Ajker Patrika

প্রযুক্তির প্রসার বিশ্বশান্তি নিশ্চিত করা চ্যালেঞ্জিং করেছে: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : ১২ এপ্রিল ২০২১, ১৬: ৩৪
প্রযুক্তির প্রসার বিশ্বশান্তি নিশ্চিত করা চ্যালেঞ্জিং করেছে: প্রধানমন্ত্রী

প্রযুক্তির প্রসারের সাথে বিশ্বে নতুন নতুন হুমকির উপাদান সৃষ্টি হয়েছে। এই সময়ে অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বর্তমানে বিশ্বশান্তি নিশ্চিত করা চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়িয়েছে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আন্তর্জাতিক সামরিক প্রশিক্ষণ ‘অনুশীলন শান্তির অগ্রসেনা’র সমাপ্তি অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

টাঙ্গাইলের বঙ্গবন্ধু সেনানিবাসে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হোন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিশ্বশান্তি নিশ্চিত করা অতীতের চেয়ে অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়িয়েছে। করোনাভাইরাসের মতো অদৃশ্য শত্রুর আবির্ভাব, প্রযুক্তির দ্রুত প্রসার এবং সময়ের অগ্রযাত্রার সাথে সাথে নতুন নতুন হুমকির উপাদান সৃষ্টি হয়েছে।

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনগুলোতে শান্তিরক্ষীদের বহুমাত্রিক ও জটিল পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাম্প্রতি শান্তিরক্ষীদের প্রাণহানির সংখ্যাও উদ্বেগজনক হারে বেড়ে চলেছে। এ পর্যন্ত ১৫৮ জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী শহিদ হয়েছেন এবং ২৩৭ আহত হয়েছেন। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা অপারেশনে আগামী দিনের নতুন সংকটগুলো মোকাবিলায় শান্তিরক্ষীদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ ও সরঞ্জামাদি দিয়ে প্রস্তুত করা এখন সময়ের দাবি।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে সফলভাবে এই অনুশীলনটি আয়োজন করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। জাতির পিতার শান্তিদর্শন প্রতিষ্ঠায় এই বহুজাতিক অনুশীলনটি একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

সরকার প্রধান বলেন, যেকোন দেশের জাতীয় মর্যাদা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য যথাযথভাবে প্রশিক্ষিত সশস্ত্র বাহিনী অপরিহার্য। সামরিক বাহিনীর সদস্যদের সক্ষমতা যাচাইয়ে নিয়মিত অনুশীলনের বিকল্প নেই। জাতির পিতা স্বাধীন বাংলাদেশে একটি সুশৃঙ্খল ও পেশাদার সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলার উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছিলেন। তিনি অত্যাধুনিক সামরিক একাডেমি প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিলেন।

১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পরে সামরিক বাহিনীকে আধুনিকায়নের পাশাপাশি দেশের শীর্ষ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ (এনডিসি) প্রতিষ্ঠার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এ প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা, কৌশল এবং উন্নয়ন বিষয়ে সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তাদের উচ্চতর প্রশিক্ষণের সুযোগ সৃষ্টি করি। বিশ্ব শান্তি সুসংহত করার প্রয়াসে দেশ-বিদেশের শান্তিরক্ষীদের অত্যাধুনিক প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যে ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস সাপোর্ট অপারেশন ট্রেইনিং (বিআইপিএসওটি)প্রতিষ্ঠা করি। ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর অত্যন্ত পেশাদার ও প্রশিক্ষত সামরিক বাহিনী গঠনের লক্ষ্য নিয়ে আমরা ‘ফোর্সেস গোল-২০৩০’ শীর্ষক একটি দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা প্রণয়ন করে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।

বহুজাতিক এ সামরিক অনুশীলনে মোট ১১টি দেশের প্রতিনিধি যোগ দিচ্ছেন। এ প্রশিক্ষণে বাংলাদেশ থেকে ৩০ জন, ভারতের ৩০ জন, শ্রীলংকার ৩০ জন এবং ভুটানের ৩৩ জনসহ মোট ১২৩ জন সেনাসদস্যের সরাসরি প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণসহ যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, নেপাল, তুরস্ক, সৌদি আরব, ভারত, শ্রীলংকা ও ভুটানের মোট ১৯ জন পর্যবেক্ষক অংশ নিচ্ছেন। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ অংশগ্রহণকারীদের সদনপত্র দেন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ। এছাড়া ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ মুকুন্দ নরভানেও বক্তব্য দেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শুক্রবার দুপুরের মধ্যে ফলাফল ঘোষণা সম্ভব: জাকসু নির্বাচন কমিশন

স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতির হোতা মোতাজ্জেরুল ইসলাম মিঠু গ্রেপ্তার

‘বেয়াদবি ছুটায় দেব’: সরি বলতে অসুবিধা নেই, বললেন সেই জামায়াত নেতা

নতুন ট্রেন্ড ন্যানো ব্যানানা, নিজের থ্রিডি ফিগারিন বানাবেন যেভাবে

ডাকসুতে শিবিরের জয়ে উদ্বেগ শশী থারুরের, জবাব দিলেন মেঘমল্লার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত