কিংবদন্তি ব্রিটিশ ব্যান্ড ‘বিটলস’–এর ‘সর্বশেষ’ গান ‘নাও অ্যান্ড দেন’ ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। কারণ গানটি সম্পন্ন করতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ব্যবহার করা হলেও এটি গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত হয়েছে।
২০২৩ সালের নভেম্বরে মুক্তিপ্রাপ্ত এই গানটি বিখ্যাত ব্যান্ড ‘দ্য বিটলস’–এর ভেঙে যাওয়ার প্রায় ৫০ বছর পর প্রকাশিত হয়েছে। এই গানে সুরের সঙ্গে জন লেননের রেকর্ডিং ব্যবহার করা হয়েছে, যা এর আগে কখনো প্রকাশিত হয়নি। এই রেকর্ডিংয়ে তিনি পিয়ানো বাজিয়ে গান গাচ্ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পর এই রেকর্ডিংটি বাকি বিটলস সদস্যদের সঙ্গে শেয়ার করেছিলেন লেননের স্ত্রী ইয়োকো ওনো।
উন্নত মেশিন লার্নিং সফটওয়্যার ব্যবহার করে ইঞ্জিনিয়াররা লেননের কণ্ঠকে পিয়ানো ট্র্যাক থেকে আলাদা করেন। বহু বছর ধরে ব্যান্ডের অন্যান্য সদস্য পল ম্যাককার্টনি, রিঙ্গো স্টার এবং প্রয়াত জর্জ হ্যারিসন গানটির নিয়ে কাজ করেন এবং শেষ পর্যন্ত নিজেদের অংশ যোগ করেন। এর ফলে বিটলসের নতুন একটি গান তৈরি হয়, যেখানে ব্যান্ডের চার সদস্যেরই কণ্ঠ ও সুর রয়েছে।
যদিও ‘নাও অ্যান্ড দেন’ গানটি সম্পন্ন করতে এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে তাও এটি গ্র্যামির নীতিমালা ভাঙেনি। কারণ এই নীতিমালায় বলা হয়েছে, ‘শুধুমাত্র মানব স্রষ্টারাই এই পুরস্কারের যোগ্য’ এবং যেসব মিউজিকে মধ্যে ‘এআই এআই উপাদান’ রয়েছে সেগুলো নির্দিষ্ট ক্যাটাগরিতে মনোনয়ন পাবে।
এই মনোনয়ন এমন একসময়ে এল, যখন সংগীত শিল্পে এআই এর সঠিক ব্যবহার এবং সংগীত তৈরি করার সময় এটি সৃজনশীলতা ও মূলত্বের ওপর কীভাবে প্রভাব ফেলতে পারে তা নিয়ে শিল্পীরা উদ্বিগ্ন।
গ্র্যামির এই মনোনয়নে প্রমাণিত হয় যে, গান তৈরিতে নতুন উদ্ভাবনা এবং সৃজনশীলতা প্রকাশের নতুন পথ খুলে দিতে পারে এআই। সেই সঙ্গে প্রয়াত শিল্পীদের সম্মান জানাতে সাহায্য করবে।
সবাই সমর্থন না করলেও সংগীত শিল্পে এআই এর ব্যবহার ক্রমাগত বাড়ছে। তবে এআই প্রযুক্তি ব্যবহার হলেও বিটলসের গানটি ভক্তদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। কারণ এটি লেননের কণ্ঠ নকল করেনি, বরং তার একটি রেকর্ডিংকে পরিষ্কারভাবে তুলে ধরেছে।
অন্যদিকে ২০২৩ সালের এআই দিয়ে তৈরি গান ‘হার্ট অন মাই স্লিভ’ নিয়ে একটি বিতর্কিত ঘটনা ঘটে। এটি ‘ঘোস্টরাইডার’ নামের এক শিল্পী তৈরি করেছিলেন। তিনি এআই ব্যবহার করে পপ তারকা ড্রেক এবং দি উইকেন্ডের কণ্ঠ নকল করেন। এ জন্য এই দুই শিল্পীর অনুমতিও নেননি। গানটি দুইটি গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডের জন্য জমা দেওয়া হয়েছিল। তবে পরবর্তীতে এটি অযোগ্য বলে বিবেচিত হয়।
বিটলসের ‘নাও অ্যান্ড দেন’ গানের জন্য একটি ১২ মিনিটের শর্ট ফিল্ম তৈরি করা হয়েছিল। এই ফিল্মে দেখা যায় যে,১৯৯৪ সালে ম্যাককার্টনি, স্টার এবং হ্যারিসনকে একত্রিত হয়ে গানটির ওপর কাজ করছে। কিন্তু ২০০১ সালে হ্যারিসনের মৃত্যুর পর গানটি নিয়ে অনেক দিন কাজ বন্ধ ছিল এবং অবশেষে ২০২২ সালে এটি নিয়ে পুনরায় কাজ করা হয়।
সেসময় চলচ্চিত্র নির্মাতা পিটার জ্যাকসন এবং তাঁর দল যারা বিটলসের ডকুমেন্টারি সিরিজ ‘গেট ব্যাক’ নিয়ে কাজ করছিলেন। তিনি একটি পদ্ধতি তৈরি করেন যাতে লেননের কণ্ঠকে অন্য অংশ থেকে আলাদা করা যায়। ম্যাককার্টনি শেষ পর্যন্ত কিছু বেস রেকর্ড করেন, স্টার ড্রামস যোগ করেন, হ্যারিসনের পূর্বে রেকর্ড করা গিটার অংশগুলো মিশিয়ে দেওয়া হয় এবং শেষে স্ট্রিংস যোগ করা হয়।
এক ডকুমেন্টারিতে ম্যাককার্টনি বলেন, ‘আমরা সবাই এতে অংশগ্রহণ করেছি, তাই এটি একটি সত্যিকারের বিটলস রেকর্ডিং।’
লেননের পুত্র শান লেনন চলচ্চিত্রে বলেন, ‘তিনি এই প্রক্রিয়াটি দেখে আবেগে আপ্লুত হয়েছেন, যা তার বাবার কণ্ঠকে একটি নতুন বিটলস গানের অংশ করে তোলে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার বাবা গানটি পছন্দ করতেন, কারণ তিনি কখনোই রেকর্ডিং প্রযুক্তির সঙ্গে পরীক্ষা করতে লজ্জা পেতেন না। আমি মনে করি, এটি সত্যিই সুন্দর।’
গ্র্যামিতে ‘নাও অ্যান্ড দেন’ গানটি ‘রেকর্ড অফ দ্য ইয়ার’ পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছে। এটি বিলি আইলিশ, বিয়ন্সে, টেইলর সুইফট এবং চার্লি এক্সসিএক্সের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করছে। এ ছাড়া গানটি ‘বেস্ট রক পারফরমেন্স’ ক্যাটাগরিতেও মনোনীত হয়েছে। যেখানে এটি গ্রিন ডে এবং পার্ল জামের মতো শিল্পীদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।
তথ্যসূত্র: সিনেট
কিংবদন্তি ব্রিটিশ ব্যান্ড ‘বিটলস’–এর ‘সর্বশেষ’ গান ‘নাও অ্যান্ড দেন’ ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। কারণ গানটি সম্পন্ন করতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ব্যবহার করা হলেও এটি গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত হয়েছে।
২০২৩ সালের নভেম্বরে মুক্তিপ্রাপ্ত এই গানটি বিখ্যাত ব্যান্ড ‘দ্য বিটলস’–এর ভেঙে যাওয়ার প্রায় ৫০ বছর পর প্রকাশিত হয়েছে। এই গানে সুরের সঙ্গে জন লেননের রেকর্ডিং ব্যবহার করা হয়েছে, যা এর আগে কখনো প্রকাশিত হয়নি। এই রেকর্ডিংয়ে তিনি পিয়ানো বাজিয়ে গান গাচ্ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পর এই রেকর্ডিংটি বাকি বিটলস সদস্যদের সঙ্গে শেয়ার করেছিলেন লেননের স্ত্রী ইয়োকো ওনো।
উন্নত মেশিন লার্নিং সফটওয়্যার ব্যবহার করে ইঞ্জিনিয়াররা লেননের কণ্ঠকে পিয়ানো ট্র্যাক থেকে আলাদা করেন। বহু বছর ধরে ব্যান্ডের অন্যান্য সদস্য পল ম্যাককার্টনি, রিঙ্গো স্টার এবং প্রয়াত জর্জ হ্যারিসন গানটির নিয়ে কাজ করেন এবং শেষ পর্যন্ত নিজেদের অংশ যোগ করেন। এর ফলে বিটলসের নতুন একটি গান তৈরি হয়, যেখানে ব্যান্ডের চার সদস্যেরই কণ্ঠ ও সুর রয়েছে।
যদিও ‘নাও অ্যান্ড দেন’ গানটি সম্পন্ন করতে এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে তাও এটি গ্র্যামির নীতিমালা ভাঙেনি। কারণ এই নীতিমালায় বলা হয়েছে, ‘শুধুমাত্র মানব স্রষ্টারাই এই পুরস্কারের যোগ্য’ এবং যেসব মিউজিকে মধ্যে ‘এআই এআই উপাদান’ রয়েছে সেগুলো নির্দিষ্ট ক্যাটাগরিতে মনোনয়ন পাবে।
এই মনোনয়ন এমন একসময়ে এল, যখন সংগীত শিল্পে এআই এর সঠিক ব্যবহার এবং সংগীত তৈরি করার সময় এটি সৃজনশীলতা ও মূলত্বের ওপর কীভাবে প্রভাব ফেলতে পারে তা নিয়ে শিল্পীরা উদ্বিগ্ন।
গ্র্যামির এই মনোনয়নে প্রমাণিত হয় যে, গান তৈরিতে নতুন উদ্ভাবনা এবং সৃজনশীলতা প্রকাশের নতুন পথ খুলে দিতে পারে এআই। সেই সঙ্গে প্রয়াত শিল্পীদের সম্মান জানাতে সাহায্য করবে।
সবাই সমর্থন না করলেও সংগীত শিল্পে এআই এর ব্যবহার ক্রমাগত বাড়ছে। তবে এআই প্রযুক্তি ব্যবহার হলেও বিটলসের গানটি ভক্তদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। কারণ এটি লেননের কণ্ঠ নকল করেনি, বরং তার একটি রেকর্ডিংকে পরিষ্কারভাবে তুলে ধরেছে।
অন্যদিকে ২০২৩ সালের এআই দিয়ে তৈরি গান ‘হার্ট অন মাই স্লিভ’ নিয়ে একটি বিতর্কিত ঘটনা ঘটে। এটি ‘ঘোস্টরাইডার’ নামের এক শিল্পী তৈরি করেছিলেন। তিনি এআই ব্যবহার করে পপ তারকা ড্রেক এবং দি উইকেন্ডের কণ্ঠ নকল করেন। এ জন্য এই দুই শিল্পীর অনুমতিও নেননি। গানটি দুইটি গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডের জন্য জমা দেওয়া হয়েছিল। তবে পরবর্তীতে এটি অযোগ্য বলে বিবেচিত হয়।
বিটলসের ‘নাও অ্যান্ড দেন’ গানের জন্য একটি ১২ মিনিটের শর্ট ফিল্ম তৈরি করা হয়েছিল। এই ফিল্মে দেখা যায় যে,১৯৯৪ সালে ম্যাককার্টনি, স্টার এবং হ্যারিসনকে একত্রিত হয়ে গানটির ওপর কাজ করছে। কিন্তু ২০০১ সালে হ্যারিসনের মৃত্যুর পর গানটি নিয়ে অনেক দিন কাজ বন্ধ ছিল এবং অবশেষে ২০২২ সালে এটি নিয়ে পুনরায় কাজ করা হয়।
সেসময় চলচ্চিত্র নির্মাতা পিটার জ্যাকসন এবং তাঁর দল যারা বিটলসের ডকুমেন্টারি সিরিজ ‘গেট ব্যাক’ নিয়ে কাজ করছিলেন। তিনি একটি পদ্ধতি তৈরি করেন যাতে লেননের কণ্ঠকে অন্য অংশ থেকে আলাদা করা যায়। ম্যাককার্টনি শেষ পর্যন্ত কিছু বেস রেকর্ড করেন, স্টার ড্রামস যোগ করেন, হ্যারিসনের পূর্বে রেকর্ড করা গিটার অংশগুলো মিশিয়ে দেওয়া হয় এবং শেষে স্ট্রিংস যোগ করা হয়।
এক ডকুমেন্টারিতে ম্যাককার্টনি বলেন, ‘আমরা সবাই এতে অংশগ্রহণ করেছি, তাই এটি একটি সত্যিকারের বিটলস রেকর্ডিং।’
লেননের পুত্র শান লেনন চলচ্চিত্রে বলেন, ‘তিনি এই প্রক্রিয়াটি দেখে আবেগে আপ্লুত হয়েছেন, যা তার বাবার কণ্ঠকে একটি নতুন বিটলস গানের অংশ করে তোলে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার বাবা গানটি পছন্দ করতেন, কারণ তিনি কখনোই রেকর্ডিং প্রযুক্তির সঙ্গে পরীক্ষা করতে লজ্জা পেতেন না। আমি মনে করি, এটি সত্যিই সুন্দর।’
গ্র্যামিতে ‘নাও অ্যান্ড দেন’ গানটি ‘রেকর্ড অফ দ্য ইয়ার’ পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছে। এটি বিলি আইলিশ, বিয়ন্সে, টেইলর সুইফট এবং চার্লি এক্সসিএক্সের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করছে। এ ছাড়া গানটি ‘বেস্ট রক পারফরমেন্স’ ক্যাটাগরিতেও মনোনীত হয়েছে। যেখানে এটি গ্রিন ডে এবং পার্ল জামের মতো শিল্পীদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।
তথ্যসূত্র: সিনেট
ইনস্টাগ্রামে কারও সঙ্গে চ্যাট করতে গিয়ে কখনো ভুলবশত কারও কাছে ভিন্ন বার্তা চলে যাওয়ার শঙ্কা থাকে। এমন পরিস্থিতিতে মেসেজ ডিলিট করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করা খুবই স্বাভাবিক। তবে ইনস্টাগ্রামে এমন একটি সুবিধা রয়েছে, যার মাধ্যমে আপনি পাঠানো মেসেজটি ‘আনসেন্ড’ বা মুছে ফেলতে পারেন।
১ ঘণ্টা আগেকয়েক সপ্তাহ আগে নিজেদের তৈরি ‘ক্লদ ওপাস’ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) মডেলের বিরুদ্ধে ব্ল্যাকমেলের অভিযোগ তুলে আলোচনায় এসেছিল এআই গবেষণাপ্রতিষ্ঠান অ্যানথ্রপিক। এবার আরও বিস্তৃত গবেষণা প্রকাশ করে প্রতিষ্ঠানটি বলছে—এই প্রবণতা শুধু ক্লদে নয়, বরং বিশ্বের শীর্ষ এআই মডেলগুলোর মধ্যেই এই ঝুঁকি রয়েছে।
১৭ ঘণ্টা আগেভূগর্ভস্থ পানির পাইপে কোনো ছিদ্র বা ফাটল খুঁজে বের করা যেমন কষ্টসাধ্য, তেমনি ব্যয়বহুল ও সময়সাপেক্ষ। প্রায়ই এই কাজের জন্য রাস্তা খুঁড়ে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করতে হয়। তবে এ চিত্র বদলে দিতে পারে ক্ষুদ্রাকৃতির এক রোবট, যা নিজে থেকেই পাইপে ঢুকে ছিদ্র শনাক্ত করে মেরামত করতে পারে।
১৮ ঘণ্টা আগেইন্টারনেটের ইতিহাসে অন্যতম বৃহৎ তথ্য ফাঁসের ঘটনার প্রমাণ পেয়েছেন সাইবার নিরাপত্তা গবেষকরা। ডেটা ব্রিচ বা তথ্য লঙ্ঘনের এই ঘটনায় ফাঁস (লিক) হয়েছে ১৬ বিলিয়ন বা ১৬ শ কোটি লগইন তথ্য ও পাসওয়ার্ড। সাইবারনিউজ ও ফোর্বসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ফাঁস বিশ্বব্যাপী লাখ লাখ ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত...
১৯ ঘণ্টা আগে