Ajker Patrika

তুর্কমেনিস্তানকে ৭ গোলে হারিয়ে উৎসবের আনন্দে বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৫ জুলাই ২০২৫, ২০: ৪২
গোলের পর মারিয়া মান্দা, তহুরা খাতুন ও ঋতুপর্ণা চাকমার উচ্ছ্বাস। ছবি: বাফুফে
গোলের পর মারিয়া মান্দা, তহুরা খাতুন ও ঋতুপর্ণা চাকমার উচ্ছ্বাস। ছবি: বাফুফে

এশিয়ান কাপে খেলা নিশ্চিত হলেও বাংলাদেশ জমিয়ে রেখেছিল উদ্‌যাপন। কোচ পিটার বাটলারের কড়া নির্দেশ হালকাভাবে নেওয়া যাবে না তুর্কমেনিস্তানকে। প্রথমার্ধে সেরা খেলাটা উপহার দিয়ে রেকর্ডের সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন মেয়েরা। দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা হতাশ করলেও মাঠ ছেড়েছেন বড় জয় নিয়ে। এখন তো উদ্যাপন করাই যায়।

মিয়ানমারের থুউনা স্টেডিয়ামে তুর্কমেনিস্তানকে ৭-০ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ। সাতটি গোলই আসে ম্যাচের প্রথমার্ধে। জোড়া গোল করেন ঋতুপর্ণা চাকমা ও শামসুন্নাহার জুনিয়র। দ্বিতীয়ার্ধে বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেও কেউ পাননি গোলের দেখা।

র‍্যাঙ্কিংয়ের ১৪১ নম্বর দলকে বাংলাদেশ (১২৮) গোলের মালা সাজাতে শুরু করে চতুর্থ মিনিট থেকে। শামসুন্নাহার জুনিয়রের কাটব্যাকে বল পেয়ে স্বপ্না রানীর কাছে পাস দেন তহুরা খাতুন। বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শটে জাল কাপান স্বপ্না।

ষষ্ঠ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন শামসুন্নাহার জুনিয়র। মনিকা চাকমার ক্রসে আফঈদা খন্দকারের হেড রুখে দেন তুর্কমেনিস্তান গোলরক্ষক আমানবেরদিয়েভা আয়শা। কিন্তু বিপদমুক্ত করতে পারেননি। ফিরতি শটে জালের দেখা পান শামসুন্নাহার জুনিয়র। ১৩ মিনিটে দ্বিতীয়বার গোলের খাতায় নাম লেখান এই ফরোয়ার্ড। এবার বাঁ প্রান্ত থেকে তাঁকে বলের জোগান দেন শামসুন্নাহার সিনিয়র।

১৬ মিনিটে তহুরা কাছ থেকে তুর্কমেনিস্তানের কুরবানোভা পেরভানা বল কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু উল্টো মনিকার কাছে বল ঠেলে দেন তিনি। বাঁ পায়ের জোরালো শটে গোল করতে কোনো ভুল করেননি মনিকা। ১৭ মিনিটে বক্সের অনেকটা বাইরে থেকে নেওয়া ঋতুপর্ণা চাকমার শট তুর্কমেনিস্তান গোলরক্ষকের হাত ফসকে চলে যায় জালে। যা গোলপোস্টে পরিবর্তন আনতে বাধ্য করে তুর্কমেনিস্তান কোচ বরিস বোরোভিককে। আয়শাকে উঠিয়ে এলনুরা মাকসিউতোভাকে মাঠে নামান তিনি। তাতে অবশ্য খুব একটা লাভ হয়নি। ২১ মিনিটে ঋতুপর্ণার ক্রস থেকে বাংলাদেশের ষষ্ঠ গোলটি করেন তহুরা।

সপ্তম গোলের জন্য অবশ্য অপেক্ষা করতে হয় ২০ মিনিটের মতো। ৪১ মিনিটে কর্নার থেকে মনিকা বল দেন ঋতুপর্ণার কাছে। বক্সের বাইরে থেকে বাঁ পায়ের কোনাকুনি শটে নিশানা খুঁজে নেন ঋতুপর্ণা।

বিরতির পর বাংলাদেশের সামনে ছিল সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয়ের সুযোগ। কিন্তু র‍্যাঙ্কিংয়ে ১৩ ধাপ পিছিয়ে থাকা দলটির সঙ্গে আক্রমণাত্মক খেলার সেই ধার আর ধরে রাখতে পারেনি। একাদশে বেশ কিছু বদল আনেন কোচ। কিন্তু ডি বক্সের সামনে সেভাবে বিপদ সৃষ্টি করতে পারেননি কেউই। গোলের ব্যবধানও তাই বাড়েনি। ফলে ২০১০ সালে ভুটানের বিপক্ষে ৯-০ গোলের জয়ের রেকর্ডটি অক্ষত থাকল।

তিন ম্যাচের তিনটিতে জয় নিয়ে এশিয়ান কাপ বাছাই শেষ করল বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে র‍্যাঙ্কিংয়ের ৩৬ ধাপ এগিয়ে থাকা বাহরাইনকে উড়িয়ে দেয় ৭-০ গোলে। দ্বিতীয় স্বাগতিক মিয়ানমারের বিপক্ষে তুলে নেয় ২-১ গোলের জয়। একই দিন রাতে নিশ্চিত এশিয়ান কাপের টিকিট। আগামী বছরের মার্চে অস্ট্রেলিয়ায় হবে এশিয়ান কাপ। সেখানে সেরা ছয়ে থাকতে পারলে ২০২৭ বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাবে বাংলাদেশ। এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে ঋতুপর্ণা-তহুরাদের এমন পারফরম্যান্সে বড় স্বপ্ন তো দেখাই যায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সালিস না মেনে মামলা, ক্ষিপ্ত মেম্বার-চেয়ারম্যানরা হত্যা করেন মা ও ছেলে-মেয়েকে: র‍্যাব

স্বরূপকাঠিতে বিএনপি সভাপতিকে ‘আ.লীগের দোসর’ বললেন পরাজিত প্রার্থী

১৪ হাজার কোটি রুপি কেলেঙ্কারি, ভারতীয় নিরব মোদির বেলজিয়ান ভাই যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেপ্তার

বরযাত্রীদের বিলাসবহুল গাড়ি উঠে গেল কলেজের দেয়ালে, বরসহ নিহত ৮

ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচে বাংলাদেশের আম্পায়ারকে নিয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতির কারণ কী

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত