অলকানন্দা রায়, ঢাকা
ঘড়ি-ঘণ্টা ধরে অফিসে বসে চাকরি করা ছাড়াও আয় করার অনেক উপায় এখন আপনার সামনে। এর অন্যতম হলো ফ্রিল্যান্সিং। আপওয়ার্ক হচ্ছে পৃথিবীর বড় অনলাইন ফ্রিলান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোর মধ্যে অন্যতম। শুরুতে এর নাম ছিল ওডেক্স। পৃথিবীর প্রায় এক কোটি ফ্রিল্যান্সার এখানে কাজ করেন। অনলাইনে অনেকগুলো মার্কেটপ্লেস আছে, যেমন ফাইভার, ফ্রিল্যান্সারকম, পিপল পার আওয়ার, গুরু, সিইও ক্লার্ক, ফাইভ স্কুইড ইত্যাদি। এসব মার্কেটপ্লেসের মাধ্যমে অনেক প্রতিষ্ঠান দক্ষ মানুষদের কাজ দিয়ে থাকে। এতসব সাইট থাকলেও আপওয়ার্কে কাজ করার ইচ্ছে প্রায় সব ফ্রিল্যান্সারের।
বিশ্বের বড় মার্কেটপ্লেস আপওয়ার্কে কীভাবে কাজ শুরু করা যাবে, কাজ করতে গিয়ে কোন বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখতে হবে—এমন অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশ আপওয়ার্কের গ্রুপ অ্যাডমিন সুমন সাহা।
আপওয়ার্কে দুই ধরনের মানুষ কাজ করেন:
কাজের প্রকারভেদ
আপওয়ার্কে দুইভাবে কাজ হয়ে থাকে। এর একটি ফিক্সড প্রাইজ, অন্যটি ঘণ্টাভিত্তিক কাজ। আপওয়ার্ক ফিক্সড প্রাইজের কাজের ক্ষেত্রে কোনো কাজ পোস্ট করার সময় সেখানে নির্দিষ্ট পরিমাণ পারিশ্রমিকের কথা উল্লেখ করা থাকে। ঘণ্টাভিত্তিক কাজে ঘণ্টাপ্রতি পারিশ্রমিক নির্ধারণ করা থাকে। ঝুঁকি কম বলে নতুনদের জন্য ঘণ্টাভিত্তিক কাজ বেশ সুবিধাজনক। যদিও পারিশ্রমিক কিছুটা কম পাওয়া যায়।
যেসব কাজ পাওয়া যায়
আপওয়ার্কে ওয়েব ডিজাইন, গ্রাফিকস ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ডেটা এন্ট্রি, এসইও, প্রোগ্রামিং, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট, ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট, ফটোগ্রাফি অ্যান্ড এডিটিং, অনুবাদ, ভিডিও প্রোডাকশন, মার্কেটিং, লিডস জেনারেশন, অ্যাডভারটাইজিং, টিচিং, আর্ট ডিরেকশন, কনটেন্ট রাইটিং ইত্যাদি।
এসব কাজে যদি কেউ দক্ষ হয়ে থাকেন, তাহলে আপওয়ার্কসহ অনলাইনভিত্তিক যেকোনো মার্কেটপ্লেসে কাজ করে অনেক অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
প্রোফাইল যেভাবে সাজাবেন
প্রোফাইলের প্রথমেই থাকা ওভার ভিউয়ের সংক্ষিপ্ত বিবরণ খুব সুন্দর করে গুছিয়ে সহজ ও মার্জিত ভাষায় লিখতে হবে, যেন খুব সহজে বোঝা যায়। প্রোফাইল যত সুন্দরভাবে সাজাতে পারেন, তত ভালো। সেখানে তবে কঠিন বা বিমূর্ত বিষয় না থাকা ভালো।
ঘণ্টাপ্রতি রেট
আপনি কাজে কতটা দক্ষ, সেটা আপওয়ার্কে আপনার ঘণ্টাপ্রতি চাওয়া পারিশ্রমিকেই ক্লায়েন্ট বুঝে নেবে। তাই দক্ষতা অনুযায়ী প্রতি ঘণ্টার রেট সেট করুন; অর্থাৎ ঘণ্টায় কত ডলারে আপনি কাজ করবেন, সেটি নিজের দক্ষতা অনুসারে নির্দিষ্ট করুন। কারণ এই ঘণ্টাপ্রতি রেটের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কাজে বিড করতে হবে। যেমন আপনার প্রতি ঘণ্টার পারিশ্রমিক যদি পাঁচ ডলার হয়, তাহলে চার থেকে পাঁচ ডলারের কাজে বিড করুন।
দক্ষতার তালিকা তৈরি করুন
ভুল তথ্য না দিয়ে যেসব কাজে আপনি দক্ষ, সেগুলোর কথা তালিকায় যুক্ত করুন।
পোর্টফোলিও
ক্লায়েন্টকে নিজের দক্ষতা জানান দিতে পোর্টফোলিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই নিজের কাজের ভালো অভিজ্ঞতাগুলো নিয়ে গুছিয়ে পোর্টফোলিও তৈরি
করতে হবে।
সার্টিফিকেশন
শিক্ষাগত যোগ্যতা মেন্যুতে আপলোড না করলেও চলবে। তবে অনলাইন বা অফলাইনে কোনো কোর্সের সার্টিফিকেট থাকলে সেগুলো দেওয়া যেতে পারে।
এমপ্লয়মেন্ট হিস্ট্রি
আগের কাজের অভিজ্ঞতা, যেমন কোথায়, কোন অফিসে, কোন পোস্টে কোন ধরনের কাজ করেছেন, সেগুলোর উল্লেখ করা ভালো। যদি সেটা পার্টটাইমও হয়, তবুও উল্লেখ করুন। এতে ক্লায়েন্ট আপনার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা বুঝতে পারবে।
আপওয়ার্ক সম্পর্কে জানুন
আপওয়ার্ক তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটে নিজেদের সম্পর্কে জানিয়েছে। সেখানে ছয়টি মডিউলে ভাগ করে ভিডিও টিউটোরিয়াল ও আর্টিকেল দেওয়া আছে। সেগুলো ভালোভাবে দেখে ও পড়ে আপওয়ার্কে অ্যাকাউন্ট তৈরি, প্রোফাইল অনুমোদন করানো, কাজের ধরন ইত্যাদি বিষয় ভালো করে জানতে হবে। যাঁরা নতুন, তাঁদের এই সাইটের নিয়মকানুন, অ্যাকাউন্ট সুরক্ষার খুঁটিনাটি জানা থাকতে হবে। না হলে কাজের ক্ষেত্রে নিজের জায়গা তৈরি করা বেশ শক্ত হয়ে যাবে। ঠিকঠাক নিয়মকানুন পালন না করলে আইডি ব্যান করে দেয় আপওয়ার্ক।
কাজ পাওয়ার কৌশল
আপওয়ার্কে কাজ পাওয়ার জন্য কিছু কৌশল মেনে চলা ভালো।
ঘড়ি-ঘণ্টা ধরে অফিসে বসে চাকরি করা ছাড়াও আয় করার অনেক উপায় এখন আপনার সামনে। এর অন্যতম হলো ফ্রিল্যান্সিং। আপওয়ার্ক হচ্ছে পৃথিবীর বড় অনলাইন ফ্রিলান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোর মধ্যে অন্যতম। শুরুতে এর নাম ছিল ওডেক্স। পৃথিবীর প্রায় এক কোটি ফ্রিল্যান্সার এখানে কাজ করেন। অনলাইনে অনেকগুলো মার্কেটপ্লেস আছে, যেমন ফাইভার, ফ্রিল্যান্সারকম, পিপল পার আওয়ার, গুরু, সিইও ক্লার্ক, ফাইভ স্কুইড ইত্যাদি। এসব মার্কেটপ্লেসের মাধ্যমে অনেক প্রতিষ্ঠান দক্ষ মানুষদের কাজ দিয়ে থাকে। এতসব সাইট থাকলেও আপওয়ার্কে কাজ করার ইচ্ছে প্রায় সব ফ্রিল্যান্সারের।
বিশ্বের বড় মার্কেটপ্লেস আপওয়ার্কে কীভাবে কাজ শুরু করা যাবে, কাজ করতে গিয়ে কোন বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখতে হবে—এমন অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশ আপওয়ার্কের গ্রুপ অ্যাডমিন সুমন সাহা।
আপওয়ার্কে দুই ধরনের মানুষ কাজ করেন:
কাজের প্রকারভেদ
আপওয়ার্কে দুইভাবে কাজ হয়ে থাকে। এর একটি ফিক্সড প্রাইজ, অন্যটি ঘণ্টাভিত্তিক কাজ। আপওয়ার্ক ফিক্সড প্রাইজের কাজের ক্ষেত্রে কোনো কাজ পোস্ট করার সময় সেখানে নির্দিষ্ট পরিমাণ পারিশ্রমিকের কথা উল্লেখ করা থাকে। ঘণ্টাভিত্তিক কাজে ঘণ্টাপ্রতি পারিশ্রমিক নির্ধারণ করা থাকে। ঝুঁকি কম বলে নতুনদের জন্য ঘণ্টাভিত্তিক কাজ বেশ সুবিধাজনক। যদিও পারিশ্রমিক কিছুটা কম পাওয়া যায়।
যেসব কাজ পাওয়া যায়
আপওয়ার্কে ওয়েব ডিজাইন, গ্রাফিকস ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ডেটা এন্ট্রি, এসইও, প্রোগ্রামিং, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট, ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট, ফটোগ্রাফি অ্যান্ড এডিটিং, অনুবাদ, ভিডিও প্রোডাকশন, মার্কেটিং, লিডস জেনারেশন, অ্যাডভারটাইজিং, টিচিং, আর্ট ডিরেকশন, কনটেন্ট রাইটিং ইত্যাদি।
এসব কাজে যদি কেউ দক্ষ হয়ে থাকেন, তাহলে আপওয়ার্কসহ অনলাইনভিত্তিক যেকোনো মার্কেটপ্লেসে কাজ করে অনেক অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
প্রোফাইল যেভাবে সাজাবেন
প্রোফাইলের প্রথমেই থাকা ওভার ভিউয়ের সংক্ষিপ্ত বিবরণ খুব সুন্দর করে গুছিয়ে সহজ ও মার্জিত ভাষায় লিখতে হবে, যেন খুব সহজে বোঝা যায়। প্রোফাইল যত সুন্দরভাবে সাজাতে পারেন, তত ভালো। সেখানে তবে কঠিন বা বিমূর্ত বিষয় না থাকা ভালো।
ঘণ্টাপ্রতি রেট
আপনি কাজে কতটা দক্ষ, সেটা আপওয়ার্কে আপনার ঘণ্টাপ্রতি চাওয়া পারিশ্রমিকেই ক্লায়েন্ট বুঝে নেবে। তাই দক্ষতা অনুযায়ী প্রতি ঘণ্টার রেট সেট করুন; অর্থাৎ ঘণ্টায় কত ডলারে আপনি কাজ করবেন, সেটি নিজের দক্ষতা অনুসারে নির্দিষ্ট করুন। কারণ এই ঘণ্টাপ্রতি রেটের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কাজে বিড করতে হবে। যেমন আপনার প্রতি ঘণ্টার পারিশ্রমিক যদি পাঁচ ডলার হয়, তাহলে চার থেকে পাঁচ ডলারের কাজে বিড করুন।
দক্ষতার তালিকা তৈরি করুন
ভুল তথ্য না দিয়ে যেসব কাজে আপনি দক্ষ, সেগুলোর কথা তালিকায় যুক্ত করুন।
পোর্টফোলিও
ক্লায়েন্টকে নিজের দক্ষতা জানান দিতে পোর্টফোলিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই নিজের কাজের ভালো অভিজ্ঞতাগুলো নিয়ে গুছিয়ে পোর্টফোলিও তৈরি
করতে হবে।
সার্টিফিকেশন
শিক্ষাগত যোগ্যতা মেন্যুতে আপলোড না করলেও চলবে। তবে অনলাইন বা অফলাইনে কোনো কোর্সের সার্টিফিকেট থাকলে সেগুলো দেওয়া যেতে পারে।
এমপ্লয়মেন্ট হিস্ট্রি
আগের কাজের অভিজ্ঞতা, যেমন কোথায়, কোন অফিসে, কোন পোস্টে কোন ধরনের কাজ করেছেন, সেগুলোর উল্লেখ করা ভালো। যদি সেটা পার্টটাইমও হয়, তবুও উল্লেখ করুন। এতে ক্লায়েন্ট আপনার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা বুঝতে পারবে।
আপওয়ার্ক সম্পর্কে জানুন
আপওয়ার্ক তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটে নিজেদের সম্পর্কে জানিয়েছে। সেখানে ছয়টি মডিউলে ভাগ করে ভিডিও টিউটোরিয়াল ও আর্টিকেল দেওয়া আছে। সেগুলো ভালোভাবে দেখে ও পড়ে আপওয়ার্কে অ্যাকাউন্ট তৈরি, প্রোফাইল অনুমোদন করানো, কাজের ধরন ইত্যাদি বিষয় ভালো করে জানতে হবে। যাঁরা নতুন, তাঁদের এই সাইটের নিয়মকানুন, অ্যাকাউন্ট সুরক্ষার খুঁটিনাটি জানা থাকতে হবে। না হলে কাজের ক্ষেত্রে নিজের জায়গা তৈরি করা বেশ শক্ত হয়ে যাবে। ঠিকঠাক নিয়মকানুন পালন না করলে আইডি ব্যান করে দেয় আপওয়ার্ক।
কাজ পাওয়ার কৌশল
আপওয়ার্কে কাজ পাওয়ার জন্য কিছু কৌশল মেনে চলা ভালো।
নতুন যুগের ইন্টারনেট সেবা নিয়ে হাজির ইলন মাস্কের স্টারলিংক। তাদের সেবার মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলে নেটওয়ার্ক না থাকার ভোগান্তি দূর হয়েছে। কোম্পানিটির ডাইরেক্ট-টু-সেল (ডি২সি) প্রযুক্তির মাধ্যমে চলন্ত অবস্থায় কিংবা একেবারে দুর্গম এলাকায় মোবাইল ফোনে নেটওয়ার্ক পাওয়া যাবে। এ জন্য কোনো রাউটার বা ওয়াইফাইয়ের
১৫ ঘণ্টা আগেচীনে চিপ বিক্রির মোট রাজস্বের ১৫ শতাংশ মার্কিন সরকারকে দিতে সম্মত হয়েছে বিশ্বের শীর্ষ দুই সেমিকন্ডাক্টর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এনভিডিয়া ও এএমডি। এই চুক্তি অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠান দুটি চীনা বাজারে চিপ বিক্রির লাইসেন্স পাবে। এক সূত্রের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
১৯ ঘণ্টা আগেবর্তমান যুগের বেশির ভাগ ইলেকট্রনিক ডিভাইসেই লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি ব্যবহৃত হয়। আইফোনসহ স্মার্টফোন, স্মার্টওয়াচ, ল্যাপটপ—এমনকি বৈদ্যুতিক গাড়িতেও এই ব্যাটারিই ব্যবহার হয়। তবে এই প্রযুক্তি যতটা উন্নত, ততটাই জটিল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই ব্যাটারির কর্মক্ষমতা কমে যায়।
২১ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এনভিডিয়ার তৈরি এইচ২০ (H20) চিপের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম-সংশ্লিষ্ট একটি সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট। রোববার উইচ্যাটে প্রকাশিত এক নিবন্ধে বলা হয়, এই চিপগুলোতে ‘ব্যাক ডোর’ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে, যা ব্যবহারকারীর অনুমতি ছাড়াই...
১ দিন আগে