ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি এবং শেয়ারহোল্ডারদের মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বেশ কিছু গুরুতর আইনি ও পেশাগত জটিলতার সম্মুখীন হচ্ছেন মেটার সাবেক প্রধান অপারেটিং কর্মকর্তা (সিওও) শেরিল স্যান্ডবার্গ। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, একটি মামলার সঙ্গে সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ ই-মেইল মুছে ফেলার অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণের জন্য স্যান্ডবার্গকে প্রমাণ হাজির করতে বলেছেন ডেলাওয়্যারের একটি আদালত। পর্যাপ্ত প্রমাণ না পেলে তার বিরুদ্ধে জরিমানা, শাস্তিমূলক ব্যবস্থা বা অন্য কোনো আইনি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে।
২০২২ সালে শেরিল স্যান্ডেলের মেটা থেকে পদত্যাগের পর মার্ক জাকারবার্গ ও তার মধ্যে উত্তেজনা জনসাধারণের সামনে উঠে এসেছে। সম্প্রতি প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, জাকারবার্গ শেরিল স্যান্ডবার্গের বিরুদ্ধে সমালোচনা করেছেন। বিশেষ করে কোম্পানির সংস্কৃতি ও অন্তর্ভুক্তির নীতির প্রতি তাঁর ভূমিকা নিয়ে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাবেক সিনিয়র উপদেষ্টা স্টিফেন মিলারের সঙ্গে একটি বৈঠকে এই সমালোচনা করেন জাকারবার্গ।
মেটার অভ্যন্তরীণ নেতৃত্ব এবং করপোরেট নীতির সঙ্গে সম্পর্কিত চলমান চ্যালেঞ্জের একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে এই বিরোধ। কিছুদিন আগে শেরিল স্যান্ডবার্গের বিরুদ্ধে ফেসবুকের ডেটা নিরাপত্তা সমস্যার সঙ্গে সম্পর্কিত একটি আইনি মামলায় জড়িত হওয়ার খবর সামনে। এরপরই তাকে নিয়ে সমালোচনা করেন জাকারবার্গ।
২০২৪ সালের শেষের দিকে শেরিল স্যান্ডবার্গ এবং মেটার প্রাক্তন বোর্ড সদস্য জেফ জিয়েন্টসের বিরুদ্ধে মামলা করেন শেয়ারহোল্ডাররা। শেয়ারহোল্ডাররা দাবি করেছেন যে, ২০১৮ সালের একটি মামলার সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়গুলো আলোচনা করতে ব্যক্তিগত ইমেইল অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেছেন স্যান্ডবার্গ এবং জিয়েন্টস।
ই-মেইলে আলোচনাগুলোতে ফেসবুকের ব্যবহারকারীদের ডেটা পরিচালনার বিষয়, বিশেষ করে কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা কেলেঙ্কারি সম্পর্কিত বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল।
মামলাকারীরা দাবি করেছেন যে, আদালতের একটি আদেশ ছিল যে, সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ নথি সংরক্ষণ করতে হবে। তবে নিজেদের অ্যাকাউন্ট থেকে ই-মেইলগুলো মুছে ফেলেন স্যান্ডবার্গ ও জিয়েন্টস। শেয়ারহোল্ডারদের অভিযোগ হলো—এ ধরনের কার্যকলাপ আইনগত বাধ্যবাধকতা লঙ্ঘন করার পাশাপাশি কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা কেলেঙ্কারি নিয়ে উত্থাপিত গোপনীয়তা উদ্বেগ সমাধানে যে স্বচ্ছতা প্রয়োজন ছিল তাও ক্ষুণ্ন করেছে।
২০২৪ সালের শেষ দিকে শেয়ারহোল্ডাররা একটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় অভিযোগ করেন যে, ২০১৮ সালের একটি মামলার বিষয়ে আলোচনা করতে স্যান্ডবার্গ ও মেটার প্রাক্তন বোর্ড সদস্য জেফ জিয়েন্টস ব্যক্তিগত ই-মেইল অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেছেন। স্যান্ডবার্গ ও জিয়েন্টস গোপনীয় আলোচনার জন্য ব্যক্তিগত ই-মেইল ব্যবহার করেছেন, এমনকি আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে এসব ই-মেইল মুছে ফেলেছেন।
ডেলাওয়্যার আদালত সম্প্রতি মামলাটি পর্যবেক্ষণ করে স্যান্ডবার্গের বিরুদ্ধে অভিযোগসমূহের সত্যতা পেয়েছে। আদালত উল্লেখ করেছে যে, স্যান্ডবার্গ একটি ছদ্মনাম ব্যবহার করে ব্যক্তিগত ই-মেইলে বিষয়গুলো আলোচনা করেছেন এবং তার উত্তরগুলোতে অসংগতি রয়েছে। এর ফলে বোঝা যায় যে, তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে ই-মেইল মুছে ফেলেছেন।
তাই স্যান্ডবার্গকে নির্দোষ প্রমাণের জন্য কঠোর মানদণ্ড নির্ধারণ করেছেন আদালত। এর ফলে মামলাটি জয় করা আরও কঠিন করে তুলবে।
এই আদালতের সিদ্ধান্তের পর শেরিল স্যান্ডবার্গের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। বিবৃতি বলা হয়েছে, ‘সব কর্মসংক্রান্ত ই-মেইল ফেসবুকের সার্ভারে সংরক্ষিত ছিল’ এবং স্যান্ডবার্গের আইনজীবীরা দাবি করেছেন যে, অভিযোগগুলো মিথ্যা এবং অনিচ্ছাকৃতভাবে ই-মেইলগুলো মুছে ফেলা হয়।
শেরিল স্যান্ডবার্গের বিরুদ্ধে আনা এসব অভিযোগ ২০১৮ সালের কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা কেলেঙ্কারির সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত। কেমব্রিজ অ্যানালিটিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, ফেসবুক ব্যবহারকারীদের অনুমতি ছাড়াই তাদের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করে এই প্রতিষ্ঠান। এই কেলেঙ্কারির ফলে মেটা নিয় ব্যাপক সমালোচনা হয়। সেই সঙ্গে কোম্পানিটিকে আইনগত চাপের মধ্যে ফেলেছিল। এই মামলার ফলে মেটাকে ৫ বিলিয়ন ডলার জরিমানা করা হয়েছিল।
স্যান্ডবার্গ ও জিয়েন্টসের বিরুদ্ধে দায়ের করা শেয়ারহোল্ডারদের মামলা এখন মেটার বৃহত্তর আইনি জটিলতার অংশ হিসেবে উঠেছে, যা কোম্পানির ডেটা প্রাইভেসি ও স্বচ্ছতার ওপর গভীর প্রশ্ন উত্থাপন করছে।
তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি এবং শেয়ারহোল্ডারদের মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বেশ কিছু গুরুতর আইনি ও পেশাগত জটিলতার সম্মুখীন হচ্ছেন মেটার সাবেক প্রধান অপারেটিং কর্মকর্তা (সিওও) শেরিল স্যান্ডবার্গ। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, একটি মামলার সঙ্গে সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ ই-মেইল মুছে ফেলার অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণের জন্য স্যান্ডবার্গকে প্রমাণ হাজির করতে বলেছেন ডেলাওয়্যারের একটি আদালত। পর্যাপ্ত প্রমাণ না পেলে তার বিরুদ্ধে জরিমানা, শাস্তিমূলক ব্যবস্থা বা অন্য কোনো আইনি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে।
২০২২ সালে শেরিল স্যান্ডেলের মেটা থেকে পদত্যাগের পর মার্ক জাকারবার্গ ও তার মধ্যে উত্তেজনা জনসাধারণের সামনে উঠে এসেছে। সম্প্রতি প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, জাকারবার্গ শেরিল স্যান্ডবার্গের বিরুদ্ধে সমালোচনা করেছেন। বিশেষ করে কোম্পানির সংস্কৃতি ও অন্তর্ভুক্তির নীতির প্রতি তাঁর ভূমিকা নিয়ে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাবেক সিনিয়র উপদেষ্টা স্টিফেন মিলারের সঙ্গে একটি বৈঠকে এই সমালোচনা করেন জাকারবার্গ।
মেটার অভ্যন্তরীণ নেতৃত্ব এবং করপোরেট নীতির সঙ্গে সম্পর্কিত চলমান চ্যালেঞ্জের একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে এই বিরোধ। কিছুদিন আগে শেরিল স্যান্ডবার্গের বিরুদ্ধে ফেসবুকের ডেটা নিরাপত্তা সমস্যার সঙ্গে সম্পর্কিত একটি আইনি মামলায় জড়িত হওয়ার খবর সামনে। এরপরই তাকে নিয়ে সমালোচনা করেন জাকারবার্গ।
২০২৪ সালের শেষের দিকে শেরিল স্যান্ডবার্গ এবং মেটার প্রাক্তন বোর্ড সদস্য জেফ জিয়েন্টসের বিরুদ্ধে মামলা করেন শেয়ারহোল্ডাররা। শেয়ারহোল্ডাররা দাবি করেছেন যে, ২০১৮ সালের একটি মামলার সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়গুলো আলোচনা করতে ব্যক্তিগত ইমেইল অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেছেন স্যান্ডবার্গ এবং জিয়েন্টস।
ই-মেইলে আলোচনাগুলোতে ফেসবুকের ব্যবহারকারীদের ডেটা পরিচালনার বিষয়, বিশেষ করে কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা কেলেঙ্কারি সম্পর্কিত বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল।
মামলাকারীরা দাবি করেছেন যে, আদালতের একটি আদেশ ছিল যে, সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ নথি সংরক্ষণ করতে হবে। তবে নিজেদের অ্যাকাউন্ট থেকে ই-মেইলগুলো মুছে ফেলেন স্যান্ডবার্গ ও জিয়েন্টস। শেয়ারহোল্ডারদের অভিযোগ হলো—এ ধরনের কার্যকলাপ আইনগত বাধ্যবাধকতা লঙ্ঘন করার পাশাপাশি কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা কেলেঙ্কারি নিয়ে উত্থাপিত গোপনীয়তা উদ্বেগ সমাধানে যে স্বচ্ছতা প্রয়োজন ছিল তাও ক্ষুণ্ন করেছে।
২০২৪ সালের শেষ দিকে শেয়ারহোল্ডাররা একটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় অভিযোগ করেন যে, ২০১৮ সালের একটি মামলার বিষয়ে আলোচনা করতে স্যান্ডবার্গ ও মেটার প্রাক্তন বোর্ড সদস্য জেফ জিয়েন্টস ব্যক্তিগত ই-মেইল অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেছেন। স্যান্ডবার্গ ও জিয়েন্টস গোপনীয় আলোচনার জন্য ব্যক্তিগত ই-মেইল ব্যবহার করেছেন, এমনকি আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে এসব ই-মেইল মুছে ফেলেছেন।
ডেলাওয়্যার আদালত সম্প্রতি মামলাটি পর্যবেক্ষণ করে স্যান্ডবার্গের বিরুদ্ধে অভিযোগসমূহের সত্যতা পেয়েছে। আদালত উল্লেখ করেছে যে, স্যান্ডবার্গ একটি ছদ্মনাম ব্যবহার করে ব্যক্তিগত ই-মেইলে বিষয়গুলো আলোচনা করেছেন এবং তার উত্তরগুলোতে অসংগতি রয়েছে। এর ফলে বোঝা যায় যে, তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে ই-মেইল মুছে ফেলেছেন।
তাই স্যান্ডবার্গকে নির্দোষ প্রমাণের জন্য কঠোর মানদণ্ড নির্ধারণ করেছেন আদালত। এর ফলে মামলাটি জয় করা আরও কঠিন করে তুলবে।
এই আদালতের সিদ্ধান্তের পর শেরিল স্যান্ডবার্গের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। বিবৃতি বলা হয়েছে, ‘সব কর্মসংক্রান্ত ই-মেইল ফেসবুকের সার্ভারে সংরক্ষিত ছিল’ এবং স্যান্ডবার্গের আইনজীবীরা দাবি করেছেন যে, অভিযোগগুলো মিথ্যা এবং অনিচ্ছাকৃতভাবে ই-মেইলগুলো মুছে ফেলা হয়।
শেরিল স্যান্ডবার্গের বিরুদ্ধে আনা এসব অভিযোগ ২০১৮ সালের কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা কেলেঙ্কারির সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত। কেমব্রিজ অ্যানালিটিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, ফেসবুক ব্যবহারকারীদের অনুমতি ছাড়াই তাদের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করে এই প্রতিষ্ঠান। এই কেলেঙ্কারির ফলে মেটা নিয় ব্যাপক সমালোচনা হয়। সেই সঙ্গে কোম্পানিটিকে আইনগত চাপের মধ্যে ফেলেছিল। এই মামলার ফলে মেটাকে ৫ বিলিয়ন ডলার জরিমানা করা হয়েছিল।
স্যান্ডবার্গ ও জিয়েন্টসের বিরুদ্ধে দায়ের করা শেয়ারহোল্ডারদের মামলা এখন মেটার বৃহত্তর আইনি জটিলতার অংশ হিসেবে উঠেছে, যা কোম্পানির ডেটা প্রাইভেসি ও স্বচ্ছতার ওপর গভীর প্রশ্ন উত্থাপন করছে।
তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
প্রতিদিন লাখ লাখ ভিডিও আপলোড হয় ইউটিউবে। এই বিপুল পরিমাণ ভিডিওর ভিড়ে আপনার তৈরি ভিডিওটি সঠিক দর্শকের কাছে পৌঁছানো নিঃসন্দেহে একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তাই শুধু ভালো কনটেন্ট তৈরি করলেই হবে না, আপনাকে ভিউ বাড়ানোর বিভিন্ন কৌশলও জানতে হবে। আর সেই কৌশলগুলোর মধ্য অন্যতম হলো—সঠিকভাবে ভিডিওতে ট্যাগ ব্যবহার করা।
২ ঘণ্টা আগেনতুন আইফোন মডেলগুলোর জন্য ডিজিটাল ইমেজ বা ক্যামেরা সেন্সর তৈরিতে স্যামসাংয়ের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছে অ্যাপল। এই চুক্তি সম্পর্কে অবগত একাধিক সূত্রের বরাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস।
১৭ ঘণ্টা আগেকৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ‘ওয়ার্ল্ড মডেল’-এর নতুন সংস্করণ জিনি ৩ চালু করেছে গুগল ডিপমাইন্ড। মাত্র একটি প্রম্পটের মাধ্যমে এই মডেল বাস্তসম্মত ত্রিমাত্রিক (৩ ডি) জগৎ তৈরি করে, যেখানে মানুষ ও এআই একসঙ্গে চলাফেলা ও মিথস্ক্রিয়া করতে পারবে। ডিপমাইন্ড বলছে, এটি এমন এক প্রযুক্তি যা মানুষের মতো...
১৯ ঘণ্টা আগেব্যবহারকারীদের জন্য ইনস্টাগ্রামে নতুন তিন ফিচার আনছে ইনস্টাগ্রাম। জনপ্রিয় এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাপে নতুন কয়েকটি ফিচার যুক্ত করেছে মূল প্রতিষ্ঠান মেটা। এতে থাকছে ‘রিপোস্ট’ অপশন, লোকেশন শেয়ারের জন্য ইনস্টাগ্রাম ম্যাপ, এবং রিলসে নতুন ‘ফ্রেন্ডস’ ট্যাব।
২১ ঘণ্টা আগে