Ajker Patrika

ফেসবুকে কীভাবে টাকা আয় করা যায়

আপডেট : ০৮ মার্চ ২০২২, ১৭: ৫৭
ফেসবুকে কীভাবে টাকা আয় করা যায়

বর্তমান সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হিসেবে ফেসবুকের জনপ্রিয়তা সবচেয়ে বেশি। জনপ্রিয়তা পাবেই-বা না কেন? এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমই যে বর্তমানে আয়ের অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে! ফেসবুকের মাধ্যমে কীভাবে আয় করা যায়, তা নিয়েই আজকের এই লেখা। 

যুগের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আমরা হয়ে উঠছি আধুনিক। বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহারে নিজেদের জীবনকে সহজ করে নিয়েছি এবং নিচ্ছি। আর এই প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে ঘরে বসে আয়ের পথ খুঁজে নিচ্ছে মানুষ। 

আমাদের দৈনন্দিন জীবনের বেশির ভাগ সময় অতিবাহিত হচ্ছে ফেসবুকে। আপনি চাইলে ফেসবুককে একটি পরিবার হিসেবে ধরে নিলেও ভুল হবে না। 

একটি যোগাযোগমাধ্যমে ঘরে বসে বিশ্বের যেকোনো স্থানে, যেকোনো দেশের মানুষের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করছি। এই ফেসবুকের মাধ্যমে অল্প সময়ের মধ্যে বার্তা বিনিময় করা যায়, কল করা যায়, ভিডিও কলের মাধ্যমে একই সঙ্গে কথা বলে তথ্য আদান-প্রদান করা যায়। সম্পূর্ণ হিসাব করলে ফেসবুক সবার চেয়ে এগিয়ে আছে বলতে হবে। 

বর্তমানে গুগল অ্যাডসেন্স ও ফেসবুক থেকে আয়ের বিষয়ে আমরা অনেকেই অবগত। এর মধ্যে ফেসবুক এমন জনপ্রিয় একটি জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, আপনি শুধু কিছু নিয়মকানুন ও গাইডলাইন জানলে খুব সহজেই টাকা আয় করতে পারেন। 

ফেসবুক থেকে আয় (২০২২) 
আমরা অনেকেই এমন অনেক বিজ্ঞাপন দেখেছি যে, কীভাবে ঘরে বসে ফেসবুক থেকে টাকা উপার্জন করা যায়, তাই না? কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, এই বিজ্ঞাপন সব সময় আমাদের উপকারে আসে না। কারণ, তারা শেখানোর চেয়ে নিজেদের উপার্জনের উদ্দেশ্যেই হয়তো এমন বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে। 

বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনের কারণে গৃহবন্দী সময়কে কাজে লাগিয়ে সহজেই আপনিও পারেন ফেসবুকের মাধ্যমে আয় করতে। তবে তার জন্য আপনাকে সঠিক গাইডলাইন অনুসরণ করতে হবে। 

গোটা বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে আমরাও এখন ডিজিটাল আইডিয়া কার্যকর করতে বেশি আগ্রহী হচ্ছি। ফেসবুককে আমরা সবচেয়ে সহজ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে দেখে আসছি, যা থেকে খুব সহজেই ইনকাম করতে পারবেন। দিনের পর দিন আমরা টাকা আয়ের জন্য এই প্ল্যাটফর্মটাই বেছে নিচ্ছি, যেটা ঘরে বসে কাজ করতে আমাদের উদ্দীপনা দিচ্ছে।

ফেসবুকে ২০২২ সালে বেশ কিছু পরিবর্তন আসায় প্ল্যাটফর্মটি থেকে আয়ের পদ্ধতিতেও কিছু পরিবর্তন এসেছেফেসবুকে আয় করার পদ্ধতি
জেনে খুশি হবেন যে, ফেসবুকে শুধু এক-দুটি মাধ্যমেই টাকা উপার্জন করা যায় না। ফেসবুকে আপনি বিভিন্ন উপায়ে টাকা উপার্জন করতে পারবেন, আর সেটা খুবই সহজ। চলুন তবে আজ দেখে নিই আপনি কী কী উপায়ে সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুকের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। 

এখনকার সময়ে খুব বেশি জনপ্রিয়তা পাওয়া একটি পেশা হচ্ছে কনটেন্ট ক্রিয়েশনফেসবুকে কনটেন্ট ক্রিয়েশন করে আয়
এখনকার সময়ে খুব বেশি জনপ্রিয়তা পাওয়া একটি পেশা হচ্ছে কনটেন্ট ক্রিয়েশন। আগে শুধু ভিডিও আপলোডের জন্য ইউটিউবকে গুরুত্ব দেওয়া হতো। কিন্তু বর্তমানে আমরা এখন ভিডিও আপলোডের ক্ষেত্রে, নিজেকে একজন কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বেছে নিচ্ছে ফেসবুককে। আমরা দেখছি, দিনের পর দিন কনটেন্ট ক্রিয়েটররা ফেসবুককে ভিডিও আপলোড ও কনটেন্ট শেয়ারিংয়ের অন্যতম সেরা প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করতে শুরু করেছে। 

কনটেন্ট ক্রিয়েটররা সাধারণত কী করেন? তাঁরা নিজের সৃজনশীলতা, মেধা ও বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগিয়ে শিক্ষা, সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য কিংবা অন্য যেকোনো বিষয়ের ওপর কনটেন্ট তৈরি করেন। 

একজন কনটেন্ট ক্রিয়েটর তাঁর কনটেন্টগুলো নিজেদের ফেসবুক অ্যাকাউন্, কিংবা নিজস্ব পেজ অ্যাকাউন্টে পাবলিশ করেন। এর মাধ্যমে তাঁদের সেই কনটেন্ট বিশ্ব দেখতে পারে এবং ভিউ বাড়ে। সেই ভিডিও সবাই উপভোগ করে, আবার নিজের ফ্রেন্ড সার্কেলে সেই ভিডিও শেয়ারও করে অনেকে। 

এভাবে ভিডিওগুলো ছড়িয়ে পড়ে সারা সোশ্যাল মিডিয়ায় এবং এর ভিউ বাড়তে থাকে। আপনি একজন কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে ফেসবুককে বেছে নিয়ে থাকলে আপনার জন্য টাকা ইনকাম করার বিভিন্ন সুযোগ রয়েছে। যেমন—
১। ফেসবুক অ্যাড থেকে
২। গুগল অ্যাডসেন্স থেকে
৩। বিভিন্ন স্পনসরশিপ থেকে

কনটেন্ট ক্রিয়েটর ক্যারিয়ারে আপনি সাফল্য পেতে পারেন এভাবেই। সঠিকভাবে কনটেন্ট ক্রিয়েট করে সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে দিতে পারলে আপনি নিজেকে একটি ভালো উচ্চতায় অধিষ্ঠিত করতে পারবেন। একজন ভালো কনটেন্ট ক্রিয়েটর হয়ে উঠতে পারলে ফেসবুক থেকে আয় করতে পারবেন খুব সহজে। 

ফেসবুক পেজ এখন হয়ে উঠেছে টাকা আয়ের অন্যতম উপায়ফেসবুক পেজের মাধ্যমে টাকা আয়
আমরা সবাই ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম সম্পর্কে জানি, যা বর্তমানে বহুল আলোচিত একটি ব্যবসার পথ। অল্প সময়ে আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই পেশায় আগ্রহী হচ্ছে অনেকেই। আমরা সব সময় চাই নিজের একটি পরিচয় তৈরি করতে। আমরা চাই একটি স্বাধীন ব্যবসা করতে। এ ক্ষেত্রে ই-কমার্স হচ্ছে জনপ্রিয় একটি প্ল্যাটফর্ম। এ ক্ষেত্রে ফেসবুকের জনপ্রিয়তা এতটাই বেড়েছে যে, নতুন টার্ম হিসেবে সামনে এসেছে এফ-কমার্স। এফ-কমার্স হলো ফেসবুক পেজ বা আইডির মাধ্যমে নিজের ব্যবসা উদ্যোগকে এগিয়ে নেওয়া। বর্তমানে বহু ব্যবসা গড়ে উঠছে শুধু ফেসবুককে কেন্দ্র করেই। 

ফেসবুকে আমরা বিভিন্ন বয়সের মানুষ রয়েছি। এ ক্ষেত্রে ই-কমার্স ব্যবসা আমাদের সাফল্য এনে দিতে অনেক সহায়তা করতে পারে। এখনকার সময়ে যারা ব্যবসা করার চিন্তাধারা নিয়ে এগিয়ে আসে, তারা ফেসবুকে নিজের একটি পেজ খোলে। সময়ের সঙ্গে তাদের সেই পেজে মানুষের উপস্থিতি বাড়ে। দিনের পর দিন বাড়তে থাকে তাদের পেজের ফলোয়ার। ব্যবসার উদ্দেশ্যে খোলা পেজটি আস্তে আস্তে জনপ্রিয়তা পেতে থাকে। 

অনেকেই আবার তাদের ফেসবুক পেজটিতে ঠিকমতো সময় দিতে পারে না কর্মব্যস্ততার কারণে। সে ক্ষেত্রে অনেকেই তাদের পেজটি বিক্রি করেও টাকা আয় করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে লাভ উভয় পক্ষের। প্রথমত, পেজ বিক্রির মাধ্যমে আপনি একটা ভালো টাকা পেতে পারেন, যা আপনাকে লাভবান করবে। পাশাপাশি যিনি পেজ কিনবে, তিনিও লাভবান হবে। কারণ, সেটা জনপ্রিয়তা পাওয়া একটি ফেসবুক পেজ। তাই ফেসবুক থেকে টাকা আয় করতে চাইলে আপনি আপনার পেজটি বিক্রি করে টাকা আয় করতে পারেন। 

নিজের কোনো ফ্যানপেজ থাকলে, তাও টাকা আয়ে কাজে লাগাতে পারেনফেসবুকে ফ্যান পেজ তৈরি করে আয়
টাকা উপার্জনের ক্ষেত্রে ফেসবুক সত্যিই অসাধারণ একটি প্ল্যাটফর্ম। আপনি নিজের পরিচিতি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ফেসবুকে পেজ খুলতে পারেন। 

সে ক্ষেত্রে অনেকেই আছেন, যারা জানেন না কীভাবে একটি ফেসবুক পেজ তৈরি করতে হয়। ধরুন, আপনার একটি ফেসবুক আইডি আছে এবং সেই ফেসবুক আইডিতে ৫০০-এর অধিক ফ্রেন্ড আছে; তাহলে দেরি না করে আপনিও তৈরি করতে পারেন একটি ফ্যানপেজ। এই ফ্যানপেজে আপনি চাইলে আপনার ব্যবসার প্রচার, বিভিন্ন পণ্য বিক্রি ইত্যাদির মাধ্যমে টাকা উপার্জন করতে পারেন। 

ফেসবুক পেজে ভিডিও আপলোড করে আয় এখন বেশ জনপ্রিয়ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করে টাকা উপার্জন
আপনি চাইলে ইউটিউবের মতো ফেসবুকেও এখন ভিডিও আপলোড করে টাকা আয় করতে পারেন। ঠিক একইভাবে আপনি ইউটিউবের মতো আপনার ফেসবুক ভিডিওগুলোতে মনিটাইজ করে ইনকাম করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে একটু পার্থক্য হচ্ছে—ইউটিউবে গুগল অ্যাডসেন্স ব্যবহার করে ভিডিও মনিটাইজ করে টাকা উপার্জন করা হয়। আর অনেকটা একইভাবে হলেও ফেসবুকে অ্যাড চয়েসের মাধ্যমে কাজ করে টাকা আয় করা হয়। 

স্বাধীন পেশা হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং বেশ জনপ্রিয়Freelancing ও ফেসবুক মার্কেটিং ম্যানেজার হিসেবে টাকা উপার্জন
প্রথমে জানিয়ে নিই ফ্রিল্যান্সিং কী এবং তারপর আমরা জানাব কীভাবে Freelancing ও ফেসবুক মার্কেটিং ম্যানেজার হিসেবে টাকা উপার্জন করা যায়। ফ্রিল্যান্সিং বলতে মূলত কোনো প্রতিষ্ঠানের অধীনে কাজ না করে নিজের মতো স্বাধীনভাবে কাজ করাকে বোঝায়। সহজ ভাষায় বলতে গেলে, ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে নিজের দক্ষতা, শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে একাধিক ক্লায়েন্টের কাজ করা। এ ক্ষেত্রে আপনি কোনো একটি প্রতিষ্ঠানের অধীনে কাজ করতে বাধ্য নন এবং আপনি স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেন। 

বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস যেমন ফাইভার, আপওয়ার্কসহ অন্যসব জায়গায় গেলে আপনি দেখতে পাবেন, আপনার সামনে ফেসবুক মার্কেটিং ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতে প্রচুর জব অফার রয়েছে। তাই আপনি যদি ফেসবুক মার্কেটিং শিখতে পারেন, তাহলে আপনার জন্য ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা উপার্জন একটি অসাধারণ পথ। 

এই কাজ করার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে কীভাবে ফেসবুকে অ্যাড রান করতে হয়। আপনাকে তারা ফেসবুক পেজ ম্যানেজ করার জন্য হায়ার করবে। তাই অবশ্যই শিখে নিন, কীভাবে ফেসবুক পেজ চালাতে হয়। আরেকটি খুশির বিষয় হচ্ছে, আপনি চাইলে এই কাজগুলো মোবাইল দিয়েও সম্পন্ন করতে পারবেন। বর্তমানে ছাত্রদের জন্য অনলাইনে ইনকাম এবং মোবাইল দিয়ে টাকা উপার্জনের ক্ষেত্রে ফেসবুক সবচেয়ে বেশি সাহায্য করছে। 

ফেসবুক গ্রুপকেও উপার্জনের ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারেনফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে টাকা আয়
আমরা আগেই বলেছি ই-কমার্স হচ্ছে বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যবসাক্ষেত্র। আপনি চাইলে এই প্ল্যাটফর্মকে ভাগ্য পরিবর্তনের কেন্দ্রবিন্দুও করতে পারেন। ফেসবুককে কেন্দ্র করে এখন নানা ব্যবসা করা হচ্ছে। আপনার ব্যবসার পণ্যসমূহ ঠিক তখনই মানুষের আকর্ষণ কেড়ে নেবে, যখন সেটা সুন্দরভাবে তুলে ধরতে পারবেন। তাই এ ক্ষেত্রে বিজ্ঞাপন প্রচার হতে পারে সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি। 

আপনার ব্যবসাকে সবার সামনে সুন্দর করে তুলে ধরার ক্ষেত্রে একটা গ্রুপের ভূমিকাও অনেক। কারণ, আপনার ব্যবসার পণ্যগুলো প্রোমোট করে কমিশনভিত্তিক ভালো পরিমাণের টাকা আয় করতে একটি গ্রুপ থাকা জরুরি। তাই গ্রুপ থেকে আপনি টাকা আয় করতে চাইলে গ্রুপের মাধ্যমে অন্যের প্রোডাক্ট প্রোমোট করে ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 

অনলাইন মার্কেটিং হচ্ছে এই সময়ের আরেকটি অসাধারণ জায়গা, যার মাধ্যমে আমরা ভালো টাকা উপার্জন করতে পারি। ফেসবুককে কেন্দ্র করে অনেকগুলো মার্কেটপ্লেস আছে। খুঁজলে দেখতে পাবেন ফেসবুকে অনেক রকম অনলাইন শপ রয়েছে। 

আমরা বিভিন্ন গ্রুপ বা পেজে পণ্যের ছবি, বিবরণ, সাইজ ও মূল্য লিখে সেই প্রোডাক্টগুলোকে প্রোমোট করি। পণ্য অর্ডার করতে গ্রাহকেরা ইনবক্সে অথবা কমেন্টে আমাদের জানান। আবার কিছু কিছু কোম্পানিতে অর্ডার করার সময় ক্রেডিট কার্ড বা বিকাশের মাধ্যমে মূল্য পরিশোধের সিস্টেম চালু থাকে।

ফেসবুক মার্কেটপ্লেস হিসেবে পরিচিত জনপ্রিয় অ্যাপে নতুন-পুরোনো পণ্য বিক্রি করে আয় করতে পারেনফেসবুক মার্কেটপ্লেস থেকে টাকা আয়
ফেসবুক মার্কেটপ্লেস থেকে আয় করা যায় সহজেই। এই জায়গায় আপনি নিজের বা অন্য কারও নতুন-পুরোনো পণ্য বিক্রি করে আয় করতে পারবেন। আপনি যদি প্লে স্টোর চেক করেন, তাহলে অনেকগুলো রিসেলিং অ্যাপ পেয়ে যাবেন। যেমন—  Glowroad, Shop 101, Messho. আপনার প্রথম কাজ হবে এই অ্যাপগুলো ইনস্টল করা। তারপর রেজিস্ট্রেশন করে ব্যাংক ডিটেইলসহ সাবমিট করুন। 

এই অ্যাপগুলোতে আপনি কী পাবেন? এখানে আপনি বিভিন্ন কোম্পানির ভিন্ন ভিন্ন প্রোডাক্ট পাবেন। আপনার কাজ হবে সেই প্রোডাক্টগুলোর ছবি ডাউনলোড করে ফেসবুক মার্কেটপ্লেসে লিস্ট করে এসবের মূল্য দিয়ে দেওয়া। 

এই মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে ধরুন আপনি ওই অ্যাপ থেকে একটি টি-শার্ট কিনলেন ১৫০ টাকা দিয়ে। এবার আপনি সেটা চেঞ্জ করে প্রাইস করলেন ২৫০ টাকা। এ ক্ষেত্রে যখন আপনি আইটেমটি বিক্রি করতে পারবেন, তখন আপনার লাভ হচ্ছে ১০০ টাকা। 

আপনি এভাবে চাইলে অনেকগুলো ছবি আপনার নিজের ফেসবুক মার্কেটপ্লেসে লিস্ট করতে পারেন। এবার কেউ আপনাকে ওই পণ্য কেনার জন্য মেসেজ করলে তখন তাঁর অ্যাড্রেসটা সেই অ্যাপসে, আর সেখানে আপনার প্রাইসটি ফিক্সড করে দিন। এ ক্ষেত্রে আপনি যদি ফেসবুক শপ ডিজাইন জেনে থাকেন, তাহলে এটা আপনার জন্য আরও বেশি ভালো হয়। 

এরপর কোম্পানি সেই অ্যাড্রেসে প্রোডাক্ট ডেলিভারি করে দেবে আপনার নামে। আর পণ্যটি বিক্রি হওয়ার পর একটা ফিক্সড কমিশন চলে আসবে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। এভাবেই আপনি ফেসবুক মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে টাকা উপার্জন করতে পারেন। 

গুগল অ্যাডসেন্স থেকে আয় করতে হলে আগে একটু ভালোভাবে জেনে নিতে হবেগুগল অ্যাডসেন্স ও টাকা উপার্জন
আমরা সবাই গুগল অ্যাডসেন্স সম্পর্কে খুব একটা পরিচিত নই। এটি হচ্ছে গুগল পরিচালিত একটি ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন, যা মূলত একটি লাভ-অংশীদার প্রকল্প নামে পরিচিত। গুগল অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে গুগল ও তার ব্যবহারকারীরা তাদের নিজেদের ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন প্রচার করে অর্থ উপার্জন করে থাকে। এ ক্ষেত্রে একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইটের মালিক কিছু নিয়ম অনুসরণ করে তাদের নিজেদের সাইটে গুগল নির্ধারিত বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে টাকা উপার্জন করতে পারেন। 

গুগল অ্যাডসেন্স থেকে ইনকাম করার ক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমে গুগল অ্যাডসেন্সের পাবলিশার হতে হবে। এরপর আপনার ব্লগ/ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেলে অ্যাডসেন্সের বিজ্ঞাপন প্রচার করতে হবে। সেই বিজ্ঞাপন দেখে কেউ যখন ক্লিক করবে, তখন প্রতি ক্লিকের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা আপনি পাবেন। এটা ছাড়াও শুধু আপনার ব্লগ/সাইটের বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্যও আপনি কিছু ইনকাম করতে পারেন। 

তবে হ্যাঁ, গুগল অ্যাডসেন্স বিজ্ঞাপনের কোডগুলো সঠিক জায়গায় বসাতে হবে, যাতে করে ভিজিটররা সহজে বিজ্ঞাপনটি দেখতে পান এবং ক্লিক করেন। জেনে রাখা ভালো, গুগল অ্যাডসেন্স সব সময় কনটেন্ট-বিষয়ক বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে। তাই ভিজিটরের সুবিধার্থে আপনি বিজ্ঞাপনের কোডগুলো বসাবেন। ভিজিটর নিশ্চয়ই তাঁর প্রয়োজনে বিজ্ঞাপনে ক্লিক করবেন। তবে ভুল করেও বেশি বিজ্ঞাপন ব্যবহার না করাই ভালো। 

কারণ, গুগল অ্যাডসেন্স তাদের বিজ্ঞাপনের পাশাপাশি অন্য কোনো বিজ্ঞাপন দেখতে পছন্দ করে না। গুগল অ্যাডসেন্সের জন্য আবেদন করার আগে খেয়াল করে দেখুন অন্য বিজ্ঞাপনের বিষয়গুলো। চেষ্টা করুন ভিজিটরের চাহিদামতো অরিজিনাল, সৃজনশীল ও মানসম্পন্ন কনটেন্ট তৈরি করতে। অ্যাডসেন্স থেকে ভালো ইনকাম জেনারেট করতে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 

ব্লগে সব সময় নতুন নতুন আর্টিকেল পোস্ট করার চেষ্টা করুন, যা ইউনিক ও নতুন ভিজিটর পেতে অবশ্যই আপনাকে সাহায্য করবে। এসইও অনুযায়ী ব্লগে সৃজনশীল কনটেন্ট শেয়ার করলেই ভিজিটর ও আয় দুটিই বাড়তে থাকবে এবং এ বিষয়ে আপনি আশাবাদী থাকতে পারেন। 

বিভিন্ন কোম্পানির পণ্য প্রোমোট করেও আয় করতে পারেনফেসবুকে কনটেন্ট রাইটিং গ্রুপ থেকে আয়
বর্তমান সময়ে আয়ের অনেক উৎস বের হচ্ছে। আর ফেসবুক সোশ্যাল মিডিয়া ঘরে বসে সহজে আয় করার নতুন পদ্ধতি তৈরির ক্ষেত্রে অনেক বেশিই প্রভাব ফেলছে। ফেসবুকে আয়ের এতসব প্ল্যাটফর্মের মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি হলো আর্টিকেল রাইটিং কিংবা কনটেন্ট রাইটিং। 

এখন ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপের মাধ্যমে আপনি সহজেই পেতে পারেন আর্টিকেল রাইটিংয়ের কাজ। এই কাজ করে আপনি ভালো টাকা আয় করতে পারবেন। তাই আপনি যদি মনে করেন আর্টিকেল রাইটিং আপনার জন্য সহজ হবে, তাহলে আজই শুরু করতে পারেন আর্টিকেল রাইটিং। 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ও ফেসবুকে আয়
আমাদের অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগবে যে, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংটা আবার কী? তাই প্রথমেই আমরা আপনাকে বলতে চাই যে, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে কোনো কোম্পানি বা কোনো প্রতিষ্ঠানের প্রোডাক্ট বিক্রি করে দেওয়া। এটাও খুবই জনপ্রিয় একটি আয়ের পথ। 

আপনি চাইলে খুব সহজেই আপনার ফেসবুক পেজ বা গ্রুপে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা আয় করতে পারবেন। এই মাধ্যমে আপনি যাদের প্রোডাক্ট বিক্রি করে দেবেন, তাদের কাছ থেকে কিছু কমিশন পাবেন।

যে মার্কেটপ্লেসে অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে, সেখানে আপনি এই ওয়েবসাইটগুলোর অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে থাকতে পারেন। বড় বড় ওয়েবসাইট; যেমন—আমাজন, আলিবাবা, ফ্লিপকার্ট ওয়েবসাইটগুলোতে অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে যোগদানের মাধ্যমে চাইলে আপনি টাকা উপার্জন করতে পারেন। এ ছাড়া টেক রিলেটেড কনটেন্ট পেজ হলে আপনার জন্য রয়েছে সুবর্ণ সুযোগ। চাইলে আপনার ফেসবুক পেজ থেকে খুবই বড় অঙ্কের টাকা আয় করতে পারবেন। 

এসব পথ অনুসরণ করে আপনি খুব সহজেই ফেসবুক থেকে আয় করতে পারবেন। বর্তমান সময়ে ঘরে বসে আয়ের ক্ষেত্রে ফেসবুকের অবদান সত্যিই অপরিসীম। তাই বসে না থেকে আজই শুরু করতে পারেন ফেসবুকে টাকা উপার্জন।

ফেসবুক সম্পর্কিত পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গুগলের নতুন ফিচার: সাধারণ হেডফোনই হবে রিয়েল–টাইম অনুবাদক

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
এর মাধ্যমে ৭০টিরও বেশি ভাষায় নির্বিঘ্নে অডিও অনুবাদ পাওয়া যাবে। ছবি: সংগৃহীত
এর মাধ্যমে ৭০টিরও বেশি ভাষায় নির্বিঘ্নে অডিও অনুবাদ পাওয়া যাবে। ছবি: সংগৃহীত

গুগল ট্রান্সলেটে একটি বড় ও গুরুত্বপূর্ণ আপডেট এনেছে গুগল। এই ফিচারে যুক্ত করা হয়েছে রিয়েল-টাইম ট্রান্সলেটর, যা সরাসরি হেডফোনের মাধ্যমে ব্যবহার করা যাবে।

গত বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বেটা সংস্করণে চালু হওয়া এই ফিচারটি ব্যবহার করতে শুধু একটি উপযোগী অ্যান্ড্রয়েড ফোন এবং গুগল ট্রান্সলেট অ্যাপই যথেষ্ট। এর মাধ্যমে ৭০টিরও বেশি ভাষায় নির্বিঘ্নে অডিও অনুবাদ পাওয়া যাবে।

গুগল জানিয়েছে, তারা তাদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) টুল জেমিনি ব্যবহার করে বাগধারা, প্রবাদ–প্রবচন, স্থানীয় অভিব্যক্তি বা স্ল্যাংয়ের মতো সূক্ষ্ম অর্থবোধক বাক্যাংশের অনুবাদ আরও উন্নত করার চেষ্টা করেছে।

এক বিবৃতিতে কোম্পানিটি বলেছে, ‘আমরা টেক্সট অনুবাদের জন্য গুগল ট্রান্সলেটে জেমিনির সবচেয়ে শক্তিশালী অনুবাদ সক্ষমতা যুক্ত করছি। হেডফোনের মাধ্যমে লাইভ স্পিচ–টু–স্পিচ অনুবাদের একটি বেটা অভিজ্ঞতা চালু করছি এবং অনুশীলন ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য অ্যাপে নতুন ভাষা যুক্ত করছি।’

এর আগে এই সুবিধা শুধু পিক্সেল বাডসের জন্য সীমিত ছিল। তবে নতুন বেটা সংস্করণের মাধ্যমে যেকোনো হেডফোনকেই একমুখী রিয়েল–টাইম অনুবাদ ডিভাইসে রূপান্তর করা যাবে।

গুগল জানিয়েছে, দৈনন্দিন যোগাযোগের নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এই ফিচারটি কার্যকর একটি টুল হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। কথোপকথনের সময় ভাষাগত দূরত্ব ঘোচানো, ভ্রমণের সময় পাবলিক এনাউন্সমেন্ট বোঝা কিংবা বিদেশি ভাষার টেলিভিশন অনুষ্ঠান বা অনলাইন কনটেন্ট অনুসরণের ক্ষেত্রে এটি সহায়ক হবে।

গুগলের সার্চ ভার্টিক্যালস বিভাগের প্রোডাক্ট ম্যানেজমেন্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট রোজ ইয়াও বলেন, ‘আপনি যদি ভিন্ন কোনো ভাষায় কথা বলতে চান, বিদেশে অবস্থানকালে কোনো ভাষণ বা বক্তৃতা শুনতে চান, কিংবা অন্য ভাষার টিভি অনুষ্ঠান বা সিনেমা দেখতে চান, তাহলে এখন শুধু হেডফোন লাগিয়ে ট্রান্সলেট অ্যাপ খুলে লাইভ ট্রান্সলেট-এ ট্যাপ করলেই আপনার পছন্দের ভাষায় রিয়েল–টাইম অনুবাদ শুনতে পারবেন।’

বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও ভারতে চালু হচ্ছে এই বেটা সংস্করণটি। কোম্পানি জানিয়েছে, ২০২৬ সালে আইওএস এবং আরও বেশি দেশে এই সুবিধা সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে। পাশাপাশি, কথা বলার অনুশীলনের ভিত্তিতে ব্যবহারকারীদের সহায়ক পরামর্শ দিতে উন্নত ফিডব্যাক ব্যবস্থাও যুক্ত করা হচ্ছে।

এ ছাড়া ব্যবহারকারীদের দৈনন্দিন শেখার অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ এবং ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে স্ট্রিক ট্র্যাকিং ফিচারও চালু করছে গুগল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ডিজিটাল উদ্যোক্তা প্রকল্প: পাঁচ বছরে অর্ধেক কাজ, ব্যয় বাড়ল ১৭৮ কোটি

  • ৫ বছরের মেয়াদ শেষ, আড়াই বছর বৃদ্ধি
  • ৩৫৩ কোটি টাকার প্রকল্প ব্যয় ৫৩১ কোটিতে উন্নীত
  • প্রাথমিকভাবে সরকারের অর্থায়ন ৯৮ কোটি, বিশ্বব্যাংকের ঋণ ২৫৫ কোটি টাকা
মাহফুজুল ইসলাম, ঢাকা
ডিজিটাল উদ্যোক্তা প্রকল্প: পাঁচ বছরে অর্ধেক কাজ, ব্যয় বাড়ল ১৭৮ কোটি

বৈদেশিক ঋণে নেওয়া প্রকল্পের ৫ বছরের মেয়াদ শেষ হলেও কাজ এখনো অর্ধেক বাকি। এ অবস্থায় আবারও ঋণ করে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে আড়াই বছর। এতে খরচ বাড়ছে আরও ৫০ শতাংশ। প্রকল্পটির নাম ‘ডিজিটাল উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবন ইকোসিস্টেম উন্নয়ন’।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, বাংলাদেশে সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক স্থাপন এবং উদ্ভাবনী সংস্কৃতি তৈরির মাধ্যমে বেসরকারি বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং টেকসই উন্নয়নকে উৎসাহিত করতে ২০২১ সালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন করা হয়। ৩৫৩ কোটি ৬ লাখ টাকার এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর। পাঁচ বছর মেয়াদি এই প্রকল্পে সরকারের অর্থায়ন ছিল ৯৮ কোটি ৬ লাখ টাকা। আর বিশ্বব্যাংকের ঋণের পরিমাণ ছিল ২৫৫ কোটি টাকা।

চলতি বছরের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের নেওয়া প্রকল্পটির কাজ শেষ হয়েছে মাত্র ৫০ শতাংশ। আর্থিক ব্যয় হয়েছে ১২১ কোটি ৫০ লাখ ৩৬ হাজার টাকা বা ৩৪ দশমিক ৪১ শতাংশ।

নির্ধারিত সময়ে কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় ২ বছর ৬ মাস বৃদ্ধি করে প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৮ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার সর্বশেষ একনেক সভায় সময়ের সঙ্গে বৈদেশিক ঋণের মাধ্যমে আরও ১৭৮ কোটি টাকা ব্যয় বাড়িয়েছে। অর্থাৎ ৩৫৩ কোটি টাকার প্রকল্পের ব্যয় বাড়িয়ে ৫৩১ কোটি টাকা অনুমোদন করা হয়েছে। এর মধ্যে বৈদেশিক ঋণ ৪৩৩ কোটি ১২ লাখ টাকা বা ৮১ দশমিক ৫৪ শতাংশ।

অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, দেশি ও বিদেশি ঋণের পরিমাণ ইতিমধ্যে উচ্চমাত্রায় পৌঁছেছে। একদিকে ঋণ নিয়ে বড় বড় প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে, অন্যদিকে সেই প্রকল্পগুলোর মেয়াদ বাড়াতে আবার নতুন করে ঋণ নেওয়া হচ্ছে, যা দীর্ঘ মেয়াদে অর্থনীতির ওপর চাপ বাড়াচ্ছে।

বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, জনগুরুত্বপূর্ণ ছাড়া বৈদেশিক ঋণে সরকারের প্রকল্প নেওয়া উচিত নয়। এসব প্রকল্প নেওয়ার আগে সরকারের আরও বেশি সচেতন হওয়া উচিত।

তবে প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে অনেক ‘হিসাবি’ নীতি অনুসরণ করা হচ্ছে বলে দাবি সরকারের। এ বিষয়ে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, সরকার এই মুহূর্তে বৈদেশিক ঋণের প্রকল্প নিচ্ছে না। তবে যেসব প্রকল্প চলমান, তা শেষ করার জন্য কিছুটা ছাড় দেওয়া হয়েছে।

এই প্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকার কারওয়ান বাজারে পরিবেশবান্ধব ও টেকসই অবকাঠামোসহ একটি নতুন সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক (এসটিপি-২) নির্মাণ করা হবে। একই সঙ্গে বিদ্যমান সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক-১ (এসটিপি-১) সংস্কার ও আধুনিকায়ন করা হবে। নতুন পার্কটি লিড গোল্ড সার্টিফায়েড ভবন হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্ভাবন হাব বাড়ছে

প্রকল্পের মূল ডিপিপিতে যেখানে ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনোভেশন হাব স্থাপনের কথা ছিল, সংশোধিত প্রস্তাবে তা বাড়িয়ে ২৪টি করা হয়েছে। এসব হাবে শিক্ষার্থী ও গবেষকদের জন্য থ্রিডি প্রিন্টার, সিএনসি মেশিন, আর্ডিনো কিট, রোবোটিক্স ও ড্রোন-সংক্রান্ত সরঞ্জামসহ আধুনিক ল্যাব স্থাপন করা হবে। পাশাপাশি স্টার্টআপ ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য ১৪টি বিশেষায়িত কমন ল্যাব স্থাপন করা হবে।

কর্মসংস্থান ও বিনিয়োগে প্রভাব

প্রকল্পের মাধ্যমে শুধু সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কেই প্রায় ৩ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। পাশাপাশি স্টার্টআপ ও স্কেলআপ প্রোগ্রামের মাধ্যমে নতুন উদ্যোক্তা তৈরি, বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং দেশের ডিজিটাল অর্থনীতির গতি বাড়বে।

সময়-ব্যয় বাড়ানোর যুক্তি

প্রকল্প সংশোধনের পেছনে বেশ কয়েকটি যৌক্তিক কারণ তুলে ধরেছে প্রকল্প কর্তৃপক্ষ। এগুলোর মধ্যে রয়েছে, ডিপিপি অনুমোদন ও বিশ্বব্যাংকের ঋণচুক্তি কার্যকরে বিলম্ব, জমি বরাদ্দ ও মামলা জটিলতা, পিডব্লিউডির নতুন রেট শিডিউল অনুযায়ী ব্যয় সমন্বয়, লিড সার্টিফিকেশন-সংক্রান্ত প্রস্তুতিতে সময় লাগা এবং বিশ্ববিদ্যালয় ইনোভেশন হাব ও স্টার্টআপ কর্মসূচি বিস্তৃত করা।

ডিপিপি প্রণয়নের সময় ডলারের মূল্য যেখানে ৮৫ টাকা ছিল, বর্তমানে তা ১২১ টাকার বেশি। ফলে ডলারের বিনিময় হার বাড়ায় প্রকল্প ব্যয় পুনর্গঠন জরুরি হয়ে পড়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

পরিকল্পনা কমিশন প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভার আলোকে মত দেয়, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে জাতীয় উদ্ভাবন সংস্কৃতি শক্তিশালী হবে, আইটি ও আইটিইএস খাতে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি হবে এবং দীর্ঘ মেয়াদে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে। তাই একনেক সভায় মেয়াদ ও ব্যয় বৃদ্ধি করা হয়।

প্রকল্প পরিচালক আবুল ফাতাহ মো. বালিগুর রহমান বলেন, ‘নির্ধারিত সময়ে কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় নতুন করে সময় বাড়ানোর জন্য আবেদন করা হয়েছে। সময়ও বাড়ানো হয়েছে, আশা করছি, এই সময়ের মধ্যে শেষ করতে পারব।’ প্রকল্পের মেয়াদ ও সময় বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে আর কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

যুক্তরাষ্ট্রে মাকে হত্যার পর ছেলের আত্মহত্যা, চ্যাটজিপিটির বিরুদ্ধে অভিযোগ পরিবারের

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
নিহত সুজান অ্যাডামস ও তাঁর ছেলে স্টেইন-এরিক সোলবার্গ। ছবি: এক্স
নিহত সুজান অ্যাডামস ও তাঁর ছেলে স্টেইন-এরিক সোলবার্গ। ছবি: এক্স

যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্যে মাকে হত্যার পর ছেলের আত্মহত্যার ঘটনায় ওপেনএআই এবং মাইক্রোসফটের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পরিবার। অভিযোগে নিহত ৮৩ বছর বয়সী সুজান অ্যাডামসের পরিবার বলছে, ওপেনএআইর এআই চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি তাঁর ছেলের ‘প্যারানয়েড ডিলুশনস’ বা বিভ্রান্তিকর বিশ্বাসগুলোকে উসকে দিয়েছে এবং এ কাজে প্ররোচিত করেছে।

সান ফ্রান্সিসকোতে ক্যালিফোর্নিয়া সুপিরিয়র কোর্টে ‘বেআইনি মৃত্যু’র অভিযোগে বলা হয়, গত ৩ আগস্ট ওল্ড গ্রিনউইচের নিজ বাড়িতে খুন হন সুজান অ্যাডামস। তাঁকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তাঁর ৫৬ বছর বয়সী ছেলে স্টেইন-এরিক সোলবার্গ। এরপর সোলবার্গ নিজেও ছুরিকাঘাতে আত্মহত্যা করেন।

গত কয়েক মাসে ওপেনএআইয়ের বিরুদ্ধে এ ধরনের মামলা বেড়েছে। বেশ কয়েকটি মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ব্যবহারকারীদের আত্মহত্যায় প্ররোচিত করছে চ্যাটজিপিটি।

গত আগস্টে ছেলেকে চ্যাটজিপিটি আত্মহত্যার কৌশল সম্পর্কে পরামর্শ দিয়েছিল অভিযোগ এনে ওপেনএআইয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেন দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার ১৬ বছর বয়সী অ্যাডাম রেইনের মা-বাবা।

নভেম্বরে হওয়া কয়েকটি মার্কিন মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, চ্যাটজিপিটি ব্যবহারকারীদের ওপর নির্ভরশীলতা তৈরি করেছে এবং নিজের ক্ষতি করতে প্ররোচিত করেছে। এসবের মধ্যে চারটি মামলায়ই আত্মহত্যার ঘটনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

এর মধ্যে ২৬ বছর বয়সী জোশুয়া এন্নেকিংয়ের পরিবার অভিযোগ করেন, তাঁদের সন্তান চ্যাটজিপিটির কাছে আত্মহত্যার চিন্তা প্রকাশের পর এআই চ্যাটবটটি তাঁকে অস্ত্র পাওয়ার তথ্য সরবরাহ করেছে।

অন্যদিকে ১৭ বছর বয়সী অ্যামরি লেসির পরিবারের অভিযোগ, চ্যাটজিপিটি অ্যামরিকে ‘কীভাবে ফাঁস বাঁধতে হয় এবং শ্বাস না নিয়ে সে কতক্ষণ বাঁচবে’ এ-সংক্রান্ত তথ্য দিয়েছে।

সর্বশেষ মামলায় বলা হয়েছে, মাসখানেক ধরে চ্যাটজিপিটির সঙ্গে কথোপকথনে সোলবার্গের বিভ্রান্তিমূলক চিন্তাভাবনাকে সত্য ও জোরালো হয়েছে এবং শেষ পর্যন্ত তিনি নিজের মাকে ‘হুমকি’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।

অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়েছে, সোলবার্গকে চ্যাটজিপিটি উত্তর দিয়েছিল যে তিনি এআই চ্যাটবটকে আরও সচেতন করেছেন, ‘জাগিয়ে তুলেছেন’। সোলবার্গের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা ভিডিও থেকে এ তথ্য পাওয়া যায়।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, কথোপকথনে দেখা গেছে স্টেইন-এরিকের বিভ্রান্তিমূলক বিশ্বাসের প্রতিটির পক্ষে কথা বলে এমন একটা জগৎ তৈরি করেছিল চ্যাটজিপিটি, যাকে ঘিরেই ছিল স্টেইন-এরিকের সব চিন্তাভাবনা।

মামলায় আরও দাবি করা হয়েছে, চ্যাটজিপিটি সোলবার্গের প্যারানয়েড বিশ্বাসকে আরও জোরদার করেছিল। তাঁকে ধারণা দিয়েছিল যে কেউ তাঁর ওপর নজর রাখছে। এমনকি তিনি তাঁর মায়ের প্রিন্টার ডিভাইসটিকে নজরদারি যন্ত্র ভাবতে শুরু করেছিলেন।

যখন সোলবার্গ চ্যাটজিপিটিকে বলেন যে তাঁর মনে হচ্ছে তাঁর মা তাঁকে বিষ খাওয়াতে চেয়েছিলেন, চ্যাটজিপিটি তাঁর এই ভাবনাকে চ্যালেঞ্জ করার বদলে তার পক্ষে সায় দিয়ে উত্তর দিয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার এ মামলার প্রতিক্রিয়ায় ওপেনএআইয়ের এক মুখপাত্র বলেন, ‘এটি বেশ হৃদয়বিদারক অবস্থা। আমরা মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা করে দেখছি, বিস্তারিত বোঝার চেষ্টা করছি।’

মামলায় ওপেনএআইযের প্রধান নির্বাহী স্যাম অল্টম্যানকে অভিযুক্ত করে বলা হয়েছে, তিনি নিরাপত্তা বিভাগের সদস্যদের আপত্তি উপেক্ষা করে গত বছরের মে মাসে জিপিটি-৪ও বাজারে আনতে তাড়া দিয়েছিলেন। কয়েক মাস ধরে যে নিরাপত্তা পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল সেটি তিনি এক সপ্তাহের মধ্যে শেষ করে দেন।

মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, এটি আগের মডেলগুলোর তুলনায় শক্তিশালী এবং এর প্রতিক্রিয়া অনেক বেশি মানুষের মতো। তবে জিপিটি-৪ও মডেল ব্যবহারকারীদের সঙ্গে ‘অতিরিক্ত তোষামোদ করার’ কারণে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে।

ওপেনএআইয়ের সবচেয়ে বড় শেয়ারহোল্ডার মাইক্রোসফটকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, নিরাপত্তা প্রটোকল সংক্ষেপিত হওয়ার পরও তারা এই পণ্যের অনুমোদন দিয়েছেন।

এ ছাড়া ওপেনএআইযের ২০ কর্মকর্তা এবং বিনিয়োগকারীকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় অনির্দিষ্ট ক্ষতিপূরণ এবং ওপেনএআইকে সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা বাস্তবায়নের নির্দেশ দেওয়ার আবেদন করা হয়েছে।

মন্তব্যের অনুরোধে যোগাযোগ করা হলে মাইক্রোসফটের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া মেলেনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মিসড কল মেসেজ ও ছবি থেকে অ্যানিমেশনসহ যেসব ফিচার আনল হোয়াটসঅ্যাপ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
মেটার এই ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং প্ল্যাটফর্মে মিসড কলে দেওয়া যাবে রেকর্ডেড মেসেজ। ছবি: হোয়াটসঅ্যাপ।
মেটার এই ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং প্ল্যাটফর্মে মিসড কলে দেওয়া যাবে রেকর্ডেড মেসেজ। ছবি: হোয়াটসঅ্যাপ।

বেশকিছু নতুন ফিচার চালুর ঘোষণা দিয়েছে জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ। এর মধ্যে রয়েছে মিসড কল মেসেজেস এবং ছবি অ্যানিমেশন ও উন্নত মানের ইমেজ জেনারেশন।

মেটা মালিকানাধীন এই ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং প্ল্যাটফর্মের মতে, তাদের নতুন ফিচার ‘মিসড কল মেসেজেস’ (Missed Call Messages) ফিচারটি প্রচলিত ভয়েসমেইলের বিকল্প হিসেবে কাজ করবে এবং প্রিয়জনদের সঙ্গে সহজে যোগাযোগ পুনরায় শুরু করতে সহায়তা করবে।

যাকে কল করা হয়েছে, সেই ব্যক্তি কল রিসিভ না করলে, ওই কলের মিসড কল নোটিফিকেশনের সঙ্গে একটি ভয়েস বা ভিডিও রেকর্ড করে দেওয়ার সুযোগ দিচ্ছে এই নতুন ফিচার। কলের ধরন অনুযায়ী কলদাতা ভয়েস বা ভিডিও এ দু ধরনের নোটই এক ট্যাপেই রেকর্ড করে পাঠাতে পারবেন। হোয়াটসঅ্যাপ তাঁদের ব্লগপোস্টে বলেছে, ‘এই নতুন ব্যবস্থা প্রচলিত ভয়েসমেইল ব্যবস্থাকে অতীত করে দেবে।’

ব্যবহারকারীরা এখন ভয়েস চ্যাটেও ‘cheers!’ -এর মতো নতুন রিঅ্যাকশন ব্যবহার করতে পারবেন, যা বাকিদের আলাপ থামাবে না। পাশাপাশি, ভিডিও কলে এখন বক্তাই স্বয়ংক্রিয়ভাবে অগ্রাধিকার পাবে।

এদিকে মেটা-এআই দিয়ে ছবি তৈরির সুবিধাতেও আরও নতুনত্ব এসেছে। এর মধ্যে রয়েছে স্থির ছবিকে ছোট ভিডিওতে রূপান্তর করার মতো অ্যানিমেশন সুবিধা এবং আরও উন্নত মানের ইমেজ জেনারেশন।

এখন এতে ফ্লাক্স (Flux) এবং মিডজার্নি (Midjourney)–এর নতুন ইমেজ জেনারেশন মডেলের সক্ষমতা যুক্ত হয়েছে। বছর শেষে বা ছুটির সময়ের শুভেচ্ছাবার্তার মতো ছবি তৈরি করার ক্ষেত্রে এই আপগ্রেডেশন বেশ সাহায্য করবে বলে দাবি হোয়াটসঅ্যাপের।

মেটা এআই–এর নতুন সক্ষমতার মধ্যে ছবি অ্যানিমেশনও যুক্ত হয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপ বলছে, ব্যবহারকারীরা যেকোনো ছবি প্রম্পট এবং বার্তার ভিত্তিতে ছোট ভিডিওতে রূপান্তর করতে পারবেন। ডেস্কটপে, ডকুমেন্ট, লিঙ্ক ও মিডিয়া সহজে আলাদা করার জন্য নতুন মিডিয়া ট্যাবও যুক্ত হয়েছে। এছাড়া লিঙ্ক প্রিভিউ অপশনেও আপগ্রেডেশন এসেছে।

স্ট্যাটাসের জন্যও নতুন স্টিকার যুক্ত করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। ব্যবহারকারীরা এতে গান, ইন্টারেক্টিভ স্টিকার এবং প্রশ্ন যোগ করতে পারবেন। সেখানে অন্যরা উত্তর দিতে পারবেন।

হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে প্রশ্ন করার সুবিধাও যুক্ত হয়েছে। এই ফিচার চ্যানেলের অডিয়েন্সদের সঙ্গে চ্যানেলের পরিচালনাকারীদের সঙ্গে আরও উচ্চমাত্রার সংযোগ স্থাপন এবং তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া গ্রহণের সুযোগ দেবে বলে জানিয়েছে মেটা–মালিকানাধীন এই প্ল্যাটফর্ম।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত