নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশের প্রথম মোবাইল অপারেটর কোম্পানি সিটিসেল লাইসেন্স ফিরিয়ে দেওয়ার আবেদন জানিয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) কাছে চিঠি দিয়েছে। গত ২৯ আগস্ট এই চিঠি দেওয়ার পর পেরিয়ে গেছে ১২ দিন। এখনো বিটিআরসি থেকে চিঠির কোনো উত্তর পায়নি সিটিসেল।
সিটিসেলের মূল কোম্পানি প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেডের (পিবিটিএল) রেগুলেটরি অ্যান্ড করপোরেট বিভাগের প্রধান নিশাত আলি খান এ কথা জানান।
নিশাত আলি খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা গত ২৯ আগস্ট চিঠি পাঠিয়েছি। বিটিআরসির সিস্টেমে সেটা আপও করেছি। তবে এখনো কোনো সাড়া পাইনি। আমরা উত্তরের অপেক্ষায় আছি।’
বিটিআরসিতে পাঠানো চিঠিতে সিটিসেল অভিযোগ করে, তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের পক্ষের নয় এমন একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সিটিসেল যুক্ত ছিল, এমন ‘অযৌক্তিক ধারণা’ থেকে লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, আমরা অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে গত আট বছরে সিটিসেলের মূল কোম্পানি প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেড (পিবিটিএল) বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) পক্ষপাতদুষ্ট, অপ্রীতিকর ও অসৎ উদ্দেশ্যে নেওয়া সিদ্ধান্ত ও মূল্যায়নের শিকার হয়েছে। বিটিআরসি তার ক্ষমতার অতিরিক্ত ও অপব্যবহার করে স্পষ্ট বৈষম্যমূলক উদ্যোগ নিয়েছে শুধু এই অযৌক্তিক ধারণার ভিত্তিতে যে পিবিটিএল এমন একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যারা তৎকালীন সরকারের পক্ষে ছিল না।
সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিএনপির সাবেক সিনিয়র নেতা মোরশেদ খান পিবিটিএলের চেয়ারম্যান। সময়মতো বকেয়া পরিশোধ করতে ব্যর্থ হওয়ায় ২০১৬ সালের অক্টোবরে নিয়ন্ত্রক সংস্থার একটি প্রযুক্তি দল ঢাকার মহাখালীতে সিটিসেলের প্রধান কার্যালয়ে যায় এবং কোম্পানিটির নেটওয়ার্ক সুইচ বন্ধ করে দেয়। তখন সিটিসেলের কাছে নিয়ন্ত্রক সংস্থার ৪৭৭ কোটি ৬৯ লাখ টাকা পাওনা ছিল বলে জানানো হয়। সে সময় সিটিসেলকে চার সপ্তাহের মধ্যে দুই–তৃতীয়াংশ বা ৩১৮ কোটি ৪২ লাখ টাকা পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত।
সিটিসেল সে সময় জানিয়েছিল, তাদের কার্যক্রম যেন বন্ধ করে দেওয়া না হয়, সে জন্য নিজেদের হিসাব অনুযায়ী বিটিআরসির পাওনার দুই–তৃতীয়াংশ ২৪৪ কোটি টাকা তারা পরিশোধ করেছে। পরবর্তীকালে আপিল বিভাগের আদেশে সিটিসেলের স্পেকট্রাম ফিরিয়ে দেয় বিটিআরসি এবং রেডিও যোগাযোগের জন্য ব্যবহারের অনুমতি দেয়। কিন্তু কোম্পানিটি পুনরায় কার্যক্রম শুরু করতে ব্যর্থ হয়।
বকেয়া পরিশোধ না করায় ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে সরকার সিটিসেলের ফ্রিকোয়েন্সি বরাদ্দ বাতিল করে। এরপর ২০২৩ সালের মার্চে কোম্পানির লাইসেন্সই বাতিল করে দেয় বিটিআরসি। সে সময় বিটিআরসি জানায়, পিবিটিএলের কাছে বিটিসিএলের পাওনা ২১৮ কোটি টাকা।
নিশাত আলি খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘২০২৩ সালে যখন আমাদের লাইসেন্স বাতিল করা হয়, তখনো আমরা বিটিআরসিকে চিঠি দিয়েছিলাম। লাইসেন্স বাতিলের সিদ্ধান্ত ছিল অযৌক্তিক। কিন্তু আমরা কোনো ইতিবাচক সাড়া পাইনি।’
বিটিআরসিকে দেওয়া সর্বশেষ চিঠিতে সিটিসেল দাবি করেছে, বিটিআরসি এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্তের কারণে কোম্পানিটি বন্ধ না হলে গত আট বছরে অন্তত দুই হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আসতে পারত পিবিটিএল থেকে।
চিঠিতে সিটিসেল ১০ মেগাহার্টজ স্পেকট্রামসহ তার সেলুলার মোবাইল ফোন অপারেটর লাইসেন্স এবং রেডিও যোগাযোগ সরঞ্জাম লাইসেন্স ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি করেছে।
চিঠিতে ২০৩৩ সাল পর্যন্ত টুজি, থ্রিজি, ফোরজি এবং ফাইভজি লাইসেন্স দেওয়ারও অনুরোধ করা হয়েছে এবং লাইসেন্স ফি না দেওয়ার জন্য ‘বেআইনি ও স্বেচ্ছাচারী’ জরিমানা মওকুফ করার আহ্বান জানিয়েছে।
সিটিসেলের লাইসেন্স ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে বিটিআরসির অবস্থান জানতে সংস্থাটির লিগ্যাল অ্যান্ড লাইসেন্সিং বিভাগের মহাপরিচালক আশীষ কুমার কুণ্ডুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি এ বিষয়ে কিছু বলতে অস্বীকৃতি জানান এবং জনসংযোগ বিভাগে যোগাযোগ করতে বলেন।
জনসংযোগ বিভাগে লিখিত প্রশ্ন দেওয়া হলেও এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এর কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি। তবে সংস্থাটির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা বলেন, সরকার পতনের পর থেকেই বিটিআরসি একপ্রকার অভিভাবকহীন অবস্থায় রয়েছে। সদ্যই নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তবে তিনি এখনো দায়িত্ব গ্রহণ করেননি। তিনি অফিস শুরু করার পর আগামী সপ্তাহ নাগাদ সিটিসেলের লাইসেন্স ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে বিটিআরসির দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের বৈঠক হতে পারে।
দেশের প্রথম মোবাইল অপারেটর কোম্পানি সিটিসেল লাইসেন্স ফিরিয়ে দেওয়ার আবেদন জানিয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) কাছে চিঠি দিয়েছে। গত ২৯ আগস্ট এই চিঠি দেওয়ার পর পেরিয়ে গেছে ১২ দিন। এখনো বিটিআরসি থেকে চিঠির কোনো উত্তর পায়নি সিটিসেল।
সিটিসেলের মূল কোম্পানি প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেডের (পিবিটিএল) রেগুলেটরি অ্যান্ড করপোরেট বিভাগের প্রধান নিশাত আলি খান এ কথা জানান।
নিশাত আলি খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা গত ২৯ আগস্ট চিঠি পাঠিয়েছি। বিটিআরসির সিস্টেমে সেটা আপও করেছি। তবে এখনো কোনো সাড়া পাইনি। আমরা উত্তরের অপেক্ষায় আছি।’
বিটিআরসিতে পাঠানো চিঠিতে সিটিসেল অভিযোগ করে, তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের পক্ষের নয় এমন একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সিটিসেল যুক্ত ছিল, এমন ‘অযৌক্তিক ধারণা’ থেকে লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, আমরা অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে গত আট বছরে সিটিসেলের মূল কোম্পানি প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেড (পিবিটিএল) বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) পক্ষপাতদুষ্ট, অপ্রীতিকর ও অসৎ উদ্দেশ্যে নেওয়া সিদ্ধান্ত ও মূল্যায়নের শিকার হয়েছে। বিটিআরসি তার ক্ষমতার অতিরিক্ত ও অপব্যবহার করে স্পষ্ট বৈষম্যমূলক উদ্যোগ নিয়েছে শুধু এই অযৌক্তিক ধারণার ভিত্তিতে যে পিবিটিএল এমন একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যারা তৎকালীন সরকারের পক্ষে ছিল না।
সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিএনপির সাবেক সিনিয়র নেতা মোরশেদ খান পিবিটিএলের চেয়ারম্যান। সময়মতো বকেয়া পরিশোধ করতে ব্যর্থ হওয়ায় ২০১৬ সালের অক্টোবরে নিয়ন্ত্রক সংস্থার একটি প্রযুক্তি দল ঢাকার মহাখালীতে সিটিসেলের প্রধান কার্যালয়ে যায় এবং কোম্পানিটির নেটওয়ার্ক সুইচ বন্ধ করে দেয়। তখন সিটিসেলের কাছে নিয়ন্ত্রক সংস্থার ৪৭৭ কোটি ৬৯ লাখ টাকা পাওনা ছিল বলে জানানো হয়। সে সময় সিটিসেলকে চার সপ্তাহের মধ্যে দুই–তৃতীয়াংশ বা ৩১৮ কোটি ৪২ লাখ টাকা পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত।
সিটিসেল সে সময় জানিয়েছিল, তাদের কার্যক্রম যেন বন্ধ করে দেওয়া না হয়, সে জন্য নিজেদের হিসাব অনুযায়ী বিটিআরসির পাওনার দুই–তৃতীয়াংশ ২৪৪ কোটি টাকা তারা পরিশোধ করেছে। পরবর্তীকালে আপিল বিভাগের আদেশে সিটিসেলের স্পেকট্রাম ফিরিয়ে দেয় বিটিআরসি এবং রেডিও যোগাযোগের জন্য ব্যবহারের অনুমতি দেয়। কিন্তু কোম্পানিটি পুনরায় কার্যক্রম শুরু করতে ব্যর্থ হয়।
বকেয়া পরিশোধ না করায় ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে সরকার সিটিসেলের ফ্রিকোয়েন্সি বরাদ্দ বাতিল করে। এরপর ২০২৩ সালের মার্চে কোম্পানির লাইসেন্সই বাতিল করে দেয় বিটিআরসি। সে সময় বিটিআরসি জানায়, পিবিটিএলের কাছে বিটিসিএলের পাওনা ২১৮ কোটি টাকা।
নিশাত আলি খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘২০২৩ সালে যখন আমাদের লাইসেন্স বাতিল করা হয়, তখনো আমরা বিটিআরসিকে চিঠি দিয়েছিলাম। লাইসেন্স বাতিলের সিদ্ধান্ত ছিল অযৌক্তিক। কিন্তু আমরা কোনো ইতিবাচক সাড়া পাইনি।’
বিটিআরসিকে দেওয়া সর্বশেষ চিঠিতে সিটিসেল দাবি করেছে, বিটিআরসি এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্তের কারণে কোম্পানিটি বন্ধ না হলে গত আট বছরে অন্তত দুই হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আসতে পারত পিবিটিএল থেকে।
চিঠিতে সিটিসেল ১০ মেগাহার্টজ স্পেকট্রামসহ তার সেলুলার মোবাইল ফোন অপারেটর লাইসেন্স এবং রেডিও যোগাযোগ সরঞ্জাম লাইসেন্স ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি করেছে।
চিঠিতে ২০৩৩ সাল পর্যন্ত টুজি, থ্রিজি, ফোরজি এবং ফাইভজি লাইসেন্স দেওয়ারও অনুরোধ করা হয়েছে এবং লাইসেন্স ফি না দেওয়ার জন্য ‘বেআইনি ও স্বেচ্ছাচারী’ জরিমানা মওকুফ করার আহ্বান জানিয়েছে।
সিটিসেলের লাইসেন্স ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে বিটিআরসির অবস্থান জানতে সংস্থাটির লিগ্যাল অ্যান্ড লাইসেন্সিং বিভাগের মহাপরিচালক আশীষ কুমার কুণ্ডুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি এ বিষয়ে কিছু বলতে অস্বীকৃতি জানান এবং জনসংযোগ বিভাগে যোগাযোগ করতে বলেন।
জনসংযোগ বিভাগে লিখিত প্রশ্ন দেওয়া হলেও এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এর কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি। তবে সংস্থাটির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা বলেন, সরকার পতনের পর থেকেই বিটিআরসি একপ্রকার অভিভাবকহীন অবস্থায় রয়েছে। সদ্যই নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তবে তিনি এখনো দায়িত্ব গ্রহণ করেননি। তিনি অফিস শুরু করার পর আগামী সপ্তাহ নাগাদ সিটিসেলের লাইসেন্স ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে বিটিআরসির দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের বৈঠক হতে পারে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই সার্ভার তৈরি জন্য মানবাকৃতি রোবট ব্যবহার করার পরিকল্পনা করছে তাইওয়ানের ইলেকট্রনিকস পণ্য নির্মাতা ফক্সকন ও যুক্তরাষ্ট্রের চিপ নির্মাতা এনভিডিয়া। যুক্তরাষ্ট্রের হিউস্টনে অবস্থিত ফক্সকন কারখানায় রোবটগুলো ব্যবহার করা হতে পারে। দুটি সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য
১ ঘণ্টা আগেবর্তমানে যেকোনো প্রতিষ্ঠান পরিচালনার ক্ষেত্রে আইটি অবকাঠামো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু, আইটি ডিভাইসের যথাযথ যত্ন না নেওয়া গেলে, নির্ধারিত সময়ের আগেই এগুলো কর্মক্ষমতা হারায়; ফলে, ডেটা হারানোর ঝুঁকি বাড়ে এবং ব্যবসায়িক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়।
২ ঘণ্টা আগেবিশ্বখ্যাত প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মেটা এবার খেলোয়াড় ও স্পোর্টসপ্রেমীদের জন্য বাজারে আনছে নতুন প্রজন্মের পারফরম্যান্স এআই চশমা। জনপ্রিয় চশমার ব্র্যান্ড ওকলের সঙ্গে যৌথভাবে এটি তৈরি করেছে মেটা। খেলার সময় বিভিন্ন মুহূর্ত ধারণ করবে ‘ওকলে মেটা এইচএসটিএন’ নামে এই স্মার্ট গ্লাস।
৪ ঘণ্টা আগেইনস্টাগ্রামে কারও সঙ্গে চ্যাট করতে গিয়ে কখনো ভুলবশত কারও কাছে ভিন্ন বার্তা চলে যাওয়ার শঙ্কা থাকে। এমন পরিস্থিতিতে মেসেজ ডিলিট করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করা খুবই স্বাভাবিক। তবে ইনস্টাগ্রামে এমন একটি সুবিধা রয়েছে, যার মাধ্যমে আপনি পাঠানো মেসেজটি ‘আনসেন্ড’ বা মুছে ফেলতে পারেন।
৭ ঘণ্টা আগে