মোস্তাফিজ মিঠু, ঢাকা
বিশ্বে এআই প্রযুক্তি নানা ক্ষেত্রে বিপ্লব এনেছে। বিশেষ করে শিক্ষার ক্ষেত্রে এর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব পড়েছে। প্রযুক্তির এই উন্নতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের দেশের পড়াশোনা নতুন পথে এগিয়ে যাচ্ছে। এর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন তরুণেরা।
তানজিব রহমান সেই তরুণদের একজন। তিনি বাংলা ভাষায় ‘নোভা’ নামে একটি ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছেন। এটি শিক্ষার্থীদের জন্য সহজ, সাশ্রয়ী এবং কার্যকরী শিক্ষাসহায়ক হিসেবে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন তানজিব।
নোভা কীভাবে কাজ করবে
নোভা মূলত প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য তৈরি করা হয়েছে। এতে শিক্ষার্থীরা তাদের শ্রেণি ও বিষয় নির্বাচন করে পাঠ্যক্রম অনুযায়ী শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে।
এটি শিক্ষার্থীদের প্রশ্নের উত্তর দেবে, ব্যাখ্যাসহ সমাধান সরবরাহ করবে এবং শেখার জন্য কুইজ, গেমস ও অন্যান্য ইন্টার্যাকটিভ উপায় ব্যবহার করবে। নোভার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা যেকোনো বিষয় বা প্রশ্ন সম্পর্কে দ্রুত এবং সঠিক উত্তর পেতে সক্ষম হবে। এ ছাড়া এটি শিক্ষার্থীদের শেখার পদ্ধতি এবং গতির ওপর ভিত্তি করে তাদের জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহায়তা দেবে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, যদি কোনো শিক্ষার্থী গণিতের সমস্যায় আটকে যায়, নোভা তাকে সমস্যাটির সমাধান বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করবে এবং একই ধরনের আরও প্রশ্নের সমাধান দেবে। এতে শিক্ষার্থী আরও ভালোভাবে বিষয়টি বুঝতে পারবে।
নোভার যাত্রা
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বাইরে সঠিক অনুশীলন করার পরিবেশ ও উপকরণের অভাব আছে আমাদের দেশে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে কিংবা নিম্ন আয়ের পরিবারগুলোতে এটি বড় সমস্যা। আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থা কোচিং সেন্টার কিংবা গাইড বইয়ের ওপর নির্ভরশীল। তবে এই সুযোগ সবার জন্য সহজলভ্য নয়। আবার ইংরেজি ভাষার ওপর নির্ভরশীল অনেক অনলাইন শিক্ষা প্ল্যাটফর্ম থাকলেও বাংলায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক কার্যকরী শিক্ষাসহায়ক প্ল্যাটফর্মের অভাব ছিল। নোভা এই শূন্যস্থান পূরণ করেছে। এটি দেশীয় শিক্ষার্থীদের একটি একক অভ্যন্তরীণ শিক্ষণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে, যেটি পরিচালিত হবে সম্পূর্ণ বাংলায়। এতে ভাষাগত বাধা দূর হবে এবং শিক্ষার্থীরা তাদের মাতৃভাষায় প্রয়োজনীয় শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে। নোভা শিক্ষার্থীদের শেখার সুযোগ সহজ, সাশ্রয়ী ও প্রবেশযোগ্য করবে।
প্রথম সংস্করণ এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
নোভার প্রথম সংস্করণটি পরীক্ষামূলকভাবে বিনা মূল্যে শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে।
এর মধ্যে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বিষয়ে কনটেন্ট পাবে। এসব কনটেন্ট পাঠ্যবইয়ের কাঠামো অনুযায়ী সাজানো হয়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মডেলটি বাংলার উপযোগী করে সাজানো হচ্ছে এবং শিক্ষার্থীদের অভিজ্ঞতা আরও উন্নত করতে বিভিন্ন ধরনের উপাদান যুক্ত করা হচ্ছে। নোভা ভবিষ্যতে আরও উন্নত প্রযুক্তি যুক্ত করবে। এটি শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত দুর্বলতা চিহ্নিত করে তাদের শেখার পদ্ধতির ওপর ভিত্তি করে পরামর্শ দেবে। নোভা ব্যক্তিগত শিক্ষকের মতো কাজ করবে।
নোভা দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় এক নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এটি কেবল শিক্ষার্থীদের জন্য নয়, শিক্ষক এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর জন্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি হতে চলেছে। এর মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের শেখার পথ সহজ ও সাশ্রয়ী হয়ে উঠবে।
তামজিদের ব্লাডলিংক থেকে নোভা
তামজিদ রহমানের বয়স ১৭ বছর। ১৬ বছর বয়সে তার অভাবনীয় উদ্যোগের জন্য আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরস্কারের (আইসিপিপি) সেরা ৩০ জন চূড়ান্ত প্রার্থীর তালিকায় জায়গা করে নিয়েছিলেন তিনি। সেই তালিকায়
তিনি জায়গা করে নিয়েছিলেন ‘ব্লাডলিংক’ নামে একটি অ্যাপ তৈরি করে। সেটি ছিল দেশের প্রথম এবং বৃহত্তম পিয়ার-টু-পিয়ার রক্তদান অ্যাপ। ২০২৩ সালের শুরুর দিকে চালু হওয়া এই অ্যাপ বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এ ছাড়া ব্লাডলিংকের জন্য তামজিদ রহমান ২০২৪ সালে যুক্তরাজ্যের ডায়ানা অ্যাওয়ার্ড পান।
ব্লাডলিংকের পর নোভা নিয়ে কাজ শুরু করেন তামজিদ। শিক্ষার্থীদের জন্য অন্য অনেক ভাষায় ডিজিটাল সুবিধা থাকলেও বাংলা ভাষা সেই সুবিধা থেকে পিছিয়ে ছিল। সেই ভাবনা থেকে নোভা নামের এই এআই প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেন তিনি।
বিশ্বে এআই প্রযুক্তি নানা ক্ষেত্রে বিপ্লব এনেছে। বিশেষ করে শিক্ষার ক্ষেত্রে এর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব পড়েছে। প্রযুক্তির এই উন্নতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের দেশের পড়াশোনা নতুন পথে এগিয়ে যাচ্ছে। এর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন তরুণেরা।
তানজিব রহমান সেই তরুণদের একজন। তিনি বাংলা ভাষায় ‘নোভা’ নামে একটি ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছেন। এটি শিক্ষার্থীদের জন্য সহজ, সাশ্রয়ী এবং কার্যকরী শিক্ষাসহায়ক হিসেবে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন তানজিব।
নোভা কীভাবে কাজ করবে
নোভা মূলত প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য তৈরি করা হয়েছে। এতে শিক্ষার্থীরা তাদের শ্রেণি ও বিষয় নির্বাচন করে পাঠ্যক্রম অনুযায়ী শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে।
এটি শিক্ষার্থীদের প্রশ্নের উত্তর দেবে, ব্যাখ্যাসহ সমাধান সরবরাহ করবে এবং শেখার জন্য কুইজ, গেমস ও অন্যান্য ইন্টার্যাকটিভ উপায় ব্যবহার করবে। নোভার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা যেকোনো বিষয় বা প্রশ্ন সম্পর্কে দ্রুত এবং সঠিক উত্তর পেতে সক্ষম হবে। এ ছাড়া এটি শিক্ষার্থীদের শেখার পদ্ধতি এবং গতির ওপর ভিত্তি করে তাদের জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহায়তা দেবে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, যদি কোনো শিক্ষার্থী গণিতের সমস্যায় আটকে যায়, নোভা তাকে সমস্যাটির সমাধান বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করবে এবং একই ধরনের আরও প্রশ্নের সমাধান দেবে। এতে শিক্ষার্থী আরও ভালোভাবে বিষয়টি বুঝতে পারবে।
নোভার যাত্রা
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বাইরে সঠিক অনুশীলন করার পরিবেশ ও উপকরণের অভাব আছে আমাদের দেশে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে কিংবা নিম্ন আয়ের পরিবারগুলোতে এটি বড় সমস্যা। আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থা কোচিং সেন্টার কিংবা গাইড বইয়ের ওপর নির্ভরশীল। তবে এই সুযোগ সবার জন্য সহজলভ্য নয়। আবার ইংরেজি ভাষার ওপর নির্ভরশীল অনেক অনলাইন শিক্ষা প্ল্যাটফর্ম থাকলেও বাংলায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক কার্যকরী শিক্ষাসহায়ক প্ল্যাটফর্মের অভাব ছিল। নোভা এই শূন্যস্থান পূরণ করেছে। এটি দেশীয় শিক্ষার্থীদের একটি একক অভ্যন্তরীণ শিক্ষণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে, যেটি পরিচালিত হবে সম্পূর্ণ বাংলায়। এতে ভাষাগত বাধা দূর হবে এবং শিক্ষার্থীরা তাদের মাতৃভাষায় প্রয়োজনীয় শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে। নোভা শিক্ষার্থীদের শেখার সুযোগ সহজ, সাশ্রয়ী ও প্রবেশযোগ্য করবে।
প্রথম সংস্করণ এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
নোভার প্রথম সংস্করণটি পরীক্ষামূলকভাবে বিনা মূল্যে শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে।
এর মধ্যে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বিষয়ে কনটেন্ট পাবে। এসব কনটেন্ট পাঠ্যবইয়ের কাঠামো অনুযায়ী সাজানো হয়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মডেলটি বাংলার উপযোগী করে সাজানো হচ্ছে এবং শিক্ষার্থীদের অভিজ্ঞতা আরও উন্নত করতে বিভিন্ন ধরনের উপাদান যুক্ত করা হচ্ছে। নোভা ভবিষ্যতে আরও উন্নত প্রযুক্তি যুক্ত করবে। এটি শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত দুর্বলতা চিহ্নিত করে তাদের শেখার পদ্ধতির ওপর ভিত্তি করে পরামর্শ দেবে। নোভা ব্যক্তিগত শিক্ষকের মতো কাজ করবে।
নোভা দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় এক নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এটি কেবল শিক্ষার্থীদের জন্য নয়, শিক্ষক এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর জন্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি হতে চলেছে। এর মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের শেখার পথ সহজ ও সাশ্রয়ী হয়ে উঠবে।
তামজিদের ব্লাডলিংক থেকে নোভা
তামজিদ রহমানের বয়স ১৭ বছর। ১৬ বছর বয়সে তার অভাবনীয় উদ্যোগের জন্য আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরস্কারের (আইসিপিপি) সেরা ৩০ জন চূড়ান্ত প্রার্থীর তালিকায় জায়গা করে নিয়েছিলেন তিনি। সেই তালিকায়
তিনি জায়গা করে নিয়েছিলেন ‘ব্লাডলিংক’ নামে একটি অ্যাপ তৈরি করে। সেটি ছিল দেশের প্রথম এবং বৃহত্তম পিয়ার-টু-পিয়ার রক্তদান অ্যাপ। ২০২৩ সালের শুরুর দিকে চালু হওয়া এই অ্যাপ বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এ ছাড়া ব্লাডলিংকের জন্য তামজিদ রহমান ২০২৪ সালে যুক্তরাজ্যের ডায়ানা অ্যাওয়ার্ড পান।
ব্লাডলিংকের পর নোভা নিয়ে কাজ শুরু করেন তামজিদ। শিক্ষার্থীদের জন্য অন্য অনেক ভাষায় ডিজিটাল সুবিধা থাকলেও বাংলা ভাষা সেই সুবিধা থেকে পিছিয়ে ছিল। সেই ভাবনা থেকে নোভা নামের এই এআই প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেন তিনি।
বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক পেমেন্ট গেটওয়ে পেপ্যাল, ওয়াইজ ও স্ট্রাইপের মতো পেমেন্ট সেবাগুলো চালুর দাবি জানিয়েছেন ফ্রিল্যান্সার ও আইটি পেশাজীবীরা। তাঁরা বলছেন, দেশের তরুণ উদ্যোক্তা ও ফ্রিল্যান্সাররা আন্তর্জাতিক ক্লায়েন্টের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে আন্তর্জাতিক পেমেন্ট গেটওয়ের অভাবে বড় ধরনের সীমাবদ্ধতায় পড়ছেন।
১ ঘণ্টা আগেনতুন মডুলার ফোন নিয়ে আসছে নাথিংয়ের সাব-ব্র্যান্ড সিএমএফ। তাদের দ্বিতীয় মডুলার ফোন সিএমএফ ফোন ২ প্রো ঘোষণা করা হয়েছে। আগের মতোই স্ক্রু দিয়ে লাগানো যায় এমন একাধিক অ্যাকসেসরিজ যুক্ত করা যাবে ফোনটিতে। ডিভাইসটি ৩ বছরের অ্যান্ড্রয়েড আপডেট এবং ৬ বছরের নিরাপত্তা আপডেট পাবে।
২ ঘণ্টা আগেনতুন চিপসেট ‘স্ন্যাপড্রাগন ৮ এলিট ২’ নিয়ে কাজ করছে চিপ নির্মাতা কোম্পানি কোয়ালকম। এই চিপ পরবর্তী প্রজন্মের একটি শক্তিশালী প্রসেসর, যা নতুন আইফোন ১৭-এর পারফরম্যান্সকেও ছাপিয়ে যেতে পারে বলে গুঞ্জন উঠেছে।
৫ ঘণ্টা আগেব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কনস্টেলেশন প্রকল্প ‘প্রজেক্ট কুইপার’-এর প্রথম ২৭টি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে ই–কমার্স জায়ান্ট আমাজন। এর মাধ্যমে ইলন মাস্কের স্পেসএক্সের স্টারলিংককে চ্যালেঞ্জ জানাল কোম্পানিটি। গতকাল সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা থেকে স্যাটেলাইটগুলো উৎক্ষেপণ করা হয়।
৬ ঘণ্টা আগে