নাজিম আল শমষের, ঢাকা
বইয়ের পাতায় সাবিনা আক্তারের মুখের হাসিটা সেই আগের মতোই আছে। শান্ত-স্নিগ্ধ আর সরলতায় ভরা। সম্ভাবনা জাগিয়ে অকালে (২০১৭ সালে) নশ্বর পৃথিবীকে বিদায় বলেছেন ঠিকই, কিন্তু বাংলাদেশের নারী ফুটবলে সাবিনা আর কলসিন্দুর গ্রামের গল্প এখন আগ্রহ নিয়ে জানবে-শিখবে দেশের ছাত্রছাত্রীরা।
বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ দিয়ে মেয়েদের অনূর্ধ্ব-১৫ দলে জায়গা করে নিয়েছিলেন ময়মনসিংহ জেলার ধোবাউড়া উপজেলার সীমান্তঘেঁষা কলসিন্দুর গ্রামের মেয়ে সাবিনা। একই গ্রামের মারিয়া মান্দা, সানজিদা আক্তার, তহুরা খাতুনরা আজ বাংলাদেশ নারী ফুটবলের ‘পোস্টার গার্ল’।
অন্য জগতে পাড়ি জমানো সাবিনা হয়তো মারিয়াদের সাফল্যে অংশীদার হতে পারবেন না; তবে নিজ গ্রামের প্রতি তাঁর অবদানটুকু ঠিকই গাঁথা হয়ে গেছে একাদশ শ্রেণির ইংরেজি বইয়ের পাতায়।
বাংলাদেশের ফুটবলে সাম্প্রতিক যা সাফল্য, এর অধিকাংশটাই এসেছে নারী ফুটবলারদের কল্যাণে। আর এই দলের প্রাণ একঝাঁক কিশোরী ফুটবলার এসেছেন এককালের ‘অচেনা’ গ্রাম কলসিন্দুর থেকে।
গ্রামটিকে অবশ্য এখন আর অচেনা বলার উপায় নেই। জাতীয় পাঠ্যপুস্তকের পাতা ওল্টালেই যেন কলসিন্দুরের মেয়েদের লড়াই আর সাফল্যগাথা থেকে অনুপ্রেরণা নিতে পারে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম; তারই ব্যবস্থা করেছে সরকার।
বয়সভিত্তিক ফুটবলকে দুহাত ভরে সাফল্য এনে দেওয়ার পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছেন কলসিন্দুরের নারী ফুটবলাররা। সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ থেকে শুরু করে অনূর্ধ্ব-১৮ আর সাম্প্রতিক সময়ের অনূর্ধ্ব-১৯ সাফ শিরোপা জয়েও মারিয়া-শামসুন্নাহার জুনিয়রদের অবদান। পরিশ্রম আর আন্তরিকতায় নিজেরা হেসেছেন সাফল্যের হাসি।
কলসিন্দুর নামটির সঙ্গে এত দিন পরিচয় ছিল শুধু দেশের ফুটবলপ্রেমীদের। নতুন পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় এবার জানবে ছাত্রছাত্রীরা। সাফজয়ী অধিনায়ক মারিয়ার কণ্ঠে তাই গর্বের সুর, ‘আগে কলসিন্দুর গ্রামকে কেউ চিনত না। এখন সারা দেশের মানুষ চিনছে। এখন হয়তো খেলাধুলার প্রতি ছাত্রছাত্রীদের আগ্রহ আরও বাড়বে।’
একই গ্রামের তারকা ফুটবলার সানজিদা লিখেছেন, ‘কলসিন্দুর নিয়ে আজ আমি গর্বিত। গর্বিত পাঠ্যবইয়ে কলসিন্দুরকে তুলে ধরায়।’
ফুটবলে নিজেদের অবদানে গর্ব আর উচ্ছ্বাস মারিয়াদের। হয়তো ওপারের জগৎ থেকে বান্ধবীদের সাফল্যে হাসছেন সাবিনাও। তাঁর স্মৃতি মনে করতেই কষ্ট পেলেন মারিয়া, ‘আমরা ওকে অনেক মিস করি। ও বেঁচে থাকলে আমাদের সঙ্গেই ক্যাম্পে থাকত, শিরোপা জিতত। গর্ব করতে পারত।’ কষ্ট বুকে চেপে এখন এই স্বীকৃতিকে উপভোগ করছেন কলসিন্দুর গ্রামের মেয়েরা।
আন্তর্জাতিক নারী দিবসে আরেকটি সুখবর আছে দেশের নারী ফুটবলারদের। বাফুফে ভবনের নারী আবাসিক ক্যাম্পটিকে ‘এক তারকা’ এলিট একাডেমির স্বীকৃতি দিয়েছে ফিফা ও এএফসি। ১১ শর্ত পূরণ করে এশিয়ার প্রথম জাতীয় একাডেমির স্বীকৃতি পেয়েছে নারী ফুটবলারদের আবাসিক ক্যাম্পটি।
বইয়ের পাতায় সাবিনা আক্তারের মুখের হাসিটা সেই আগের মতোই আছে। শান্ত-স্নিগ্ধ আর সরলতায় ভরা। সম্ভাবনা জাগিয়ে অকালে (২০১৭ সালে) নশ্বর পৃথিবীকে বিদায় বলেছেন ঠিকই, কিন্তু বাংলাদেশের নারী ফুটবলে সাবিনা আর কলসিন্দুর গ্রামের গল্প এখন আগ্রহ নিয়ে জানবে-শিখবে দেশের ছাত্রছাত্রীরা।
বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ দিয়ে মেয়েদের অনূর্ধ্ব-১৫ দলে জায়গা করে নিয়েছিলেন ময়মনসিংহ জেলার ধোবাউড়া উপজেলার সীমান্তঘেঁষা কলসিন্দুর গ্রামের মেয়ে সাবিনা। একই গ্রামের মারিয়া মান্দা, সানজিদা আক্তার, তহুরা খাতুনরা আজ বাংলাদেশ নারী ফুটবলের ‘পোস্টার গার্ল’।
অন্য জগতে পাড়ি জমানো সাবিনা হয়তো মারিয়াদের সাফল্যে অংশীদার হতে পারবেন না; তবে নিজ গ্রামের প্রতি তাঁর অবদানটুকু ঠিকই গাঁথা হয়ে গেছে একাদশ শ্রেণির ইংরেজি বইয়ের পাতায়।
বাংলাদেশের ফুটবলে সাম্প্রতিক যা সাফল্য, এর অধিকাংশটাই এসেছে নারী ফুটবলারদের কল্যাণে। আর এই দলের প্রাণ একঝাঁক কিশোরী ফুটবলার এসেছেন এককালের ‘অচেনা’ গ্রাম কলসিন্দুর থেকে।
গ্রামটিকে অবশ্য এখন আর অচেনা বলার উপায় নেই। জাতীয় পাঠ্যপুস্তকের পাতা ওল্টালেই যেন কলসিন্দুরের মেয়েদের লড়াই আর সাফল্যগাথা থেকে অনুপ্রেরণা নিতে পারে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম; তারই ব্যবস্থা করেছে সরকার।
বয়সভিত্তিক ফুটবলকে দুহাত ভরে সাফল্য এনে দেওয়ার পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছেন কলসিন্দুরের নারী ফুটবলাররা। সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ থেকে শুরু করে অনূর্ধ্ব-১৮ আর সাম্প্রতিক সময়ের অনূর্ধ্ব-১৯ সাফ শিরোপা জয়েও মারিয়া-শামসুন্নাহার জুনিয়রদের অবদান। পরিশ্রম আর আন্তরিকতায় নিজেরা হেসেছেন সাফল্যের হাসি।
কলসিন্দুর নামটির সঙ্গে এত দিন পরিচয় ছিল শুধু দেশের ফুটবলপ্রেমীদের। নতুন পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় এবার জানবে ছাত্রছাত্রীরা। সাফজয়ী অধিনায়ক মারিয়ার কণ্ঠে তাই গর্বের সুর, ‘আগে কলসিন্দুর গ্রামকে কেউ চিনত না। এখন সারা দেশের মানুষ চিনছে। এখন হয়তো খেলাধুলার প্রতি ছাত্রছাত্রীদের আগ্রহ আরও বাড়বে।’
একই গ্রামের তারকা ফুটবলার সানজিদা লিখেছেন, ‘কলসিন্দুর নিয়ে আজ আমি গর্বিত। গর্বিত পাঠ্যবইয়ে কলসিন্দুরকে তুলে ধরায়।’
ফুটবলে নিজেদের অবদানে গর্ব আর উচ্ছ্বাস মারিয়াদের। হয়তো ওপারের জগৎ থেকে বান্ধবীদের সাফল্যে হাসছেন সাবিনাও। তাঁর স্মৃতি মনে করতেই কষ্ট পেলেন মারিয়া, ‘আমরা ওকে অনেক মিস করি। ও বেঁচে থাকলে আমাদের সঙ্গেই ক্যাম্পে থাকত, শিরোপা জিতত। গর্ব করতে পারত।’ কষ্ট বুকে চেপে এখন এই স্বীকৃতিকে উপভোগ করছেন কলসিন্দুর গ্রামের মেয়েরা।
আন্তর্জাতিক নারী দিবসে আরেকটি সুখবর আছে দেশের নারী ফুটবলারদের। বাফুফে ভবনের নারী আবাসিক ক্যাম্পটিকে ‘এক তারকা’ এলিট একাডেমির স্বীকৃতি দিয়েছে ফিফা ও এএফসি। ১১ শর্ত পূরণ করে এশিয়ার প্রথম জাতীয় একাডেমির স্বীকৃতি পেয়েছে নারী ফুটবলারদের আবাসিক ক্যাম্পটি।
লাফ দিয়ে আকাশ ছোঁয়া যদি সম্ভব হতো, হয়তো সেটাও করে ফেলতেন আরমান্দ ডুপ্লান্টিস। পোল ভল্টে বিস্ময় জাগিয়ে তোলাটা রীতিমতো অভ্যাসে পরিণত করেছেন এই সুইডিশ অ্যাথলেট। গতকাল গড়েছেন নতুন বিশ্ব রেকর্ড। হাঙ্গেরির গ্রাঁ প্রিতে ৬ দশমিক ২৯ মিটার উচ্চতায় লাফিয়ে মাধ্যাকর্ষণকে আরেকবার বুড়ো আঙুল দেখালেন তিনি।
৭ ঘণ্টা আগেসকাল থেকে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি। এমন আবহাওয়ায় মিরপুরে ক্রিকেটারদের আলস্য আসাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বাংলাদেশ দলের কন্ডিশনিং ও স্ট্রেংথ ট্রেইনার নাথান কেলির কাছে এসবের গুরুত্ব নেই। গুমোট আবহাওয়া হোক বা গরম, কাজের বেলায় তিনি একচুল ছাড় দেন না—এটাই বোঝা গেছে শেষ এক সপ্তাহের ফিটনেস ক্যাম্পে।
৭ ঘণ্টা আগেইউরোপিয়ান ফুটবলে নতুন মৌসুম শুরু হওয়ার তোড়জোড় চলছে। ১৫ আগস্ট থেকে পর্দা উঠবে লা লিগার ৯৫তম মৌসুমের। বার্সেলোনা নামবে শিরোপা ধরে রাখার মিশনে। জাবি আলোনসোকে নিয়ে নতুন স্বপ্ন দেখা রিয়াল মাদ্রিদও চায় আধিপত্য ফেরাতে। সব মিলিয়ে নতুন মৌসুমে লা লিগায় ফুটবলপ্রেমীদের আগ্রহের কেন্দ্রে থাকা বিষয়াদি নিয়েই এই উপস
১০ ঘণ্টা আগেসিঙ্গাপুর ম্যাচের পরপরই একটা ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল, সেপ্টেম্বরে ফিফা উইন্ডোতে হামজা চৌধুরী খেলবেন তো। সে অনিশ্চয়তা কাটেনি এখনো। যদিও হামজাকে দলে রেখেই ২৪ জনের স্কোয়াড সাজিয়েছেন কোচ হাভিয়ের কাবরেরা।
১১ ঘণ্টা আগে