বিশ্বের প্রায় ৩০ কোটি মানুষ কোনো না কোনো বিষণ্নতায় আক্রান্ত। এই সংখ্যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪ শতাংশ। তবে মানুষের বিষণ্নতা শনাক্ত করা কঠিন। কারণ এই সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা নিজেদের নেতিবাচক অনুভূতি বন্ধু, পরিবার বা চিকিৎসকদের জানাতে চান না। এ জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআইভিত্তিক স্মার্টফোন তৈরির চেষ্টা করছেন গবেষকেরা, যা চোখ ও মুখের অভিব্যক্তি দেখেই মানুষের বিষণ্নতা শনাক্ত করতে পারবে।
স্টিভেন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক স্যাং ওয়ান বে বেশ কিছু এআই-চালিত স্মার্টফোন অ্যাপ্লিকেশন ও সিস্টেম নিয়ে কাজ করছেন। অ্যাপ ও সিস্টেমগুলো অন্যদের হস্তক্ষেপ ছাড়াই কেউ বিষণ্নতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি কি না, তা সতর্ক করতে পারবে।
তিনি বলেন, বিষণ্নতা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। আজকাল বিশ্বের অধিকাংশ মানুষ যেহেতু প্রতিদিন স্মার্টফোন ব্যবহার করেন, তাই এটি একটি কার্যকর শনাক্তকরণ টুল হতে পারে।’
পিইএচডি ছাত্র রাহুল ইসলামকে নিয়ে অধ্যাপক ওয়ান বে এমন একটি সিস্টেম তৈরি করেছেন। সিস্টেমটির নাম ‘পিউপিলসেন্স’ রাখা হয়েছে। এটি স্মার্টফোনের মাধ্যমে ব্যবহারকারীর পিউপিলের (চোখের কেন্দ্রীয় অংশ) ছবি নিয়মিত তুলবে ও পিউপিলের ব্যস পরিমাপ করে বিষণ্নতা শনাক্ত করে। গবেষকদের দাবি, পিউপিলসেন্স ৭৬ শতাংশ সঠিকভাবে বিষণ্নতা শনাক্ত করতে সক্ষম।
স্যাং ওয়ান বে বলেন, গত তিন দশকে পূর্ববর্তী গবেষণাগুলো থেকে বারবার প্রমাণিত হয়েছে যে, কীভাবে পিউপিলের প্রতিক্রিয়া এবং সাড়া বিষণ্নতার সঙ্গে সম্পর্কিত হতে পারে।
গবেষণাটি ‘প্রসেডিং অব দ্য এসিএম অন হিউম্যান–কম্পিউটার ইন্টারেকশন’ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
ব্যবহারকারীরা যখন তাদের ফোন খোলে বা নির্দিষ্ট সোশ্যাল মিডিয়া এবং অন্যান্য অ্যাপে প্রবেশ করে, তখন ১০ সেকেন্ডের ‘বাৰ্স্ট’ ফটো স্ট্রিম থেকে চোখের চারপাশের আইরিশের সঙ্গে তুলনা করে পিউপিলের ব্যাস সঠিকভাবে পরিমাপ করে এই সিস্টেম।
সিস্টেমটি পরীক্ষার জন্য গবেষণায় ২৫ জন স্বেচ্ছাসেবীদের তথ্য নেওয়া হয়। তাদের নিয়ে চার সপ্তাহ ধরে গবেষণা করা হয়। স্মার্টফোনে যুক্ত করা সিস্টেমটি প্রায় ফোনের সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবীদের ১৬ হাজার মিথস্ক্রিয়া বিশ্লেষণ করা হয়। এ সময় পিউপিলের ছবির তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
একটি এআই সিস্টেমকে ‘স্বাভাবিক’ এবং ‘অস্বাভাবিক’ প্রতিক্রিয়া পৃথক করার প্রশিক্ষণ দেওয়ার পর গবেষকেরা ছবির ডেটা প্রক্রিয়াধীন করেন। এই পরীক্ষার সময় স্বেচ্ছাসেবীদের নিজেদের মানসিক অবস্থা চিহ্নিত করতে বলা হয়। পরে ছবির ডেটার সঙ্গে ব্যবহারকারীদের দেওয়া তথ্য মিলিয়ে দেখেন গবেষকেরা।
গত মে মাসে সিস্টেমটি প্রথমবারের মতো জাপানে আন্তর্জাতিক অ্যাক্টিভিটি ও বিহেভিয়র কম্পিউটিং সম্মেলনে উন্মোচন করা হয়। বর্তমানে এটি গিটহাব প্ল্যাটফর্মে ওপেন-সোর্স হিসেবে রয়েছে।
বে এবং রাহুল ‘ফেসসাই’ নামের আরেকটি সিস্টেম তৈরি করার চেষ্টা করেছেন। সিস্টেমটি মুখের অভিব্যক্তি বিশ্লেষণ করে মানুষের মানসিক অবস্থার ওপর অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে।
ফেসসাই ফোনের ব্যাকগ্রাউন্ডে কাজ করে। যখনই ফোন চালু করা হয় বা সাধারণভাবে ব্যবহৃত অ্যাপ্লিকেশনগুলো খোলা হয়, তখন মুখের ছবি নেয় এই সিস্টেমটি। তবে ছবি বিশ্লেষণের পরে মুখের ছবিগুলো প্রায় সঙ্গে সঙ্গে মুছে ফেলে, যা ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তা রক্ষা করে।
ফেসসাই সিস্টেম সম্পর্কে অধ্যাপক বে বলেন, ‘আমরা শুরুতে জানতাম না মুখের কোন অভিব্যক্তি বা চোখের গতিবিধি স্বেচ্ছাসেবীদের স্ব-প্রতিবেদন করা বিষণ্নতার সঙ্গে সম্পর্কিত হবে। কিছু অভিব্যক্তি প্রত্যাশিত ছিল এবং কিছু ছিল চমকপ্রদ।’
গবেষণার প্রাথমিক ফলাফলে দেখা গেছে, হাসির অভিব্যক্তি সুখের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়, বরং বিষণ্ন মেজাজ এবং অনুভূতির সম্ভাব্য সংকেতের সঙ্গে সম্পর্কিত।
এটি বিষণ্নতা মোকাবিলার প্রক্রিয়া হতে পারে। যেমন: মানুষ যখন সত্যিই হতাশ হয়ে পড়ে, তখন তারা নিজেদের এবং অন্যদের জন্য ‘সাহসী রূপ’ ধারণ করেন।
প্রাথমিক ডেটায় প্রদর্শিত বিষণ্নতার অন্যান্য স্পষ্ট সংকেতগুলোর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ছিল সকালে মুখের নড়াচড়ার গতির সংখ্যা কমে যাওয়া এবং চোখ ও মাথা নড়াচড়া বিশেষ প্যাটার্ন। উদাহরণস্বরূপ, সকালে হাই তোলা বা মাথার পাশ থেকে পাশে নড়াচড়া বেড়ে যাওয়া বিষণ্নতার উপসর্গের সঙ্গে শক্তিশালীভাবে যুক্ত বলে মনে করা হয়।
ফেসসাই সিস্টেমের গবেষণার প্রাথমিক ফলাফল অক্টোবরের শুরুতে অস্ট্রেলিয়ায় এএম আন্তর্জাতিক সম্মেলন উপস্থাপন করা হবে।
তথ্যসূত্র: নিউরো সায়েন্স নিউজ ও মেডিকেল এক্সপ্রেস
বিশ্বের প্রায় ৩০ কোটি মানুষ কোনো না কোনো বিষণ্নতায় আক্রান্ত। এই সংখ্যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪ শতাংশ। তবে মানুষের বিষণ্নতা শনাক্ত করা কঠিন। কারণ এই সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা নিজেদের নেতিবাচক অনুভূতি বন্ধু, পরিবার বা চিকিৎসকদের জানাতে চান না। এ জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআইভিত্তিক স্মার্টফোন তৈরির চেষ্টা করছেন গবেষকেরা, যা চোখ ও মুখের অভিব্যক্তি দেখেই মানুষের বিষণ্নতা শনাক্ত করতে পারবে।
স্টিভেন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক স্যাং ওয়ান বে বেশ কিছু এআই-চালিত স্মার্টফোন অ্যাপ্লিকেশন ও সিস্টেম নিয়ে কাজ করছেন। অ্যাপ ও সিস্টেমগুলো অন্যদের হস্তক্ষেপ ছাড়াই কেউ বিষণ্নতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি কি না, তা সতর্ক করতে পারবে।
তিনি বলেন, বিষণ্নতা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। আজকাল বিশ্বের অধিকাংশ মানুষ যেহেতু প্রতিদিন স্মার্টফোন ব্যবহার করেন, তাই এটি একটি কার্যকর শনাক্তকরণ টুল হতে পারে।’
পিইএচডি ছাত্র রাহুল ইসলামকে নিয়ে অধ্যাপক ওয়ান বে এমন একটি সিস্টেম তৈরি করেছেন। সিস্টেমটির নাম ‘পিউপিলসেন্স’ রাখা হয়েছে। এটি স্মার্টফোনের মাধ্যমে ব্যবহারকারীর পিউপিলের (চোখের কেন্দ্রীয় অংশ) ছবি নিয়মিত তুলবে ও পিউপিলের ব্যস পরিমাপ করে বিষণ্নতা শনাক্ত করে। গবেষকদের দাবি, পিউপিলসেন্স ৭৬ শতাংশ সঠিকভাবে বিষণ্নতা শনাক্ত করতে সক্ষম।
স্যাং ওয়ান বে বলেন, গত তিন দশকে পূর্ববর্তী গবেষণাগুলো থেকে বারবার প্রমাণিত হয়েছে যে, কীভাবে পিউপিলের প্রতিক্রিয়া এবং সাড়া বিষণ্নতার সঙ্গে সম্পর্কিত হতে পারে।
গবেষণাটি ‘প্রসেডিং অব দ্য এসিএম অন হিউম্যান–কম্পিউটার ইন্টারেকশন’ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
ব্যবহারকারীরা যখন তাদের ফোন খোলে বা নির্দিষ্ট সোশ্যাল মিডিয়া এবং অন্যান্য অ্যাপে প্রবেশ করে, তখন ১০ সেকেন্ডের ‘বাৰ্স্ট’ ফটো স্ট্রিম থেকে চোখের চারপাশের আইরিশের সঙ্গে তুলনা করে পিউপিলের ব্যাস সঠিকভাবে পরিমাপ করে এই সিস্টেম।
সিস্টেমটি পরীক্ষার জন্য গবেষণায় ২৫ জন স্বেচ্ছাসেবীদের তথ্য নেওয়া হয়। তাদের নিয়ে চার সপ্তাহ ধরে গবেষণা করা হয়। স্মার্টফোনে যুক্ত করা সিস্টেমটি প্রায় ফোনের সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবীদের ১৬ হাজার মিথস্ক্রিয়া বিশ্লেষণ করা হয়। এ সময় পিউপিলের ছবির তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
একটি এআই সিস্টেমকে ‘স্বাভাবিক’ এবং ‘অস্বাভাবিক’ প্রতিক্রিয়া পৃথক করার প্রশিক্ষণ দেওয়ার পর গবেষকেরা ছবির ডেটা প্রক্রিয়াধীন করেন। এই পরীক্ষার সময় স্বেচ্ছাসেবীদের নিজেদের মানসিক অবস্থা চিহ্নিত করতে বলা হয়। পরে ছবির ডেটার সঙ্গে ব্যবহারকারীদের দেওয়া তথ্য মিলিয়ে দেখেন গবেষকেরা।
গত মে মাসে সিস্টেমটি প্রথমবারের মতো জাপানে আন্তর্জাতিক অ্যাক্টিভিটি ও বিহেভিয়র কম্পিউটিং সম্মেলনে উন্মোচন করা হয়। বর্তমানে এটি গিটহাব প্ল্যাটফর্মে ওপেন-সোর্স হিসেবে রয়েছে।
বে এবং রাহুল ‘ফেসসাই’ নামের আরেকটি সিস্টেম তৈরি করার চেষ্টা করেছেন। সিস্টেমটি মুখের অভিব্যক্তি বিশ্লেষণ করে মানুষের মানসিক অবস্থার ওপর অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে।
ফেসসাই ফোনের ব্যাকগ্রাউন্ডে কাজ করে। যখনই ফোন চালু করা হয় বা সাধারণভাবে ব্যবহৃত অ্যাপ্লিকেশনগুলো খোলা হয়, তখন মুখের ছবি নেয় এই সিস্টেমটি। তবে ছবি বিশ্লেষণের পরে মুখের ছবিগুলো প্রায় সঙ্গে সঙ্গে মুছে ফেলে, যা ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তা রক্ষা করে।
ফেসসাই সিস্টেম সম্পর্কে অধ্যাপক বে বলেন, ‘আমরা শুরুতে জানতাম না মুখের কোন অভিব্যক্তি বা চোখের গতিবিধি স্বেচ্ছাসেবীদের স্ব-প্রতিবেদন করা বিষণ্নতার সঙ্গে সম্পর্কিত হবে। কিছু অভিব্যক্তি প্রত্যাশিত ছিল এবং কিছু ছিল চমকপ্রদ।’
গবেষণার প্রাথমিক ফলাফলে দেখা গেছে, হাসির অভিব্যক্তি সুখের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়, বরং বিষণ্ন মেজাজ এবং অনুভূতির সম্ভাব্য সংকেতের সঙ্গে সম্পর্কিত।
এটি বিষণ্নতা মোকাবিলার প্রক্রিয়া হতে পারে। যেমন: মানুষ যখন সত্যিই হতাশ হয়ে পড়ে, তখন তারা নিজেদের এবং অন্যদের জন্য ‘সাহসী রূপ’ ধারণ করেন।
প্রাথমিক ডেটায় প্রদর্শিত বিষণ্নতার অন্যান্য স্পষ্ট সংকেতগুলোর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ছিল সকালে মুখের নড়াচড়ার গতির সংখ্যা কমে যাওয়া এবং চোখ ও মাথা নড়াচড়া বিশেষ প্যাটার্ন। উদাহরণস্বরূপ, সকালে হাই তোলা বা মাথার পাশ থেকে পাশে নড়াচড়া বেড়ে যাওয়া বিষণ্নতার উপসর্গের সঙ্গে শক্তিশালীভাবে যুক্ত বলে মনে করা হয়।
ফেসসাই সিস্টেমের গবেষণার প্রাথমিক ফলাফল অক্টোবরের শুরুতে অস্ট্রেলিয়ায় এএম আন্তর্জাতিক সম্মেলন উপস্থাপন করা হবে।
তথ্যসূত্র: নিউরো সায়েন্স নিউজ ও মেডিকেল এক্সপ্রেস
দেশে প্রথমবারের মতো স্থানীয়ভাবে হোস্ট করা ‘এক্সেনটেক ক্লাউড’ নামের ক্লাউড মাধ্যম চালু করেছে রবি আজিয়াটা পিএলসির সহযোগী প্রতিষ্ঠান এক্সেনটেক পিএলসি। টিয়ার–৪ অবকাঠামোভিত্তিক হওয়ায় ক্লাউড মাধ্যমটি বৈশ্বিক মানের নির্ভরযোগ্যতা, নিরাপত্তা ও সম্প্রসারণের মানদণ্ড পূরণ করতে সক্ষম। মঙ্গলবার রাজধানীর তেজগাঁওয়
১৬ ঘণ্টা আগেগত ১৫ এপ্রিল অনলাইন সার্চ বাজারে নিজেদের আধিপত্যের অপব্যবহার করে বিজ্ঞাপনদাতাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগে গুগলের বিরুদ্ধে ৫ বিলিয়ন পাউন্ড বা ৬৬০ কোটি ডলারের মামলা করে যুক্তরাজ্য। অভিযোগে বলা হয়, প্রতিযোগিতাহীন পরিবেশ তৈরির মাধ্যমে গুগল তাদের বিজ্ঞাপনমূল্য ইচ্ছেমতো নির্ধারণ করছে।
২০ ঘণ্টা আগেসিটি ব্যাংক, গুগল, মাস্টারকার্ড এবং ভিসার যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশে চালু হয়েছে ‘গুগল পে’। আনুষ্ঠানিকভাবে এটি ‘গুগল ওয়ালেট’ নামে পরিচিত। দেশের ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থায় এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
১ দিন আগেসিনেমা বানানো মানে বিশাল সেট, অনেক কলাকুশলী আর কোটি টাকার বাজেট। সেই দৃশ্য এখনো আছে। কিন্তু এর সঙ্গে বিকল্প এক পথ তৈরি হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বদৌলতে। কম্পিউটার, ইন্টারনেট সংযোগ আর একটি এআই টুল দিয়ে বানানো যাচ্ছে শর্ট ফিল্ম, বিজ্ঞাপন, এমনকি ফিচার ফিল্মও।
১ দিন আগে