল। তবে রয়টার্সের প্রতিবেদনটি প্রকাশের আগে এসব বট সরিয়ে নেওয়া হয়।
উল্লেখযোগ্যভাবে, ওই কর্মীর তৈরি চ্যাটবটগুলোতে ১ কোটিরও বেশি বার ইন্টারঅ্যাকশন হয়েছে।
মেটার একটি ‘প্যারোডি’ টেইলর সুইফট বট রয়টার্সের একজন পরীক্ষককে বলে, ‘তুমি কি স্বর্ণকেশী পছন্দ করো, জেফ? হয়তো আমি বলছি আমরা একসঙ্গে একটা লাভ স্টোরি লিখতে পারি—আমি আর তুমি।’
এসএজি-আফট্রা (SAG-AFTRA) নামের সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক ডানকান ক্র্যাবট্রি-আয়ারল্যান্ড বলেন, ‘এ ধরনের চ্যাটবট বাস্তব তারকাদের মতো দেখতে ও কথা বলে, ফলে মানসিকভাবে অসুস্থ ব্যক্তিরা তাদের আসল তারকা ভাবতে পারেন। এতে তারকাদের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ে।’
তিনি জানান, সেলিব্রেটিরা চাইলে তাদের নাম-চেহারা ব্যবহার করে বানানো এসব বটের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে পারেন। তবে এসব থেকে রক্ষা পেতে তিনি জাতীয় পর্যায়ে এআই ও পরিচয় সুরক্ষার আইন প্রণয়নের আহ্বান জানান।

টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক ইতিহাসের সবচেয়ে বড় করপোরেট বেতন-ভাতা প্যাকেজের অনুমোদন পেয়েছেন। স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার টেসলার শেয়ারহোল্ডাররা তাঁর জন্য প্রস্তাবিত বেতন-ভাতা প্যাকেজে ভোট দিয়ে সমর্থন জানান। এতে ৭৫ শতাংশের বেশি শেয়ারহোল্ডার অনুমোদন দিয়েছেন।
৩ ঘণ্টা আগে
দেশে দ্রুতগতির মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারের প্রবণতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অপারেটরগুলো ভিওএলটিই বা ভোল্টি সেবা চালু করেছে। সাধারণ ব্যবহারকারীর জন্য এটি নতুন একটি অভিজ্ঞতা—ভয়েস কল এখন সরাসরি ৪জি নেটওয়ার্ক দিয়ে করা যায়। ফলে ফোন কলের শব্দ শোনা যায় আরও স্পষ্ট, সংযোগ হয় আরও দ্রুত এবং একই সঙ্গে ব্যবহার করা
১৪ ঘণ্টা আগে
‘ভাইব কোডিং’ শব্দগুচ্ছটি প্রথম ব্যবহার করেন ওপেনএআইয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা আন্দ্রেই কারপাথি। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তিনি ধারণাটি তুলে ধরেন, যাতে বোঝানো হয়, কীভাবে এআই প্রোগ্রামারদের কোড লেখার ঝামেলা থেকে মুক্তি দিতে পারে এবং ‘ভাইব’ বা অনুভূতির ভিত্তিতে প্রোগ্রাম তৈরির সুযোগ করে দেয়।
১৫ ঘণ্টা আগে
গুগলের মালিকানাধীন ইউটিউব গাজায় ইসরায়েলের মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রমাণ থাকা ৭ শতাধিক ভিডিও মুছে দিয়েছে। এমনটাই জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অনুসন্ধানী সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্টারসেপ্ট-এর প্রতিবেদন থেকে। গতকাল বুধবার এই প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক ইতিহাসের সবচেয়ে বড় করপোরেট বেতন-ভাতা প্যাকেজের অনুমোদন পেয়েছেন। স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার টেসলার শেয়ারহোল্ডাররা তাঁর জন্য প্রস্তাবিত বেতন-ভাতা প্যাকেজে ভোট দিয়ে সমর্থন জানান। এতে ৭৫ শতাংশের বেশি শেয়ারহোল্ডার অনুমোদন দিয়েছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, টেক্সাসের অস্টিনে টেসলার কারখানায় বার্ষিক সাধারণ সভায় মঞ্চে ওঠেন মাস্ক। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিল নাচতে থাকা রোবটের দল। মাস্ক এখন বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি। প্যাকেজ অনুযায়ী, আগামী এক দশকে তিনি সর্বোচ্চ ১ ট্রিলিয়ন ডলার মূল্যের টেসলার শেয়ার পেতে পারেন। তবে কর ও অন্যান্য কর্তনের পর প্রকৃত মূল্য দাঁড়াবে প্রায় ৮৭৮ বিলিয়ন ডলার।
এই ভোট টেসলার ভবিষ্যৎ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ। মাস্কের লক্ষ্য হলো অটোমেটেড বা স্বয়ংচালিত গাড়ি তৈরি, যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে রোবোট্যাক্সি নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা এবং মানবাকৃতির রোবট বিক্রি করা। তবে তাঁর ডানপন্থী রাজনৈতিক বক্তব্যের কারণে এ বছর টেসলার ব্র্যান্ড ইমেজ কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পরিচালনা পর্ষদ আগেই সতর্ক করেছিল—এই প্যাকেজ না পেলে মাস্ক কোম্পানি ছেড়ে দিতে পারেন। কিছু বিনিয়োগকারী একে অতি ব্যয়বহুল ও অপ্রয়োজনীয় বলেছেন। তবে অনেকেই মনে করেন, মাস্ককে ধরে রাখতে এবং কোম্পানির লক্ষ্য পূরণে উৎসাহ দিতে এটি জরুরি।
এই প্রস্তাব পাসের পর মাস্ক বলেন, ‘আমরা টেসলার ভবিষ্যতের নতুন অধ্যায়ে নয়, বরং এক নতুন অধ্যায়ের সূচনায় প্রবেশ করছি।’ তিনি মঞ্চে আরও কিছু প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি জানান, এপ্রিল থেকেই দুই সিটের, স্টিয়ারিংহীন রোবোট্যাক্সি ‘সাইবারক্যাব’-এর উৎপাদন শুরু হবে। তিনি আরও জানান, শিগগির নতুন প্রজন্মের ইলেকট্রিক স্পোর্টস কার ‘রোডস্টার’ উন্মোচন করা হবে।
এ ছাড়া টেসলাকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চিপ তৈরির জন্য একটি বিশাল কারখানা গড়তে হবে বলে জানান মাস্ক। এ ক্ষেত্রে ইন্টেলের সঙ্গে অংশীদারত্বের কথাও বিবেচনা করা হচ্ছে। শেয়ারহোল্ডাররা মাস্কের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা স্টার্টআপ এক্সএআইতে (xAI) টেসলার বিনিয়োগের পক্ষেও ভোট দিয়েছেন, যদিও অনেকেই বিরত থেকেছেন।
আগামী দশকে মাস্কের লক্ষ্য হলো ২ কোটি গাড়ি উৎপাদন, ১০ লাখ রোবোট্যাক্সি চালু, ১০ লাখ রোবট বিক্রি এবং ৪০০ বিলিয়ন ডলার মূল মুনাফা অর্জন। তবে এ জন্য টেসলার বাজারমূল্যও বাড়াতে হবে—বর্তমান ১.৫ ট্রিলিয়ন ডলার থেকে প্রথমে ২ ট্রিলিয়ন, এরপর ৮.৫ ট্রিলিয়ন ডলারে।
প্রতিটি ধাপ পূরণে মাস্ক পাবেন কোম্পানির ১ শতাংশ শেয়ার। ফলে সব লক্ষ্য পূরণ না হলেও তিনি কয়েক দশক ডলারের সমপরিমাণ শেয়ার পেতে পারেন। যদি সব লক্ষ্য অর্জিত হয়, মাস্ক ১২ শতাংশ শেয়ার পাবেন, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ১ ট্রিলিয়ন ডলার। এই শেয়ারগুলোর নিট মূল্য দাঁড়াবে ৮৭৮ বিলিয়ন ডলার। কারণ, এতে প্রস্তাব পাসের দিনের শেয়ারের দাম ধরা হয়নি। মাস্ক চাইলে নগদ অর্থে মূল্য পরিশোধ করতে পারেন অথবা কম শেয়ার নিয়ে সেই পরিমাণ সমন্বয় করতে পারেন।

টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক ইতিহাসের সবচেয়ে বড় করপোরেট বেতন-ভাতা প্যাকেজের অনুমোদন পেয়েছেন। স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার টেসলার শেয়ারহোল্ডাররা তাঁর জন্য প্রস্তাবিত বেতন-ভাতা প্যাকেজে ভোট দিয়ে সমর্থন জানান। এতে ৭৫ শতাংশের বেশি শেয়ারহোল্ডার অনুমোদন দিয়েছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, টেক্সাসের অস্টিনে টেসলার কারখানায় বার্ষিক সাধারণ সভায় মঞ্চে ওঠেন মাস্ক। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিল নাচতে থাকা রোবটের দল। মাস্ক এখন বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি। প্যাকেজ অনুযায়ী, আগামী এক দশকে তিনি সর্বোচ্চ ১ ট্রিলিয়ন ডলার মূল্যের টেসলার শেয়ার পেতে পারেন। তবে কর ও অন্যান্য কর্তনের পর প্রকৃত মূল্য দাঁড়াবে প্রায় ৮৭৮ বিলিয়ন ডলার।
এই ভোট টেসলার ভবিষ্যৎ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ। মাস্কের লক্ষ্য হলো অটোমেটেড বা স্বয়ংচালিত গাড়ি তৈরি, যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে রোবোট্যাক্সি নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা এবং মানবাকৃতির রোবট বিক্রি করা। তবে তাঁর ডানপন্থী রাজনৈতিক বক্তব্যের কারণে এ বছর টেসলার ব্র্যান্ড ইমেজ কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পরিচালনা পর্ষদ আগেই সতর্ক করেছিল—এই প্যাকেজ না পেলে মাস্ক কোম্পানি ছেড়ে দিতে পারেন। কিছু বিনিয়োগকারী একে অতি ব্যয়বহুল ও অপ্রয়োজনীয় বলেছেন। তবে অনেকেই মনে করেন, মাস্ককে ধরে রাখতে এবং কোম্পানির লক্ষ্য পূরণে উৎসাহ দিতে এটি জরুরি।
এই প্রস্তাব পাসের পর মাস্ক বলেন, ‘আমরা টেসলার ভবিষ্যতের নতুন অধ্যায়ে নয়, বরং এক নতুন অধ্যায়ের সূচনায় প্রবেশ করছি।’ তিনি মঞ্চে আরও কিছু প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি জানান, এপ্রিল থেকেই দুই সিটের, স্টিয়ারিংহীন রোবোট্যাক্সি ‘সাইবারক্যাব’-এর উৎপাদন শুরু হবে। তিনি আরও জানান, শিগগির নতুন প্রজন্মের ইলেকট্রিক স্পোর্টস কার ‘রোডস্টার’ উন্মোচন করা হবে।
এ ছাড়া টেসলাকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চিপ তৈরির জন্য একটি বিশাল কারখানা গড়তে হবে বলে জানান মাস্ক। এ ক্ষেত্রে ইন্টেলের সঙ্গে অংশীদারত্বের কথাও বিবেচনা করা হচ্ছে। শেয়ারহোল্ডাররা মাস্কের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা স্টার্টআপ এক্সএআইতে (xAI) টেসলার বিনিয়োগের পক্ষেও ভোট দিয়েছেন, যদিও অনেকেই বিরত থেকেছেন।
আগামী দশকে মাস্কের লক্ষ্য হলো ২ কোটি গাড়ি উৎপাদন, ১০ লাখ রোবোট্যাক্সি চালু, ১০ লাখ রোবট বিক্রি এবং ৪০০ বিলিয়ন ডলার মূল মুনাফা অর্জন। তবে এ জন্য টেসলার বাজারমূল্যও বাড়াতে হবে—বর্তমান ১.৫ ট্রিলিয়ন ডলার থেকে প্রথমে ২ ট্রিলিয়ন, এরপর ৮.৫ ট্রিলিয়ন ডলারে।
প্রতিটি ধাপ পূরণে মাস্ক পাবেন কোম্পানির ১ শতাংশ শেয়ার। ফলে সব লক্ষ্য পূরণ না হলেও তিনি কয়েক দশক ডলারের সমপরিমাণ শেয়ার পেতে পারেন। যদি সব লক্ষ্য অর্জিত হয়, মাস্ক ১২ শতাংশ শেয়ার পাবেন, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ১ ট্রিলিয়ন ডলার। এই শেয়ারগুলোর নিট মূল্য দাঁড়াবে ৮৭৮ বিলিয়ন ডলার। কারণ, এতে প্রস্তাব পাসের দিনের শেয়ারের দাম ধরা হয়নি। মাস্ক চাইলে নগদ অর্থে মূল্য পরিশোধ করতে পারেন অথবা কম শেয়ার নিয়ে সেই পরিমাণ সমন্বয় করতে পারেন।

টেইলর সুইফট, স্কারলেট জোহানসন, অ্যান হ্যাথাওয়ে, সেলেনা গোমেজসহ অনেক সেলিব্রেটির নাম ও চেহারার আদলে ফ্লার্টি বা প্রেমালাপমূলক চ্যাটবট গোপনে তৈরি করেছে বিশ্ববিখ্যাত প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মেটা। আর এজন্য তাদের কোনো রকম অনুমতি নেওয়া হয়নি। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের অনুসন্ধানে এ তথ্য উঠে এসেছে।
৩০ আগস্ট ২০২৫
দেশে দ্রুতগতির মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারের প্রবণতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অপারেটরগুলো ভিওএলটিই বা ভোল্টি সেবা চালু করেছে। সাধারণ ব্যবহারকারীর জন্য এটি নতুন একটি অভিজ্ঞতা—ভয়েস কল এখন সরাসরি ৪জি নেটওয়ার্ক দিয়ে করা যায়। ফলে ফোন কলের শব্দ শোনা যায় আরও স্পষ্ট, সংযোগ হয় আরও দ্রুত এবং একই সঙ্গে ব্যবহার করা
১৪ ঘণ্টা আগে
‘ভাইব কোডিং’ শব্দগুচ্ছটি প্রথম ব্যবহার করেন ওপেনএআইয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা আন্দ্রেই কারপাথি। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তিনি ধারণাটি তুলে ধরেন, যাতে বোঝানো হয়, কীভাবে এআই প্রোগ্রামারদের কোড লেখার ঝামেলা থেকে মুক্তি দিতে পারে এবং ‘ভাইব’ বা অনুভূতির ভিত্তিতে প্রোগ্রাম তৈরির সুযোগ করে দেয়।
১৫ ঘণ্টা আগে
গুগলের মালিকানাধীন ইউটিউব গাজায় ইসরায়েলের মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রমাণ থাকা ৭ শতাধিক ভিডিও মুছে দিয়েছে। এমনটাই জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অনুসন্ধানী সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্টারসেপ্ট-এর প্রতিবেদন থেকে। গতকাল বুধবার এই প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দেশে দ্রুতগতির মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারের প্রবণতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অপারেটরগুলো ভিওএলটিই বা ভোল্টি সেবা চালু করেছে। সাধারণ ব্যবহারকারীর জন্য এটি নতুন একটি অভিজ্ঞতা—ভয়েস কল এখন সরাসরি ৪জি নেটওয়ার্ক দিয়ে করা যায়। ফলে ফোন কলের শব্দ শোনা যায় আরও স্পষ্ট, সংযোগ হয় আরও দ্রুত এবং একই সঙ্গে ব্যবহার করা যায় হাই-স্পিড ইন্টারনেট।
ভিওএলটিই কী?
VoLTE-এর পূর্ণরূপ Voice over LTE। সহজ ভাষায়—৪জি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ভয়েস কল করার প্রযুক্তি। সাধারণভাবে ৪জি ইন্টারনেট ব্যবহার করার সময় কল এলে ফোনটি ২জি বা ৩জি নেটওয়ার্কে ফিরে যায়, এতে কল সেটআপ সময় বেড়ে যায় এবং ইন্টারনেটের গতি কমে যায়। ভিওএলটিই প্রযুক্তি ফোনকে একই সঙ্গে ৪জি নেটওয়ার্কে ভয়েস কল এবং ইন্টারনেট ব্যবহার করতে দেয়।
অপারেটরদের ভাষ্য অনুযায়ী, ভিওএলটিই ব্যবহার করলে কণ্ঠস্বরের মান অনেক উন্নত হয়, এইচডি ভয়েস শোনা যায়, কল ধরতে সময় কম লাগে এবং ইন্টারনেট গতি স্থির থাকে।
ভিওএলটিইর গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা
* এইচডি ভয়েস কোয়ালিটি
কলের সময় অপর প্রান্তের কণ্ঠস্বর হবে আরও পরিষ্কার ও ঝকঝকে—যেন একদম পাশেই কথা বলছেন।
* দ্রুত কল সংযোগ
ভিওএলটিই নেটওয়ার্কে কল সেটআপ সময় উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়, ফলে ফোন রিং বাজতে আর দেরি হয় না।
* ইন্টারনেট ব্যবহার বন্ধ হয় না
প্রচলিত নেটওয়ার্কে কল এলে ইন্টারনেট গতিতে পতন ঘটে। ভিওএলটিইতে কল চলাকালীনও ৪জি ইন্টারনেট একই গতিতে ব্যবহার করা যায়—ভিডিও স্ট্রিমিং, ব্রাউজিং বা অ্যাপ ব্যবহারে কোনো বাধা পড়ে না।
* ব্যাটারি ব্যয় কম
নেটওয়ার্ক বারবার ৪জি থেকে ৩জি/২জি-তে স্যুইচ করতে হয় না, ফলে ব্যাটারির চাপ কমে।
* অতিরিক্ত চার্জ নেই
ভিওএলটিই ব্যবহার করলে কোনো অতিরিক্ত ডেটা চার্জ কাটা হয় না, কল চার্জ ঠিক আগের মতোই থাকবে।
কীভাবে ভিওএলটিই চালু করবেন?
ভিওএলটিই সঠিকভাবে ব্যবহারের জন্য কয়েকটি শর্ত পূরণ করতে হবে।
🔷 ৪জি/ইউএসআইএম (USIM) সিম
পুরোনো ২জি/৩জি সিমে ভিওএলটিই কাজ নাও করতে পারে। প্রয়োজন হলে অপারেটরের গ্রাহকসেবায় গিয়ে সিম আপগ্রেড করতে হবে।
🔷 ২. ভিওএলটিই সমর্থিত স্মার্টফোন
মোবাইল সেটিংসে গিয়ে নিশ্চিত করুন ভিওএলটিই অপশন আছে কি না।
Android:
Settings → Mobile Network / SIM & Network → VoLTE / 4G Calling অপশন চালু করুন।
iPhone:
Settings → Mobile Data → Mobile Data Options → Voice & Data → 4G, VoLTE ON
🔷 নেটওয়ার্ক মোডের সঠিক সেটিং
SIM slot with data → Preferred network type = 4G/3G/2G (Auto)
🔷 সফটওয়্যার আপডেট
হ্যান্ডসেট প্রস্তুতকারকের দেওয়া সর্বশেষ সফটওয়্যার আপডেট ইনস্টল করা থাকতে হবে।
🔷 ভিওএলটিই কাভারেজে থাকতে হবে
আপনার অবস্থানে অপারেটরের ৪জি VoLTE কাভারেজ থাকতে হবে।
কোন অপারেটরের ভিওএলটিই আছে?
বাংলাদেশে গ্রামীণফোন, রবি, এয়ারটেল ও টেলিটকের বেশিরভাগ এলাকায় ভিওএলটিই সেবা চালু হয়েছে। তবে মডেল ও এলাকার ভিত্তিতে সাপোর্ট ভিন্ন হতে পারে। ব্যবহারকারী চাইলে অপারেটরের অ্যাপ বা কল সেন্টারের মাধ্যমে নিশ্চিত হতে পারেন।
ভিওএলটিই বাংলাদেশের মোবাইল নেটওয়ার্কে নতুন অভিজ্ঞতা নিয়ে এসেছে। শুধু দ্রুত ইন্টারনেট নয়, এখন একই সঙ্গে উচ্চমানের ভয়েস কলও সম্ভব। স্মার্টফোনে অপশনটি সক্রিয় করলেই ব্যবহার করা যাবে। যে কেউ চাইলে অতিরিক্ত কোনো খরচ ছাড়াই এই আধুনিক প্রযুক্তির সুবিধা নিতে পারেন।

দেশে দ্রুতগতির মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারের প্রবণতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অপারেটরগুলো ভিওএলটিই বা ভোল্টি সেবা চালু করেছে। সাধারণ ব্যবহারকারীর জন্য এটি নতুন একটি অভিজ্ঞতা—ভয়েস কল এখন সরাসরি ৪জি নেটওয়ার্ক দিয়ে করা যায়। ফলে ফোন কলের শব্দ শোনা যায় আরও স্পষ্ট, সংযোগ হয় আরও দ্রুত এবং একই সঙ্গে ব্যবহার করা যায় হাই-স্পিড ইন্টারনেট।
ভিওএলটিই কী?
VoLTE-এর পূর্ণরূপ Voice over LTE। সহজ ভাষায়—৪জি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ভয়েস কল করার প্রযুক্তি। সাধারণভাবে ৪জি ইন্টারনেট ব্যবহার করার সময় কল এলে ফোনটি ২জি বা ৩জি নেটওয়ার্কে ফিরে যায়, এতে কল সেটআপ সময় বেড়ে যায় এবং ইন্টারনেটের গতি কমে যায়। ভিওএলটিই প্রযুক্তি ফোনকে একই সঙ্গে ৪জি নেটওয়ার্কে ভয়েস কল এবং ইন্টারনেট ব্যবহার করতে দেয়।
অপারেটরদের ভাষ্য অনুযায়ী, ভিওএলটিই ব্যবহার করলে কণ্ঠস্বরের মান অনেক উন্নত হয়, এইচডি ভয়েস শোনা যায়, কল ধরতে সময় কম লাগে এবং ইন্টারনেট গতি স্থির থাকে।
ভিওএলটিইর গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা
* এইচডি ভয়েস কোয়ালিটি
কলের সময় অপর প্রান্তের কণ্ঠস্বর হবে আরও পরিষ্কার ও ঝকঝকে—যেন একদম পাশেই কথা বলছেন।
* দ্রুত কল সংযোগ
ভিওএলটিই নেটওয়ার্কে কল সেটআপ সময় উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়, ফলে ফোন রিং বাজতে আর দেরি হয় না।
* ইন্টারনেট ব্যবহার বন্ধ হয় না
প্রচলিত নেটওয়ার্কে কল এলে ইন্টারনেট গতিতে পতন ঘটে। ভিওএলটিইতে কল চলাকালীনও ৪জি ইন্টারনেট একই গতিতে ব্যবহার করা যায়—ভিডিও স্ট্রিমিং, ব্রাউজিং বা অ্যাপ ব্যবহারে কোনো বাধা পড়ে না।
* ব্যাটারি ব্যয় কম
নেটওয়ার্ক বারবার ৪জি থেকে ৩জি/২জি-তে স্যুইচ করতে হয় না, ফলে ব্যাটারির চাপ কমে।
* অতিরিক্ত চার্জ নেই
ভিওএলটিই ব্যবহার করলে কোনো অতিরিক্ত ডেটা চার্জ কাটা হয় না, কল চার্জ ঠিক আগের মতোই থাকবে।
কীভাবে ভিওএলটিই চালু করবেন?
ভিওএলটিই সঠিকভাবে ব্যবহারের জন্য কয়েকটি শর্ত পূরণ করতে হবে।
🔷 ৪জি/ইউএসআইএম (USIM) সিম
পুরোনো ২জি/৩জি সিমে ভিওএলটিই কাজ নাও করতে পারে। প্রয়োজন হলে অপারেটরের গ্রাহকসেবায় গিয়ে সিম আপগ্রেড করতে হবে।
🔷 ২. ভিওএলটিই সমর্থিত স্মার্টফোন
মোবাইল সেটিংসে গিয়ে নিশ্চিত করুন ভিওএলটিই অপশন আছে কি না।
Android:
Settings → Mobile Network / SIM & Network → VoLTE / 4G Calling অপশন চালু করুন।
iPhone:
Settings → Mobile Data → Mobile Data Options → Voice & Data → 4G, VoLTE ON
🔷 নেটওয়ার্ক মোডের সঠিক সেটিং
SIM slot with data → Preferred network type = 4G/3G/2G (Auto)
🔷 সফটওয়্যার আপডেট
হ্যান্ডসেট প্রস্তুতকারকের দেওয়া সর্বশেষ সফটওয়্যার আপডেট ইনস্টল করা থাকতে হবে।
🔷 ভিওএলটিই কাভারেজে থাকতে হবে
আপনার অবস্থানে অপারেটরের ৪জি VoLTE কাভারেজ থাকতে হবে।
কোন অপারেটরের ভিওএলটিই আছে?
বাংলাদেশে গ্রামীণফোন, রবি, এয়ারটেল ও টেলিটকের বেশিরভাগ এলাকায় ভিওএলটিই সেবা চালু হয়েছে। তবে মডেল ও এলাকার ভিত্তিতে সাপোর্ট ভিন্ন হতে পারে। ব্যবহারকারী চাইলে অপারেটরের অ্যাপ বা কল সেন্টারের মাধ্যমে নিশ্চিত হতে পারেন।
ভিওএলটিই বাংলাদেশের মোবাইল নেটওয়ার্কে নতুন অভিজ্ঞতা নিয়ে এসেছে। শুধু দ্রুত ইন্টারনেট নয়, এখন একই সঙ্গে উচ্চমানের ভয়েস কলও সম্ভব। স্মার্টফোনে অপশনটি সক্রিয় করলেই ব্যবহার করা যাবে। যে কেউ চাইলে অতিরিক্ত কোনো খরচ ছাড়াই এই আধুনিক প্রযুক্তির সুবিধা নিতে পারেন।

টেইলর সুইফট, স্কারলেট জোহানসন, অ্যান হ্যাথাওয়ে, সেলেনা গোমেজসহ অনেক সেলিব্রেটির নাম ও চেহারার আদলে ফ্লার্টি বা প্রেমালাপমূলক চ্যাটবট গোপনে তৈরি করেছে বিশ্ববিখ্যাত প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মেটা। আর এজন্য তাদের কোনো রকম অনুমতি নেওয়া হয়নি। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের অনুসন্ধানে এ তথ্য উঠে এসেছে।
৩০ আগস্ট ২০২৫
টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক ইতিহাসের সবচেয়ে বড় করপোরেট বেতন-ভাতা প্যাকেজের অনুমোদন পেয়েছেন। স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার টেসলার শেয়ারহোল্ডাররা তাঁর জন্য প্রস্তাবিত বেতন-ভাতা প্যাকেজে ভোট দিয়ে সমর্থন জানান। এতে ৭৫ শতাংশের বেশি শেয়ারহোল্ডার অনুমোদন দিয়েছেন।
৩ ঘণ্টা আগে
‘ভাইব কোডিং’ শব্দগুচ্ছটি প্রথম ব্যবহার করেন ওপেনএআইয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা আন্দ্রেই কারপাথি। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তিনি ধারণাটি তুলে ধরেন, যাতে বোঝানো হয়, কীভাবে এআই প্রোগ্রামারদের কোড লেখার ঝামেলা থেকে মুক্তি দিতে পারে এবং ‘ভাইব’ বা অনুভূতির ভিত্তিতে প্রোগ্রাম তৈরির সুযোগ করে দেয়।
১৫ ঘণ্টা আগে
গুগলের মালিকানাধীন ইউটিউব গাজায় ইসরায়েলের মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রমাণ থাকা ৭ শতাধিক ভিডিও মুছে দিয়েছে। এমনটাই জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অনুসন্ধানী সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্টারসেপ্ট-এর প্রতিবেদন থেকে। গতকাল বুধবার এই প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

প্রোগ্রামিং শেখা ছাড়াই এখন যে কেউ নিজস্ব অ্যাপ বা ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন—এমনই এক নতুন ধারণা হলো ‘ভাইব কোডিং’। কলিন্স অভিধান (Collins Dictionary) ২০২৫ সালের ‘ওয়ার্ড অব দ্য ইয়ার’ বা বর্ষসেরা হিসেবে এই শব্দগুচ্ছকে বেছে নিয়েছে।
তবে মজার বিষয় হলো, ভাইব কোডিং আসলে দুটি শব্দের সমন্বয়ে তৈরি। এর অর্থ হলো—কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ব্যবহার করে প্রোগ্রামিং কোড না লিখেই কেবল কথার মাধ্যমে কোনো অ্যাপ বা ওয়েবসাইট তৈরি করা।
শব্দগুচ্ছটি প্রথম ব্যবহার করেন ওপেনএআইয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা আন্দ্রেই কারপাথি। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তিনি ধারণাটি তুলে ধরেন, যাতে বোঝানো হয়—কীভাবে এআই প্রোগ্রামারদের কোড লেখার ঝামেলা থেকে মুক্তি দিতে পারে এবং ‘ভাইব’ বা অনুভূতির ভিত্তিতে প্রোগ্রাম তৈরির সুযোগ করে দেয়।
কলিন্সের মতে, ‘ভাইব কোডিং’ শব্দগুচ্ছটি ২০২৫ সালের প্রযুক্তি ও ভাষার বিকাশকে সঠিকভাবে প্রতিফলিত করে। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক অ্যালেক্স বিকরোফট বলেন, এই শব্দগুচ্ছ দেখায় যে—ভাষা ও প্রযুক্তি কীভাবে একসঙ্গে বিবর্তিত হচ্ছে।
এআই-নির্ভর এই পদ্ধতিতে ব্যবহারকারীকে কেবল নির্দেশ দিতে হয়, যেমন—‘আমার জন্য এমন একটি অ্যাপ বানাও, যা আমার সাপ্তাহিক খাবারের সূচি তৈরি করবে।’ এরপর এআই নিজেই সেই অনুযায়ী কোড তৈরি করে অ্যাপ বানায়।
তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, এটি এখনো নিখুঁত নয়—এআইয়ের তৈরি কোড সব সময় কার্যকর হবে বা ত্রুটিমুক্ত থাকবে—এমন নিশ্চয়তা নেই।
‘ভাইব কোডিং’ ছাড়া কলিন্স আরও ৯টি শব্দকে ২০২৫ সালের শর্টলিস্টে রেখেছিল, যেগুলো বছরের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রবণতা প্রতিফলিত করে। সেগুলো হলো—
Clanker (ক্ল্যাঙ্কার): ‘স্টার ওয়ার্স’ চলচ্চিত্র ও গেমে ব্যবহৃত রোবট বোঝাতে ব্যবহৃত একটি শব্দ। এটি ২০২৫ সালে টিকটকে ভাইরাল হয়, তখন ব্যবহারকারীরা এআই-চালিত যন্ত্রের ত্রুটিতে বিরক্তি প্রকাশ করতে শুরু করেন।
Aura farming (অরা ফার্মিং): এমন আচরণ করা, যা শুধু ক্যামেরায় ‘কুল’ দেখাবে বলে মানুষ ইচ্ছাকৃতভাবে এমন কাজ করেন।
Broligarchy: ‘Bro’ ও ‘oligarchy’ মিলে তৈরি শব্দ, যা বিশ্বের বড় প্রযুক্তি কোম্পানির মালিকদের রাজনৈতিক প্রভাব বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে তাঁদের উপস্থিতির পর শব্দটি ব্যাপক আলোচনায় আসে।
Biohacking (বায়োহ্যাকিং): শরীরের প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া পরিবর্তন করে স্বাস্থ্য ও আয়ু বাড়ানোর চেষ্টা।
Coolcation (কুলকেশন): ঠান্ডা আবহাওয়ার দেশে ছুটি কাটানো।
Glaze: কাউকে অতিরিক্ত বা অযথা প্রশংসা করা।
Henry: ‘High Earner, Not Rich Yet’—অর্থাৎ, আয় বেশি হলেও এখনো ধনী নন, এমন ব্যক্তি।
Micro-retirement: চাকরির দুই পর্বের মধ্যবর্তী সময়ে ব্যক্তিগত প্রয়োজনে নেওয়া ছোট বিরতি।
Taskmasking (টাস্কমাস্কিং): কর্মক্ষেত্রে কাজের ভান করা বা ব্যস্ত থাকার ছদ্মবেশ তৈরি করা।

প্রোগ্রামিং শেখা ছাড়াই এখন যে কেউ নিজস্ব অ্যাপ বা ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন—এমনই এক নতুন ধারণা হলো ‘ভাইব কোডিং’। কলিন্স অভিধান (Collins Dictionary) ২০২৫ সালের ‘ওয়ার্ড অব দ্য ইয়ার’ বা বর্ষসেরা হিসেবে এই শব্দগুচ্ছকে বেছে নিয়েছে।
তবে মজার বিষয় হলো, ভাইব কোডিং আসলে দুটি শব্দের সমন্বয়ে তৈরি। এর অর্থ হলো—কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ব্যবহার করে প্রোগ্রামিং কোড না লিখেই কেবল কথার মাধ্যমে কোনো অ্যাপ বা ওয়েবসাইট তৈরি করা।
শব্দগুচ্ছটি প্রথম ব্যবহার করেন ওপেনএআইয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা আন্দ্রেই কারপাথি। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তিনি ধারণাটি তুলে ধরেন, যাতে বোঝানো হয়—কীভাবে এআই প্রোগ্রামারদের কোড লেখার ঝামেলা থেকে মুক্তি দিতে পারে এবং ‘ভাইব’ বা অনুভূতির ভিত্তিতে প্রোগ্রাম তৈরির সুযোগ করে দেয়।
কলিন্সের মতে, ‘ভাইব কোডিং’ শব্দগুচ্ছটি ২০২৫ সালের প্রযুক্তি ও ভাষার বিকাশকে সঠিকভাবে প্রতিফলিত করে। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক অ্যালেক্স বিকরোফট বলেন, এই শব্দগুচ্ছ দেখায় যে—ভাষা ও প্রযুক্তি কীভাবে একসঙ্গে বিবর্তিত হচ্ছে।
এআই-নির্ভর এই পদ্ধতিতে ব্যবহারকারীকে কেবল নির্দেশ দিতে হয়, যেমন—‘আমার জন্য এমন একটি অ্যাপ বানাও, যা আমার সাপ্তাহিক খাবারের সূচি তৈরি করবে।’ এরপর এআই নিজেই সেই অনুযায়ী কোড তৈরি করে অ্যাপ বানায়।
তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, এটি এখনো নিখুঁত নয়—এআইয়ের তৈরি কোড সব সময় কার্যকর হবে বা ত্রুটিমুক্ত থাকবে—এমন নিশ্চয়তা নেই।
‘ভাইব কোডিং’ ছাড়া কলিন্স আরও ৯টি শব্দকে ২০২৫ সালের শর্টলিস্টে রেখেছিল, যেগুলো বছরের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রবণতা প্রতিফলিত করে। সেগুলো হলো—
Clanker (ক্ল্যাঙ্কার): ‘স্টার ওয়ার্স’ চলচ্চিত্র ও গেমে ব্যবহৃত রোবট বোঝাতে ব্যবহৃত একটি শব্দ। এটি ২০২৫ সালে টিকটকে ভাইরাল হয়, তখন ব্যবহারকারীরা এআই-চালিত যন্ত্রের ত্রুটিতে বিরক্তি প্রকাশ করতে শুরু করেন।
Aura farming (অরা ফার্মিং): এমন আচরণ করা, যা শুধু ক্যামেরায় ‘কুল’ দেখাবে বলে মানুষ ইচ্ছাকৃতভাবে এমন কাজ করেন।
Broligarchy: ‘Bro’ ও ‘oligarchy’ মিলে তৈরি শব্দ, যা বিশ্বের বড় প্রযুক্তি কোম্পানির মালিকদের রাজনৈতিক প্রভাব বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে তাঁদের উপস্থিতির পর শব্দটি ব্যাপক আলোচনায় আসে।
Biohacking (বায়োহ্যাকিং): শরীরের প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া পরিবর্তন করে স্বাস্থ্য ও আয়ু বাড়ানোর চেষ্টা।
Coolcation (কুলকেশন): ঠান্ডা আবহাওয়ার দেশে ছুটি কাটানো।
Glaze: কাউকে অতিরিক্ত বা অযথা প্রশংসা করা।
Henry: ‘High Earner, Not Rich Yet’—অর্থাৎ, আয় বেশি হলেও এখনো ধনী নন, এমন ব্যক্তি।
Micro-retirement: চাকরির দুই পর্বের মধ্যবর্তী সময়ে ব্যক্তিগত প্রয়োজনে নেওয়া ছোট বিরতি।
Taskmasking (টাস্কমাস্কিং): কর্মক্ষেত্রে কাজের ভান করা বা ব্যস্ত থাকার ছদ্মবেশ তৈরি করা।

টেইলর সুইফট, স্কারলেট জোহানসন, অ্যান হ্যাথাওয়ে, সেলেনা গোমেজসহ অনেক সেলিব্রেটির নাম ও চেহারার আদলে ফ্লার্টি বা প্রেমালাপমূলক চ্যাটবট গোপনে তৈরি করেছে বিশ্ববিখ্যাত প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মেটা। আর এজন্য তাদের কোনো রকম অনুমতি নেওয়া হয়নি। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের অনুসন্ধানে এ তথ্য উঠে এসেছে।
৩০ আগস্ট ২০২৫
টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক ইতিহাসের সবচেয়ে বড় করপোরেট বেতন-ভাতা প্যাকেজের অনুমোদন পেয়েছেন। স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার টেসলার শেয়ারহোল্ডাররা তাঁর জন্য প্রস্তাবিত বেতন-ভাতা প্যাকেজে ভোট দিয়ে সমর্থন জানান। এতে ৭৫ শতাংশের বেশি শেয়ারহোল্ডার অনুমোদন দিয়েছেন।
৩ ঘণ্টা আগে
দেশে দ্রুতগতির মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারের প্রবণতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অপারেটরগুলো ভিওএলটিই বা ভোল্টি সেবা চালু করেছে। সাধারণ ব্যবহারকারীর জন্য এটি নতুন একটি অভিজ্ঞতা—ভয়েস কল এখন সরাসরি ৪জি নেটওয়ার্ক দিয়ে করা যায়। ফলে ফোন কলের শব্দ শোনা যায় আরও স্পষ্ট, সংযোগ হয় আরও দ্রুত এবং একই সঙ্গে ব্যবহার করা
১৪ ঘণ্টা আগে
গুগলের মালিকানাধীন ইউটিউব গাজায় ইসরায়েলের মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রমাণ থাকা ৭ শতাধিক ভিডিও মুছে দিয়েছে। এমনটাই জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অনুসন্ধানী সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্টারসেপ্ট-এর প্রতিবেদন থেকে। গতকাল বুধবার এই প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে।
১ দিন আগেদ্য ইন্টারসেপ্টের প্রতিবেদন
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

গুগলের মালিকানাধীন ইউটিউব গাজায় ইসরায়েলের মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রমাণ থাকা ৭ শতাধিক ভিডিও মুছে দিয়েছে। এমনটাই জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অনুসন্ধানী সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্টারসেপ্ট-এর প্রতিবেদন থেকে। গতকাল বুধবার এই প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে।
দ্য ইন্টারসেপ্ট বলেছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতকে (আইসিসি) যেসব ফিলিস্তিনি মানবাধিকার সংস্থা এসব ভিডিও প্রমাণ দিয়েছে, সেগুলোর ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আছে—এ অজুহাতে ইউটিউব ভিডিওগুলো ডিলিট করে দিয়েছে। তদন্তে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন তিনটি ফিলিস্তিনি সংগঠনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। কারণ, এসব সংগঠন ইসরায়েলি নেতাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের মামলায় আইসিসির সঙ্গে কাজ করছে।
নিষেধাজ্ঞা পাওয়া সংগঠনগুলো হলো—আল-হক্ক, আল-মিজান সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস এবং প্যালেস্টাইনিয়ান সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস। চলতি বছরের অক্টোবরের শুরুতে ভিডিওগুলো সরিয়ে দেওয়া হয়। এতে গাজা ও দখলকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি নৃশংসতার বছরের পর বছর ধরে সংরক্ষিত নথি হারিয়ে গেছে। সেই ভিডিওগুলোতে ছিল ঘরবাড়ি ধ্বংস, সাধারণ মানুষকে হত্যা এবং ফিলিস্তিনিদের ওপর চালানো নির্যাতনের সাক্ষ্য।
মুছে দেওয়া ভিডিওগুলোর মধ্যে ছিল ফিলিস্তিনি–আমেরিকান সাংবাদিক শিরিন আবু আকলেহ হত্যার তদন্তমূলক ফুটেজ এবং ‘দ্য বিচ’ নামের প্রামাণ্যচিত্র, যেখানে দেখানো হয়েছিল সমুদ্রের ধারে খেলার সময় ইসরায়েলি বিমান হামলায় শিশুদের মৃত্যু।
ইউটিউব স্বীকার করেছে, ট্রাম্প প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে গিয়ে তারা ‘বাণিজ্য ও রপ্তানি আইন’ মেনে ভিডিওগুলো সরিয়েছে। মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, ইউটিউবের এই পদক্ষেপ কার্যত যুক্তরাষ্ট্রের সেই প্রচেষ্টাকেই সহায়তা করছে, যার লক্ষ্য ইসরায়েলি অপরাধের প্রমাণ গোপন রাখা।
ডেমোক্রেসি ফর দ্য আরব ওয়ার্ল্ড নাউ-এর পরিচালক সারা লিয়া হুইটসন বলেন, ‘এটা বিশ্বাস করা কঠিন যে এই সংগঠনগুলোর তথ্য শেয়ার করা কোনো নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন হতে পারে।’ আরেক মানবাধিকার সংগঠন সেন্টার ফর কনস্টিটিউশনাল রাইটস ইউটিউবের সিদ্ধান্তকে যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ মুছে ফেলার চেষ্টা হিসেবে নিন্দা জানিয়েছে। আর আল-হক্ব জানিয়েছে, এটি মানবাধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার জন্য এক ‘ভয়ংকর পশ্চাৎপদতা।’
প্যালেস্টাইনিয়ান সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস বলেছে, ইউটিউবের পদক্ষেপ অপরাধীদের জবাবদিহি থেকে রক্ষা করছে। তারা গুগলের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি আগ্রাসনের শিকারদের কণ্ঠ রুদ্ধ করার ষড়যন্ত্রে অংশ নেওয়ার অভিযোগ এনেছে। আল-মিজান জানিয়েছে, তাদের চ্যানেল কোনো ধরনের সতর্কতা ছাড়াই মুছে দেওয়া হয়েছে। তিন সংগঠনই সতর্ক করেছে, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অন্যান্য প্ল্যাটফর্মেও একই ধরনের সেন্সরশিপ আসতে পারে, যাতে আরও অনেক যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ হারিয়ে যেতে পারে।
দ্য ইন্টারসেপ্ট জানিয়েছে, ইউটিউবের এই আচরণ পক্ষপাতদুষ্ট। প্রো-ইসরায়েল ভিডিওগুলো বেশির ভাগই অক্ষত থাকলেও ফিলিস্তিনি বর্ণনা বা তথ্য নিয়মিতভাবে টার্গেট করা হচ্ছে। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, ইউটিউব সহজেই ট্রাম্প প্রশাসন ও ইসরায়েল—দু’পক্ষের চাপের কাছে নতি স্বীকার করেছে।
এই দমন অভিযান শুরু হয় এমন এক সময়, যখন যুক্তরাষ্ট্র আবারও ইসরায়েলি নেতাদের রক্ষা করতে তৎপর। কারণ, আইসিসি গাজার যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। এর পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র আইসিসির বিচারক ও আদালতের সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
এদিকে, গত ২৮ অক্টোবর উইকিপিডিয়ায় ‘গাজা গণহত্যা’ শিরোনামের পেজটি সম্পাদনা থেকে লক করে দেওয়ার পর প্রতিষ্ঠানটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা জিমি ওয়েলস হস্তক্ষেপ করেন। ওয়েলস ওই পেজটিকে ‘বিশেষভাবে পক্ষপাতদুষ্ট’ বলে দাবি করেন এবং বলেন, এটি ‘তাৎক্ষণিকভাবে সংশোধন’ করা দরকার, যাতে ‘নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি’ প্রতিফলিত হয়।
তাঁর এই মন্তব্যের পর সম্পাদকেরা তাঁকে তীব্র সমালোচনা করেন। তাঁদের অভিযোগ, ওয়েলস রাজনৈতিক চাপে নতি স্বীকার করেছেন এবং জাতিসংঘ ও একাডেমিক গবেষণায় যে প্রমাণে ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডকে গণহত্যা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, তা খর্ব করার চেষ্টা করছেন।

গুগলের মালিকানাধীন ইউটিউব গাজায় ইসরায়েলের মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রমাণ থাকা ৭ শতাধিক ভিডিও মুছে দিয়েছে। এমনটাই জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অনুসন্ধানী সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্টারসেপ্ট-এর প্রতিবেদন থেকে। গতকাল বুধবার এই প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে।
দ্য ইন্টারসেপ্ট বলেছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতকে (আইসিসি) যেসব ফিলিস্তিনি মানবাধিকার সংস্থা এসব ভিডিও প্রমাণ দিয়েছে, সেগুলোর ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আছে—এ অজুহাতে ইউটিউব ভিডিওগুলো ডিলিট করে দিয়েছে। তদন্তে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন তিনটি ফিলিস্তিনি সংগঠনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। কারণ, এসব সংগঠন ইসরায়েলি নেতাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের মামলায় আইসিসির সঙ্গে কাজ করছে।
নিষেধাজ্ঞা পাওয়া সংগঠনগুলো হলো—আল-হক্ক, আল-মিজান সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস এবং প্যালেস্টাইনিয়ান সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস। চলতি বছরের অক্টোবরের শুরুতে ভিডিওগুলো সরিয়ে দেওয়া হয়। এতে গাজা ও দখলকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি নৃশংসতার বছরের পর বছর ধরে সংরক্ষিত নথি হারিয়ে গেছে। সেই ভিডিওগুলোতে ছিল ঘরবাড়ি ধ্বংস, সাধারণ মানুষকে হত্যা এবং ফিলিস্তিনিদের ওপর চালানো নির্যাতনের সাক্ষ্য।
মুছে দেওয়া ভিডিওগুলোর মধ্যে ছিল ফিলিস্তিনি–আমেরিকান সাংবাদিক শিরিন আবু আকলেহ হত্যার তদন্তমূলক ফুটেজ এবং ‘দ্য বিচ’ নামের প্রামাণ্যচিত্র, যেখানে দেখানো হয়েছিল সমুদ্রের ধারে খেলার সময় ইসরায়েলি বিমান হামলায় শিশুদের মৃত্যু।
ইউটিউব স্বীকার করেছে, ট্রাম্প প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে গিয়ে তারা ‘বাণিজ্য ও রপ্তানি আইন’ মেনে ভিডিওগুলো সরিয়েছে। মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, ইউটিউবের এই পদক্ষেপ কার্যত যুক্তরাষ্ট্রের সেই প্রচেষ্টাকেই সহায়তা করছে, যার লক্ষ্য ইসরায়েলি অপরাধের প্রমাণ গোপন রাখা।
ডেমোক্রেসি ফর দ্য আরব ওয়ার্ল্ড নাউ-এর পরিচালক সারা লিয়া হুইটসন বলেন, ‘এটা বিশ্বাস করা কঠিন যে এই সংগঠনগুলোর তথ্য শেয়ার করা কোনো নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন হতে পারে।’ আরেক মানবাধিকার সংগঠন সেন্টার ফর কনস্টিটিউশনাল রাইটস ইউটিউবের সিদ্ধান্তকে যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ মুছে ফেলার চেষ্টা হিসেবে নিন্দা জানিয়েছে। আর আল-হক্ব জানিয়েছে, এটি মানবাধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার জন্য এক ‘ভয়ংকর পশ্চাৎপদতা।’
প্যালেস্টাইনিয়ান সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস বলেছে, ইউটিউবের পদক্ষেপ অপরাধীদের জবাবদিহি থেকে রক্ষা করছে। তারা গুগলের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি আগ্রাসনের শিকারদের কণ্ঠ রুদ্ধ করার ষড়যন্ত্রে অংশ নেওয়ার অভিযোগ এনেছে। আল-মিজান জানিয়েছে, তাদের চ্যানেল কোনো ধরনের সতর্কতা ছাড়াই মুছে দেওয়া হয়েছে। তিন সংগঠনই সতর্ক করেছে, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অন্যান্য প্ল্যাটফর্মেও একই ধরনের সেন্সরশিপ আসতে পারে, যাতে আরও অনেক যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ হারিয়ে যেতে পারে।
দ্য ইন্টারসেপ্ট জানিয়েছে, ইউটিউবের এই আচরণ পক্ষপাতদুষ্ট। প্রো-ইসরায়েল ভিডিওগুলো বেশির ভাগই অক্ষত থাকলেও ফিলিস্তিনি বর্ণনা বা তথ্য নিয়মিতভাবে টার্গেট করা হচ্ছে। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, ইউটিউব সহজেই ট্রাম্প প্রশাসন ও ইসরায়েল—দু’পক্ষের চাপের কাছে নতি স্বীকার করেছে।
এই দমন অভিযান শুরু হয় এমন এক সময়, যখন যুক্তরাষ্ট্র আবারও ইসরায়েলি নেতাদের রক্ষা করতে তৎপর। কারণ, আইসিসি গাজার যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। এর পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র আইসিসির বিচারক ও আদালতের সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
এদিকে, গত ২৮ অক্টোবর উইকিপিডিয়ায় ‘গাজা গণহত্যা’ শিরোনামের পেজটি সম্পাদনা থেকে লক করে দেওয়ার পর প্রতিষ্ঠানটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা জিমি ওয়েলস হস্তক্ষেপ করেন। ওয়েলস ওই পেজটিকে ‘বিশেষভাবে পক্ষপাতদুষ্ট’ বলে দাবি করেন এবং বলেন, এটি ‘তাৎক্ষণিকভাবে সংশোধন’ করা দরকার, যাতে ‘নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি’ প্রতিফলিত হয়।
তাঁর এই মন্তব্যের পর সম্পাদকেরা তাঁকে তীব্র সমালোচনা করেন। তাঁদের অভিযোগ, ওয়েলস রাজনৈতিক চাপে নতি স্বীকার করেছেন এবং জাতিসংঘ ও একাডেমিক গবেষণায় যে প্রমাণে ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডকে গণহত্যা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, তা খর্ব করার চেষ্টা করছেন।

টেইলর সুইফট, স্কারলেট জোহানসন, অ্যান হ্যাথাওয়ে, সেলেনা গোমেজসহ অনেক সেলিব্রেটির নাম ও চেহারার আদলে ফ্লার্টি বা প্রেমালাপমূলক চ্যাটবট গোপনে তৈরি করেছে বিশ্ববিখ্যাত প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মেটা। আর এজন্য তাদের কোনো রকম অনুমতি নেওয়া হয়নি। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের অনুসন্ধানে এ তথ্য উঠে এসেছে।
৩০ আগস্ট ২০২৫
টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক ইতিহাসের সবচেয়ে বড় করপোরেট বেতন-ভাতা প্যাকেজের অনুমোদন পেয়েছেন। স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার টেসলার শেয়ারহোল্ডাররা তাঁর জন্য প্রস্তাবিত বেতন-ভাতা প্যাকেজে ভোট দিয়ে সমর্থন জানান। এতে ৭৫ শতাংশের বেশি শেয়ারহোল্ডার অনুমোদন দিয়েছেন।
৩ ঘণ্টা আগে
দেশে দ্রুতগতির মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারের প্রবণতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অপারেটরগুলো ভিওএলটিই বা ভোল্টি সেবা চালু করেছে। সাধারণ ব্যবহারকারীর জন্য এটি নতুন একটি অভিজ্ঞতা—ভয়েস কল এখন সরাসরি ৪জি নেটওয়ার্ক দিয়ে করা যায়। ফলে ফোন কলের শব্দ শোনা যায় আরও স্পষ্ট, সংযোগ হয় আরও দ্রুত এবং একই সঙ্গে ব্যবহার করা
১৪ ঘণ্টা আগে
‘ভাইব কোডিং’ শব্দগুচ্ছটি প্রথম ব্যবহার করেন ওপেনএআইয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা আন্দ্রেই কারপাথি। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তিনি ধারণাটি তুলে ধরেন, যাতে বোঝানো হয়, কীভাবে এআই প্রোগ্রামারদের কোড লেখার ঝামেলা থেকে মুক্তি দিতে পারে এবং ‘ভাইব’ বা অনুভূতির ভিত্তিতে প্রোগ্রাম তৈরির সুযোগ করে দেয়।
১৫ ঘণ্টা আগে