Ajker Patrika

যেভাবে ফুটবলের ‘সম্রাট’ হয়ে উঠেছিলেন বেকেনবাওয়ার 

আপডেট : ০৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫: ৩৩
যেভাবে ফুটবলের ‘সম্রাট’ হয়ে উঠেছিলেন বেকেনবাওয়ার 

খেলোয়াড় ও কোচ হিসেবে বিশ্বকাপ জেতার তালিকাটা খুব ছোট। মারিও জাগালোর পরে এই কীর্তি গড়েছিলেন ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার। এরপরে যোগ হয় ফ্রান্সের দিদিয়ের দেশমের নাম। আশ্চর্যের বিষয়, মাত্র তিন দিনের ব্যবধানে পরলোকে পাড়ি জমালেন প্রথম দুজন। নতুন বছরের শুরুতে দুই কিংবদন্তিকে হারিয়ে শোকাচ্ছন্ন ফুটবল বিশ্ব। 

গত ৫ জানুয়ারি রিও ডি জেনিরোতে ৯৩ বছর বয়সে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন খেলোয়াড় ও কোচ হিসেবে চারটি বিশ্বকাপজয়ী ব্রাজিলের জাগালো। গতকাল ৭৮ বছর বয়সে তাঁর সঙ্গী হলেন জার্মানির কিংবদন্তি ডিফেন্ডার বেকেনবাওয়ার। খেলোয়াড় ও কোচ হিসেবে বিশ্বকাপ জয়ের যে তালিকা, সেখানে বেকেনবাওয়ারের কীর্তিটা একটু ভিন্ন। শুধু খেলোয়াড় হিসেবে নয়, ১৯৭৪ সালে জার্মানি দ্বিতীয় বিশ্বকাপ জেতে তাঁর নেতৃত্বে। 

যে কারও সর্বকালের সেরা একাদশে নিঃসন্দেহে জায়গা করে নেবেন বেকেনবাওয়ার। কেবল রক্ষণ সামলানোই নয়, দলের প্রয়োজনে মাঝমাঠেও খেলতে পারতেন। ১৯৬৬ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের কাছে ফাইনালে হারলেও আলো ছড়িয়েছিলেন সেই সময়ের ২০ বছর বয়সী বেকেনবাওয়ার। মাত্র ১৪ বছর বয়সেই জার্মান ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখের নজরে পড়েন তিনি। সেখান থেকে হয়ে ওঠেন ফুটবলের ‘সম্রাট’। 

ফুটবল সম্রাট বললে আরেকটি যে নাম আমাদের সবার চোখে ভাসতে থাকে, তিনি পেলে। অবশ্য তিনি সম্রাটের চেয়ে ফুটবলের ‘রাজা’ নামেই পরিচিত বেশি। গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর তিনিও চলে যান না ফেরার দেশে। ফুটবল গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকজন কিংবদন্তিতে হারিয়েছে। সেই তালিকায় আছেন ‘ফুটবল ঈশ্বর’ ডিয়েগো ম্যারাডোনা। ২০২০ সালের ২৫ ডিসেম্বরে আকস্মিক মৃত্যুবরণ করেন ছিয়াশির মহানায়ক। আশ্চর্যের বিষয় হলো, ফুটবলের ‘রাজা’, ‘সম্রাট’ ও ‘ঈশ্বর’—আজ আমাদের মাঝে নেই। 

বলা হয়ে থাকে, বেকেনবাওয়ারের রক্ষণদেয়াল ফাঁকি দিয়ে একটি মাছিও যেতে পারত না। পুরো ক্যারিয়ারে জার্মান ফুটবলের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন ছিলেন তিনি। বায়ার্নের হয়ে হোক বা জার্মানির জার্সিতে—মাঠে সম্রাটের মতো পদাচারণার জন্য তাঁর ডাকনামই হয়ে যায় ‘দের কাইজার’। জার্মানির এই শব্দের অর্থ ‘দ্য এম্পেরর’; বাংলায় ‘সম্রাট’। 

‘সকার পলিটিকস’ নামের এক ওয়েবসাইট জানাচ্ছে, বেকেনবাওয়ারকে প্রথম ‘কাইজার’ নামটি দেয় একটি ম্যাগাজিন। বাভারিয়ান বা বর্তমান জার্মান সাম্রাজ্যের সাবেক শাসক কাইজার লুদভিগ-২-এর (১৮৪৫-১৮৮৬) সঙ্গে চেহারায় মিল এবং মাঠেও প্রায় একই রকম আভিজাত্যের কারণে বেকেনবাওয়ারের ডাক নামটি খুব দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। বলা বাহুল্য, রাজা কাইজার লুদভিগ বেশ খামখেয়ালি ছিলেন। 

বেকেনবাওয়ারের ‘সম্রাট’ উপাধি পাওয়ার পেছনে আরেকটি ঘটনাও শোনা যায়। ভিয়েনায় অস্ট্রিয়ার প্রীতি ম্যাচ খেলতে গিয়েছিলেন তিনি। তখন তাঁকে অস্ট্রিয়ার সাবেক সম্রাট ফ্রাঞ্জ-জোসেফের এক ভাস্কর্যের পাশে দাঁড় করিয়ে ছবি তোলা হয়। কালের বিবর্তনে সেই ছবি হয়তো হারিয়ে গেছে। চেহারায় মিলের কারণে বেকেনবাওয়ারের নামের সঙ্গে বসে যায় ‘দের কাইজার’ উপাধিটি। 

নামের মতো মাঠেও জার্মানির অভিজাত ফুটবলের প্রতিনিধি ছিলেন বেকেনবাওয়ার। ব্রাজিলের ‘জিঙ্গা ফুটবল’কে যেমন বিশ্বদরবারে পৌঁছে দিয়েছিলেন পেলে, তেমনি বেকেনবাওয়ার তাঁর ফুটবলশৈলীতে ফুটিয়ে তুলেছিলেন জার্মানির অভিজাত ফুটবলকে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত সড়ক কার্পেটিং বিচারপতি খিজির হায়াতের, প্রমাণ পেয়েছে দুদক

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

বগুড়ায় ছাত্রদল নেতার ওপর হামলা, পাঁচ নেতা-কর্মীকে শোকজ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত