মোস্তাফিজ মিঠু, ঢাকা

২০২৩ সালের ১৭ নভেম্বর। এক অনলাইন মিটিংয়ে কয়েক মিনিটের মধ্যে ওপেনএআইয়ের সিইও এবং প্রতিষ্ঠাতা স্যাম অল্টম্যানকে হঠাৎ চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হলো। স্যাম কোনো সাধারণ মানুষ তো নন, তাই তাঁর চাকরি ছাঁটাইয়ের খবরও সাধারণ ছিল না। স্যাম হলেন সেই ব্যক্তি, যিনি এর আগের এক বছরে পুরো বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন।
স্যাম অল্টম্যানকে প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের দিক থেকে ‘আধুনিক দুনিয়ার স্টিভ জবস’ হিসেবে দেখা হয়; বিশেষ করে স্টিভ জবস যেমন উদ্ভাবনী ক্ষমতার মানুষ ছিলেন, স্যাম তার চেয়ে ১০ থেকে ২০ গুণ বেশি উদ্ভাবনী ক্ষমতার অধিকারী হিসেবে বিবেচিত হন। এই তুলনা শুধু মুখেই নয়, তিনি কাজ দিয়েও সেটি প্রমাণ করেছেন। তাঁর প্রতিষ্ঠানের চ্যাটজিপিটি মাত্র দুই মাসে পেয়েছিল ১০০ মিলিয়ন ব্যবহারকারী! কয়েকটি উদাহরণ দিলে বোঝা যাবে, এই অর্জনও কীভাবে ইতিহাস গড়েছে।
এই ১০০ মিলিয়ন ব্যবহারকারী পেতে ইনস্টাগ্রামের সময় লেগেছে প্রায় আড়াই বছর। টিকটিক একই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সময় নিয়েছিল প্রায় এক বছর। কিন্তু চ্যাটজিপিটি মাত্র দুই মাসের মধ্যে ১০০ মিলিয়ন ব্যবহারকারী সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়। সেই সঙ্গে স্যামের নেতৃত্বে ওপেনএআই নামের প্রতিষ্ঠানটির মূল্য পৌঁছে গিয়েছিল শূন্য থেকে ৯০ বিলিয়ন ডলারে!
চাকরি যাওয়ার এই প্রসঙ্গ নিয়ে লেখার পরের অংশে আলোচনা করা যাবে। তার আগে স্যাম অল্টম্যানকে নিয়ে আরও কিছু তথ্য জানিয়ে রাখি।
৮ বছর বয়সে তৈরি করেন কম্পিউটার প্রোগ্রাম
স্যাম অল্টম্যান জন্মেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোতে, ১৯৮৫ সালের এপ্রিলে। ছোটবেলা থেকে কম্পিউটার ও প্রোগ্রামিংয়ে তাঁর আগ্রহ ছিল। মাত্র ৮ বছর বয়সে তিনি নিজের প্রথম কম্পিউটার প্রোগ্রাম তৈরি করেছিলেন। হাইস্কুলে থাকাকালীন তাঁর নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের আগ্রহ আরও তীব্র হয়। স্নাতক স্তরে তিনি স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনার জন্য। তবে কলেজ শেষ করার আগেই তিনি থেমে যান। কারণ, প্রযুক্তি ও স্টার্টআপে কাজের সুযোগ তাঁর কাছে বেশি আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। ২০০৫ সালে ‘লুপ্ট’ নামে নিজের প্রথম স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠা করেন স্যাম। সেটি ছিল লোকেশনভিত্তিক সামাজিক নেটওয়ার্কিং অ্যাপ। এটি যদিও পরে বড় লাভে বিক্রি হয়নি, তবু এটি তাঁকে সিলিকন ভ্যালির স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমে পরিচিতি এনে দেয়।
ক্যারিয়ারে নাটকীয় মোড়
স্যাম মানুষ হিসেবে যেমন বর্ণাঢ্য, তেমনি বর্ণিল তাঁর ক্যারিয়ার। মাত্র ১৯ বছর বয়সে তিনি যুক্ত হন ওয়াই কম্বিনেটরে। এই প্রতিষ্ঠান স্টার্টআপ জগতে সবচেয়ে শক্তিশালী ইনকিউবেটরগুলোর একটি। এটি মূলত নতুন প্রতিষ্ঠানগুলোকে শুরু থেকে সফল করার জন্য ফান্ডিং, পরামর্শ, স্ট্র্যাটেজি ও নেটওয়ার্কিং সুবিধা দিয়ে থাকে। স্যাম অল্টম্যানও ওয়াই কম্বিনেটরে তাঁর ছোট্ট প্রতিষ্ঠানটি নিয়ে যোগ দেন। ইনকিউবেটরের সহায়তায় তিনি সেটিকে বড় করেন এবং পরে বিক্রি করে ৫ মিলিয়ন ডলার আয় করেন। তাঁর এই অর্থ আবার বিভিন্ন টেক স্টার্টআপে বিনিয়োগ করে ১০০ মিলিয়ন ডলার আয় করেন। এরপর তাঁকে ওয়াই কম্বিনেটরের প্রেসিডেন্ট করা হয়। পদটি ছিল হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ডিনের সমমর্যাদার। প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁর প্রভাব পুরো সিলিকন ভ্যালিতে ছড়িয়ে পড়ে।
প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরে যান
ওয়াই কম্বিনেটরের প্রেসিডেন্ট পদ ছেড়ে দিতে পারে—এমন কথা হয়তো কেউ দুঃস্বপ্নেও ভাবেন না। তেমন শোনা যায়নি স্যামের আগে। কয়েক বছর এই পদে কাজ করার পর তিনি উপলব্ধি করেন, তাঁর জীবনে আর নতুন কিছু অর্জনের সুযোগ নেই। তাই তিনি ওয়াই কম্বিনেটরের প্রেসিডেন্ট পদ ছেড়ে দিয়ে ওপেনএআই শুরু করেন।
ওপেনএআইয়ের সূচনা
ওপেনএআই স্যাম অল্টম্যানের নতুন উদ্যোগ। শুরু করেন ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে। এই প্রতিষ্ঠান শুরুর সময় ইলন মাস্কও এতে বিনিয়োগ করেন। স্যামের একটি বিশেষ ক্ষমতা হলো, সহজে বোঝানোর ক্ষমতা অর্থাৎ কনভিন্সিং পাওয়ার। মানুষকে তিনি নিজের ভিশন ও পরিকল্পনার প্রতি বিশ্বাসী করে তুলতে পারেন খুব দ্রুত। এই ক্ষমতার কারণে তিনি ওপেনএআইয়ে যোগ দেওয়ার জন্য স্ট্রাইপের জনপ্রিয় সিটিও গ্রেগ ব্রকম্যানকে রাজি করাতে সক্ষম হন। গ্রেগও স্যামের নেতৃত্বে আস্থা রেখে পুরোনো কাজ ছেড়ে ওপেনএআইয়ে যোগ দেন।
এই প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে ছিলেন স্যাম অল্টম্যান, ইলন মাস্ক, গ্রেগ ব্রকম্যান, ইলিয়া সুতস্কেভার, ভিকি চেং, আন্দ্রেই কারপাথি, ট্রেভর ব্ল্যাকওয়েল, জন শুলম্যান, পামেলা ভাগাতা, ডার্ক কিংমা ও জেসিকা লিভিংস্টোন। প্রথম দিকে ওপেনএআইয়ের সদর দপ্তর ছিল সানফ্রান্সিসকোতে, তবে ২০২৩ সালের শেষে ইলন মাস্কের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হলে প্রতিষ্ঠানের ওই অফিস ছেড়ে দেওয়া হয়।
ওপেনএআইয়ের মূল লক্ষ্য ছিল কৃত্রিম সাধারণ বুদ্ধিমত্তা তৈরি করা। প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতিষ্ঠানটি দ্রুত বড় হয়েছে এবং বর্তমানে এটি চ্যাটজিপিটি, ডাল-ই, কোডেক্স, হুইসপারসহ বিভিন্ন শক্তিশালী এআই পণ্য বাজারে এনেছে।
স্যামের বরখাস্ত হওয়ার খবরে ৬০০ কর্মী চাকরি ছাড়েন
প্রশ্ন হলো, প্রতিষ্ঠাতাকে কি চাকরি থেকে বরখাস্ত করা যায়? উত্তর হলো, হ্যাঁ। প্রতিষ্ঠাতা হওয়া মানে বেতন বা সিইওর ক্ষমতা পাওয়া নয়। স্যাম সব সময় প্রতিষ্ঠাতা থাকবেন, কিন্তু সিইও পদ থেকে সরানো সম্ভব। বোর্ডের বক্তব্য অনুযায়ী, স্যাম প্রতিষ্ঠানের সবকিছুর বিষয়ে পরিষ্কার তথ্য দেননি। গুগল মিটের সেই মিটিংয়ে বোর্ডের সব সদস্য উপস্থিত ছিলেন এবং স্যামকে জানানো হয়, তিনি আর সিইও থাকতে পারবেন না। এরপর ঘটে নাটকীয় মোড়।
ওপেন এআইয়ের ৬০০ কর্মী একটি চিঠি প্রকাশ করেন। তাঁরা জানান, যদি স্যাম ফেরত না আসেন, তাঁরা সবাই চাকরি ছেড়ে দেবেন। এমনকি স্যামের সঙ্গী প্রতিষ্ঠাতা গ্রেগ ব্রোকম্যানও ছিলেন সেই তালিকায়।
মাইক্রোসফটে যোগদান
স্যাম অল্টম্যানকে ওপেনএআইয়ের সিইও পদ থেকে সরানো হলে প্রযুক্তি জগতে অনেক নাটকীয় মোড় আসে। স্যাম তখন মাইক্রোসফটের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন। একই সময়ে তাঁর সহপ্রতিষ্ঠাতা গ্রেগ ব্রোকম্যানও চাকরি ছেড়ে দেন এবং মাইক্রোসফটে যোগ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। এমনকি মাইক্রোসফট ঘোষণা দেয়, তারা সেই ৬০০ কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে আসতে রাজি। এমনকি মাত্র এক দিনের মধ্যে ৬০০ কর্মীর জন্য অফিস গুছিয়ে ফেলে মাইক্রোসফট। সেই এক ঘোষণায় শেয়ারবাজারে মাইক্রোসফটের শেয়ারের দাম হয়ে যায় ঊর্ধ্বমুখী।
স্যাম আবারও ফিরলেন
স্যামের চলে যাওয়ায় ওপেনএআই তখন প্রায় ফাঁকা। এমন অবস্থায় পুরোনো বোর্ডের সবাই পদত্যাগ করেন। নতুন বোর্ড গঠনের সঙ্গে যুক্ত হন প্রযুক্তিবিশ্বের বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তি। এই নতুন বোর্ডের প্রথম সিদ্ধান্ত হয় স্যামকে সিইও পদে রাখার। সেই সঙ্গে ফিরে আসেন ৬০০ কর্মীও।
বলা হয়, এআই এমন এক পর্যায়ে পৌঁছাবে, যেখানে মানুষের প্রয়োজনই থাকবে না। চ্যাটজিপিটি নিজেই নিজের ইনস্ট্রাকশন তৈরি করে সমস্যার সমাধান করবে। আর এই উদ্ভাবনের নাম এজিআই। অনেক বিশ্লেষক মনে করছেন, স্যাম অল্টম্যান হয়তো শিগগির এজিআই-কে বাজারে নিয়ে আসবেন।
এখন কেবল অপেক্ষা, এজিআই ও তার ভবিষ্যতের গল্প কোথায় গড়ায়, সেটা দেখার।

২০২৩ সালের ১৭ নভেম্বর। এক অনলাইন মিটিংয়ে কয়েক মিনিটের মধ্যে ওপেনএআইয়ের সিইও এবং প্রতিষ্ঠাতা স্যাম অল্টম্যানকে হঠাৎ চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হলো। স্যাম কোনো সাধারণ মানুষ তো নন, তাই তাঁর চাকরি ছাঁটাইয়ের খবরও সাধারণ ছিল না। স্যাম হলেন সেই ব্যক্তি, যিনি এর আগের এক বছরে পুরো বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন।
স্যাম অল্টম্যানকে প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের দিক থেকে ‘আধুনিক দুনিয়ার স্টিভ জবস’ হিসেবে দেখা হয়; বিশেষ করে স্টিভ জবস যেমন উদ্ভাবনী ক্ষমতার মানুষ ছিলেন, স্যাম তার চেয়ে ১০ থেকে ২০ গুণ বেশি উদ্ভাবনী ক্ষমতার অধিকারী হিসেবে বিবেচিত হন। এই তুলনা শুধু মুখেই নয়, তিনি কাজ দিয়েও সেটি প্রমাণ করেছেন। তাঁর প্রতিষ্ঠানের চ্যাটজিপিটি মাত্র দুই মাসে পেয়েছিল ১০০ মিলিয়ন ব্যবহারকারী! কয়েকটি উদাহরণ দিলে বোঝা যাবে, এই অর্জনও কীভাবে ইতিহাস গড়েছে।
এই ১০০ মিলিয়ন ব্যবহারকারী পেতে ইনস্টাগ্রামের সময় লেগেছে প্রায় আড়াই বছর। টিকটিক একই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সময় নিয়েছিল প্রায় এক বছর। কিন্তু চ্যাটজিপিটি মাত্র দুই মাসের মধ্যে ১০০ মিলিয়ন ব্যবহারকারী সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়। সেই সঙ্গে স্যামের নেতৃত্বে ওপেনএআই নামের প্রতিষ্ঠানটির মূল্য পৌঁছে গিয়েছিল শূন্য থেকে ৯০ বিলিয়ন ডলারে!
চাকরি যাওয়ার এই প্রসঙ্গ নিয়ে লেখার পরের অংশে আলোচনা করা যাবে। তার আগে স্যাম অল্টম্যানকে নিয়ে আরও কিছু তথ্য জানিয়ে রাখি।
৮ বছর বয়সে তৈরি করেন কম্পিউটার প্রোগ্রাম
স্যাম অল্টম্যান জন্মেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোতে, ১৯৮৫ সালের এপ্রিলে। ছোটবেলা থেকে কম্পিউটার ও প্রোগ্রামিংয়ে তাঁর আগ্রহ ছিল। মাত্র ৮ বছর বয়সে তিনি নিজের প্রথম কম্পিউটার প্রোগ্রাম তৈরি করেছিলেন। হাইস্কুলে থাকাকালীন তাঁর নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের আগ্রহ আরও তীব্র হয়। স্নাতক স্তরে তিনি স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনার জন্য। তবে কলেজ শেষ করার আগেই তিনি থেমে যান। কারণ, প্রযুক্তি ও স্টার্টআপে কাজের সুযোগ তাঁর কাছে বেশি আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। ২০০৫ সালে ‘লুপ্ট’ নামে নিজের প্রথম স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠা করেন স্যাম। সেটি ছিল লোকেশনভিত্তিক সামাজিক নেটওয়ার্কিং অ্যাপ। এটি যদিও পরে বড় লাভে বিক্রি হয়নি, তবু এটি তাঁকে সিলিকন ভ্যালির স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমে পরিচিতি এনে দেয়।
ক্যারিয়ারে নাটকীয় মোড়
স্যাম মানুষ হিসেবে যেমন বর্ণাঢ্য, তেমনি বর্ণিল তাঁর ক্যারিয়ার। মাত্র ১৯ বছর বয়সে তিনি যুক্ত হন ওয়াই কম্বিনেটরে। এই প্রতিষ্ঠান স্টার্টআপ জগতে সবচেয়ে শক্তিশালী ইনকিউবেটরগুলোর একটি। এটি মূলত নতুন প্রতিষ্ঠানগুলোকে শুরু থেকে সফল করার জন্য ফান্ডিং, পরামর্শ, স্ট্র্যাটেজি ও নেটওয়ার্কিং সুবিধা দিয়ে থাকে। স্যাম অল্টম্যানও ওয়াই কম্বিনেটরে তাঁর ছোট্ট প্রতিষ্ঠানটি নিয়ে যোগ দেন। ইনকিউবেটরের সহায়তায় তিনি সেটিকে বড় করেন এবং পরে বিক্রি করে ৫ মিলিয়ন ডলার আয় করেন। তাঁর এই অর্থ আবার বিভিন্ন টেক স্টার্টআপে বিনিয়োগ করে ১০০ মিলিয়ন ডলার আয় করেন। এরপর তাঁকে ওয়াই কম্বিনেটরের প্রেসিডেন্ট করা হয়। পদটি ছিল হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ডিনের সমমর্যাদার। প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁর প্রভাব পুরো সিলিকন ভ্যালিতে ছড়িয়ে পড়ে।
প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরে যান
ওয়াই কম্বিনেটরের প্রেসিডেন্ট পদ ছেড়ে দিতে পারে—এমন কথা হয়তো কেউ দুঃস্বপ্নেও ভাবেন না। তেমন শোনা যায়নি স্যামের আগে। কয়েক বছর এই পদে কাজ করার পর তিনি উপলব্ধি করেন, তাঁর জীবনে আর নতুন কিছু অর্জনের সুযোগ নেই। তাই তিনি ওয়াই কম্বিনেটরের প্রেসিডেন্ট পদ ছেড়ে দিয়ে ওপেনএআই শুরু করেন।
ওপেনএআইয়ের সূচনা
ওপেনএআই স্যাম অল্টম্যানের নতুন উদ্যোগ। শুরু করেন ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে। এই প্রতিষ্ঠান শুরুর সময় ইলন মাস্কও এতে বিনিয়োগ করেন। স্যামের একটি বিশেষ ক্ষমতা হলো, সহজে বোঝানোর ক্ষমতা অর্থাৎ কনভিন্সিং পাওয়ার। মানুষকে তিনি নিজের ভিশন ও পরিকল্পনার প্রতি বিশ্বাসী করে তুলতে পারেন খুব দ্রুত। এই ক্ষমতার কারণে তিনি ওপেনএআইয়ে যোগ দেওয়ার জন্য স্ট্রাইপের জনপ্রিয় সিটিও গ্রেগ ব্রকম্যানকে রাজি করাতে সক্ষম হন। গ্রেগও স্যামের নেতৃত্বে আস্থা রেখে পুরোনো কাজ ছেড়ে ওপেনএআইয়ে যোগ দেন।
এই প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে ছিলেন স্যাম অল্টম্যান, ইলন মাস্ক, গ্রেগ ব্রকম্যান, ইলিয়া সুতস্কেভার, ভিকি চেং, আন্দ্রেই কারপাথি, ট্রেভর ব্ল্যাকওয়েল, জন শুলম্যান, পামেলা ভাগাতা, ডার্ক কিংমা ও জেসিকা লিভিংস্টোন। প্রথম দিকে ওপেনএআইয়ের সদর দপ্তর ছিল সানফ্রান্সিসকোতে, তবে ২০২৩ সালের শেষে ইলন মাস্কের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হলে প্রতিষ্ঠানের ওই অফিস ছেড়ে দেওয়া হয়।
ওপেনএআইয়ের মূল লক্ষ্য ছিল কৃত্রিম সাধারণ বুদ্ধিমত্তা তৈরি করা। প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতিষ্ঠানটি দ্রুত বড় হয়েছে এবং বর্তমানে এটি চ্যাটজিপিটি, ডাল-ই, কোডেক্স, হুইসপারসহ বিভিন্ন শক্তিশালী এআই পণ্য বাজারে এনেছে।
স্যামের বরখাস্ত হওয়ার খবরে ৬০০ কর্মী চাকরি ছাড়েন
প্রশ্ন হলো, প্রতিষ্ঠাতাকে কি চাকরি থেকে বরখাস্ত করা যায়? উত্তর হলো, হ্যাঁ। প্রতিষ্ঠাতা হওয়া মানে বেতন বা সিইওর ক্ষমতা পাওয়া নয়। স্যাম সব সময় প্রতিষ্ঠাতা থাকবেন, কিন্তু সিইও পদ থেকে সরানো সম্ভব। বোর্ডের বক্তব্য অনুযায়ী, স্যাম প্রতিষ্ঠানের সবকিছুর বিষয়ে পরিষ্কার তথ্য দেননি। গুগল মিটের সেই মিটিংয়ে বোর্ডের সব সদস্য উপস্থিত ছিলেন এবং স্যামকে জানানো হয়, তিনি আর সিইও থাকতে পারবেন না। এরপর ঘটে নাটকীয় মোড়।
ওপেন এআইয়ের ৬০০ কর্মী একটি চিঠি প্রকাশ করেন। তাঁরা জানান, যদি স্যাম ফেরত না আসেন, তাঁরা সবাই চাকরি ছেড়ে দেবেন। এমনকি স্যামের সঙ্গী প্রতিষ্ঠাতা গ্রেগ ব্রোকম্যানও ছিলেন সেই তালিকায়।
মাইক্রোসফটে যোগদান
স্যাম অল্টম্যানকে ওপেনএআইয়ের সিইও পদ থেকে সরানো হলে প্রযুক্তি জগতে অনেক নাটকীয় মোড় আসে। স্যাম তখন মাইক্রোসফটের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন। একই সময়ে তাঁর সহপ্রতিষ্ঠাতা গ্রেগ ব্রোকম্যানও চাকরি ছেড়ে দেন এবং মাইক্রোসফটে যোগ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। এমনকি মাইক্রোসফট ঘোষণা দেয়, তারা সেই ৬০০ কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে আসতে রাজি। এমনকি মাত্র এক দিনের মধ্যে ৬০০ কর্মীর জন্য অফিস গুছিয়ে ফেলে মাইক্রোসফট। সেই এক ঘোষণায় শেয়ারবাজারে মাইক্রোসফটের শেয়ারের দাম হয়ে যায় ঊর্ধ্বমুখী।
স্যাম আবারও ফিরলেন
স্যামের চলে যাওয়ায় ওপেনএআই তখন প্রায় ফাঁকা। এমন অবস্থায় পুরোনো বোর্ডের সবাই পদত্যাগ করেন। নতুন বোর্ড গঠনের সঙ্গে যুক্ত হন প্রযুক্তিবিশ্বের বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তি। এই নতুন বোর্ডের প্রথম সিদ্ধান্ত হয় স্যামকে সিইও পদে রাখার। সেই সঙ্গে ফিরে আসেন ৬০০ কর্মীও।
বলা হয়, এআই এমন এক পর্যায়ে পৌঁছাবে, যেখানে মানুষের প্রয়োজনই থাকবে না। চ্যাটজিপিটি নিজেই নিজের ইনস্ট্রাকশন তৈরি করে সমস্যার সমাধান করবে। আর এই উদ্ভাবনের নাম এজিআই। অনেক বিশ্লেষক মনে করছেন, স্যাম অল্টম্যান হয়তো শিগগির এজিআই-কে বাজারে নিয়ে আসবেন।
এখন কেবল অপেক্ষা, এজিআই ও তার ভবিষ্যতের গল্প কোথায় গড়ায়, সেটা দেখার।
মোস্তাফিজ মিঠু, ঢাকা

২০২৩ সালের ১৭ নভেম্বর। এক অনলাইন মিটিংয়ে কয়েক মিনিটের মধ্যে ওপেনএআইয়ের সিইও এবং প্রতিষ্ঠাতা স্যাম অল্টম্যানকে হঠাৎ চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হলো। স্যাম কোনো সাধারণ মানুষ তো নন, তাই তাঁর চাকরি ছাঁটাইয়ের খবরও সাধারণ ছিল না। স্যাম হলেন সেই ব্যক্তি, যিনি এর আগের এক বছরে পুরো বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন।
স্যাম অল্টম্যানকে প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের দিক থেকে ‘আধুনিক দুনিয়ার স্টিভ জবস’ হিসেবে দেখা হয়; বিশেষ করে স্টিভ জবস যেমন উদ্ভাবনী ক্ষমতার মানুষ ছিলেন, স্যাম তার চেয়ে ১০ থেকে ২০ গুণ বেশি উদ্ভাবনী ক্ষমতার অধিকারী হিসেবে বিবেচিত হন। এই তুলনা শুধু মুখেই নয়, তিনি কাজ দিয়েও সেটি প্রমাণ করেছেন। তাঁর প্রতিষ্ঠানের চ্যাটজিপিটি মাত্র দুই মাসে পেয়েছিল ১০০ মিলিয়ন ব্যবহারকারী! কয়েকটি উদাহরণ দিলে বোঝা যাবে, এই অর্জনও কীভাবে ইতিহাস গড়েছে।
এই ১০০ মিলিয়ন ব্যবহারকারী পেতে ইনস্টাগ্রামের সময় লেগেছে প্রায় আড়াই বছর। টিকটিক একই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সময় নিয়েছিল প্রায় এক বছর। কিন্তু চ্যাটজিপিটি মাত্র দুই মাসের মধ্যে ১০০ মিলিয়ন ব্যবহারকারী সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়। সেই সঙ্গে স্যামের নেতৃত্বে ওপেনএআই নামের প্রতিষ্ঠানটির মূল্য পৌঁছে গিয়েছিল শূন্য থেকে ৯০ বিলিয়ন ডলারে!
চাকরি যাওয়ার এই প্রসঙ্গ নিয়ে লেখার পরের অংশে আলোচনা করা যাবে। তার আগে স্যাম অল্টম্যানকে নিয়ে আরও কিছু তথ্য জানিয়ে রাখি।
৮ বছর বয়সে তৈরি করেন কম্পিউটার প্রোগ্রাম
স্যাম অল্টম্যান জন্মেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোতে, ১৯৮৫ সালের এপ্রিলে। ছোটবেলা থেকে কম্পিউটার ও প্রোগ্রামিংয়ে তাঁর আগ্রহ ছিল। মাত্র ৮ বছর বয়সে তিনি নিজের প্রথম কম্পিউটার প্রোগ্রাম তৈরি করেছিলেন। হাইস্কুলে থাকাকালীন তাঁর নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের আগ্রহ আরও তীব্র হয়। স্নাতক স্তরে তিনি স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনার জন্য। তবে কলেজ শেষ করার আগেই তিনি থেমে যান। কারণ, প্রযুক্তি ও স্টার্টআপে কাজের সুযোগ তাঁর কাছে বেশি আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। ২০০৫ সালে ‘লুপ্ট’ নামে নিজের প্রথম স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠা করেন স্যাম। সেটি ছিল লোকেশনভিত্তিক সামাজিক নেটওয়ার্কিং অ্যাপ। এটি যদিও পরে বড় লাভে বিক্রি হয়নি, তবু এটি তাঁকে সিলিকন ভ্যালির স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমে পরিচিতি এনে দেয়।
ক্যারিয়ারে নাটকীয় মোড়
স্যাম মানুষ হিসেবে যেমন বর্ণাঢ্য, তেমনি বর্ণিল তাঁর ক্যারিয়ার। মাত্র ১৯ বছর বয়সে তিনি যুক্ত হন ওয়াই কম্বিনেটরে। এই প্রতিষ্ঠান স্টার্টআপ জগতে সবচেয়ে শক্তিশালী ইনকিউবেটরগুলোর একটি। এটি মূলত নতুন প্রতিষ্ঠানগুলোকে শুরু থেকে সফল করার জন্য ফান্ডিং, পরামর্শ, স্ট্র্যাটেজি ও নেটওয়ার্কিং সুবিধা দিয়ে থাকে। স্যাম অল্টম্যানও ওয়াই কম্বিনেটরে তাঁর ছোট্ট প্রতিষ্ঠানটি নিয়ে যোগ দেন। ইনকিউবেটরের সহায়তায় তিনি সেটিকে বড় করেন এবং পরে বিক্রি করে ৫ মিলিয়ন ডলার আয় করেন। তাঁর এই অর্থ আবার বিভিন্ন টেক স্টার্টআপে বিনিয়োগ করে ১০০ মিলিয়ন ডলার আয় করেন। এরপর তাঁকে ওয়াই কম্বিনেটরের প্রেসিডেন্ট করা হয়। পদটি ছিল হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ডিনের সমমর্যাদার। প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁর প্রভাব পুরো সিলিকন ভ্যালিতে ছড়িয়ে পড়ে।
প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরে যান
ওয়াই কম্বিনেটরের প্রেসিডেন্ট পদ ছেড়ে দিতে পারে—এমন কথা হয়তো কেউ দুঃস্বপ্নেও ভাবেন না। তেমন শোনা যায়নি স্যামের আগে। কয়েক বছর এই পদে কাজ করার পর তিনি উপলব্ধি করেন, তাঁর জীবনে আর নতুন কিছু অর্জনের সুযোগ নেই। তাই তিনি ওয়াই কম্বিনেটরের প্রেসিডেন্ট পদ ছেড়ে দিয়ে ওপেনএআই শুরু করেন।
ওপেনএআইয়ের সূচনা
ওপেনএআই স্যাম অল্টম্যানের নতুন উদ্যোগ। শুরু করেন ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে। এই প্রতিষ্ঠান শুরুর সময় ইলন মাস্কও এতে বিনিয়োগ করেন। স্যামের একটি বিশেষ ক্ষমতা হলো, সহজে বোঝানোর ক্ষমতা অর্থাৎ কনভিন্সিং পাওয়ার। মানুষকে তিনি নিজের ভিশন ও পরিকল্পনার প্রতি বিশ্বাসী করে তুলতে পারেন খুব দ্রুত। এই ক্ষমতার কারণে তিনি ওপেনএআইয়ে যোগ দেওয়ার জন্য স্ট্রাইপের জনপ্রিয় সিটিও গ্রেগ ব্রকম্যানকে রাজি করাতে সক্ষম হন। গ্রেগও স্যামের নেতৃত্বে আস্থা রেখে পুরোনো কাজ ছেড়ে ওপেনএআইয়ে যোগ দেন।
এই প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে ছিলেন স্যাম অল্টম্যান, ইলন মাস্ক, গ্রেগ ব্রকম্যান, ইলিয়া সুতস্কেভার, ভিকি চেং, আন্দ্রেই কারপাথি, ট্রেভর ব্ল্যাকওয়েল, জন শুলম্যান, পামেলা ভাগাতা, ডার্ক কিংমা ও জেসিকা লিভিংস্টোন। প্রথম দিকে ওপেনএআইয়ের সদর দপ্তর ছিল সানফ্রান্সিসকোতে, তবে ২০২৩ সালের শেষে ইলন মাস্কের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হলে প্রতিষ্ঠানের ওই অফিস ছেড়ে দেওয়া হয়।
ওপেনএআইয়ের মূল লক্ষ্য ছিল কৃত্রিম সাধারণ বুদ্ধিমত্তা তৈরি করা। প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতিষ্ঠানটি দ্রুত বড় হয়েছে এবং বর্তমানে এটি চ্যাটজিপিটি, ডাল-ই, কোডেক্স, হুইসপারসহ বিভিন্ন শক্তিশালী এআই পণ্য বাজারে এনেছে।
স্যামের বরখাস্ত হওয়ার খবরে ৬০০ কর্মী চাকরি ছাড়েন
প্রশ্ন হলো, প্রতিষ্ঠাতাকে কি চাকরি থেকে বরখাস্ত করা যায়? উত্তর হলো, হ্যাঁ। প্রতিষ্ঠাতা হওয়া মানে বেতন বা সিইওর ক্ষমতা পাওয়া নয়। স্যাম সব সময় প্রতিষ্ঠাতা থাকবেন, কিন্তু সিইও পদ থেকে সরানো সম্ভব। বোর্ডের বক্তব্য অনুযায়ী, স্যাম প্রতিষ্ঠানের সবকিছুর বিষয়ে পরিষ্কার তথ্য দেননি। গুগল মিটের সেই মিটিংয়ে বোর্ডের সব সদস্য উপস্থিত ছিলেন এবং স্যামকে জানানো হয়, তিনি আর সিইও থাকতে পারবেন না। এরপর ঘটে নাটকীয় মোড়।
ওপেন এআইয়ের ৬০০ কর্মী একটি চিঠি প্রকাশ করেন। তাঁরা জানান, যদি স্যাম ফেরত না আসেন, তাঁরা সবাই চাকরি ছেড়ে দেবেন। এমনকি স্যামের সঙ্গী প্রতিষ্ঠাতা গ্রেগ ব্রোকম্যানও ছিলেন সেই তালিকায়।
মাইক্রোসফটে যোগদান
স্যাম অল্টম্যানকে ওপেনএআইয়ের সিইও পদ থেকে সরানো হলে প্রযুক্তি জগতে অনেক নাটকীয় মোড় আসে। স্যাম তখন মাইক্রোসফটের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন। একই সময়ে তাঁর সহপ্রতিষ্ঠাতা গ্রেগ ব্রোকম্যানও চাকরি ছেড়ে দেন এবং মাইক্রোসফটে যোগ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। এমনকি মাইক্রোসফট ঘোষণা দেয়, তারা সেই ৬০০ কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে আসতে রাজি। এমনকি মাত্র এক দিনের মধ্যে ৬০০ কর্মীর জন্য অফিস গুছিয়ে ফেলে মাইক্রোসফট। সেই এক ঘোষণায় শেয়ারবাজারে মাইক্রোসফটের শেয়ারের দাম হয়ে যায় ঊর্ধ্বমুখী।
স্যাম আবারও ফিরলেন
স্যামের চলে যাওয়ায় ওপেনএআই তখন প্রায় ফাঁকা। এমন অবস্থায় পুরোনো বোর্ডের সবাই পদত্যাগ করেন। নতুন বোর্ড গঠনের সঙ্গে যুক্ত হন প্রযুক্তিবিশ্বের বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তি। এই নতুন বোর্ডের প্রথম সিদ্ধান্ত হয় স্যামকে সিইও পদে রাখার। সেই সঙ্গে ফিরে আসেন ৬০০ কর্মীও।
বলা হয়, এআই এমন এক পর্যায়ে পৌঁছাবে, যেখানে মানুষের প্রয়োজনই থাকবে না। চ্যাটজিপিটি নিজেই নিজের ইনস্ট্রাকশন তৈরি করে সমস্যার সমাধান করবে। আর এই উদ্ভাবনের নাম এজিআই। অনেক বিশ্লেষক মনে করছেন, স্যাম অল্টম্যান হয়তো শিগগির এজিআই-কে বাজারে নিয়ে আসবেন।
এখন কেবল অপেক্ষা, এজিআই ও তার ভবিষ্যতের গল্প কোথায় গড়ায়, সেটা দেখার।

২০২৩ সালের ১৭ নভেম্বর। এক অনলাইন মিটিংয়ে কয়েক মিনিটের মধ্যে ওপেনএআইয়ের সিইও এবং প্রতিষ্ঠাতা স্যাম অল্টম্যানকে হঠাৎ চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হলো। স্যাম কোনো সাধারণ মানুষ তো নন, তাই তাঁর চাকরি ছাঁটাইয়ের খবরও সাধারণ ছিল না। স্যাম হলেন সেই ব্যক্তি, যিনি এর আগের এক বছরে পুরো বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন।
স্যাম অল্টম্যানকে প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের দিক থেকে ‘আধুনিক দুনিয়ার স্টিভ জবস’ হিসেবে দেখা হয়; বিশেষ করে স্টিভ জবস যেমন উদ্ভাবনী ক্ষমতার মানুষ ছিলেন, স্যাম তার চেয়ে ১০ থেকে ২০ গুণ বেশি উদ্ভাবনী ক্ষমতার অধিকারী হিসেবে বিবেচিত হন। এই তুলনা শুধু মুখেই নয়, তিনি কাজ দিয়েও সেটি প্রমাণ করেছেন। তাঁর প্রতিষ্ঠানের চ্যাটজিপিটি মাত্র দুই মাসে পেয়েছিল ১০০ মিলিয়ন ব্যবহারকারী! কয়েকটি উদাহরণ দিলে বোঝা যাবে, এই অর্জনও কীভাবে ইতিহাস গড়েছে।
এই ১০০ মিলিয়ন ব্যবহারকারী পেতে ইনস্টাগ্রামের সময় লেগেছে প্রায় আড়াই বছর। টিকটিক একই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সময় নিয়েছিল প্রায় এক বছর। কিন্তু চ্যাটজিপিটি মাত্র দুই মাসের মধ্যে ১০০ মিলিয়ন ব্যবহারকারী সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়। সেই সঙ্গে স্যামের নেতৃত্বে ওপেনএআই নামের প্রতিষ্ঠানটির মূল্য পৌঁছে গিয়েছিল শূন্য থেকে ৯০ বিলিয়ন ডলারে!
চাকরি যাওয়ার এই প্রসঙ্গ নিয়ে লেখার পরের অংশে আলোচনা করা যাবে। তার আগে স্যাম অল্টম্যানকে নিয়ে আরও কিছু তথ্য জানিয়ে রাখি।
৮ বছর বয়সে তৈরি করেন কম্পিউটার প্রোগ্রাম
স্যাম অল্টম্যান জন্মেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোতে, ১৯৮৫ সালের এপ্রিলে। ছোটবেলা থেকে কম্পিউটার ও প্রোগ্রামিংয়ে তাঁর আগ্রহ ছিল। মাত্র ৮ বছর বয়সে তিনি নিজের প্রথম কম্পিউটার প্রোগ্রাম তৈরি করেছিলেন। হাইস্কুলে থাকাকালীন তাঁর নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের আগ্রহ আরও তীব্র হয়। স্নাতক স্তরে তিনি স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনার জন্য। তবে কলেজ শেষ করার আগেই তিনি থেমে যান। কারণ, প্রযুক্তি ও স্টার্টআপে কাজের সুযোগ তাঁর কাছে বেশি আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। ২০০৫ সালে ‘লুপ্ট’ নামে নিজের প্রথম স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠা করেন স্যাম। সেটি ছিল লোকেশনভিত্তিক সামাজিক নেটওয়ার্কিং অ্যাপ। এটি যদিও পরে বড় লাভে বিক্রি হয়নি, তবু এটি তাঁকে সিলিকন ভ্যালির স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমে পরিচিতি এনে দেয়।
ক্যারিয়ারে নাটকীয় মোড়
স্যাম মানুষ হিসেবে যেমন বর্ণাঢ্য, তেমনি বর্ণিল তাঁর ক্যারিয়ার। মাত্র ১৯ বছর বয়সে তিনি যুক্ত হন ওয়াই কম্বিনেটরে। এই প্রতিষ্ঠান স্টার্টআপ জগতে সবচেয়ে শক্তিশালী ইনকিউবেটরগুলোর একটি। এটি মূলত নতুন প্রতিষ্ঠানগুলোকে শুরু থেকে সফল করার জন্য ফান্ডিং, পরামর্শ, স্ট্র্যাটেজি ও নেটওয়ার্কিং সুবিধা দিয়ে থাকে। স্যাম অল্টম্যানও ওয়াই কম্বিনেটরে তাঁর ছোট্ট প্রতিষ্ঠানটি নিয়ে যোগ দেন। ইনকিউবেটরের সহায়তায় তিনি সেটিকে বড় করেন এবং পরে বিক্রি করে ৫ মিলিয়ন ডলার আয় করেন। তাঁর এই অর্থ আবার বিভিন্ন টেক স্টার্টআপে বিনিয়োগ করে ১০০ মিলিয়ন ডলার আয় করেন। এরপর তাঁকে ওয়াই কম্বিনেটরের প্রেসিডেন্ট করা হয়। পদটি ছিল হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ডিনের সমমর্যাদার। প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁর প্রভাব পুরো সিলিকন ভ্যালিতে ছড়িয়ে পড়ে।
প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরে যান
ওয়াই কম্বিনেটরের প্রেসিডেন্ট পদ ছেড়ে দিতে পারে—এমন কথা হয়তো কেউ দুঃস্বপ্নেও ভাবেন না। তেমন শোনা যায়নি স্যামের আগে। কয়েক বছর এই পদে কাজ করার পর তিনি উপলব্ধি করেন, তাঁর জীবনে আর নতুন কিছু অর্জনের সুযোগ নেই। তাই তিনি ওয়াই কম্বিনেটরের প্রেসিডেন্ট পদ ছেড়ে দিয়ে ওপেনএআই শুরু করেন।
ওপেনএআইয়ের সূচনা
ওপেনএআই স্যাম অল্টম্যানের নতুন উদ্যোগ। শুরু করেন ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে। এই প্রতিষ্ঠান শুরুর সময় ইলন মাস্কও এতে বিনিয়োগ করেন। স্যামের একটি বিশেষ ক্ষমতা হলো, সহজে বোঝানোর ক্ষমতা অর্থাৎ কনভিন্সিং পাওয়ার। মানুষকে তিনি নিজের ভিশন ও পরিকল্পনার প্রতি বিশ্বাসী করে তুলতে পারেন খুব দ্রুত। এই ক্ষমতার কারণে তিনি ওপেনএআইয়ে যোগ দেওয়ার জন্য স্ট্রাইপের জনপ্রিয় সিটিও গ্রেগ ব্রকম্যানকে রাজি করাতে সক্ষম হন। গ্রেগও স্যামের নেতৃত্বে আস্থা রেখে পুরোনো কাজ ছেড়ে ওপেনএআইয়ে যোগ দেন।
এই প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে ছিলেন স্যাম অল্টম্যান, ইলন মাস্ক, গ্রেগ ব্রকম্যান, ইলিয়া সুতস্কেভার, ভিকি চেং, আন্দ্রেই কারপাথি, ট্রেভর ব্ল্যাকওয়েল, জন শুলম্যান, পামেলা ভাগাতা, ডার্ক কিংমা ও জেসিকা লিভিংস্টোন। প্রথম দিকে ওপেনএআইয়ের সদর দপ্তর ছিল সানফ্রান্সিসকোতে, তবে ২০২৩ সালের শেষে ইলন মাস্কের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হলে প্রতিষ্ঠানের ওই অফিস ছেড়ে দেওয়া হয়।
ওপেনএআইয়ের মূল লক্ষ্য ছিল কৃত্রিম সাধারণ বুদ্ধিমত্তা তৈরি করা। প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতিষ্ঠানটি দ্রুত বড় হয়েছে এবং বর্তমানে এটি চ্যাটজিপিটি, ডাল-ই, কোডেক্স, হুইসপারসহ বিভিন্ন শক্তিশালী এআই পণ্য বাজারে এনেছে।
স্যামের বরখাস্ত হওয়ার খবরে ৬০০ কর্মী চাকরি ছাড়েন
প্রশ্ন হলো, প্রতিষ্ঠাতাকে কি চাকরি থেকে বরখাস্ত করা যায়? উত্তর হলো, হ্যাঁ। প্রতিষ্ঠাতা হওয়া মানে বেতন বা সিইওর ক্ষমতা পাওয়া নয়। স্যাম সব সময় প্রতিষ্ঠাতা থাকবেন, কিন্তু সিইও পদ থেকে সরানো সম্ভব। বোর্ডের বক্তব্য অনুযায়ী, স্যাম প্রতিষ্ঠানের সবকিছুর বিষয়ে পরিষ্কার তথ্য দেননি। গুগল মিটের সেই মিটিংয়ে বোর্ডের সব সদস্য উপস্থিত ছিলেন এবং স্যামকে জানানো হয়, তিনি আর সিইও থাকতে পারবেন না। এরপর ঘটে নাটকীয় মোড়।
ওপেন এআইয়ের ৬০০ কর্মী একটি চিঠি প্রকাশ করেন। তাঁরা জানান, যদি স্যাম ফেরত না আসেন, তাঁরা সবাই চাকরি ছেড়ে দেবেন। এমনকি স্যামের সঙ্গী প্রতিষ্ঠাতা গ্রেগ ব্রোকম্যানও ছিলেন সেই তালিকায়।
মাইক্রোসফটে যোগদান
স্যাম অল্টম্যানকে ওপেনএআইয়ের সিইও পদ থেকে সরানো হলে প্রযুক্তি জগতে অনেক নাটকীয় মোড় আসে। স্যাম তখন মাইক্রোসফটের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন। একই সময়ে তাঁর সহপ্রতিষ্ঠাতা গ্রেগ ব্রোকম্যানও চাকরি ছেড়ে দেন এবং মাইক্রোসফটে যোগ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। এমনকি মাইক্রোসফট ঘোষণা দেয়, তারা সেই ৬০০ কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে আসতে রাজি। এমনকি মাত্র এক দিনের মধ্যে ৬০০ কর্মীর জন্য অফিস গুছিয়ে ফেলে মাইক্রোসফট। সেই এক ঘোষণায় শেয়ারবাজারে মাইক্রোসফটের শেয়ারের দাম হয়ে যায় ঊর্ধ্বমুখী।
স্যাম আবারও ফিরলেন
স্যামের চলে যাওয়ায় ওপেনএআই তখন প্রায় ফাঁকা। এমন অবস্থায় পুরোনো বোর্ডের সবাই পদত্যাগ করেন। নতুন বোর্ড গঠনের সঙ্গে যুক্ত হন প্রযুক্তিবিশ্বের বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তি। এই নতুন বোর্ডের প্রথম সিদ্ধান্ত হয় স্যামকে সিইও পদে রাখার। সেই সঙ্গে ফিরে আসেন ৬০০ কর্মীও।
বলা হয়, এআই এমন এক পর্যায়ে পৌঁছাবে, যেখানে মানুষের প্রয়োজনই থাকবে না। চ্যাটজিপিটি নিজেই নিজের ইনস্ট্রাকশন তৈরি করে সমস্যার সমাধান করবে। আর এই উদ্ভাবনের নাম এজিআই। অনেক বিশ্লেষক মনে করছেন, স্যাম অল্টম্যান হয়তো শিগগির এজিআই-কে বাজারে নিয়ে আসবেন।
এখন কেবল অপেক্ষা, এজিআই ও তার ভবিষ্যতের গল্প কোথায় গড়ায়, সেটা দেখার।

রিয়েলমি বাংলাদেশের বাজারে এনেছে রিয়েলমি সি৮৫ প্রো। ‘ক্যাটাগরির প্রথম অফিশিয়াল ওয়াটারপ্রুফ স্মার্টফোন’ সি৭৫-এর সাফল্যের পর এই নতুন ডিভাইসটিকে সেগমেন্টের সবচেয়ে বেশি ওয়াটার-রেজিস্ট্যান্ট ও উজ্জ্বলতম ডিসপ্লেযুক্ত ফোন হিসেবে বাজারে আনা হয়েছে।
২ মিনিট আগে
মেটার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মার্ক জাকারবার্গ এবং তাঁর স্ত্রী, শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ প্রিসিলা চ্যানের প্রতিষ্ঠিত জনহিতকর সংস্থা চ্যান জাকারবার্গ ইনিশিয়েটিভ (সিজিআই) এখন লক্ষ্য পরিবর্তন করছে।
২ ঘণ্টা আগে
টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক ইতিহাসের সবচেয়ে বড় করপোরেট বেতন-ভাতা প্যাকেজের অনুমোদন পেয়েছেন। স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার টেসলার শেয়ারহোল্ডাররা তাঁর জন্য প্রস্তাবিত বেতন-ভাতা প্যাকেজে ভোট দিয়ে সমর্থন জানান। এতে ৭৫ শতাংশের বেশি শেয়ারহোল্ডার অনুমোদন দিয়েছেন।
৬ ঘণ্টা আগে
দেশে দ্রুতগতির মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারের প্রবণতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অপারেটরগুলো ভিওএলটিই বা ভোল্টি সেবা চালু করেছে। সাধারণ ব্যবহারকারীর জন্য এটি নতুন একটি অভিজ্ঞতা—ভয়েস কল এখন সরাসরি ৪জি নেটওয়ার্ক দিয়ে করা যায়। ফলে ফোন কলের শব্দ শোনা যায় আরও স্পষ্ট, সংযোগ হয় আরও দ্রুত এবং একই সঙ্গে ব্যবহার করা
১৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রিয়েলমি বাংলাদেশের বাজারে এনেছে রিয়েলমি সি৮৫ প্রো। ‘ক্যাটাগরির প্রথম অফিশিয়াল ওয়াটারপ্রুফ স্মার্টফোন’ সি৭৫-এর সাফল্যের পর এই নতুন ডিভাইসটিকে সেগমেন্টের সবচেয়ে বেশি ওয়াটার-রেজিস্ট্যান্ট ও উজ্জ্বলতম ডিসপ্লেযুক্ত ফোন হিসেবে বাজারে আনা হয়েছে।
রিয়েলমি সি৮৫ প্রোর সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হলো এর ইন্ডাস্ট্রি-লিডিং আইপি ৬৯ প্রো ওয়াটারপ্রুফ রেটিং। এই অত্যাধুনিক রেটিং ফোনটি পানির নিচে টানা ৬০ দিন পর্যন্ত টিকে থাকতে সক্ষম।
পাশাপাশি, ফোনটিতে রয়েছে ৭০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার (mAh) টাইটান ব্যাটারি। এতে ১০ ওয়াট রিভার্স চার্জিং সুবিধাও রয়েছে, যার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা এটি দিয়ে অন্য ডিভাইসও চার্জ করার সুযোগ পাবেন।
এই ফোনে রয়েছে ৬.৮ ইঞ্চি ১২০ হার্জ (Hz) অ্যামোলেড ডিসপ্লে। এর ৪০০০ নিটস পিক ব্রাইটনেস এটিকে এই সেগমেন্টের সবচেয়ে উজ্জ্বল ডিসপ্লেতে পরিণত করেছে। ফলে উজ্জ্বল আলোতেও নিখুঁত ও ঝকঝকে ভিজ্যুয়াল নিশ্চিত হবে।
পারফরম্যান্সের জন্য এতে ব্যবহার করা হয়েছে শক্তিশালী স্ন্যাপড্রাগন প্রসেসর। এতে এআই এডিট জিনি এবং এআই আউটডোর মোডের সুবিধা থাকায় ছবি এডিটিং হবে আরও সহজ।
রিয়েলমি সি৮৫ প্রো ‘প্যারট পার্পল’ এবং ‘পিকক গ্রিন’—এই দুটি অনন্য রঙের ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যাবে।
স্মার্টফোনটি তিনটি ভ্যারিয়েন্টে বাজারে এসেছে: ৬ জিবি + ১২৮ জিবি, ২০ হাজার ৯৯৯ টাকা; ৮ জিবি + ১২৮ জিবি, ২২ হাজার ৯৯৯ টাকা এবং ৮ জিবি + ২৫৬ জিবি, ২৪ হাজার ৯৯৯ টাকা।
ক্রেতারা ৫ থেকে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত দেশের সব রিয়েলমি ব্র্যান্ড স্টোর ও অফিশিয়াল রিসেলার আউটলেট থেকে রিয়েলমি সি৮৫ প্রো প্রি-বুক করার সুযোগ পাচ্ছেন। প্রি-বুকিংকারীরা এক্সক্লুসিভ রিয়েলমি ব্যাগের সঙ্গে বাংলালিংকের বিশেষ অফারসহ আকর্ষণীয় উপহার পাবেন। এই উপহারগুলো ফার্স্ট-সেল চলাকালে ফোন সংগ্রহকারী ক্রেতাদের দেওয়া হবে এবং এটি সীমিত সময় ও শর্তসাপেক্ষে প্রযোজ্য।

রিয়েলমি বাংলাদেশের বাজারে এনেছে রিয়েলমি সি৮৫ প্রো। ‘ক্যাটাগরির প্রথম অফিশিয়াল ওয়াটারপ্রুফ স্মার্টফোন’ সি৭৫-এর সাফল্যের পর এই নতুন ডিভাইসটিকে সেগমেন্টের সবচেয়ে বেশি ওয়াটার-রেজিস্ট্যান্ট ও উজ্জ্বলতম ডিসপ্লেযুক্ত ফোন হিসেবে বাজারে আনা হয়েছে।
রিয়েলমি সি৮৫ প্রোর সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হলো এর ইন্ডাস্ট্রি-লিডিং আইপি ৬৯ প্রো ওয়াটারপ্রুফ রেটিং। এই অত্যাধুনিক রেটিং ফোনটি পানির নিচে টানা ৬০ দিন পর্যন্ত টিকে থাকতে সক্ষম।
পাশাপাশি, ফোনটিতে রয়েছে ৭০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার (mAh) টাইটান ব্যাটারি। এতে ১০ ওয়াট রিভার্স চার্জিং সুবিধাও রয়েছে, যার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা এটি দিয়ে অন্য ডিভাইসও চার্জ করার সুযোগ পাবেন।
এই ফোনে রয়েছে ৬.৮ ইঞ্চি ১২০ হার্জ (Hz) অ্যামোলেড ডিসপ্লে। এর ৪০০০ নিটস পিক ব্রাইটনেস এটিকে এই সেগমেন্টের সবচেয়ে উজ্জ্বল ডিসপ্লেতে পরিণত করেছে। ফলে উজ্জ্বল আলোতেও নিখুঁত ও ঝকঝকে ভিজ্যুয়াল নিশ্চিত হবে।
পারফরম্যান্সের জন্য এতে ব্যবহার করা হয়েছে শক্তিশালী স্ন্যাপড্রাগন প্রসেসর। এতে এআই এডিট জিনি এবং এআই আউটডোর মোডের সুবিধা থাকায় ছবি এডিটিং হবে আরও সহজ।
রিয়েলমি সি৮৫ প্রো ‘প্যারট পার্পল’ এবং ‘পিকক গ্রিন’—এই দুটি অনন্য রঙের ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যাবে।
স্মার্টফোনটি তিনটি ভ্যারিয়েন্টে বাজারে এসেছে: ৬ জিবি + ১২৮ জিবি, ২০ হাজার ৯৯৯ টাকা; ৮ জিবি + ১২৮ জিবি, ২২ হাজার ৯৯৯ টাকা এবং ৮ জিবি + ২৫৬ জিবি, ২৪ হাজার ৯৯৯ টাকা।
ক্রেতারা ৫ থেকে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত দেশের সব রিয়েলমি ব্র্যান্ড স্টোর ও অফিশিয়াল রিসেলার আউটলেট থেকে রিয়েলমি সি৮৫ প্রো প্রি-বুক করার সুযোগ পাচ্ছেন। প্রি-বুকিংকারীরা এক্সক্লুসিভ রিয়েলমি ব্যাগের সঙ্গে বাংলালিংকের বিশেষ অফারসহ আকর্ষণীয় উপহার পাবেন। এই উপহারগুলো ফার্স্ট-সেল চলাকালে ফোন সংগ্রহকারী ক্রেতাদের দেওয়া হবে এবং এটি সীমিত সময় ও শর্তসাপেক্ষে প্রযোজ্য।

২০২৩ সালের ১৭ নভেম্বর। এক অনলাইন মিটিংয়ে কয়েক মিনিটের মধ্যে ওপেনএআইয়ের সিইও এবং প্রতিষ্ঠাতা স্যাম অল্টম্যানকে হঠাৎ চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হলো। স্যাম কোনো সাধারণ মানুষ তো নন, তাই তাঁর চাকরি ছাঁটাইয়ের খবরও সাধারণ ছিল না। স্যাম হলেন সেই ব্যক্তি, যিনি এর আগের এক বছরে পুরো বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন।
২৬ আগস্ট ২০২৫
মেটার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মার্ক জাকারবার্গ এবং তাঁর স্ত্রী, শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ প্রিসিলা চ্যানের প্রতিষ্ঠিত জনহিতকর সংস্থা চ্যান জাকারবার্গ ইনিশিয়েটিভ (সিজিআই) এখন লক্ষ্য পরিবর্তন করছে।
২ ঘণ্টা আগে
টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক ইতিহাসের সবচেয়ে বড় করপোরেট বেতন-ভাতা প্যাকেজের অনুমোদন পেয়েছেন। স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার টেসলার শেয়ারহোল্ডাররা তাঁর জন্য প্রস্তাবিত বেতন-ভাতা প্যাকেজে ভোট দিয়ে সমর্থন জানান। এতে ৭৫ শতাংশের বেশি শেয়ারহোল্ডার অনুমোদন দিয়েছেন।
৬ ঘণ্টা আগে
দেশে দ্রুতগতির মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারের প্রবণতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অপারেটরগুলো ভিওএলটিই বা ভোল্টি সেবা চালু করেছে। সাধারণ ব্যবহারকারীর জন্য এটি নতুন একটি অভিজ্ঞতা—ভয়েস কল এখন সরাসরি ৪জি নেটওয়ার্ক দিয়ে করা যায়। ফলে ফোন কলের শব্দ শোনা যায় আরও স্পষ্ট, সংযোগ হয় আরও দ্রুত এবং একই সঙ্গে ব্যবহার করা
১৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেটার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মার্ক জাকারবার্গ এবং তাঁর স্ত্রী, শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ প্রিসিলা চ্যানের প্রতিষ্ঠিত জনহিতকর সংস্থা চ্যান জাকারবার্গ ইনিশিয়েটিভ (সিজিআই) এখন লক্ষ্য পরিবর্তন করছে। এত দিন শিক্ষা ও জননীতির পাশাপাশি রোগ নিরাময়ে মনোযোগ দিলেও, সিজিআই এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চালিত জীববিজ্ঞানে তাদের সমস্ত প্রচেষ্টা নিয়োজিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার একটি ব্লগ পোস্টে জাকারবার্গ দম্পতি জানান, তাঁরা এখন তাদের জনহিতকর কাজ মূলত বায়োহাব ল্যাবগুলোর ওপর কেন্দ্রীভূত করবেন। ২০১৬ সাল থেকে এই প্রতিষ্ঠানকে সহযোগিতা করে আসছেন তাঁরা।
একই দিনে বায়োহাব ঘোষণা করেছে, তারা মানুষের রোগ বুঝতে এবং তার মোকাবিলা করার জন্য বৈজ্ঞানিক অগ্রগতিকে দ্রুততর করতে ইভোলুশনারি স্কেল (EvolutionaryScale) এর সঙ্গে অংশীদারত্ব করবে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মার্ক জাকারবার্গ বলেন, ‘যখন আমরা শুরু করেছিলাম, আমাদের লক্ষ্য ছিল এই শতাব্দীতে সমস্ত রোগ নিরাময় বা প্রতিরোধ করতে বিজ্ঞানীদের সহায়তা করা। এআই-এর অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে আমরা এখন বিশ্বাস করি, এটি আরও দ্রুত সম্ভব হতে পারে। আমরা মনে করি বিজ্ঞানের অগ্রগতিকে ত্বরান্বিত করাই আমাদের সবচেয়ে ইতিবাচক প্রভাব ফেলার ক্ষেত্র। তাই পরবর্তী অধ্যায়ের জন্য আমরা এআই-চালিত জীববিজ্ঞানে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাব।’
উল্লেখ্য, জাকারবার্গ ও চ্যান দম্পতি তাদের সম্পদের প্রায় অর্ধেক দান করার অঙ্গীকার করেছেন। এর পরিমাণ ২০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি।
যদিও সিজিআই ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠার সময় শিক্ষা, জননীতি এবং রোগ নিরাময়কে তাদের প্রধান ক্ষেত্র হিসেবে ঘোষণা করেছিল। তবে বর্তমানে মেটার মতোই সিজিআই তাদের পুরোনো লক্ষ্য থেকে সরে এসে এআই-এর দিকে ঝুঁকছে।
বলতে গেলে এই লক্ষ্য পূরণের অংশ হিসেবেই ২০২৩ সালে শিক্ষা বিভাগে নিয়োজিত কয়েক ডজন কর্মীকে ছাঁটাই করা হয় এবং শিক্ষা নীতি সংক্রান্ত অনুদান পোর্টফোলিও বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর ২০২৪ সালে প্রিসিলা চ্যান কর্মীদের কাছে পাঠানো একটি ই-মেলে নিশ্চিত করেন, ‘যদিও সিজিআই শিক্ষামূলক কাজ এবং স্থানীয় সম্প্রদায়গুলিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে, তবুও আমরা বুঝতে পারছি যে বিজ্ঞানই আমাদের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ এবং বাজি, যা ভবিষ্যতেও তৈরি হবে।’
বায়োহাব তাদের সর্বশেষ উদ্যোগের অধীনে চারটি বৈজ্ঞানিক চ্যালেঞ্জ পূরণের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে, রোগের প্রাথমিক শনাক্তকরণ, প্রতিরোধ এবং চিকিৎসার জন্য রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে পুনর্গঠন ও কাজে লাগাতে এআই ব্যবহার।
এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য বায়োহাব ২০২৮ সালের মধ্যে তাদের কম্পিউটিং সক্ষমতা বাড়িয়ে ১০ হাজার জিপিইউ-তে উন্নীত করবে।
বায়োহাব আশা করছে, এই নতুন সিস্টেমে অগ্রগতি অর্জিত হলে, কয়েক মাসের মধ্যেই কয়েক দশকের আবিষ্কার সম্ভব হতে পারে। তাদের বিশ্বাস, এই পদক্ষেপগুলো সম্মিলিতভাবে ‘অত্যাধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান’-এর দ্বার উন্মোচন করবে।

মেটার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মার্ক জাকারবার্গ এবং তাঁর স্ত্রী, শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ প্রিসিলা চ্যানের প্রতিষ্ঠিত জনহিতকর সংস্থা চ্যান জাকারবার্গ ইনিশিয়েটিভ (সিজিআই) এখন লক্ষ্য পরিবর্তন করছে। এত দিন শিক্ষা ও জননীতির পাশাপাশি রোগ নিরাময়ে মনোযোগ দিলেও, সিজিআই এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চালিত জীববিজ্ঞানে তাদের সমস্ত প্রচেষ্টা নিয়োজিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার একটি ব্লগ পোস্টে জাকারবার্গ দম্পতি জানান, তাঁরা এখন তাদের জনহিতকর কাজ মূলত বায়োহাব ল্যাবগুলোর ওপর কেন্দ্রীভূত করবেন। ২০১৬ সাল থেকে এই প্রতিষ্ঠানকে সহযোগিতা করে আসছেন তাঁরা।
একই দিনে বায়োহাব ঘোষণা করেছে, তারা মানুষের রোগ বুঝতে এবং তার মোকাবিলা করার জন্য বৈজ্ঞানিক অগ্রগতিকে দ্রুততর করতে ইভোলুশনারি স্কেল (EvolutionaryScale) এর সঙ্গে অংশীদারত্ব করবে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মার্ক জাকারবার্গ বলেন, ‘যখন আমরা শুরু করেছিলাম, আমাদের লক্ষ্য ছিল এই শতাব্দীতে সমস্ত রোগ নিরাময় বা প্রতিরোধ করতে বিজ্ঞানীদের সহায়তা করা। এআই-এর অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে আমরা এখন বিশ্বাস করি, এটি আরও দ্রুত সম্ভব হতে পারে। আমরা মনে করি বিজ্ঞানের অগ্রগতিকে ত্বরান্বিত করাই আমাদের সবচেয়ে ইতিবাচক প্রভাব ফেলার ক্ষেত্র। তাই পরবর্তী অধ্যায়ের জন্য আমরা এআই-চালিত জীববিজ্ঞানে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাব।’
উল্লেখ্য, জাকারবার্গ ও চ্যান দম্পতি তাদের সম্পদের প্রায় অর্ধেক দান করার অঙ্গীকার করেছেন। এর পরিমাণ ২০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি।
যদিও সিজিআই ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠার সময় শিক্ষা, জননীতি এবং রোগ নিরাময়কে তাদের প্রধান ক্ষেত্র হিসেবে ঘোষণা করেছিল। তবে বর্তমানে মেটার মতোই সিজিআই তাদের পুরোনো লক্ষ্য থেকে সরে এসে এআই-এর দিকে ঝুঁকছে।
বলতে গেলে এই লক্ষ্য পূরণের অংশ হিসেবেই ২০২৩ সালে শিক্ষা বিভাগে নিয়োজিত কয়েক ডজন কর্মীকে ছাঁটাই করা হয় এবং শিক্ষা নীতি সংক্রান্ত অনুদান পোর্টফোলিও বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর ২০২৪ সালে প্রিসিলা চ্যান কর্মীদের কাছে পাঠানো একটি ই-মেলে নিশ্চিত করেন, ‘যদিও সিজিআই শিক্ষামূলক কাজ এবং স্থানীয় সম্প্রদায়গুলিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে, তবুও আমরা বুঝতে পারছি যে বিজ্ঞানই আমাদের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ এবং বাজি, যা ভবিষ্যতেও তৈরি হবে।’
বায়োহাব তাদের সর্বশেষ উদ্যোগের অধীনে চারটি বৈজ্ঞানিক চ্যালেঞ্জ পূরণের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে, রোগের প্রাথমিক শনাক্তকরণ, প্রতিরোধ এবং চিকিৎসার জন্য রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে পুনর্গঠন ও কাজে লাগাতে এআই ব্যবহার।
এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য বায়োহাব ২০২৮ সালের মধ্যে তাদের কম্পিউটিং সক্ষমতা বাড়িয়ে ১০ হাজার জিপিইউ-তে উন্নীত করবে।
বায়োহাব আশা করছে, এই নতুন সিস্টেমে অগ্রগতি অর্জিত হলে, কয়েক মাসের মধ্যেই কয়েক দশকের আবিষ্কার সম্ভব হতে পারে। তাদের বিশ্বাস, এই পদক্ষেপগুলো সম্মিলিতভাবে ‘অত্যাধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান’-এর দ্বার উন্মোচন করবে।

২০২৩ সালের ১৭ নভেম্বর। এক অনলাইন মিটিংয়ে কয়েক মিনিটের মধ্যে ওপেনএআইয়ের সিইও এবং প্রতিষ্ঠাতা স্যাম অল্টম্যানকে হঠাৎ চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হলো। স্যাম কোনো সাধারণ মানুষ তো নন, তাই তাঁর চাকরি ছাঁটাইয়ের খবরও সাধারণ ছিল না। স্যাম হলেন সেই ব্যক্তি, যিনি এর আগের এক বছরে পুরো বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন।
২৬ আগস্ট ২০২৫
রিয়েলমি বাংলাদেশের বাজারে এনেছে রিয়েলমি সি৮৫ প্রো। ‘ক্যাটাগরির প্রথম অফিশিয়াল ওয়াটারপ্রুফ স্মার্টফোন’ সি৭৫-এর সাফল্যের পর এই নতুন ডিভাইসটিকে সেগমেন্টের সবচেয়ে বেশি ওয়াটার-রেজিস্ট্যান্ট ও উজ্জ্বলতম ডিসপ্লেযুক্ত ফোন হিসেবে বাজারে আনা হয়েছে।
২ মিনিট আগে
টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক ইতিহাসের সবচেয়ে বড় করপোরেট বেতন-ভাতা প্যাকেজের অনুমোদন পেয়েছেন। স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার টেসলার শেয়ারহোল্ডাররা তাঁর জন্য প্রস্তাবিত বেতন-ভাতা প্যাকেজে ভোট দিয়ে সমর্থন জানান। এতে ৭৫ শতাংশের বেশি শেয়ারহোল্ডার অনুমোদন দিয়েছেন।
৬ ঘণ্টা আগে
দেশে দ্রুতগতির মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারের প্রবণতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অপারেটরগুলো ভিওএলটিই বা ভোল্টি সেবা চালু করেছে। সাধারণ ব্যবহারকারীর জন্য এটি নতুন একটি অভিজ্ঞতা—ভয়েস কল এখন সরাসরি ৪জি নেটওয়ার্ক দিয়ে করা যায়। ফলে ফোন কলের শব্দ শোনা যায় আরও স্পষ্ট, সংযোগ হয় আরও দ্রুত এবং একই সঙ্গে ব্যবহার করা
১৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক ইতিহাসের সবচেয়ে বড় করপোরেট বেতন-ভাতা প্যাকেজের অনুমোদন পেয়েছেন। স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার টেসলার শেয়ারহোল্ডাররা তাঁর জন্য প্রস্তাবিত বেতন-ভাতা প্যাকেজে ভোট দিয়ে সমর্থন জানান। এতে ৭৫ শতাংশের বেশি শেয়ারহোল্ডার অনুমোদন দিয়েছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, টেক্সাসের অস্টিনে টেসলার কারখানায় বার্ষিক সাধারণ সভায় মঞ্চে ওঠেন মাস্ক। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিল নাচতে থাকা রোবটের দল। মাস্ক এখন বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি। প্যাকেজ অনুযায়ী, আগামী এক দশকে তিনি সর্বোচ্চ ১ ট্রিলিয়ন ডলার মূল্যের টেসলার শেয়ার পেতে পারেন। তবে কর ও অন্যান্য কর্তনের পর প্রকৃত মূল্য দাঁড়াবে প্রায় ৮৭৮ বিলিয়ন ডলার।
এই ভোট টেসলার ভবিষ্যৎ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ। মাস্কের লক্ষ্য হলো অটোমেটেড বা স্বয়ংচালিত গাড়ি তৈরি, যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে রোবোট্যাক্সি নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা এবং মানবাকৃতির রোবট বিক্রি করা। তবে তাঁর ডানপন্থী রাজনৈতিক বক্তব্যের কারণে এ বছর টেসলার ব্র্যান্ড ইমেজ কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পরিচালনা পর্ষদ আগেই সতর্ক করেছিল—এই প্যাকেজ না পেলে মাস্ক কোম্পানি ছেড়ে দিতে পারেন। কিছু বিনিয়োগকারী একে অতি ব্যয়বহুল ও অপ্রয়োজনীয় বলেছেন। তবে অনেকেই মনে করেন, মাস্ককে ধরে রাখতে এবং কোম্পানির লক্ষ্য পূরণে উৎসাহ দিতে এটি জরুরি।
এই প্রস্তাব পাসের পর মাস্ক বলেন, ‘আমরা টেসলার ভবিষ্যতের নতুন অধ্যায়ে নয়, বরং এক নতুন অধ্যায়ের সূচনায় প্রবেশ করছি।’ তিনি মঞ্চে আরও কিছু প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি জানান, এপ্রিল থেকেই দুই সিটের, স্টিয়ারিংহীন রোবোট্যাক্সি ‘সাইবারক্যাব’-এর উৎপাদন শুরু হবে। তিনি আরও জানান, শিগগির নতুন প্রজন্মের ইলেকট্রিক স্পোর্টস কার ‘রোডস্টার’ উন্মোচন করা হবে।
এ ছাড়া টেসলাকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চিপ তৈরির জন্য একটি বিশাল কারখানা গড়তে হবে বলে জানান মাস্ক। এ ক্ষেত্রে ইন্টেলের সঙ্গে অংশীদারত্বের কথাও বিবেচনা করা হচ্ছে। শেয়ারহোল্ডাররা মাস্কের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা স্টার্টআপ এক্সএআইতে (xAI) টেসলার বিনিয়োগের পক্ষেও ভোট দিয়েছেন, যদিও অনেকেই বিরত থেকেছেন।
আগামী দশকে মাস্কের লক্ষ্য হলো ২ কোটি গাড়ি উৎপাদন, ১০ লাখ রোবোট্যাক্সি চালু, ১০ লাখ রোবট বিক্রি এবং ৪০০ বিলিয়ন ডলার মূল মুনাফা অর্জন। তবে এ জন্য টেসলার বাজারমূল্যও বাড়াতে হবে—বর্তমান ১.৫ ট্রিলিয়ন ডলার থেকে প্রথমে ২ ট্রিলিয়ন, এরপর ৮.৫ ট্রিলিয়ন ডলারে।
প্রতিটি ধাপ পূরণে মাস্ক পাবেন কোম্পানির ১ শতাংশ শেয়ার। ফলে সব লক্ষ্য পূরণ না হলেও তিনি কয়েক দশক ডলারের সমপরিমাণ শেয়ার পেতে পারেন। যদি সব লক্ষ্য অর্জিত হয়, মাস্ক ১২ শতাংশ শেয়ার পাবেন, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ১ ট্রিলিয়ন ডলার। এই শেয়ারগুলোর নিট মূল্য দাঁড়াবে ৮৭৮ বিলিয়ন ডলার। কারণ, এতে প্রস্তাব পাসের দিনের শেয়ারের দাম ধরা হয়নি। মাস্ক চাইলে নগদ অর্থে মূল্য পরিশোধ করতে পারেন অথবা কম শেয়ার নিয়ে সেই পরিমাণ সমন্বয় করতে পারেন।

টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক ইতিহাসের সবচেয়ে বড় করপোরেট বেতন-ভাতা প্যাকেজের অনুমোদন পেয়েছেন। স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার টেসলার শেয়ারহোল্ডাররা তাঁর জন্য প্রস্তাবিত বেতন-ভাতা প্যাকেজে ভোট দিয়ে সমর্থন জানান। এতে ৭৫ শতাংশের বেশি শেয়ারহোল্ডার অনুমোদন দিয়েছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, টেক্সাসের অস্টিনে টেসলার কারখানায় বার্ষিক সাধারণ সভায় মঞ্চে ওঠেন মাস্ক। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিল নাচতে থাকা রোবটের দল। মাস্ক এখন বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি। প্যাকেজ অনুযায়ী, আগামী এক দশকে তিনি সর্বোচ্চ ১ ট্রিলিয়ন ডলার মূল্যের টেসলার শেয়ার পেতে পারেন। তবে কর ও অন্যান্য কর্তনের পর প্রকৃত মূল্য দাঁড়াবে প্রায় ৮৭৮ বিলিয়ন ডলার।
এই ভোট টেসলার ভবিষ্যৎ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ। মাস্কের লক্ষ্য হলো অটোমেটেড বা স্বয়ংচালিত গাড়ি তৈরি, যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে রোবোট্যাক্সি নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা এবং মানবাকৃতির রোবট বিক্রি করা। তবে তাঁর ডানপন্থী রাজনৈতিক বক্তব্যের কারণে এ বছর টেসলার ব্র্যান্ড ইমেজ কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পরিচালনা পর্ষদ আগেই সতর্ক করেছিল—এই প্যাকেজ না পেলে মাস্ক কোম্পানি ছেড়ে দিতে পারেন। কিছু বিনিয়োগকারী একে অতি ব্যয়বহুল ও অপ্রয়োজনীয় বলেছেন। তবে অনেকেই মনে করেন, মাস্ককে ধরে রাখতে এবং কোম্পানির লক্ষ্য পূরণে উৎসাহ দিতে এটি জরুরি।
এই প্রস্তাব পাসের পর মাস্ক বলেন, ‘আমরা টেসলার ভবিষ্যতের নতুন অধ্যায়ে নয়, বরং এক নতুন অধ্যায়ের সূচনায় প্রবেশ করছি।’ তিনি মঞ্চে আরও কিছু প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি জানান, এপ্রিল থেকেই দুই সিটের, স্টিয়ারিংহীন রোবোট্যাক্সি ‘সাইবারক্যাব’-এর উৎপাদন শুরু হবে। তিনি আরও জানান, শিগগির নতুন প্রজন্মের ইলেকট্রিক স্পোর্টস কার ‘রোডস্টার’ উন্মোচন করা হবে।
এ ছাড়া টেসলাকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চিপ তৈরির জন্য একটি বিশাল কারখানা গড়তে হবে বলে জানান মাস্ক। এ ক্ষেত্রে ইন্টেলের সঙ্গে অংশীদারত্বের কথাও বিবেচনা করা হচ্ছে। শেয়ারহোল্ডাররা মাস্কের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা স্টার্টআপ এক্সএআইতে (xAI) টেসলার বিনিয়োগের পক্ষেও ভোট দিয়েছেন, যদিও অনেকেই বিরত থেকেছেন।
আগামী দশকে মাস্কের লক্ষ্য হলো ২ কোটি গাড়ি উৎপাদন, ১০ লাখ রোবোট্যাক্সি চালু, ১০ লাখ রোবট বিক্রি এবং ৪০০ বিলিয়ন ডলার মূল মুনাফা অর্জন। তবে এ জন্য টেসলার বাজারমূল্যও বাড়াতে হবে—বর্তমান ১.৫ ট্রিলিয়ন ডলার থেকে প্রথমে ২ ট্রিলিয়ন, এরপর ৮.৫ ট্রিলিয়ন ডলারে।
প্রতিটি ধাপ পূরণে মাস্ক পাবেন কোম্পানির ১ শতাংশ শেয়ার। ফলে সব লক্ষ্য পূরণ না হলেও তিনি কয়েক দশক ডলারের সমপরিমাণ শেয়ার পেতে পারেন। যদি সব লক্ষ্য অর্জিত হয়, মাস্ক ১২ শতাংশ শেয়ার পাবেন, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ১ ট্রিলিয়ন ডলার। এই শেয়ারগুলোর নিট মূল্য দাঁড়াবে ৮৭৮ বিলিয়ন ডলার। কারণ, এতে প্রস্তাব পাসের দিনের শেয়ারের দাম ধরা হয়নি। মাস্ক চাইলে নগদ অর্থে মূল্য পরিশোধ করতে পারেন অথবা কম শেয়ার নিয়ে সেই পরিমাণ সমন্বয় করতে পারেন।

২০২৩ সালের ১৭ নভেম্বর। এক অনলাইন মিটিংয়ে কয়েক মিনিটের মধ্যে ওপেনএআইয়ের সিইও এবং প্রতিষ্ঠাতা স্যাম অল্টম্যানকে হঠাৎ চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হলো। স্যাম কোনো সাধারণ মানুষ তো নন, তাই তাঁর চাকরি ছাঁটাইয়ের খবরও সাধারণ ছিল না। স্যাম হলেন সেই ব্যক্তি, যিনি এর আগের এক বছরে পুরো বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন।
২৬ আগস্ট ২০২৫
রিয়েলমি বাংলাদেশের বাজারে এনেছে রিয়েলমি সি৮৫ প্রো। ‘ক্যাটাগরির প্রথম অফিশিয়াল ওয়াটারপ্রুফ স্মার্টফোন’ সি৭৫-এর সাফল্যের পর এই নতুন ডিভাইসটিকে সেগমেন্টের সবচেয়ে বেশি ওয়াটার-রেজিস্ট্যান্ট ও উজ্জ্বলতম ডিসপ্লেযুক্ত ফোন হিসেবে বাজারে আনা হয়েছে।
২ মিনিট আগে
মেটার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মার্ক জাকারবার্গ এবং তাঁর স্ত্রী, শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ প্রিসিলা চ্যানের প্রতিষ্ঠিত জনহিতকর সংস্থা চ্যান জাকারবার্গ ইনিশিয়েটিভ (সিজিআই) এখন লক্ষ্য পরিবর্তন করছে।
২ ঘণ্টা আগে
দেশে দ্রুতগতির মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারের প্রবণতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অপারেটরগুলো ভিওএলটিই বা ভোল্টি সেবা চালু করেছে। সাধারণ ব্যবহারকারীর জন্য এটি নতুন একটি অভিজ্ঞতা—ভয়েস কল এখন সরাসরি ৪জি নেটওয়ার্ক দিয়ে করা যায়। ফলে ফোন কলের শব্দ শোনা যায় আরও স্পষ্ট, সংযোগ হয় আরও দ্রুত এবং একই সঙ্গে ব্যবহার করা
১৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দেশে দ্রুতগতির মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারের প্রবণতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অপারেটরগুলো ভিওএলটিই বা ভোল্টি সেবা চালু করেছে। সাধারণ ব্যবহারকারীর জন্য এটি নতুন একটি অভিজ্ঞতা—ভয়েস কল এখন সরাসরি ৪জি নেটওয়ার্ক দিয়ে করা যায়। ফলে ফোন কলের শব্দ শোনা যায় আরও স্পষ্ট, সংযোগ হয় আরও দ্রুত এবং একই সঙ্গে ব্যবহার করা যায় হাই-স্পিড ইন্টারনেট।
ভিওএলটিই কী?
VoLTE-এর পূর্ণরূপ Voice over LTE। সহজ ভাষায়—৪জি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ভয়েস কল করার প্রযুক্তি। সাধারণভাবে ৪জি ইন্টারনেট ব্যবহার করার সময় কল এলে ফোনটি ২জি বা ৩জি নেটওয়ার্কে ফিরে যায়, এতে কল সেটআপ সময় বেড়ে যায় এবং ইন্টারনেটের গতি কমে যায়। ভিওএলটিই প্রযুক্তি ফোনকে একই সঙ্গে ৪জি নেটওয়ার্কে ভয়েস কল এবং ইন্টারনেট ব্যবহার করতে দেয়।
অপারেটরদের ভাষ্য অনুযায়ী, ভিওএলটিই ব্যবহার করলে কণ্ঠস্বরের মান অনেক উন্নত হয়, এইচডি ভয়েস শোনা যায়, কল ধরতে সময় কম লাগে এবং ইন্টারনেট গতি স্থির থাকে।
ভিওএলটিইর গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা
* এইচডি ভয়েস কোয়ালিটি
কলের সময় অপর প্রান্তের কণ্ঠস্বর হবে আরও পরিষ্কার ও ঝকঝকে—যেন একদম পাশেই কথা বলছেন।
* দ্রুত কল সংযোগ
ভিওএলটিই নেটওয়ার্কে কল সেটআপ সময় উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়, ফলে ফোন রিং বাজতে আর দেরি হয় না।
* ইন্টারনেট ব্যবহার বন্ধ হয় না
প্রচলিত নেটওয়ার্কে কল এলে ইন্টারনেট গতিতে পতন ঘটে। ভিওএলটিইতে কল চলাকালীনও ৪জি ইন্টারনেট একই গতিতে ব্যবহার করা যায়—ভিডিও স্ট্রিমিং, ব্রাউজিং বা অ্যাপ ব্যবহারে কোনো বাধা পড়ে না।
* ব্যাটারি ব্যয় কম
নেটওয়ার্ক বারবার ৪জি থেকে ৩জি/২জি-তে স্যুইচ করতে হয় না, ফলে ব্যাটারির চাপ কমে।
* অতিরিক্ত চার্জ নেই
ভিওএলটিই ব্যবহার করলে কোনো অতিরিক্ত ডেটা চার্জ কাটা হয় না, কল চার্জ ঠিক আগের মতোই থাকবে।
কীভাবে ভিওএলটিই চালু করবেন?
ভিওএলটিই সঠিকভাবে ব্যবহারের জন্য কয়েকটি শর্ত পূরণ করতে হবে।
🔷 ৪জি/ইউএসআইএম (USIM) সিম
পুরোনো ২জি/৩জি সিমে ভিওএলটিই কাজ নাও করতে পারে। প্রয়োজন হলে অপারেটরের গ্রাহকসেবায় গিয়ে সিম আপগ্রেড করতে হবে।
🔷 ২. ভিওএলটিই সমর্থিত স্মার্টফোন
মোবাইল সেটিংসে গিয়ে নিশ্চিত করুন ভিওএলটিই অপশন আছে কি না।
Android:
Settings → Mobile Network / SIM & Network → VoLTE / 4G Calling অপশন চালু করুন।
iPhone:
Settings → Mobile Data → Mobile Data Options → Voice & Data → 4G, VoLTE ON
🔷 নেটওয়ার্ক মোডের সঠিক সেটিং
SIM slot with data → Preferred network type = 4G/3G/2G (Auto)
🔷 সফটওয়্যার আপডেট
হ্যান্ডসেট প্রস্তুতকারকের দেওয়া সর্বশেষ সফটওয়্যার আপডেট ইনস্টল করা থাকতে হবে।
🔷 ভিওএলটিই কাভারেজে থাকতে হবে
আপনার অবস্থানে অপারেটরের ৪জি VoLTE কাভারেজ থাকতে হবে।
কোন অপারেটরের ভিওএলটিই আছে?
বাংলাদেশে গ্রামীণফোন, রবি, এয়ারটেল ও টেলিটকের বেশিরভাগ এলাকায় ভিওএলটিই সেবা চালু হয়েছে। তবে মডেল ও এলাকার ভিত্তিতে সাপোর্ট ভিন্ন হতে পারে। ব্যবহারকারী চাইলে অপারেটরের অ্যাপ বা কল সেন্টারের মাধ্যমে নিশ্চিত হতে পারেন।
ভিওএলটিই বাংলাদেশের মোবাইল নেটওয়ার্কে নতুন অভিজ্ঞতা নিয়ে এসেছে। শুধু দ্রুত ইন্টারনেট নয়, এখন একই সঙ্গে উচ্চমানের ভয়েস কলও সম্ভব। স্মার্টফোনে অপশনটি সক্রিয় করলেই ব্যবহার করা যাবে। যে কেউ চাইলে অতিরিক্ত কোনো খরচ ছাড়াই এই আধুনিক প্রযুক্তির সুবিধা নিতে পারেন।

দেশে দ্রুতগতির মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারের প্রবণতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অপারেটরগুলো ভিওএলটিই বা ভোল্টি সেবা চালু করেছে। সাধারণ ব্যবহারকারীর জন্য এটি নতুন একটি অভিজ্ঞতা—ভয়েস কল এখন সরাসরি ৪জি নেটওয়ার্ক দিয়ে করা যায়। ফলে ফোন কলের শব্দ শোনা যায় আরও স্পষ্ট, সংযোগ হয় আরও দ্রুত এবং একই সঙ্গে ব্যবহার করা যায় হাই-স্পিড ইন্টারনেট।
ভিওএলটিই কী?
VoLTE-এর পূর্ণরূপ Voice over LTE। সহজ ভাষায়—৪জি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ভয়েস কল করার প্রযুক্তি। সাধারণভাবে ৪জি ইন্টারনেট ব্যবহার করার সময় কল এলে ফোনটি ২জি বা ৩জি নেটওয়ার্কে ফিরে যায়, এতে কল সেটআপ সময় বেড়ে যায় এবং ইন্টারনেটের গতি কমে যায়। ভিওএলটিই প্রযুক্তি ফোনকে একই সঙ্গে ৪জি নেটওয়ার্কে ভয়েস কল এবং ইন্টারনেট ব্যবহার করতে দেয়।
অপারেটরদের ভাষ্য অনুযায়ী, ভিওএলটিই ব্যবহার করলে কণ্ঠস্বরের মান অনেক উন্নত হয়, এইচডি ভয়েস শোনা যায়, কল ধরতে সময় কম লাগে এবং ইন্টারনেট গতি স্থির থাকে।
ভিওএলটিইর গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা
* এইচডি ভয়েস কোয়ালিটি
কলের সময় অপর প্রান্তের কণ্ঠস্বর হবে আরও পরিষ্কার ও ঝকঝকে—যেন একদম পাশেই কথা বলছেন।
* দ্রুত কল সংযোগ
ভিওএলটিই নেটওয়ার্কে কল সেটআপ সময় উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়, ফলে ফোন রিং বাজতে আর দেরি হয় না।
* ইন্টারনেট ব্যবহার বন্ধ হয় না
প্রচলিত নেটওয়ার্কে কল এলে ইন্টারনেট গতিতে পতন ঘটে। ভিওএলটিইতে কল চলাকালীনও ৪জি ইন্টারনেট একই গতিতে ব্যবহার করা যায়—ভিডিও স্ট্রিমিং, ব্রাউজিং বা অ্যাপ ব্যবহারে কোনো বাধা পড়ে না।
* ব্যাটারি ব্যয় কম
নেটওয়ার্ক বারবার ৪জি থেকে ৩জি/২জি-তে স্যুইচ করতে হয় না, ফলে ব্যাটারির চাপ কমে।
* অতিরিক্ত চার্জ নেই
ভিওএলটিই ব্যবহার করলে কোনো অতিরিক্ত ডেটা চার্জ কাটা হয় না, কল চার্জ ঠিক আগের মতোই থাকবে।
কীভাবে ভিওএলটিই চালু করবেন?
ভিওএলটিই সঠিকভাবে ব্যবহারের জন্য কয়েকটি শর্ত পূরণ করতে হবে।
🔷 ৪জি/ইউএসআইএম (USIM) সিম
পুরোনো ২জি/৩জি সিমে ভিওএলটিই কাজ নাও করতে পারে। প্রয়োজন হলে অপারেটরের গ্রাহকসেবায় গিয়ে সিম আপগ্রেড করতে হবে।
🔷 ২. ভিওএলটিই সমর্থিত স্মার্টফোন
মোবাইল সেটিংসে গিয়ে নিশ্চিত করুন ভিওএলটিই অপশন আছে কি না।
Android:
Settings → Mobile Network / SIM & Network → VoLTE / 4G Calling অপশন চালু করুন।
iPhone:
Settings → Mobile Data → Mobile Data Options → Voice & Data → 4G, VoLTE ON
🔷 নেটওয়ার্ক মোডের সঠিক সেটিং
SIM slot with data → Preferred network type = 4G/3G/2G (Auto)
🔷 সফটওয়্যার আপডেট
হ্যান্ডসেট প্রস্তুতকারকের দেওয়া সর্বশেষ সফটওয়্যার আপডেট ইনস্টল করা থাকতে হবে।
🔷 ভিওএলটিই কাভারেজে থাকতে হবে
আপনার অবস্থানে অপারেটরের ৪জি VoLTE কাভারেজ থাকতে হবে।
কোন অপারেটরের ভিওএলটিই আছে?
বাংলাদেশে গ্রামীণফোন, রবি, এয়ারটেল ও টেলিটকের বেশিরভাগ এলাকায় ভিওএলটিই সেবা চালু হয়েছে। তবে মডেল ও এলাকার ভিত্তিতে সাপোর্ট ভিন্ন হতে পারে। ব্যবহারকারী চাইলে অপারেটরের অ্যাপ বা কল সেন্টারের মাধ্যমে নিশ্চিত হতে পারেন।
ভিওএলটিই বাংলাদেশের মোবাইল নেটওয়ার্কে নতুন অভিজ্ঞতা নিয়ে এসেছে। শুধু দ্রুত ইন্টারনেট নয়, এখন একই সঙ্গে উচ্চমানের ভয়েস কলও সম্ভব। স্মার্টফোনে অপশনটি সক্রিয় করলেই ব্যবহার করা যাবে। যে কেউ চাইলে অতিরিক্ত কোনো খরচ ছাড়াই এই আধুনিক প্রযুক্তির সুবিধা নিতে পারেন।

২০২৩ সালের ১৭ নভেম্বর। এক অনলাইন মিটিংয়ে কয়েক মিনিটের মধ্যে ওপেনএআইয়ের সিইও এবং প্রতিষ্ঠাতা স্যাম অল্টম্যানকে হঠাৎ চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হলো। স্যাম কোনো সাধারণ মানুষ তো নন, তাই তাঁর চাকরি ছাঁটাইয়ের খবরও সাধারণ ছিল না। স্যাম হলেন সেই ব্যক্তি, যিনি এর আগের এক বছরে পুরো বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন।
২৬ আগস্ট ২০২৫
রিয়েলমি বাংলাদেশের বাজারে এনেছে রিয়েলমি সি৮৫ প্রো। ‘ক্যাটাগরির প্রথম অফিশিয়াল ওয়াটারপ্রুফ স্মার্টফোন’ সি৭৫-এর সাফল্যের পর এই নতুন ডিভাইসটিকে সেগমেন্টের সবচেয়ে বেশি ওয়াটার-রেজিস্ট্যান্ট ও উজ্জ্বলতম ডিসপ্লেযুক্ত ফোন হিসেবে বাজারে আনা হয়েছে।
২ মিনিট আগে
মেটার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মার্ক জাকারবার্গ এবং তাঁর স্ত্রী, শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ প্রিসিলা চ্যানের প্রতিষ্ঠিত জনহিতকর সংস্থা চ্যান জাকারবার্গ ইনিশিয়েটিভ (সিজিআই) এখন লক্ষ্য পরিবর্তন করছে।
২ ঘণ্টা আগে
টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক ইতিহাসের সবচেয়ে বড় করপোরেট বেতন-ভাতা প্যাকেজের অনুমোদন পেয়েছেন। স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার টেসলার শেয়ারহোল্ডাররা তাঁর জন্য প্রস্তাবিত বেতন-ভাতা প্যাকেজে ভোট দিয়ে সমর্থন জানান। এতে ৭৫ শতাংশের বেশি শেয়ারহোল্ডার অনুমোদন দিয়েছেন।
৬ ঘণ্টা আগে