ক্রীড়া ডেস্ক
বিদেশি কোচ নিয়ে কোনো দল কখনো ফিফা বিশ্বকাপ জিততে পারেনি। এই তথ্যটা ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (সিবিএফ) নিশ্চয়ই অজানা নয়। অপ্রিয় এই সত্যটা জানার পরও ব্রাজিল কেন কার্লো আনচেলত্তিকে নিয়ে দিল—এ এক বড় প্রশ্ন।
‘ফুটবলের দেশ’ হিসেবে পরিচিত ব্রাজিল গত পাঁচটি বিশ্বকাপের একটিতেও সফল হতে পারেনি। শিরোপা তো জিততে পারেনি, এই পাঁচ আসরের একটিতে ফাইনালেও উঠতে পারেন বিশ্বকাপের সফলতম দল ব্রাজিল। একবার শেষ চারে উঠলেও বাকি চারবার বিদায় নিয়েছে শেষ আটে।
ধারাবাহিক এই ব্যর্থতার বৃত্ত ভাঙতে এবার মরিয়া ব্রাজিল। এতটাই যে, ‘বিদেশ কোচ নিয়ে কেউ বিশ্বকাপ জেতে না’ এই সত্য জানার পরও তারা নিয়োগ দিয়েছে ৬৫ বছর বয়সী ইতালিয়ান কোচ কার্লো আনচেলত্তিকে। পরশু নিজেদের স্বীকৃত এক্স হ্যান্ডলে যে পোস্টে ২০২৬ সালের বিশ্বকাপ পর্যন্ত আনচেলত্তিকে নিয়োগের কথা জানায়, সেই পোস্টেই সিবিএফ সভাপতি এডনালদোর একটা উদ্ধৃতিও ছিল। যেখানে তিনি তাঁর স্বপ্নের কথা জানিয়েছেন এভাবে, ‘কার্লো আনচেলত্তিকে ব্রাজিলের কোচ হিসেবে নিয়ে আসা শুধু একটি কৌশলগত পদক্ষেপ নয়, আমরা যে আবারও শীর্ষে ফিরে যাওয়ার জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞ, বিশ্বের প্রতি এটি একটি বার্তাও। একসঙ্গে আমরা ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের নতুন গৌরবময় অধ্যায় রচনা করব।’
কিন্তু তা কী সম্ভব? সম্ভব কি না, তা সময়ই বলবে। তবে আনচেলত্তি ব্রাজিলের কোচ হিসেবে কেন সফল হবেন, তার তিনটি কারণ তুলে ধরেছে সংবাদ সংস্থা এএফপি। এখানে কারণ তিনটি সংক্ষিপ্তভাবে তুলে ধরা হলো।
ঠান্ডা মাথার কোচ
পেশাদার ফুটবলে কোচদের কাজটাই ভীষণ চাপের। এই চাপপূর্ণ কাজেও শান্ত ও উষ্ণ একটা চরিত্র হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন কালো আনচেলত্তি। আর এটাই কোচ হিসেবে তাঁকে আদর্শস্থানীয় হিসেবে দাঁড় করিয়েছে। ক্লাব ফুটবলে অন্যতম সফল কোচ তিনি। রিয়াল মাদ্রিদ, বায়ার্ন মিউনিখ কিংবা এসি মিলান—সবখানেই পেয়েছেন সাফল্য। সবশেষ ২০২২ সালে ব্রাজিলের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশ আর্জেন্টিনা সফল হওয়ায় ব্রাজিলের সাফল্য অর্জনের চাপ আগের চেয়ে এখন অনেক বেশি। এই চাপের মধ্যেও কেউ যদি সফল হতে পারেন, তিনি হবেন শান্ত ও স্থির স্বভাবের আনচেলত্তি। তিনিই যে ব্রাজিলের আদর্শ কোচ হতে পারেন, সেটি ২০২৩ সালেই বলেছিলেন সাদা চামড়ার পেলে খ্যাত জিকো, ‘আনচেলত্তি আদর্শ (কোচ) হবে, কারণ সবাই, এমনকি প্রতিপক্ষও তাকে সম্মান করে। তিনি ফুটবলটা ভালো জানেন। এবং এও জানেন যে কৌশলের চেয়ে খেলোয়াড়েরাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’ ভালো ‘ম্যান-ম্যানেজার’ হওয়ায় প্রতিভায় ভরপুর এক জাতীয় দল থেকে সেরা পারফরম্যান্স বের করে আনতে পারবেন।
খেলোয়াড়দের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক
২০২৬ বিশ্বকাপের আগেই ৩৪ বছরে পা রাখবেন নেইমার। চোট জর্জর এই স্ট্রাইকার তাঁর সোনালি সময় পেছনে ফেলে এসেছেন বলেই ধারণা করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে ব্রাজিলের আগামী বিশ্বকাপে সাম্বা দলের মূল স্ট্রাইকার হিসেবে দেখা যেতে পারে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রকেই। এই ভিনি খেলেন রিয়াল মাদ্রিদ। আর এই ক্লাব থেকে গিয়েই ব্রাজিল দলের হাল ধরবেন কোচ আনচেলত্তি। শুধু ভিনিই নন, রিয়ালে আছেন ব্রাজিলের রদ্রিগো গোস, এদের মিলিতাও এবং এন্দ্রিকও। আনচেলত্তির অধীনে তাঁরা নিজ নিজ পজিশনে আরও শাণিত হয়ে উঠেছেন। তাঁদেরকেই তিনি আবার পাচ্ছেন জাতীয় দলে। এই জানাশোনার ব্যাপারটা ব্রাজিলের ভালো করার জন্য সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ব্যক্তিগত চ্যালেঞ্জ
আনচেলত্তিই একমাত্র কোচ যিনি ইউরোপীয় বড় পাঁচটি লিগের সব কটিই জিতেছেন। খেলোয়াড় হিসেবে দুই বার চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছেন এসি মিলানের হয়ে। কোচ হিসেবেও সেখানে দুই বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। আর রিয়ালের হয়েও জিতেছেন তিনটি চ্যাম্পিয়নস লিগ। এ সব ঈর্ষণীয় সাফল্যও কোচ হিসেবে তাঁকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। ক্লাব ফুটবলের সাফল্যকে এবার আন্তর্জাতিক ফুটবলে টেনে আনার চ্যালেঞ্জ তাঁর সামনে। ২০২৬ বিশ্বকাপের ব্রাজিল দলের ডাগআউটে থাকাটা তাঁর সফল কোচিং ক্যারিয়ারে অন্য মাত্রা যোগ করবে। আর শিরোপা জিতলে তো সোনায় সোহাগা!
বিদেশি কোচ নিয়ে কোনো দল কখনো ফিফা বিশ্বকাপ জিততে পারেনি। এই তথ্যটা ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (সিবিএফ) নিশ্চয়ই অজানা নয়। অপ্রিয় এই সত্যটা জানার পরও ব্রাজিল কেন কার্লো আনচেলত্তিকে নিয়ে দিল—এ এক বড় প্রশ্ন।
‘ফুটবলের দেশ’ হিসেবে পরিচিত ব্রাজিল গত পাঁচটি বিশ্বকাপের একটিতেও সফল হতে পারেনি। শিরোপা তো জিততে পারেনি, এই পাঁচ আসরের একটিতে ফাইনালেও উঠতে পারেন বিশ্বকাপের সফলতম দল ব্রাজিল। একবার শেষ চারে উঠলেও বাকি চারবার বিদায় নিয়েছে শেষ আটে।
ধারাবাহিক এই ব্যর্থতার বৃত্ত ভাঙতে এবার মরিয়া ব্রাজিল। এতটাই যে, ‘বিদেশ কোচ নিয়ে কেউ বিশ্বকাপ জেতে না’ এই সত্য জানার পরও তারা নিয়োগ দিয়েছে ৬৫ বছর বয়সী ইতালিয়ান কোচ কার্লো আনচেলত্তিকে। পরশু নিজেদের স্বীকৃত এক্স হ্যান্ডলে যে পোস্টে ২০২৬ সালের বিশ্বকাপ পর্যন্ত আনচেলত্তিকে নিয়োগের কথা জানায়, সেই পোস্টেই সিবিএফ সভাপতি এডনালদোর একটা উদ্ধৃতিও ছিল। যেখানে তিনি তাঁর স্বপ্নের কথা জানিয়েছেন এভাবে, ‘কার্লো আনচেলত্তিকে ব্রাজিলের কোচ হিসেবে নিয়ে আসা শুধু একটি কৌশলগত পদক্ষেপ নয়, আমরা যে আবারও শীর্ষে ফিরে যাওয়ার জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞ, বিশ্বের প্রতি এটি একটি বার্তাও। একসঙ্গে আমরা ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের নতুন গৌরবময় অধ্যায় রচনা করব।’
কিন্তু তা কী সম্ভব? সম্ভব কি না, তা সময়ই বলবে। তবে আনচেলত্তি ব্রাজিলের কোচ হিসেবে কেন সফল হবেন, তার তিনটি কারণ তুলে ধরেছে সংবাদ সংস্থা এএফপি। এখানে কারণ তিনটি সংক্ষিপ্তভাবে তুলে ধরা হলো।
ঠান্ডা মাথার কোচ
পেশাদার ফুটবলে কোচদের কাজটাই ভীষণ চাপের। এই চাপপূর্ণ কাজেও শান্ত ও উষ্ণ একটা চরিত্র হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন কালো আনচেলত্তি। আর এটাই কোচ হিসেবে তাঁকে আদর্শস্থানীয় হিসেবে দাঁড় করিয়েছে। ক্লাব ফুটবলে অন্যতম সফল কোচ তিনি। রিয়াল মাদ্রিদ, বায়ার্ন মিউনিখ কিংবা এসি মিলান—সবখানেই পেয়েছেন সাফল্য। সবশেষ ২০২২ সালে ব্রাজিলের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশ আর্জেন্টিনা সফল হওয়ায় ব্রাজিলের সাফল্য অর্জনের চাপ আগের চেয়ে এখন অনেক বেশি। এই চাপের মধ্যেও কেউ যদি সফল হতে পারেন, তিনি হবেন শান্ত ও স্থির স্বভাবের আনচেলত্তি। তিনিই যে ব্রাজিলের আদর্শ কোচ হতে পারেন, সেটি ২০২৩ সালেই বলেছিলেন সাদা চামড়ার পেলে খ্যাত জিকো, ‘আনচেলত্তি আদর্শ (কোচ) হবে, কারণ সবাই, এমনকি প্রতিপক্ষও তাকে সম্মান করে। তিনি ফুটবলটা ভালো জানেন। এবং এও জানেন যে কৌশলের চেয়ে খেলোয়াড়েরাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’ ভালো ‘ম্যান-ম্যানেজার’ হওয়ায় প্রতিভায় ভরপুর এক জাতীয় দল থেকে সেরা পারফরম্যান্স বের করে আনতে পারবেন।
খেলোয়াড়দের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক
২০২৬ বিশ্বকাপের আগেই ৩৪ বছরে পা রাখবেন নেইমার। চোট জর্জর এই স্ট্রাইকার তাঁর সোনালি সময় পেছনে ফেলে এসেছেন বলেই ধারণা করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে ব্রাজিলের আগামী বিশ্বকাপে সাম্বা দলের মূল স্ট্রাইকার হিসেবে দেখা যেতে পারে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রকেই। এই ভিনি খেলেন রিয়াল মাদ্রিদ। আর এই ক্লাব থেকে গিয়েই ব্রাজিল দলের হাল ধরবেন কোচ আনচেলত্তি। শুধু ভিনিই নন, রিয়ালে আছেন ব্রাজিলের রদ্রিগো গোস, এদের মিলিতাও এবং এন্দ্রিকও। আনচেলত্তির অধীনে তাঁরা নিজ নিজ পজিশনে আরও শাণিত হয়ে উঠেছেন। তাঁদেরকেই তিনি আবার পাচ্ছেন জাতীয় দলে। এই জানাশোনার ব্যাপারটা ব্রাজিলের ভালো করার জন্য সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ব্যক্তিগত চ্যালেঞ্জ
আনচেলত্তিই একমাত্র কোচ যিনি ইউরোপীয় বড় পাঁচটি লিগের সব কটিই জিতেছেন। খেলোয়াড় হিসেবে দুই বার চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছেন এসি মিলানের হয়ে। কোচ হিসেবেও সেখানে দুই বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। আর রিয়ালের হয়েও জিতেছেন তিনটি চ্যাম্পিয়নস লিগ। এ সব ঈর্ষণীয় সাফল্যও কোচ হিসেবে তাঁকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। ক্লাব ফুটবলের সাফল্যকে এবার আন্তর্জাতিক ফুটবলে টেনে আনার চ্যালেঞ্জ তাঁর সামনে। ২০২৬ বিশ্বকাপের ব্রাজিল দলের ডাগআউটে থাকাটা তাঁর সফল কোচিং ক্যারিয়ারে অন্য মাত্রা যোগ করবে। আর শিরোপা জিতলে তো সোনায় সোহাগা!
ভুটানের বিপক্ষে জিতে সবার আগে সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ। তবে আজ নিশ্চিত হয়েছে বাংলাদেশ শেষ চারে খেলবে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে। ১৬ মে সেমিফাইনালে নেপালের বিপক্ষে খেলবে গোলাম রব্বানী ছোটনের দল।
৩৯ মিনিট আগে১৫ মে ফিফার ৭৫ তম কংগ্রেস হবে প্যারাগুয়েতে। এতে অংশ নিতে ভোর ৪টার ফ্লাইটে ঢাকা থেকে রওনা হন বাফুফে সভাপতি তাবিথ আওয়াল ও সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার। তাঁদের সফরসঙ্গী হওয়ার কথা ছিল বাফুফে নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণের। কিন্তু বিমানবন্দর থেকে ফেরত আসতে হয় তাঁকে। এমনটাই জানিয়েছে বাফু
১ ঘণ্টা আগেবিশ্বের সেরা ক্লাব থেকে কার্লো আনচেলত্তির ঠিকানা এখন ব্রাজিলে। দীর্ঘ দিন লেগে থাকা পাঁচ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের যেন আকুতিই মেটালেন ৬৫ বছর বয়সী ইতালিয়ান কোচ। নিজেদের পছন্দের কোচকে পেয়ে ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনও (সিবিএফ) বেশ উচ্ছ্বসিত। কোচকে সুখে রাখতে কোনো কিছুরই কমতি রাখতে চাইছে না তারা।
২ ঘণ্টা আগেভুটানের বিপক্ষে জিতে সবার আগে সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনাল উঠেছে বাংলাদেশ। তবে আজ নিশ্চিত হলো বাংলাদেশ শেষ চারে খেলবে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে। অবশ্য বাংলাদেশকে টপকানোর সুযোগ ছিল মালদ্বীপের সামনে। কিন্তু ভুটানের বিপক্ষে ২-২ গোলে ড্র করেছে তারা।
৩ ঘণ্টা আগে