Ajker Patrika

হোস্টিং ব্যবসা শুরু করতে হলে

অনিন্দ্য চৌধুরী অর্ণব
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২২, ১০: ৩৬
হোস্টিং ব্যবসা শুরু করতে হলে

বর্তমান সময়ে অনেকেই হোস্টিং ব্যবসার প্রতি আগ্রহী। তবে প্রচুর ধৈর্য ও কম্পিউটার জ্ঞান থাকতে হবে এ কাজের জন্য। সলিড ও সফল হোস্টিং কোম্পানি হওয়ার জন্য উদ্যোক্তাকে অবশ্যই কম্পিউটার সায়েন্স ব্যাকগ্রাউন্ডের হতে হবে। তবে অন্য ব্যাকগ্রাউন্ডেরও কারও যদি কম্পিউটার এবং টেকনিক্যাল জ্ঞান থাকে, তবে এই ব্যবসায় সফল হতে পারবেন।

হোস্টিং ব্যবসার জন্য যা প্রয়োজন

ডোমেইন 
একটি সুন্দর নাম একটি ব্যবসায়ের ওপর অনেক বেশি প্রভাব ফেলে। হোস্টিং ব্যবসায়ের জন্য প্রয়োজন এমন একটি ডোমেইন বা নাম, যা আপনার ব্যবসাকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করতে সাহায্য করবে। বর্তমানে ১০ ডলার খরচ করেই একটি ডোমেইন কেনা সম্ভব। স্পেশাল ইভেন্টে তার দাম আরও কম হয়ে থাকে।

ওয়েবসাইট 
হোস্টিং ব্যবসা করার ক্ষেত্রে একটা ওয়েবসাইট প্রয়োজন। একটি সুন্দর লেআউটসম্পন্ন ওয়েবসাইট ওয়েব ডেভেলপারদের দিয়ে তৈরি করিয়ে নিতে পারেন, কিংবা সম্ভব হলে নিজেও তৈরি করতে পারেন। অন্যদিকে কেউ চাইলে রেডিমেট কোনো থিম কিনে ওয়ার্ডপ্রেসে ইনস্টল করে ওয়েবসাইট তৈরি করে নিতে পারেন।

বিলিং সফটওয়্যার 
একটি বিলিং সফটওয়্যার আপনার কাজ অনেকটা সহজ করে দেবে। এই সফটওয়্যারের কাজ হলো, ক্লায়েন্ট যখন হোস্টিংয়ের জন্য উপযুক্ত পেমেন্ট দেবে, তার জন্য ইউজার অ্যাকাউন্ট তৈরি করা থেকে শুরু করে ই-মেইল পাঠানো পর্যন্ত সব কাজ করে দেবে। এই প্রক্রিয়া আপনার সময় বাঁচাবে। এ ক্ষেত্রে বিলিং সফটওয়্যার কিনতে হলে দাম পড়বে ২০০ থেকে ৩০০ ডলারের মতো।

তবে রিসেলার হোস্টিং কিনে ব্যবসা করতে হলে দেখা যায় অনেক হোস্টিং প্রোভাইডার বিলিং সফটওয়্যার নিজেরাই দিয়ে থাকে। তাই যে কোম্পানি থেকে হোস্টিং কিনবেন রিসেলিংয়ের জন্য সেই প্রোভাইডার একটি বিলিং সফটওয়্যার দেয় কি না, সেটা আগে জেনে নিতে হবে।

রিসেলার হোস্টিং 
প্রথম দিকে খুব বড় কোনো ইনভেস্টমেন্ট হোস্টিং ব্যবসায় প্রয়োগ না করতে চাইলে বড় কোম্পানিগুলো থেকে রিসেলার হোস্টিং কিনে বিভিন্ন প্যাকেজ চালু করে ভাড়া দিতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে প্রাথমিক হোস্টিং ব্যবসা সম্পর্কে ব্যাপক জানাশোনা থাকতে হবে, তাহলে ভালোভাবে ব্যবসা পরিচালনা করা সম্ভব হবে।

অফিস বা ঠিকানা 
যদিও অফিসের বিষয়টা খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ নয় প্রথম দিকে। নিজ বাসাতেই হোস্টিং সার্ভার তৈরি বা ম্যানেজ করা সম্ভব। তবে যদি ব্যবহারকারীর পরিমাণ বৃদ্ধির পাশাপাশি ব্যবসা প্রসারিত হয় এবং লোকবল নিয়োগ দিতে হয়, তাহলে একটি নির্দিষ্ট ঠিকানা বা অফিস থাকাটা প্রয়োজন হবে। তা ছাড়া একটি অফিস থাকা ক্লায়েন্টদের কাছে খুব ইতিবাচক বার্তা দেবে।

আফটার সেল সার্ভিস 
অন্য সব পণ্যের মতো বিক্রি করে দেওয়ার পরেই দায় শেষ, হোস্টিং ব্যবসায়ে এমন সুবিধা নেই। হোস্টিং একধরনের সেবা, যেটা বিক্রি করে দেওয়ার পর থেকে শুরু হয়।

আফটার সেল সার্ভিস হতে হবে দ্রুতগতির এবং কাস্টমারের বিষয়টি দেখতে হবে সবার আগে। কারণ এই একটি বিষয়ই ব্যবসাকে দীর্ঘমেয়াদি করে তুলতে সাহায্য করে।

মার্কেট অ্যানালাইসিস ও মার্কেটিং 
এটি হোস্টিং ব্যবসায় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনি সবকিছু করলেন কিন্তু মার্কেটিং বিষয়টিই এড়িয়ে গেলেন, তাহলে খুব একটা ক্লায়েন্ট পাওয়া যাবে না। আপনার যদি টার্গেট থাকে বাংলাদেশি ক্লায়েন্টদের নিয়ে কাজ করার, সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের মার্কেটে কোন হোস্টিং সবচেয়ে বেশি চলে এবং কেমন দামে মানুষ হোস্টিং পেতে ইচ্ছুক, সেসব বিষয় বিশ্লেষণ করেই ব্যবসা পরিচালনা করতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

‘ভারতে ঢুকে’ পাকিস্তানি সেনাদের গুলি, সীমান্তে সংঘাত গড়াল ষষ্ঠ দিনে

এনবিআর চেয়ারম্যানের কক্ষের সামনে কর্মকর্তাদের অবস্থান

বন্ধুকে ছাত্রলীগ সাজিয়ে পুলিশে দিয়ে তাঁর প্রেমিকাকে ধর্ষণ করলেন ছাত্রদল নেতা

মানিকগঞ্জে রাতের আঁধারে স্থানান্তর করা বিদ্যালয় ভবন পরিদর্শনে কর্মকর্তারা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত