প্রমিতি কিবরিয়া ইসলাম, ঢাকা
সিনেমায় দেখানো আধুনিক প্রযুক্তি যেন সামনে হাজির করল লেনোভো। বিশ্বের প্রথম স্বচ্ছ ডিসপ্লে ও কি-বোর্ডের সমন্বয়ে একটি অনন্য ল্যাপটপ তৈরি করে দেখাল চীনের এই প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান। ল্যাপটপটির স্বচ্ছ মাইক্রো এলইডি ডিসপ্লের মাধ্যমে ডিজিটাল কনটেন্টের পাশাপাশি বাস্তব জগতেও উঁকি দেওয়া যাবে। ল্যাপটপটির স্বচ্ছ কি-বোর্ডটিতে কোনো বাটন থাকবে না। পুরোটিই একটি টাচ স্ক্রিন। এই কি-বোর্ডের ভার্চুয়াল কি দেখা যাবে। সেগুলোতে স্পর্শ করে মোবাইল ফোনের মতো টাইপ করা যাবে।
প্রযুক্তি জগতের সবচেয়ে বড় ইভেন্ট মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে (২০২৪) এই ল্যাপটপ উন্মোচন করা হয়। নিজেদের ‘প্রজেক্ট ক্রিস্টাল’ প্রকল্পের আওতায় কনসেপ্ট সংস্করণের ল্যাপটপটি নিয়ে কাজ করে লেনোভো। এর আগে এমন স্বচ্ছ ডিসপ্লে শুধু ধারণামূলক পর্যায়েই দেখা গেছে। যেহেতু ল্যাপটপটি প্রতিষ্ঠানটির কনসেপ্ট পণ্য, তাই খুচরা বিক্রির জন্য ডিভাইসটি এখনই বাজারে ছাড়া হবে না বলে জানা গেছে।
লেনেভোর ১৭.৩ ইঞ্চির বেজেলবিহীন ল্যাপটপটির নাম থিংকবুক ট্রান্সপারেন্ট ডিসপ্লে ল্যাপটপ। এতে মাইক্রো এলইডি ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়েছে। তাই ডিসপ্লের পেছনের দৃশ্য দেখা যায়। ল্যাপটপটি পিক্সেলগুলো বন্ধ করে দিলে ডিসপ্লেটি ৫৫ শতাংশ পর্যন্ত স্বচ্ছ হতে পারে। প্রজেক্ট ক্রিস্টালের ল্যাপটপ বা ডিসপ্লে বন্ধ থাকার সময় এর স্ক্রিন সামান্য বাদামি আভার কাচের টুকরোর মতো দেখা যায়।
একাধিক স্তরে তৈরি হওয়া সত্ত্বেও ল্যাপটপটির প্যানেল অত্যন্ত পাতলা, যা ডিজিটাল ও অ্যানালগ জগতের সীমাকে অস্পষ্ট করে তোলে। লেনোভো বলেছে, কিছু কনট্রাস্ট স্তর যুক্ত করার কথাও বিবেচনা করছে তারা। এ ক্ষেত্রে ডিসপ্লেটিকে অস্বচ্ছ ডিসপ্লেতে পরিণত করার জন্য একটি বোতাম যুক্ত করা হতে পারে।
১৬ ইঞ্চি ডিসপ্লে হিসেবে এর রেজল্যুশনও খুব বেশি নয়। তাই খুব কাছ থেকে তাকালে পিক্সেলগুলো আলাদা আলাদা করে বোঝা যাবে। লেনোভো বলছে, থিংকবুক ট্রান্সপারেন্ট ডিসপ্লে মাইক্রো এলইডি প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি। এতে সর্বোচ্চ ১০০০ নিট পর্যন্ত উজ্জ্বলতা বা ব্রাইটনেস পাওয়া যাবে। ল্যাপটপটির নিচের দিকে ক্যামেরা রয়েছে। এই ক্যামেরা ভিডিও ধারণের পাশাপাশি বিভিন্ন বস্তুকে শনাক্তও করতে পারবে। ল্যাপটপটিতে এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। তাই বিভিন্ন বস্তু শনাক্তের পর সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিতে পারবে। লেনোভো ল্যাপটপে ওএস উইন্ডোজ ১১ সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়েছে।
ল্যাপটপটি ডুয়েল স্ক্রিন ধারণারই একটি নতুন সংস্করণ বলে মনে করছেন অনেক প্রযুক্তিবিদ। স্বচ্ছ কি-বোর্ডটিকে ড্রয়িং প্যাড হিসেবেও ব্যবহার করা যাবে। স্টাইলাস কাছে আনলে কি-বোর্ডের ডিজিটাল কিগুলো গায়েব হয়ে গিয়ে সেটি ড্রয়িং প্যাডে পরিণত হয়। এই ল্যাপটপের মাধ্যমে ডিজিটাল চিত্রশিল্পীরা বেশি সুবিধা পাবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
এ ল্যাপটপের কি-বোর্ড ব্যবহারের অভিজ্ঞতা আরও উন্নত করতে এতে হ্যাপটিক ফিচার ব্যবহার করা যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। মাইক্রো এলইডি একটি সাশ্রয়ী ডিসপ্লে। এ প্রযুক্তি অ্যাপলের ভিশন প্রোর মতো অত্যাধুনিক ডিভাইসে ব্যবহার করা হয়েছে।
অভিনব এ ল্যাপটপের কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। সব ধরনের কাজ বা অ্যাপ্লিকেশনের জন্য এটি সুবিধাজনক নয়। বিশেষ করে টেক্সটভিত্তিক কাজের জন্য এটা খুব একটা সুবিধাজনক নয়। আর একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ারের ক্ষেত্রে ডিসপ্লের কনটেন্টগুলো ভালোভাবে দেখা যাবে না।
ল্যাপটপটি এখনো পরীক্ষা-নিরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে। তাই এর প্রসেসর, মেমোরি, স্টোরেজ ও কানেকটিভিটি নিয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি লেনেভো।
তথ্যসূত্র: অ্যান্ডগ্যাজেট, দ্য ভার্জ
সিনেমায় দেখানো আধুনিক প্রযুক্তি যেন সামনে হাজির করল লেনোভো। বিশ্বের প্রথম স্বচ্ছ ডিসপ্লে ও কি-বোর্ডের সমন্বয়ে একটি অনন্য ল্যাপটপ তৈরি করে দেখাল চীনের এই প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান। ল্যাপটপটির স্বচ্ছ মাইক্রো এলইডি ডিসপ্লের মাধ্যমে ডিজিটাল কনটেন্টের পাশাপাশি বাস্তব জগতেও উঁকি দেওয়া যাবে। ল্যাপটপটির স্বচ্ছ কি-বোর্ডটিতে কোনো বাটন থাকবে না। পুরোটিই একটি টাচ স্ক্রিন। এই কি-বোর্ডের ভার্চুয়াল কি দেখা যাবে। সেগুলোতে স্পর্শ করে মোবাইল ফোনের মতো টাইপ করা যাবে।
প্রযুক্তি জগতের সবচেয়ে বড় ইভেন্ট মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে (২০২৪) এই ল্যাপটপ উন্মোচন করা হয়। নিজেদের ‘প্রজেক্ট ক্রিস্টাল’ প্রকল্পের আওতায় কনসেপ্ট সংস্করণের ল্যাপটপটি নিয়ে কাজ করে লেনোভো। এর আগে এমন স্বচ্ছ ডিসপ্লে শুধু ধারণামূলক পর্যায়েই দেখা গেছে। যেহেতু ল্যাপটপটি প্রতিষ্ঠানটির কনসেপ্ট পণ্য, তাই খুচরা বিক্রির জন্য ডিভাইসটি এখনই বাজারে ছাড়া হবে না বলে জানা গেছে।
লেনেভোর ১৭.৩ ইঞ্চির বেজেলবিহীন ল্যাপটপটির নাম থিংকবুক ট্রান্সপারেন্ট ডিসপ্লে ল্যাপটপ। এতে মাইক্রো এলইডি ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়েছে। তাই ডিসপ্লের পেছনের দৃশ্য দেখা যায়। ল্যাপটপটি পিক্সেলগুলো বন্ধ করে দিলে ডিসপ্লেটি ৫৫ শতাংশ পর্যন্ত স্বচ্ছ হতে পারে। প্রজেক্ট ক্রিস্টালের ল্যাপটপ বা ডিসপ্লে বন্ধ থাকার সময় এর স্ক্রিন সামান্য বাদামি আভার কাচের টুকরোর মতো দেখা যায়।
একাধিক স্তরে তৈরি হওয়া সত্ত্বেও ল্যাপটপটির প্যানেল অত্যন্ত পাতলা, যা ডিজিটাল ও অ্যানালগ জগতের সীমাকে অস্পষ্ট করে তোলে। লেনোভো বলেছে, কিছু কনট্রাস্ট স্তর যুক্ত করার কথাও বিবেচনা করছে তারা। এ ক্ষেত্রে ডিসপ্লেটিকে অস্বচ্ছ ডিসপ্লেতে পরিণত করার জন্য একটি বোতাম যুক্ত করা হতে পারে।
১৬ ইঞ্চি ডিসপ্লে হিসেবে এর রেজল্যুশনও খুব বেশি নয়। তাই খুব কাছ থেকে তাকালে পিক্সেলগুলো আলাদা আলাদা করে বোঝা যাবে। লেনোভো বলছে, থিংকবুক ট্রান্সপারেন্ট ডিসপ্লে মাইক্রো এলইডি প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি। এতে সর্বোচ্চ ১০০০ নিট পর্যন্ত উজ্জ্বলতা বা ব্রাইটনেস পাওয়া যাবে। ল্যাপটপটির নিচের দিকে ক্যামেরা রয়েছে। এই ক্যামেরা ভিডিও ধারণের পাশাপাশি বিভিন্ন বস্তুকে শনাক্তও করতে পারবে। ল্যাপটপটিতে এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। তাই বিভিন্ন বস্তু শনাক্তের পর সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিতে পারবে। লেনোভো ল্যাপটপে ওএস উইন্ডোজ ১১ সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়েছে।
ল্যাপটপটি ডুয়েল স্ক্রিন ধারণারই একটি নতুন সংস্করণ বলে মনে করছেন অনেক প্রযুক্তিবিদ। স্বচ্ছ কি-বোর্ডটিকে ড্রয়িং প্যাড হিসেবেও ব্যবহার করা যাবে। স্টাইলাস কাছে আনলে কি-বোর্ডের ডিজিটাল কিগুলো গায়েব হয়ে গিয়ে সেটি ড্রয়িং প্যাডে পরিণত হয়। এই ল্যাপটপের মাধ্যমে ডিজিটাল চিত্রশিল্পীরা বেশি সুবিধা পাবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
এ ল্যাপটপের কি-বোর্ড ব্যবহারের অভিজ্ঞতা আরও উন্নত করতে এতে হ্যাপটিক ফিচার ব্যবহার করা যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। মাইক্রো এলইডি একটি সাশ্রয়ী ডিসপ্লে। এ প্রযুক্তি অ্যাপলের ভিশন প্রোর মতো অত্যাধুনিক ডিভাইসে ব্যবহার করা হয়েছে।
অভিনব এ ল্যাপটপের কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। সব ধরনের কাজ বা অ্যাপ্লিকেশনের জন্য এটি সুবিধাজনক নয়। বিশেষ করে টেক্সটভিত্তিক কাজের জন্য এটা খুব একটা সুবিধাজনক নয়। আর একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ারের ক্ষেত্রে ডিসপ্লের কনটেন্টগুলো ভালোভাবে দেখা যাবে না।
ল্যাপটপটি এখনো পরীক্ষা-নিরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে। তাই এর প্রসেসর, মেমোরি, স্টোরেজ ও কানেকটিভিটি নিয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি লেনেভো।
তথ্যসূত্র: অ্যান্ডগ্যাজেট, দ্য ভার্জ
নতুন যুগের ইন্টারনেট সেবা নিয়ে হাজির ইলন মাস্কের স্টারলিংক। তাদের সেবার মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলে নেটওয়ার্ক না থাকার ভোগান্তি দূর হয়েছে। কোম্পানিটির ডাইরেক্ট-টু-সেল (ডি২সি) প্রযুক্তির মাধ্যমে চলন্ত অবস্থায় কিংবা একেবারে দুর্গম এলাকায় মোবাইল ফোনে নেটওয়ার্ক পাওয়া যাবে। এ জন্য কোনো রাউটার বা ওয়াইফাইয়ের
৭ ঘণ্টা আগেচীনে চিপ বিক্রির মোট রাজস্বের ১৫ শতাংশ মার্কিন সরকারকে দিতে সম্মত হয়েছে বিশ্বের শীর্ষ দুই সেমিকন্ডাক্টর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এনভিডিয়া ও এএমডি। এই চুক্তি অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠান দুটি চীনা বাজারে চিপ বিক্রির লাইসেন্স পাবে। এক সূত্রের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
১০ ঘণ্টা আগেবর্তমান যুগের বেশির ভাগ ইলেকট্রনিক ডিভাইসেই লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি ব্যবহৃত হয়। আইফোনসহ স্মার্টফোন, স্মার্টওয়াচ, ল্যাপটপ—এমনকি বৈদ্যুতিক গাড়িতেও এই ব্যাটারিই ব্যবহার হয়। তবে এই প্রযুক্তি যতটা উন্নত, ততটাই জটিল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই ব্যাটারির কর্মক্ষমতা কমে যায়।
১৩ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এনভিডিয়ার তৈরি এইচ২০ (H20) চিপের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম-সংশ্লিষ্ট একটি সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট। রোববার উইচ্যাটে প্রকাশিত এক নিবন্ধে বলা হয়, এই চিপগুলোতে ‘ব্যাক ডোর’ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে, যা ব্যবহারকারীর অনুমতি ছাড়াই...
১৪ ঘণ্টা আগে