Ajker Patrika

ঘরে বসে মোবাইলের মাধ্যমে আয় করার উপায়

আপডেট : ১৬ মার্চ ২০২২, ১২: ১০
ঘরে বসে মোবাইলের মাধ্যমে আয় করার উপায়

যুগ পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের লাইফস্টাইলও পরিবর্তন হচ্ছে। বর্তমান বাংলাদেশ একটি ডিজিটাল বাংলাদেশ। দিনের পর দিন আমরা নতুন নতুন আইডিয়া গ্রহণ করে জীবনযাপন প্রণালি পরিবর্তন করছি। স্মার্টফোন হচ্ছে বিশাল পরিবর্তনের একটা মূল মাধ্যম, যার সঠিক ব্যবহারে আপনি করতে পারেন আপনার স্বপ্ন পূরণ।

কেমন হয়, যদি জানেন যে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে চাইলে আপনি আয় করতে পারবেন? আজকের লেখাটি এ নিয়েই। পুরো লেখায় আমরা কথা বলব ঘরে বসে মোবাইলে আয় করার নানা উপায় নিয়ে।

বর্তমানে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার অনেক প্ল্যাটফর্ম আছে। এগুলো সম্পর্কে জানতে পুরো লেখাটি পড়তে হবে।

স্মার্টফোন, ডিজিটাল ওয়ালেট, ইন্টারনেট সংযোগ ইত্যাদি থাকলেই আপনি মোবাইলের মাধ্যমে আয় করার উদ্যোগ নিতে পারেনমোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম
মোবাইল দিয়ে টাকা উপার্জনের ক্ষেত্রে আপনাকে কিছু বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে হবে। আজ আমরা কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করব, যা থেকে আপনিও জানতে পারবেন মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার উপায়। আসুন তাহলে বিস্তারিতভাবে জেনে নিই কীভাবে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়—

মোবাইলে টাকা উপার্জন করতে পারবেন ভেবে কখনোই আপনার ভাবা উচিত নয় যে, আপনি খুবই সহজে এই কাজ করতে পারবেন। এই কাজ করতে অবশ্যই আপনাকে পরিশ্রম করতে হবে।

ঘরে বসে মোবাইলে আয় করার ক্ষেত্রে প্রথম যে জিনিসটি আপনার দরকার, তা হচ্ছে স্মার্টফোন ও ইন্টারনেট। বর্তমান যুগে এসে মোবাইল ও ইন্টারনেট ছাড়া থাকা অনেকটা কঠিনই। আপনার ব্যবসা থেকে শুরু করে যেকোনো ক্ষেত্রেই ইন্টারনেট লাগবে। আপনি মেয়ে, ছেলে, যা-ই হোন না কেন বাড়িতে বসে আয় করার ক্ষেত্রে আপনার মোবাইল ফোনটি হতে পারে আপনার আয়ের উৎস।

কী কী লাগবে মোবাইলের মাধ্যমে আয় করার জন্য?
মোবাইলের মাধ্যমে ইনকাম করতে আমাদের খুব বেশি কিছুর প্রয়োজন নেই। সামান্য কিছু বিষয় থাকলেই আপনি আজই শুরু করতে পারেন মোবাইল দিয়ে টাকা আয়—
মোবাইল ফোন বা স্মার্টফোন
ইন্টারনেট কানেকশন
ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা ডিজিটাল ওয়ালেট
প্রতিদিন ২ থেকে ৩ ঘণ্টা সময়

মোবাইলমোবাইল দিয়ে টাকা আয়ের অনলাইনে অ্যাপ
আমাদের দেশে অনেক মানুষ আছে, যারা কর্মহীন এবং কাজ খোঁজার অপেক্ষায় বেকার বসে আছে। আপনি যদি চান ঘরে বসে সহজে কিছু টাকা আয় করতে, তাহলে আপনি আপনার গুরুত্বপূর্ণ সময় নষ্ট না করে অনলাইনের মাধ্যমে নিজের ভাগ্য খুলে নিতে পারেন।

কীভাবে করবেন টাকা উপার্জন? সমাধান হচ্ছে, মোবাইল অ্যাপ! আপনি চাইলে মোবাইল অ্যাপ দিয়ে হাজার হাজার টাকা উপার্জন করতে পারবেন। তবে হ্যাঁ আপনার অবশ্যই চেষ্টা থাকতে হবে। আপনি যদি সত্যিই মোবাইল দিয়ে কাজ করতে চান, তাহলে আপনার লাগবে একটি স্মার্টফোন। এর মাধ্যমে আপনি অনলাইনে android apps দিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন সহজেই।

জানতে হবে কোন সফটওয়্যার দিয়ে টাকা আয় করা যায়সফটওয়্যার দিয়ে টাকা ইনকাম করা
আমাদের দেশে এবং দেশের বাইরে প্রচুর সফটওয়্যার/অ্যাপ রয়েছে। আপনি চাইলে সফটওয়্যার/ অ্যাপ দিয়েও টাকা ইনকাম করার পথ বের করতে পারবেন। আর এই পথ সম্পর্কে জানাতেই আমাদের এই লেখা।

এ ধরনের অনেক রকম সফটওয়্যার আছে। তবে কোন সফটওয়্যার থেকে আপনার ইনকাম হতে পারে সে বিষয়ে আপনাকে জানতে হবে। শুধু সফটওয়্যার সম্পর্কে জানলে হবে না। সঙ্গে এই সফটওয়্যার বা অ্যাপ ব্যবহার করে টাকা উপার্জনের উপায় সম্পর্কেও আপনাকে জানতে হবে। দিনে কয়েক ঘণ্টা ব্যয় করে কিছু অ্যাপের মাধ্যমে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। এরর জন্য নিচের সফটওয়্যার/অ্যাপগুলো দেখুন—
Roz Dhan App
Current Rewards
Poll Pay
Meesho App
Pocket Money. 

উল্লেখিত অ্যাপগুলো দিয়ে আপনি মোবাইলের টাকা আয় করতে পারবেন। যেকোনো একটি অ্যাপ দিয়েই কাজ শুরু করুন। একসঙ্গে অনেকগুলো নিয়ে কাজ করতে গেলে হিমশিম খেয়ে যাবেন। যে অ্যাপ দিয়ে কাজ করবেন, সেটা মোবাইল ডিভাইসে ডাউনলোড করে নিন।

এরপর অ্যাপটি ওপেন করে তাদের দেওয়া নিয়ম অনুসরণ করে আপনাকে কাজ করতে হবে। এখান থেকে আপনি দৈনিক ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আয় করা টাকা খুব সহজেই বিকাশ ওয়ালেটের মাধ্যমে আপনার অ্যাকাউন্টে পেয়ে যাবেন। এ ছাড়া আপনি আরও কিছু অ্যাপ ফলো করতে পারেন, যদি আপনার ইচ্ছা থাকে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে টাকা আয় করার।

স্মার্টফোনের মাধ্যমে ফেসবুক ব্যবহার করেও আয় করতে পারবেন। ছবি: আজকের পত্রিকাফেসবুকে থেকে টাকা আয়
আপনি চাইলে মোবাইল ফোন দিয়ে ফেসবুক থেকেও টাকা উপার্জন করতে পারবেন। শুধু আপনার জানতে হবে সঠিক পথ। সত্যি বলতে অনেক উপায় রয়েছে মোবাইল ব্যবহার করে টাকা আয়ের। আপনি ফেসবুক গ্রুপ, ফেসবুক পেজ, ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে টাকা আয় করতে পারবেন।

এখন আপনার মনে নিশ্চয় প্রশ্ন জাগবে, ফেসবুক গ্রুপে কী করে ইনকাম করবেন? আপনি গ্রুপে কাজ করতে চাইলে আপনাকে একটি গ্রুপ খুলতে হবে। আর যদি পেজে কাজ করতে চান, তাহলে পেজ খুলতে হবে। সেখানে বিভিন্ন রকম প্রোডাক্ট বিক্রয় করা, অন্যের পেজের প্রোডাক্টের বিজ্ঞাপন, ফেসবুক ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল শেয়ার করেও আপনি আয় করতে পারেন।

আপনার প্রথম কাজ হবে বেশি বেশি বন্ধু ইনভাইট করা এবং তারপর ওয়েবসাইটের লিংক ব্যবহার করে টাকা আয় করার চেষ্টা করা। এভাবে আপনি সহজেই আপনার নিজের ওয়েবসাইট বা অন্যের ওয়েবসাইটের লিংক ব্যবহার করে তাদের কাছ থেকে একটা কমিশন পেতে পারেন।

আরেকটি হচ্ছে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট। আমরা সবাই সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকটিভ এবং অনেকের একের অধিক ফেসবুক অ্যাকাউন্টও আছে। এই ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বিক্রি করেও কিছু টাকা উপার্জন করার পথ আপনার সামনে রয়েছে।

এ ক্ষেত্রে যে অ্যাকাউন্টগুলো আপনি বিক্রি করবেন, সেই অ্যাকাউন্টে ফ্রেন্ড থাকা জরুরি। যত বেশি ফ্রেন্ড ও ফলোয়ার থাকবে, তত বেশি দাম দিয়ে আপনি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বিক্রি করতে পারবেন।

মোবাইলে গেমস খেলেও আয় করতে পারবেনমোবাইল গেমস খেলে আয়
ছাত্রদের জন্য একটি জনপ্রিয় জায়গা হচ্ছে মোবাইল গেমস খেলে টাকা উপার্জন। যেমন ধরুন লুডু গেমস। বর্তমানে ঘরে বসে অনলাইনে লুডু খেলে টাকা আয় করছে অনেকেই। এ ক্ষেত্রেও আপনার প্রথম যে জিনিসটি দরকার, সেটা হচ্ছে একটি স্মার্ট Android মোবাইল ফোন। এই গেমস খেলে আপনি নিজের হাত খরচ খুব ভালো করেই চালাতে পারবেন।

আপনি এ বিষয়ে আগ্রহী হলে আজই লুডু গেমসটি ডাউনলোড করতে পারেন। তারপর লুডু খেলায় বিজয়ী হলে আপনি অনলাইন থেকে টাকা পাবেন।

মোবাইল দিয়ে টাকা আয়ের জন্য রয়েছে নানা ওয়েবসাইটমোবাইলের মাধ্যমে আয়ের ওয়েবসাইট
মোবাইলের মাধ্যমে আয়ের ক্ষেত্রে আপনি চাইলে বিভিন্ন ওয়েবসাইট অথবা নিজের ওয়েবসাইট দিয়েও টাকা আয় করতে পারবেন।

ওয়েবসাইটে আর্টিকেল/নিউজ বা গ্রাফিকসের কাজ করে আপনি প্রতি মাসে ১০ হাজার থেকে শুরু করে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারেন।

কীভাবে পারবেন কাজ করতে? ধরুন, আপনি যদি হতভাগা ডটকম ওয়েবসাইটে কাজ করতে আগ্রহী হন, তাহলে সেখানে আপনার একটি অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এরপর এই ওয়েবসাইটে আপনাকে আর্টিকেল, ওয়েবসাইটের লিংক শেয়ার, লিংক রেফারেল—এই ধরনের কাজগুলো করতে হবে। এভাবেই আপনি চাইলে ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম জেনারেট করতে পারবেন।

আপনি দুই প্রক্রিয়ায় অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পারবেন। যেমন—ই-মেইল দিয়ে অথবা ফেসবুক অ্যাকাউন্ট দিয়ে। যেকোনো একটি বেছে নিন। নিচের নিয়মগুলো দেখলে আপনার এই কাজটি আরও বেশি সহজ হয়ে যাবে—

Name: 
Username: 
E-mail Address: 
Password: 
Confirm Password: 
Register: 

উপরিউক্ত তথ্যগুলো সঠিকভাবে পূরণ করার পর আপনার নামে একটি অ্যাকাউন্ট হয়ে যাবে।

আয়ের জন্য করতে পারেন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংওঅ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে মোবাইলে আয়
আমরা সবাই হয়তো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বিষয়ে জানি। আবার অনেকেই এই বিষয়ে অজ্ঞ। তবে আপনি চাইলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে ঘরে বসে মোবাইল দিয়ে ইনকাম করতে পারবেন। ভাবতে হবে না কম্পিউটার কিংবা ল্যাপটপের কথা! আমাদের দেশে, এমনকি বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন কোম্পানি তাদের নিজেদের প্রোডাক্ট বেশি বিক্রির জন্য অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বেছে নেয়। যেমন, আমাজন, ফ্লিপকার্টসহ আরও কিছু বড় সাইট রয়েছে, যারা সব সময় চায় সব থেকে বেশি সেল করতে।

এই সাইটগুলো সেল বাড়াতে অন্যদের সুযোগ করে দেয় তাদের প্রোডাক্ট বিক্রি করতে। আর এটাই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। এ ক্ষেত্রে যে মানুষটি বা যারা প্রোডাক্ট বিক্রি করে দিচ্ছে, তারা সেখান থেকে কিছু টাকা প্রফিট/কমিশন পায়। মোবাইল দিয়েই এই কাজগুলো আপনি করতে পারবেন। এই সময়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের চাহিদা অনেক বেশি।

এই ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো অ্যাফিলিয়েট প্ল্যাটফর্মগুলো হচ্ছে Amazon, eBay Partners, Shopify, Click-bank, Awin, CJ Affiliate, Rakuten Affiliate Network, AvanGate and LinkConnector. বাংলাদেশের অনেকগুলো ওয়েবসাইটের মধ্যে Apsarah অন্যতম। সেখানে আপনি তাদের প্রোডাক্ট সেল করে কমিশনভিত্তিক আনলিমিটেড আয় করতে পারেন।

এ ছাড়া আপনি চাইলে অনলাইন সার্ভে থেকে মোবাইল দিয়ে ইনকাম, শর্ট লিংক শেয়ার করে অনলাইন ইনকাম, অনলাইনে ছবি বিক্রি করে টাকা ইনকাম, ইনস্টাগ্রাম অ্যাপ দিয়ে ঘরে বসে আয়, পিটিসি সাইট থেকে ঘরে বসে বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপন শেয়ার করে ইনকাম এবং আরও অনেক রকম পথ রয়েছে, যা অনুসরণ করলে আপনি মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন সহজেই।

আপনার স্মার্টফোনটি কতটা কাজের, সেটা নিশ্চয় এখন বুঝতে পারছেন। এভাবেই আমাদের দেওয়া আইডিয়াগুলো ফলো করে আপনি চাইলে খুব সহজেই মোবাইল দিয়ে ইনকাম করতে পারবেন।

অনলাইনে আয় সম্পর্কিত পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গুগলের নতুন ফিচার: সাধারণ হেডফোনই হবে রিয়েল–টাইম অনুবাদক

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
এর মাধ্যমে ৭০টিরও বেশি ভাষায় নির্বিঘ্নে অডিও অনুবাদ পাওয়া যাবে। ছবি: সংগৃহীত
এর মাধ্যমে ৭০টিরও বেশি ভাষায় নির্বিঘ্নে অডিও অনুবাদ পাওয়া যাবে। ছবি: সংগৃহীত

গুগল ট্রান্সলেটে একটি বড় ও গুরুত্বপূর্ণ আপডেট এনেছে গুগল। এই ফিচারে যুক্ত করা হয়েছে রিয়েল-টাইম ট্রান্সলেটর, যা সরাসরি হেডফোনের মাধ্যমে ব্যবহার করা যাবে।

গত বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বেটা সংস্করণে চালু হওয়া এই ফিচারটি ব্যবহার করতে শুধু একটি উপযোগী অ্যান্ড্রয়েড ফোন এবং গুগল ট্রান্সলেট অ্যাপই যথেষ্ট। এর মাধ্যমে ৭০টিরও বেশি ভাষায় নির্বিঘ্নে অডিও অনুবাদ পাওয়া যাবে।

গুগল জানিয়েছে, তারা তাদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) টুল জেমিনি ব্যবহার করে বাগধারা, প্রবাদ–প্রবচন, স্থানীয় অভিব্যক্তি বা স্ল্যাংয়ের মতো সূক্ষ্ম অর্থবোধক বাক্যাংশের অনুবাদ আরও উন্নত করার চেষ্টা করেছে।

এক বিবৃতিতে কোম্পানিটি বলেছে, ‘আমরা টেক্সট অনুবাদের জন্য গুগল ট্রান্সলেটে জেমিনির সবচেয়ে শক্তিশালী অনুবাদ সক্ষমতা যুক্ত করছি। হেডফোনের মাধ্যমে লাইভ স্পিচ–টু–স্পিচ অনুবাদের একটি বেটা অভিজ্ঞতা চালু করছি এবং অনুশীলন ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য অ্যাপে নতুন ভাষা যুক্ত করছি।’

এর আগে এই সুবিধা শুধু পিক্সেল বাডসের জন্য সীমিত ছিল। তবে নতুন বেটা সংস্করণের মাধ্যমে যেকোনো হেডফোনকেই একমুখী রিয়েল–টাইম অনুবাদ ডিভাইসে রূপান্তর করা যাবে।

গুগল জানিয়েছে, দৈনন্দিন যোগাযোগের নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এই ফিচারটি কার্যকর একটি টুল হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। কথোপকথনের সময় ভাষাগত দূরত্ব ঘোচানো, ভ্রমণের সময় পাবলিক এনাউন্সমেন্ট বোঝা কিংবা বিদেশি ভাষার টেলিভিশন অনুষ্ঠান বা অনলাইন কনটেন্ট অনুসরণের ক্ষেত্রে এটি সহায়ক হবে।

গুগলের সার্চ ভার্টিক্যালস বিভাগের প্রোডাক্ট ম্যানেজমেন্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট রোজ ইয়াও বলেন, ‘আপনি যদি ভিন্ন কোনো ভাষায় কথা বলতে চান, বিদেশে অবস্থানকালে কোনো ভাষণ বা বক্তৃতা শুনতে চান, কিংবা অন্য ভাষার টিভি অনুষ্ঠান বা সিনেমা দেখতে চান, তাহলে এখন শুধু হেডফোন লাগিয়ে ট্রান্সলেট অ্যাপ খুলে লাইভ ট্রান্সলেট-এ ট্যাপ করলেই আপনার পছন্দের ভাষায় রিয়েল–টাইম অনুবাদ শুনতে পারবেন।’

বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও ভারতে চালু হচ্ছে এই বেটা সংস্করণটি। কোম্পানি জানিয়েছে, ২০২৬ সালে আইওএস এবং আরও বেশি দেশে এই সুবিধা সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে। পাশাপাশি, কথা বলার অনুশীলনের ভিত্তিতে ব্যবহারকারীদের সহায়ক পরামর্শ দিতে উন্নত ফিডব্যাক ব্যবস্থাও যুক্ত করা হচ্ছে।

এ ছাড়া ব্যবহারকারীদের দৈনন্দিন শেখার অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ এবং ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে স্ট্রিক ট্র্যাকিং ফিচারও চালু করছে গুগল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ডিজিটাল উদ্যোক্তা প্রকল্প: পাঁচ বছরে অর্ধেক কাজ, ব্যয় বাড়ল ১৭৮ কোটি

  • ৫ বছরের মেয়াদ শেষ, আড়াই বছর বৃদ্ধি
  • ৩৫৩ কোটি টাকার প্রকল্প ব্যয় ৫৩১ কোটিতে উন্নীত
  • প্রাথমিকভাবে সরকারের অর্থায়ন ৯৮ কোটি, বিশ্বব্যাংকের ঋণ ২৫৫ কোটি টাকা
মাহফুজুল ইসলাম, ঢাকা
ডিজিটাল উদ্যোক্তা প্রকল্প: পাঁচ বছরে অর্ধেক কাজ, ব্যয় বাড়ল ১৭৮ কোটি

বৈদেশিক ঋণে নেওয়া প্রকল্পের ৫ বছরের মেয়াদ শেষ হলেও কাজ এখনো অর্ধেক বাকি। এ অবস্থায় আবারও ঋণ করে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে আড়াই বছর। এতে খরচ বাড়ছে আরও ৫০ শতাংশ। প্রকল্পটির নাম ‘ডিজিটাল উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবন ইকোসিস্টেম উন্নয়ন’।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, বাংলাদেশে সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক স্থাপন এবং উদ্ভাবনী সংস্কৃতি তৈরির মাধ্যমে বেসরকারি বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং টেকসই উন্নয়নকে উৎসাহিত করতে ২০২১ সালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন করা হয়। ৩৫৩ কোটি ৬ লাখ টাকার এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর। পাঁচ বছর মেয়াদি এই প্রকল্পে সরকারের অর্থায়ন ছিল ৯৮ কোটি ৬ লাখ টাকা। আর বিশ্বব্যাংকের ঋণের পরিমাণ ছিল ২৫৫ কোটি টাকা।

চলতি বছরের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের নেওয়া প্রকল্পটির কাজ শেষ হয়েছে মাত্র ৫০ শতাংশ। আর্থিক ব্যয় হয়েছে ১২১ কোটি ৫০ লাখ ৩৬ হাজার টাকা বা ৩৪ দশমিক ৪১ শতাংশ।

নির্ধারিত সময়ে কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় ২ বছর ৬ মাস বৃদ্ধি করে প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৮ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার সর্বশেষ একনেক সভায় সময়ের সঙ্গে বৈদেশিক ঋণের মাধ্যমে আরও ১৭৮ কোটি টাকা ব্যয় বাড়িয়েছে। অর্থাৎ ৩৫৩ কোটি টাকার প্রকল্পের ব্যয় বাড়িয়ে ৫৩১ কোটি টাকা অনুমোদন করা হয়েছে। এর মধ্যে বৈদেশিক ঋণ ৪৩৩ কোটি ১২ লাখ টাকা বা ৮১ দশমিক ৫৪ শতাংশ।

অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, দেশি ও বিদেশি ঋণের পরিমাণ ইতিমধ্যে উচ্চমাত্রায় পৌঁছেছে। একদিকে ঋণ নিয়ে বড় বড় প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে, অন্যদিকে সেই প্রকল্পগুলোর মেয়াদ বাড়াতে আবার নতুন করে ঋণ নেওয়া হচ্ছে, যা দীর্ঘ মেয়াদে অর্থনীতির ওপর চাপ বাড়াচ্ছে।

বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, জনগুরুত্বপূর্ণ ছাড়া বৈদেশিক ঋণে সরকারের প্রকল্প নেওয়া উচিত নয়। এসব প্রকল্প নেওয়ার আগে সরকারের আরও বেশি সচেতন হওয়া উচিত।

তবে প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে অনেক ‘হিসাবি’ নীতি অনুসরণ করা হচ্ছে বলে দাবি সরকারের। এ বিষয়ে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, সরকার এই মুহূর্তে বৈদেশিক ঋণের প্রকল্প নিচ্ছে না। তবে যেসব প্রকল্প চলমান, তা শেষ করার জন্য কিছুটা ছাড় দেওয়া হয়েছে।

এই প্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকার কারওয়ান বাজারে পরিবেশবান্ধব ও টেকসই অবকাঠামোসহ একটি নতুন সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক (এসটিপি-২) নির্মাণ করা হবে। একই সঙ্গে বিদ্যমান সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক-১ (এসটিপি-১) সংস্কার ও আধুনিকায়ন করা হবে। নতুন পার্কটি লিড গোল্ড সার্টিফায়েড ভবন হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্ভাবন হাব বাড়ছে

প্রকল্পের মূল ডিপিপিতে যেখানে ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনোভেশন হাব স্থাপনের কথা ছিল, সংশোধিত প্রস্তাবে তা বাড়িয়ে ২৪টি করা হয়েছে। এসব হাবে শিক্ষার্থী ও গবেষকদের জন্য থ্রিডি প্রিন্টার, সিএনসি মেশিন, আর্ডিনো কিট, রোবোটিক্স ও ড্রোন-সংক্রান্ত সরঞ্জামসহ আধুনিক ল্যাব স্থাপন করা হবে। পাশাপাশি স্টার্টআপ ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য ১৪টি বিশেষায়িত কমন ল্যাব স্থাপন করা হবে।

কর্মসংস্থান ও বিনিয়োগে প্রভাব

প্রকল্পের মাধ্যমে শুধু সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কেই প্রায় ৩ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। পাশাপাশি স্টার্টআপ ও স্কেলআপ প্রোগ্রামের মাধ্যমে নতুন উদ্যোক্তা তৈরি, বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং দেশের ডিজিটাল অর্থনীতির গতি বাড়বে।

সময়-ব্যয় বাড়ানোর যুক্তি

প্রকল্প সংশোধনের পেছনে বেশ কয়েকটি যৌক্তিক কারণ তুলে ধরেছে প্রকল্প কর্তৃপক্ষ। এগুলোর মধ্যে রয়েছে, ডিপিপি অনুমোদন ও বিশ্বব্যাংকের ঋণচুক্তি কার্যকরে বিলম্ব, জমি বরাদ্দ ও মামলা জটিলতা, পিডব্লিউডির নতুন রেট শিডিউল অনুযায়ী ব্যয় সমন্বয়, লিড সার্টিফিকেশন-সংক্রান্ত প্রস্তুতিতে সময় লাগা এবং বিশ্ববিদ্যালয় ইনোভেশন হাব ও স্টার্টআপ কর্মসূচি বিস্তৃত করা।

ডিপিপি প্রণয়নের সময় ডলারের মূল্য যেখানে ৮৫ টাকা ছিল, বর্তমানে তা ১২১ টাকার বেশি। ফলে ডলারের বিনিময় হার বাড়ায় প্রকল্প ব্যয় পুনর্গঠন জরুরি হয়ে পড়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

পরিকল্পনা কমিশন প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভার আলোকে মত দেয়, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে জাতীয় উদ্ভাবন সংস্কৃতি শক্তিশালী হবে, আইটি ও আইটিইএস খাতে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি হবে এবং দীর্ঘ মেয়াদে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে। তাই একনেক সভায় মেয়াদ ও ব্যয় বৃদ্ধি করা হয়।

প্রকল্প পরিচালক আবুল ফাতাহ মো. বালিগুর রহমান বলেন, ‘নির্ধারিত সময়ে কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় নতুন করে সময় বাড়ানোর জন্য আবেদন করা হয়েছে। সময়ও বাড়ানো হয়েছে, আশা করছি, এই সময়ের মধ্যে শেষ করতে পারব।’ প্রকল্পের মেয়াদ ও সময় বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে আর কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

যুক্তরাষ্ট্রে মাকে হত্যার পর ছেলের আত্মহত্যা, চ্যাটজিপিটির বিরুদ্ধে অভিযোগ পরিবারের

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
নিহত সুজান অ্যাডামস ও তাঁর ছেলে স্টেইন-এরিক সোলবার্গ। ছবি: এক্স
নিহত সুজান অ্যাডামস ও তাঁর ছেলে স্টেইন-এরিক সোলবার্গ। ছবি: এক্স

যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্যে মাকে হত্যার পর ছেলের আত্মহত্যার ঘটনায় ওপেনএআই এবং মাইক্রোসফটের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পরিবার। অভিযোগে নিহত ৮৩ বছর বয়সী সুজান অ্যাডামসের পরিবার বলছে, ওপেনএআইর এআই চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি তাঁর ছেলের ‘প্যারানয়েড ডিলুশনস’ বা বিভ্রান্তিকর বিশ্বাসগুলোকে উসকে দিয়েছে এবং এ কাজে প্ররোচিত করেছে।

সান ফ্রান্সিসকোতে ক্যালিফোর্নিয়া সুপিরিয়র কোর্টে ‘বেআইনি মৃত্যু’র অভিযোগে বলা হয়, গত ৩ আগস্ট ওল্ড গ্রিনউইচের নিজ বাড়িতে খুন হন সুজান অ্যাডামস। তাঁকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তাঁর ৫৬ বছর বয়সী ছেলে স্টেইন-এরিক সোলবার্গ। এরপর সোলবার্গ নিজেও ছুরিকাঘাতে আত্মহত্যা করেন।

গত কয়েক মাসে ওপেনএআইয়ের বিরুদ্ধে এ ধরনের মামলা বেড়েছে। বেশ কয়েকটি মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ব্যবহারকারীদের আত্মহত্যায় প্ররোচিত করছে চ্যাটজিপিটি।

গত আগস্টে ছেলেকে চ্যাটজিপিটি আত্মহত্যার কৌশল সম্পর্কে পরামর্শ দিয়েছিল অভিযোগ এনে ওপেনএআইয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেন দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার ১৬ বছর বয়সী অ্যাডাম রেইনের মা-বাবা।

নভেম্বরে হওয়া কয়েকটি মার্কিন মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, চ্যাটজিপিটি ব্যবহারকারীদের ওপর নির্ভরশীলতা তৈরি করেছে এবং নিজের ক্ষতি করতে প্ররোচিত করেছে। এসবের মধ্যে চারটি মামলায়ই আত্মহত্যার ঘটনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

এর মধ্যে ২৬ বছর বয়সী জোশুয়া এন্নেকিংয়ের পরিবার অভিযোগ করেন, তাঁদের সন্তান চ্যাটজিপিটির কাছে আত্মহত্যার চিন্তা প্রকাশের পর এআই চ্যাটবটটি তাঁকে অস্ত্র পাওয়ার তথ্য সরবরাহ করেছে।

অন্যদিকে ১৭ বছর বয়সী অ্যামরি লেসির পরিবারের অভিযোগ, চ্যাটজিপিটি অ্যামরিকে ‘কীভাবে ফাঁস বাঁধতে হয় এবং শ্বাস না নিয়ে সে কতক্ষণ বাঁচবে’ এ-সংক্রান্ত তথ্য দিয়েছে।

সর্বশেষ মামলায় বলা হয়েছে, মাসখানেক ধরে চ্যাটজিপিটির সঙ্গে কথোপকথনে সোলবার্গের বিভ্রান্তিমূলক চিন্তাভাবনাকে সত্য ও জোরালো হয়েছে এবং শেষ পর্যন্ত তিনি নিজের মাকে ‘হুমকি’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।

অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়েছে, সোলবার্গকে চ্যাটজিপিটি উত্তর দিয়েছিল যে তিনি এআই চ্যাটবটকে আরও সচেতন করেছেন, ‘জাগিয়ে তুলেছেন’। সোলবার্গের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা ভিডিও থেকে এ তথ্য পাওয়া যায়।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, কথোপকথনে দেখা গেছে স্টেইন-এরিকের বিভ্রান্তিমূলক বিশ্বাসের প্রতিটির পক্ষে কথা বলে এমন একটা জগৎ তৈরি করেছিল চ্যাটজিপিটি, যাকে ঘিরেই ছিল স্টেইন-এরিকের সব চিন্তাভাবনা।

মামলায় আরও দাবি করা হয়েছে, চ্যাটজিপিটি সোলবার্গের প্যারানয়েড বিশ্বাসকে আরও জোরদার করেছিল। তাঁকে ধারণা দিয়েছিল যে কেউ তাঁর ওপর নজর রাখছে। এমনকি তিনি তাঁর মায়ের প্রিন্টার ডিভাইসটিকে নজরদারি যন্ত্র ভাবতে শুরু করেছিলেন।

যখন সোলবার্গ চ্যাটজিপিটিকে বলেন যে তাঁর মনে হচ্ছে তাঁর মা তাঁকে বিষ খাওয়াতে চেয়েছিলেন, চ্যাটজিপিটি তাঁর এই ভাবনাকে চ্যালেঞ্জ করার বদলে তার পক্ষে সায় দিয়ে উত্তর দিয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার এ মামলার প্রতিক্রিয়ায় ওপেনএআইয়ের এক মুখপাত্র বলেন, ‘এটি বেশ হৃদয়বিদারক অবস্থা। আমরা মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা করে দেখছি, বিস্তারিত বোঝার চেষ্টা করছি।’

মামলায় ওপেনএআইযের প্রধান নির্বাহী স্যাম অল্টম্যানকে অভিযুক্ত করে বলা হয়েছে, তিনি নিরাপত্তা বিভাগের সদস্যদের আপত্তি উপেক্ষা করে গত বছরের মে মাসে জিপিটি-৪ও বাজারে আনতে তাড়া দিয়েছিলেন। কয়েক মাস ধরে যে নিরাপত্তা পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল সেটি তিনি এক সপ্তাহের মধ্যে শেষ করে দেন।

মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, এটি আগের মডেলগুলোর তুলনায় শক্তিশালী এবং এর প্রতিক্রিয়া অনেক বেশি মানুষের মতো। তবে জিপিটি-৪ও মডেল ব্যবহারকারীদের সঙ্গে ‘অতিরিক্ত তোষামোদ করার’ কারণে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে।

ওপেনএআইয়ের সবচেয়ে বড় শেয়ারহোল্ডার মাইক্রোসফটকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, নিরাপত্তা প্রটোকল সংক্ষেপিত হওয়ার পরও তারা এই পণ্যের অনুমোদন দিয়েছেন।

এ ছাড়া ওপেনএআইযের ২০ কর্মকর্তা এবং বিনিয়োগকারীকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় অনির্দিষ্ট ক্ষতিপূরণ এবং ওপেনএআইকে সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা বাস্তবায়নের নির্দেশ দেওয়ার আবেদন করা হয়েছে।

মন্তব্যের অনুরোধে যোগাযোগ করা হলে মাইক্রোসফটের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া মেলেনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মিসড কল মেসেজ ও ছবি থেকে অ্যানিমেশনসহ যেসব ফিচার আনল হোয়াটসঅ্যাপ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
মেটার এই ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং প্ল্যাটফর্মে মিসড কলে দেওয়া যাবে রেকর্ডেড মেসেজ। ছবি: হোয়াটসঅ্যাপ।
মেটার এই ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং প্ল্যাটফর্মে মিসড কলে দেওয়া যাবে রেকর্ডেড মেসেজ। ছবি: হোয়াটসঅ্যাপ।

বেশকিছু নতুন ফিচার চালুর ঘোষণা দিয়েছে জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ। এর মধ্যে রয়েছে মিসড কল মেসেজেস এবং ছবি অ্যানিমেশন ও উন্নত মানের ইমেজ জেনারেশন।

মেটা মালিকানাধীন এই ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং প্ল্যাটফর্মের মতে, তাদের নতুন ফিচার ‘মিসড কল মেসেজেস’ (Missed Call Messages) ফিচারটি প্রচলিত ভয়েসমেইলের বিকল্প হিসেবে কাজ করবে এবং প্রিয়জনদের সঙ্গে সহজে যোগাযোগ পুনরায় শুরু করতে সহায়তা করবে।

যাকে কল করা হয়েছে, সেই ব্যক্তি কল রিসিভ না করলে, ওই কলের মিসড কল নোটিফিকেশনের সঙ্গে একটি ভয়েস বা ভিডিও রেকর্ড করে দেওয়ার সুযোগ দিচ্ছে এই নতুন ফিচার। কলের ধরন অনুযায়ী কলদাতা ভয়েস বা ভিডিও এ দু ধরনের নোটই এক ট্যাপেই রেকর্ড করে পাঠাতে পারবেন। হোয়াটসঅ্যাপ তাঁদের ব্লগপোস্টে বলেছে, ‘এই নতুন ব্যবস্থা প্রচলিত ভয়েসমেইল ব্যবস্থাকে অতীত করে দেবে।’

ব্যবহারকারীরা এখন ভয়েস চ্যাটেও ‘cheers!’ -এর মতো নতুন রিঅ্যাকশন ব্যবহার করতে পারবেন, যা বাকিদের আলাপ থামাবে না। পাশাপাশি, ভিডিও কলে এখন বক্তাই স্বয়ংক্রিয়ভাবে অগ্রাধিকার পাবে।

এদিকে মেটা-এআই দিয়ে ছবি তৈরির সুবিধাতেও আরও নতুনত্ব এসেছে। এর মধ্যে রয়েছে স্থির ছবিকে ছোট ভিডিওতে রূপান্তর করার মতো অ্যানিমেশন সুবিধা এবং আরও উন্নত মানের ইমেজ জেনারেশন।

এখন এতে ফ্লাক্স (Flux) এবং মিডজার্নি (Midjourney)–এর নতুন ইমেজ জেনারেশন মডেলের সক্ষমতা যুক্ত হয়েছে। বছর শেষে বা ছুটির সময়ের শুভেচ্ছাবার্তার মতো ছবি তৈরি করার ক্ষেত্রে এই আপগ্রেডেশন বেশ সাহায্য করবে বলে দাবি হোয়াটসঅ্যাপের।

মেটা এআই–এর নতুন সক্ষমতার মধ্যে ছবি অ্যানিমেশনও যুক্ত হয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপ বলছে, ব্যবহারকারীরা যেকোনো ছবি প্রম্পট এবং বার্তার ভিত্তিতে ছোট ভিডিওতে রূপান্তর করতে পারবেন। ডেস্কটপে, ডকুমেন্ট, লিঙ্ক ও মিডিয়া সহজে আলাদা করার জন্য নতুন মিডিয়া ট্যাবও যুক্ত হয়েছে। এছাড়া লিঙ্ক প্রিভিউ অপশনেও আপগ্রেডেশন এসেছে।

স্ট্যাটাসের জন্যও নতুন স্টিকার যুক্ত করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। ব্যবহারকারীরা এতে গান, ইন্টারেক্টিভ স্টিকার এবং প্রশ্ন যোগ করতে পারবেন। সেখানে অন্যরা উত্তর দিতে পারবেন।

হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে প্রশ্ন করার সুবিধাও যুক্ত হয়েছে। এই ফিচার চ্যানেলের অডিয়েন্সদের সঙ্গে চ্যানেলের পরিচালনাকারীদের সঙ্গে আরও উচ্চমাত্রার সংযোগ স্থাপন এবং তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া গ্রহণের সুযোগ দেবে বলে জানিয়েছে মেটা–মালিকানাধীন এই প্ল্যাটফর্ম।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত